নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুরসির পতন অত:পর কোন পথে মিশর ?

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪১



মিশর ইসরায়েলের অন্যতম প্রতিবেশী ও ফিলিস্থিনিদেরও প্রতিবেশী। আরব দেশগুলির মধ্যে মিশরেরই সেনাবাহিনী সবার্ধিক সুসংগঠিত ও শক্তিশালী এবং আরব ও আফ্রিকার মধ্যে বৃহত্তম সেনাবাহিনী মিশরেরই আছে। তাই বিশ্বরাজনীতিতে মিশর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ । ইসরায়েল ও আমেরিকার জন্য তো মহাগুরুত্বপূর্ণ !



এখন প্রথম আসতে হবে আরব বিশ্বের রাজা, বাদশাহ ও আমির, শেখরা কেন মুরসি বিরোধী এবং কেন তারা মুরসির পতনের সঙ্গে সঙ্গেই ঐ রাতেই মিশরের সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন বার্তা পাঠালো ?



মিশরের ব্রাদারহুড বা এর সমমনা ইসলামিক দল গুলিই কিন্তু গোটা আরব বিশ্বে এই রাজা বাদশাহ আমির শাসিত দেশগুলির বৈধ ও অবৈধ প্রধান বিরোধী দল । এই দলটি হাসানুল বান্নার নেতৃত্বে ১৯২৮ সালে মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এই দলটি সমগ্র আরবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে । এই দলটি অনেক ঘাত-প্রতিঘাত অত্রিকম করে এপর্যায়ে এসেছে এবং এই দলটির শাখা বর্তমানে গোটা আরব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে । ফিলিস্তিনের হামাসও ব্রাদারহুডের একটি শাখা । যাইহোক, মিশরে যদি ব্রাদারহুড সফল হত তাহলে এই আমির রাজ বাদশাহদের সামনে মহা বিপদ হত । সিরিয়ায় পরই আন্দোলন পৌছাত জর্ডানে আর শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবে । কারণ এই ইসলামিস্টরা তখন মিশরকে কাছে পেত রাস্ট্রীয় শক্তি হিসাবে এবং তারা আরো উৎসাহ পেয়ে যেত যেমনটা পেয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা । সিরিয়াতে যারা বিদ্রোহী তারা কিন্তু র‌্যাডিক্যাল ইসলামিস্ট । মুরসির পতন আরব বিশ্বের রাজা বাদশাহদের এক বিরাট স্বস্তি । এজন্যই মুরসির পতনের সাথে সাথেই আরব রাজা বাদশাহরা মিশরের সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছে । সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেছেন মুরসির পতনের মাধ্যমে ‘রাজনৈতিক ইসলামের’ পতন হল । আসাদের এই বাক্যটাতে অনেক তাৎপর্য আছে ।



তাহলে প্রশ্ন হতে পারে সো আরবের রাজা, বাদশাহরা কেন তাহলে সিরিয়ার র‌্যাডিক্যাল ইসলামিস্টদের সহায়তা দিচ্ছে ?



আহা ! সেটা তো আবার লম্বা কাহিনী । তার আগে বুঝতে হবে আরব রাজা, বাদশাহ ও আমিরদের চরিত্র । এদের নিজস্ব কোন বৈশিষ্ট্য ও মেরুদন্ড তো নেই বরং এরা যুক্তরাস্ট্র ও ইসরায়েলের চামসামি করে ক্ষমতায় টিকে আছে । এখানে প্রধান বিবেচ্য হল সিরিয়ার আসাদ সরকার ইরানের ঘনিষ্ট মিত্র আর অন্যদিকে ইরান হল ইসরায়েল ও আমেরিকার শত্রু । তাই ইরান আরবেদেরও শত্রু ! সেই সূত্রে এরা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থক । তাছাড়া সৌদি আরব বিশেষ করে সিরিয়ার উগ্র সালাফি গোষ্ঠী আল নুসরাকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে যারা সৌদি আরব বান্ধব । এই সালাফিরাই মুরসির বিপদে মুরসির পাশে দাড়ায়নি কারণ সৌদি যে মুরসির পাশে নেই ! অথচ এই মুরসি সালাফিদের জন্য যথেষ্ট করেছেন । মুরসির তার ক্ষমতার শেষ দিকে অনেকটা সালাফি নির্ভর হয়ে পড়েছিলেন । মুরসির আস্কারা পেয়েই উগ্র সালাফিরা এক দিনেই চারজন শিয়া মুসলিমকে হত্যা করে লাশ নিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছেন ! তবে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আসাদকে উৎখাত করলেই যে তারা ক্ষমতার স্বাধ পাবে তাও না । শুধুমাত্র সিরিয়ার সন্ত্রাসী বিদ্রোহীরা ব্যবহৃত হচ্ছে ইসরায়েল ও যুক্তরাস্ট্র ও সৌদি স্বার্থে ।



প্রথম আলোতে কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ মুরসির পতনের কারণ ব্যাখ্যা্ করেছেন এভাবে----



"অভ্যুত্থানের প্রধান দুই সিভিল সমর্থক হলেন আন্তর্জাতিক আণবিক কমিশনের সাবেক প্রধান নোবেলজয়ী এল বারাদি এবং হোসনি মোবারক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমদ শফিক। আহমদ শফিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুরসির কাছে পরাজিত হন। গত মার্চে তাঁরা দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিলিত হয়ে মুরসি সরকারের পতনের পরিকল্পনা করেন। অভ্যুত্থান ঘটার আগেই এক সাক্ষাত্কারে শফিক ফাঁস করেছেন যে মুরসিকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার ফন্দি ছিল তাঁদের। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে ঠিকই, তবে তাঁকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট না বানানোয় তিনি হতাশ হয়ে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন।



