নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশরে সামরিক অভ্যুত্থান । মুরসি সরকারের পতন। গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি মিশর !

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৯



মিশরে সামরিক অভ্যূত্থানে মুরসি পদচ্যুত হয়েছেন । প্রধান বিচারপতিকে মিশরের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে দেশটির সংবিধান স্থগিত করা হয়েছে এবং সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উতখাতের ঘোষণা দিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল আল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট মুরসি এখন কোথায় কি অবস্থায় আছেন,সে সম্পর্কে কিছু জানা যাচ্ছে না।



এদিকে ব্রাদারহুডের দপ্তর সেনা অভ্যুত্থানকে অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে তা প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছে।সেই আহবানে সাড়া দিয়ে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকরা সমবেত হতে শুরু করেছে বলে খরব দিয়েছে মিশরের দৈনিক আল আহরাম।



এর আগে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে চলমান সংকটের ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যারা জনগণের রক্ত ঝরাতে চায় এবং সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে চায়, সর্বশক্তি দিয়ে তাদের মোকাবিলা করা হবে।

মুরসি আরো বলেছেন, নিজের জীবনের মতোই ২৫ জানুয়ারির বিপ্লব এবং এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও সাফল্য রক্ষা করবো। অবশ্য সরকার বিরোধীরা মুরসির এ বক্তব্যকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মনে করছে





উল্লেখ্য হুগো শ্যাভেজ প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন ১৯৯৯ সালে মার্কিনপন্থী তৎকালীন শাসককে নির্বাচনে হারিয়ে । ২০০০ সালের দিকে ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল । সেই অভ্যুত্থানে হুগো শ্যাভেজকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল সেনাবাহিনী । হুগো শ্যাভেজে নির্বাসনে পাঠানোর সব বন্দোবস্ত করেছিল সেনাবাহিনী কিন্তু হুগো শ্যাভেজের সমর্থনে জনতার ঢল নামে সারা ভেনেজুয়েলায় । সেনাবাহিনী দ্রুত হুগো শ্যাভেজকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে হুগো শ্যাভেজের প্রতি পুনরায় আনুগত্যের ঘোষনা দেন।অবশ্য সেখানে জনতার চাপে হুগো শ্যাভেজকে উৎখাত করা হয়নি । এখন মুরসি ও ব্রাদারহুডের কি সেরকম জনপ্রিয়তা আছে ? মুরসি ও ব্রাদারহুডের সমর্থকগণ কি বলবেন বা করবেন ? যদি জনপ্রিয়তা থাকে প্রমান দিন রাস্তায় নেমে ।



আবার ৯০ এর দশকে আলজেরিয়ার কথা স্মরণ করুন । সেখানে কিন্তু অনেকটা এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল । নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও সেখানে শেষ পর্যন্ত ইসলামিক পার্টিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি।উপরুন্ত পরবর্তীতে সেই ইসলামিক পার্টির হাজার হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা ফলাফল দীর্ঘ মেয়াদে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল আলজেরিয়া।



এখন সংঘর্ষের আশংকা ।মিশর এখন সরকার বিরোধী ও সরকার সমর্থকদের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। আসলে এই পরীক্ষায় দুই পক্ষের কারোরই জয় হবে না বরং এর মাধ্যমে দেশটিকে বিপদজ্জনক গন্তব্যের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যারা মিশরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় না, চলমান পরিস্থিতি তাদের স্বার্থই রক্ষা করবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের হতাশা আরো বাড়বে।এর আগে যেটা বলেছিলাম এখন সেটাই হলো-সামরিক অভ্যূত্থান ও অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে মিশর .......



মিশরের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে আগের ব্লগ ..



সেনা অভ্যূত্থান কি হতে যাচ্ছে নাকি অনিশ্চিত পথে মিশর ?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ করেছেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: নে এইবার ২৯ বছর আবার মারা খা

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: স্বরণ করুন, আলজেরিয়ার কথা । সেটা হয় কিনা দেখেন । ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

নষ্ট ছেলে বলেছেন: মুরসির সমর্থকদের সংখ্যা কেমন? বিরোধীদের থেকে কম নাকি বেশি?
মুরসির সমর্থক বেশি থাকলে দেশে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: মুরসির সমর্থন আছে তবে অভ্যুত্থানরোধ করার মত নয় । মুরসি প্রথম দফা ২৫% ভোট পেয়েছিলেন আর দ্বিতীয় দফা ৫১% ভোট পেয়েছিলেন । আমার মনে হয় প্রথম দফার প্রাপ্ত ভোটই ব্রাদারহুড প্রকৃত জনসমর্থন !

