নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিয়া-সুন্নী দ্বন্দ্বের আড়ালে ও আইএসআইল এর কাবা ঘর ধ্বংসের হুমকির পিছনের ইতিহাস !

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৮



ইরাকে খেলাফত প্রতিষ্ঠাকারী ইসলামিস্টদের বর্বরতা !!!

মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গীদের উত্থান, সাফল্য ও জঙ্গীদের নির্মমতা বিশেষ করে শিয়া মুসলিমদের নির্বিচারে গণহত্যা আলোচিত এখন সারা বিশ্ব মিডিয়ায়। তাই হট টপিক হিসাবে স্পিরিচ্যুয়ালিটির দিক দিয়ে এই ইস্যুর মূল পর্ব -পিছনের ইতিহাসে যেতে হল। ইসলামে শিয়া-সুন্নী/ওহাবী দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। অন্তত আমার কাছে এই দ্বন্দ্ব আরবের গোত্রীয়গত বিভেদ -যেখানে দুই গোত্র বনু হাশেম ও বনু উমাইয়ার ক্ষমতার লড়াই। হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জন্মেরও পূর্ব থেকে এই দ্বন্দ্ব চলে আসতেছে বংশ থেকে বংশানুক্রমে। তখন ছিল মক্কার দুই প্রধান গোত্র বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের দ্বন্দ্ব। বনু হাশিম থেকে নবী মোহাম্মদের জন্ম হওয়ার কারণে বনু উমাইয়ারা নিজেদের শক্তি, প্রভাব প্রতিপত্তি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা হারানো ভয়ে নবী মোহাম্মদ (সা) এর নেতৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করে।সেই সূত্রে নবী পরিবারকে প্রায় তিন বছরের মত মক্কায় অবরোধ ও অবশেষে মোহাম্মদের (সা) মদিনায় গমন । তারপরেও মক্কার শীর্ষস্থীনীয় উমাইয়ারা থেমে থাকেনি। মোহাম্মদের নেতৃত্বে বনু হাশিমের বিপ্লবের ভয়ে ভীত হয়ে তারা বদর, উহুদ, খন্দক নামে বিভিন্ন অভিযান চালায় মদিনায়। অবশেষে মোহাম্মদের নেতৃত্বে বনু হাশিমের মক্কা জয় অতঃপর ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় বনু উমাইয়াদের দলে দলে ইসলাম গ্রহন।অবশ্য তার আগেই বিশেষ করে হুদাই বিয়া সন্ধির পরপরই অনেক উমাইয়া ক্ষমতার পালা বদল বুঝতে পেরেই ইসলাম গ্রহন করেছিল। আর মক্কা জয়ের পর মোহাম্মদ ও বনু হাশিমের শত্রুদের নেতার নেতা আবু সুফিয়ান ও তার পুত্র মোয়াবিয়া,আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দাও ইসলাম গ্রহন করে! বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের দ্বন্দ্ব কিরুপ ছিল তা বুঝতে হলে এই উদাহরণটিই যথেষ্ট যে উহুদ যুদ্ধে নবী মোহাম্মদের চাচা আমীর হামজার লাশ কেটে কুটে কলিজা বের করে চিবিয়ে খেয়েছিল আবু সুফিয়ানের স্ত্রী ও মুয়াবিয়ার মাতা হিন্দা !





ইরাকে খেলাফত প্রতিষ্ঠাকারী ইসলামিস্টদের বর্বরতা !!!



বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নবী মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই নতুন মাত্রা পায়। নবুওয়াত গেলেও রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাতে বনু হাশিমের কাছে যেতে না পারে মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই তার লাশের দাফন কাফন নয় বরং একটানা তিন দিন ধরে বনু সকিফাতে শলাপরামর্শ করে অবশেষে ওমর বিন খাত্তাবের জোর জবরদস্তি মূলক প্রস্তাবে খলিফা হন আবু বকর ! তখন ওমর বলেছিলেন, যে এই নির্দেশ না মানবে তাকে কতল করা হবে !! যাইহোক, প্রথম তিন খলিফার আমলে উমাইয়ারা প্রশাসনের সর্বত্র জায়গা দখল করে ! ওমর ও ওসমানের সময় প্রশাসনের এমন কোনো ক্ষেত্র ছিল না যেখানে উমাইয়াদের বিচরণ ছিল না ! ওসমান নিহত হওয়ার পর সাধারণ মদিনাবাসী আলীকে খলিফা নির্বাচিত করল ও নির্বাচিত খলিফা আলী দুর্নীতিপরায়ন উমাইয়া গভর্ণরদের বরখাস্ত করলেন, কিন্তু সব গভর্ণর মেনে নিলেও মুয়াবিয়া খলিফা আলীর নির্দেশ মানলেন না ! সিরিয়ার গভর্ণর মুয়াবিয়া সেই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে নিজেকে পাল্টা খলিফা ঘোষণা করলেন ! বরখাস্তকৃত উমাইয়া গভর্ণররা মুয়াবিয়ার পতাকাতলে সমবেত হয়ে খলিফা আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন ! ক্ষমতার লড়াইয়ে নবী মোহাম্মদের কষ্টি পাথরে বাছাই করা সোনার সাহাবারা একে অপরকে হত্যা করা শুরু করল ! এরপরের ইতিহাস সবার জানা ! মুয়াবিয়া তার পুত্র এজিদকে খলিফা মনোনীত, এজিদের মক্কা দখল, কাবায় অগ্নি সংযোগ ও মোহাম্মদের রওজা মোবারককে ঘোরার আস্তাবলে পরিণত করা সবার জানা ! কারবালার করুণ বিষাদময় কাহিনীও সবার জানা ! এরপর উমাইয়ারা যখন রাজতন্ত্র কায়েম করল তখন থেকেই তারা নবী বংশকে নির্বংশ করা শুরু করল ! সেই যে শুরু সেই নবী বংশের অনুসারী শিয়াদেরকে এখনও হত্যা করেই যাচ্ছে উগ্র সুন্নীরা !!! শুরু হয়েছিল আলীকে দিয়ে ! এরপর হাসান, হুসেইনসহ বাদ বাকি সবাইকে। আর এখনও সেই ধারা বর্তমান শিয়া সুন্নী নামে।তবে ক্ষমতার লড়াইয়ে এই শিয়া-সুন্নী বিভাজন শা্সকদের মধ্যে যতটুকু ছিল আপামর জনগণের মধ্যে ততটুকু ছিল না , কিন্তু জনগণের মধ্যে এই বিভাজনের তাত্ত্বিক রুপ দিয়ে এর প্রবল বিকাশ ঘটান সালাফি মতবাদের প্রবক্তা ইবনে তাইয়েমা ! তারই সুযোগ্য অনুসারী আব্দুল ওহাব এই মতবাদকে ব্রিটিশ ও ইবনে সৌদের সহযোগিতায় রাস্ট্রীয় মযার্দা দেন। কোনো মতবাদ রাস্ট্রীয় আনুকল্য ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তা দ্রুত বিস্তার লাভ করে-আজকের খ্রিস্টান, ইসলাম ও বৌদ্ধ ধর্মই তার বাস্তব প্রমান ! মুসলমানরা যেহেতু উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা জয় করতে পারেনি বা যায়নি তাই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাস্ট্র নেই তেমনি বৌদ্ধরা এশিয়ার বাইরে কোনো দেশ জয় করেনি বলেই এশিয়ার বাইরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ রাস্ট্র নেই !





এই পথ ও আদর্শ যদি শান্তির হয় তাহলে জাহান্নামের পথ কোনটি ?



যাইহোক, সৌদি পেট্রো ডলারের কল্যানে ঐ ওহাবি মতবাদ এখন দ্রুতগতিতে সমগ্র মুসলিম সমাজের মধ্যে প্রবলভাবে বিস্তার লাভ করেছে ! সমগ্র মুসলিম বিশ্বে জঙ্গী উত্থানের মূল রহস্য এখানেই। এই ওহাবিরা আরবে অবস্থিত ইসলামের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য ও স্থাপনাগুলোকে বুলডোজার দিয়ে নিয়মিতই ধ্বংস করতেছে ! ঐ যে ক্ষমতার লড়াইয়ের দ্বন্দ্ব বনু হাশিম ও বনু উমাইয়া-শাসকেরা গত হলেও তাদের অনুসারী শিয়া সুন্নী বিভাজন তারা রেখে গেছেন। বনু উমাইয়া শাসকেরা যেমন বনু হাশেমীয়দের মধ্যে যারা ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বি তাদের হত্যা করেছে তেমনি উগ্র সুন্নীরা মানে ওহাবিরা বনু হাশেমীয়দের অনুসারী শিয়াদের হত্যা করতেছে !!! এই দ্বন্দ্বের অপর পৃষ্ঠে শিয়া-সুন্নীর আড়ালে আমরা ইরান-সৌদির দ্বন্দ্বই দেখতে পাব। বনু হাশেমীয় মোহাম্মদ (সা) যেমন মক্কা জয়ের পর কাবা ঘর পুনর্দখল করেছেন ও শিরকের কারণে কাবা ঘর থেকে উমাইয়াদের রক্ষিত সকল দেব-দেবির মুর্তি অপসারণ করেছেন তেমনি সেই বনু উমাইয়াদের অনুসারী ওহাবি/সালাফিরা সেই শিরকের নামে পাথর পুজা নির্মূলের নামে পুনরায় কাবা ঘর দখল ও ধ্বংসের হুমকি দিয়েছে !!!

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৮

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: যাই হোক ইতিহাস, আমি ব্যাক্তিগতভাবে ধর্মের নামে আমেরিকা ইজরাইলের পাচাটা কুকুর সৌদি সহযোগিতায় এধরনের বর্বরতা কক্ষনই সমর্থন করিনা করবোনা। দুঃখ হয় এইদেশে কিছু মানুষকে দেখে যারা ওই তাকফিরি সন্ত্রাসীদের জঙ্গি বললে ক্ষেপে যাচ্ছেন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শিয়াদের তো অনেকেই সরাসরি কাফেরের দলে ফেলে হিসাব করে। আমাদের দেশেও এটা এক সময় প্রকট ছিল।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আসলে যারা জানে না তারা কাফের বলে । আমি দেখেছি এদের সবাই শিয়াদের কাফের ফতোয়া দেয় কিছু না জেনেই ! ধন্যবাদ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আসলে ওটা আশির দশকের ঘটনা যখন ইরাক ও ইরান যুদ্ধ হয়। কারণ তখন সুন্নী বিশ্ব সাদ্দামের পক্ষে নিয়েছিল । আর সুন্নী আলেমরা ফতোয়া দিত ৫১ টি কারণে শিয়ারা কাফের অথবা ১০১ টি কারণে শিয়ারা কাফের !!

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অথচ আমদের এখানে থেকে যা শুনছি,পড়ছি তাতে সেই বিখ্যাত উক্তি,একহাতে তালি বাজে না-মনে পড়ে যাচ্ছে। এতদিন সুন্নী শাসনামলের অধীনে থেকে,সাদ্দামের পতনের পর কিন্তু শিয়ারাই সব সরকার গঠন করে একতরফা ভাবে সংখ্যালঘু সুন্নীদের উপর বিভিন্ন ভাবে অন্যায়-অত্যাচার চালিয়ে যেতে থাকে। যা চরমে উঠে বর্তমান সরকার মালিকীর আমলে।যে কারনে এই অচলাবস্থার বা যুদ্ধ,যে নামই বলি না কেন শুরু হয়েছে। ফলশ্রুতিতে সর্বোচ্চ শিয়া নেতা প্রকাশ্যে নুরি আল মালিকীর কড়া সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছিলেন। যাকে প্রকারান্তরে মালিকীর অপসারনের ভাবই ব্যক্ত করে।
আর এটাকে শুধু আই এস (সাবেক আই এস আই এল) এর একক যুদ্ধ ভাবলে ভুল করবেন। বিশেষ করে মসুল প্রদেশ বিজয়ের সময়ের ছবি দেখে (যেখানে ইরাকী সেনারা প্রতিরোধে একটাও গুলি না ছুড়ে,হেলম্যাট,ইউনিফর্ম সহ সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র মায় ট্যাংক পর্যন্ত ফেলে যেভাবে পশ্চাদপসারন করেছে তা দেখে,খবর নিয়ে আজ পশ্চিমা বিশ্ব তথা সবাই মানতে বাধ্য হয়েছে এটাকে সম্মিলিত সুন্নী গোত্রগুলির অভ্যুত্থান বলে মেনে নিতে।
সুবিধা বুঝে কুর্দীরাও তাদের অবস্থান সংহত করে শায়ত্বশাসন প্রয়োজনে স্বাধীনতার দাবীও তুলতে পারে। প্রথমটার ঘোষনা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে।
ফলাফল এক শক্তিশালী ইরান ভেঙ্গে তিন ইরাকে পরিনত করার চক্রান্ত সফল। সিরিয়াতেও তাই। তাহলে বহুল কথিত "নুতন আরবের" রোডম্যাপের কাজ শুরু।
দয়া করে আমার এই লেখাকে সমালোচনা বলে মনে করবেন না। আমি চেষ্টা করলাম শুধু কিছু নুতন তথ্য দিতে। যা অনেকেরই অজানা। ব্যাক্তিগত ভাবে যে কোন দাঙ্গাই,যেরূপে হোক না কেন আমার কাছে ঘৃন্য এবং পরিত্যাজ্য। ধন্যবাদ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ইরাকের সরকার কাঠামো সম্পর্কে আপনার কতটুকু ধারণা আছে আমার জানা নেই । ইরাকের বর্তমান সরকার কাঠামো সুন্দর ও সব সম্প্রদায়ের জন্য সুষম বন্টণভাবেই করা হয়েছে ও সব সম্প্রদায়কে ক্ষমতার অংশিদার নিশ্চৎ করা হয়েছে। ইরাকের সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট একজন কুর্দি, প্রধানমন্ত্রী একজন শিয়া ও স্পীকার একজন সুন্নী !!

ইরাকে শিয়ারা সংখ্যাগুরু ও সুন্নীরা সংখ্যালঘু । সাদ্দাম আমলে শিয়ারা যেভাবে নির্যাতিত হয়েছে তা মালিকির শাসনামল সেই তুলনায় কিছুই নয়। ইরাক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই শাসন করে আসছে সংখ্যালঘু সুন্নীরা ! ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর শিয়ারা ক্ষমতার স্বাধ পায়। সমস্যাটা সেখানেই ।এটা সবাই জানে মার্কিন বাহিনী ইরাক দখলের পর ইরানের সেনাবাহিনী ভেঙ্গে দেয় । এই পদচ্যুত সেনা ও সেনাকর্মকর্তারাই মূলত আইএসআইল এ যোগ দিয়েছে। এরা ছিল সুপ্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও অন্যদিকে ইরাকি নতুন সেনাবাহিনী এদের সাথে পেরে উঠতে পারেনি বলেই তারা রাতারাতি মসুল, তিকরিত দখল করে নিতে পেরেছে। এটাকে ইরাকি সুন্নী জনগণের অভ্যুত্থান বলে মেনে নিলে ভুল হবে। বরং ইরাকের অনেক সুন্নী আলেমই এই আইএসআইল এর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছে। আইএসআইল অনেক সুন্নী আলেম ও সুন্নী সদস্যকে হত্যা করেছে !

ইরাকে সুন্নীরা মালিকির শাসনামলে নির্যাতিত এটা স্রেফ প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। দীর্ঘদিন সুন্নী শাসিত ইরাক শিয়াদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়াতে স্বভাবতই সুন্নীরা নাখোশ হবে ও সাদ্দাম আমলে অনেক সুন্নী কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকুরী হারিয়েছেন তারা শিয়াদের শাসনকে পজিটিভলি নেননি । এইসব এদরেই অপপ্রচারণা । বরং আমার কাছে উল্টোটাই মনে হয়েছে। ইরাবকে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরেও তারা সুন্নীদের কাছে এখন পর্যন্ত নির্যাতিত। ইরাকে প্রতিদিন বোমা হামলা করে শিয়াদের হত্যা করে সুন্নী উগ্রপন্থীরা !!!

আর আইএসআইল এর বেশিরভাগ সদস্যই বাইরের দেশ থেকে আগত। এরা সিরিয়া হয়ে ইরাকে প্রবেশ করেছে। আ্এসআইল কাদের দ্বারা সৃষ্টি ও কাদের অর্থে পরিচালিত এখন তো সবার কাছেই পরিষ্কার !!

আমি কিন্তু শিয়া নই বরং সুন্নী পরিবারেই আমার জন্ম। আশা করি সত্য উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি কিন্তু শিয়া নই বরং সুন্নী পরিবারেই আমার জন্ম। আমার মন্তব্যে এধরনের কোন প্রশ্ন উন্মোচিত হয়েছে কি? যাতে আপনাকে কৈফিয়ত দিতে হলো।
ব্যাক্তিগত ভাবে যে কোন দাঙ্গাই,যেরূপে হোক না কেন আমার কাছে ঘৃন্য এবং পরিত্যাজ্য।
আমি কিন্তু আপনার লেখাটি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছি। জাত-ধর্ম নিয়ে নয়।
আর সরকার গঠন পদ্ধতিটি আমার অজানা নয়। কিন্ত আমি যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী তাই আমার লেখায় হয়তো এদেরই মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। কোন আক্রমন নয়। আশা করি ভুল বুঝবেন না। ধন্যবাদ।।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনি হয়তো্ ঐ দৃষ্টিভঙ্গির নন-এজন্য ধন্যবাদ। তবে আমার এ ধরণের লেখার জন্য অনেকেই প্রশ্ন করে আপনি কি শিয়া ? বা ফেসবুকেও অনেকেই এরকম কমেন্ট করেছে যে শিয়া দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা । সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে শিয়াদেরকে নেগেটিভভাবেই দেখে সুন্নীরা ! তাই এই দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার থেকে যাতে আপনি মুক্ত থাকেন সেজন্যই আগাম বলেছি। যাইহোক, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২১

রিফাত হোসেন বলেছেন: এটা কপি পেষ্ট লাগল !

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: তাই নাকি !!! একজন লেখকের বিরুদ্ধে এরচেয়ে বড় অপবাদ আর কিছু হতে পারে না ! আপনি নিজে কপি পেস্ট ব্লগার মনে হচ্ছে !! তো ভাই কোন লেখকের লেখা কপি করেছি তার প্রমান দিন !! আশা করি এখানে অবশ্যই প্রমান দিবেন। আর প্রমান দিতে না পারলে দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন আর যদি প্রমান দিতে পারেণ তাহলে আমি ব্লগ ছেড়ে চলে যাব !


এইসব রাম ছা*রা কোথা থেকে যে আসে বুঝি না !!

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

হাসিব০৭ বলেছেন: যেকোন হত্যাকান্ডই ইসলাম সমর্থন করে না

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

সোলায়মান আশরাফ বলেছেন: আইএসআইএল বা অন্যান্য কথিত মুজাহিদ সংগঠন যদি সত্যিকার ইসলামী দল হিসেবে দাবি করে থাকে তাহলে তাদের উচিত মদীনাকে রাজধানী করে রাসূলের সময়কার ইসলামী রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সৌদি আরবের নাম পরিবর্তন করে হেজাজ রাখা। মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে ইসরাইল- আমেরিকাসহ অন্যান্য দখলদার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

জেনো বলেছেন: সেখানে তো ভয়াবহ অবস্হা। ইসলামিক স্টেট আর আল কায়েদার দ্বন্দ বেশ চরমে উঠেছে। যাক। যার যার পাপের বোঝা তার তার ঘাড়েই রবে।
ইতিহাসের সরলিকরন বেশ ভাল লাগল।
পুরোন সুখোই গুলো বেশ কাজে লাগছে। রাশিয়া আরেকটা ক্লায়েন্ট স্টেট পেল।
টিউমার অপসারনই সমাধান বোধহ্য়।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: +

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: "মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই তার লাশের দাফন কাফন নয় বরং একটানা তিন দিন ধরে বনু সকিফাতে শলাপরামর্শ করে অবশেষে ওমর বিন খাত্তাবের জোর জবরদস্তি মূলক প্রস্তাবে খলিফা হন আবু বকর ! তখন ওমর বলেছিলেন, যে এই নির্দেশ না মানবে তাকে কতল করা হবে !! "

ভাই এইটুকু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই!! আর যেভাবে মোহাম্মাদ, আবুবকর, ওমর, আলী ইত্যাদি নাম বললেন তাতে উনাদেরকে আপনার চাচাতো খালাতো ভাই মনে হচ্ছিল ।

আর একটা প্রশ্ন ভাই হযরত আলী রাঃ , হযরত ইমাম হাসান রাঃ, হযরত ইমাম হুসাইন রাঃ উনারা কি শিয়া ছিলেন???? জানলে ভালো হত।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে যার নুন্যতম জ্ঞান আছে তারাও এই বিষয়গুলি জানেন। রাসুল মারা গেছেন সোমবার আর ওনার দাফন করা হয়েছে বুধবার । এটা নিয়ে আপনার কোনো দ্বিমত আছে কি ?

বনু সকিফাতে সলাপরামর্শ করে ওমরের প্রস্তাবে খলিফা হন আবু বকর। তৎকালীন সময় মুহাজির, আনসার ও কুরাইশ পৃথক পৃথকভাবে খেলাফত দাবি করেছিল ।

আপনাকে কিছু রেফারেন্স দিচ্ছি....

Abu Bakr (رضّى الله عنه) and Umar (رضّى الله عنه) were forced to proceed to Saqifah in order to prevent a civil war. The election of Abu Bakr (رضّى الله عنه) was something un-premeditated and purely spontaneous. To this effect, Umar (رضّى الله عنه) said:

“The pledge of allegiance given to Abu Bakr was an un-premeditated spontaneous affair which was (then only later) ratified.”

(Sahih Bukhari, Volume 8, Book 82, Number 817)


“Remember that whoever gives the Pledge of allegiance to anybody among you without consulting the other Muslims, neither that person, nor the person to whom the Pledge of allegiance was given are to be supported, lest they both should be killed” Sahih al-Bukhari, Book 86, Hadith 6830


Allah's Apostle died while Abu Bakr was at a place called As-Sunah (Al-'Aliya) 'Umar stood up and said, "By Allah! Allah's Apostle is not dead!" 'Umar (later on) said, "By Allah! Nothing occurred to my mind except that." He said, "Verily! Allah will resurrect him and he will cut the hands and legs of some men." Then Abu Bakr came and uncovered the face of Allah's Apostle, kissed him and said, "Let my mother and father be sacrificed for you, (O Allah's Apostle), you are good in life and in death. By Allah in Whose Hands my life is, Allah will never make you taste death twice." Then he went out and said, "O oath-taker! Don't be hasty." When Abu Bakr spoke, 'Umar sat down. Abu Bakr praised and glorified Allah and said, No doubt! Whoever worshipped Muhammad, then Muhammad is dead, but whoever worshipped Allah, then Allah is Alive and shall never die." Then he recited Allah's Statement.: "(O Muhammad) Verily you will die, and they also will die." (39.30) He also recited: "Muhammad is no more than an Apostle; and indeed many Apostles have passed away, before him, If he dies Or is killed, will you then Turn back on your heels? And he who turns back On his heels, not the least Harm will he do to Allah And Allah will give reward to those Who are grateful." (3.144) The people wept loudly, and the Ansar were assembled with Sad bin 'Ubada in the shed of Bani Saida. They said (to the emigrants). "There should be one 'Amir from us and one from you." Then Abu Bakr, Umar bin Al-khattab and Abu 'baida bin Al-Jarrah went to them. 'Umar wanted to speak but Abu Bakr stopped him. 'Umar later on used to say, "By Allah, I intended only to say something that appealed to me and I was afraid that Abu Bakr would not speak so well. Then Abu Bakr spoke and his speech was very eloquent. He said in his statement, "We are the rulers and you (Ansars) are the ministers (i.e. advisers)," Hubab bin Al-Mundhir said, "No, by Allah we won't accept this. But there must be a ruler from us and a ruler from you." Abu Bakr said, "No, we will be the rulers and you will be the ministers, for they (i.e. Quarish) are the best family amongst the 'Arabs and of best origin. So you should elect either 'Umar or Abu 'Ubaida bin Al-Jarrah as your ruler." 'Umar said (to Abu Bakr), "No but we elect you, for you are our chief and the best amongst us and the most beloved of all of us to Allah's Apostle." So 'Umar took Abu Bakr's hand and gave the pledge of allegiance and the people too gave the pledge of allegiance to Abu Bakr. Someone said, "You have killed Sad bin Ubada." 'Umar said, "Allah has killed him." 'Aisha said (in another narration), ("When the Prophet was on his death-bed) he looked up and said thrice, (Amongst) the Highest Companion (See Qur'an 4.69)' Aisha said, Allah benefited the people by their two speeches. 'Umar frightened the people some of whom were hypocrites whom Allah caused to abandon Islam because of 'Umar's speech. Then Abu Bakr led the people to True Guidance and acquainted them with the right path they were to follow so that they went out reciting: "Muhammad is no more than an Apostle and indeed many Apostles have passed away before him..." (3.144)

Sahhi Bukhari, Volume 5, Book 57, Number 19 :

Narrated by 'Aisha (the wife of the Prophet)

”মোহাম্মাদ, আবুবকর, ওমর, আলী ইত্যাদি নাম বললেন তাতে উনাদেরকে আপনার চাচাতো খালাতো ভাই মনে হচ্ছিল ।”

বুঝলাম না, উদ্ভট প্রশ্ন করার কারণ কি ? ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা দিতে যেয়ে তা লেখার প্রয়োজনবোধ মনে করিনি ! আপনি করে থাকলে আপনি একবার দুইবার একশতবার লিখেন তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ”আর একটা প্রশ্ন ভাই হযরত আলী রাঃ , হযরত ইমাম হাসান রাঃ, হযরত ইমাম হুসাইন রাঃ উনারা কি শিয়া ছিলেন???? জানলে ভালো হত।”

ওনারা কি সুন্নী ছিলেন ? কে শিয়া ছিলেন আর কে সুন্নী ছিলেন এটা পোস্টের বিষয়বস্তু নয় । আমার পোস্ট ভাল করে পড়ুন তারপর মন্তব্য করুণ।

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: "মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই তার লাশের দাফন কাফন নয় বরং একটানা তিন দিন ধরে বনু সকিফাতে শলাপরামর্শ করে অবশেষে ওমর বিন খাত্তাবের জোর জবরদস্তি মূলক প্রস্তাবে খলিফা হন আবু বকর ! তখন ওমর বলেছিলেন, যে এই নির্দেশ না মানবে তাকে কতল করা হবে !! "

ভাই এইটুকু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই!! আর যেভাবে মোহাম্মাদ, আবুবকর, ওমর, আলী ইত্যাদি নাম বললেন তাতে উনাদেরকে আপনার চাচাতো খালাতো ভাই মনে হচ্ছিল ।

আর একটা প্রশ্ন ভাই হযরত আলী রাঃ , হযরত ইমাম হাসান রাঃ, হযরত ইমাম হুসাইন রাঃ উনারা কি শিয়া ছিলেন???? জানলে ভালো হত।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
পোষ্টতো বাংলায়, হাদীস গুলাও বাংলায় দেন।

আর শুনেন, যারা ঐ সব নামের সাথে সম্মান দেখান না, তারা বেয়াদব, তারা যত জ্ঞানীই হোক!!! আর আপনার মোটা মাথার লেখা পড়ে জ্ঞানীও মনে হয়না আপনাকে!!! তাদের ইসলাম বা মুসলিম প্রিতি হাস্যকর???