মুরসির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছিল প্রধানত দুটি কারণে। সেনাবাহিনী তাঁর হাতে ছিল না, বিচার বিভাগ নির্বাচিত সরকারকে পদে পদে বাধা দিচ্ছিল, আমলাতন্ত্র নিজের ইচ্ছায় চলছিল, পররাষ্ট্র দপ্তর ও ব্যাংকব্যবস্থাও সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কটি প্রতিষ্ঠানেই যখন মোবারক যুগের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গাঁট মেরে বসে ছিলেন, তখন মুরসির একমাত্র শক্তি ছিল নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের পদ। এমনকি সংসদও আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছিল। মোবারকের আমলের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জারি করা আদেশ কেন গণতান্ত্রিক আমলে পালিত হলো না, তার জন্য আদালত নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ পর্যন্ত দিয়েছিলেন। ফিরিয়ে আনা হয়েছিল একসময়কার ঘৃণিত পাবলিক প্রসিকিউটরকে। অথচ মিডিয়ায় প্রচারিত হয়, ব্রাদারহুড সরকারই সবকিছুর নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি শরিয়া আইনের কিছু কিছু বিধান জারি করা, রাষ্ট্রকে ইসলামি করতে চাওয়াও জনগণের বিরাট অংশ মানতে পারেনি। ব্রাদারহুড শেষ পর্যন্ত জনগণের দল না হয়ে দলের জন্য জনগণ ভাবা শুরু করেছিল।

অন্যদিকে হোসনি মোবারকের আমলে আইএমএফের ‘পরামর্শে’ মিসরের অর্থনীতিকে বাজারীকরণ করা হয়। রাষ্ট্রীয় সেবাসুবিধা উঠিয়ে নেওয়া হয়। জনগণ মূলত এ কারণে ক্ষিপ্ত হয় মোবারকের বিরুদ্ধে। কিন্তু মুরসিকেও ক্ষমতারোহণের সময় আইএমএফের নির্দেশ মেনে নিতে হয়েছিল। এতে অর্থনীতি আরও নাজুক অবস্থায় চলে যায়। আইএমএফের নির্দেশ মানতে গিয়ে অর্থনৈতিক ব্যর্থতা মুরসির জন্য রাজনৈতিক ব্যর্থতা হয়ে দেখা দেয়। "





আমি মনে করি মুরসি উৎখাত শুধু অর্থনৈতিক কারণ ও রাজনৈতিক কারণেই হয়নি । এরসঙ্গে যুক্ত আছে মিশরের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা । সেই বাদশাহ ফারুক উৎখাত হওয়ার পর থেকেই মিশরের ক্ষমতার শীর্ষে ছিল সেনাবাহিনী। গামাল নাসের থেকে শুরু করে মোবারক পর্যন্ত যত প্রেসিডেন্টই এসেছেন তারা সবাই ছিলেন সেনাকর্মকর্তা । মিশরের অর্থনীতির ৪০% + নিয়ন্ত্রন করত সেনাবাহিনী । ইসরায়েলের পরপরই মিশরই হল ২য় দেশ যে যুক্তরাস্ট্রের কাছ থেকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়ে থাকে আর তার একটা বিরাট অংশ ব্যয় হয় সেনাবাহিনী পিছনে।প্রায় ৬০ বছর পর হঠাৎ করে বেসামরিক নেতৃত্বের অধীনে চলতে মিশরের সেনাবাহিনী মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রস্তুত ছিল না । ক্ষমতা কে সহজে ছাড়িতে চায় হে কে ছাড়িতে চায় ? ক্ষমতা হল এক অমৃতসুধা !



মিশরে যা হল, ধরুন আমাদের ঢাকা শাপলা চত্বরে হেফাজতের হাজার হাজার কর্মী জড়ো হল । ওরা শাপলা চত্বরে ২ দিন অবস্থান করল । এতে স্বভাববতই আরো লোক জড়ো হবে এবং বিএনপি জামাতও হয়তো যোগ দিবে। এখন তাদের দাবী হল শেখ হাসিনার পদত্যাগ । সেনাবাহিনী হেফাজতীদের বিপক্ষে না যেয়ে শেখ হাসিনাকে ৪৮ ঘন্টা সময় দিল । শেখ হাসিনা কি করবেন এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ? তিনি একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী । তিনি পদত্যাগ করবেন ?



আসলে ব্যাপারটা তা না । ব্যাপারটা হল সেনাবাহিনী কোন আদর্শ লালন করে আর যারা রাস্তায় নেমেছে তারা কোন আদর্শের । দেখুন, মুরসির বিরুদ্ধে যারা রাস্তায় নেমেছিল তাদের আদর্শ ও সেনাবাহিনীর আদর্শ এক । তাই সেনাবাহিনী বিক্ষোভরত জনতার পক্ষ নিয়েছে । এখনকার দৃশ্য দেখুন, মুরসির সমর্থক কিন্তু রাস্তায় নেমেছে অথচ সেনাবাহিনী তাদের গুলি করতেছে ! গ্রেফতার করতেছে ! আর সিরিয়ার সেনাবাহিনীর আদর্শের সাথে বিক্ষোভরতম জনতার আদর্শের মিল ছিল না তাই সেনাবাহিনী তাদের সমর্থন করেনি ।



মুরসির উৎখাত আমি মনে করি এটা ব্রাদারহুডের চুড়ান্ত পরাজয় নয় । সামনের নির্বাচন না হোক , হয়তো তার পরের নির্বাচনে এই ব্রাদারহুডেরাই আবার ক্ষমতায় আসবে । যেমনটা হয়েছে তুরস্কে । মিশরের নতুন প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই বলেছেন ব্রাদারহুড দেশের জনগণের একটি অংশ । তাহলে প্রশ্ন দাড়ালো ব্রাদারহুড তথা আরব দেশগুলিতে ইসলামিস্টদের উত্থান ঠেকানো যাবে কিভাবে ?