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ইতিহাসের শিক্ষা একটাই আর তা হচ্ছে ইতিহাস থেকে কেউ কখনও কখনও শিক্ষা নেয়নি /:)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন । ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: মুরসির সমর্থক কম নয়। কিন্তু তারা সেটা করবে না। তারা কিছুতেই প্রটেক্ট করবে না। করলে কালিমা লেগে যাবে। বরং ধৈর্য আর সাহসিকতার সাথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এতেই বেশি লাভ। গণতন্ত্র যদি সত্যিই প্রতিষ্ঠ হয় মিশরে তবে তারা সামনে আবার ক্ষমতায় আসবে। মানুষ ইতিহাস ভুলে না।

গৃহযুদ্ধের মত শব্দ ব্যবহার না করাই উচিত।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমি এখানে দুটো দেশের উদাহরণ টেনেছি । ভেনেজুয়েলা ও আলজেরিয়া । ৯০ এর দিকে আলজেরিয়াতেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু আজ পর্যন্ত আলজেরিয়াতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি ।

মুরসির সমর্থকের কথা বলেছেন ?

মুরসির সমর্থন আছে তবে অভ্যুত্থানরোধ করার মত নয় । মুরসি প্রথম দফা ২৫% ভোট পেয়েছিলেন আর দ্বিতীয় দফা ৫১% ভোট পেয়েছিলেন । এই দ্বিতীয় দফার ভোটে তিনি মোবারক বিরোধীদের ভোটও পেয়েছিলেন । আমার মনে হয় প্রথম দফার প্রাপ্ত ভোটই ব্রাদারহুডের প্রকৃত জনসমর্থন !

আর গৃহযুদ্ধের কথা এসেছে মুরসির বিবৃতি ও ব্রাদারহুডের দপ্তর থেকে বিবৃতি সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে ।

এখণ দেখা যাক...তবে মিশরের গণতন্ত্র সুদুর পরাহত ।

ধন্যবাদ ।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১৬

আল্লামা ইকবাল বলেছেন: কায়রো ভাইয়ের সাথে আমি একমত । তারা এখন তাদের ভুলগুলি ধরতে পারবে এবং শুধরাতে চেষ্টা করবে ।

মুসলিম ব্রাদারহুডকে - যারা অনেক দিন মাটি কামড়িয়ে টিকে থেকে তারপর অনেক সংগ্রাম করে ক্ষমতায় এসেছিলো - আশা করা যায় তারা সংঘর্ষে যাবেনা । গেলে তাদেরই ক্ষতি বেশী - সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার সুযোগ পেয়ে যাবে প্রতিপক্ষ

.........আর যারা ইসলামের পক্ষে কাজ করে তাদের তো ঘরে -বাইরে শত্রু ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমিও আশা করব ব্রাদারহুড তার ভুলগুলো যেন শুধরে নেয়।

১৯৫৩ সালে ইরানে জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ড. মোসাদ্দেককে ইঙ্গো-মার্কিন সহযোগিতায় ক্ষমতাচ্যুত করে রেজাশাহ পাহলভীকে পুনর্বহাল করা হয়েছিল । সেই ইরানি জনগণ এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অর্থাৎ প্রতিশোধ নিয়েছে ১৯৭৯ সালে । তখণ রেজা শাহ পাহলভী শুধু নয় ইঙ্গো-মার্কিন ও ইসরায়েলীদেরও চিরতরে ইরান ত্যাগ করতে হয়েছে । মিশরে এটা ঘটতে পারে যদি দীর্ঘ মেয়াদে সেনা শাসন চলতে থাকে, আমেরিকা ও ইসরায়েলের দালালীও সমান তালে চলতে থাকে আর জনগণের ভাগ্যের যদি কোন উন্নতি না হয় ...তবেই ।

