নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনা অভ্যূত্থান কি হতে যাচ্ছে নাকি অনিশ্চিত পথে মিশর ?

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৩



শান্তিপূর্ণ নির্বাচন তথা গণতন্ত্রের মাধ্যমে কখনো কোন দেশে বিপ্লব সাধিত হয়েছে কি ? আমি এখানে বিপ্লবের কথা বলতেছি এই জন্য যে কোন একটা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও সেই দেশের ঔপনিবেশিক আমলের শাসন যন্ত্রের খোলসসমেত আমূল পরিবর্তন কখনো গণতন্ত্রের মাধ্যমে হয় না । হাঁ, হয় না যে এর চাক্ষুস প্রমান মিশর।



আমি এপ্রসঙ্গে দুটো দেশের বিপ্লবের কথা এখানে উল্লেখ করব। কিউবা ও ইরানের বিপ্লবের কথা। কিউবায় বিপ্লব হয়েছিল ফিডেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে ১৯৫৯ সালে মার্কিনপন্থী বাতিস্তা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং পরবর্তীতে কিউবা মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। অন্যদিকে ইরানে ১৯৭৯ সালে বিপ্লব হয়েছিল আয়াতুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে মার্কিনপন্থী শাসক রেজাশাহ পাহলভীকে উৎখাত করে এবং বিপ্লব হওয়ার পরপরই তেহরানের মার্কিন দুতাবাস দখলকে কেন্দ্র করে যুক্তরাস্ট্র ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল দুটি দেশেই বিপ্লব এখনো টিকে আছে আর এই টিকে থাকার মুল কারণ হল মার্কিনপন্থী সরকারকে উৎখাত করার পর ফিডেল ক্যাস্ত্রো ও খোমেনী দুজনেই সাবেক সরকারের কাউকে তাদের নতুন শাসন ব্যবস্থায় রাখেননি, তাদের সবাইকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছেন এবং তারা দুজনেই কিউবা ও ইরানের শাসন ব্যবস্থার পুরো পরিবর্তন ঘটিয়েছেন, কারণ গণআন্দোলন ও বিপ্লব তাদের নেতৃত্বেই হয়েছিল তবে পার্থক্য হল কিউবাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কমিউনিস্ট সরকার ও ইরানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলামি সরকার আর দুটো দেশই বর্তমানে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অন্যতম রাস্ট্র।



সাম্প্রতিক আরব জাগরণে যেটাকে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম অ্যাখ্যায়িত করেছে আরব বসন্ত হিসাবে সেই বসন্তের হাওয়া লেগেছিল মিশরে । সেই মরু ঝড়ে মাত্র অল্প কয়েকিদেনর মধ্যেই গদি হারালেন তিন দশক ব্যাপিয়া একচ্ছত্র মার্কিন ও ইসরায়েলী তল্পীবাহক মোবারক, কিন্তু মোবারকের গদি হারানোই মিশরীয়( আরব) বসন্তের সফলতা নয় । এজন্য বলা হয় স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাই কঠিন। কোন একটা গণআন্দোলন এমনি এমনি রাতারাতি গড়ে উঠে না ।শাসন যন্ত্র দ্বারা জনগণ যখন নিষ্পেসিত হয় দিনের পর দিন, নির্যাতিত হয় বছরের পর বছর, জনগণের পিঠ দেয়ালে যখন ঠেকে যায় তখনই জনগণ জেগে উঠে কিন্তু জনগণের ডাকা আন্দোলন সাময়িক সফলতা পেলেও সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবে সেটা দীর্ঘ মেয়াদে সুফল দিতে পারে না । মিশরে হয়েছে তাই ।



মিশরে যে মোবারক বিরোধী আন্দোল শুরু হয়েছিল সেই আন্দোলনে মিশরের বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে ব্রাদারহুডের ভূমিকা খুবই সামান্য মাত্রায় ছিল অথচ সেই ব্রাদারহুডই সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী। ব্রাদারহুডের বর্তমান রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মূল কারণ এখানেই নিহিত। কারণ যে যুব সমাজ মিশরের পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল সেই যুব সমাজের কাছে পরিশেষে কোন নেতৃত্ব থাকেনি আর তাদের কাঙিক্ষত পরিবর্তনও মিশরে হয়নি অর্থাৎ মুরসির সরকার সেই ইপ্সিত পরিবর্তন আনতে পারেনি।বলা যায়, ব্রাদারহুড সেই মোবারক বিরোধী বিক্ষুব্ধ জনতাকে তাদের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারেনি।এর মূল কারণ হল ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে মিশরের সেই আন্দোলন হয়নি।



