নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুরস্কের তাকসিম চত্বর ও মিডিয়ার রহস্যজনক নিরবতা ।

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

নব্য উপনিবেশবাদের শৃঙ্খল থেকে মানুষ এখন বের হয়ে আসতে চাচ্ছে । মার্কিন সাম্রাজ্যবাদপন্থী শাসকদের পতন হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র !দেশে দেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পন্থী শাসকদের শনির দশা শুরু হয়েছে।



তাহরির স্কয়ারের পরে ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছে তুরস্কের তাকসিম চত্বর ! কয়েকদিন আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে যে বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে তার শিখা এখন রাজধানী আঙ্কারায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ইস্তাম্বুলের তাকসিম চত্বরে গত কয়েকদিন ধরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে।ইস্তাম্বুল শহরের গাজি পার্কের গাছ কাটা ও সেখানে একটি শপিং মল তৈরিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে সে বিক্ষোভ এখন সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। অনেকে বলছেন, তুরস্কের অবস্থা মিশরের তাহরির চত্বরের মতো হতে পারে যদিও সে সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।



তবে এরদোগান সরকার নিশ্চিৎভাবেই একটা বড় ধরণের ধাক্কা খেল যা দলটির দীর্ঘকালীন ক্ষমতার ইতিহাসে নজিরবিহীন। অবশ্য অনেক বিশ্লেষক এটাকে তুর্কি সরকারের সিরিয়া নীতির প্রতি জনগণের স্বত:স্ফূর্ত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ বলেছেন যদিও আন্দোলনের সূত্রপাত পার্ককে কেন্দ্র করে, কিন্তু এটা ঠিক তুর্কি সরকারের অতি মার্কিন ও ইসরায়েল প্রীতি বেশিরভাগ তুর্কি জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে যা সময় ও সুযোগমত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ এই তাকসিম আন্দোলন ।



তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাকসিম চত্বরে এখন চলছে পুলিশ জনতা সংঘর্ষ । এই সংঘর্ষ চলছে গতকাল সকাল থেকে।অবশ্য কয়েকদিন থেকে হাজার হাজার জনতা একটি পার্কে ধ্বংস করাকে কেন্দ্র করে সরকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে আসছিল এবং সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় ।বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও পানি কামান ব্যবহার করেছে। তবে তুরস্ক সরকার যদি আমাদের সরকারের কাছে একটু পরামর্শ নিত তাহলে মনে হয় ১০-১৫ মিনিটেই রাতের অন্ধাকারেই হোক আর দিনের আলোতেই হোক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত !



তাকসিম চত্বরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কয়েকদিন ধরে অব্যহত সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়ে আসলেও রহস্যজনক কারণে পশ্চিমা মিডিয়া এ বিষয়ে নিবর ও অনেকটা দায়সারা গোছের প্রতিবেদন তারা দিয়েছে বা দিচ্ছে বা প্রতিবেদন এমন স্টাইলে দিচ্ছে সেখানে এরদোগান সরকারের পক্ষেই যাচ্ছে । তাদের রিপোর্ট পড়ে মনে হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা সন্ত্রাসী ! এ থেকে আমাদের প্রথম আলোও পিছিয়ে নেই । কয়েকদিন আগে প্রথম আলোতে দেখলাম ইরান বিরোধী এক বড় সড় রিপোর্ট করতে ইরানি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যা বিবিসি ও সিএনন নামক পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের মিডিয়ার কাছ থেকে নেওয়া ।আমি ইরানের নির্বাচন পদ্ধতির ব্যাখ্যা দিয়ে একটা কমেন্টও করেছিলাম কিন্তু আমার কমেন্ট প্রথম আলু ছাপেনি উল্টো আমাকে ঐ রিপোর্টে কমেন্ট করা থেকে ব্লক করে দিয়েছিল !



যাইহোক, তাকসিমের এই বিক্ষোভ তুরস্কে নয় এবার কল্পনা করুন এ ধরণের একটা বিক্ষোভ হচ্ছে ইরানে, ভেনেজুয়েলায় বা কিউবায় । পশ্চিমা মিডিয়া এ নিয়ে কি করত, ফুলে , ফেপে বিক্ষোভটাকে একটা বড় সড় ঢোল বানিয়ে ছাড়ত ও সরকার পতনে যত হলুদ সাংবাদিকতা আছে সবই প্রয়োগ করত আর আমাদের প্রথম আলোর মত পত্রিকায় প্রতিবেদনগুলি কোন পাতায় ছাপানো হত ? তার শিরোনামের ধরণ কি হত ?





আসলে সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল হলে স্বৈরশাসক বা নীপিড়ক সরকারের বিরুদ্ধে যতই আন্দোল ও বিক্ষোভ হোক না কেন এইসব হলুদ মিডিয়াগুলো সেই বিক্ষোভরত জনগণকে সন্ত্রাসী হিসাবেই তুলে ধরে আর মার্কিন বিরোধী দেশগুলিতে তারা কোন ছুচোর বিক্ষোভকে তিলে তাল করে ফেলে । এ থেকে আমাদের দেশের মিডিয়াগুলো সাম্রাজ্যবাদীদের দালালের ভূমিকায় নিলর্জভাবে অবতীর্ণ হয় যা সত্যিই আমাদের জাতির জন্য লজ্জাজনক !