একটা উপায় আছে । উদারহরণ সামনে আলজেরিয়া । এখন যেটা হবে সেটা হল ব্রাদারহুডকে আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠানো । তাদেরকে সন্ত্রাসী বানিয়ে দেওয়া বা তারা নিজেই সিস্টেমে পড়ে সন্ত্রাসী হয়ে যাবে । মানে মিশরের সেনাবাহিনী দ্বারা ব্রাদারহুডকে খতম করা । আলজেরিয়ায় এরকম হওয়ার পরে সেখানে ইসলামিস্টরা এখন অনেক দুর্বল ও ভবিষ্যতে তাদের ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা নেই েইতিমধ্যে মিশরে সেরকম প্রক্রিয়া অনেকটা শুরু হয়ে গেছে । ব্রাদারহুড ঘোষনা দিয়েছে তারা মুরসিকে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না । অন্যদিকে সেনাবাহিনীও ধরপাকড় ও মুরসির সমর্থকের মিছিলে গুলি চালিয়েছে । নিহত ও আহত হয়েছে তো অনেক !



মুরসির সরকার ইসরায়েল ও আমেরিকার সাথে যথেস্ট সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে । তারপরেও তারাই ভিতরে থেকে বা পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নেড়ে মুরসিকে উৎখাত করালো । প্রশ্ন হল কেন ? কারণ মুরসি আপাতত সম্পর্ক ভাল রাখলেও ভবিষ্যৎ মধ্যপ্রচ্যে হয়তো ব্রাদারহুড ইসরায়েলের সাথে আর সুসম্পর্ক নাও রাখতে পারে মানে যখন তারা পর্যায়ক্রমে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ন্ত্রন করবে তখন। ইসরায়েলকে পেয়ে বসেছে এই আশংকা । তাছাড়া মিশর হল ইসরায়েলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী।ইসরায়েলের যা দরকার মিশরে সব সময় মোবারকের মত ইসরায়েল বান্ধব সরকার আর না হলে অস্থিতিশীল ও গৃযুদ্ধ কবলিত মিশর। তাহলে ইসরায়েলের পুরোটা লাভ । আর গণতান্ত্রিক মিশর ইসরায়েলের জন্য ভয়ংকর ।



আর সেনাবাহিনী বলেছে তারা অতি দ্রত নির্বাচন দিয়ে বেসামরিক কর্তৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কিন্তু মনে হয় না সেই পথ এত সহজ । ধরুন, ব্রাদারহুডই আবার জয়ী হল তখন কি করবে সেনাবাহিনী ? তাই সামরিক কর্তৃপক্ষ যতই বলুক মিশরের পরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে শংকা রয়ে গেল ।



তবে ব্রাদারহুড ও সেনাবাহিনী যদি বিচক্ষনতার পরিচয় দেয় তাহলে মিশর গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে পড়বে না । আর তা হলে আমি মনে করি এতে ব্রাদারহুডই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।



নোট : মুরসির পতনের মাধ্যমে আমার কাছে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গেছে তাহলো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ টিকে গেল । আসাদের পতন হওয়া বা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সম্ভবনাই আর নেই ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন করেছেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:১৫

ইকবাল১৫০২ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন। প্রখমত ভাবতে হবে আ্ল্লাহ যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই করেন।মুরসির দল হয়ত আবার ফিরে আসতে পারেন। উল্লসিত বা হতাস হওয়ার কিছুই নেই।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হুম । ঠিক বলেছেন । ব্রাদারহুড তাদের ভুল, ব্যর্থতা ও দোষ ত্রুটিগুলো সংশোধন করলেই আমার মনে হয় এরপরে সফল হবে।

ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

পরোবাশি২০১৩ বলেছেন: Egypt was much better during Hosni Mubarok. Morsi fell because he could not improve the economy. Also, policits and army were the other two causes. But I think, to countries like Egypt, Libya, Iraq, and Syria stability is more important than democracy.

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভাই, আপনি এক দৃষ্টিতে দেখলেন আর মোবারক আমলে সাথের সাথে মুরসির এক বছরের শাসনকাল তুলনা করাটাই বোকামি । কারণ মোবারক মিশরের আহমারি কিছুই করেননি । মিশরের আজকে অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য মুরসি নয় বরং মোবারকই দায়ী । আর ফারুক ওয়াসিফের উদৃতি দিয়েছি উনি মুরসি পতনের কারণ ভালভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন ।

যদিও মুরসি ১ বছরের মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখাতে পারেনি কেন পারেনি সেটাও ফারুক ওয়াসিফ ব্যাখ্যা করেছেন । তাছাড়া ১ বছরের শাসকালক সফলতা বা ব্যর্থতা বলার কোন মাপকাঠি নয় যেখানে তার ছিল আরো চার বছর ।

মুরসি পতনের মুল কারণ অর্থনৈতিক নয় । সেখানে অনেক নিয়ামক জড়িত ।

ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ভাই আপনার এই লেখাটিতে তথ্যগত ভুল আছে!!!

যেমন আপনি বললেন যে সৌদি আরব , সিরিয়ার প্রধান ইসলামিক ফ্রন্ট জাভাত আল নু সরা কে সাহায্য করছে।

আপনার এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। সৌদি আরব অনেক আগেই সেকুলার, পশ্চিমা পন্থী সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল(SNC) কে সমর্থন দিয়েছ। জাভাত আল নু সরা কে সমর্থন দেয়া তো অনেক দুরের কথা। বরঞ্চ জর্ডানে সৌদি, জর্ডান, আমেরিকার সি অ্যাই এ এর বৈঠকে রেবেল কমান্ডার কে বলা হয়েছে যাতে সে এবং তাঁর বিদ্রোহীরা জাভাত আল নু সরা কে ধ্বংস করে।