এটা ঠিক, মুসলিম ব্রাদারহুড মিশরের একটি অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল। দলটি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই সরকারের রোষানলের শিকার। এই দলের প্রতিষ্ঠাতাসহ বিভিন্ন শীর্ষ নেতা ও তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী তৎকালীন সরকার দ্বারা হত্যা, গুমসহ নির্যাতিত হয়ে এসেছিল।তবে দলটি দীর্ঘকালীন নিষিদ্ধ থাকলেও তাদের কার্যকক্রম তারা কখনো বন্ধ রাখেননি । অনেকটা স্বতন্ত্রভাবেই তারা তাদের কার্যক্রম গোপনে ও প্রকাশ্যে চালিয়েছিল । তবে তারা নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিশেষ করে মনোযোগ দিয়েছিল বিভিন্ন চ্যারিটি ও সেবা মূলক কার্মকান্ডে । এতে তারা জনগণের ভালই সাড়া পেয়েছিল। মোবারক বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি সক্রীয় না হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় যে কারণটা ছিল তারা নতুন করে আর সরকারের রোষানলে পড়তে চায়নি।কারণ মিশরের তরুণ প্রজন্ম যে আন্দোলনকে এতদুরে নিয়ে যেতে পারবে ব্রাদারহুডের হয়তো সেটা কল্পনাতেও ছিল না ! ব্রাদারহুডের কল্পনাতেও হয়তো ছিল না তারা মিশরীয় তরুণ সমাজকে যেভাবে চিনেছিল সেটারও অনেক পরিবর্তন হয়েছে । সেই মিশরীয় তরুণ সমাজ মোবারকের জো হুকুম জাহাপনার মত আর নেই। এটা বুঝতে পেরেই যুক্তরাস্ট্র তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র হুসনি মোবারককে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছিল।



এখানে যুক্তরাস্ট্রের ভূমিকা না বললেই নয়। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো যুক্তরাস্ট্রের একটি নিত্ত নৈমত্তিক ব্যাপার। আজকে মিশরের যে মুরসি বিরোধী আন্দোলন সেখানে যুক্তরাস্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপ প্রকাশ্যে না হলেও প্রচ্ছন্নভাবেই সমর্থন করতেছে। বলা হয়ে থাকে হুসনি মোবারকের পতন ইসরায়েলের জন্য ছিল ভূ-কম্পন। সেই ভূ-কম্পন যাতে বাস্তবে না হয় এজন্য যুক্তরাস্ট্র ও ইসরায়েল যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে ও তারা সফলও হয়েছে। মিশরের সেক্যুলার ও বামপন্থী একটা অংশকে যুক্তরাস্ট্র ভালভাবেই কাজে লাগাতে পেরেছে । তার মানে এই নয় যে ব্রাদারহুডের দুর্বলতা ছিল না । ব্রাদারহুডের ও মুরসির দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়েই আজকে মিশরের এ অবস্থা । কারণ, ব্রাদাহুডের যে মতাদর্শ সেই মতাদর্শে ইসরায়েলের সাথে সুসম্পর্ক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না । ব্রাদারহুড ঐতিহাসিক কাল থেকেই মিশরের সাথে ইসরায়েলের করা ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির বিরোধিতা করে আসছিল কিন্তু ব্রাদারহুড ক্ষমতায় আসার পর সেই ক্যাম্পডেভিড চুক্তি বাতিল ও ইসরায়েলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত বা বাতিল করতে পারল না কেন ? পারেনি মিশরের সেই ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারের আন্দোলনের সাথে ব্রাদারহুডের অসম্পৃক্ততা ও ক্ষমতায় আসার পর চারদিকে প্রশাসনে মোবারকপন্থীদের দৌরাত্ম ও তাদের অসহযোগিতামুলক ভুমিকা । এছাড়াও আছে মিশরের অর্থনৈতিক অবস্থা ও জনগণকে ব্রাদারহুডের ছায়াতলে সমবেত করার ব্যর্থতা ।



মোবারক কোন সমৃদ্ধশালী ও উন্নত মিশর রেখে যাননি। সেখানকার বেশিরভাগ জনগণেরই অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই করুণ। জনগণের একটা বৃহত্তর অংশ কবরস্থানে, খোলা আকাশে রাত্রি যাপন করে। এছাড়া বিদেশী ঋণে জর্জরিত মিশর । তারপরেও বিশেষ করে যুক্তরাস্ট্রের অর্থনৈতিক সহায়তার উপর মিশর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ইসরায়েলের পর মিশরই যুক্তরাস্ট্রের অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়ে থাকে। দীর্ঘদিন থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাস্ট্রের বরকন্দাজের ভূমিকা পালনকারী মিশর যুক্তরাস্ট্রের সহায়তা সামরিক জেনারেল ও উচ্চভিলাসী শাসকচক্রের আয়েশ আরাম মেটাতেই খরচ হয়ে যায় । মুরসি ক্ষমতায় এসে এ ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন করতে পারেনি । তাই জনগণের ভাগ্যেরও কোন উন্নয়ন হয়নি।মুরসি যেমন পারেননি সেনাবাহিনীর মধ্যে কোন পরিবর্তন আনতে তেমনি পারেননি বিচার বিভাগেরও কোন পরিবর্তন আনতে।