আমি কাউকে সুন্নিও বলি নাই, আপনিই ঐতিহাসিক ভাবে তাদের সিয়া সুন্নি ট্যাগদিয়ে দিলেন!!

হযরত আলী রাঃ কি বলেছিলেন যে, না আমিই নতুন ইমাম, আর হযরত ওমর রাঃ কি বলেছিলেন যে, না আপনি হইতে পারবেন না, হযরত আবু বকের(রাঃ )ই হইতে হবে?????

হযরত আবু বকর রাঃ হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর বেঁচে থাকা অবস্থায় মুসলমানদের ইমামতি করেছেন, মোটা মাথার জ্ঞানী ভাই, জানেন তো নাকি ????? ঐ গুলা নিয়ে নতুন করে সমালোচনা করবে বা কনফিউশন তৈরি করবে তারাই, যারা ইসলামের শত্রু ।

আপনাদের এই সব মায়া কান্না বা ভন্ডামি বন্ধ করুন!!! এই গুলা তো কাদিয়ানী শয়তান দের কাজ।

বোঝা গেছে??? নক নক ........................।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হা হা হা নিজেকে তো বিরাট মাপের জ্ঞানী মনে করেণ ! আপনার কমেন্ট থেকেই বুঝলাম আপনি কত্ত বড় জ্ঞানী ! এরকম জ্ঞানী কম দেখলাম না ! আমি যা লিখেছি সবগুলোরই রেফারেন্স আছে। আপনার মত জঙ্গীও কম দেখিনি । ইসলাম ধর্ম নিয়ে যতই ধান্ধাবাজী করেণ না কেন কোনো লাভ নেই ! মানুষ এখন বুঝে গেছে। অন্যান্য ধর্মের মত ইসলাম ও করাপটেড । সেটা সেদিনেই শুরু হয়েছে যেদিন মোহাম্মদের মৃত্যু ঘটেছে ! আবু বকর কিভাবে খলিফা হলেন, এরপর উমর কিভাবে হলেন, এরপর উসমান কিভাবে খলিফা হলেন এরপর আলী কিভাবে খলিফা হলেন এই ইতিহাস যে জানে না তাকে আমার জঘণ্য মুর্খ ও মাথা মোটা অন্ধ বিশ্বাসী বলা ছাড়া কোনো উপায় নেই ! সমস্যা হল যে জানে না যে সে জানেই না তাকে বোঝানো বড় দায় ! ভাইজান, এখানে কমেন্ট করার আগে পড়াশুনা করে আসেন । না হলে লুঙ্গি তুলে পালানোর দিশা পাবেন না !

উপরের ইংলিশ রেফারেন্স দিয়েছি। ওটা আপনার তথাকথিত সহিহ বোখারী থেকে ! যে বোখারী সাহের রাত দিন স্বপ্নে ওহী প্রাপ্ত হয়ে ৬ লাখ হাদিস থেকে মাত্র ৬ হাজার সহিহ হাদিস বাছাই করেছেন !

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনি যা রেফারেন্স চেয়েছেন তা আমি দিয়েছি। সহিহ বোখারী থেকে কয়েকটা হাদিস দিয়েছি। ইংলিশ না বুঝলে আমার কি করার আছে ? আপনার মত মহাজ্ঞানীর জন্য কি আমাকে এখন অনুবাদ করতে হবে ? সেই সময় তো আমার নেই ! কি আর করবেন না বুঝলে যিনি ইংলিশ ভাল বুঝেন তার কাছে অনুবাদ করে নেন !

আপনার কমেন্ট আপনাকে তুলে ধরেছে আপনি কি প্রকৃতির মানুষ ! এই প্রথম আপনার মত কোনো জঙ্গীর সাথে আমার সাথে কথা হচ্ছে না এর আগে অনেকেই এসে গেছে ! পাছায় কাঠাল গাছের ডালের বাড়ি খাওয়ার পরে ম্যা ম্যা করে পালাতে দিশা পায় না , গত বছর তো একজন তার ব্লগ পর্যন্ত ডিলিট করে দিয়েছে ! কাউকে মাথা মোটা বলার আগে নিজেরে চেহারার দিকে তাকান ! আর একবার অশালীন কমেন্ট করলে আমার ব্লগ বাড়ি আপনার জন্য চিরদিনের জন্য হারাম করে দেব ! মাইন্ড ইট !

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ভ্রান্তদের টাকায় পোষ্য শয়তান কাদিয়ানীদের আসলেই চেনা খুব সহজ!!! কমেন্ট ব্যান করে(ছাইড়াদে মা কাইন্দা বাঁচি) যার মানষিকতা, তার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করাটাও হাস্য কর। আপনি কমেন্ট ডিলিটও করতে পারেন, কারন এগুলোই আপনার ক্ষমতার মধ্যে! ভাই আপনি আপনার ব্লগ বাড়িতে আমার কমেন্ট ব্যান করলে ভালো হবে না কিন্তু!!! আমি কিন্তু টাইম স্কয়ারে অনশন করব!! :(( :(( :(( :(( :(( :(( :((


আপনি খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেনঃ



আপনার মত জঙ্গীও কম দেখিনি ।



সমস্যা হল যে জানে না যে সে জানেই না তাকে বোঝানো বড় দায় !



লুঙ্গি তুলে পালানোর দিশা পাবেন না !



আপনার তথাকথিত সহিহ বোখারী থেকে !



আপনার কমেন্ট আপনাকে তুলে ধরেছে আপনি কি প্রকৃতির মানুষ !



পাছায় কাঠাল গাছের ডালের বাড়ি খাওয়ার পরে ম্যা ম্যা করে পালাতে দিশা পায় না , গত বছর তো একজন তার ব্লগ পর্যন্ত ডিলিট করে দিয়েছে !



ভাই আপনি কেমনে জানলেন আমি এখনও লুঙ্গি পড়ি :P :P :P :P

আপনার দৌড়ানি খাবার অপেক্ষায় থাকলাম =p~ =p~ =p~ =p~


Bloggers who ban comment in there blog, i suppose, they possess ambiguas genetalia , well this is only, what i think!!!! so never mind.

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ”হযরত আবু বকর রাঃ হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর বেঁচে থাকা অবস্থায় মুসলমানদের ইমামতি করেছেন, মোটা মাথার জ্ঞানী ভাই, জানেন তো নাকি ?????

হা হা হা হা আমি তো হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম রে ভাই !!! এইটুকু জেনে নিজেকে বিরাট মাপের জ্ঞানী মনে করতেছে ও আর অন্যকে বলতেছে মাথামোটা !!! ভাইজান, ইসলামের ইতিহাস কি কিছু জানা আছে ? নাকি খালি কলসি নিয়ে এখানে এসেছেন কমেন্ট করতে ?

আবু বকর সালাতে ইমামতি করেছেন তাই তিনি খলিফা হবেন ? তাই তো ?

ওকে। মানলাম। তাহলে এবার উত্তর দেন দেখি-

রাসুলের জীবদ্দশায় রাসুল ১৭ বছরের ওসামার নেতৃত্বে একটি একটি সামরিক অভিযান পাঠিয়েছিলেন সেই অভিযানে আবু বকরও ওসামার নেতৃত্বে গিয়েছিলেন !!! মানে সেই অভিযানে ওসামা ছিলেন সেনাপতি আর আবু বকর ছিলেন সাধারণ সৈনিক !! ভাইজান ইতিহাস জানেন তো ? নাকি এটারও রেফারেন্স দেওয়া লাগবে ? অবশ্য না জানলে বলেন দিব !!!

আর সালাতের ইমাম ? ওকে ওয়েট.

Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abbad ibn Ziyad, a descendant of al-Mughira ibn Shuba from his father from al Mughira ibn Shuba that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, went to relieve himself during the expedition of Tabuk. Mughira said, “I went with him, taking water. Then the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came back and I poured out the water for him. He washed his hands and then went to push his hands out of the sleeves of his garment, but could not do so because of their narrowness. So he brought them out from underneath his garment. Then he washed his arms, wiped his head and wiped over his leather socks. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, returned and Abdar Rahman ibn Awf was leading the people in prayer, and he had already finished one raka with them. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed the remaining raka with them to everyone’s concern. When the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, finished he said, ‘You have acted correctly.’ ”

If Abu Bakr’s leading prayers behind the Prophet (s) is proof his Caliphate what about Abur Rahman bin Auf who read in front of the Prophet (s)?

Muwata Imam Malik Book 2, Number 2.8.42

মহাজ্ঞানী ভাইজান, রাসুলের অনুপস্থিতিতে যদি ইমামতি করা খলিফা হওয়ার শর্ত হয় তাহলে যে আবুদুর রহমান আউফের ইমামতিতে স্বয়ং রাসুল সালাত আদায় করলেন সেই আব্দুর রহমান আউফ কি হওয়ার যোগ্য রে ভাই ? খলিফা তাহলে কে হওয়ার যোগ্য ? আবু বকর না আব্দুর রহমান আউফ ?

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপনি কি বলতে চাইছেন

হযরত আবুবকর রাঃ
হযরত ওমর রাঃ
হযরত ওসমান রাঃ
হযরত আলী রাঃ উনারা সকলেই ক্ষমতা লোভি বা ভণ্ড ছিলেন ??? X( X( X( X( X( X( X(

আপনি কি এও বলতে চাইছেন, আল্লাহ আপনাকে এত কম ঘিলু দিছেন যে, আপনি দুই ইমামতির সময় রাসূল সাঃ এর অবস্থান কোথায় ছিল , এই দুই সময় ইসলামের অবস্থান কোথায় ছিল, রাসূল সাঃ এর শারীরিক অবস্থান কেমন ছিল, এগুলো বিবেচনার ক্ষমতা আপনার নাই ???? :P :P :P :P

রেম একটু বাড়ায়া নেন, প্রসেসরও পরিবর্তন করতে পারেন, খালি হার্ড-ডিস্ক নিয়া গর্ভ করলে হবে !!!!! =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: :) :D B-) B-) B-) B-) B-) :> :-B ;)


এই তো ভাইজানের মুখ দিয়ে এবার জ্ঞানের ঝর্ণা ধারা বের হচ্ছে !!! ভাই, ওসামা কি সেনপতি করা হয়েছিল রাসুল যখন অসুস্থ ছিলেন তখন !!! ওসামা যখন তার বাহিনী নিয়ে মদিনা থেকে দুই মাইল দুরে চলে গিয়েছিল তখন রাসুল ইন্তেকাল করেছিলেন !! ! এই খবর শুনে ওসামা অভিযানে না যেয়ে সেনাবাহিনী নিয়ে ফেরত আসে। তাই রাসুলের ইন্তেকালের সময় আবু বকর মদিনাতে ছিলেন না ! ওমর ছিলেন । তাই তিনি ঘোষণা করলেন যে বলবে, রাসুল মারা গেছে তার গর্দান নেব ! এই কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল আবু বকরের জন্য ওয়েট করা খেলাফত যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায় !! এই জন্য বললাম ইতিহাস ও হাদিস , কোরান একটু ভাল করে জেনে আসেন .... তাই বললাম, হুদায় হুদায় আমার সাথে তর্ক করে কি করে কি হবে একটু স্টাডি করেণ, আপনাদের প্রাণপ্রিয় ও বিশুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী সাহাবাদের সম্পর্কে একটু জানেন। অন্ধ বিশ্বাস ভাল নয়। আমিও একদিন আপনার মত ছিলাম ।এত্ত কম জানলে তর্ক করবেন কি করে ? আমার ই তো খারাপ লাগতেছে !!!.।আহা রে !!

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনি কি বলতে চাইছেন

হযরত আবুবকর রাঃ
হযরত ওমর রাঃ
হযরত ওসমান রাঃ
হযরত আলী রাঃ উনারা সকলেই ক্ষমতা লোভি বা ভণ্ড ছিলেন ??


আমি তো বলতে চাইনি ভাই ! কেন আমাকে দোষ দিচ্ছেন ? আপনাদের সহিহ কিতাবগুলোই তো বলে ! আমি তো কিছুই আলোচনা করিনি ! তাছাড়া আমার হাতেও সময় নেই !

মাথার ঘিলু নিয়ে বললেন। এবার নিজের মাথার ঘিলুটা একটু খাটিয়ে দেখেন তো, রাসুল নামাজে যেতে পারেণনি বিধায় আবু বকরকে বলেছিলেন ইমামতি করতে আর ওখানে উনি আব্দুর রহমানের আউফের অধীনে নামাজ পড়েছেন !! পার্থক্যটা কি ধরতে পেরেছেন ? না পারারই কথা !!!

শেষ কথা, আপনি যদি এটা মনে করে থাকেন আমি স্টাডি না করেই, কিছু না জেনেই, কিছু না পড়েই ব্লগ লিখে থাকি তাহলে বলব বিরাট ভুল জায়গায় এসেছেন !!! আর কিছু বলার নেই । ভাল থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা ।

১৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
কাদিয়ানি ভাই, আপনিতো মনে হচ্ছে নতুন কোন নবী, উরে বাবা হযরত ওমর রাঃ , হযরত আবু বকর রাঃ এর মনে খবর আপনার জানা, আমি কোন ছার!!! উরে আল্লাহ বেয়াদপি মাফ করবেন নবীজী!!!! ;) ;) ;) ;)

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হা হা হা হা হা হা...... B-) B-) B-) B-) B-) B-) :D :D :) :) :) :> :> B-)) B-)) B-)) B-)) :-B :-B :-B :-B =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ ..এবার কাদিয়ানী থিউরী নিয়ে আসলেন !!! হায় রে মুসলমান !!! এজন্যই বলি মুসলমানদের আজকে এ অবস্থা কেন ??? কেন এরা জঙ্গী হয়ে মুসলমান মুসলমানকেউ মারছে !!! কেন ৫০+ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাস্ট্র হওয়ার পরেও মুসলমানদের এ অবস্থা !!! সমস্যা হল মুসলমানেরা মগজ দিয়ে চিন্তা করে না এরা করে বুক দিয়ে চিন্তা !!!

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০০

ম.র.নি বলেছেন: ভাই কি কাদিয়ানী???

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমি কাদিয়ানী সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না । জন্মগত সুন্নী মুসলিম পরিবারের হানাফি মাজহাবে। ইসলাম সম্পর্কে আমার একসময় যথেষ্ট পজিটিভ ধারণা ও বিশ্বাস ছিল কিন্তু স্টাডি করতে যেয়ে জানতেছি এই ধর্মটাও করাপটেড । বিশেষ করে সুন্নীরা তো পুরোটাই করাপটেড-এটা উমাইয়া খলিফাদের দ্বারা প্রচারিত তবে সুন্নীদের দু’একটা মাজহাবে শিয়াদের কিছু প্রভাব আছে যেমন হানাফি শাফেয়ী কারণ ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম শাফেয়ী ইমাম জাফর সাদিকের ছাত্র ছিলেন ! শিয়ারা সুন্নীদের তুলনায় একটু পজিটিভ ! বর্তমানে আমি ধর্মকর্ম পালন করি না-কারণ আমার তেমন বিশ্বাস নেই । সেই সূত্রে নাস্তিকও আস্তিকের মাঝামাঝি বলতে পারেণ। আশা করি আমার পরিচয় দিতে পেরেছি। সো এবিষয়ে নতুন কোনো প্রশ্ন না করলে খুশি হব। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা ।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


আমার ধারনা ছিল সামুর সব পেইড ব্লগাররা গায়েব হয়ে গেছে !! কিন্তু আপনার সাথে কথা বলে ভুল ভঙ্গল। আপনার যুক্তি হীন অবস্থানের বিপরীতে কিছু বলার নাই বা বলে লাভ নাই!! ইহুদিদের পয়সা খান, শিয়াদের পয়সা খান, আর কাদিয়ানীদের খান যারই খান না কেন, আমার কাছে প্রায় একি কথা। আপনাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিষ্টিত সত্যের মধ্যে আধা মিথ্যা ঢুকিয়ে ভ্রান্তি ছড়ানো , করতে থাকুন ।। আর আপনার শেষ কথাটা কিছুটা হলেও ঠিক কখনো কখনো আসলেই মুসলমানদের উচিৎ শুধু মাত্র মস্তিষ্ক দিয়েই ভাবা। যেমন আপনার মতদের সামনে পেলে!!! মুসলিমদের মানবতা কাজ না করলে আপনাদের মত শয়তানরা ঢাকার বকশিবাজারের মত যায়গায় দূর্গ বানিয়ে কিভাবে আছেন????

ভালো থাকুন!! আসসালামুয়ালাইকুম!!

رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আহা রে !! আপনি যা প্রশ্ন করেছেন রেফারেন্স চেয়েছেন আমি সবই দিয়েছি। আমি যদি ভুল বলে থাকি আপনি রেফারেন্স দিয়ে বা নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যুক্ত খন্ডন করতে পারেণ কিন্তু তা না করে......।আর কারো সম্পর্কে না জেনে যদি কাদিয়ানি অপবাদ দেন তাহলে আপনি আসলেই জঙ্গী !! অযথা একটি সম্প্রদায়কে দোষারোপ করছেন !! আমি কাদিয়ানী বা শিয়া বা ইহুদি হলে নিশ্চয় আমার বলার পর্যাপ্ত সাহস আছে। যা আমি নই তা বলব কেন ? আর টাকা ! ও হ্যাঁ, আজকের সকালের বাজারটা ইসরায়েলের টাকা দিয়ে করেছি বিনিময় কি জানেন ? ঐ যে একটু আগেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটা ব্লগ পাবলিশ করলাম সেটার জন্য ওনারা আমাকে ডলার পাঠিয়েছে !!! তখন কথার কথা আপনাকে জঙ্গী বলেছিলাম। কিন্তু এখন এটাই বাস্তব কারণ যা হুমকি দিলেন !!! বাপ রে ! ভয় পাইছি !!! সামনে পেলে যে কি করবেন !!! !! এসব তো জঙ্গীরাই করে !!!

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধর্মীয় মতবাদ নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা নেই, সেই পড়ালেখাও নেই। তবু আপনার লেখার প্রেক্ষিতে মুদ্‌দাকির ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করার তাগিদ অনুভব করছি।
ভাই মুদ্‌দাকির, আপনার অনেক লেখা মন্তব্য আমি পড়েছি, দেখেছি এবং আপনার সদগুনাবলীরই পরিচয় পেয়েছি। কিন্তু আপনি এই লেখায় বিন্দুমাত্র কোন তথ্য, যুক্তি উপস্থাপন না করেই, ব্লগারকে যেভাবে কাদিয়ানী, শিয়া বা ইহুদি বলে ট্যাগ করলেন, তা বাল-পন্থীদের ছাগু ট্যাগকেও ছাড়িয়ে গেছে। উনি যদি ইহুদি বা কাদিয়ানীও হন, তাহলেও কি ওনার কথা শুধু একারনেই মিথ্যা হয়ে যায়?
আমার মনে হয় সত্য আকাশ থেকে পড়া কোন বস্তু নয়, প্রতিদিনের চর্চায়, নিরন্তর সাধনায়, অনুভবের উৎকর্ষতায়, যুক্তি তর্কের কষ্টিপাথরে অজস্র যাচাই বাছাইয়ের মধ্যদিয়ে সত্য প্রতিভাত হয়। কিন্তু আপনার মন্তব্য দেখে মনে হল, আপনি অজস্র সাধারণ, ধর্মে উত্তেজক মানুষের মতই বাজারী সত্যের রেডিমেট ক্রেতা, সত্য অনুসন্ধানী নন।

যাক ভাই আপনার পোস্টে অনর্থক লম্বা মন্তব্য করছি, অনেকটা একারনে যে এখন পর্যন্ত এমনটা দেখলাম না যে আমরা কোন ধর্মীয় মতবাদের আলোচনায় সুস্থির যুক্তি তর্কপূর্ণ আলোচনা করতে পেরেছি। বিষয়টা আমাকে দূঃখিত করে। শুভকামনা।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: উনি যদি ইহুদি বা কাদিয়ানীও হন, তাহলেও কি ওনার কথা শুধু একারনেই মিথ্যা হয়ে যায়?
আমার মনে হয় সত্য আকাশ থেকে পড়া কোন বস্তু নয়, প্রতিদিনের চর্চায়, নিরন্তর সাধনায়, অনুভবের উৎকর্ষতায়, যুক্তি তর্কের কষ্টিপাথরে অজস্র যাচাই বাছাইয়ের মধ্যদিয়ে সত্য প্রতিভাত হয়। কিন্তু আপনার মন্তব্য দেখে মনে হল, আপনি অজস্র সাধারণ, ধর্মে উত্তেজক মানুষের মতই বাজারী সত্যের রেডিমেট ক্রেতা, সত্য অনুসন্ধানী নন।


চমৎকার বলেছেন। আসলেই তাই আমাদের সবার সত্যানুসন্ধানী হওয়া উচিৎ । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
@ লেখক ঃ ভাই আপনি নাস্তিক জেনে স্বস্তি পেলাম। আর দুঃখিত আপনার সাথে উত্তেজিত মন্তব্য বিনিময়ের কারনে। আসলে একজন মুসলিমকে যখন দেখি সাহাবা রাঃ দের নাম ধরে যা ইচ্ছা তাই বলছে বা তাদের নামে উপযুক্ত সম্মান দেখাচ্ছে না , তখন মেজাজটা তিরিক্ষি হয়ে যায়। আপনাকে মুসলিম বা মুনাফিক ভেবে ছিলাম কিন্তু আপনি নাস্তিক, আপনি উনাদের গরু বললেই কি আর ভেড়া বললেই কি ???!! নো প্রবলেম।



@ শ্রাবনধারাঃ

ভাই উনার পোষ্ট আর মন্তব্য গুলো পড়ুন, ভালো করে।। উনার যে ব্যাপারে কনফিউশন তার উত্তর উনার মন্তব্য গুলোতেই আছে। কিন্তু তাকেতো দেখানো সম্ভব না, যে দেখতে চায় না!! উনার লেখা পরলে আপনি দেখবেন যে উনি বুঝাতে চাচ্ছেন হযরত আবু বকর রাঃ আর হযরত ওমর রাঃ এক রকম জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল করেছেন। কিন্তু উনারই দেয়া রেফারেন্সের শুরুতে দেখুন

" Abu Bakr (رضّى الله عنه) and Umar (رضّى الله عنه) were forced to proceed to Saqifah in order to prevent a civil war. The election of Abu Bakr (رضّى الله عنه) was something un-premeditated and purely spontaneous. "

এই টুকুর অর্থ যদি বুঝে থাকেন তাহলে বুঝবেন যে বলা হচ্ছে দুইজন সাহাবী রাঃ ক্ষমতা দখলের ধান্দায় ছিলেন, জোর করে ক্ষমতা দখল করলেন, অথচ তাদের কোন পরিকল্পনাই ছিলনা এই ব্যাপারে !!!! ব্যাপারটা হাস্যকর। মিলন ভাইকে এত বোকা মনে হয়নি , মনে হচ্ছিল উনি বুঝেও শয়তানি করছেন। যা সাধারনত কাদিয়ানি , ইহুদি, বা শিয়ারা করে থাকে।

আবার উনি ইমামতির লজিক কি দেখালেন দেখুন, এটাও লেইম। কারন উনি ভালো করেই জানেন যে যখন হযরত আব্দুর রহমান বিন ওউফ রাঃ ইমামতি করছিলেন তখন ঐ স্থানে হযরত আবুবকর রাঃ মত সাহাবীরা ছিলেন না। থাকলে হয়ত উনারাই ইমামতি করতেন বা হয়ত তিনিই করতেন। আর হযরত আবু বকর রাঃ ইমামতি করেছেন , রাসূল সাঃ এর ইচ্ছায় এবং রাসূল সাঃ এর অপারগতায় এবং অনুপস্থিতিতেও , আর এটা ছিল খেয়াল করুন , রাসূল সাঃ এর ইচ্ছায় এবং অনুমতিতে , আর হযরত আব্দুর রহমান বিন ওউফ রাঃ এর ইমামতির ব্যাপারটা ছিল ইন্সিডেন্টাল। ভাই শ্রাবণধারা ব্যাপারগুলো এত পরিষ্কার হবার পরেও এগুলোকে বিতর্কিত করে শুধু মাত্র আমি যে তিন দলের কথা বলেছি তাঁরা। আশা করি ব্যাপার গুলো আপনার কাছে পরিষ্কার।

আর দেখুন ভাই, কেউ না বুঝতে চাইলে বুঝানো খুব কঠিন, কারন অবিশ্বাস করা খুব সহজ। আর বিশ্বাস করা কঠিন। আর আপনি হয়ত খেয়াল করেননি যে আমি তাকে সালাম দিয়েই আমার শেষ মন্তব্যটি শেষ করে ছিলাম। যাইহোক আসসালামুয়ালাইকুম।



@ লেখক

নাস্তিকদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করতে ভালো লাগে আমার, অনেক কিছু খুজে পাই যা আস্তিকরা দিতে পারেনা। ভালো হোত যদি হযরত আলী,ওসমান,ওমর, আবুবকর রাঃ দের ভণ্ড বা ভ্রান্তির প্রমান সহকারে পোষ্ট দিতেন। আমি সাধারনত আমার সাথে যাদের মতের অমিল তাদের লেখা অনুসরন করি , আপনি ইতি মধ্যে জানেন হয়ত যে, আপনাকেও তাই করছি, আশাকরি আপনি সাহাবীদের ভন্ডামি নিয়ে পোষ্ট দিবেন। আর ইহুদীদের টাকাতো আপনার আছেই, ওগুলো দিয়ে মায়াকান্না করে কোমল মতি অল্পজানা ভাইদের আস্তে আস্তে নিজের দলে টানবেন।

আসসালামুয়ালাইকুম

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভাই, আপনার যে ব্যাপারে কনফিউশন এবং আপনি যা রেফারেন্স চেয়েছেন আমি তা আপনাকে দিয়েছি। রেফারেন্স এমন নয় যে আমি বানিয়ে দিয়েছি বা আমার নিজস্ব কথা । সহিহ বোখারী থেকেই রেফারেন্স দিয়েছি। আমিও মুসলিম ঘরের সন্তান আর আপনিও । এই তো কয়েক বছর আগে আমিও আপনার মত ছিলাম আর অনেক নাস্তিকের সাথে তর্ক করেছি আমি নিজেই ! রেফারেন্স দিয়েছি মানা না মানা আপনার ব্যাপার ।

আলোচনার এই পর্যায়ে এসে মনে হল আপনি বস্তুনিষ্ঠ আলোচনার উপযুক্ত নন ! ধর্মকে যদি অন্ধবিশ্বাস দ্বারা দেখেন তাহলে শুধু ইসলাম কেন হিন্দুদের দেবী দুর্গা ও কালীও সঠিক !!! আর যদি যুক্তির নিরিখে দেখে তাহলে হয়তো সঠিকটা পেতেও পারেণ । আমি সত্যানুসন্ধানী। যখন ইসলাম ও মুসলমানদের দুর্নাম হয় তখন অনেক কষ্ট পাই ! মুসলমানেরা যখন ধর্মের নামে বোমাবাজি করে তখন আহত হই, লজ্জিতও হই ! আমার কাছে মানুষের কোনো ভেদাভেদ নেই । ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো মানুষকে আমি দেখি না । আমি আগে দেখি মানুষ । আমি দেখি মানবতা !