যাইহোক, মুরসি ব্রাদারহুডের হাই প্রোফাইল নেতা ছিলেন না । ব্রাদারহুডের প্রধানপ্রার্থী খাইরাত আল শাতিরের মনোনয়োন বাতিল হওয়ার পরই লো প্রোফাইল মুরসি আলোচনায় আসেন। আমার মনে হয় ব্রাদারহুডের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল হল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহন। ব্রাদারহুড প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না এবং তারা মডারেট কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিবে কিন্তু পরে কি কারণে যেন তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ব্রাদারহুড পার্লামেন্টর মধ্যেই ও চ্যারিটিমূলক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো মিশরকে আজকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হত না ।

ধন্যবাদ ভাই ।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাল লিখেছেন

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
ইসরাইলের লিস্টে থাকা পাচটি দেশ খুব সহজে স্থিতিশীল থাকতে পারবেনা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: তার মধ্যে তো মিশর একটা । নাকি ? আর বাকি চারটা ?

শুধু ৫ টা না গোটা আরব বিশ্ব তো অস্থিতিশীল !

ধন্যবাদ ভাই ।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: পাকিস্তান, মিশর আর তুরষ্ক - এই তিনটি দেশেই সেনাবাহিনী প্রচুর রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখায়। তুরষ্কতে এরদোগান তার সাফল্য ও জনপ্রিয়তার কারনে সেনাবাহিনীকে শেষ পর্যন্ত বশ করতে পেরেছেন। মিশর আর পাকিস্তানের পরিস্থিতি অন্যরকম। মুরসি ৫১% ভোট পেলেও ৪৯% ভোট পাননি।

তুরষ্ক আর মিশরের পরিস্থিতি সম্পূর্ন আলাদা। মিশর মোটামুটি ইসলাম ভাবাপন্ন একটি দেশ। এখানে তুরষ্কের মত হিজাব নিষিদ্ধ ছিল না, কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ইসলাম নিষিদ্ধ ছিল না। মিশরে মুরসি হয়ত অনৈসলামিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। সেটা ধীর গতিতে হলেই ভাল। ব্রাদারহুড পুরোনো দল। মুরসির পতনে দলটি সাময়িক বাধাগ্রস্ত হতে পারে, কিন্তু টিকে থাকতে কোন সমস্যা হবে না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এরদোগান যা দেখিয়েছে অর্থনৈতিক সফলতা । সেটাই তার কাজে দিয়েছে । আর মোবারক মিশরে যেভাবে জন্জাল রেখে গেছে সেখান থেকে ১ বছরের মধ্যে বের হয়ে অসম্ভব । তারপরেও মুরসি কতটুকু পারত সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ ।

মুরসির পতন হবে এটা ব্রাদারহুডের বোঝা উচিৎ ছিল । সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের মধ্যে পরিবর্তন না করে ব্রাদারহুডের টিকে থাকা সম্ভব নয় এটা তাদের বুঝতে হত
সেই পরিবর্তনটা তারা পর্দার আড়ালে থেক করে নিত...মানে অন্য কাউকে সমর্থন করেই । তারা প্রথম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রেসিডেন্ট না দেওয়ার সেটাই ঠিক ছিল । কিন্তু কি কারনে যেন তারা সিদ্ধান্ত চেন্জ করল । আর প্রশাসন যেখানে পুরোপুরি মোবারকপন্থীদের নিয়ন্ত্রনে সেখানে মুরসি একা পারে কিভাবে ?

যাক, এখন তো যা হবার হয়েছে । ভুল থেকে যদি শিক্ষা নেয় তাহলে হয়তো পরে কাজে দিবে ।

আপনাকে ধন্যবাদ ।

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিপিন চন্দ্র পাল বলেছেন: আমি যা বুঝলাম, মার্কিন-বৃটিশচক্র সেনাবাহিনিকে দিয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডকে বাঁচিয়ে দিল। ২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারী যেমন মঈনুদ্দিনরা গণধোলাই থেকে জামাত-বিএনপিকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভাই, কমেন্ট যখন করবেন একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে কমেন্ট করুন । হিংসা ও প্রতিহিংসা কখনো ভাল নয় । আমি মুরসি বা ব্রাদারহুড বা মিশরের সেনাবাহিনী কারো সাপোর্টার নই । এজন্য আমি ভালকে ভাল আর খারাপ বলতে পারি । এর আগের ব্লগে ব্রাদারহুডের অনেক সমালোচনা করছি ।

আপনার কাছে একটা প্রশ্ন রইলো । সেনাবাহিনী ক্ষমতা না নিলে জনতা ব্রাদারহুডকে বাঁচাতো না । তাহলে আমাকে এখন বলবেন মুরসি ও ব্রাদারহুডের অপরাধটা কি ?