আগেই বলেছি মিশরের রাজনীতিতে ব্রাদারহুডের উত্থান অনেকটা স্বাভাবিকই ছিল যদিও মোবারক বিরোধী আন্দোলনে ব্রাদারহুডের ভূমিকা অত্যন্ত গৌণ ছিল। মোবারক চলে যাওয়াতে মিশরের ক্ষমতার যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছিল আগে থেকেই সংগঠিত হওয়ার কারণে সেই শূন্যস্থান রাতারাতি পূরণ করে ব্রাদারহুড অন্যতম একটি শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়। রাজনীতির মাঠে বিপর্যস্ত ব্রাদারহুড তথা মুরসির অন্যতম ভরসা এখন উগ্র সালাফিরা । অবশ্য সালাফিরা মিশরের রাজনীতিতে একটি শক্তি হলেও এ যাত্রায় ব্রাদারহুডকে কতটুকু সহায়তা করতে পারবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এই সালাফিদের তুষ্ট করতেই মুরসির সরকার সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আর অন্যদিকে যুক্তরাস্ট্রকে তুষ্ট করতেই ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছে । তারপরেও কুল রক্ষা করতে পারছে না মুরসি।



যে তরুণ প্রজন্ম মিশরের ক্ষমতা পরিবর্তনের নিয়ামক হয়েছিল এবং ব্রাদারহুডকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল সেই তরুণ প্রজন্মই আবার ফিরে এসেছে তাহরির স্কয়ারে।তাই মোবারক সময়ের শেষের দিকের উত্তপ্ত মিশর এখনো উত্তপ্ত রয়ে গেছে । এর মাধ্যে নতুন করে আবার শুরু হয়েছে মুরসির পদত্যাগের আন্দোলন । প্রেসিডেন্ট মুরসিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিরোধী দল। মোবারক বিরোধী আন্দোলনে তাহরির স্কয়ারে যত লোক সমাগম হয়েছিল তারচেয়েও বেশি লোক জড়ো হয়েছে মুরসি বিরোধী আন্দোলনে ! মুরসির মন্ত্রীসভা থেকে পাঁচজন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ইতিমধ্যেই, এমনকি সরকারের মুখপাত্রও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন । সেনাবাহিনী মুরসিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও মুরসি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন । অবশ্য মুরসি একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট । তার সে আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান না করে উপায় ছিল না । আবার সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপের হুশিয়ারী দিয়েছে। এরমধ্যেই পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষনা করেছে। সংবিধান স্থগিত করার কথাও কানে আসতেছে । যদি তাই হয় তাহলে এটাকে সামরিক অভ্যূত্থান বলা ছাড়া উপায় থাকবে না । হয়তো মুরসি ক্ষমতা হারাচ্ছেন শীঘ্রই । তহালে কি মিশর দেখবে নতুন কোন সেনা শাসক ? ৯০ এর দশকে আলজেরিয়ার কথা স্মরণ করুন । সেখানে কিন্তু অনেকটা এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল । নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও সেখানে শেষ পর্যন্ত ইসলামিক পার্টিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি।উপরুন্ত পরবর্তীতে সেই ইসলামিক পার্টির হাজার হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা ফলাফল দীর্ঘ মেয়াদে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল আল জেরিয়া। অবশ্য মিশরের বিরোধী দল সেনা অভূত্থানের বিরোধীতা করেছেন।আশা করি সেটা হয়তো হবে না । কারণ সেনা শাসক সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের জন্য বিপদের কারণ হবে। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার ও বিরোধী দল সংলাপের পথে গেলে অবাক হব না । শোনা গেছে বিরোধী দল প্রধান আলোচক হিসাবে জাতিসংঘের সাবেক পরমানু কর্মকর্তা মোহাম্মদ এল বারাদির নাম প্রস্তাব করেছেন যদিও তিনিও একজন পশ্চিমাপন্থী তারপরেও এটাই হবে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ পথ ও সবার জন্য মঙ্গল। তা না হলে যদি মুরসি উৎখাত হয় তাহলে তো ব্রাদারহুডেরও দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে আর তখন কি ব্রাদারহুড আঙ্গুল চুষবে ? প্রশ্ন থেকে যায় ।