যাইহোক, আপনি বারবার অভিযোগ করেছেন আমি ইহুদিদের টাকা খাই, শিয়াদের টাকা খাই, কাদিয়ানিদের টাকা খাই !! মানুষ কত্ত বড় কুপমণ্ডুক ও মূঢ় হলে এই কথাগুলো বলতে পারে জানি না , তাই আপনার সাথে আলোচনা করার কোনো ইচ্ছেই নেই !

আপনি নামাজের ইমামতি নিয়ে যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর ! নামাজের করার কারণে যদি আবু বকর খলিফা হওয়ার যোগ্য হয় তাহলে আব্দুর রহমান আউফ তার চেয়ে বেশি যোগ্য কারণ রাসুল তখন অসুস্থ ছিলেন না ! সু্স্থ ও স্বাভাবিক মানুষ রাসুল আব্দুর রহমান আউফের ইমামতিতে নামাজ পড়েছেন ! আর আবু বকর, বা উমর সেখানে ছিলেন কিনা সে প্রশ্ন করাও বোকামি কারণ রাসুল স্বয়ং যার পিছনে নামাজ পড়ছেন সেখানে আবু বকর, উমর থাকলেই কি বা না থাকলেই কি ?? এটা বুঝতে হলে তো বেশি জ্ঞানের প্রয়োজন নেই !!!

তারচেয়েও বড় প্রমান দিয়েছি যে, আবু বকরই ১৭ বছর বয়সী ওসামার অধীনে সাধারণ সৈনিক ছিলেন ও ওসামাকে স্বয়ং রাসুল তার মৃত্যুর তিন চার দিন আগে সেনাপতি নিযুক্ত করেছিলেন !!! এটা দ্বারা কি প্রমান হয় না ওসামাও খলিফা হওয়ার যোগ্য ? সো খলিফা হওয়ার এগুলো কোনো যুক্তি বা রেফারেন্স হতে পারে না !

আপনাকে আমি পরামর্শ দেব আপনি ইসলামের ইতিহাস বিশেষ করে রাসুলের মৃত্যুর পরপরই খেলাফত নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তা নিয়ে স্টাডি করুণ । এটা না বুঝলে ইসলামের বিভিন্ন সেক্ট সম্পর্কে কিছুই বুঝবেন না, শুধু অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে থাকবেন আপনিই একমাত্র সঠিক !

অপ্রাসঙ্গিক হলেও আর একটা ব্যাপার-আপনি সম্ভবত শিয়াদেরকে মুসলিম মনে করেণ না ! কিন্তু ইসলাম ও ইসলামের ইতিহাস নিয়ে আমার স্টাডিতে আমি সুন্নী নয় বরং শিয়াদেরকেই আমি সঠিক পেয়েছি যদি ইসলাম ধর্ম সঠিক হয়ে থাকে।

হ্যাঁ, সাহাবিদের ভন্ডামি সম্পর্কে আপনি জানতে চেয়েছেন । হুম, তবে সব সাহাবা নিশ্চয় ভন্ড ছিলেন না !সাহাবিদের ভন্ডামি সম্পর্কে জানতে হলে বা বুঝতে হলে তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি থাকতে হবে যাতে নিজের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করতে পারেণ। আমি অনেক রেফারেন্স দিতে পারব কিন্তু তাতে কি হবে ? আপনার বিশ্বাস টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু খোড়া যুক্তি দিবেন যা উপরে দিয়েছেন , এরচেয়ে খোলা মনে নিজ থেকেই স্টাডি করুণ , যদি চিন্তা করার শক্তি থাকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা থাকে তাহলে নিশ্চয় উপলব্ধি করতে পারবেন।

কয়েকটা উদাহরণ দেই -

যে ওমর রাসুলের মৃত্যুর সাথে সাথেই বললেন, যে বলবে রাসুল মারা গেছে তার গর্দান নেব ! উনি আরো বলেছিলেন রাসুল মরতে পারেণ না ! কিন্তু আবু বকরের বক্তব্যে উনি উপলব্ধি করতে পারেণ যে রাসুল সত্যিই মারা গেছেন !

এখন এখানে মেনে নিলাম, ওমর রাসুলের অন্ধ ভক্ত ও প্রাণাধিক ভালবাসেন বলেই তিনি রাসুলের মৃত্যু মেনে নিতে পারেণনি কিন্তু এই উমর তার দুতিন দিন আগে রাসুলের এক নির্দেশ অমান্য করেছিলেন ! রাসুল যখন মৃত্যুশয্যায় উপস্থিত তখন রাসুল বলেছিলেন তোমরা লেখার উপকরণ নিয়ে আস আমি তোমাদেরকে এমন কিছু লিখে দিতে চাই যার দ্বারা তোমরা কোনোদিন পথভ্রস্ট হবে না ! তখন উপস্থিত উমর বলেছিলেন, রাসুল প্রলাপ বকছেন ! আমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট !!! তখন উপস্থিত লোকজন দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক ভাগ লেখার উপকরণ আনার পক্ষে আর একভাগ বিপক্ষে !!! এনিয়ে রাসুলের ঘরের মধ্যে প্রবল গোলমাল শুরু হয় তখন রাসুল বলেছিলেন, যাও তোমরা সবাই বেরিয়ে যাও আমার ঘর থেকে !!!

দেখুন, এইক্ষেত্রে ওমর রাসুলকে পাগল বানিয়ে দিলেন !!! আর এই দুইটা হাদিসের বিশ্লেষণ ও সুক্ষ্ণ বিশ্লেষণ করতে পারলে আপনি বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন !!! এরকম হাজার হাজার প্রমান যা সহিহ সিত্তাহ থেকেই বর্ণিত !

এখানে আর একটা প্রমান দেই, উহুদ যুদ্ধে যখন গুজুব রটলো যে রাসুল মারা গেছেন তখন এই উমরই যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যেয়ে ঘোষণা করেছিল যে রাসুল যখন বেঁচে নেই তখন যুদ্ধ করে কি লাভ ? তখন এক সাহাবি ( নাম আমার এই মুহূর্তে মনে নেই ) বললেন, রাসুল যখন মারা গেছেন তখন বেঁচে থেকে কি লাভ ? এই কথা বলে তিনি কাফেরদের দিকে ছুটলেন ও যুদ্ধ যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হলেন !!!

এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা আপনার কাছে আছে কি ? যদি চান এরকম অনেক বলতে পারব রেফারেন্স সহ। রেফারেন্স দিতে গেলে একটু ঘাটতে হয়। তাই রেফারেন্স ছাড়াই বললাম। যদি চান রেফারেন্স দিব। তবে আজ কাল নয়।











১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: দেখুন আরো কিছু সহিহ হাদিস-

সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) রাসুল (সা.)’র বণ্টন নিয়ে মতপার্থক্য করেছিল
সহিহ মুসলিম ৩য় খণ্ড, কিতাবুয যাকাত, অনুচ্ছেদ- ৩১, পৃষ্ঠা-৪৩৪, হাদিস নং-২৩০২, ২৩০৩, ২৩০৪।

সাহাবীরা রাসুল (সা.)’র সম্পদ বণ্টন নিয়ে সন্দেহ করতেন
সহিহ মুসলিম, ৩য় খণ্ড, কিতাবুয যাকাত, অনুচ্ছেদ- ৩১, পৃষ্ঠা-৪৩৬, হাদিস নং-২৩০৫-২৩০৭, ২৩১৭-২৩২১, ২৩২৫।
সহিহ মুসলিম
অনুবাদঃ মাওলানা আফলাতুন কায়সার
সম্পাদনাঃ মাওলানা মহাম্মদ মুসা
প্রকাশঃ বাংলাদেশ ইসলামি সেন্টার
প্রথম প্রকাশঃ জুন ১৯৯৯
রাসুল (সা.) হায়ায অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করতেন!!!
২য় খণ্ড, কিতাবুল হায়ায, অনুচ্ছেদ-১, পৃষ্ঠা-৬৭, হাদিস নং-৫৮৬-৫৮৮।
আয়েশা রাসুল (সা.)’কে অনৈতিক কাজের সন্দেহ করতেন!!!
৩য় খণ্ড, নবম অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৩৩৭, হাদিস নং-২১২৮।
এছাড়াও সিহাহ সিত্তাহ তে রাসুলের যৌন জীবন নিয়ে অসংখ্য অনৈতিক হাদিসের বর্ণনা করা হয়েছে, যা যে কোন মানুষের পক্ষে রাসুল (সা)’কে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা সহজ হয়ে যায়। যার প্রমাণ আমরা পৃথিবীর নানান স্থানে দেখেছি। সালমান রুশদি, বাংলাদেশের তসলিমা নাসরিন, কবি শামসুর রহমান, হুমায়ুন আহাম্মেদ, হুমায়ুন আযাদ সহ তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং নাস্তিক সমাজ এই সকল হাদিসকে রেফারেন্স ধরেই রাসুল (সা) সম্পর্কে কুৎসা রটনা করে। আর আমাদের আলেম সমাজ সেসকল কথা নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। আমার মতে তাদের এই প্রতিবাদের কোন অধিকার নাই। তাদের কিতাবে এই সকল কথার সমাহারে শুধু নাস্তিকরা কেন, যেকন সুস্থ চিন্তার মানুষ এটা মনে করবেই। এটা কেমন আচরণ যে, যে কথা মসজিদের হুজুরের মুখে শুনলে বলি সুবাহানাল্লাহ একই কথা নাস্তিকের মুখে শুনে বলি আস্তাগফিরুল্লাহ!!!

রাসুল (সা.) সহবাস জনিত নাপাকি সহ রোযা শুরু করতেন!!!
চতুর্থ খণ্ড, কিতাবুস সিয়াম, অনুচ্ছেদ-১১, পৃষ্ঠা-৩৯, হাদিস নং-২৪৫৫-২৪৬০।

রাসুল (সা.) প্রায়ই নামায কাযা করতেন!!!
২য় খণ্ড, কিতাবুল মসজিদ, অনুচ্ছেদ-৫১, পৃষ্ঠা-৪৮৩, হাদিস নং-১৪৪০-১৪৪৪।

উমর কর্তৃক রাসুল (সা.)’কে নামাযের তাগিদ দিলে রাসুলের তিরস্কার
২য় খণ্ড, কিতাবুল মসজিদ, অনুচ্ছেদ-৪১, পৃষ্ঠা-৪২৭, হাদিস নং-১৩২৮।

রাসুল (সা.) ওয়াজিব গোসল না করেই সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন!!!
২য় খণ্ড, কিতাবুল মসজিদ, অনুচ্ছেদ-৩১, পৃষ্ঠা-৩৯০, হাদিস নং-১২৫৫, ১২৫৬ ।
রাসুল (সা.) সালাতে ভুল করতেন!!!
২য় খণ্ড, কিতাবুল মসজিদ, অনুচ্ছেদ-১৯, পৃষ্ঠা-৩৪৪, হাদিস নং-১১৫৮-১১৬১, ১১৬৩-১১৭৩, ১১৭৫-১১৮২।

শয়তান রাসুল (সা.)’র সালাতে বিগ্ন ঘটাত!!!
২য় খণ্ড, কিতাবুল মসজিদ, অনুচ্ছেদ-০৮, পৃষ্ঠা-৩১২, হাদিস নং-১০৯৮-১১০০।

রাসুল (সা.)’র কথায় সাহাবীরা সন্দেহ পোষণ করতেন
১ম খণ্ড, কিতাবুল ইমান, অনুচ্ছেদ-৪৮, পৃষ্ঠা-২০০, হাদিস নং-২১৩।

সাহাবীরা নবীর সামনে উচ্চ কণ্ঠে কথা বলতেন
১ম খণ্ড, কিতাবুল ইমান, অনুচ্ছেদ-৫৩, পৃষ্ঠা-২০৭-২০৯ হাদিস নং-২২২-২২৫।

সাহাবীরা দুনিয়ার সম্পদ নিয়ে পারস্পরিক দন্ধে লিপ্ত ছিলেন
১ম খণ্ড, কিতাবুল ইমান, অনুচ্ছেদ-৬০, পৃষ্ঠা-২৩১, হাদিস নং-২৬৩, ২৬৪, ২৬৬, ২৬৭। এবং ১ম খণ্ড, কিতাবুল ইমান, অনুচ্ছেদ- ৬১ পৃষ্ঠা-২৩৫, হাদিস নং-২৬৯, ২৭০।

সাহাবীদের মধ্যে হাতে গোনা কিছু লোক আমানতদার ছিলেন
১ম খণ্ড, কিতাবুল ইমান, অনুচ্ছেদ- ৬৩, পৃষ্ঠা-২৩৮, হাদিস নং-২৭৫, ২৭৬।

খলীফা উমর ফিতনার উৎস/দরজা
১ম খণ্ড, কিতাবুল ইমান, অনুচ্ছেদ- ৬৩, পৃষ্ঠা-২৪০ হাদিস নং-২৭৭, ২৭৮, ২৭৯।

সাহাবীরা রাসুল (সা.)’র দান নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না
১ম খণ্ড, কিতাবুল ইমান, অনুচ্ছেদ- ৬৭, পৃষ্ঠা-২৪৫, হাদিস নং-২৮৬, ২৮৭, ২৮৮, ২৮৯।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর খেয়ানতকারি ছিলেন
২য় খণ্ড, কিতাবুল তাহারাত, অনুচ্ছেদ-২, পৃষ্ঠা-০২, হাদিস নং-৪৪২, ৪৪৩।

রাসুল (সা.)’র পর কিছু সাহাবী তাদের দ্বীন’ কে পরিবর্তন করে ফেলার প্রমাণ
২য় খণ্ড, কিতাবুল তাহারাত, অনুচ্ছেদ-১০, পৃষ্ঠা-২৭, হাদিস নং-৪৯১, ৪৯২।

রাসুল (সা.)’র সাথে সাহাবীদের বেয়াদবি
৩য় খণ্ড, ষষ্ঠ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ- ২১, পৃষ্ঠা-১২৭, হাদিস নং-১৭০২।

জুমার খুৎবার চেয়ে সাহাবীরা বাণিজ্যিক কাফেলার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিল!!!
৩য় খণ্ড, নবম অধ্যায়, অনুচ্ছেদ- ১০, পৃষ্ঠা-২১২, হাদিস নং-১৮৭৪-১৮৭৭।

আয়েশা রাসুল (সা.)’কে অনৈতিক কাজের সন্দেহ করতেন!!!
৩য় খণ্ড, নবম অধ্যায়, পৃষ্ঠা- ৩৩৭, হাদিস নং-২১২৮।


মুয়াবিয়া ফিতরার বিধান পরিবর্তন করেছিল
৩য় খণ্ড, কিতাবুয যাকাত, অনুচ্ছেদ- ২, পৃষ্ঠা-৩৫১, হাদিস নং-২১৫৫-২১৫৭।


সাহাবীদের ব্যাপারে রাসুল (সা.) দুনিয়ার মায়া পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন
৩য় খণ্ড, কিতাবুয যাকাত, অনুচ্ছেদ- ২৯, পৃষ্ঠা-৪২৬, হাদিস নং-২২৯০-২২৯২।

সাহাবীরা যুদ্ধক্ষেত্রে রাসুল (সা.)’কে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন!!!
৩য় খণ্ড, কিতাবুয যাকাত, অনুচ্ছেদ- ৩১, পৃষ্ঠা-৪৪০, হাদিস নং-২৩১০, ২৩১১।

আমার পোস্টে এই বাক্যটা কিভাবে এড়িয়ে গেলেন, বরখাস্তকৃত উমাইয়া গভর্ণররা মুয়াবিয়ার পতাকাতলে সমবেত হয়ে খলিফা আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন ! ক্ষমতার লড়াইয়ে নবী মোহাম্মদের কষ্টি পাথরে বাছাই করা সোনার সাহাবারা একে অপরকে হত্যা করা শুরু করল

তাই আবারো বলছি, সাহাবিদের ( নিশ্চয় সব সাহাবি নয়) ভন্ডামি সম্পর্কে জানতে হলে বা বুঝতে হলে তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি থাকতে হবে যাতে নিজের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করতে পারেণ। আমি অনেক রেফারেন্স দিতে পারব কিন্তু তাতে কি হবে ? আপনার বিশ্বাস টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু খোড়া যুক্তি দিবেন যা উপরে দিয়েছেন , এরচেয়ে খোলা মনে নিজ থেকেই স্টাডি করুণ , যদি চিন্তা করার শক্তি থাকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা থাকে তাহলে নিশ্চয় উপলব্ধি করতে পারবেন।



১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আর ইহুদীদের টাকাতো আপনার আছেই, ওগুলো দিয়ে মায়াকান্না করে কোমল মতি অল্পজানা ভাইদের আস্তে আস্তে নিজের দলে টানবেন।

যার মেধা আছে, চিন্তা শক্তি আছে, জানার আগ্রহ আছে ও উপলব্ধি করার ক্ষমতা আছে সে নিশ্চয় আমার দলে এমনিতেই চলে আসবে আপনার কুপমন্ডুক ও মূঢ়েরা অন্ধ বিশ্বাস ত্যাগ করতে পারে না কারণ তাদের চিন্তা শক্তি নেই, মাথায় কিছু থাকলেই তো তবে চিন্তা করবে ?

আগেই তো বলেছি গতকালকের বাজার ও আজকের বাজারও ইহুদিদের টাকায় করেছি ! বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ব্লগ লিখেছি বলেছি। ফেসবুকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রচুর লেখালেখি করেছি বলেই ওরা আমাকে মাসে মাসে ডলার পাঠায় !! আর আপনাকে দেয় সৌদি আরব । সৌদি আরব সারা বিশ্বের ইসলামি জঙ্গীদের গুরু ও সৌদি বাদশাহ হল আপনাদের অঘোষিত খলিফা । সেই খলিফার তো টাকার অভাব নেই,তেল বিক্রির টাকা বলে কথা ! আইএসআইএল যেভাবে টাকা পাচ্ছে সেভাবে তো আপনি পাচ্ছেন । আর ছড়াচ্ছেন ইসলামি মৌলবাদ ! মানুষ মারেলেই বেহেস্ত ! অলরেডি আমাকে হুমকিও দিয়েছেন !!! এরচেয়ে বড় প্রমান আর কি আছে ?

আপনার সাথে আর আলোচনা নয়। ধন্যবাদ।

২০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো লাগছে আপনার সাহসী উপস্থাপনায় । আমিও দীর্ঘদিন স্টাডি করছি এবং তা আরও ব্যাপকতর । আমরা অনারব বাঙ্গাল আরবদের জঘন্য কার্যকলাপের সমালোচনা অবশ্যই করার অধিকার রাখি । তিন খণ্ডের ইরাক সউদদের খেয়ে ফেলবে আর তাই দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য হামাসকে বলা হল চালাও রকেট । এই রকম দীর্ঘ বিতর্ক আর কোন পোষ্টে দেখিনি । একেই বলে পিওর ব্লগিং । এখানে যারা অংশগ্রহন করেছেন দয়া করে আরও চুলচেরা বিশ্লেষণে আসুন । হ্যাপি ব্লগিং ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। যুক্তিনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ মন্তব্য অবশ্যই গ্রহনযোগ্য ও উত্তর দিতে ভাল লাগে। কিন্তু কেউ যখন এসে অযৌক্তিক, ভাসা ভাসা ও স্লাং ল্যাংগুয়েজ ইউজ করে কমেন্ট করে তখন সত্যিই বিরক্ত চলে আসে !

আমি সত্যানুসন্ধানী। সত্য মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নেই । তাই কেউ আলোচনা করতে চাইলে আমি অবশ্যই অংশগ্রহন করব। এরও আগেও অনেক ক্ষেত্রে করেছি। আপনারও জন্য শুভ কামনা ।

২১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাই লেখক, আপনার মূল লেখাটা পড়ে আপনাকে অনুসন্ধানী, যুক্তিশীল ব্লগার বলেই মনে করেছিলাম, কিন্তু আপনার মন্তব্যগুলো দেখে যারপরনাই বিস্মিত হলাম - বিশেষত ১৯ নম্বর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা দ্বিতীয় মন্তব্যে। রেফারেন্সগুলো দিয়ে আপনি ঠিক কি প্রমাণ করতে চাইলেন, বুঝলাম না। মনে হল এগুলোর মাধ্যমে আপনি ইতিহাসের মতপার্থক্য নয়, ইতিহাসের মহৎ চরিত্রদের চরিত্রহরণে নেমেছেন।
ব্লগার মুদ্‌দাকিরের সাথে আমি একমত যে আপনার দেয়া রেফারেন্সগুলোর কোনটাই প্রমাণ করে না যে তারা ক্ষমতালিপ্সু বা ভণ্ড, আর আপনার শেষ রেফারেন্সগুলো তাদের দ্বৈত-চরিত্র প্রমাণের জন্য অপ্রতুল এবং অপ্রাসঙ্গিক।

তবে আপনাকে আমার কোনভাবেই কাদিয়ানী, শিয়া বা ইহুদি বলে মনে হয়নি (এদের কোনটাকেই আমি শুধুমাত্র মতবাদের কারণে অপাংক্তেয় মনে করিনা)। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আপনাকে আমার কিছুটা ক্রাক বলে মনে হলো। আমি দুঃখিত এটা ছাড়া উপযুক্ত কোন শব্দে বিষয়টাকে প্রকাশ করা সম্ভব হলোনা। ক্রাকদের বিশ্লেষণ চমৎকার, তথ্য উপাত্ত নিখুত, কিন্তু তারা ফোকাস করে বিষয়ের বাইরে, বা বিষয়ের খুব অগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। আপনার মূল লেখাটায় নয়, মন্তব্যগুলোতে তাই ফুটে উঠেছে।

জানিনা আপনি ব্যাক্তি জীবনে ঠিক কেমন, তবে দেখা যায় এই ধরণের মানুষদের চিন্তার অসগ্লনতা ব্যাক্তি জীবনেও প্রকাশ পায়। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: বিশেষত ১৯ নম্বর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা দ্বিতীয় মন্তব্যে। রেফারেন্সগুলো দিয়ে আপনি ঠিক কি প্রমাণ করতে চাইলেন, বুঝলাম না। মনে হল এগুলোর মাধ্যমে আপনি ইতিহাসের মতপার্থক্য নয়, ইতিহাসের মহৎ চরিত্রদের চরিত্রহরণে নেমেছেন।

আমি আমাকে ভুল বুঝেছেন। আমি কারো চরিত্র হনন করতে চাইনি আর সেটা আমার ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যও নয় । ১৯ নং কমেন্টের বিপরীতে আমার দ্বিতীয় মন্তব্যে যে রেফারেন্সগুলো দিয়েছি তা মূল মুদদাকিরের করা মন্তব্যের বিপরীতে। সাহাবিরা যে নিষ্পাপ ও বিতর্কের র্উদ্ধে নয় তার প্রমান করতে ঐ রেফারেন্সগুলো আর তথাকথিথ সহিহ হাদিসের নামে মানুষকে যেভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সেটাও উদ্দেশ্য।তাই পোস্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক হলেও মুদদাকিরের কমেন্ট প্রসঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক মোটেই নয়।

আর চরিত্র হনন তখনই হয় যা তিনি বা তারা করেণনি অথচ আমি তা দাবি করতেছি। আমার কাছ থেকে এরকম কোনো বাক্য পেয়েছেন কি ?