Hollande urges Syria rebels to retake extremist zones Read more: Click This Link




০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমার তথ্যগত কোন ভুল নেই । ভুল থাকলে সেটা স্বীকার করতাম । আমিও অন্য সোর্স থেকেই পড়েছি। সেখানে সৌদি পরপরাস্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ার বিদ্রোহীদের আল নুসরা ফ্রন্টের নেতৃত্বে যুদ্ধ করার আহবান জানিয়েছিল । আর এখানে আপনি যে লিংক দিয়েছেন তা আমার বক্তব্যকে ভুল প্রমান করে না । কারণ এই বিবৃতিটা হলান্দের । সৌদি কোন প্রিন্স বা কর্মকর্তার নয়।

আর যদি হয়েও থাকে তাহলে সেটা এখনকার ঘটনা হতে পারে তবে সৌদি অল টাইম সালিাফদের পক্ষে ও সালাফিরাও সৌদির সমর্থক । এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই ।

ভাল থাকবেন । ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বিশ্লেষণ ভাল লাগল তবে আমি আপনার সাথে আসাদের ব্যাপারে একমত হতে পারছিনা। তারও পতন নিশ্চিত। শুধু সময়ের ব্যাপার।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: দেখা যাক, সিরিয়ার আন্দোলনের শুরুতে তো অনেক বিশিষ্ট বিশ্লেষকই বলেছিলেন যে আসাদের পতন সময়ের ব্যাপার কিন্তু সেটা হয়নি অথচ আড়াই বছর হয়ে যাচ্ছে । মনে হয় না হবে ।


এখন দেখা যাক, কোনটা ঠিক হয় ।

ভাল থাকবেন ভাই । ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৬

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: আপনার এটা জানা উচিত যে সৌদি তাঁর পশ্চিমা বাবাদের কথার বাইরে কিছু করে না।

যেখানে পশ্চিমারা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে, সেখানে সৌদি , আল নু সরা কে সমর্থন দেবে এটা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না।

অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যেই আল নু সরা কে সন্ত্রাসী সংঘটন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

Arab League Council Reaffirms Recognition of Syrian Opposition Coalition

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: তারা আল নুসরাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে অন্তভুক্ত করে সে তো অনেক পুরোনো কাহিনী !

আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন আল কায়েদা ও তালেবান যুক্তরাস্ট্র ও সৌদির সৃষ্টি । এরা তালেবান ও আল কায়েদা সৃষ্টি করে আফগানিস্থান থেকে সোভিয়েতদের হঠায় এদের ব্যবহার করে। কাজ হাসিল হওয়ার পর যুক্তরাস্ট্র এদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে গ্রহন করে । মানে যুক্তরাস্ট্রের যখন প্রয়োজন পড়ে তখন আল কায়েদাকে ব্যবহার করে । এখন সিরিয়ায় এদের ব্যবহার করতেছে । আরো কিছু সংগঠন যারা সিরিয়ার যুদ্ধে জড়িত তাদের নাসমহ একটু বিবরণ আমার আগের ব্লগ থেকে দিচ্ছি ।

সিরিয়াতে লড়াইরতম বেশিরভাগই যোদ্ধা হল বিদেশী। এর মধ্যে আছে আল কায়েদা, তালেবান, ফাতাহ আল ইসলাম,জুনুত আল ইসলাম,হিজবুত তাহরীর, ইসলামিক ফাইটিং গ্রুপ ইন লিবিয়াসহ আরো অনেক বিদেশী জঙ্গী আর এর সঙ্গে আছে সিরিয়ার আর্মির সামান্য একটু বিচ্যুত অংশ। সৌদি আরব, কাতারসহ কতিপয় আরবদেশগুলি থেকে হাজার হাজার আসামীকে যারা খুনসহ বিভিন্ন ভয়ংকর অপরাধে অভিযুক্ত তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়ায় এই শর্তে যে তারা সিরিয়ান সরকার ও জনগণেরবিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ইতিমধ্যেই আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল- জাওয়াহিরির ভাই মুহাম্মাদ আল-জাওয়াহিরি সিরিয়ায় আটক হয়েছেন। সিরিয়ার সামরিক বাহিনী তাকে দারা শহর থেকে আটক করেছে বলে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে।আল কায়েদার সিরিয়া শাখার নাম হল আন্ নুসরা । এই কয়েকদিন আগে সৌদি আরবের গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ আলে সৌদ সিরিয়ার বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের আল-কায়েদার নেতৃত্বে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আল-কায়েদার সিরিয় শাখা আন্-নুসরার নেতৃত্বে কাজ করতে অস্বীকারকারী বিদ্রোহীদের হত্যা করা হবে। এই ফ্রি সিরিয়ান আর্মি পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোর সরাসরি তত্বাবধানে। ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে তুরস্কে। অর্থায়ন করতেছে সৌদি, কাতার ও তাদের প্রভূ যুক্তরাস্ট্র, ইসরায়েলসহ ইউরোপিয়ান দেশগুলি।এসএনসি নামে দেশের বাইরে একটি সংগঠন আছে যাদেরকে যুক্তরাস্ট্র, ইউ ও কতিপয় আরব দেশ সিরিয়ার বৈধ প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ।এই এসএনসির প্রধান হলেন জর্জ সাবরা যিনি একজন খ্রিস্টান ও পরে মুয়াজ আল খতিব । যিনি সম্প্রতি বলেছেন ইসরায়েল আসাদের পতনে আমাদের সহায়তা করলে আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতিসহ ইসরায়েলের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করব। অবশ্য ইসরায়েলে ইতিমধ্যেই সিরিয়ার জঙ্গীদের সহায়তা করতেছে তারো প্রমান অনেক আছে। মজার ব্যাপার হল সিরিয়ান অভ্যন্তরে লড়াইরত যোদ্ধাগণ এই এসএনসিকে তাদের বৈধ প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকার করতেছে না ।

সৌদি আল নুসরাকে সমর্থন করেছি কিনা তা জানার জন্য এই লিংকটা দেখুন ।

Click This Link

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৩

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ভাই আপনার লিঙ্ক টা গ্রহন যোগ্য নয়, কারন সেটা শিয়া ইরানী পন্থী। এটা ইরানীদের অনেক পুরান অব্বাশ যে ইরানীরা এটা বলে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালায় যে নু সরা কে সৌদি সহযোগিতা করছে।