মিশরীয় সমাজ বর্তমানে নানা ভাগে বিভক্ত। চরমপন্থী সালাফিরা যেমন সক্রিয় তেমনি মডারেট মুসলিমসহ ব্রাদারহুড, সেক্যুলার ও বামপন্থীরাও সক্রীয়। মিশরের বিরোধী দল কয়েকটি অংশে বিভক্ত এর মধ্যে আছে সেক্যুলার ও বামপন্থী আর আছে মোবারক পন্থী মানে মোবারক আমলের সুবিধাভোগীরা এবং এরা প্রশাসনেও ব্যাপকমাত্রায় সক্রিয় আর রাজনীতিতে বামপন্থীদের অবস্থানও যথেষ্ঠ শক্তিশালী। মিশরে সেনাবাহিনী ও এমনকি এখনো বিচার বিভাগ মোবারকপন্থীদের নিয়ন্ত্রনে। মিশরে সেই অর্থে আমরা বিপ্লব বলতে পারি না । ক্ষমতার পালা বদল বলতে পারি অর্থাৎ পুরাতন বোতলে নতুন মদ। যে কারণে জনমনে মোবারক বিরোধী আন্দোলন দানা বেঁধেছিল সেই নিয়ামকগুলি মিশরে এখনো বর্তমান । তাই মিশর এখনো অস্থিতিশীল । এটা ঠিক, যে মিশরীয়দের আগে বাক স্বাধীনতা ছিল না সেই মিশরীয়রা এখন বাক স্বাধীনতা ভোগ করতেছে তবে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ না হলে সেই বাক স্বাধীনতা দিয়ে কি হবে ? এখানেই মূল রহস্যটা । এক বছরের মুরসি সরকারকে সফল যেমন বলা যায় না তেমনি চুড়ান্তভাবে হয়তো ব্যর্থও বলা যায় না কারণ তার এখনো কয়েক বছর বাকি। তবে মিশর বর্তমানে এক অনিশ্চিৎ গন্তব্যের পথে ..........





মিশর নিয়ে আমার আগের আর্টিকেল :



মিশরের গণভোট ও গণতন্ত্রের সংকট

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৩

বাংলার হাসান বলেছেন: একটা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও সেই দেশের ঔপনিবেশিক আমলের শাসন যন্ত্রের খোলসসমেত আমূল পরিবর্তন কখনো গণতন্ত্রের মাধ্যমে হয় না । হাঁ, হয় না যে এর চাক্ষুস প্রমান মিশর। সহমত।

বর্তমান মিশরের শাসন ব্যবস্থা রয়ে গেছে মোবারক আমলের সুবিধা আর মোবারক পন্থী মোবারক আমলের সুবিধাভোগীরা এবং এরা প্রশাসনেও ব্যাপকমাত্রায় সক্রিয় মুলত এটাই মুশরির জন্য কাল হয়েছে। আর আমেরিকাও চায় না ব্রাদার হুড ক্ষমতায় থাকুক। এল বারাদি আমেরিকার কেনা পুরাতন গোলাম। আর লোভী জেনারেলদের কথা নতুন করে বলার কিছু নাই।

সব দিক সামলে মনে হয় না মুশরি ক্ষমতায় থাকতে পারবে।

প্রথম ভাল লাগা রইল।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই । আপনার অনুপ্রেরণা আর আমার কৃতজ্ঞতা।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৩

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখছেন তাই কিছু কথা থাকা সত্বেও অনেক প্লাস দিয়ে গেলাম। +++

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । তবে কিছু কথা বললে খুব ভাল হত । আমিও হয়তো নতুন কিছু জানতাম আর নিজের জানাটাকে আরো শানিত করতাম ।

ভাল থাকবেন।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

আকরাম বলেছেন: +++++ আর মিশরের লাইভ ONtv দেখতে এখানে ক্লিক করেন

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । অবশ্যই দেখব । মিশর ঘটনা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করছি।

ভাল থাকবেন।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আরব বসন্ত স্বাভাবিক নয়, কৃত্রিম।

ইঞ্জিনিয়ারিং করা। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট।

সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যকে প্রথমে ইসলামিক শক্তিকে বিজয়ী করা হবে, তারপর পিষে ফেলা হবে।

বাংলাদেশের আপাতঃ স্বতষ্ফূর্ত হেফাজত আন্দোলনও কী তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং করা? নিপুণ পরিকল্পনামাফিক কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট? ........ সময়ই বলে দেবে।

এ যেন প্রথমে খুদকুড়া দিয়ে টোপ দেয়া, তারপর ঝাঁকের মধ্যে সাঁড়াশি আক্রমন চালানো!!!

মধ্যপ্রাচ্যসহ সাম্প্রতিককালে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ইসলামী জাগরণ স্বাভাবিক নয়।

আমার অনুসন্ধানে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েমের পূর্বাহ্নে ইসলামী বিশ্বকে বড় ধরণের আঘাত করার বড় ধরণের ফাঁদ বৈ কিছুই নয়!!!

দুই এক দশকের মধ্যে আরো কয়েকটি ঘটনা ঘটতে পারে।

যেমনঃ

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। (এক পক্ষে থাকবে ন্যাটো অন্যপক্ষে থাকবে চীন, রাশিয়া, ইরান সহ অন্যান্য রাষ্ট্র)

মার্কিন ডলারের চিরতরে বিদায়।

বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু।

ইসরাইলের বিশ্বের নিয়ন্তা রাষ্ট্র (Rulling State, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থলে) হিসেবে আবির্ভাব।

বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্থুপ থেকে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা (New World Order) শুরু।