মুরসি মাত্র ১ বছর ক্ষমতায় ছিল । এ এক বছরের মধ্যে তিনি কি আলাদিনে প্রদীপ পেয়েছেন যে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ?

মিশরে যা হল, ধরুন আমাদের ঢাকা শাপলা চত্বরে হেফাজতের হাজার হাজার কর্মী জড়ো হল । ওরা শাপলা চত্বরে ২ দিন অবস্থান করল । এতে স্বভাববতই আরো লোক জড়ো হবে। এখন তাদের দাবী হল শেখ হাসিনার পদত্যাগ । সেনাবাহিনী হেফাজতীদের বিপক্ষে না যেয়ে শেখ হাসিনাকে ৪৮ ঘন্টা সময় দিল । শেখ হাসিনা কি করবেন এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ? তিনি একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী । তিনি পদত্যাগ করবেন ?


আচ্ছা, গণতন্ত্র কি এটাই আমার পক্ষে আসলে মানি আর বিপক্ষে গেলে মানি না ? মুরসি কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ।

একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সামরিকভাবে উৎখাত করা গণতন্ত্রের জন্য কখনোই শুভ লক্ষণ নয় । তিনি পদত্যাগ করলে ব্যাপারটা ভিন্ন হত। সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান করে মুরসিকে পদচ্যুত করায় তাহরির স্কয়ারের জনতার ও গণতন্ত্রের পরাজয় ঘটেছে । ভবিষ্যতে অন্য প্রেসিডেন্টকেও এভাবে ভাগ্যবরণ করা লাগতে পারে । তবে এর পরিনাম মনে হয় না সেনাবাহিনী ও সেক্যুলার কনসিউমারিস্ট বা হিডনিস্টদের জন্য ভাল হবে, বামপন্থীদের জন্য তো নয়ই এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলের জন্যও ভাল হবে না। ইসলামিস্টদের পছন্দ করেন আর না করেন এটা মেনে নিতে হবে যে তারাও একটা শক্তি । সেই শক্তিকে উৎখাতের চেষ্টা করা মানে তাকে আরো সহিংস করা, উগ্র করে তোলা ।গণতন্ত্রের মাধ্যমে যদি ইসলামিস্টদের হারিয়ে দেওয়া যেত তাহলে সেটাই হত সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি কারণ তারা গণতন্ত্রকে মেনেই ক্ষমতায় এসেছিল। মিশরে গণতন্ত্রের পরাজয়রে মাধ্যমে পক্ষান্তরে ইসলামিস্টদের এটা বুঝিয়ে দেওয়া হল গণতন্ত্র তোমাদের জন্য নয় । তোমরা অন্য পথ দেখ । তাহলে ইসলামিস্টরা এখণ কোন পথে যাবে ? ইরানে ১৯৫৩ সালে ইরানে জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ড. মোসাদ্দেককে ইঙ্গো-মার্কিন সহযোগিতায় ক্ষমতাচ্যুত করে রেজাশাহ পাহলভীকে পুনর্বহাল করা হয়েছিল । সেই ইরানি জনগণ এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অর্থাৎ প্রতিশোধ নিয়েছে ১৯৭৯ সালে । তখণ রেজা শাহ পাহলভী শুধু নয় ইঙ্গো-মার্কিন ও ইসরায়েলীদেরও চিরতরে ইরান ত্যাগ করতে হয়েছে ।এখন মিশরের ইসলামিস্টরাও কি কয়েক বছরের মধ্যে সে পথে যাবে ? মনে তো হয় তাদের সে পথেই ঠেলে দেওয়া হল।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

