নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের তথাকথিত গণতন্ত্র ও বর্তমান সংকট।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩০



বাংলাদেশে কোনোকালেই গণতন্ত্র ছিল না। তারপরেও একজনকে বলা হয় গণতন্ত্রের মানসকন্য ও অপরজনকে গণতন্ত্রের জন্য আপোসহীন নেত্রী !শুধু ভোট প্রদান করলেই কি গণতন্ত্র হয় ? তাহলে পৃথিবীর অল্প কয়েকটা দেশ বাদে সব দেশেই গণতন্ত্র বিদ্যমান। আমি আব্রাহাম লিংকনের সংজ্ঞাকে গণতন্ত্রের প্রকৃষ্ট সংজ্ঞা মনে করি। ঐ সংজ্ঞানুসারে বিশ্বের কোনো দেশ আছে বলে আমার জানা নেই তবে কোথাও মাত্রাগত দিক দেয় কম বা তারচেয়ে একটু বেশিমাত্রায় জবাবদিহিতা হয়তো আছে প্রকৃষ্ট গণতন্ত্র কোথাও নেই ! এনিয়ে দীর্ঘ একটি ব্লগ লিখেছি কয়েকদিন আগেই।বাড়িতে বন্দি খালেদা। এরশাদ বন্দি হাসপাতালে। এরশাদের অনুজ জিএম কাদের দাবি করেছেন, দলের প্রেসিডেন্ট এরশাদকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে দলের নেতাদের যোগাযোগ করতে দেয়া হচ্ছে না। অবশ্য শেখ হাসিনা ও খালেদা দুজনেই ক্ষমতাসীন হয়ে এরশাদের দুর্নাম নয় সুনাম বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হয়েছেন পরোক্ষভাবে । এতদিনে এরশাদের গায়ে যে স্বৈরাচারী তকমা ছিল হাসিনা ও খালেদা তা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিয়েছেন ! এরশাদের স্বৈরাচারী এই দুজনের কাছে নস্যি ! এরশাদের জন্য এটা কম পাওয়া নয় ।মূলত বাংলাদেশের জনগণের প্রধান দুদলের প্রতি অনাস্থা ও পরিবর্তনকামী মনোভাব থেকে গত বছরে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলই সরকারকে বাধ্য করেছে এমন কৌশল নিতে যাতে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন না করে।এলক্ষ্যে বিএনপির প্রেসিডেন্টের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার প্রস্তাবও বাতিল করে ক্ষমতাসীন দল।ছক আঁকেন এরশাদকে নিয়ে বিএনপি ছাড়াই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার, কিন্তু শাসক দলের সব হিসাব, নিকাশ ও কৌশল ধুলায় মিশিয়ে স্বভাবসুলব ডিগবাজি দেন এরশাদ ! অবশ্য সর্বশেষ ডিগবাজির জন্য তাকে ঝুকি নিতে হয়েছে নিজের জীবনের ও দলের।তার কিয়দংশ মূল্য তিনি দিচ্ছেন হাসপাতালের ছোট্ট একটি কেবিনে ।



তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এরকম একটা নির্বাচন অত্যন্ত আগ্রহভরে কতটুকু করতে চেয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে।এরশাদ যখন সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিল তখন আমি আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ সেভাবেই করেছিলাম যে এরশাদের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির পায়ের তলায় মাটি সরে গেল কিন্তু এরশাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন সবকিছুই উলট পালট করে দেয়। আমার মনে হয় কোনো এক পক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝিয়েছিল যে এরশাদ নির্বাচনে থাকবেন বা যেভাবে হোক তাকে নির্বাচনে রাখা হবে । কিন্তু দিনি দিন পরিস্থিতি সরকারের প্রতিকুলে যাবে এটা হয়তো সরকারের কারো মাথায় আসেনি। আওয়ামীলীগের আর একটা দোষে হলো-তারা বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলিকে সময় অসময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে যা গণতান্ত্রে কাম্য হতে পারে না । যাইহোক, শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ এখান থেকে হয়তো একটা সম্মানজনক পথ খুজছে বের হতে। আর এই সম্মানজনক পথের জন্য আওয়ামীলীগকে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন করতে হবে।যদি সরকার সত্যি আন্তরিক হয়ে তাকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে তাহলে হয়তো সেদিকেই যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ !



গৃহবধু থেকে রাজনীতিবিদ খালেদা সেই ৯০ এর দশকে পরিচিতি অর্জন করেছেন আপোসহীন নেত্রী হিসাবে। তিনি সেই মযার্দা আজ পর্যন্ত অটুট রাখতে পেরেছেন হয়তো তা গণতন্ত্রের জন্য নয়-ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায়। গৃহবন্দী খালেদার সামনে এখন বড় চ্যালেন্জ ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন প্রতিরোধ ও নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা প্রবাহকে সামাল দেওয়া এবং পরিবেশ নিজের অনুকুলে নিয়ে আসা।আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করা, আন্দোলন অহিংস, শান্তিপূর্ণ ও আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা। অবশ্য একমাত্র ভারতের সমর্থন ছাড়া এই নির্বাচনের কোনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গ্রহনযোগ্যতা আছে কি না সন্দেহ।আমাদের অভ্যন্তরীণ নীতিতে পাকিস্থানসহ পশ্বিমা বিশ্বের ও ভারতের মরিয়া ও নগ্ন হস্তক্ষেপ আমাদের দেশের সংকটের আর একটি প্রধান নিয়ামক। ভারতের পররাস্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ ইতিমধ্যেই যুক্তরাস্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের নীতি অনুসরণের আহবান জানিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন যে এতে লাভবান হবে যুক্তরাস্ট্র! ঃ



বাংলাদেশে জামায়াতের মাত্র তিন/চার শতাংশ ভোট।দলটির নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।তাই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলাদেশে জামাতের ক্ষমতায় আসার আদৌ সম্ভবনা নেই । অপরদিকে ভারতেই মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলির জয়জয়কার আমরা তা তো দেখতেই পাচ্ছি । নিজ দেশে মৌলবাদ রেখে অন্যদেশের মৌলবাদ নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার ভারতের নেই ! ভারতের জনগণের যেমন অধিকার আছে তারা যাকে ইচ্ছা ক্ষমতায় আনবে তেমনি বাংলাদেশের জনগণেরও অধিকার আছে যাকে ইচ্ছা ক্ষমতায় আনবে।ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে এজন্য আমরা ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ যদিও ভারত তা করেছে নিজ স্বার্থেই, কিন্তু এরমানে এই নয় পাকিস্থানের গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে আমরা ভারতের আধিপত্যবাদ মেনে নেব।



কোনো একটি দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতে হস্তক্ষেপ করে সংকট জিয়ে রেখে ফায়দা হাসিল করা যায় না । আমাদের সামনেই উদাহরণ আছে ইরান। ইরানে ১৯৭৯ সালের আগে ইরানি জনতার বিরুদ্ধে মার্কিনযুক্তরাস্ট্র ন্যাক্কারনকভাবে রেজা শাহ পাহলভিকে সমর্থন করেছিল, কিন্তু জনতার মাইর বলে কথা ! আজকে রেজা শাহপাহলভির পরিণতি কাউকে নতুন করে বলতে হয় না, নিজ দেশে তার কবরটুকুও হয়নি।এমনকি রেজা শাহপাহলভির পরিবারের লোকজনও ৩৫ বছর পরেও ইরানে আসতে পারে না ইরান সরকারের বাধা না থাকা সত্তেও ! আর ইরান সেসময় কিভাবে যুক্তরাস্ট্রের নাকে দড়ি লাগিয়ে ঘুরিয়েছিল তা তো কারো অজানা থাকার কথা নয়!





যাইহোক ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন সরকার করতে পারলে ও বিরোধী দলের আন্দোলন তথা খালেদা ব্যর্থ হলে নি:সন্দেহে দীর্ঘ মেয়াদে একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ ! বাংলাদেশের জনগণের কাছে তথাকথিত গণতন্ত্র ও এনায়কতন্ত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।যে লাউ সেই কদু।তাই ক্ষমতায় কে আসুক জনগণের সে নিয়ে চিন্তিত নয় ।কিন্তু জনগণের বর্তমানে যা দরকার তা হলো নিরাপত্তা, দেশের সহিংসতা বন্ধ, অযথা পুলিশি হয়রানি বন্ধ । রাস্তা দিয়ে চলতে মানুষ আতংকিতবোধ করে-উভয়ের কারণে। এগুলোর অবসান হওয়া দরকার।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