আমার মূল বিষয় হল-শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্ব মূলত বনু হাশিম ও উমাইয়াদের দ্বন্দ্ব । এটাই হল আমার পোস্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সেখানে ইতিহাস ও হাদিস, কোরানের আলোকে কোনো চরিত্রবানের চরিত হনন হলেও আমার করার কিছুই নেই । কেউ যদি আমার সাথে আলোচনা করতে চায় ইসলামের খেলাফতি দ্বন্দ্ব নিয়ে কোন খলিফা কিভাবে খলিফা হয়েছেন ইতিহাস, হাদিস ও কোরানের আলোকে-আমি আলোচনা করতে প্রস্তুত ! পয়েন্ট টু দা পয়েন্ট । কোনো এলামেলোভাবে নয়। ধন্যবাদ ।

২২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাই লেখক, আপনার মূল লেখাটা পড়ে আপনাকে অনুসন্ধানী, যুক্তিশীল ব্লগার বলেই মনে করেছিলাম, কিন্তু আপনার মন্তব্যগুলো দেখে যারপরনাই বিস্মিত হলাম, বিশেষত ১৯ নম্বর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা দ্বিতীয় মন্তব্যে। রেফারেন্সগুলো দিয়ে আপনি ঠিক কি প্রমাণ করতে চাইলেন, বুঝলাম না। মনে হল এগুলোর মাধ্যমে আপনি ইতিহাসের মতপার্থক্য নয়, ইতিহাসের মহৎ চরিত্রদের চরিত্রহরণে নেমেছেন।
ব্লগার মুদ্দাকিরের সাথে আমি একমত যে আপনার দেয়া রেফারেন্সগুলোর কোনটাই প্রমাণ করে না যে তারা ক্ষমতালিপ্সু বা ভণ্ড, আর আপনার শেষ রেফারেন্সগুলো তাদের দ্বৈত-চরিত্র প্রমাণের জন্যও অপ্রতুল এবং অপ্রাসঙ্গিক।

তবে আপনাকে আমার কোনভাবেই কাদিয়ানী, শিয়া বা ইহুদি বলে মনে হয়নি (এদের কোনটাকেই আমি শুধুমাত্র মতবাদের কারণে অপাংক্তেয় মনে করিনা)। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আপনাকে আমার কিছুটা ক্রাক বলে মনে হলো। আমি দুঃখিত এটা ছাড়া উপযুক্ত কোন শব্দে বিষয়টাকে প্রকাশ করা সম্ভব হলোনা। ক্রাকদের বিশ্লেষণ চমৎকার, তথ্য উপাত্ত নিখুত, কিন্তু তারা ফোকাস করে বিষয়ের বাইরে বা বিষয়ের খুব অগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। আপনার মূল লেখাটায় নয়, মন্তব্যগুলোতে কিন্তু তাই ফুটে উঠেছে।

জানিনা আপনি ব্যাক্তি জীবনে ঠিক কেমন, তবে দেখা যায় এই ধরণের মানুষদের চিন্তার অসগ্লনতা ব্যাক্তি জীবনেও প্রকাশ পায়। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

২৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
আপনার সাহসী উপস্থাপনায় প্রসংসা না করে পারছিনা। আমিও বিভিন্ন কিতাব স্টাডি করছি অনেক প্রশ্নের উদয় হয়, তবে ভয়ে কিছু বলতে পারিনা ।

২৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ভাই আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, আপনাকে অর্থ গ্রহনের অপবাদ দেয়ার জন্য। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল মুনাফিকের মায়াকান্না, তাই আপনাকে কাদিয়ানি, শিয়া, ইহুদি পোষ্য ইত্যাদি বলেছিলাম, ব্যাপার গুলো খুব বেশী ইমোশানাল হয়ে গেছে। আর আপনি তীক্ষ্ণ ধী সম্পন্ন কেউই হবেন। আর আমি যেহেতু ইমশানাল হয়েছিলাম, আমিই নির্বোধ। যাই হোক আপনি স্বীকার করলেন যে আপনি নাস্তিক। এরপরে আর বলার কিছুই থাকে না। আমি ব্যাক্তি গত ভাবে প্রকাশ্য নাস্তিকদের তেমন একটা অপছন্দ করিনা। কারন তাদের মধ্য আল্লাহের চিন্তা আছে বলেই তারা নাস্তিক। বাকিরা যারা চিন্তা নাকরেই অন্ধ ভাবে অনেক কিছু পালন করেন, তাদের চেয়ে নাস্তিকদের অবস্থান আমার কাছে উপরে। যাই হোক আপনি একটা বৃত্ত্যের মধ্যে ঢুকে গেছেন আরা তাহোল "সালমান রুশদি, তসলিমা নাসরিন, কবি শামসুর রহমান, হুমায়ুন আযাদ সহ তথাকথিত বুদ্ধিজীবী " বৃত্ত। আপনি এর স্বীকার করুন আর নাই করুন আপনি এই বৃত্ত দ্বারা প্রভাবিত। আপনি এই প্রভাবের বাইরে চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়েছেন, যদিও তা আপনি কখনই বুঝবেন না বা স্বীকার করতে চাইবেন না। আপনি আর আমার সাথে কথাই বলতে চাইছেন না। তবুয় বেহায়ার মত অনেক কথা বলে ফেললাম। আর একটা কথা আজ ভোর রাতেও আবার রাসূল সাঃ এর ওফাত এবং হযরত আবু-বকর রাঃ এর খলিফা হওয়ার ঘটনাবলি বিস্তারিত স্টাডি করলাম। সন্দেহ করার মত কিছুই পেলাম না। আসলে, আল্লাহতো মানুষকে বলেই দিয়েছে , কুরয়ান পরেও একদল মানুষ ভ্রান্তই হবে। সেই খানে ইতিহাস আর হাদিস এ আর এমন কি???!!

ক্ষমা করবেন আমাকে।

আল্লাহ আপনার ভালো করুন।

আসসালামুয়ালাইকুম।

আমরা যদি ভ্রান্ত হই এই বিষয় গুলো নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে গুছিয়ে পোষ্ট দিয়ে আমাদের ভ্রান্তি কিছুটা দূর করার অনুরোধ থাকল।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভাই, মুদদাকির, আপনার কমেন্টগুলো ইমোশনাল ছিল আমি তা জানি। ইমোশনটা তখনই আসে যখন তা নিজের বিশ্বাসে আঘাত লাগে। সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারে না । আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই বিশ্বাসগুলো একদিনে ভাঙ্গা সম্ভব নয় ।

আমি কখনই কোথাও নিজেকে জ্ঞানী দাবি করিনি কিন্তু যখন কেউ অমার্জিত ভাষা ইউজ করে তখন স্বভাবতই তার জ্ঞান, বুদ্ধি নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলি। এজন্য আপনি কষ্ট পেলে আমি দু:খ প্রকাশ করছি।

আর একটা কথা আজ ভোর রাতেও আবার রাসূল সাঃ এর ওফাত এবং হযরত আবু-বকর রাঃ এর খলিফা হওয়ার ঘটনাবলি বিস্তারিত স্টাডি করলাম। সন্দেহ করার মত কিছুই পেলাম না।

পাবেন কিভাবে ? আপনি পেলে তো এভাবে সবাই পেত তাহলে তো এতদিনে সবাই ধর্ম চেন্জ করে ফেলত ! আমরা সবাই দেখি হিন্দুদের ধর্ম অসাড় কিন্তু হিন্দুরা কি তা বুঝে বা মানে ? এখন হিন্দু যদি বলে ঘুম থেকে উঠে বেদ গিতা মহাভারত পড়লাম কিন্তু কোথাও মনে হল না আমার ধর্মটা ভুয়া !! তো কি বলবেন তাকে ?

আপনি যদি সত্যিকারভাবে আমার সাথে আলোচনা করতে চান আমি অবশ্যই করব। তবে এজন্য নির্দিষ্ট টপিকে আলোচনা করতে হবে। রাসুলের ওফাতকালীন ও খেলাফত। এটাই তো মূল সমস্যা । তাই তো !

সো প্রথমে আমাকে জানতে দিন ইসলামে খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি কি ? রাসুল কি এবিষয়ে কিছু বলে গেছেন ? যদি বলে থাকেন তো ভাল কথা আর না বলে থাকলে মুসলমানেরা কিভাবে তাদের খলিফা নির্বাচন করবে ?

আর আবু বকর কি কি কারণে প্রথম খলিফা হওয়ার যোগ্য অন্য কোনো সাহাবা নয় কেন ? আবু বকর খলিফা নির্বাচিত কিভাবে হলেন ?

এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর আপাতত দিন।

আমি একটু ব্যস্ত আছি। সামনের শনিবার আমার জবাব পাবেন। সো ভাল থাকুন । ধন্যবাদ।

২৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

ওপেস্ট বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । ধন্যবাদ

২৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

ওপেস্ট বলেছেন: মুদ্‌দাকির@ আপনার পাছাই একটা লাথি মারতে পারলে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করতাম

২৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপনার সাথে এই সব ব্যাপারে কথা বলে লাভ নাই, কারন আপনি প্রতি পদে পদেই ভুল পাবেন। আমারা যারা মুসলমান তাদের জন্য সাহাবা রাঃ রা অনুসরনীয় এবং অনুকরনিয় এবং মান্য। আপনার ভালো লাগবেনা যদি আমি বলি হযরত আবু-বকর রাঃ বা ওমর রাঃ বা আলী রাঃ এই ভাবে করেছেন তাই এই ভাবেই আমাদের করতে হবে। আপনার হাদীসের রেফারেন্স লাগবে, তা যদি যৌক্তিক হয় তখন তাও মনপুত হবে না তখন বলবেন কুরয়ানের রেফারেন্সটা কৈ????? এই চক্রে বুদ্ধি মত্তার সাথে সামলে না নিতে পেরেই আজ হয়ত আপনার এই অবস্থা। যাইহোক একসময় মুসলিম ছিলেন তাই কিছু বলা। তা না হলে এই ই B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) ভালো!!!!

আমি যতদূর জানি নবীজি সাঃ কোন নির্দিষ্ট নিয়ম খলিফা নির্বাচনের জন্য বলে যান নি!! তবে সাহাবা রাঃ রা যে নিয়ম মেনে চার খলিফা পর্যন্ত নির্বাচন করেছেন। আমার কাছে তাই রুল। আপনার কাছে এগুলো যৌক্তিক হবে বলে আশা করছিনা।

আর আবু বকর রাঃ কেন?

(
A woman asked the Prophet who to come back to for help should the Prophet not be there (i.e. if the Prophet had died). The Prophet stated Abu Bakr.

The Prophet said, "Follow the best successors after me: Abu Bakr and Umar."

When the Prophet became ill, Aisha said that he asked her to call in Abu Bakr to write a letter "so that people will not dispute."

The Prophet asked Abu Bakr to lead the prayer in his absence.

The Prophet informed us of a dream he had in which he pulled some water out of a well, followed by Abu Bakr, then by Umar.

During a khutba, the Prophet said, "If I were to choose a best friend from the people, I would choose Abu Bakr."

A man had a dream where the Prophet and Abu Bakr where weighed against each other, and the Prophet was found to be heavier. Then Abu Bakr and Umar were weighed - Abu Bakr being heavier. Then Umar and Uthman were weighed - Umar being heavier.)

আর আমার জন্যতো শুধু মাত্র হযরত আবুবকর রাঃ রাসুল সাঃ এর নির্দেশে । উনার মৃত্যুর সময়ের অসুস্থতায় ১৭ মতান্তরে ১৩ বা ১৫ ওয়াক্তের নামাজেই ইমামতি করেছেন তাই যথেষ্ট। এবং একদম শুরুতে হযরত ওমর রাঃ ভুলে এক ওয়াক্তেরটা করেছিলেন অথবা মতান্তরে করতে নিয়েছিলেন, তখন নবীজী ব্যাপারটা অপছন্দ করেছিলেন এবং হযরত আবুবকরের কথা জোড় দিয়ে বলেছিলেন , এর পরে সব ওয়াক্ততেই হযরত আবু বকর রাঃ ইমামাতি করেছেন।

জানি আপনার কাছে কিছুই যৌক্তিক হবে না। তা হবার কোন কারনো নাই। আর আপনি বার বার ওসামা রাঃ এর সেনাপতি হবার ব্যাপারটা টানছেন। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি নিয়ে এই ছেলে মানুষি কেন করছেন???? খলিফা ইমাম আর সেনাপতি এক ব্যাপার নয়। এমন না যে তিনটা একজনেই হতে পারবেন না। খলিফা আর ইমাম একজন হওয়াই যৌক্তিক কিন্তু সেনাপতিতো একেবারে ভিন্ন ব্যাপার!!!

هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

আল্লাহ আপনাকে আবার ইসলামের ছায়াতলে আনুক। (আমিন)

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার সাথে এই সব ব্যাপারে কথা বলে লাভ নাই, কারন আপনি প্রতি পদে পদেই ভুল পাবেন।[

আপনার এই ২৭ নং কমেন্ট পড়ে আমারও তাই মনে হল যে আলোচনা করে লাভ নেই । কারণ আপনার কাছে আমি যে কয়টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছি আপনি তা দিতে পারেণনি। আমি নিচে সেগুলোর উল্লেখ করতেছি।


প্রথম প্রশ্ন ছিল : সো প্রথমে আমাকে জানতে দিন ইসলামে খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি কি ?

আপনি উত্তরে বলেছেন, আমি যতদূর জানি নবীজি সাঃ কোন নির্দিষ্ট নিয়ম খলিফা নির্বাচনের জন্য বলে যান নি!! তবে সাহাবা রাঃ রা যে নিয়ম মেনে চার খলিফা পর্যন্ত নির্বাচন করেছেন। আমার কাছে তাই রুল। আপনার কাছে এগুলো যৌক্তিক হবে বলে আশা করছিনা।

দেখুন, ইসলামকে বলা হয় বা মুসলমানেরা দাবি করেণ যে ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ! খলিফা নির্বাচনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি ইসলামে বলা না থাকে তাহলে সেই ধর্মকে কিভাবে পরিপূর্ণ জীবন বিধান বলা যাবে ? আমি পোস্টেই সকিফার কথা উল্লেখ করেছি।২৩বছরে তিল তিল করে গড়ে তোলা ইসলামী সাম্রাজ্যকে নেতৃত্বহীন অবস্থায় রেখে যাওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক?এটা কি নবী(সা) এর দায়ীত্বের অপুর্ণতার স্বাক্ষ্য বহন করে না?
(১) খেলাফৎ কি এতই গুরুত্ত পুর্ন বিষয় ছিলো যে নবীর মৃত্যু শোকে শোকাহত না হয়ে সেই দিকে দৌড়ানো বেশি জরুরী ছিলো ???
(২) যদি গুরুত্তপুর্ন না হয় তাহলে কেন নবী সাঃ কে ফেলে সাকীফায় যাওয়া হল???
(৩) আর যদি গুরুত্তপুর্ন হয়ে থাকে তাহলে কেন স্বয়ং নবী সাঃ সেই বিষয় কে জীবিত কালীন স্পষ্ট করে যান নি???
( ৪) নবী সাঃ কি জানতেন না তার পরে তার উম্মতগন এই খেলাফৎ নিয়ে কত দ্বন্দ বিরোধ করবে???
(৫) যদি বলেন, তিনি জানতেন না তার মৃত্যুর পরে এত পরিমান দ্বন্দ বিরোধ হবে, তাহলে তিনি এই কথা কি ভাবে জানলেন? যে তার উম্মত তার মৃত্যুর পর ৭৩ ভাগে ভাগ হয়ে যাবে ,আর এও কি করে বলেন? যে ৭৩ এর মধ্যে এক দল জান্নাতী আর বাকী ৭২ জাহান্নামে প্রবেশ করবে???
(৬) তিনি জানতেন তার মৃত্যুর পর তার উম্মতরা কত বিপদের সম্মুখীন হবে ,তাহলে তিনি কেন আগে থাকতে নিজেই সমস্যার সমাধন করে যাননি???
(৭) না কি তিনি সমাধন করে গিয়েছিলেন???
(৮) যদি আল্লাহ ও তার রসুল খলীফা বানানো প্রয়োজন বোধ না করেন তাহলে অন্যদের কি অধিকার থাকতে পারে খলীফা বানানোর ???
(৯) আল্লাহ ও তার রসুল সঃ বেশি জানেন না আমরা বেশি জানি???
(১০) খেলাফৎ কি এতই সাধারন জিনিষ যেটা রসুল সঃ সাহাবী বা উম্মতের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন ,নিজে সেটা নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করেন নি????
(১১) যদি সাধারন জিনিষ হয় তাহলে তা নিয়ে এক অপরকে এত গালি গালাজ,রক্তপাত কেন করা হয়???
( ১২) তার অর্থ(রক্তপাত,খুনো খুনি করার) এই খেলাফৎ কোন সাধারন জিনিষ নয় বরং খুবই গুরুত্তপুর্ন বিষয়...সেই কারনেই তো যখন ফেরেশ্তাগন বলেছিলেন ..হে আল্লাহ তুমি তাকে খলীফা নিযুক্ত করবে যে কিনা জমিনে গিয়ে রক্তপাত ঘটাবে....ফেরেশ্তারা বলতে চেয়েছিলেন আমাদের মধ্যে থেকেই কাউকে বানানো হোক..কিন্তু আল্লাহ কি উত্তর দিলেন..ইন্নি আ,লামু মা,লা,তায়ালামূন....আমি যা জানি তোমরা তা জান না!!!!তো যে খেলাফতের রহস্য মাসুম ফেরেশ্তাগন জানলো না রসুলের পর এই মুর্খ পাপিরা কি করে জানলো????

ইসলামের প্রথম চার খলিফা চার নিয়মে খলিফা হয়েছেন। একই সঙ্গে চারটি নিয়ম গ্রহনযোগ্য হতে পারে না । প্রথম খলিফা খলিফা কিভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তা জানা থাকলে নিশ্চয় এভাবে বলতেন না যে , ওনারা যেভাবে করে গেছেন তাই আমার রুল !!! প্রথম খলিফা আবু বকরের নির্বাচন সম্পর্কে খলিফা ওমর নিজেই বলে গেছেন, (O people!) I have been informed that a speaker amongst you says, 'By Allah, if 'Umar should die, I will give the pledge of allegiance to such-and-such person.' one should not deceive oneself by saying that the pledge of allegiance given to Abu bakr was given suddenly and it was successful.No doubt, it was like that, but Allah saved (the people) from its evil, and there is none among you who has the qualities of Abu bakr. Remember that whoever gives the pledge of allegiance to anybody among you without consulting the other Muslims, neither that person, nor the person to whom the pledge of allegiance was given, are to be supported, lest they both should be killed. ...Sahih al-Bukhari, Book 86, Hadith 6830

দেখুন, প্রথম খলিফা যেভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন পরবর্তীতে ওভাবে কোনো খলিফা নির্বাচিত হলে ওমর সেটাকে প্রতারণাপূর্ণ বলেছেন এবং শুধু তাই নয় তিনি বলেছেন, কোনো পরামর্শ ছাড়াই যে একজনের আনুগত্য করবে তাকেসহ যার আনুগত্যা করবে দুজনকেই হত্যা করার কথা বলেছেন। এ থেকে আমরা বলতে পারি আবু বকরের খলিফা নির্বাচন বিশুদ্ধ ছিল না ! যদি বিশুদ্ধ পদ্ধতি হত তাহলে নিশ্চয় পরবর্তী খলিফা ওমর সেই পদ্ধতিকে বাতিল করতেন না , শুধু বাতিল নয়, ঐ পদ্ধতিতে যারা খলিফা নির্বাচন করবে তাকে হত্যার কথাও বলেছেন ! এখানে উল্লেখকৃত যে, ওমর কারো সাথে পরামর্শ না করেই সর্বপ্রথম আবু বকরের হাতে বায়াত নেন !


আর আবু বকর যখন বুঝলেন যে তার সময় শেষ তখন তিনি এক এক করে নেতৃস্থানীয় সাহাবাকে ডাকলেন ও ওমরের বিষয়ে মতামত চাইলেন । তার মানে দাড়ালো তিনি ওমরকে খলিফা করার চুড়ান্ত বন্দোবস্ত করেছেন এখন জাস্ট অন্যদের মতামত নিচ্ছেন ! এরপরেও কেউ কেউ ওমর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন, খলিফা আবু বকর তাতে কর্ণপাত করেণনি ও তাদের মতামতকে আমলে নেননি। এখন দ্বিতীয় পদ্ধতির কাছে প্রথম পদ্ধতি এমনিতেই বাতিল এই পদ্ধতিকে বিশুদ্ধ বলে ধরে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে কি ? এই পদ্ধতিতে তো সব রাজা বাদশাহরাই ক্ষমতাসীন হয় , যেমন মুয়াবিয়া তার ছেলে এজিদকে মনোনীত করে যান ! অনুরুপভাবে তৃতীয় খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতিও ত্রুটিমুক্ত নয়। শুধু চতুর্থ খলিফা মদিনার জনতাই নির্বাচিত করেণ ।

পরের প্রশ্ন ছিলঃ আর আবু বকর কি কি কারণে প্রথম খলিফা হওয়ার যোগ্য অন্য কোনো সাহাবা নয় কেন ? আবু বকর খলিফা নির্বাচিত কিভাবে হলেন ?


এই প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতেই পারেণ নি। কি কি কারণের মধ্যে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন যার মধ্যে নামাজের ইমামতি পূর্বেই আলোচনা হয়েছে। আবু বকরকে ঘরের মধ্যে ডেকেছেন কিছু লেখার জন্য সেটাও আলোচনা করেছি উপরের কমেন্টে। আবু বকরকে ডেকেছেন কি না জানি না তবে নবী সাঃ কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন যাতে মুসলমানেরা পথভ্রষ্ট না হয়, কিন্তু ওমর ঐ সময় বলেছিলন, যে রাসুল প্রলাপ বকতেছেন! আমাদের জন্য কুরানই যথেষ্ট ! তখন উপস্থিত সাহাবারা দুইভাগে ভাগ হয়ে যায় তা পূর্বেই আলোচনা করেছি! দেখুন, খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় !!! এমন কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন যাতে মুসলমানেরা পথভ্রষ্ট না হয় ! কি সেই গুরুত্বপূর্ণ সেটা আজও অজানা থেকে গেল এক উমরের কারণেই !!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এখানে আপনি আয়েশার বর্ণনাকৃত কিছু হাদিস দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আয়েশা সম্পর্কে কিছু বলা দরকার।

আয়েশা অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন এটা সত্য কিন্তু তার বর্ণিত হাদিস গ্রহনযোগ্য কতটুকু তা বিচার বিবেচনার প্রশ্ন । আয়েশার বর্ণনাকৃত হাদিসের মধ্যে এরকম হাদিসও আছে যে কোরানের কিছু পাতা ছাগল খেয়ে ফেলেছে যা পরে আর ঐ পাতাগুলো পাওয়া যায়নি। এছাড়া কোরানে সুরা তাহরিমে অনৈতিক কাজের জন্য রাসুলের দুই স্ত্রীর সমালোচনা করা হয়েছে যার মধ্যে একজন ছিলেন আয়েশা। এছাড়া উপরে একটা হাদিস দিয়েছি যেখানে বলা আছে আয়েশা রাসুলকে সন্দেহ করতেন অনৈতিক কাজের জন্য !!! আয়েশা রাসুল সাঃ এর ওফাত এর পর আলির বিরুদ্ধে অন্যায় যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে হাজারো মুসলমান এর হত্যার কারন হয়েছিলেন !!!! সো আয়েশার বর্ণনাকৃত হাদিস কতটুকু গ্রহনযোগ্য বিশেষ করে রাসুলের উত্তরাধিকার নিয়ে তা অবশ্যই বিচার, বিবেচনা ও প্রশ্নসাপেক্ষ !!!

আর আপনি বার বার ওসামা রাঃ এর সেনাপতি হবার ব্যাপারটা টানছেন। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি নিয়ে এই ছেলে মানুষি কেন করছেন???? খলিফা ইমাম আর সেনাপতি এক ব্যাপার নয়।


অবশ্যই এটার যৌক্তিক কারণ আছে। যেখানে আবু বকর স্বয়ং ১৭ বছর বয়সী ওসামার নেতৃত্ব গ্রহন করেছিলেন ও এটা নিয়ে ওমরসহ অনেক সাহাবিই আপত্তি করেছিলেন কিন্তু রাসুল তাতে কান দেননি বরং ওসামার সেনাপত্তিত্বেই বহাল থাকেন !! নিশ্চয় এর আলাদা তাৎপর্য আছে। যদি আবু বকর ঐ সেনাদলে ওসামার নেতৃত্বগ্রহন না করতেন তাহলে কোনো কথা ছিল না ! এমন কোনো যুদ্ধের অভিযান আছে কি যেখানে রাসুল নিজেই অন্য কোনো সাহাবার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন ? না করেণনি, কিন্তু তিনি অন্যের অধীনে নামাজ পড়েছেন ! এমন কোনো উদাহরণ আছে কি যেখানে আলী রাসুল ছাড়া অন্য কোনো সাহাবার অধীনে সাধারণ সৈনিক হিসাবে যুদ্ধ করেছেন ? তাহলে যুদ্ধের সেনাপত্তিত্বকে ইস্যু হিসাবে টানব না । সো নামাজের ইমামতির চেয়ে যুদ্ধের নেতৃত্ব অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর !!! আশা করি উপলব্ধি করতে পেরছেন।


যাইহোক, আপনার কমেন্টের প্রেক্ষিতে উপরের আলোচনা হলো। কিন্তু আমার ব্লগের মূল বিষয়বস্তু তা না । মূলবিষয় বস্তু হল-বনু হাশিম ও উমাইয়ার দ্বন্দ্ব কিভাবে শিয়া সুন্নীর দ্বন্দ্বে পরিণত হল। তাই পোস্টেই বলেছি- বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নবী মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই নতুন মাত্রা পায়। নবুওয়াত গেলেও রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাতে বনু হাশিমের কাছে যেতে না পারে মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই তার লাশের দাফন কাফন নয় বরং একটানা তিন দিন ধরে বনু সকিফাতে শলাপরামর্শ করে অবশেষে ওমর বিন খাত্তাবের জোর জবরদস্তি মূলক প্রস্তাবে খলিফা হন আবু বকর !