দাজ্জাল ও ইমাম মাহাদি আ. এর আবির্ভাব।

(এখানে দাজ্জাল, anti-Christ, ইহুদীদের কাছে মাসীহ বা মুক্তিদূত হিসেবে, খৃষ্টান ও মুসলিমদের কাছে ভন্ড নবী ইসা আ. হিসেবে আগমন করবে।)। সে অলৌকিক শক্তির অধিকারী হবে।

(বর্তমান মন্তব্য ইহুদী-ইসলামিক-খৃষ্টান eschatology-র আলোকে করা। )

ধন্যবাদ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । আপনার কিছু কিছু পয়েন্ট যুক্তিসঙ্গত ও তা নিয়ে ভাবা যেতে পারে ।

আপনার কিছু কিছু পয়েন্ট আমি এই নিচের লিংকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। মধ্যপ্রচ্যের এই সব ঘটনাবলীর মূল উদ্দেশ্য হল বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা ।

Click This Link

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:২৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: /:) .. বটম পয়েন্ট কি কেয়ামত ?

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
বটম পয়েন্ট ঠিক কেয়ামত না-বলে সঠিকভাবে বললে বলতে হয় "ইতিহাসের শেষ অধ্যায়"।

কেয়ামতের দিনক্ষণ কেবলমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালাই অবগত।

বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের কাল পরিক্রমার শেষ অধ্যায়ে একের-পর-এক কিছু ঘটনা ঘটে যাবে। ওগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় ঘটনা হলো দাজ্জাল বা এন্টি ক্রাইস্ট এর আবির্ভাব।

নতুন বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রেসিডেন্ট হবেন "দাজ্জাল"।

তার সৈন্যরা সমস্ত আয়োজন প্রায় সমাপ্ত করে এনেছে। কিছুদিনের জন্য জেরুজালেমই হবে বিশ্বের রাজধানী।

ভ্যাটিক্যান প্রস্তুত। দাজ্জালের অগ্রবর্তী বাহিনী প্রস্তুত। এখন তাদের পরিকল্পনা মাফিক শুধু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া।

আমার মতে, তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সিরিয়া অথবা ইরানই হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ডেটনেটর। এটি আস্তে আস্তে মোমেন্টাম প্রাপ্ত হয়ে ক্লাইমেক্সে পৌঁছুবে।

পৃথিবীর অধিকাংশ লোক মারা যাবে। হাদীছে "মালহামা" বা মহাযুদ্ধ নামে উল্লিখিত এই যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানী হবে।

বিজয়ী দল নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েম করবে।

জেরুজালেম হবে সেই বিশ্ব ব্যবস্থার রাজধানী। দাজ্জাল হবে প্রেসিডেন্ট। যারা তার অনুসারী হবে তারা সাচ্ছন্দে থাকবে। অনুগত হলে ভালো থাকবে। অতি ক্ষুদ্র একটি দল বিরোধীতা করবে। যুদ্ধ করবে।

দাজ্জালের প্রতিপক্ষ হবে প্রথমে ইমাম মাহাদী আ.। অতঃপর হযরত ঈসা আ.।

ঈমাম মাহাদীর সৈনিক হবে প্রাচীন খোরাসান (বর্তমান ইরানের কিছু অংশ, আফগানিস্থানের কিছু অংশ, উজবেকিষ্তানের কিছু অংশ) এর Black Banner Army.

এরাই ইমাম মাহাদীর নেতৃত্বে জেরুজালেম মুক্ত করার যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে।

অমিত তেজ, অসীম সাহসী এই Black Banner Army-কে কেউই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। রুখতে পারবে না।

তারা সমস্ত প্রতিরোধ ছিন্ন করে জেরুজালেম মুক্ত করবে।

ধন্যবাদ।


০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভাই, আপনার কথাগুলো তো লোক মুখে প্রচলিত ও হয়তো কিছু হাদিসেও আছে । আমি এবিষয়ে ভাল জানি না । দাজ্জালের কথা শুনেছিলাম । তার কিছু বৈশিষ্ট্যও পড়েছিলাম তবে তিনি কবে আবির্ভূত হবেন সেটাও জানি না ।

তো যাইহোক, আপনি যা বললেন সেগুলো বেশিরভাগই বিশ্বাসনির্ভর ও লোকমুখে প্রচলিত । সেটার সত্যতা ও মিথ্যা নির্ণয়ে যাব না । বর্তমান ও অতীতের কিছু প্রেক্ষাপট নিয়ে আমাদের বর্তমান ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ করতে হবে। মিশরীয় আন্দোলনে ব্রাদারহুডের দুর্বলতা ও ইসরায়েল যুক্তরাস্ট্রের ভূমিকা , এরসঙ্গে যুক্ত আছে মধ্যপ্রচ্যের ভূ-রাজনীতি ও তেল রাজনীতি । এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বেশি আলোচনা করা দরকার।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আর একটা কথা, বিজ্ঞান বলে পৃথিবী তার মাঝামাঝি বয়স অতিক্রম করতেছে । তাহলে তো পৃথিবী আরো প্রায় ৪০০/৫০০ কোটি বছর টিকবে বা টিকে থাকার কথা । যদি তা সত্য হয় তাহলে সেই প্রতিশ্রুত দাজ্জ্বাল ও ইমাম মাহদি আরো অনেক অনেক পরে আবির্ভূত হবেন । এর মাঝে ঘটবে আরো অনেক ঘটনা । তাই কোন পরবর্তী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধকে শেষ বিশ্ব যুদ্ধ বলার সময় এখনো আসেনি।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .

সংশোধনী


মন্তব্যের ৭ম লাইনঃ

নতুন বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রেসিডেন্ট হবেন "দাজ্জাল"।

উপরে বোল্ডকৃত ব্রহ্মান্ডের জায়গায় " ব্যবস্থার" হবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
ইন্টারেস্টিংলী -

ক্রিকেটার আফ্রিদী, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠানের বংশধররাই হবে ইমাম মাহাদী আ. এর Black Banner Army'র বংশধর। :D

তবে এরা পাঠান গোত্রের এলিট সম্প্রদায়ভূক্ত।

কিন্তু ইমাম মাহাদীর Black Banner Army'র সৈন্যরা হবে গরীব কিন্তু ইমানের দিক অত্যন্ত ধনী ও দূর্দান্ত সাহসী। :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: যা্ই হোক ভাই, এ বিষয়ে কম জানি তাই কিছু বলতেছি না । এটুকু জানি ইমাম মাহদী হবেন নবীর বংশ থেকে । বাকিটা আল্লাহ ভাল জানেন।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @আশরাফ মাহমুদ মুন্না:

আপনি বিষয়টিকে যেভাবে বর্ণনা করেছেন আমার মনে হয় না তা অতটা সরল বা সুনির্দিস্ট। দাজ্জাল, ইমাম মাহদী(আ.), ইত্যাদি কেয়ামতপুর্ব অবস্থার যা বর্ণনা আমরা বিভিন্ন গ্রন্থে দেখি তা অনেকটাই লোককথারমত। এ'গুলি কোরআনের মত অতি সতর্কতার সাথে সংরক্ষিত নয়। মুখে মুখে বর্ণিত হতে গিয়ে এর অনেক কিছুই বদলে গেছে।

মানুষ যখন কোন অদেখা বস্তু বা অবস্থা বর্ণনা করে তখন তাকে এমন ভাবেই তা বলতে হয় যাতে শ্রোতার অভিজ্ঞতা/যোগ্যতা/বোধগম্যতার মধ্যেই তা থাকে। আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে কেউ যদি বর্তমানে মহাশুন্যে পাঠান স্যাটেলাইট এর বর্ননা দিতে চাইত তাহলে সেটা কেমন হত? আর সেই অদেখা বিষয়ের বর্ননা যারা শুনত তারাই বা কী বুঝত? দেখা যেত প্রত্যেকে তার নিজ নিজ জ্ঞান-যোগ্যতা-বোধ অনুযায়ী সেটা অন্যের কাছে বর্ণনা করছে, পরে যে শুনেছে সে আবার তার নিজের মত করে আরেক জনের কাছে বলেছে। যেহেতু বিষয়টি কারই প্রত্যক্ষ্ জ্ঞানের আওতাধীন নয় তাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই বর্ণনাগুলি বেশ দ্রুততার সাথেই বদলে যাবে - এটাই স্বাভাবিক।

যে হাদীসসমুহ পাওয়া যায় তা সংকলিত হয়েছে অন্তত ৩০০ বছর বা দশ প্রজন্ম পরে। সুতরাং এর বর্ননাসমুহে যা আছে আর মুল বর্ণনাকারী রাসুল(স.) যা বুঝাতে চেয়েছিলেন তার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য থাকার সম্ভাবনাই বেশী। কাজেই এ'গুলিকে অতটা সুনির্দিস্ট ভাবে গ্রহন করা উচিত নয়।

ফোরাতের প্রান্তরে ইমাম হোসেন(রা.) ইয়াজীদের হাতে পরাজিত হওয়ার পর তখনকার অনেকেই ভেবেছিলেন কেয়ামত খুবই নিকটতর - ইয়াজীদই হয়ত সেই দাজ্জাল

হালাকু খা যখন মুসলিম সম্রাজ্যের রাজধানী বাগদাদ ধ্বংস করেন তখনও অনেকেই ভেবেছিল কেয়ামত এইতো এসে পরেছে - তাতারী বর্বরতাই বুঝি দাজ্জালের শাষন

বাংলাসহ প্রায় সকল মুসলিম জনপদ যখন ব্রিটিশের করতলে - তখনও একদল মানুষ মনে করেছিল আমরা কেয়ামতের সামনে দাড়িয়ে আছি - ব্রিটিশ হল সেই দাজ্জাল।

কিন্তু আল্লাহর রহমতে মানব জাতি আজও বহাল তবিয়তে টিকে আছে। শুধু যে টিকে আছে তাই নয় বরং সংখ্যায় বেড়েছে অন্তত দশ গুন, জ্ঞানে প্রযুক্তিতে করেছে ব্যাপক উন্নতি ।