নষ্ট ছেলে বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ এর সাথে একমত। মুরসি সব কিছু ধীরে ধীরে করতে পারত। সবার আগে উচিত ছিল দেশের অর্থনীতির দিকে নজর দেওয়া। অন্তত এরদোগানকে ফলো করলেই পারত। এরদোগানের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ তুরস্কের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তরস্কের সেনাবাহিনীও সম্ভবত এখন এরদোগানের নিয়ন্ত্রনে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: মুরসি মাত্র ১ বছর ক্ষমতায় ছিল । এ এক বছরের মধ্যে তিনি কি আলাদিনে প্রদীপ পেয়েছেন যে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ?আর মোবারক কোন উন্নত ও সমৃদ্ধশালী মিশর রেখে যাননি যে মুরসি সেটা ১ বছরের মধ্যে পরিবর্তন করবেন।


এটা ঠিক মুরসির ব্যর্থতা আছে । সেই ব্যর্থতা মানে এই নয় তাকে পদচ্যুত করতে হবে। আর মিশরের অবস্থার সাথে তরুস্কের অবস্থা তুলনা করা ঠিক না । এরদোগান নিজেকে সেক্যুলার দাবি করেন । আর ব্রাদারহুডকে সবাই চেনে ইসলামিক দল হিসাবে । তারপরেও ব্রাদারহুড সেনাবাহিনী ও পশ্চিমাদের সাথে কম আপোস করেনি । যেমন পশ্চিমাদের ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল মিশরের সাথে ইসরায়েলের ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি নিয়ে । মুরসি সেটা বাতিল করেনি আর ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কও ছেদ করেনি ।

এখানে কিছু নিয়ামক কাজ করেছে। যেমন জনতার চাহিদা পুরণ না হওয়া, যুক্তরাস্ট্র থেকে মিশর যে সামরিক সহায়তা পায় সেটার বৃহত্তর অংশই ব্যয় হত মিশরীয় জেনারেলদের বিলাসিতায় । মুরসি ক্ষমতায় থাকাতে বিলাসিতার পরিমান নিশ্চিত কমে গেছে । তাছাড়া ৩০ বছরের মোবারক আমলের সুবিধাভোগীও কম ছিল না । এরা হঠাৎ করে এভাবে পরিবর্তন আশা করেনি । বা মুরসিকে এরা প্রেসিডেন্ট হিসাবে মনে মনে গ্রহন করতে পারেনি । বামপন্থীরা সংবিধান নিয়ে মুরসির উপর ক্ষিপ্ত ছিল । যাইহোক, এরকম আরো কতিপয় কারণে মুরসির এ অবস্থা । তিনি তো আপোস করছেন, ছাড় দিয়েছেন। ছাড় দিতে দিতে তাকে শেষ পর্যন্ত গদীও ছাড়তে হল !

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩২

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: কারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আল্লাহ ভাল করেই জানেন। সত্য , ন্যায় ও আল্লাহর পক্ষ অবলম্বঙ্কারীদের জয় হোক । মুমিনের বিজয় সুনিশ্চিত।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সত্য , ন্যায় ও আল্লাহর পক্ষ অবলম্বঙ্কারীদের জয় হোক । মুমিনের বিজয় সুনিশ্চিত।

ধন্যবাদ আপু । আপনার শুভ কামনায়

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১১

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
সিরিয়া, লেবানন, মিসর, ইরাক, ইরান

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হুম আপনার অবর্জাভেসন ঠিক আছে । তবে এরমধ্যে ইরান ই একমাত্র স্থিতিশীল । ২০০৯ সালে অবশ্য ইরানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু পারেনি । হাঁ এটা ঠিক ইরানে জাতিসংঘ, যুক্তরাস্ট্র ও ইউরোপ কর্তৃক অনেক অবরোধ আছে । তারপরেও ইরান অনেক স্থিতিশীল ।

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:১২

অ্যামাটার বলেছেন: হুগো চ্যাভেজের লিগাসি আর মিশরের প্রেক্ষাপট এক না। চ্যাভেজের মত ক্যারিশমাটিক নেতা গোটা আরব মুল্লুকে নাই।

তবে মিশরের মিলিটারি ক্যু এর পেছনে সব কলকাঠি যে নেড়েছে আঙ্কল স্যাম, সেব্যাপারে সন্দেহ নাই।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পুরো সহমত । হুগো শ্যাভেজের সাথে আরবদের কারো তুলনাই হয় না । আর আঙ্কেল স্যাম তো কলকাঠি নেড়েছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই ।

ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.