এইখানেই আসল ঘটনাটি। আপনি সেদিকে একবারও যাননি বা এনিয়ে কিছু বলেননি ! আমার পোস্টের মূল বিষয় ছিল নবী মোহাম্মদ সাঃ এর বনু হাশিমের মধ্য থেকে খলিফা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বনু হাশিমিতে সেই খেলাফত যায়নি বরং চক্রান্ত করে সেই খেলাফত ছিনিয়ে নেওয়া হয় যা পরবর্তীতে উমাইয়াদের খেলাফতের পথ প্রশস্ত করে ও উমাইয়া রাজবংশের পত্তন হয়। তাহলে প্রশ্ন দাড়ায়-বনু হাশিমের মধ্যে সেই ব্যক্তিটি কে যিনি মোহাম্মদের পর খলিফা হওয়ার একমাত্র যোগ্য ছিলেন ? সেই ব্যক্তিটিকে আপনারও অজানা নয় -আলী !! তো এখন আলী আবু বকর ও উমর, উসমানের চেয়ে খলিফা হওয়ার প্রকৃত হকদার কিনা সে নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তবে মনে হয় না আলোচনা সন্তোষজনক পর্যায়ে যাবে। আপনার করা কমেন্টগুলো থেকেই তা বুঝতে পারছি। আপনি নিজেও তা বলেছেন আলোচনা করে লাভ নেই । তারপরেও আলী যে প্রথম খলিফা হওয়ার মূল হকদার তা নিম্নে অতি সংক্ষেপে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরছি যা আপনি এর বিপরীতে অন্য কোনো সাহাবির ক্ষেত্রে দেখাতে পারবেন না । আর নবীর ওফাতের পর বনু সকিফাতে খেলাফতের দ্বন্দ্ব ও আবু বকরের খলিফা নির্বাচন ও পরের কিছু ঘটনা পর্যালোচনা করলেই বিসয়টা স্পষ্ট হত বা হবে।


আমরা সবাই এই হাদিসটি জানি যে, রাসুল বলেছেন আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি তোমরা যতদিনিএই দুটি আঁকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না । একটি হচ্ছে কোরআন ও অপরটি সুন্নাহ। আসলে মজার বিষয় যে এই হাদিসটি চেইন অব ন্যারেশন ছাড়া শুধু মুয়াত্তা আল মালিক ব্যতিত কেউ উদৃতি করেণনি এবং সকল সিয়া সিত্তাতে যে মূল হাদিসটি আছে তা হল, আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি তোমরা যতদিন এই দুটি বস্তু আঁকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রস্ট হবে না । সেই বস্তু দুটি হল-কোরান ও আহলে বাইত । এই আহলে বাইতকে অনুসরণ করে শিয়ারা।

হে লোকসকল ! আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি যদি তা ধারণ কর তা কখনই বিপদগামী হবে না ।তা হলো আল্লাহর কিতাব ও আমার আহলে বাইত। তিনি আরো বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি । আল্লাহ কিতাব ও আমার আহলে বাইত। তারা হাউজে কাওসারে আমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হবে না ।


এই হাদিসটি সহিহ বোখারী, মুসলিম, তিরমিজী, মুসনাদে আহমাদ, নাসাই সহ সকল সিয়া সিত্তায় বর্ণিত আছে ! রেফারেন্সের প্রয়োজন হলে অবশ্যই দেব। এজন্যই আমি বলেছিলাম, সুন্নীদের চেয়ে শিয়ারাই সঠিক যদি ইসলাম ধর্ম সঠিক হয়ে থাকে।

বিদায় হজ্ব থেকে ফেরার পথে গাদিরে খুম নামক এক স্থানে রাসুল সাহাবাদের একত্রিত করে মঞ্চ খাটিয়ে হযরত আলীর হাত উচু করে একটি বিখ্যাত ভাষন দেন যা যা শিয়ারা সেটাকে মওলা আলীর অভিষেক হিসাবে পালন করে থাকে। ঐ স্থানে তিনি বলেন, হে লোকসকল ! অতি সত্তর আমি স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করব।আমি তোমাদের এরুপ একটি কথা বলব, যা শোনার পর তোমাদের কোনো ওজর পেশ করার সুযোগ থাকবে না । জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে কোরান ও আমার আহলে বাইতকে রেখে যাচ্ছি।

অতঃপর আলীর হাত উচু করে ধরে তিনি বলেন, আলী কোরানের সঙ্গে ও কোরানও আলীর সঙ্গে। তারা হাউজে কাওসারে মিলিত হওয়া পর্যন্ত পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হবে না । এছাড়াও তিনি বলেছেন, আহলে বাইত হল আমার নুহের কিস্তির মত যে তাতে আহরণ করবে সে নাজাত পাবে আর যে করবে না সে নিমজ্জিত হবে।



তাবরানী তার কাবির গ্রন্থে ও রাফেয়ী তার মুসনাদে অবিচ্ছিন্ন সনদে ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি এজন্য আনন্দিত যে সে চায় আমার মত জীবন যাপন করতে, আমার মত মৃত্যুবরণ করতে ও আমার প্রতিপালকের বেহেস্তে চিরস্থায়ী বসবাস করতে সে জানে আলীকে ভালবাসে ও আলীকেই তার অভিভাবক বলে জানে।সে যেন আলীকে তার বন্ধু বলে জানে।

আমি হলাম জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরজা ।

আলীর সাথে আমার সম্পর্ক হল মুসার সাথে হারুণের ন্যায়। পার্থক্য শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই ।

যে আলীকে ভালবাসে সে আমাকে ভালভাসে , যে আলীকে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।

সাহাবিরা একদিন রাসুলকে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনার উপর সালাম কিভাবে পাঠ করতে জানি কিন্তু দরুদ কিভাবে পাঠ করব ? রাসুল বললেন, আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মাদিও ওয়া আলা আলে মোহাম্মদ ।

হারিছ ইবনে হাছিরাহ আবু দাউদ সাবেয়ী হতে ও তিনি ইমরান ইবনে হুসাইন হতে বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলের নিকট উপবিষ্ট ছিলাম ও আলী তার পাশে বসেছিলেন, তখন রাসুল এ আয়াত তেলায়াত করলেন, বল, কে নিঃসহায়ের ডাকে সাড়া দেন যখন সে ডাকে ও কষ্ট দুরীভুত করেণ এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে খলিফা ও স্থলাভিষিক্ত মনে করেণ ?

আলী তা শ্রবণ করে ভয়ে কম্পমান হলে, রাসুল তার পিঠে হাত রেখে বললেন, তোমাকে মুমনি ব্যতিত কেউ ভালবাসবে না এবং মুনাফেক ব্যতিত কেউ তোমার প্রতি বিদ্বেষপোষণ করবে না এবং কিয়ামত পর্যন্ত এটি অব্যহত থাকবে।

যখন ইসলাম মক্কায় কোনো প্রভাবই রাখত না তখন মহান আল্লাহ নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল করে রাসুলকে নির্দেশ দিলেন, নিজের নিকট আত্মীয়দের ভয় প্রদর্শন কর।
অতঃপর রাসুল তাদের আবু তালেবের ঘরে সমবেত করেণ।তাদের মধ্যে আবু তালিব, আবু লাহাব, হামজাহ ও আব্বাস ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য নবী সাঃ বলেন, হে আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানেরা ! আমি আল্লাহর শপথ করে বলতে পারি আমি আরবদের মধ্যে এমন কোনো যুবকের সন্ধান জানি না যে তার গোত্র ও সম্প্রদায়ের জন্য এরুপ উত্তম কোনো বস্তু এনেছে যা আমি এনেছি। যার মধ্যে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণ আছে।আমি তোমাদের সেদিকে দাওয়াত করছি। তোমাদের মধ্যে কে আছে যে এক্ষেত্রে আমাকে সহযোগিতা করবে ও আমার পৃষ্ঠপোষক হবে সে আমার ভাই, খলিফা ও আমার স্থলাভিষিক্ত হবে।

আলী ব্যতিত সেদিন সকলেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।আলী সেদিন দাড়িয়ে বলেছিল, হে আল্লাহর নবী আমি আপনার সহযোগী হব। তখন রাসুল আলীর কাধে হাত রেখে বলেছিলেন, সে আমার ভাই, তোমরা কথা শ্রবণ কর ও আনুগত্য কর। এ কথা শুনে উপস্থিত লোকেরা হাসতে হাসতে আবু তালেবকে বললেন, তোমাকে বলা হল তোমার সন্তানের কথা শ্রবণ করতে ও আনুগত্য করতে।( এ হাদিসটি ইবনে ইসহাস, ইবনে জাবির, ইবনে হাতিম, ইবনে নাইম ও বায়হাকি তাদের সুনান গ্রন্থে ও সালাবি ও তাবারী তাদের তাফসিরে কাবীর গন্থে সূরা শুরার তাফসিরে এছাড়া তাবারী তার তারিখুল উমাম উল মূলক গ্রন্থের ২য় খন্ডে , ইবনে আসির তার কামিল গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডে , আবুল ফিদা তার ইতিহাস গ্রন্থে প্রথম খন্ডে , প্রথম মুসলমান কে এ আলোচনায় উক্ত ঘটনাটি হুবুহু বর্ণনা করেছেন। যাহাবীও তার তালখিস গ্রন্থে হাদিসটির বিশুদ্ধতা স্বীকার করেছেন।মুসনাদে আহমাদের ১ম খন্ডের ১১১ নং পৃষ্ঠা।এছাড়া অসংখ্য হাদীদের হাফেজ এ হাদিসটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্ণনা করেছেন।)


১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: নবী তাবুকের যুদ্ধের জন্য বের হলেন, মদীনার লোকেরাও তার সঙ্গে বের হল।আলী নবীকে বললেন, আমিও আপনার সঙ্গে যাব। রাসুল বললেন, না । আলী কেঁদে ফেললেন। নবী সাঃ তাকে বললেন, তুমি কি এতে খুশি নও , তোমার সাথে আমার সম্পর্ক মুসা ও হারুণের সম্পর্কের ন্যায় ? পার্থক্য যে, আমার পরে কোনো নবী নেই । এটা ঠিক হবে না যে, আমি চলে যাব অথচ তুমি আমার স্থলাভিষিক্ত হবে না ।

নবী সাঃ আলীকে আরো বলেছেন, তুমি আমার পর সকল মুমিন পুরুষ ও নারীর অভিভাবক।

ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, নবী মসজিদের মধ্যে অতিক্রমকারী সকল দ্বার বন্ধ করে দেন শুধু আলীর দ্বার ব্যতিত।আলী অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করতেন।

বিদায় হ্জ্ব থেকে ফেরার পথে কোরানের নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল হয়-হে নবী ! আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা পৌছে দিন।যদি তা না করেণ তাহলে রেসালাতের আপনি কিছুই পৌছাননি ।

এখানে নিশ্চয় এতদিন পর পুনরায় নামাজ, রোজা ও হ্জ্ব , যাকাত বা খুমসের কথা বলা হয়নি।

যদি কেউ এ আয়াতের এ অংশটি লক্ষ্য করেণ, তাহলে রেসালাতের আপনি কিছুই পৌছাননি এরসঙ্গে রাসুলের কথাটি -এটা ঠিক হবে না যে আমি চলে যাব অথচ তুমি আমার স্থলাভিষিক্ত হবে না । মিলিয়ে দেখুন, একই লক্ষ্য অনুসরণ করছে।

নবী সাঃ বলেন, হে উম্মে সালিম ! আলীর রক্ত ও মাংস আমার রক্ত ও মাংস হতে। সে আমার কাছে মূসার নিকট হারুণের মত। ( এ হাদিসটি কানযুল উম্মাল গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খন্ডের ১৫৪ পৃষ্ঠার ২৫৫৪ নং হাদিস, মুসনাদে আহমাদের ৫ম খন্ডের ৩১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে।মুনতাখাবে কানয গ্রন্থেও এ হাদিসটি আছে) এরকম আরো অনেক হাদিস আছে।যেমন,

তাবরানি তার কাবীর গ্রন্থে ইবনে আব্বাস হতে বলেছেন, নবী সাঃ আলীকে বললেন, যখন তুমি লক্ষ্য করলে আমি মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করে দিলাম কিন্তু তোমাকে কারো ভাই হিসাবে ঘোষণা করলাম না তখণ তুমি কি আমার প্রতি অভিমান করেছ ? তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নয় যে তোমান অবস্থান আমার নিক মুসার কাছে হারুণের ন্যায়। পার্থক্য যে আমার পরে কোনো নবী আসবে না ।

নবী সাঃ বলেন, আমার প্রতি আলী সম্পর্কে তিনটি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। নিশ্চয় সে মুসলমান ও মুত্তাকিদের নেতা, নুরানী ও শুভ্র মুখমন্ডলের অধীকারীদের সর্দার । ( মুসতাদাকার গ্রন্থের তয় খন্ড ১৩৮ পৃষ্ঠা, বারুদী, ইবনে কানে, আবু নাইম, বাযযার এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। কানযুল উম্মাল গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খন্ডের ১৫৭ পৃষ্ঠার ২৬২৮ নং হাদিস।)

নবী সাঃ তার বিদায় হজ্ব্রে ভাষনের সময় বলেন, আলী আমার হতে আর আমি আলী হতে।আমার পক্ষ হতে ঐশী বানী পৌছানোর অধিকার কারো নেই একমাত্র আলী ছাড়া ।( ইবনে মাজাহ তার সুনান গ্রন্থে ৯২ পৃষ্ঠায়, তিরমিযী ও নাসাঈ তাদের সহিহ গ্রন্থে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল তার মুসনাদ গ্রন্থের ৪র্থ খন্ডের ১৫৪ নং পৃষ্ঠায় এহাদিসটি বর্ণনা করেছেন।আহমাদ তার মুসনাদের ১ম খন্ডের ১৫১ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন যে, ইতোপূর্বেও রাসুল অনুরুপ কথা বলেছেন ।

যদি এ হাদিসের শব্দগুলোর প্রতি দৃষ্টি দেন, হাদিসটা কত অর্থবহ , উন্নত ও গভীর।কারণ রাসুল সাঃ সকল দিক বিবেচনা করে দেখেছেন, আলী ব্যতিত অন্য কেউ এদায়িত্ব পালনে সঠিকভাবে সক্ষম নয়। কারণ নবীর পক্ষ হতে তার স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি, খলিফা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পন্ন আলী ছাড়া একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি কেউ ছিল না ।



নবম হিজরীতে রাসুল সাঃ আবু বকরকে সুরা তাওবার ১০ টি আয়াত প্রদান করে মক্কাবাসী উদ্দেশ্যে তা পাঠ করে শুনানোর নির্দেশ দেন।পরে হযরত আলীকে হযরত আবু বকরের পশ্চাতে প্রেরণ করে বলেন, যেখানেই পাও আবু বকরের নিকট হতে তা গ্রহন করে পাঠ করে সকলকে শোনাও ।আলী জুহফাতে আবু বকরের সাথে মিলিত হয়ে তার নিকট হতে আয়াতগুলো গ্রহন করেণ।আহমাদ ইবনে হাম্বল বলেন, হযরত আবু বকর মদিনায় ফিরে এসে রাসুলকে প্রশ্ন করেণ, আমার ব্যাপারে কিছু নাযিল হয়েছে কি ? রাসুল সাঃ বললেন, না।তবে জিবরাইল এসে বলেছেন, এ দায়িত্ব আমি অথবা আমা হতে কাউকে পালন করতে হবে।

রাসুল আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আলী ! তুমি দুনিয়া ও আখেরাতের নেতা ।তোমার বন্ধু আমার বন্ধু এবং আমার বন্ধু আল্লাহ বন্ধু।তোমার শত্রু আমার শত্রু আর আমার শত্রু আল্লাহর শত্রু।ধ্বংস সেই ব্যক্তির জন্য আমার পর যে তোমার সঙ্গে শত্রুতা করবে। ( এ হাদিসটি হাকিম তার ’মুসতাদরাক’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ও বোখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে সহিহ বলেছেন। এছাড়া অন্যান্য সহিহ হাদিসগ্রন্থেও এ হাদিসটি আছে)

হযরত আবু হুরাইরা, হযরত সালমান ফারসী থেকে বর্ণনা করেছেন, হযরত সালমান ফারসী বলেন, " ইয়া রাসুল (সাঃ) আল্লাহ্ যে নবীকেই প্রেরন করেছেন, তাঁকেই বলে দিয়েছেন যে, কে তাঁর উত্তরসুরী হবে । তবে কি আল্লাহ্ আপনাকেও বলেছেন যে, কে আপনার উত্তরসুরী হবে ? " নবী করিম (সাঃ) বললেন, " আমার উত্তরসুরী, আলী ইবন আবু তালিব হবে। "-[ সুত্রঃ- শারহে বোখারী ইবনে হাজার আসকালানী, খঃ-১৮, পৃঃ-১০৫।]

নবী (সাঃ) হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসিরকে বলেন, " হে আম্মার, যখন দেখবে আলী এক পথে চলছে আর বাকী সাহাবারা অন্য, তখন তুমি আলীর সঙ্গে যেও ও অন্যদের ত্যাগ করবে । কারন, সে তোমাকে পতনের পথে পরিচালিত করবে না এবং হে'দায়েতের পথ হতেও বের হতে দেবে না।"
[সুত্রঃ কানজুল উম্মাল। খঃ-৬,পৃঃ-১৫৬। আরজাহুল মাতালেব, পৃঃ-১০২৩। মুয়াদ্দাতুল কুরবা, পৃঃ-৬০। ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৪০২।]

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ''প্রত্যেক নবীরই একজন উত্তরসুরী থাকে, আর " আমার উত্তরসুরী হচ্ছে, আলী ইবনে আবু তালিব।" [সুত্রঃ- আরজাহুল মাতালেব, পৃঃ-৪৬, তারিখে বাগদাদ, খঃ-১১, পৃঃ-১৭৩, মুয়াদ্দাতুল কুরবা, পৃঃ-৫০, কানজুল উম্মাল, খঃ-৬, পৃঃ-১৫৮, ইয়ানাবীউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-১৩৩, তারিখে ইবনে আশাকীর শাফায়ী, খঃ-৩, পৃঃ-৫, শাওয়াহেদুত তানজিল, খঃ-২, পৃঃ-২২৩।]

রাসুল (সাঃ) আলী কে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, ''এ হলো আমার ভাই আর আমার পরে আমার উত্তরসুরী এবং তোমাদের খলিফা, তাঁর নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তাঁর আনুগত্য করো'' [সুত্রঃ তারিখে তাবারী, খঃ-২, পৃঃ-৩৩১, শারাহ নাহজুল বালাগা, খঃ-১৩, পৃঃ-২১১ ( ইবনে হাদীদ), আল কামিল ফিত তারিখ, খঃ-২, পৃঃ-৬৩, কানজুল উম্মাল, খঃ-১৩, পৃঃ-১৩১, মায়ালিমুত তানযিল, খঃ-৪, পৃঃ-২৭৯ ।]

"নিশ্চয়ই তোমাদের ওয়ালী তো হচ্ছেন শুধু আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং যারা ইমান আনে, নামাজ কায়েম করে ও রুকুরত অবস্থায় যাকাত দেয়। যারা আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও ইমানদার দের অভিভাবকত্বকে মেনে নেয় তারাই জয়ী হবে, কারন আল্লাহর দল ই বিজয়ী হবে"-কুরআন_মায়েদা।

শিয়া ও সুন্নী সকলেই একমত যে রুকুরত অবস্থায় যাকাত দেওয়া ব্যক্তিটি হযরত আলী।

কোরান ও হাদিস থেকে এরকম আরো অসংখ্য উদৃতি দেওয়া সম্ভব যা খেলাফতের প্রকৃত হকদার বলে আলীকেই জানান দেয়।

উপরের সবকিছু থেকে যে কারো কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবার কথা যে রাসুল(স) নিজেই উনার পর মুসলিম উম্মাহ এর নেতা আলি কে ই ঘোষণা করে গেছেন বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন কথায় এমন কি সকলের সামনে নিজের হাতে হাত ধরে দেখিয়ে দিয়ে। কিন্তু রাসুল(স) এর ওফাত এর পরক্ষণেই আলি, ফাতিমা, হাসান, হুসাইন তথা আহালে বাইত কে একপাশে রেখে তাঁদের মতের বীরেুদ্ধে গিয়ে ওমরের প্রস্তাবে আবু বকর কে খলীফা মনোনীত করা ফেলা হল, এমন কি তখন রাসুল(স) কে দাফন ও করা হয়নি।
রাসূলুল্লাহ্ (ছ্বাঃ) এরশাদ করেছেনঃ “ফাতেমাহ্র সন্তুষ্টিতে আমার সন্তুষ্টি, আর আমার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ফাতেমাহ্র অসন্তুষ্টিতে আমার অসন্তুষ্টি, আর আমার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।”
হযরত ফাতেমাহ্ রাসূলুল্লাহ্ এর -এর ইন্তেকালের পর মোটামুটি ছয় মাসের মতো বেঁচে ছিলেন। এ সময় তিনি হযরত আবূ বকর এর অনুকূলে বাই‘আত্ করা তো দূরের কথা, প্রতিবাদস্বরূপ তাঁর সাথে কথা বলা থেকেও বিরত থাকেন। এমনকি তার জানাজা ও কবর না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে জানাতেও নিষেধ করেণ। এ কারণে ফাতেমার কবর স্থানের কথা কেউ জানে না । পরে আলীও আর বাই‘আত্ গ্রহন করেননি তবে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ্র বৃহত্তর স্বার্থে তিনি হযরত আবূ বকরকে এবং পরবর্তী দুই খলীফাহকে বিশেষ করে ফিক্বহী ও বিচারিক বিষয়াদিতে ইসলামের সঠিক বিধান ব্যক্ত করে সহযোগিতা করেছেন।

যাইহোক, আমার পোস্টের মূল বিষয়বস্তু বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের দ্বন্দ্বই যে পরবর্তিতে শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বে রুপ রাভ করেছে তা দেখানো । মূলত বনু হাশিম থেকে নবুওয়াত মেনে নিলেও বনু হাশিম থেকে খেলাফত মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না মক্কার নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিগণ যার পরিণতিতে পরবর্তীতে সেই দ্বন্দ্বের আধুনিক বিবর্তন হিসাবে শিয়া সুন্নীর উৎপত্তির হয়। লক্ষ্য করার বিষয়-শেষ পর্যন্দ মদিনার জনগণ যখন বনু হাশিম থেকে খলিফা নির্বাচনই করল তখন বেকে ওসমান হত্যার প্রতিশোধের কথা বলে বিদ্রোহ করলেন মুয়াবিয়া যার বাবা সুফিয়ানও নবী মোহাম্মদের নবুওয়াত মেনে না নিয়ে জীবনের পড়ন্তকাল পর্যন্ত নবী মোহাম্মদের সাথে যুদ্ধ করেছেন ! ঘটনা যেভাবেই বিবর্তন লাভ করুক না কেন প্রকৃত খলিফার হকদার বনু হাশিমের আলীকে যেভাবেই হোক খেলাফত থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পেয়েও তেমন লাভ হয়নি কারণ ততদিনে নদীর পানি অনেক দূর চলে গিয়েছে যার প্রবাহ এখনও বর্তমান। ধন্যবাদ।

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: @ ওপেস্ট ঃ ভাই ঠিকানা দেন এসে পড়ি আপনাকে গর্বিত হবার সুযোগ করেদেই। মনেতো হয়না জীবনে গর্ব করার মত আরো কিছু আছে =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৯

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: মুদ্দাকির ভাইয়ের ইমোশনাল মন্তব্যগুলোতে অনেক দু:খিত হলাম। তবে
সেটার জন্য নিজেকে একটু বেশিই ধৈর্যশীল (সেটাতেও আপনাদের অবদান)মনে হচ্ছে...... 8- ..|
যাই হোক, মুদ্দাকির ভাই আপনি হয়তো জানেন না- আপনার পোষ্টগুলো এবং অন্যান্য ধর্মীয় পোস্টে আপনার করা মন্তব্যগুলো- আমার মত অনেককেই অনুপ্রানিত করে তাই আপনাকে সামুতে ফলো করার চেষ্টা করি হয়তো নিজের চিন্তা-ভাবনার সাথে মিল খায় বলে (এখন হয়তো আপনি বিনয় দেখিয়ে বলবেন আমি ফলো করার মতো কেউ না)।
হয়তো অতি আবেগে কথাগুলো বলে ফেলেছেন.......ঠিক এই জায়গায়ত্ই মনে হয় আস্তিকদের ( যারা 'আতি.পাতি,সাবেক ,ক্র্যাকড ,সো-কল্ড মুক্তমনা নাস্তিকদের' সাথে যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পারেন) আরোও অনেক বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন এবং আপনি সেটা করেন বলেই আপনাকে একটু আলাদা ভাবি। যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম কিছু মনে নিয়েন না..প্রিয় ব্লগারদের আরো শাণিত ও ধৈর্যশীল দেখতে চাই যাতে নিজে কিছু শিখতে পারি।
আসসালামুআলাইকুম

৩০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

@ ব্লগার আবদুল্লাহ আল নোমান

আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। খুব সম্ভবত আমার মুর্খতাই এই ধরনের অবাঞ্ছিত উত্তেজনার কারন। আবার সাহাবা রাঃ দের অসম্মান হজম করা অনেক সময় খুব ডিফিকাল্ট। তবুয় আপনাকে অনুরোধ করছি মিলন ভাইয়ের পোষ্টটি এবং পোষ্টের সকল মন্তব্য ও এর উত্তর গুলো আরেক বার মনোযোগ দিয়ে, পড়ার জন্য।

আমার সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলো হয়ত পড়েননি, অনুরোধ থাকবে ঐগুলোও পড়ার।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনি উপরে যেমনটি বলেছেন, রাসুল খলিফা নির্বাচন বা খলিফা নির্বাচনের কোনো পদ্ধতির কথা বলে যাননি ! এটা কি করে বিশ্বাসযোগ্য যে সুদীর্ঘ ২৩ বছরের তিল তিল করে গড়া তার ধর্মকে তিনি নেতৃত্বহীন অবস্থায় রেখে যাবেন ? তারপরেও যুক্তির স্বার্থে মেনে নিলাম যে তিনি তা করে যাননি । তাহলে যে কাজ রাসুল করতে সাহস পাননি সেকাজ আবু বকর ও ওমর কিভাবে করে ? রাসুল যেখানে খলিফা নির্বাচন করে যাননি আবু বকর কিভাবে ওমরকে নির্বাচন করে যান ? আবু উমর কিভাবে শর্তযুক্তভাবে ছয় সদস্যের কমিটি করে যান ? আপনার কি মনে হয় ? খেলাফত তো এমন কোনো বিষয় নয় যে তা বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার !!! তাহলে কি রাসুলের চেয়ে আবু বকর ও ওমর বেশি জ্ঞানী ছিলেন ?

আমার মনে হয় একারণেই পরবর্তীতে মুসলমানদের মধ্যে শত বিভক্তি, শিয়া সুন্নী, খারেজীসহ, ওহাবি, সালাফি, বোমাবাজি, জঙ্গীবাদী নানান গ্রুপের উৎপত্তি !!! এখন আবার আবু বকর আল বাগদাদি যেমন নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেছে তেমনি আশির দশকে মোল্লাহ ওমরও নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেছিল ! উনি তো এখনও আমিরুল মুমেনিন !!! এজন্য ইয়াজিদও মুসলমানদের খলিফা !!