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আমেরিকা পিছে না থাকলে কোন সরকারই ক্ষমতায় থাকতে পারে না। বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের পিছনে আমেরিকা আছে, তাই সরকার সাহস করে শাপলা চত্বর খালি করে ফেলল। ঠিক একই ভাবে তুরস্ক সরকারের পেছনে আমেরিকা আছে, তাই তারাও তাকসিম স্কোয়ার খালি করে ফেলল।

একপক্ষে আমেরিকা ইসলামি দলের বিপক্ষে, আরেক দিকে সেই একই আমেরিকা ইসলামি দলের বিপক্ষে।

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আমেরিকা হল প্রধান সাম্রাজ্যবাদী শক্তি । যে আমেরিকা তালেবান ও আল কায়েদা উৎখাতের নামে আফগানিস্থানে হামলা চালালো সেই আমেরিকা সেই আল কায়েদাকে সিরিয়ায় ব্যবহার করতেছে ! আমেরিকা বড় বৈচিত্রময় !

আসলে ইসলামি আর অনৈসলামি বলে কোন কথা না । মূল সেই সরকার আমেরিকার তাবেদার কিনা সেটাই হল বড় কথা ।

তবে ইরানে ইসলামি সরকার ক্ষমতায় আছে আর ইরান আমেরিকার নীতির বিরোধী সেটা সবাই জানে । আমেরিকা সেই বিগত ৩৩ বছর থেকে ইরানের সরকার ব্যবস্থা উৎখাতের চেষ্টা করেই যাচ্ছে কিন্তু এপর্যন্ত কোন কোন ফল অর্জন করতেই পারে নি । শুধু আমেরিকার দালালি নয় নিজ জনগণের দালালি করেলেই তাকে ক্ষমতা থেকে আমেরিকাও হঠাতে পারবে না । হুগো শ্যাভেজ ও ফিডেল ক্যাস্টো এর অন্যতম উদাহরণ।

২| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: [ ১নং কমেন্টের সংশোধন ]

একপক্ষে আমেরিকা ইসলামি দলের বিপক্ষে, আরেক দিকে সেই একই আমেরিকা ইসলামি দলের পক্ষে।

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

নষ্ট ছেলে বলেছেন: তাকসিম স্কয়ার এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। না, আমার সরকারের মত নির্বিচারে গুলি করে নিয়ন্ত্রন নিতে হয় নি। টিয়ার গ্যাস আর জল কামান দিয়ে নিয়েছে। তাহরির স্কয়ার থেকে জঙ্গি বিমান দিয়ে সরকার বিক্ষোভকারীদের সরাতে পারে নি। কারণ সেটা ছিল শোষন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলন। আর তাকসিম স্কয়ার স্কয়ার স্রেফ সরকার বিরোধী আন্দোলন।

সামান্য গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহ শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত এটা বিরোধী দল ও বামপন্থী দলের মদদেই এই পর্যন্ত এসেছে।
তুরস্কের মুসলিম বিদ্বেষী কোন ভাবেই এরদোগানকে মেনে নিতে পারছে না। গত তিনটি নির্বাচনেই এরদোগান পাশ করেছে। এবং প্রতি নির্বাচনেই তার আগের নির্বাচন থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। এরদোগান ক্ষমতায় আশায় পর তুরস্কের মাথাপিছু আয় বেড়েছে তিনগুন।
কামাল আতাতুর্কের পর এরদোগানই তুরস্কের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা। বিরোধী দল ও বামপন্থী যাজাবর গুলো কোনভাবেই এটা সহ্য করতে পারছে না। যেকোন ভাবেই তারা এরদোগানকে সরাতে চাইছে। ২০১০ সালে সেনাবাহিনীর একটা ক্যুও ব্যর্থ হয়ে যায়।

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আমিও চাই না এরদোগানের পতন হোক তবে এরদোগানেরও শিক্ষার দরকার আছে। এই লোকটি ভালই জনপ্রিয় ছিল মুসলিম বিশ্বে কিন্তু দিন দিন তিনি অনেকটা স্বৈরাচারের মতই হয়ে যাচ্ছেন । আর সিরিয়া নিয়ে তার ভূমিকা অতিশয় দু:খজনক । তাই আশা করি তিনি ভূল থেকে শিক্ষা নিবেন।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

নষ্ট ছেলে বলেছেন: তুরস্কের কোন সরকারই আমেরিকার বিরোধী ছিল না, এখনো নাই। কোল্ড ওয়ারের সময় তুরস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত । আর তুরস্কের বর্তমান সরকার ইসলামিক সরকারও নয় বরং এরদোগান নিজেকে সেক্যুলার বলে দাবী করে।

৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

নষ্ট ছেলে বলেছেন: ন্যাটোর সদস্য হিসাবে তুরস্ক কোন ভাবেই সিরিয়ার পক্ষ নিয়ে পারবে না। আবার যেহেতু পশ্চিমারা আসাদকে উৎক্ষাত করতে চাইছে স্বভাবতই রাশিয়া আসাদের পক্ষে থাকবে। চীন, ইরানও চাইবে না আসাদ সরকারের পতন। সবাই ই নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে চায়। তুরস্ক সিরিয়ার পক্ষ নিলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। AKP কে কোন ইসলামী দল মনে করার কারণ নাই। শুধু বলতে পারেন নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪১

হিরক রাজা বলেছেন: এরদোগানের আল্টিমেটাম উপেক্ষা করল বিক্ষোভকারীরা

৭| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৩

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: মিডিয়া অনেক সময়ই এমন পক্ষপাতিত্ব করে । সবই হইলো টাকার খেলা ।

৮| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

আয়মানভষ্কি বলেছেন: ভুদাই শিয়া। তাক্সিম এর মদখোর চত্তর হইল বাংলাদেশ এর শাহবাগিদের মত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.