এটা সম্পূর্ণ ভুল। কারন ইরান আসাদ কে অস্ত্র ও সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। সে চায় আসাদ থাকুক এমন কি ইসরায়েল চায় আসাদ থাকুক। কারন ইসরায়েল কখন চাইবে না যে তাঁর পাশে ইসলামিক রাষ্ট্র গরে উঠুক। এটাই ইসরায়েলের স্বার্থ। মিডিয়াতে যা বলছে সব অ্যাই ওয়াশ।



আপনি এমন কোন লিঙ্ক দ্বীন যেটা খুব পরিচিত পত্রিকা। যেটা কিন বলবে সৌদি আল নু সরা কে সহযোগিতা করছে।

যেখানে তারা মিশরে সেকুলার আর্মিকে সমর্থন দিয়েছে সেখানে তারা নু সার কে সমর্থন দেবে এটা বাস্তব ভিত্তিক নয়।

কারন আল কায়েদা এর মূল লক্ষ হচ্ছে সৌদি রাজতত্রের উতখাত করা। এবং খিলাফা কায়েম করা। সৌদি কখন নিজের পায়ে নিজে কুরাল মারবে না।

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্যের প্রথম বাক্যতে আপনি আপনার ঘৃণিত পরিচয় তুলে ধরেছেন । এধরণের বাক্য অত্যন্ত নোংরা , নিচু মানসিকতা ও রাজনীতি বিষয়ে অজ্ঞা, ধর্মান্ধ ব্যাক্তিই করতে পারে ।

আমি অবাক হয়ে যাই , আপনাদের মত মানুষদের যখন দেখি । তখন মনে হয় এরা কি মানুষ না বিবেক বুদ্ধি লোপ পাওয়া চার পায়ের মত অন্য কিছু ।

যাইহোক, আপনাকে এভাবে বলার জন্য দু:খিত। আপনার শিয়াদের নামাজ নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার ব্লগে কমেন্টও করে এসেছি দেখবেন ।

ইরানি লিংক আপনার পছন্দ নয় অথচ আমেরিকা, ইউরোপের লিংক বা আরব যারা আমেরিকার দালাল তাদের লিংক আপনার পছন্দ । এরকম লিংক আপনাকে হাজারটা দিতে পারব ।

আর আপনি আল কায়েদা ও তালেবানদের সৃষ্টির ইতিহাসই জানেন না ! আর আপনার সাথে আলোচনা করব কিভাবে ? আপনি শুধু খিলাফত নিয়ে আছেন যেটা একটা কাল্পনিক সত্তা ছাড়া কিছু নয় । এই আজকের যুগে কখনো প্রতিষ্ঠিত হওয়ারও সম্ভবনা নেই । যারা খিলাফতের দাবিতে আন্দোলন করে তারা বুঝে না রাজনীতি, বুঝে না ধর্ম ও বুঝে না বাস্তবতা । এজন্য এরা আমেরিকা, ইসরায়েল ও ইউরোপের ব্যবহার ও অপব্যবহার হতেই থাকবে। হাঁ, এরা খিলাফত করেছে আফগানিস্থানে ও লিবিয়ায় আর এখন করবে সিরিয়ায় ! তাই না ভাইজান ?

আফগানিস্থান ও লিবিয়ার খলিফার যেন নাম কি ? দুই জন না একজন খলিফা ?

যাইহোক, যে ফটো দিয়েছেন সেটা তো সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের পক্ষের পত্রিকা যেটা পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষা্ করে ।



ওয়েট নিচেই সব লিংক দিচ্ছি ।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: দেখুন, Click This Link

১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: Click This Link

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার দেওয়া পত্রিকার অনুসারে যদি ইসরায়েল চায় যে আসাদ সিরিয়ার ক্ষমতায় অবশ্যই থাকবে তাহলে তো ইসরায়েল সিরিয়ায় দু দুবার বিমান হামলা করত না ? কি বলেন ? এটার কি ব্যাখ্যা দিবেন ইসরায়েল কেন সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা বিমান হামলা ধ্বংস করে দিল ?

আর গোটা বিশ্ব জানি সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের কারা সমর্থন করতেছে আর আপনি সেখানে জানেন না ? আচ্ছা, আপনার কথা অনুসারে ধরে নিলাম, সিরিয়ার এফএসএ হল আমেরিকাপন্থী আর নুসরা হল খেলাফতপন্থী । তাই তো ?

আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে সিরিয়ায় আসাদের পতন হলে নুসরা সিরিয়ায় খেলাফত কায়েম করতে পারবে ? আফগানিস্থান ও লিবিয়ায় পারছেন খেলাফত কায়েম করতে ?

১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার যুক্তিতে আসি, আল নুসরা সিরিয়ায় যুদ্ধ করতেছে খেলাফত কায়েম করার জন্য । এখন তাহলে সৌদি কোন যুক্তিতে আসাদের পতন চাইবে ? কারণ আপনাদের ভাসায় তো আসাদের পতন হলে সিরিয়ায় খেলাফত কায়েম হয়ে যাবে । সেখানে সৌদি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হেল্প করতেছে খেলাফত কায়েম করার জন্য ?