৩১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

নরাধম বলেছেন: আপনার পোস্টে ছবিগুলো কিসের? ওসব ছবি ভেরিফাই করার কোন উপায় আছে? পরিচিত গনমাধ্যমগুলোর কোথাও কি ছবিগুলো এসেছে?


বাকি পোস্টের ইতিহাসে কিছু সত্য আছে, কিছু বিতর্কিত বিষয় যা আকাডেমিক ইতিহাসে পাত্তা পাবেনা। আমি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়িনাই, কিছু অংশ পড়েছি। যা পড়েছি তার মধ্যে মধ্যে আব্দুল ওয়াহাব এবং এখনকার সালাফী-সৌদী শাসকদের নেক্সাস সঠিক তথ্য। আূবু বকর (রাঃ)-কে নিয়ে চুলকানিটা পুরাই শিয়া ইতিহাস, একাডেমিক ইতিহাসে এসবে প্রচুর ঘাপলা ধরা হয়। সে যাই হোক, এসব বিষয়ে তর্ক করার মত তেমন যময় নাই, ইচ্ছেও নাই। আপনার তথ্য অনেককিছুই সত্য হলেও উপসংহারগুলো তথ্যে দিয়ে বা আপনার অনুমিতি, প্রেমিস দিয়ে সমর্থিত না, ঢালাও উপসংহার, সংশয়বাদী হয়েও আপনি আবেগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

আবু বকর (রাঃ)-এর আমলে কি মুসলমানদের কোন সিগনিফিকেন্ট অংশ তাঁর বাইয়াত নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল? আলী (রাঃ) নিজেও তো বাইুয়াত নিয়েছিল, তাই না? আনসাররা যখন সাইদ ইবন মুয়াদ (রাঃ)-কে খলিফা নিয়োগ করতে চাইছিল, কিন্তু তিনি আ্উস গোত্রের হওয়াতে খাজরাজ গোত্ররা তাকে মানতনা, সেটা বুঝা গেছে বনু নাদিরের কবি কা'বের মৃত্যু এবং আয়েশা (রাঃ)-এর চরিত্র নিয়ে অপপ্রচারের সময়, বিস্তারিত যাচ্ছিনা। তাছাড়া আনসারদের কাউকেই আরবের বাকি লোকরা মেনে নিতনা, কেননা ক্বুরায়শরাই সারা আরবে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ছিল। এখন আসা যাক অন্যান্য ক্লেইমেন্টদের কথা। উম্মাতের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টি হবে এই ভয়ে ওমার তার সাথে ইসলামের শুরু থেকে যে দুজন সাহাবা ছিলেন, আবু উবাইদাই ইবনে জার্রাহ এবং আবু বকর (রাঃ), এই দুজনের একজনকে খলিফার হিসেবে মেনে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন, সেখানে আলী (রাঃ) ছিলেন না, থাকলে হয়ত তাঁকেও বলতেন। ওমর (রাঃ) আবু ওবায়দার হাতে ধরে ফেলেন বাইয়াত নেওয়ার জন্য, কিন্তু আবু ওবায়দা অস্বীকৃতি জানান খলিফা হতে, তাই ওমার রা (ঃ) আবু বকরের হাতে বাইয়াত নিতে বলেন। তখন আনসাররা বলেন যেন দুইটা আমীর হয়, কোরায়শ থেকে একটা, আনসারদের থেকে একটা। কিন্তু দুটা আমীর তো সম্ভব না, সেটা উমার বলার পরই তারা বুঝেছিল। বাকি থাকে সেখানে আবু বকর, এবং তাঁকে সবাই মেনে নিয়েছিল। তাছাড়া আবু বকর (রাঃ), ওমার (রাঃ), আলী,ওসমান, আবু ওবায়দা, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, তালহা এরা সবাই আসলে খলিফা হওয়ার জন্য যোগ্য ছিল, কিন্তু কেউ আবু বকর (রা)-কে নিয়ে তর্ক করেনি। আলী (রাঃ)-কে মুয়াবিয়ার বাবা আবু সুফিয়ান রাগিয়ে দিতে চেয়েছিল, তিনি আবু সুফিয়ানকে খুবই কড়া ধমক দেন। পরে নিজে গিয়েই সবার সামনেই আবু বকর (রাঃ)-এর বাইয়াত গ্রহণ করেন। তবে আলী (রাঃ)-র মনে প্রশ্ন ছিল কেন তাঁকে না জানিয়ে আবু বকর (রাঃ)-কে খলিফা মনোনীত করা হল, তিনি সেটা ওমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞেসও করেছিলন, আবু বকরকেও। তারা দুজনেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন এবং আলি (রাঃ) সেটা মেনে নিয়েছিলেন। আলী (রাঃ) নিজে খলীফা হয়েছিলেন পরে, তিনি কোনসময়ই আবু বকর, ওমর (রাঃ)-এর সমপর্কে ভাল ছাড়া খারাপ কিছু বলেননি। শিয়াদের এসব বিষয়ে ইতিহাসকে একাডেমিক সার্কলে উড়িয়ে দেয়া হয়, মুসলমান ইতিহসবিদরা না, পশ্চিমা ইউনিভার্সিটিিগুলোর নিয়ার-ইস্টার্ন স্টাডিজ বা ইসলামিক হিস্ট্রি-স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের নামী ইতিহসবিদরাই উড়িয়ে দেয়। অথচ আপনার মনে হচ্ছে শিয়াদের ইতিহাস নাকি "সঠিক" ইতিহাস!!

বিস্তারিত জানতে চাইলে জন এসপসিটোর সম্পাদনায় ইসলামিক হিস্টরি পড়েন, অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত। আমি উপরে যা লিখেছি সেটা সেই বইয়ে পাবেন। Click This Link


আপনার বাকি পোস্ট নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সারাদিন লাগবে, সে সময় নাই, তবে আপনার অনেক তথ্য ঠিক থাকলেও, আপনার উপসংহারের সাথে যায়না এমন আরো বেশি তথ্য অনে মিসিং, আর উপসংহারও আনফাউন্ডেড।

আরেকটা কথা ইন্দোনেশিয়ায় কোন মুসলমান আর্মী যায়নাই, সেটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলমান দেশ। চায়নায়ও যায় নাই, সেখানে ১০-১৫ কোটির উপরে মুসলমান, বিপরীতে ভারতে মুসলমানরা শাসন করার পরও মেজরিটি অমুসলিম। স্পেন, সিসিলি, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরী, লিসবন এসব জায়গায় মুসলমানরা শাসন করেছে, কিন্তু সেখানে মুসলমান নাই। তাই ইসলাম যেখানে সামরিকভাবে জয় করেছে সেখানে ইসলাম কায়েম হয়েছে আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গী ভুল। ইসলামের এপিল সবসময় থাকবে এবং দিনে দিনে আরো বাড়বে, কেননা এরকম অল-এনকম্পাসিং সোস্যাল-পলিটিকাল-ইকনমিক-এথিকাল কোন সিস্টেম নাই। ইউরোপে এবং এমেরিকায় ইসলাম নিয়ে এত অপপ্রচার স্বত্ত্বেও শিক্ষিত লোকেরাই ইসলাম গ্রহণ করছে খুব দ্রুতগতিতে। আগামী পন্ঞাশ বছর পরে বিশ্বে শুধু সেক্যুলারিজম থাকবে আর ইসলাম থাকবে, অন্য সব মতবাদ/ধর্ম শুধু মিনিমালি থাকবে, কাগজে কলমে, প্র‌্যাক্টিসে না।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ছবিগুলো বিভিন্ন সূত্র থেকে পেযেছি । আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমেই আইএসআইল এর বর্বরতা প্রকাশ পেয়েছে। আইএসআইল নিজেই কিছু ছবি টুইট করেছিল তাই ছবি নিয়ে দ্বিমতের কিছু নেই অবশ্য আইএসআইল সমর্থক হয়ে থাকলে ভিন্ন কথা । আমি এমনকি আইএসআইল এর বর্বরতার কিছু ভিডিও দেখেছি কিন্তু এখন হাতের কাছে সেগুলো নেই ।

আপনি বলছেন আপনি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়েননি আবার দেখি শুরু থেকে শেষপর্যন্ত মন্তব্য করলেন !!! পোস্টের উপসংহার পর্যন্ত গেলেন কিছু বিষয় সত্য কিছু মিথ্যা সে বর্ণনাও দিলেন। পোস্টে আবু বকর নিয়ে কোনো মন্তব্য করি নাই অথচ আবু বকরকে নিয়ে চুলকানির কথা বললেন !! মন্তব্য করেছি কমেন্টে ।

তার মানে কি দাড়ালো ? আপনি পুরো পোস্ট পড়েছেন আবার সব মন্তব্যও পড়েছেন তারপরেও বলছেন পুরো পোস্ট পড়েনি, সময় নেই, অমুক তমুক !!!

আরে ভাই, সময়টা কার আছে বলেন তো দেখি ? আর যদি সময়ই না থাকে তাহলে মন্তব্য করার কি প্রয়োজন ? আর আবু বকরকে নিয়ে চুলকানি কেন ? আমি আবু বকরকে নিয়ে হাদিসের বাইরে কোনো মন্তব্য করিনি ! এমনকি আমি যা হাদিসগুলো বর্ণনা করেছি সেগুলো সব সুন্নীদের সহিহ হাদিসগ্রন্থ !!! আপনি শিয়াদের কথা বলছেন অথচ আমি শিয়া কোনো হাদিসগ্রন্থ বা বই থেকে কোনো তথ্যই এখানে দেইনি । নিজেদের পক্ষে না গেলে যদি তা শিয়া ইতিহাস হয় তাহলে তো বলতে ইসলাম ধর্ম সঠিক হলে শিয়ারাই সঠিক !!!

হ্যাঁ, তৎকালীন সময়ে অনেক সাহাবি ছিলেন যারা শুরু থেকেই আলীর খেলাফতের পক্ষে ছিলেন। যেমন সালমান ফারসি, মিকদাদ, আম্মাস বিন ইয়াসির, ইবনে আব্বাসসহ প্রমুখ সাজাবি ছিলেন যারা আলীর খেলাফতের পক্ষে ছিলেন ।আমি যতটুকু জানি আলী আবু বকরের কাছে বায়াত নেননি তবে বৃহত্ত ইসলামি উম্মার স্বার্থে তিনি আবু বকরসহ অপর খলিফাদের বিভিন্ন ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন । এখানে আমি আলীকে বলব, তিনি সত্যি একজন জ্ঞানী ও নির্লোভ মানুষ ছিলেন। আপনি নিজেই উল্লেখ করেছেন, আবু সুফিয়ান আলীকে প্রস্তাব দিয়েছিল, আবু বকরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে তিনি আলীকে সহায়তা করবেন । এর মানে কি আবু সুফিয়ান আলীর পক্ষে ছিলেন ? মোটেই না ।এখানে আবু সুফিয়ানের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ! ইসলামকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা ! সেই আবু সুফিয়ানের গুণধর পুত্র মোয়াবিয়া হযরত আলীর সাথে যুদ্ধ করে। ইসলামে খলিফার নির্দেশ মানা ফরজ ! না মানা কুফরি ! তাহলে মুয়াবিয়ার অবস্থান কোথায় ? তার ছেলে এজিদের অবস্থান কোথায় ? আমি এজন্যই বলেছি শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্ব মূলত বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের দ্বন্দ্বেরই বিবর্তন রুপ !

আমি উপরের কমেন্টে আলীর খেলাফতের পক্ষে কোরানের আয়াত ও বিভিন্ন হাদিস বর্ণনা করেছি। এই হাদিসগুলোর একটিও শিয়াদের কোনো বই পুস্তক থেকে নয়। যা বর্ণনা করেছি সব সুন্নি সূত্র থেকে।

রাসুলের ওফাতের পর খেলাফতকালীন যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েচিল তা পর্যালোচনা করলে সেটাও আলীর পক্ষে যায় এবং তা ঐতিহাসিক বর্ণনা ও সবকিছু সুন্নিী সূত্র থেকে। আপনি বলছেন, অ্যকাডেমিকে আলোচনায় পাত্তা পাবে না, আমি এরকম আলোচনা এই প্রথম করতেছি না, নিজেও এরকম আলোচনা অনেক করেছি ও বিভিন্ন বিতর্কও দেখেছি , পড়েছি কিন্তু সুন্নীদের তাদের দাবির পক্ষে সেরকম জোরালো কিছু আমি পাইনি ! পেলে আমি অবশ্যই গ্রহন করব।

যাইহোক, শিয়া সুন্নী ইতিহাস জানার জন্য আপনি আমাকে পশ্চিমাদের লেখা লিংক দিলেন, ওরকম লিংক আমিও হাজারটা দিতে পারি !! লিংক দিলাম আরা উধাও হয়ে গেলাম। বললাম, স্টাডি করেণ ওসব পাত্তা পাবে না, এইডা কিছু হইলো ?

আর শিয়া সুন্নী ইতিহাস জানার পশ্চিমাদের বই কেন পড়তে হবে ? আপনাদের কোরান ও হাদিস কি বলে ? কোরান হাদিসের চেয়ে পশ্চিমাদের লেখা ইতিহাস কি বেশি গ্রহনযোগ্য ? আপনার কাছে তো তাই !!!

আপনার মন্তব্যের শেষ অংশ নিয়ে কিছু বলতে চাইনা । এটা নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে। তবে একটা জিনিস ভাল করে মনে রাখবেন অস্ত্র ছাড়া ধর্ম কখনও প্রসারিত হয় না ! কোরানের প্রথম বাংলা অনুবাদ ১৮৬৫ সালের দিকে। তারও আগে এদেশে প্রচুর মুসলমান হয়েছে । তারা কিভাবে মুসলিম হল ? কোরানের তো অনুবাদই ছিল না তারা কিভাবে কোরান বুঝে মুসলমান হল ? আর তখন রাতারাতি এত মানুষ মুসলমান হলে এখন হচ্ছে না কেন ? এখন যারা হচ্ছে তারা স্টাডি করে হচ্ছে তা মানি । তবে তেমনি অনেকেই ইসলামও ত্যাগ করতেছে। এখবর কয়জন রাখে ? আমরা শুধু এই নিউজ পাই অমুক মুসলমান হল তমুক মুসলমান হল। এই নিউজগুলো ছড়ানোর কারণ হল মুসলমানেরা আত্মপরিচয়ের সংকটে ভুগতেছে !!!

আর হ্যাঁ, ইউরোপ, আমেরিকার যারা স্টাডি করে মুসলমান হচ্ছে তারা বেশিরভাগই শিয়া মুসলমান হচ্ছে !!! আপনি খোঁজ নিয়ে ভাল করে দেখুন। ইসলামের বারোটা বাজিয়েছে সুন্নীরা তথা ওহাবি সালাফিরা ! এরা বোমাবাজি করে ইসলামকে জঙ্গী হিসাবে উপস্থাপন করতেছে !!! মানুষ এখন ইসলামের নাম শুনলেই ভয় পায়। সুন্নীরা শিয়াদের শিয়া বিশ্বাসের কারণেই হত্যা করে !!! এরচেয়ে জঘণ্য মানসিকতা ও বর্বরতা আর নেই !! যেখানে সামান্য মত পার্থক্য ও কিছু মতভেদের কারণে মুসলমান মুসলমানকেই হত্যা করে আবার সেই ধর্ম শান্তির ধর্ম হয় কি করে ?

৩২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
মিলন ভাই বললেনঃ আপনার এই ২৭ নং কমেন্ট পড়ে আমারও তাই মনে হল যে আলোচনা করে লাভ নেই । কারণ আপনার কাছে আমি যে কয়টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছি আপনি তা দিতে পারেণনি। আমি নিচে সেগুলোর উল্লেখ করতেছি।


মুদ্দাকিরঃ আমিতো ভুল ধারনা করিনি তাহলে? আর আপনি কি বলবেন তার বেশীটাই জানতাম! এছাড়া আর বলারই বা কি আছে?


মিলন ভাই বললেনঃ প্রথম প্রশ্ন ছিল : সো প্রথমে আমাকে জানতে দিন ইসলামে খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি কি ?
আপনি উত্তরে বলেছেন, আমি যতদূর জানি নবীজি সাঃ কোন নির্দিষ্ট নিয়ম খলিফা নির্বাচনের জন্য বলে যান নি!! তবে সাহাবা রাঃ রা যে নিয়ম মেনে চার খলিফা পর্যন্ত নির্বাচন করেছেন। আমার কাছে তাই রুল। আপনার কাছে এগুলো যৌক্তিক হবে বলে আশা করছিনা।

মুদ্দাকিরঃ আমি আবারো একি কথাই বলব যে, উনারা যেভাবে যা করে গেছেন, তাই আমার জন্য রুল। উনারা আমাকে চারটি ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম শিখিয়ে গেছেন।(আলহামদুলিল্লহ)

মিলন ভাই বললেনঃ দেখুন, ইসলামকে বলা হয় বা মুসলমানেরা দাবি করেণ যে ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ! খলিফা নির্বাচনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি ইসলামে বলা না থাকে তাহলে সেই ধর্মকে কিভাবে পরিপূর্ণ জীবন বিধান বলা যাবে ? আমি পোস্টেই সকিফার কথা উল্লেখ করেছি।২৩বছরে তিল তিল করে গড়ে তোলা ইসলামী সাম্রাজ্যকে নেতৃত্বহীন অবস্থায় রেখে যাওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক?এটা কি নবী(সা) এর দায়ীত্বের অপুর্ণতার স্বাক্ষ্য বহন করে না?

মুদ্দাকিরঃ না নবীজী সাঃ বার বার বিভিন্ন ভাবে বলে গেছেন, উনার সাহাবা রাঃ দের অনুসরন, অনুকরন, এবং তাদের মান্য করার কথা। উনাদের কে মানা আমাদের দ্বীনের গুরুত্ব পুর্ণ অংশ। ইনফ্যাক্ট উনারা নবীজী সাঃ এর কাছ থেকে একেক জন যা শিখেছেন, তা নিয়েই পড়ে থাকলে হতনা। বরং তাঁরা তাদের শেখা জ্ঞান বিনিময় করে , এক এক জন পরিপূর্ণ হয়েছেন। যেমন ধরেন যেই হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ হযরত আলী রাঃ এর কাছথেকে শিক্ষা নিয়েছে, হযরত ওমর রাঃ সেই হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর জ্ঞানের প্রতি ছিলেন আসক্ত। কোথায় আর কিসের অপূর্নতা দেখেন আপনি?

মিলন ভাই বললেনঃ (১) খেলাফৎ কি এতই গুরুত্ত পুর্ন বিষয় ছিলো যে নবীর মৃত্যু শোকে শোকাহত না হয়ে সেই দিকে দৌড়ানো বেশি জরুরী ছিলো ???

মুদ্দাকিরঃ নবীজী সাঃ এর ওফাতের পরে কে বা কারা শোকাহত হন নাই? হযরত ওমর রাঃ নাকি আবুবকর রাঃ?


মিলন ভাই বললেনঃ (২) যদি গুরুত্তপুর্ন না হয় তাহলে কেন নবী সাঃ কে ফেলে সাকীফায় যাওয়া হল???

মুদ্দাকিরঃ আমারতো মনে হয় যে যা করার, এবং যে ভাবে করার সঠিক ভাবেই করেছেন। এমনতো না যে উনার দেহ মুবারাক একাকি পরে ছিল আর সবাই দ্বন্ধে লিপ্ত ছিল??

মিলন ভাই বললেনঃ (৩) আর যদি গুরুত্তপুর্ন হয়ে থাকে তাহলে কেন স্বয়ং নবী সাঃ সেই বিষয় কে জীবিত কালীন স্পষ্ট করে যান নি??? ( ৪) নবী সাঃ কি জানতেন না তার পরে তার উম্মতগন এই খেলাফৎ নিয়ে কত দ্বন্দ বিরোধ করবে???

মুদ্দাকিরঃ আপনার কাছে এত বছর পরে এসেও মনে হচ্ছে স্পষ্ট করে জাননি, আর আমার কাছে মনে হয় স্পষ্টই ছিল। স্পষ্টই ছিল কে খলিফা হবেন, তারপর কে, তারপর কে......।


মিলন ভাই বললেনঃ (৫) যদি বলেন, তিনি জানতেন না তার মৃত্যুর পরে এত পরিমান দ্বন্দ বিরোধ হবে, তাহলে তিনি এই কথা কি ভাবে জানলেন? যে তার উম্মত তার মৃত্যুর পর ৭৩ ভাগে ভাগ হয়ে যাবে ,আর এও কি করে বলেন? যে ৭৩ এর মধ্যে এক দল জান্নাতী আর বাকী ৭২ জাহান্নামে প্রবেশ করবে???

মুদ্দাকিরঃ ৭২ দল আর ৭৩ দল নিয়ে লিখবার ইচ্ছা আছে। আর কুরয়ানে ঐ সফল দলের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। আপনার এইসব সুপার ফিসিয়াল আলোচনায় খাপ খাবে না, আর দলাদলির প্রসঙ্গ সাহাবা রাঃ দের জামানার জন্য প্রযোজ্যও নয়। উনারা সবাই তাদের সমকালিন খলিফার বাইত গ্রহণ করেছেন, কেউ আগে কেউ পরে।

মিলন ভাই বললেনঃ (৬) তিনি জানতেন তার মৃত্যুর পর তার উম্মতরা কত বিপদের সম্মুখীন হবে ,তাহলে তিনি কেন আগে থাকতে নিজেই সমস্যার সমাধন করে যাননি??? (৭) না কি তিনি সমাধন করে গিয়েছিলেন??? (৮) যদি আল্লাহ ও তার রসুল খলীফা বানানো প্রয়োজন বোধ না করেন তাহলে অন্যদের কি অধিকার থাকতে পারে খলীফা বানানোর ???

মুদ্দাকিরঃ আপনার এই প্রশ্নে আমি অবাক হয়ছি!! এটাও একটা প্রশ্ন?? হা উনি পারতেন প্রত্যেক যুগের জন্য একটা করে যুগ স্পেসিফিক এন্সিক্লোপিডীয়া লিখে যেতে , যুগ স্পেসিফিক ডুউস এন্ড ডোন্টস লিখে যেতে, সব দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী ঠিক করে যেতে!! আর আল্লাহও পারতেন, যেহেতু দুনিয়াতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ, উনি জানেনই, তাহলে কোন দিন আমাদের দুনিয়াতেই না পাঠাতে বরং বেশেস্তে রেখেদিতে!!!! তাহলে প্রশ্ন হল আপনি মিলন সংসয়বাদী বা নাস্তিক আর আমি মুদ্দাকির ইমান দ্বার কেমনে হইতাম????


মিলন ভাই বললেনঃ (৯) আল্লাহ ও তার রসুল সঃ বেশি জানেন না আমরা বেশি জানি???

মুদ্দাকিরঃ থিউরি অফ রিলাটিভিটির প্রশ্ন এটা! যার আল্লাহই নাই তার জন্য রাসূল আবার কোন ছার?? আর যার আল্লাহ আছে সে জানে আল্লাহের জ্ঞান ছাড়া আমরা কিছুই না!!!


মিলন ভাই বললেনঃ (১০) খেলাফৎ কি এতই সাধারন জিনিষ যেটা রসুল সঃ সাহাবী বা উম্মতের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন ,নিজে সেটা নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করেন নি????

মুদ্দাকিরঃ মোটেই সাধারন জিনিশ না খেলেফত। নবীজী সাঃ যথেষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। সাহাবা রাঃ রা সকলেই বুঝেছেন ইঙ্গিত গুলো, সেই অনুযায়ীই উনারা সব কিছু করেছেন। কিন্তু তাদের করা প্রক্রিয়া গুলো আর দৈব হয়নি রাসূল সাঃ এর মত তাদের কর্ম গুলো ছিল মানবিক।

মিলন ভাই বললেনঃ (১১) যদি সাধারন জিনিষ হয় তাহলে তা নিয়ে এক অপরকে এত গালি গালাজ, রক্তপাত কেন করা হয়???

মুদ্দাকিরঃ সাহাবা রাঃ যারা এই আলোচনার মূলে, তাঁরা এই ধরনের কিছু করেন নাই। আর মুনাফিদের দায় তাদের ঘারে কিভাবে চাপান???? পুর্বতন খলিফাদের মৃত্যুতে হযরত আলী কি দুঃখ পান নাই? উনাদের খিলাফতে কি উনি বাইয়াত নেন নাই? উনাদের খিলাফতে আলী রাঃ কি সহযোগীতা করেন নাই? হররত উসমান রাঃ যখন আবরূদ্ধ তাকে বাচাতে হযরত আলী রাঃ কাদের পাঠিয়ে ছিলেন, উনিকি নিজে ভ্রান্তদের কাছ থেকে উসমান রাঃ কে বাচাতে যান নাই? হযরত ওসমান রাঃ এর লাশই বা দাফন কাফন কারা করল?

মিলন ভাই বললেনঃ ( ১২) তার অর্থ(রক্তপাত,খুনো খুনি করার) এই খেলাফৎ কোন সাধারন জিনিষ নয় বরং খুবই গুরুত্তপুর্ন বিষয়...সেই কারনেই তো যখন ফেরেশ্তাগন বলেছিলেন ..হে আল্লাহ তুমি তাকে খলীফা নিযুক্ত করবে যে কিনা জমিনে গিয়ে রক্তপাত ঘটাবে....ফেরেশ্তারা বলতে চেয়েছিলেন আমাদের মধ্যে থেকেই কাউকে বানানো হোক..কিন্তু আল্লাহ কি উত্তর দিলেন..ইন্নি আ,লামু মা,লা,তায়ালামূন....আমি যা জানি তোমরা তা জান না!!!!তো যে খেলাফতের রহস্য মাসুম ফেরেশ্তাগন জানলো না রসুলের পর এই মুর্খ পাপিরা কি করে জানলো????

মুদ্দাকিরঃ যে দুই সিচুয়েশনের তুলনা দিলেন তা ভ্রান্তি কর। সিম্পিল ভ্রান্তি, যে ভ্রান্তি গুলোর ক্লাষ্টারের কারনে আজ আপনি নাস্তিক। জ্ঞান এক জিনিশ আর মাসুমিয়াত আরেক জিনিশ!!! আপনি এত বোকা না!!