গ্রাম্যবালক বলেছেন: একটা দেশের সেনাবাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব হলঃ- দেশের জনগনের সার্বিক নিরাপত্তা দান করা।

সরকার বা দলীয় কোন্দলে দেশ আজ গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ।

কিন্তু আশ্চয্য বিষয় সেনা বাহিনী নিরব ভুমিকা পালন করতেছে।।



০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। দেখা যাক সামনে কি হয় । ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: এদের মধ্যে অনেক আদর্শগত দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা গেলেও এরা সকলেই মুলতঃ এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। কি সেই আদর্শ ? সেটা হলো এরা সবাই নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বুঝতে অক্ষম।এই স্বার্থটা কি?সেটা ক্ষমতায় যাওয়া।দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চ ত্যাগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি বলে জণগন নামক গাধাঁর দলের সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাওয়া। একবার ক্ষমতা পেলে তা ছাড়তে না চাওয়া।
প্রয়োজনে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের সকল সম্পদ-স্বার্থ বিকিয়ে দেবার খত দেয়ার অংগীকার করা।তবে এই পর্যায়ে এসে পরস্পরের মধ্যে কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
আর সেটা হলো তারা একেক জন ভিন্ন ভিন্ন জনকে প্রভু সাব্যস্ত করে নিয়েছে।কেউ প্রভু হিসাবে গ্রহন করেছে হিন্দু রাস্ট্র ভারতকে,কেউ বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের,কেউ বা পাকিস্তানকে।আর স্ব স্ব প্রভুকে খুশি করার জন্যই আজকের এই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ।
সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার। নয়তো আরো কঠিন পরিণতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
সেই পরিণতি হতে পারে জাতিসংঘ কর্তৃক অর্থনৈতিক অবরোধ।হতে পারে "শান্তির জন্য যুদ্ধ"নামক বিমান হামলা।হতে পারে জাতীয় সরকারের নামে পা চাটা দালালদের শাসনের আড়ালে উপনিবেশিক শাসন।হতে পারে সন্ত্রাস দমনের নামে অহরহ ড্রোন হামলা।হতে পারে গৃহযুদ্ধ,অতঃপর জাতিসংঘ হস্তক্ষেপের নামে মার্কিন শাসন।আরো কত কি হতে পারে যা আমাদের ধারনার বাইরে।
এখন এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র রহমত।আর আমাদের দায়িত্ব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছ্ল্লা্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসিলায় সেই রহমত পাওয়ার চেষ্টা করা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,"হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি।"

Click This Link

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন ।হুম গভীর চিন্তার বিষয় ! ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪০

যুবায়ের বলেছেন: ১৫ ফেব্রয়ারী প্রহসনের নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামীলীগ ও জামায়াতের আন্দোলনের মুখে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্হা চালু করতে বাধ্য হয়। এরপর কেটে গেল অনেকগুলি বছর। নির্বাচনও হয়েছে বেশ কয়েকটি।
গ্রহনযোগ্যতাও ঠিক ছিল।
হঠাৎ দেশের সর্বোচ্চ আদালত পন্ঞ্চম সংসোধনী বাতিল করে এবং তত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান পরিপন্হি হিসেবে রায় প্রদান করেন।
তবে রায়ে মতামত অংশে বলা ছিল সংসদ যদি মনে করে তবে আরো দুটি ট্রামে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যাবে।

সরকারী দল পেয়ে যায় মোক্ষম সুযোগ....সংবিধান সংসোধন করে তাদের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্হা চালু করেন আর এই ব্যবস্হায় বিরোধীদল সহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই নির্বাচন বয়কট করেন। এমন কি মহাজোট সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যন হু-মু এরশাদ নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সরে দাড়ানোর নির্দেশ দেন এবং রাতেই তিনি আইন শৃংখলা বাহিনী কতৃক গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে জানা যায় তিনি অসুস্হ থাকায় তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে....

আসলে কি আর বলবো....
গনতন্ত্র তো নেইই যেটুকু ভোটতন্ত্র ছিল জনগনের হাতে তাও আজ বিপন্ন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । সুন্দর বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.