আসলে ব্যাপারটা তা না । আপনারা হলেন খেলাফতের পাগল । সৌদি ও যুক্তরাস্ট্র আপনাদের এই দুর্বলতা ব্যবহার করতেছে তাদের স্বার্থের জন্য । সৌদি হল বিশ্বের সন্ত্রাসীদের প্রধান অর্থ দাতা ।দেখুন, আফগানিস্থানে সোভিয়েতদের উৎখাতে কিন্তু আপনাদের ব্যবহার করা হয়েছে । কাজ হাসিলের পর তারাই আপেোদের সন্ত্রাসী বলল । সোভিয়েত উৎখাতের পরও আপনারা খেলাফত কায়েম করতে পারেন নি । আসাদের পতন হলে সিরিয়াতেও পারবেন না খেলাফত কায়েম করতে । আপনারা টয়লেট পেপারের মত এরকম ব্যবহার হতে থাকবেন সৌদি, আমেরিকা ও ইসরায়েলের স্বার্থে ।

নিচের লিংকটাতে যান.
Click This Link


১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন:
Click This Link

১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: যাইহোক, যখন আল কায়েদা আফগানিস্থানে সোভিয়েতদের উৎখাত করল সৌদি, পাকিস্থান ও যুক্তরাস্ট্রের সহায়তায় তখন পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়া আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের প্রশংসা করে আর্টিকেল পাবিলিশ করে । দেখুন এই ফটোটা । আপনার পরিচিত পত্রিকায় !

১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪১

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: ভাই আপনার সাথে আমার আলোচনা মনে হচ্ছে অনেক দীর্ঘ হবে। আমি অনেক আগে থেকেই চাচ্ছিলাম এইসব বিষয় নিয়ে লিখব।

প্রথমে আশি আপনার সিরিয়ার অব্বহন্তরে ইসরায়েলই বিমান হামলা নিয়ে।

ইসরায়েল সিরিয়ার দামাস্কাসে , কালামুন পর্বতমালায় অস্ত্রের মজুদের উপর এই বিমান হামলা চালায়। এবং এ বিমান হামলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এ অস্ত্রের মজুদ যাতে বিপ্লবিদের হাতে না পরে. কারন ঐ সময়ে ওখানের সিরিয়ান আর্মি পরাজয়ের সম্মহুখিন হচ্ছিল। সেখানে অনেক অত্তাধনিক অস্ত্র ছিল। এইসব অস্ত্র যদি বিপ্লবদের হাতে যেত তাহলে এটা অবশ্যই গেম চেঞ্জার হত এবং টা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য সমস্যা হত।

এখন আশি আপনার আর্গুমেন্ট এঃ

ধরে নেই ইসরায়েল , বিপ্লবিদের পক্ষে এই বিমান হামলা চালিয়েছে। এখন যদি তাই হয় তাহলে এর পর আর কোন বিমান হামলা সিরিয়ার ভেতরে হলনা কেন?

ইসরায়েলই MOSAD এর কাছে নিশ্চয়ই খবর আছে বাশার আল আসাদ কোথায় আছে। তাহলে তারা কেন প্রেসিডেন্সিয়াল ভবনের উপর বিমান হামলা চালিয়ে বাশার কে হত্যা করছে না। এটা তো ইসরায়েলের মুরির মোয়া খাওয়ার মত তাইনা???


আপনি বলেন কেন যুক্তরাষ্ট্র এখন সিরিয়াতে নোফ্লাই জোন কার্যকর করতে পারছে না। এটা করতে কি যুক্তরাষ্ট্র অক্ষম????


এর কারন কি জানেন, কারন সিরিয়ার যুদ্ধ ক্ষেত্র ইসলামিক বিপ্লবিদের দখলে।

ফ্রী সিরিয়ান আর্মি খুব কম শক্তি নিয়ে টিকে আছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র দেয়ার নাটক করছে। কারন সে জানে এই অস্ত্র শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হবে.

আপনি হয়তো এটা জানেন না যে ইসরায়েলের সাথে যে সকল দেশের সীমানা আছে এর মধ্যে সবচে শান্তি পূর্ণ হোল সিরিয়া- ইসরায়েল বর্ডার

আরব ইসরায়েল যুদ্ধের মাধ্যমে যে গোলান মালভূমি ইসরায়েল, সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করেছে টা উদ্ধার করার জন্য সিরিয়া ইসরায়েলের দিকে একটা গুলিও ছুরেনি। ইসরায়েল কেন চাইবে এরকম একজন প্রতিবেশিকে হারাতে???

আর আপনি উপরে যে লিঙ্ক দিয়েছেন টা খুব গ্রহণযোগ্য কিছু মনে হোল না। এটা কোন পত্রিকা নয়। এটা মনে হচ্ছে ব্লগ টাইপ কিছু।

আচ্ছা যুক্তরাষ্ট্র যদি নু সরা কে সাহাজ্জই করে তাহলে ওদের বিবিসি, সিএন এন , রয়টার্স, ফক্স নিউস এইসব থেকে কোন লিঙ্ক দেন দেখি। ওরা এইসব প্রচার করবে সবার আগে।


আর আল্কায়েদা আর তালিবান আমারিকার সৃষ্টি কি না সেটা নিয়ে পরে তথ্য বহুল আলোচনা হবে!!!!

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনি সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা দিলেন । ইসরায়েল সিরিয়ায় দুদুবার হামলা করেছে । এর আগে ২০০৭ সালে বিমান হামলা করেছিল । সিরিয়া হামাসের শীর্ষ নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিল দামেস্কে । সিরিয়া হামাসের একনিষ্ঠ সমর্থক ।আরব বিশ্বে হামাসের একমাত্র সমর্থক হল সিরিয়া । হামাসের পতন হলে ইসরায়েল বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না ফিলিস্তিনের বাকিজমিটুকু দখল করতে। ইসরায়েল আরবদেশগুলির মধ্যে যেদেশটাকে ভয় করে সেটা হচ্ছে সিরিয়া । আপনার বিশ্বপরিস্থিতি ও বর্তমানকার অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই ।আপনি যা বলতেছেন এগুলো আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে । এছাড়া আর কিছুই নয়।

ইসরায়েল নিজেই যেখানে সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করতেছে সেখানে সিরিয়ার অস্ত্র যাতে সন্ত্রাসীরা না পায় তার জন্য বিমান হামলা করে ধ্বংস করে দিয়েছে !! এই কথাটা কে বলতে পারে ? একমাত্র পাগল ও ছাগল ছাড়া ?