মিলন ভাই বললেনঃ ইসলামের প্রথম চার খলিফা চার নিয়মে খলিফা হয়েছেন। একই সঙ্গে চারটি নিয়ম গ্রহনযোগ্য হতে পারে না । প্রথম খলিফা খলিফা কিভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তা জানা থাকলে নিশ্চয় এভাবে বলতেন না যে , ওনারা যেভাবে করে গেছেন তাই আমার রুল !!!

মুদ্দাকিরঃ আপনার এখনও কেন মনে হচ্ছে আমি জানিনা, তা আমি জানিনা, তবে উনারা চারটি পসিবল নিয়ম শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিলেন। এই জিনিশ বুঝতে হিকমত জরুরী। আশা করবো না যে সবাই তা বুঝবেন। যদি বুঝতেনই তাহলে এখনও ইমানের নিচেই থাকতেন।


মিলন ভাই বললেনঃ প্রথম খলিফা আবু বকরের নির্বাচন সম্পর্কে খলিফা ওমর নিজেই বলে গেছেন, (O people!) I have been informed that a speaker amongst you says, 'By Allah, if 'Umar should die, I will give the pledge of allegiance to such-and-such person.' one should not deceive oneself by saying that the pledge of allegiance given to Abu bakr was given suddenly and it was successful.No doubt, it was like that, but Allah saved (the people) from its evil, and there is none among you who has the qualities of Abu bakr. Remember that whoever gives the pledge of allegiance to anybody among you without consulting the other Muslims, neither that person, nor the person to whom the pledge of allegiance was given, are to be supported, lest they both should be killed. ...Sahih al-Bukhari, Book 86, Hadith 6830

দেখুন, প্রথম খলিফা যেভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন পরবর্তীতে ওভাবে কোনো খলিফা নির্বাচিত হলে ওমর সেটাকে প্রতারণাপূর্ণ বলেছেন এবং শুধু তাই নয় তিনি বলেছেন, কোনো পরামর্শ ছাড়াই যে একজনের আনুগত্য করবে তাকেসহ যার আনুগত্যা করবে দুজনকেই হত্যা করার কথা বলেছেন। এ থেকে আমরা বলতে পারি আবু বকরের খলিফা নির্বাচন বিশুদ্ধ ছিল না ! যদি বিশুদ্ধ পদ্ধতি হত তাহলে নিশ্চয় পরবর্তী খলিফা ওমর সেই পদ্ধতিকে বাতিল করতেন না , শুধু বাতিল নয়, ঐ পদ্ধতিতে যারা খলিফা নির্বাচন করবে তাকে হত্যার কথাও বলেছেন ! এখানে উল্লেখকৃত যে, ওমর কারো সাথে পরামর্শ না করেই সর্বপ্রথম আবু বকরের হাতে বায়াত নেন !

মুদ্দাকিরঃ ভাই অনুরোধ করলাম হাদীসটা আবার পড়ুন। বুঝলে মিথ্যা বলছেন, আর না বুঝে থাকলে আশা করি বুঝবেন। হযরত ওমর রাঃ এখানে অন্যকে প্রতারনার কথা বলেন নাই, বলেছেন নিজেকে নিজে প্রতারনার কথা, সোজা ইংলিসেই লেখা আছে। আর “is none among you who has the qualities of Abu bakr” কথা গুলোও গুরত্ত্ব পূর্ন , আর কাদের সামনে বলেছেন তাও।



মিলন ভাই বললেনঃ আর আবু বকর যখন বুঝলেন যে তার সময় শেষ তখন তিনি এক এক করে নেতৃস্থানীয় সাহাবাকে ডাকলেন ও ওমরের বিষয়ে মতামত চাইলেন । তার মানে দাড়ালো তিনি ওমরকে খলিফা করার চুড়ান্ত বন্দোবস্ত করেছেন এখন জাস্ট অন্যদের মতামত নিচ্ছেন ! এরপরেও কেউ কেউ ওমর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন, খলিফা আবু বকর তাতে কর্ণপাত করেণনি ও তাদের মতামতকে আমলে নেননি। এখন দ্বিতীয় পদ্ধতির কাছে প্রথম পদ্ধতি এমনিতেই বাতিল এই পদ্ধতিকে বিশুদ্ধ বলে ধরে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে কি ? এই পদ্ধতিতে তো সব রাজা বাদশাহরাই ক্ষমতাসীন হয় , যেমন মুয়াবিয়া তার ছেলে এজিদকে মনোনীত করে যান !

মুদ্দাকিরঃ কৈ এজিদ আর কৈ হযরত ওমর রাঃ ? ভাই আবারো মেজাজটা খারাপ কইরা দিসেলেন!!! এই তুলনা জ্ঞান পাপী বা মনের দিকে যারা অন্ধ তাদের। ইতিহাস দেখুন, একজনকে সাদরে সবাই মেনে নিয়েছিল, আরেকজনকে কখনই মেনে নেয়া হয়নি, এমন কি আজও না!!!


মিলন ভাই বললেনঃ অনুরুপভাবে তৃতীয় খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতিও ত্রুটিমুক্ত নয়। শুধু চতুর্থ খলিফা মদিনার জনতাই নির্বাচিত করেণ ।

মুদ্দাকিরঃ আমিতো আগের মন্তব্যের শুরুতেই বলেছি যে আপনি কোন কিছুই ছেদ মুক্ত দেখতে পারবেন না। আপনি যদি আপনার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেন, তবেই শুধু মাত্র সম্ভব, তাও আপনাকে সব কিছু সামগ্রিক ভাবে চিন্তা করতে হবে, আগেই বলেছিলাম, র্যা ম আর প্রোসেসর দুটাই বড় করতে হবে, তবেই 4 D তে সব কিছু বুঝবেন।

মিলন ভাই বললেনঃ
পরের প্রশ্ন ছিলঃ আর আবু বকর কি কি কারণে প্রথম খলিফা হওয়ার যোগ্য অন্য কোনো সাহাবা নয় কেন ?

মুদ্দাকিরঃ আমার মনে হয় আমি উত্তর দিয়েছি।

মিলন ভাই বললেনঃ আবু বকর খলিফা নির্বাচিত কিভাবে হলেন ?

মুদ্দাকিরঃ ইতিহাস বই সবগুলোতেই মনে হয় এই ঘটনা গুলো আছে। আজকাল আপনি হয়ত উইকিতেও পাবেন।


মিলন ভাই বললেনঃ এই প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতেই পারেণ নি। কি কি কারণের মধ্যে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন যার মধ্যে নামাজের ইমামতি পূর্বেই আলোচনা হয়েছে। আবু বকরকে ঘরের মধ্যে ডেকেছেন কিছু লেখার জন্য সেটাও আলোচনা করেছি উপরের কমেন্টে। আবু বকরকে ডেকেছেন কি না জানি না তবে নবী সাঃ কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন যাতে মুসলমানেরা পথভ্রষ্ট না হয়, কিন্তু ওমর ঐ সময় বলেছিলন, যে রাসুল প্রলাপ বকতেছেন! আমাদের জন্য কুরানই যথেষ্ট ! তখন উপস্থিত সাহাবারা দুইভাগে ভাগ হয়ে যায় তা পূর্বেই আলোচনা করেছি! দেখুন, খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় !!! এমন কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন যাতে মুসলমানেরা পথভ্রষ্ট না হয় ! কি সেই গুরুত্বপূর্ণ সেটা আজও অজানা থেকে গেল এক উমরের কারণেই !!!


মুদ্দাকিরঃ যে মানুষ সাঃ কে সারা জীবনে কেউ কিছু লিখতে দেখেন নাই, সবাই যাকে নাবীইন উম্মিইন হিসাবে চিনতেন। তাঁর হঠাৎ লিখতে ইচ্ছা হল!! ভালো কথা হতেই পারে, উনি তো সাধারন কেউ না। তাঁর অসাধারন ক্ষমতার কারনে উনি আল্লাহের রহমতে ঐ সময়েও হয়ত লিখতেন। ঠিক আছে হযরত ওমর রাঃ ভুল করেছেন ধরেই নিলাম, এই ভুল যদি অনেক বড় কিছু হত এর খারাপ পরিনতি হযরত ওমর রাঃ এর পরবর্তি জীবনে ভোগ করতে হত বলে মনে হয়। এবং অনেক সাহাবীই তা দেখেছেন, তাই নয় কি? আর নইলে ঐ বিষয়টা উনার বুঝার ভুল মেনে সবাই তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন।


মিলন ভাই বললেনঃ লেখক বলেছেন: এখানে আপনি আয়েশার বর্ণনাকৃত কিছু হাদিস দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আয়েশা সম্পর্কে কিছু বলা দরকার। আয়েশা অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন এটা সত্য কিন্তু তার বর্ণিত হাদিস গ্রহনযোগ্য কতটুকু তা বিচার বিবেচনার প্রশ্ন । আয়েশার বর্ণনাকৃত হাদিসের মধ্যে এরকম হাদিসও আছে যে কোরানের কিছু পাতা ছাগল খেয়ে ফেলেছে যা পরে আর ঐ পাতাগুলো পাওয়া যায়নি।

মুদ্দাকিরঃ কুরয়ানের ইতিহাস এ এক বিশাল ব্যাপার এবং ভিন্ন ব্যাপার। অনেক আয়াত রোহিত হয়েছে, অনেক আয়াত নুতন করে এসেছে, অনেক আয়াতের শব্দ বর্ধন করা হয়েছে, কিন্তু যাই হয়েছে সবই রাসূল সাঃ এর জীবন কালেই হয়েছে। এখানে খানিক বিশ্বাসের ব্যাপার আছে বৈকি !!! আর হাদীসের গ্রহণ যোগ্যাতা, ভাই আপনার বৃত্তে যা গ্রহণ যোগ্য আপনি পারবেন না তা গ্রহণ করতে!!!!??


মিলন ভাই বললেনঃ এছাড়া কোরানে সুরা তাহরিমে অনৈতিক কাজের জন্য রাসুলের দুই স্ত্রীর সমালোচনা করা হয়েছে যার মধ্যে একজন ছিলেন আয়েশা। এছাড়া উপরে একটা হাদিস দিয়েছি যেখানে বলা আছে আয়েশা রাসুলকে সন্দেহ করতেন অনৈতিক কাজের জন্য !!! আয়েশা রাসুল সাঃ এর ওফাত এর পর আলির বিরুদ্ধে অন্যায় যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে হাজারো মুসলমান এর হত্যার কারন হয়েছিলেন !!!! সো আয়েশার বর্ণনাকৃত হাদিস কতটুকু গ্রহনযোগ্য বিশেষ করে রাসুলের উত্তরাধিকার নিয়ে তা অবশ্যই বিচার, বিবেচনা ও প্রশ্নসাপেক্ষ !!!

মুদ্দাকিরঃ জঙ্গে জামালের দুই পক্ষই ইমানদার মুসলিম সাহাবারা ছিলেন। চলেন এককাজ করি ইসলাম কেই ছুড়ে ফেলেদেই!!!! আপনাদের হুমায়ুন আজাদ, শামসুর রাহামান, তসলিমা বৃত্তের একি কাজ, শেষ মেশ চরিত্র হরন। আপনারা ঘটনা দেখেন ঘটনার শিক্ষা দেখেন না। আপনারা বাক্য পরেন কিন্তু তাতে আপনাদের প্রজ্ঞার কিছুমাত্র পরিবর্তন হয় না। জঙ্গে জামালের পরে দুই পক্ষের কি হয়েছিল ??? আর সূরা তাহরিম এবং এর শানে নূজুল ও তফসির আপনার বৃত্ত থেকে বের হয়ে স্টাডি করে দেখুন। অনৈতিক কাজ কি ছিল বা এর পরিনতিই বা কি হয়েছিল !!!!



মিলন ভাই বললেনঃ আর আপনি বার বার ওসামা রাঃ এর সেনাপতি হবার ব্যাপারটা টানছেন। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি নিয়ে এই ছেলে মানুষি কেন করছেন???? খলিফা ইমাম আর সেনাপতি এক ব্যাপার নয়।

অবশ্যই এটার যৌক্তিক কারণ আছে। যেখানে আবু বকর স্বয়ং ১৭ বছর বয়সী ওসামার নেতৃত্ব গ্রহন করেছিলেন ও এটা নিয়ে ওমরসহ অনেক সাহাবিই আপত্তি করেছিলেন কিন্তু রাসুল তাতে কান দেননি বরং ওসামার সেনাপত্তিত্বেই বহাল থাকেন !! নিশ্চয় এর আলাদা তাৎপর্য আছে। যদি আবু বকর ঐ সেনাদলে ওসামার নেতৃত্বগ্রহন না করতেন তাহলে কোনো কথা ছিল না ! এমন কোনো যুদ্ধের অভিযান আছে কি যেখানে রাসুল নিজেই অন্য কোনো সাহাবার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন ? না করেণনি, কিন্তু তিনি অন্যের অধীনে নামাজ পড়েছেন ! এমন কোনো উদাহরণ আছে কি যেখানে আলী রাসুল ছাড়া অন্য কোনো সাহাবার অধীনে সাধারণ সৈনিক হিসাবে যুদ্ধ করেছেন ? তাহলে যুদ্ধের সেনাপত্তিত্বকে ইস্যু হিসাবে টানব না । সো নামাজের ইমামতির চেয়ে যুদ্ধের নেতৃত্ব অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর !!! আশা করি উপলব্ধি করতে পেরছেন।


মুদ্দাকিরঃ না ভাই উপলব্ধি করতে পারি নাই!!! সেনাপতি সেই হবেন যিনি যুদ্ধ জয় করবেন। যিনি যুদ্ধ জয় করার তিনিই সেনাপতি হবেন। এমনো হয়েছে এক যুদ্ধেই পরপর তিন সেনাপতি ঠিক করে দেয়া হয়েছে, কারন রাসূল সাঃ জানতেন উনারা একে একে শহীদ হবেন, রাসূলের অদৃশ্য জ্ঞান নিয়া আমার কোন প্রশ্ন নাই মনে। আর খলিফা তিনিই হবেন যিনি শাসন কাজ চালাবেন, যিনি হবেন মুসলিমদের ইমাম, বুঝেছেন?


মিলন ভাই বললেনঃ যাইহোক, আপনার কমেন্টের প্রেক্ষিতে উপরের আলোচনা হলো। কিন্তু আমার ব্লগের মূল বিষয়বস্তু তা না । মূলবিষয় বস্তু হল-বনু হাশিম ও উমাইয়ার দ্বন্দ্ব কিভাবে শিয়া সুন্নীর দ্বন্দ্বে পরিণত হল। তাই পোস্টেই বলেছি- বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নবী মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই নতুন মাত্রা পায়। নবুওয়াত গেলেও রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাতে বনু হাশিমের কাছে যেতে না পারে মোহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই তার লাশের দাফন কাফন নয় বরং একটানা তিন দিন ধরে বনু সকিফাতে শলাপরামর্শ করে অবশেষে ওমর বিন খাত্তাবের জোর জবরদস্তি মূলক প্রস্তাবে খলিফা হন আবু বকর ! এইখানেই আসল ঘটনাটি। আপনি সেদিকে একবারও যাননি বা এনিয়ে কিছু বলেননি ! আমার পোস্টের মূল বিষয় ছিল নবী মোহাম্মদ সাঃ এর বনু হাশিমের মধ্য থেকে খলিফা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বনু হাশিমিতে সেই খেলাফত যায়নি বরং চক্রান্ত করে সেই খেলাফত ছিনিয়ে নেওয়া হয় যা পরবর্তীতে উমাইয়াদের খেলাফতের পথ প্রশস্ত করে ও উমাইয়া রাজবংশের পত্তন হয়। তাহলে প্রশ্ন দাড়ায়-বনু হাশিমের মধ্যে সেই ব্যক্তিটি কে যিনি মোহাম্মদের পর খলিফা হওয়ার একমাত্র যোগ্য ছিলেন ? সেই ব্যক্তিটিকে আপনারও অজানা নয় -আলী !! তো এখন আলী আবু বকর ও উমর, উসমানের চেয়ে খলিফা হওয়ার প্রকৃত হকদার কিনা সে নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তবে মনে হয় না আলোচনা সন্তোষজনক পর্যায়ে যাবে। আপনার করা কমেন্টগুলো থেকেই তা বুঝতে পারছি। আপনি নিজেও তা বলেছেন আলোচনা করে লাভ নেই । তারপরেও আলী যে প্রথম খলিফা হওয়ার মূল হকদার তা নিম্নে অতি সংক্ষেপে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরছি যা আপনি এর বিপরীতে অন্য কোনো সাহাবির ক্ষেত্রে দেখাতে পারবেন না । আর নবীর ওফাতের পর বনু সকিফাতে খেলাফতের দ্বন্দ্ব ও আবু বকরের খলিফা নির্বাচন ও পরের কিছু ঘটনা পর্যালোচনা করলেই বিসয়টা স্পষ্ট হত বা হবে। আমরা সবাই এই হাদিসটি জানি যে, রাসুল বলেছেন আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি তোমরা যতদিনিএই দুটি আঁকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না । একটি হচ্ছে কোরআন ও অপরটি সুন্নাহ। আসলে মজার বিষয় যে এই হাদিসটি চেইন অব ন্যারেশন ছাড়া শুধু মুয়াত্তা আল মালিক ব্যতিত কেউ উদৃতি করেণনি এবং সকল সিয়া সিত্তাতে যে মূল হাদিসটি আছে তা হল, আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি তোমরা যতদিন এই দুটি বস্তু আঁকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রস্ট হবে না । সেই বস্তু দুটি হল-কোরান ও আহলে বাইত । এই আহলে বাইতকে অনুসরণ করে শিয়ারা। হে লোকসকল ! আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি যদি তা ধারণ কর তা কখনই বিপদগামী হবে না ।তা হলো আল্লাহর কিতাব ও আমার আহলে বাইত। তিনি আরো বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি । আল্লাহ কিতাব ও আমার আহলে বাইত। তারা হাউজে কাওসারে আমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হবে না ।এই হাদিসটি সহিহ বোখারী, মুসলিম, তিরমিজী, মুসনাদে আহমাদ, নাসাই সহ সকল সিয়া সিত্তায় বর্ণিত আছে ! রেফারেন্সের প্রয়োজন হলে অবশ্যই দেব। এজন্যই আমি বলেছিলাম, সুন্নীদের চেয়ে শিয়ারাই সঠিক যদি ইসলাম ধর্ম সঠিক হয়ে থাকে।

বিদায় হজ্ব থেকে ফেরার পথে গাদিরে খুম নামক এক স্থানে রাসুল সাহাবাদের একত্রিত করে মঞ্চ খাটিয়ে হযরত আলীর হাত উচু করে একটি বিখ্যাত ভাষন দেন যা যা শিয়ারা সেটাকে মওলা আলীর অভিষেক হিসাবে পালন করে থাকে। ঐ স্থানে তিনি বলেন, হে লোকসকল ! অতি সত্তর আমি স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করব।আমি তোমাদের এরুপ একটি কথা বলব, যা শোনার পর তোমাদের কোনো ওজর পেশ করার সুযোগ থাকবে না । জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে কোরান ও আমার আহলে বাইতকে রেখে যাচ্ছি।

অতঃপর আলীর হাত উচু করে ধরে তিনি বলেন, আলী কোরানের সঙ্গে ও কোরানও আলীর সঙ্গে। তারা হাউজে কাওসারে মিলিত হওয়া পর্যন্ত পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হবে না । এছাড়াও তিনি বলেছেন, আহলে বাইত হল আমার নুহের কিস্তির মত যে তাতে আহরণ করবে সে নাজাত পাবে আর যে করবে না সে নিমজ্জিত হবে।



তাবরানী তার কাবির গ্রন্থে ও রাফেয়ী তার মুসনাদে অবিচ্ছিন্ন সনদে ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি এজন্য আনন্দিত যে সে চায় আমার মত জীবন যাপন করতে, আমার মত মৃত্যুবরণ করতে ও আমার প্রতিপালকের বেহেস্তে চিরস্থায়ী বসবাস করতে সে জানে আলীকে ভালবাসে ও আলীকেই তার অভিভাবক বলে জানে।সে যেন আলীকে তার বন্ধু বলে জানে।

আমি হলাম জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরজা ।

আলীর সাথে আমার সম্পর্ক হল মুসার সাথে হারুণের ন্যায়। পার্থক্য শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই ।

যে আলীকে ভালবাসে সে আমাকে ভালভাসে , যে আলীকে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।

সাহাবিরা একদিন রাসুলকে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনার উপর সালাম কিভাবে পাঠ করতে জানি কিন্তু দরুদ কিভাবে পাঠ করব ? রাসুল বললেন, আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মাদিও ওয়া আলা আলে মোহাম্মদ ।

হারিছ ইবনে হাছিরাহ আবু দাউদ সাবেয়ী হতে ও তিনি ইমরান ইবনে হুসাইন হতে বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলের নিকট উপবিষ্ট ছিলাম ও আলী তার পাশে বসেছিলেন, তখন রাসুল এ আয়াত তেলায়াত করলেন, বল, কে নিঃসহায়ের ডাকে সাড়া দেন যখন সে ডাকে ও কষ্ট দুরীভুত করেণ এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে খলিফা ও স্থলাভিষিক্ত মনে করেণ ?

আলী তা শ্রবণ করে ভয়ে কম্পমান হলে, রাসুল তার পিঠে হাত রেখে বললেন, তোমাকে মুমনি ব্যতিত কেউ ভালবাসবে না এবং মুনাফেক ব্যতিত কেউ তোমার প্রতি বিদ্বেষপোষণ করবে না এবং কিয়ামত পর্যন্ত এটি অব্যহত থাকবে।

যখন ইসলাম মক্কায় কোনো প্রভাবই রাখত না তখন মহান আল্লাহ নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল করে রাসুলকে নির্দেশ দিলেন, নিজের নিকট আত্মীয়দের ভয় প্রদর্শন কর।
অতঃপর রাসুল তাদের আবু তালেবের ঘরে সমবেত করেণ।তাদের মধ্যে আবু তালিব, আবু লাহাব, হামজাহ ও আব্বাস ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য নবী সাঃ বলেন, হে আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানেরা ! আমি আল্লাহর শপথ করে বলতে পারি আমি আরবদের মধ্যে এমন কোনো যুবকের সন্ধান জানি না যে তার গোত্র ও সম্প্রদায়ের জন্য এরুপ উত্তম কোনো বস্তু এনেছে যা আমি এনেছি। যার মধ্যে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণ আছে।আমি তোমাদের সেদিকে দাওয়াত করছি। তোমাদের মধ্যে কে আছে যে এক্ষেত্রে আমাকে সহযোগিতা করবে ও আমার পৃষ্ঠপোষক হবে সে আমার ভাই, খলিফা ও আমার স্থলাভিষিক্ত হবে।

আলী ব্যতিত সেদিন সকলেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।আলী সেদিন দাড়িয়ে বলেছিল, হে আল্লাহর নবী আমি আপনার সহযোগী হব। তখন রাসুল আলীর কাধে হাত রেখে বলেছিলেন, সে আমার ভাই, তোমরা কথা শ্রবণ কর ও আনুগত্য কর। এ কথা শুনে উপস্থিত লোকেরা হাসতে হাসতে আবু তালেবকে বললেন, তোমাকে বলা হল তোমার সন্তানের কথা শ্রবণ করতে ও আনুগত্য করতে।( এ হাদিসটি ইবনে ইসহাস, ইবনে জাবির, ইবনে হাতিম, ইবনে নাইম ও বায়হাকি তাদের সুনান গ্রন্থে ও সালাবি ও তাবারী তাদের তাফসিরে কাবীর গন্থে সূরা শুরার তাফসিরে এছাড়া তাবারী তার তারিখুল উমাম উল মূলক গ্রন্থের ২য় খন্ডে , ইবনে আসির তার কামিল গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডে , আবুল ফিদা তার ইতিহাস গ্রন্থে প্রথম খন্ডে , প্রথম মুসলমান কে এ আলোচনায় উক্ত ঘটনাটি হুবুহু বর্ণনা করেছেন। যাহাবীও তার তালখিস গ্রন্থে হাদিসটির বিশুদ্ধতা স্বীকার করেছেন।মুসনাদে আহমাদের ১ম খন্ডের ১১১ নং পৃষ্ঠা।এছাড়া অসংখ্য হাদীদের হাফেজ এ হাদিসটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্ণনা করেছেন।)
নবী তাবুকের যুদ্ধের জন্য বের হলেন, মদীনার লোকেরাও তার সঙ্গে বের হল।আলী নবীকে বললেন, আমিও আপনার সঙ্গে যাব। রাসুল বললেন, না । আলী কেঁদে ফেললেন। নবী সাঃ তাকে বললেন, তুমি কি এতে খুশি নও , তোমার সাথে আমার সম্পর্ক মুসা ও হারুণের সম্পর্কের ন্যায় ? পার্থক্য যে, আমার পরে কোনো নবী নেই । এটা ঠিক হবে না যে, আমি চলে যাব অথচ তুমি আমার স্থলাভিষিক্ত হবে না ।

নবী সাঃ আলীকে আরো বলেছেন, তুমি আমার পর সকল মুমিন পুরুষ ও নারীর অভিভাবক।

ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, নবী মসজিদের মধ্যে অতিক্রমকারী সকল দ্বার বন্ধ করে দেন শুধু আলীর দ্বার ব্যতিত।আলী অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করতেন।

বিদায় হ্জ্ব থেকে ফেরার পথে কোরানের নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল হয়-হে নবী ! আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা পৌছে দিন।যদি তা না করেণ তাহলে রেসালাতের আপনি কিছুই পৌছাননি ।

এখানে নিশ্চয় এতদিন পর পুনরায় নামাজ, রোজা ও হ্জ্ব , যাকাত বা খুমসের কথা বলা হয়নি।

যদি কেউ এ আয়াতের এ অংশটি লক্ষ্য করেণ, তাহলে রেসালাতের আপনি কিছুই পৌছাননি এরসঙ্গে রাসুলের কথাটি -এটা ঠিক হবে না যে আমি চলে যাব অথচ তুমি আমার স্থলাভিষিক্ত হবে না । মিলিয়ে দেখুন, একই লক্ষ্য অনুসরণ করছে।

