নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজন্ম চত্বর-কিছু কথা এবং কিছু দাবী।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

বর্তমান পরিস্থিতিতে মৌলবাদ বিরোধী যে রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন তা কোন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সম্ভব নয়।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশে যে সংবিধান রচনা ও কার্যকর করা হয়, তা ব্রিটিশ-ভারত ও পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর অনুকরণেই প্রণীত। তখন থেকেই বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক আদলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থার শুরু। সেই কারণে ঔপনিবেশিক আমলের শাসক-শাসিতের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের পরিবর্তন করতে কেবল ব্যর্থই হয়নি, এই সংবিধান সামগ্রিকভাবে সেই সম্পর্ককে আরো জটিল ও পাকাপোক্ত করছে। এই সংবিধানের কারনই দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি শুরু হয়, জনগণের মধ্য দল ভিত্তিক রাজনীতি করার সুবাদে প্রতিযোগিতামূলক আচরণ দেখা দেয়। জনগণের মধ্য অনৈক্যের ফাটল সৃষ্টি হয় এবং বারবার সহিংসতা জন্ম দেয়। এই দলীয় গণতন্ত্রের সুবাদেই মৌলবাদীরা দল গঠনের সুযোগ পায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল মৌলবাদীদেরকে পক্ষে রেখে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছে। এর ফলে জামায়াতের মত মৌলবাদী শক্তির প্রসার ঘটেছে অস্বাভাবিকভাবে। যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার স্বাধীনতার পর পরই হওয়ার উচিত ছিলো, তখন তা না করার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দীর্ঘসূত্রীতার বেড়াজালে আবদ্ধ।

যেহেতু আমরা দেখছি বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক আশ্রয়ে অনেক রাজাকারের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ়, সেহেতু এসব দল তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকে কৌশলগতভাবে সমর্থন দিলেও, মনে প্রাণে স্বচ্ছ রাজনৈতিক অবস্থান নেয়ার কোন পদক্ষেপ এদের মধ্যে নেই। তরুণ প্রজন্মের তারুণ্যকে দলীয়ভাবে কাজে লাগাবার সকল কলা-কৌশল প্রয়োগ করছে এই রাজনৈতিক দলগুলো। তরুণ প্রজন্মকে আজ আরো দৃঢ়তার সঙ্গে অগ্রসর হতে হবে। সমাজের তরুণদের সাথে কর্মজীবী-পেশাজীবী মানুষরাও যেন এই মৌলবাদের বিরুদ্ধের আন্দোলনে যুক্ত হতে পারে, সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

এই জন্য



(১) শাহবাগ থেকে ঘোষিত দেশের সর্বত্র শাহবাগ অনুরূপ প্রজন্ম চত্বর গড়ার সঙ্গে প্রত্যেক এলাকাভিত্তিক কর্ম-পেশার লোকেরা যেন অর্ন্তভুক্ত হতে পারে সেই ধরনের একটি নির্দেশনা থাকতে হবে।



* আমি/আমরা মনে করি,



(২) বর্তমান আন্দোলন দলীয়করন যেন না হয় সে জন্য সারা দেশে বিগ্রেড গঠন প্রধান সাংগঠনিক কাজ, সে লক্ষ্যে দেশের সর্বত্র গ্রাম, পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শ্রমিকপ্রতিষ্ঠান, কর্মচারীপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীপ্রতিষ্ঠান সহ সকল স্তরে এবং পর্যায়ে অতি দ্রুত ব্রিগেড গঠন কাজ হাতে নিতে হবে। ব্রিগেড গঠনের কাজটি সারা দেশে এবং সকল কর্মক্ষেত্র ব্যাপী হবে। এই জন্য কাজটি প্রাত্যাহিক, ধারাবাহিক ও নিয়মিত কাজ হিসাবে এক একটি গ্রামে, এক একটি ইউনিয়নে, এক একটি শিল্প এলাকায়, এক একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, এক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একাধিক ব্রিগেড গঠন করতে হবে এবং সমন্বয় করার জন্য সমন্বয় কমিটিও থাকতে হবে এই ভাবে সারা দেশে কয়েক হাজার এমনকি কয়েক লক্ষ ব্রিগেড সদস্য থাকতে হবে এরাই হবে আন্দোলন টিকিয়ে রাখার প্রধান শক্তি। এই ভাবেই এই আন্দোলনের পক্ষের চেইন অব কমান্ড গড়ে তুলতে হবে। ব্রিগেডের গঠন কাঠামো হবে ৩ জন বা ৫ জন বা ৭ জন নিয়ে এক একটি ব্রিগেড হবে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক ব্রিগেড গড়ে তুলতে হবে এবং সমন্বয় করার জন্য সেসব একাধিক ব্রিগেড নিয়ে একটি সমন্বয় ব্রিগেড থাকতে হবে।.