কাজেই এখনই ছোট খাট কোন নমুনা দেখে কেয়মতকে কাছে ভাবার বা যাকে তাকে দাজ্জাল ঘোষনা দেয়ার কোন মানে নাই। এই মানব সভ্যতার জন্য একটি সুনির্দিস্ট জীবন প্রনালী 'ইসলাম' কে পুর্ণাঙ্গ করতে সময় লেগেছে লক্ষাধীক বছর(আদম আ. থেকে মুহাম্মদ স. পর্যন্ত) - অথচ পুর্ণাঙ্গ ইসলামের বয়স মাত্র দেড় হাজার বছর। আমার মনে হয় না এত দীর্ঘ সময়ে তৈরী করা এই পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধানটির প্রয়োগ কয়েক লাখ বছরের আগে শেষ হবে।

তবে হ্যা বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতার পতন যে অতি নিকটে তা অনেকেই বুঝতে পারছেন। তবে এই পতনই চুড়ান্ত নয়। দেড় হাজার বছর আগে বিশ্ব নিয়ন্ত্রনে প্রতিষ্ঠিত ইসলাম আজ থেকে প্রায় এক শতাব্দি পুর্বে সবচেয়ে করুণ অবস্থায় ( যখন বিশ্বে একমাত্র সৌদি আরব ছাড়া কোন স্বাধীন মুসলিম দেশ ছিল না ) পৌছে গিয়েছিল। এখন তার উত্থান ঘটছে। একসময় এই ইসলাম আবার বিশ্ব নিয়ন্ত্রক হবে, তারপর আবার এর পতন হবে, আবার অন্য কোন জাতির মাধ্যমে এর পুণ: প্রতিষ্ঠা হবে - - - এ'ভাবে অগনিত উত্থান পতনের অসীম চক্রের শেষে কোন এক সময়ে কেয়ামত তথা বিশ্বব্যাবস্থার সার্বিক ধ্বংস ঘটবে। সেটা যে ঘটবে তাতে কোন সন্দেহ নাই - কিন্তু তার অবস্থান যে মোটেই নিকটে নয় ( অন্তত দুই চার হাজার বছরেতো নয়ই ) সেটা নি:সন্দেহে বলা যায়।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার মন্তব্য সুবিবেচনা প্রসূত । অত্যন্ত যৌক্তিক ।

বিজ্ঞান বলে পৃথিবী তার মাঝামাঝি বয়স অতিক্রম করতেছে । তাহলে তো পৃথিবী আরো প্রায় ৪০০/৫০০ কোটি বছর টিকবে বা টিকে থাকার কথা । যদি তা সত্য হয় তাহলে সেই প্রতিশ্রুত দাজ্জ্বাল ও ইমাম মাহদি আরো অনেক অনেক পরে আবির্ভূত হবেন । এর মাঝে ঘটবে আরো অনেক ঘটনা । তাই কোন পরবর্তী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধকে শেষ বিশ্ব যুদ্ধ বলার সময় এখনো আসেনি। আর কে কখন আবির্ভাব হবেন সেটা বলাও সম্ভব নয় ।

আপনার সাথে সহমত।

তবে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা জায়নিস্টরা তাদের একটা পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করে। এ লক্ষ্যে তারা অনেকদুর অগ্রসর হয়েছে । সে বিষয়ে একদিন লেখার ইচ্ছা আছে ।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: Illuminati, New World Order, freemason, Skull and Bones, Bohemian Grove, দজ্জাল, ইমাম মাহদি, ইসা (আঃ)-এর পুনরাগমন ইত্যাদি বিষয়ে বিগত কয়েকটা বছর অনেক বই পড়েছি, ডকুমেন্ট্রি দেখেছি। শুধু এটুকু বলতে পারি সিরিয়ার পতনই হল প্রথম লক্ষণ। আগামী দিনের ইতিহাস সেই পথেই হাঁটবে যা অনেক আগেই বলা হয়েছিল। সবকিছু ভেঙ্গে যাবে অতঃপর নতুন করে গড়বে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হতে পারে তবে দেখা যাক ইতিহাস কোন পথে যায় । ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

জেনো বলেছেন: পোস্ট ভাল লাগল।
আসলে আমার মনে হয় ব্রাদারহুড এবং এই ধরনের যেসব সংগঠন গুলো বিশ্বে আছে তাদের মৌলিক নীতিমালায় বেশ সমস্যা আছে। এ ব্যাপারে লিখবেন আশা করি। বিশেষ করে ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদে ট্রান্সফরমেশনের সময়কাল, পটভূমি ও বিশ্ব-রাজনীতির পরিবর্তন গুলোকে নিয়ে।
কেয়ামতের ব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন।
কাঙ্গাল মুরশিদ ভাইয়ের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার সাথে একমত ভাই । ব্রাদারহুড ও এরদোগানের একেপি পার্টিতে টেকনিক্যালি সমস্যা আছে আর এরদোগান তো নিজেকে সেক্যুলার বলে দাবি করেছেন । অনেকেই বলেছেন এটা তার কৌশল । সেটা হতে পারে ।