আপনার সাথে মনে হয় না আলোচনা করে কোন ফায়দা হবে । কারণ যারা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে তর্ক করতে আসে তাদের সাথে আলোচনা করাই চরম বোকামী । আপনি আসাদকে দেখতেছেন একজন শিয়া হিসাবে আর আপনি শিয়া বিদ্বেষী সেখানে বাস্তবতার কোন মুল্য আপনার কাছে নেই । আর আমি তাকে দেখতেছি একজন ইসরায়েল বিরোধী নেতা হিসাবে । এবং এটাই বাস্তব ।

দেখুন, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট কি বলেছেন.....।!.।

Click This Link

সিরিয়ায় নো ফ্লাই জোন আমেরিকা কার্যকর করতে পারছে না কারণ জাতিসংঘের অনুমতি ছাড়া কোন দেশে নো ফ্লাই জোন কার্যকর করা সম্ভব না । আর জাতিসংঘে ভোটো ক্ষমতাধারী দেশ রাশিয়া সিরিয়ার পক্ষে ।তাছাড়া সিরিয়ার বিমান শক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী । যুক্তরাস্ট্র চেষ্টা যে করেনি তা নয় অনেক করেছে বাট রাশিয়া ও চীনের কারণে পারেনি । যাইহোক, আপনি মুর্খের মত এই প্রশ্ন করেছেন । এধরণের প্রশ্ন একমাত্র মুর্খরাই করতে পারে। যারা এরকম স্বল্প জ্ঞান নিয়ে আসে তাদের আলোচনা করা সম্ভব নয়।

আপনার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমি আর আলোচনা করতে চাচ্ছি না ।

হা, আফগানিস্থানের যুদ্ধক্ষেত্র তো ইসলামিদের দখলে ছিল । সেখানে তারা খেলাফত কায়েম করেছে । লিবিয়ায়ও তো আপনারা খেলাফত করেছেন ! এখন সিরিয়ায়ও খেলাফত কায়েম করবেন।

গোলান মালভুমি কথার বলছেন.।

সেখানে সিরিয়া একটা গুলিও ছুড়েনি ! তাই তো ? আপনার কি জানা ছিল যে সেই গোলান হাইটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন ছিল ? 'বাফার জোন' হিসাবে জাতিপূঞ্জের নিয়ন্ত্রনে আছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে হারানো এই বিশাল অঞ্চল ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিরিয়ারের অধিকারে নেই। ইসরাইল অবশ্য শান্তি চূক্তির বিনিময়ে সে অঞ্চলের আধিপত্য ছেড়ে দিবে বলেছিল। কিন্তু সিরিয়া বলেছে সেই শান্তি চূক্তি করার পূর্বে গোলান হাইট ছেড়ে দিতে তাহলেই সিরিয়া শান্তি চুক্তি করবে। কিন্তু 'শয়তানের হাড্ডি' ইসরাইল তাতে রাজি হয়নি। এ ব্যাপারটি আপনার স্মরণে আছে কি?

জর্ডান, মিশর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি ও ইসরায়েলের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানসহ কতিপয় অনৈতিক ও অপমানজনক শর্তের বিনিময়ে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে তাদের হারানো এলাকা ফিরে পেলেও যদিও তাদের হারানো এলাকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি । সিরিয়া ইসরায়েলের সাথে এরকম কোন অপমানজনক চুক্তি করেনি । ইচ্ছা করলে সিরিয়াও ওরকম চুক্তি করে তাদের হারানো গোলা্ন হাইট ফিরে নিতে পারত কিন্তু তা করেনি যা ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষা করেছে ।

উপরে রয়টার্সের লিংক দিলাম । আর আমার লিংক ব্লগ টাইপ কিছু ? শেষেরটা কি দেখেছেন ? না কি অন্ধ আপনি ? ইন্ডেপেন্ডেন্ট পত্রিকার কাটিং !!

আর যুক্তরাস্ট্র নুসরাকে ব্যবহার করতেছে । অস্ত্রও দিচ্ছে গোপনে কিন্তু সেটা প্রকাশ করতেছে না । তবেফ্রি সিরিয়ান বিদ্রোহীদেরটা প্রকাশ করতেছে । আর আমার কাছে সিরিয়ার নুসরা ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই । কারণ তারা একউ উদ্দেশ্য নিয়ে সিরিয়ায় লড়তেছে । সেটা হচ্ছে আসাদ উৎখাত । আচ্ছা, যদি সৌদি, তুরস্ক, যুক্তরাস্ট্র ইসরায়েল তাদের অস্ত্র না দেয় তাহলে তারা কোন অস্ত্র নিয়ে লড়তেছে ?

যাইহোক, আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে আমাকে এসব বুঝিয়ে লাভ নেই । কারণ আপনারা টয়লেট পেপার ।টয়লেট পেপারের ব্যবহারের পর যেমন ছুড়ে ফেলা দেওয়া হয় তেমনি ইসরায়েল আমেরিকা সৌদি আপনাদের ব্যবহারের করে ছুড়ে ফেলে ।

আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু উত্তর দেননি ।

আফগানিস্থান ও লিবিয়ার খলিফার যেন নাম কি ? দুই জন না একজন খলিফা ?

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনি কত বড় ভন্ড সেটা তো আমি ভাল করেই জানি । আপনি শিয়াদের নামাজ পড়া নিয়ে মিথ্যা পোস্ট দিয়েছেন । কোন যাচাই বাছাই না করে । কারণ আপনি শিয়া বিদ্বেষী । শিয়াদের সম্পর্কে কিছু শুনলে আপনার সেই যাচাই করার কোন দরকার হয় না । অন্ধভাবে সেটা বিশ্বাস করেন । আপনার ঐ ব্লগে প্রমান হয়েছে আপনি ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছেন । তারপরেও দু:খ প্রকাশ ও ব্লগটা ডিলিট করেননি সত্য জানার পরেও ! তাহলে আপনি যদি ভন্ড ও ইসলামের শত্রু না হোন তাহলে আর কে হবে ?