(৩) মৌলবাদের জঙ্গী মনোভাবকে রুাখার জন্য এইসব বিগ্রেড নিজ নিজ এলাকার, নিজ নিজ কর্মের এবং নিজ নিজ পেশার সহকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত মিছিল শোভাযাত্রা করতে হবে।



(৪)কোন সন্দেহ নেই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীকারের চেতনা, আমাদের ভবিষ্যতের চেতনা, আমাদের চলার পথের চেতনা কিন্তু যেসেব শহীদ তাদের জীবন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিলেন আমরা তাদের জন্য কতটুকু করেছি, তাদের কতটুকু সম্মান দিতে পেরেছি ? দিতে পারি নাই । আমাদের চরম ব্যর্থতা যে আমরা তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো নিরুপুন করতে পারি নাই । আমাদের চরম ব্যর্থতা যে আমরা শহীদদের জন্য কোন আর্কাইভ তৈরি করতে পারি নাই । হ্যাঁ, একটি দেশের যেমন মুক্তিযুদ্ধ বার বার হয় না বা বার বার আসে না তাই মুক্তিযোদ্ধাসহ শহীদদের প্রকৃত তালিকা, সংক্ষিপ্ত হোক আর বিস্তারিত হোক শহীদদের জীবনী, যুদ্ধের বর্ণনা, তাদের বীরত্বগাঁথা যতটুকু পারা যায় সংরক্ষন করতে দোষের কোথায় ? বরং এটা করতে পারলে কিছুটা হলেও আমরা তো তাদের সম্মান জানাতে পারব । কিন্তু কেন করা হচ্ছে না, কাদের জন্য করা যাচ্ছে না সে প্রশ্নগুলোর উত্তরও আমাদের জানা দরকার । শহীদদের জন্য আর্কাইভ তৈরি করলে কাদের স্বার্থ রক্ষিত হবে না সেটাও জানা দরকার।

তাই শহীদদের প্রকৃত তালিকা তৈরি ও শহীদদের আর্কাইভ তৈরি করার জন্য সরকারের কাছে জোর গলায় দাবী তুলতে হবে।



(৫) প্রতি এলাকায় যাচাই-বাছাই করে রাজাকারদের নামের তালিকা তৈরী করতে হবে। স্ব স্ব এলাকার প্রজন্ম মঞ্চে ঐ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কেন্দ্রেও ঐ নামের তালিকা পাঠাতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৪

zahir বলেছেন: সুখপাঠ্য লেখাটির সাথে সহমত । চমৎকার একটি দাবি<> প্রতি এলাকায় যাচাই-বাছাই করে রাজাকারদের নামের তালিকা তৈরী করতে হবে। স্ব স্ব এলাকার প্রজন্ম মঞ্চে ঐ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। <>

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

খইকাঁটা বলেছেন: তাতে করে সরকার বেশী ফেসে যাবে। এমনিতে বিচার নিয়ে দারুন নাটকের চেষ্টা ছিল, তা না পারায় বহুত ঝামেলায় আছে। আর এখন এইগুলা হলে বেশ ফ্যাসাদে পড়বে।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনি এই দাবীগুলোর সাথে একমত কিনা সেটা বড় কথা । আমরা যদি দাবী আদায়ে অবতীর্ণ হই যেমন অবতীর্ণ হয়েছি রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে । আজ হোক কাল হোক এই দাবী অবশ্যই পূরন হবে । শুধু দরকার আপনার সমর্থন । সাথে আছেন তো ?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

বাংলার হাসান বলেছেন: সহমত

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: Sundor idea...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.