আর হা, আপনার উপরেউল্লেখিথ বিষয়গুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে । এরমধ্যে গত গাজা যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েল আরব দ্বন্দ্ব নিয়ে ধারাবাহিক ১০ পর্বের স্টাটাস দিয়েছিলাম । সেগুলো আরো সাজিয়ে গুছিয়ে তথ্যসহকারে ব্লগ আকারে পাবলিশ করার চিন্তা আছে ।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @বিষণ্ণ বালক : "সবকিছু ভেঙ্গে যাবে অতঃপর নতুন করে গড়বে"

নিশ্চয়ই বর্তমান পাশ্চাত্য নির্ভর সভ্যতার সবকিছু ভেঙ্গে যাবে, অত:পর নতুন করে গড়বে, অত:পর আবার সেই সভ্যতা ভাঙবে, এর পর আবার গড়বে - এই ভাঙ্গা গড়া চলবে বহু বহু দিন। আধুনিক সভ্যতার মাত্রতো সুচনা হল, এই বিশ্বজগত অনেক অনেক বড়, আমরা এখনও সৌরজগতের সীমাই পার হতে পারিনি। আল্লাহ যে মানুষের জন্য এই এতবড় জগত তৈরী করলেন সেই মানুষকে সবকিছু না দেখিয়েই ধ্বংস করে দেবেন?

কেয়ামত আর সভ্যতার উত্থান পতন এক বিষয় নয় - কারণ কেয়ামতে শুধুমাত্র মানব সভ্যতাই নয় বরং পুরো বিশ্ব ব্রম্মান্ড ধ্বংস হবে। সেটা এত সহজে এবং অল্প সময়ে হবে বলে মনে হয় না। অন্তত আগামী দুই চার দশ হাজার বছরেতো নয়ই। কাজেই এখনই ইমাম দাজ্জাল, মাহাদী, ইসা(আ.) এর পুণ:আগমন নিয়ে এত চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @জেনো:

একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ

হ্যা, আমিও মনে করি মুসলিম ব্রাদারহুড বা তুরষ্কের এ.কে পার্টি বা অন্যান্য রাজনৈতিক ইসলামী সংগঠনের মধ্যে ইসলামী মুলনীতির ব্যাপারে কিছু সমস্যা আছে। তবে আশাকরি এই সব উত্থান-পতন, দ্বন্দ-সংঘাত এর মধ্য দিয়ে তারা ক্রমান্ময়ে ইসলামের সঠিক মৌলিক চেতনার দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য হবে এবং এ'ভাবেই অদুর ভবিষ্যতে ইসলামী সভ্যতা পুনরায় বিশ্বনেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হবে। তবে এটাই শেষ নয় বরং সুচনা মাত্র - আর কেয়ামত, সেটা আল্লাহই ভাল জনেন - কিন্তু আমারমতে তা বহু দুরের ব্যাপার।

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

নষ্ট ছেলে বলেছেন: @আশরাফ মাহমুদ মুন্না,
আপনার ১০ নং মন্তব্যে খুব বিরক্ত হলাম। আপনার সম্পর্কে খুব উঁচু মানের ধারনা ছিল। সেটা আজ অনেকটাই ভেঙ্গে গেল। ধরে নিলাম কাঙ্গাল মুরশিদ ভুল বলেছে তাই বলে তাকে এই ভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্ল করা আপনার উচিৎ হয়নি। কথাগুলো অন্যভাবেও বলতে পারতেন। সরি।

ইমাম মাহাদী, ইসা (আঃ ), দজ্জাল এর আগমণের সময় সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট দলিল আছে বলে আমার জানা নাই। তবে আসবে যে সেটা নিশ্চিত। কিন্তু প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত ভবিষ্যৎ বানী করা বোধহয় ঠিক হবে না। কেয়ামত কবে হবে সেটা আল্লাহই ভাল জানেন। অন্তত একজন মানুষের ইমান থাকলেও কেয়ামত হবে না।


@কাঙ্গাল মুরশিদ,
তুরস্কের একে পার্টি এখন পর্যন্ত নিজেদের ইসলামী দল বলেনি কিংবা বলতে সাহস পাইনি। মুলনীতির ব্যাপারে সমস্যা থাকবেই। ৮০ বছর ধরে তুসস্কে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছ, ইসলামী সাইন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে একে পার্টি অন্তত এর বিরুদ্ধে অন্তত একটা দেয়াল হয়ে দাড়িয়েছে।

লেখককে ধন্যবাদ তার বিশ্লেষনী ধর্মী পোস্টের জন্য।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই ।

১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ ভাইয়ের অনুরোধে কিছু অশালীন কমেন্ট ডিলিট করা হয়েছে । ধন্যবাদ সবাইকে।

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ---
আমার কাছে শেষের প্যারাটা দারুন লেগেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.