১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ++++++++++

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

১৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: আপনার এসকল প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি পরে।
আপনি মন দিয়ে এই লিঙ্ক Saudis officially call for establishing a repressive democratic regime in Syria
মন দিয়ে পরুন। আর এর সাথে যে সাব লিঙ্ক আছে সেগুল সহ।
No Saudi bank accounts to support Syrian fighters

১৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: palace scholars issued fatwa

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: দু:খিত । আপনার সাথে আর আলোচনা করতে ইচ্ছে করছে না । আর আপনার লিংকগুলো পড়তে ইচ্ছে করছে না ।

ফেসবুকে এখনই একটা স্টাটাস দিলাম । এটা এখানে কপি করে দিচ্ছি । আল্লাহ হাফেজ।

সিরিয়া ও মিশরের গোলযোগের কারণে কয়েকটা ব্লগ লিখেছি । সেগুলো ফেসবুকেও পাবলিশ করেছি। এই ব্লগ পাবলিশ করার পর আমার একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে । তা হলো মুসলমানদের মধ্যে এক গ্রুপ আছে অনলাইন জগতে এরা সংখ্যায় কম নয় এরা সবাই খিলাফতে বিশ্বাসী । এরা গণতন্ত্রকে হারাম ও কুফরী কাজ মনে করে । এরা মনে করে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তারা কাফের ! তাদের কনসেপ্টটা হল এরকম সারা বিশ্বের মুসলমানরা এক খলিফার অধীনে থাকবে । ব্যাপারটা এরকম, সৌদি আরবের বাদশাহ আমাদের হবে খলিফা। তিনি সৌদি থেকে আমাদের শাসন করবেন ! মানে এই সৌদি খলিফা গোটা মুসলিম বিশ্ব শাসন করবেন । এই গ্রুপটা মনে করে ওরাই একমাত্র সঠিক পথে আছে । আর বাদ বাকি সব কাফের ! মাঝে মাঝে তারা এই বাদ বাকি কাফেরদের হত্যাও করে ! যেমন পাকিস্থানে তো মসজিদে প্রায় বোমা হামলা করে কাফেরদের হত্যা করা হয় ! গতকাল ইরাকে এক মসজিদে না কোথায় যেন বোমা হামলা করে ৩০ জন কাফেরকে এরা হত্যা করেছে । তার কয়েকদিন আগে মিশরে চারজন কাফেরকে হত্যা করে এরা আনন্দ উল্লাস করেছে !

আর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি এরা সবাই ফেক আইডি ইইজ করে । অদ্ভুত অদ্ভুত নাম এদের ! হয়তো একেকজনের কয়েকটা করে আইডি আছে । তবে আমি বুঝি না এরা কিভাবে এই ধারণা পোষণ করে যে আরবদের কেউ আমাদের শাসন করবে আর আমরা তাদেরকে মেনে নেব ? মেনে নিবে কি পাকিস্থানী, ইরানী, ইন্দোনেশিয়ান ও মালয়শিয়ানরাসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম জাতিগোষ্ঠী যেখানে এখন একটা রাস্ট্র ভেঙ্গে একাধিক রাস্ট্র হচ্ছে ?

আসলে এরা সব পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল । যুক্তরাস্ট্র, সৌদি, ইসরায়েল ও ইউরোপ এদের ব্যবহার করে টয়লেট পেপারের মত । এদের ব্যবহার করা হয়েছে আফগানিস্থানে সোভিয়েতদের উৎখাতে , লিবিয়ায় গাদ্দাফি উৎখাতে, সোমালিয়ায় এদের দ্বারাই গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়া হয়েছে ও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছে এখন এরাই টয়লেট পেপারের মত ব্যবহার হচ্ছে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ উৎখাতে !

এই টয়লেট পেপাররা ইসলামের শত্রু, সব ধর্মীয় মানুষদের শত্রু, মানবতার শত্রু । এদেরকে আমার মনে হয় চার পায়ের জন্তুর মত !

তাদের প্রশ্ন করি এত লক্ষ লক্ষ মানুষকে আপনারা প্রতিদিন ধর্মের খেলাফত কায়েম নামে হত্যা করতেছেন কিন্তু কোথায় এপর্যন্ত খেলাফত কায়েম করলেন ? আফগানিস্থান ও লিবিয়ার খলিফার যেন নাম কি ? দুই জন না একজন খলিফা ?

১৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: যাইহোক আপনি আলোচনা না করতে চাইলে এটা আপনার বেপার।
তবে আপনি বললেন আমি ধর্মীও দৃষ্টি কোন থেকে সব কথা বলছি!!!

হ্যাঁ আমি বলছি। প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট মতাদর্শ থেকেই সব কিছু ব্যক্ষা করে। আমি না হয় ধর্মীও দৃষ্টি কোন থেকে করলাম সমস্যা কি???

আর আপনার ধর্মীও কোন পরিচয় আছে কি? নাকি নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দেন? নাকি আপনি শিয়া?

দয়া করে বলবেন প্লিয

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সিরিয়ার ব্যাপারটা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয় । এখানে অথনৈতিক, রাজনৈতিক, ভু-রাজনীতি , পরাশক্তি ও আঞ্চলিক পরাশক্তিদের ক্ষমতার প্রতিযোগীতা সবকিছুই নিয়ামক আছে ।

এখানে ধর্ম বলতে ঠিক ইসলাম ধর্ম বুঝাইনি । মুসলমানরা যে শতভাগে বিভক্ত আছে তার যেকোন একটা হবে । সেটা আপনিও জানেন কোনটার কথা বলতেছি । নিজেকে মুসলমানই মনে করি তবে শিয়া সুন্নি খারেজী এসব কিছু কখনো ভাবি নাই । তবে পরিবারগত দিকে দিয়ে হানাফী মাজহাবী । মানে জন্মসুত্রে । ধন্যবাদ। আশা করি উত্তর পেয়েছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.