নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদর্শহীন রাজনীতির অপর নাম জোটবদ্ধ রাজনীতি

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১২

রাজনৈতিক দল গঠিত হয় নীতি ও আদর্শকে ভর করে। যার যে নীতি ও আদর্শ পছন্দ তারা স্বভাবতই সেই দলকে সমর্থন করবে, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলির কোনো নীতি আদর্শ নেই ।নীতি ও আদর্শহীনতার রাজনীতির অপর নাম জোটবদ্ধ রাজনীতি ।বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোট গঠন হয় ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে।সাধারণত ক্ষমতাহীন দলগুলি ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে জোট গঠন করে সেখানে নীতি ও আদর্শের কোনো বালাই নেই । হ্যাঁ, একটা অভিন্ন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ও দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলি সাময়িকভাবে জোট গঠন করতে পারে, কিন্তু কোনোক্রমেই নির্বাচনী জোট নয়। নির্বাচনী জোট মানে ক্ষমতায় যাওয়ার জোট।এগুলোকে জোট না বলে বলা উচিৎ জট। । ধরুণ, একজন সমাজতান্ত্রিক কোনো দলকে সমর্থন করেণ এই উদ্দেশ্যে যে তিনি সেই আদর্শ বিশ্বাস ও লালন করেণ। তাহলে তিনি কি করে তার ভো্ট বুর্জোয়া আওয়ামীলীগে দিবেন ? এটা কি তার আদর্শের সাথে বেঈমানী নয় ? একইভাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ক্ষেত্রেও।এতে জোটবদ্ধ রাজনীতিতে আমার মনে হয় ভোট দেওয়ার সময় অনেক ভোটারই বিব্রত প্রকাশ করেণ অথবা ভোট দিতে যান না।এর মূল কারণ-প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলি যতই ভেক ধরুক না কেন কারো প্রকৃত আদর্শ নেই। লক্ষ্য একটাই তা হলো যেভাবেই হোক ক্ষমতায় যাওয়া অথবা বড় দাদার সাথে জোট করে ক্ষমতার স্বাধ নেওয়া।বর্তমানে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামলীগ গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে আর জাতীয় পার্টি তো এক অদ্ভুত কিসিমের সুবিধাবাদী দল! একই সাথে সরকারে ও বিরোধী দলে! এই দলটির বিশ্বাসযোগ্যতা এক্কেবারে তলানিতে ঠেকেছে। সামনে কোনো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আর কোনো ফ্যাক্ট হবে না বলে মনে হয়-তারপরেও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে রাজাকার ও স্বৈরাচারের দল নিয়ে টানাটানি থেমে থাকবে না বলে মনে করি।তাই আওয়ামীলীগ যখন বিএনপিকে বলে রাজাকার ছাড়তে আমার মনে হয় বিএনপিরও উচিৎ বলা আপনারা স্বৈরাচার ও জোট ছাড়ুন আমরাও ছাড়ি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেনো আর কোনো জোটবদ্ধ রাজনীতি না থাকে।আর বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবশ্য ফরজ হয়ে দাড়িয়েছে নূন্যতম কৌশল হিসাবে হলেও জামাতকে জোটবিযুক্ত করা।অবশ্য সরকার ইচ্ছা করলেই জামাতকে নিষিদ্ধ করে বিএনপি থেকে আলাদা করে দিতে পারে, কিন্তু সরকার সে পথে যাচ্ছে না -কারণ সরকারও চায় জামাতকে তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করতে ও এযাবৎকাল ব্যবহার করেই এসেছে। ইতিহাসে ও এ নজির নেই যে রাজাকার ও স্বৈরাচার দল গণতন্ত্রে এত পুষ্টি পায়। পুষ্টি পাওয়া তখনই সম্ভব যখন প্রকৃত গণতন্ত্র হয় সুদুর পরাহত ও পুষ্টিদাতারাও সমগোত্রীয়ের হয়-চোরে চোরে মাসতুত ভাই বলে কথা !





বর্তমানে জোট রাজনীতি জাতির জন্য কোনো সুফল বয়ে তো আনেনি বরং দুর্ভোগ ডেকে আনছে। এই জোটবদ্ধ রাজনীতির কারণে গত ২০০১ সালে বিএনপি নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল তেমনি জোটবদ্ধ রাজনীতির কারণে ২০০৮ সালেও আওয়ামীলীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এই দুই সালে দুই দলের নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ফলাফল জাতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ! আর এই জোটবদ্ধ রাজনীতির কারণেই একবার বিএনপি না হলে পরেরবার আওয়ামলীগের একক সংখ্যা্গরিষ্ঠতা অবধারিত হয়ে গেছে । বর্তমানে জোটবদ্ধ রাজনীতিকে প্রাধান্য দেওয়ার মূল কারণ হলো এর আগে ৯১ বা ৯৬ তে জোটবদ্ধ রাজনীতি বা জোট সরকার ছিল না ।এরফলে একক ক্ষমতাসীন দল হিসাবে কেউ জনগণের ইচ্ছার বাইরে যেতে সাহস করেণি বা সামর্থ ছিল না, লুটপাট তখনো হয়েছে কিন্তু বর্তমান সরকার বা ২০০১ এর বিএনপি সরকারের মত হয়নি বা অন্তত এটা তো স্বীকার করবেন যে বর্তমান সংকট বা ০৬-০৭ এর সংকটের মত সেই সময় নো সংকট পোহাতে হয়নি। এর বিপরীতে আমরা ২০০১ ও ২০০৮ এর উল্টো চিত্র দেখেছি আর বর্তমানে তো দেখতেছি।আর আমি পূর্বেই বলেছি জোটবদ্ধ রাজনীতি যদি দেশ ও জাতির স্বার্থে হয় তা ভিন্ন কথা কিন্তু জোট রাজনীতির নামে বর্তমানে যা চলছে তা মূলত আদর্শহীন রাজনীতির অপর নাম । এটা সম্ভব হয় এই কারণে যে জোট করলে শক্তি বাড়ে । দেখুন একজনের মহাজোট আর একজনের ১৮ দলীয় জোট, ১৮ দলীয় জোটও কম মহাজোট নয় ! সাংবিধানকে ইচ্ছামত ব্যবহারের সুযোগ, অর্ধেকের বেশি রাজনৈতিক দলের সমর্থন ক্ষমতাসীনদেরকে স্বৈরাচার ও উগ্র করে তুলবে না তো কি করবে ?



আমজনতা যদি সত্যি রাজনীতি থেকে চোর ও মাসতুতো ভাইদের বিদায় করতে চান তাহলে তাদের উচিৎ ভারতের আম আদমি পার্টির মত কোনো পার্টি গঠন করা ।বাংলাদেশের আম আদমি পার্টি গঠনের চেষ্টা ও কেজরিওয়াল হতে অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হনননি কারণ তারা সবাই অতীতে ঐ চোরদেরই মাসতুতো ভাই ছিলেন। কুল গাছ থেকে শাখা কলম বা গুটি কলম যাই করুণ না কেন নতুন গাছে কুলই পাবেন । তাই অতীতে চোর অথবা চোরদের সহযোগী হয়ে পরে সাধু সাজলেও তার বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না আর জনগণের প্রতি তাদের কোনো নির্দিষ্ট কমিটমেন্ট ছিল না-তাই তারা ব্যর্থ , কিন্তু কিন্তু একটা সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো ‘কমিটমেন্ট’ যদি ঠিক থাকে, তাহলে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ওয়েল সেইড।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যথার্থ বলেছেন

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.