নবী সাঃ বলেন, হে উম্মে সালিম ! আলীর রক্ত ও মাংস আমার রক্ত ও মাংস হতে। সে আমার কাছে মূসার নিকট হারুণের মত। ( এ হাদিসটি কানযুল উম্মাল গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খন্ডের ১৫৪ পৃষ্ঠার ২৫৫৪ নং হাদিস, মুসনাদে আহমাদের ৫ম খন্ডের ৩১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে।মুনতাখাবে কানয গ্রন্থেও এ হাদিসটি আছে) এরকম আরো অনেক হাদিস আছে।যেমন,

তাবরানি তার কাবীর গ্রন্থে ইবনে আব্বাস হতে বলেছেন, নবী সাঃ আলীকে বললেন, যখন তুমি লক্ষ্য করলে আমি মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করে দিলাম কিন্তু তোমাকে কারো ভাই হিসাবে ঘোষণা করলাম না তখণ তুমি কি আমার প্রতি অভিমান করেছ ? তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নয় যে তোমান অবস্থান আমার নিক মুসার কাছে হারুণের ন্যায়। পার্থক্য যে আমার পরে কোনো নবী আসবে না ।

নবী সাঃ বলেন, আমার প্রতি আলী সম্পর্কে তিনটি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। নিশ্চয় সে মুসলমান ও মুত্তাকিদের নেতা, নুরানী ও শুভ্র মুখমন্ডলের অধীকারীদের সর্দার । ( মুসতাদাকার গ্রন্থের তয় খন্ড ১৩৮ পৃষ্ঠা, বারুদী, ইবনে কানে, আবু নাইম, বাযযার এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। কানযুল উম্মাল গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খন্ডের ১৫৭ পৃষ্ঠার ২৬২৮ নং হাদিস।)

নবী সাঃ তার বিদায় হজ্ব্রে ভাষনের সময় বলেন, আলী আমার হতে আর আমি আলী হতে।আমার পক্ষ হতে ঐশী বানী পৌছানোর অধিকার কারো নেই একমাত্র আলী ছাড়া ।( ইবনে মাজাহ তার সুনান গ্রন্থে ৯২ পৃষ্ঠায়, তিরমিযী ও নাসাঈ তাদের সহিহ গ্রন্থে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল তার মুসনাদ গ্রন্থের ৪র্থ খন্ডের ১৫৪ নং পৃষ্ঠায় এহাদিসটি বর্ণনা করেছেন।আহমাদ তার মুসনাদের ১ম খন্ডের ১৫১ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন যে, ইতোপূর্বেও রাসুল অনুরুপ কথা বলেছেন ।

যদি এ হাদিসের শব্দগুলোর প্রতি দৃষ্টি দেন, হাদিসটা কত অর্থবহ , উন্নত ও গভীর।কারণ রাসুল সাঃ সকল দিক বিবেচনা করে দেখেছেন, আলী ব্যতিত অন্য কেউ এদায়িত্ব পালনে সঠিকভাবে সক্ষম নয়। কারণ নবীর পক্ষ হতে তার স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি, খলিফা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পন্ন আলী ছাড়া একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি কেউ ছিল না ।


নবম হিজরীতে রাসুল সাঃ আবু বকরকে সুরা তাওবার ১০ টি আয়াত প্রদান করে মক্কাবাসী উদ্দেশ্যে তা পাঠ করে শুনানোর নির্দেশ দেন।পরে হযরত আলীকে হযরত আবু বকরের পশ্চাতে প্রেরণ করে বলেন, যেখানেই পাও আবু বকরের নিকট হতে তা গ্রহন করে পাঠ করে সকলকে শোনাও ।আলী জুহফাতে আবু বকরের সাথে মিলিত হয়ে তার নিকট হতে আয়াতগুলো গ্রহন করেণ।আহমাদ ইবনে হাম্বল বলেন, হযরত আবু বকর মদিনায় ফিরে এসে রাসুলকে প্রশ্ন করেণ, আমার ব্যাপারে কিছু নাযিল হয়েছে কি ? রাসুল সাঃ বললেন, না।তবে জিবরাইল এসে বলেছেন, এ দায়িত্ব আমি অথবা আমা হতে কাউকে পালন করতে হবে।

রাসুল আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আলী ! তুমি দুনিয়া ও আখেরাতের নেতা ।তোমার বন্ধু আমার বন্ধু এবং আমার বন্ধু আল্লাহ বন্ধু।তোমার শত্রু আমার শত্রু আর আমার শত্রু আল্লাহর শত্রু।ধ্বংস সেই ব্যক্তির জন্য আমার পর যে তোমার সঙ্গে শত্রুতা করবে। ( এ হাদিসটি হাকিম তার ’মুসতাদরাক’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ও বোখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে সহিহ বলেছেন। এছাড়া অন্যান্য সহিহ হাদিসগ্রন্থেও এ হাদিসটি আছে)

হযরত আবু হুরাইরা, হযরত সালমান ফারসী থেকে বর্ণনা করেছেন, হযরত সালমান ফারসী বলেন, " ইয়া রাসুল (সাঃ) আল্লাহ্ যে নবীকেই প্রেরন করেছেন, তাঁকেই বলে দিয়েছেন যে, কে তাঁর উত্তরসুরী হবে । তবে কি আল্লাহ্ আপনাকেও বলেছেন যে, কে আপনার উত্তরসুরী হবে ? " নবী করিম (সাঃ) বললেন, " আমার উত্তরসুরী, আলী ইবন আবু তালিব হবে। "-[ সুত্রঃ- শারহে বোখারী ইবনে হাজার আসকালানী, খঃ-১৮, পৃঃ-১০৫।]

নবী (সাঃ) হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসিরকে বলেন, " হে আম্মার, যখন দেখবে আলী এক পথে চলছে আর বাকী সাহাবারা অন্য, তখন তুমি আলীর সঙ্গে যেও ও অন্যদের ত্যাগ করবে । কারন, সে তোমাকে পতনের পথে পরিচালিত করবে না এবং হে'দায়েতের পথ হতেও বের হতে দেবে না।"
[সুত্রঃ কানজুল উম্মাল। খঃ-৬,পৃঃ-১৫৬। আরজাহুল মাতালেব, পৃঃ-১০২৩। মুয়াদ্দাতুল কুরবা, পৃঃ-৬০। ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৪০২।]

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ''প্রত্যেক নবীরই একজন উত্তরসুরী থাকে, আর " আমার উত্তরসুরী হচ্ছে, আলী ইবনে আবু তালিব।" [সুত্রঃ- আরজাহুল মাতালেব, পৃঃ-৪৬, তারিখে বাগদাদ, খঃ-১১, পৃঃ-১৭৩, মুয়াদ্দাতুল কুরবা, পৃঃ-৫০, কানজুল উম্মাল, খঃ-৬, পৃঃ-১৫৮, ইয়ানাবীউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-১৩৩, তারিখে ইবনে আশাকীর শাফায়ী, খঃ-৩, পৃঃ-৫, শাওয়াহেদুত তানজিল, খঃ-২, পৃঃ-২২৩।]

রাসুল (সাঃ) আলী কে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, ''এ হলো আমার ভাই আর আমার পরে আমার উত্তরসুরী এবং তোমাদের খলিফা, তাঁর নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তাঁর আনুগত্য করো'' [সুত্রঃ তারিখে তাবারী, খঃ-২, পৃঃ-৩৩১, শারাহ নাহজুল বালাগা, খঃ-১৩, পৃঃ-২১১ ( ইবনে হাদীদ), আল কামিল ফিত তারিখ, খঃ-২, পৃঃ-৬৩, কানজুল উম্মাল, খঃ-১৩, পৃঃ-১৩১, মায়ালিমুত তানযিল, খঃ-৪, পৃঃ-২৭৯ ।]

"নিশ্চয়ই তোমাদের ওয়ালী তো হচ্ছেন শুধু আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং যারা ইমান আনে, নামাজ কায়েম করে ও রুকুরত অবস্থায় যাকাত দেয়। যারা আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও ইমানদার দের অভিভাবকত্বকে মেনে নেয় তারাই জয়ী হবে, কারন আল্লাহর দল ই বিজয়ী হবে"-কুরআন_মায়েদা।

শিয়া ও সুন্নী সকলেই একমত যে রুকুরত অবস্থায় যাকাত দেওয়া ব্যক্তিটি হযরত আলী।

কোরান ও হাদিস থেকে এরকম আরো অসংখ্য উদৃতি দেওয়া সম্ভব যা খেলাফতের প্রকৃত হকদার বলে আলীকেই জানান দেয়।

উপরের সবকিছু থেকে যে কারো কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবার কথা যে রাসুল(স) নিজেই উনার পর মুসলিম উম্মাহ এর নেতা আলি কে ই ঘোষণা করে গেছেন বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন কথায় এমন কি সকলের সামনে নিজের হাতে হাত ধরে দেখিয়ে দিয়ে। কিন্তু রাসুল(স) এর ওফাত এর পরক্ষণেই আলি, ফাতিমা, হাসান, হুসাইন তথা আহালে বাইত কে একপাশে রেখে তাঁদের মতের বীরেুদ্ধে গিয়ে ওমরের প্রস্তাবে আবু বকর কে খলীফা মনোনীত করা ফেলা হল, এমন কি তখন রাসুল(স) কে দাফন ও করা হয়নি।
রাসূলুল্লাহ্ (ছ্বাঃ) এরশাদ করেছেনঃ “ফাতেমাহ্র সন্তুষ্টিতে আমার সন্তুষ্টি, আর আমার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ফাতেমাহ্র অসন্তুষ্টিতে আমার অসন্তুষ্টি, আর আমার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।”
হযরত ফাতেমাহ্ রাসূলুল্লাহ্ এর -এর ইন্তেকালের পর মোটামুটি ছয় মাসের মতো বেঁচে ছিলেন। এ সময় তিনি হযরত আবূ বকর এর অনুকূলে বাই‘আত্ করা তো দূরের কথা, প্রতিবাদস্বরূপ তাঁর সাথে কথা বলা থেকেও বিরত থাকেন। এমনকি তার জানাজা ও কবর না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে জানাতেও নিষেধ করেণ। এ কারণে ফাতেমার কবর স্থানের কথা কেউ জানে না । পরে আলীও আর বাই‘আত্ গ্রহন করেননি তবে ইসলাম ও মুসলিম উম

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমার কমেন্টগুলো কপিপেস্ট করে কমেন্টের জবাব হয়ে গেল !!! এতো দেখি কারো কমেন্টের জবাব দেওয়া সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি !!! :D :D :D :) :) :) :) :) ;) ;) ;) ;) B-)) B-)) B-)) B-)) :D :D B-) B-) B-) B-) ;) ;) ;) ;) B-) B-) B-) :D :D :D

এজন্যই তো বলে খালি কলসি বাজে বেশি B-) B-) B-) B-) =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৩৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পরে আলীও আর বাই‘আত্ গ্রহন করেননি তবে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ্র বৃহত্তর স্বার্থে তিনি হযরত আবূ বকরকে এবং পরবর্তী দুই খলীফাহকে বিশেষ করে ফিক্বহী ও বিচারিক বিষয়াদিতে ইসলামের সঠিক বিধান ব্যক্ত করে সহযোগিতা করেছেন।


যাইহোক, আমার পোস্টের মূল বিষয়বস্তু বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের দ্বন্দ্বই যে পরবর্তিতে শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বে রুপ রাভ করেছে তা দেখানো । মূলত বনু হাশিম থেকে নবুওয়াত মেনে নিলেও বনু হাশিম থেকে খেলাফত মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না মক্কার নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিগণ যার পরিণতিতে পরবর্তীতে সেই দ্বন্দ্বের আধুনিক বিবর্তন হিসাবে শিয়া সুন্নীর উৎপত্তির হয়। লক্ষ্য করার বিষয়-শেষ পর্যন্দ মদিনার জনগণ যখন বনু হাশিম থেকে খলিফা নির্বাচনই করল তখন বেকে ওসমান হত্যার প্রতিশোধের কথা বলে বিদ্রোহ করলেন মুয়াবিয়া যার বাবা সুফিয়ানও নবী মোহাম্মদের নবুওয়াত মেনে না নিয়ে জীবনের পড়ন্তকাল পর্যন্ত নবী মোহাম্মদের সাথে যুদ্ধ করেছেন ! ঘটনা যেভাবেই বিবর্তন লাভ করুক না কেন প্রকৃত খলিফার হকদার বনু হাশিমের আলীকে যেভাবেই হোক খেলাফত থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পেয়েও তেমন লাভ হয়নি কারণ ততদিনে নদীর পানি অনেক দূর চলে গিয়েছে যার প্রবাহ এখনও বর্তমান। ধন্যবাদ।


মুদ্দাকিরঃ জানি এগুলো ছাড়া আপনার বলারই বা কি ছিল?? আমার এই দির্ঘ প্যাচাল শুনে মনে হল আমি অরন্যে রোদন করছি অথবা বানরের গলায় মুক্তার মালা দেবার চেষ্টা করছি। আরে ভাই আগের তিন খলিফা রাঃ দের সকলেরই বায়াত গ্রহণ করেছেন হযরত আলী রাঃ, উনি তাঁর অগ্রজ তিন খলিফার আমলে কিভাবে সময় কাটিয়েছেন স্টাডি করুন। উনি ঐ সময় গুলোতে যা যা করেছেন তা ইসলামের জন্য জরুরী ছিল নাকি উনার খেলাফত না উনার যুদ্ধ করা??? এটা আপনার চক্রের গুরুদের সিপিইউতে কখনই ধরেনি ধরবে বলে মনেও হয় না!!! আর প্রথম খলিফা যখন নিযুক্ত হন, তখন আলোচনায় হযরত আলী রাঃ প্রসঙ্গই আসে নাই!!! এত জন সাহাবী একবারে একি ভুল করলেন???? আরে উনিতো উনার যোগ্যতম সময়েই খলিফা হয়েছেন। ঝামেলাতো পাকাইছেন ইয়াজিদ সাহেব, উনার ঘাপলা বাজি না হইলেতো আপনাদের কখনো সাহসই হইতনা যে আল্লাহের রসূলের সাহাবী রাঃ দের চরিত্র আর যোগ্যতা নিয়ে কথা বলতেন !!!!!!!!

আর আমার বিশ্বস আল্লাহ যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই সব কিছু হয়েছে।

এই আলচনাতেও অনিচ্ছাকৃত কিন্তু প্রাসঙ্গিক কটু কথা গুলোর জন্য দুঃখিত। ক্ষমা করবেন। আসসালামুয়ালাইকুম। আর ভালো কথা আপনার শেষ কথা গুলোর অনেক কিছুর রেফারেন্সই আনডিসপিউটেড না। এখন আর এগুলো নিয়ে বলতে ইচ্ছা করছেনা।


ভালো থাকুন। আর কখনো যদি ইমান ফিরে পান এই অধমের জন্য দুয়া করতে ভুলবেন না যেন।

আল্লাহ আপনার ইমান ফিরিয়ে দিন (আমিন)

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এতক্ষণে বুঝলাম আমি উলুবনে মুক্ত ছাড়ালাম ! এরকম উত্তর যে ধর্ম সম্পর্কে ABC জানে না সেও দিতে পারবে ! আগেই বুঝেছি আপনার সাথে আলোচনা করে কিছু লাভ হবে না । কোরানের আয়াত ও এত্তগুলো রেফারেন্স দিলাম সবই ভুল ! এই হাদিসগুলোতে পরিষ্কার বলা আছে আলী হল মুসলমানদের পরবর্তী নেতা ! একটি দুটি নয় অসংখ্য রেফারেন্স দিয়েছি ! আর এই মহাজ্ঞানী সাহেব তা তুড়ি মেরে দিলেন !!!

যাদের উপলব্ধি করার ক্ষমতা আছে সে উপলব্ধি করে। বুঝতে পারছি সব অ্যান্টেনার উপর দিয়ে গেছে ! আমার মুসলিম পরিবারেই জন্ম । আমি সেই ছোটকাল থেকেই মুক্ত চিন্তা করি। যা সত্য তা গ্রহন করার মানসিকতা আমার আছে বলেই তো আমি এই কথাগুলো আজকে বলতে পেরেছি। যে কোনো ব্যক্তি যার নুন্যতম কমনসেন্স আছে সে এই আলোচনা পড়লেই উপলব্ধি করতে পারবে সত্যটা কি । দুপক্ষই যখন যুদ্ধ করে তখন দুপক্ষ কি করে সঠিক হয় এটা ছাগল ও পাগল ছাড়া কেউ বলতে পারবে না !!!

আর সাহাবিরা অনেক ভুল ত্রুটি করেছে উপরের উমরের বিষয়ে বলেছি। এরকম আরো অনেক আছে। কিন্তু না আর নয়। যারা অন্ধ বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসতে পারে না তারা সারাজীবনই অন্ধই থাকবে। তাদের জন্য আলোর কোনো পথ নেই । আর আমার বিষয়ে আপনার দোয়া কোনো কাজে লাগবে না । আমি একসময় অনেক নামাজ পড়েছি তা আবার জামাতের সাথে। ছেড়েও দিয়েছি তবে আবার যদি কোনোদিন ফিরে আসি তবে নিশ্চিত আপনার মত গণ্ডমূর্খ ও মূঢ় মুসলিম হব না । এছাড়া আপনার জন্য উপযুক্ত কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না বলে দু:খিত।সঠিকটাই কষ্টি পাথর দ্বারা যাচাই করে গ্রহন করব।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জীবনে অনেক জন্তু দেখেছি এই অদ্ভুত জন্তুটা এই পোস্টে প্রথম দেখলাম। আমার রেফারেন্সের বিপরীতে রেফারেন্স তো দূরে থাক এমনকি জোরালো যুক্তি সহকারে কোনো কমেন্টও নাই !! অথচ এরা নাকি প্রকৃত মুসলমান ! এই যদি মুসলমান হয় তাহলে মুসলমানেরা বোমা ফাটাবে না কেন ? সেই মুসলমানেরা শত শত বছর পিছিয়ে থাকবে না কেন ?

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আবু বকর যখন খলিফা হয় তখন আলীর কথা অবশ্যই উঠেছিল । আলী এটাও বলেছিলেন, যে যুক্তিতে আবু বকর খলিফা হয়েছে সেই একই যুক্তিতে আলীই খলিফা হওয়ার বেশি হকদার !! ওমরকে তিনি সেই কথাই বলেছিলেন। এইগুলো সব সুন্নী সূত্রে বর্ণনা আছে।তার পরের প্রসঙ্গে আবু বকরের খলিফা নির্বাচন ও বনু সকিফাতে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল তা নিশ্চয় তুলে ধরতাম !! আবু বকর বায়াত নিবে না বলে উমর আগুনের মশাল নিয়ে ছুটছিলেন ফাতেমার ঘরে আগুন দিতে !! এমনকি উমর ফাতেমার ঘরের দরজায় লাথি মেরে ভেঙ্গে দিয়েছিলেন !! এগুলো ঐতিহাসিকভাবে সত্য ! অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই !! এগুলো আমি আলোচনা করিনি । ভাবছিলাম আমি আগে আমার এই কমেন্টগুলোর জবাব দিবেন !

কিন্তু পাগল ছাগলকে বুঝিয়ে কোনো লাভ নেই কারণ বুঝতে হলে তো সেই শিক্ষা ও জ্ঞানের দরকার ! মাদ্রাসায় যারা পড়ে তাদের জ্ঞানের দৌড় জানা আছে !!! ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট লিখে !!!

আমার কমেন্টগুলো কপি পেস্ট করে কমেন্ট বড় বড় করে মানুষকে দেখানে যে কত্ত বড় বড় কমেন্ট করে জবাব দিয়েছি !!! আমার সেদিনই বোঝা উচিৎ ছিল যে আপনি কত্ত বড় একজন জঙ্গী যখন আমাকে হত্যার হুমকি দিলেন এই ব্লগে !!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এই লোকের জ্ঞানের দৌড় দেখুন ! যারা ভিজিট করতে আসছেন বা আসবেন তাদের সবাইকে বলছি এই মুদদাকির নামক ব্যক্তিটির মন্তব্যগুলো পড়ুন আমার মন্তব্যগুলো পড়ুন । আমার মন্তব্যগলো কপি পেস্ট করে সে দেখাতে চাচ্ছে যে আমার কমেন্টের জবাব দিয়েছে !!! মানুষ যে কত্ত বড় ছাগল হয় তা জানতাম না যদি এই লোকটি এখানে কমেন্ট না করত !!! আমি তো ওর মন্তব্যগুলো পড়তেছি আর হাসতে হাসতেই পড়ে যাচ্ছি !! ভাল বিনোদন দিয়ে গেল মাইরি !!!

B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) :D :D :D :D :) :) :) =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৩৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

জেনো বলেছেন: সবর।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জেনো ভাই, আমি মুক্তমনে আলোচনা করি। আর ধর্ম বিদ্বেষীও নই আপনি নিশ্চয় জানেন। আমি সত্যানুসন্ধানী। আমি অনেক কষ্ট করে খেটে খুটে অনেক রেফারেন্স ও তথ্য সংগ্রহ করে মুদদাকির নামক গাধাটার বালক সূলভ কমেন্টের জবাব দিয়েছি এই কারণে যে যাতে কিছুটা সত্য উপলব্ধি করতে পারে। এজন্যই ডিবেট করে কিছু ভাল ফল পাওয়া যায় না । যার জানার আগ্রহ আছে সে নিশ্চয় সত্যটা একদিন জেনে যায় আর যার জানার আগ্রহ নেই সত্য তার সামনে উপস্থিত হলেও সে বুঝতে পারে না । এই যে আমি যে বিষয় নিয়ে লিখেছি, কমেন্ট করেছি আমাকে কেউ এসব জানায়নি । আমি যখন যা পাই তা বুঝতে চেষ্টা করি চিন্তা করি। সত্য পেলে আমি অবশ্যই গ্রহন করব।

ইসলামে খেলাফত ইস্যু অনেক বড় একটা ইস্যু । ছোট খাট ব্যাপার মোটেই নয়। এটা তুড়ি মেরে উড়ে দেওয়ার মত কিছু নয় কিন্তু মুদদাকির নামক গাধাটা তাই করেছে ! মানুষ তখনই এরকম করে যখন তার জ্ঞানের ভান্ডার শুণ্য থাকে !

মুদদাকির পরবর্তীতে ছেলেমানুষীভাবে হলেও যে দুএকটা জবাব দিয়েছে তারও জবাব সেগুলোও গ্রহনযোগ্য নয়। সে বুঝতে পেরেছে যে এই আলোচনার জন্য সে উপযুক্ত নয়।

বোখারী ও মুসলিম শরীফে আছে রাসুল মৃত্যুশয্যায় সাহাবিদেরকে লেখার উপকরণ নিয়ে আসতে বললেন -উনি এমন কিছু বলে দিবেন যাতে মুসলমানেরা পথভ্রষ্ট না হয় ! উমর তখন বললেন, রাসুল প্রলাপ বকছেন !আমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট ! উপস্থিত সাহাবিরা দুইভাগে ভাগ হয়ে গন্ডগোল শুরু করে দিল তখন রাসুল রাগ করে সবাইকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বললেন !

এরকম একটি সহিহ হাদিসের বিপরীতে মোদদাকিরের জবাব, রাসুল লিখতে জানতেন না, তিনি উম্মি ছিলেন । তাই তিনি সেদিন কি করে লেখার ইচ্ছা পোষণ করলেন !!!

জবাব যদি এরকম হয় তাহলে বলার কি আছে ? তাহলে যখন কোরানের আয়াত নাযিল হত তখন রাসুল কি করতেন ? নিজে লিখতেন না কোনো সাহাবির দ্বারা লেখাতেন ? এখানেও ঘটনাটা তাই হবে ! আবু বকর যখন ইন্তেকাল করেণ তখন তিনি ওসমানকে ডেকে একটি উইল করে যান । সেই উইলটি হল পরবর্তি খলিফা উমরের বিষয়ে। সেই উইলটি আবু বকরও নিজে লিখেননি । তিনি ওসমানের দ্বারা লিখে নেন।

এরকম সিম্পল বিষয় যে বুঝতে পারে না সে কিভাবে এত বড় সড় একটা ব্যাপার বুঝবে !!!

ধন্যবাদ জেনো ভাই ।

৩৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

জেনো বলেছেন: ভাই, আপনি জানেন যে এসব ব্যাপার আমিও জানি। ফেবুতে আপনার এবং জয় সাহেবের পোস্ট পড়েছি। আপনি যেসব উৎস থেকে জেনেছেন আমারও মনে হয় সেসব পড়া হয়েছে আর তাইতো চিন্তাধারায় এতো মিল পাই। এটাও ব্লগে এসে আমার বড় পাওয়া। এমনিতেই ইতিহাস এবং দর্শন আমার প্রিয় বিষয়, একাডেমিক ভাবেও।
আমি মনে করি, মানুষ তার অর্জিত জ্ঞান, তথ্য, বুদ্ধি সমেত একটি বেলুনের মত। একটি একক জগত। পৃথিবীতে যত মানুষ রয়েছে ঠিক সেই পরিমান জগত রয়েছে এবং প্রত্যেকটি জগতই ইউনিক।
মানুষের আরেকটি ব্যাপার হলো, নিজের বেলুনের মাপ কে স্টান্ডার্ড ধরে অন্যান্য বেলুনের পরিমাপ করা। নিজের জগতের বিপরিতে অন্য জগতের বৈসাদৃশকে বাতিল করা।
ক্যালকুলাস তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রের কাছে অযৌক্তিক মনে হতে পারে কিন্তু তাই বলে ক্যালকুলাস কিংবা তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রের জগত কোনটাই অযৌক্তিক নয়। মূল ব্যাপারটাই হল সময়।
শিয়া-সুন্নি দ্বন্দের রাজনৈতিক ব্যাপার ছাড়াও ফিলোসোফিকাল স্টেটমেন্ট ও আইডিয়া গুলো বেশ ভাবায় আমাকে।
এবং মিমাংসা আল্লাহই করবেন কে সত্য। আমি অন্যের পাপের বোঝা নিজের ঘাড়ে নিতে রাজি নই, সে অনুমতি আমার রব আমাকে দেননি।

কেউ যদি আমাকে মূর্খ বলে অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ জানাব। আমাকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, সব জ্ঞানের অধিকারি একমাত্র আল্লাহ। তার থেকেই শুধু জ্ঞান প্রার্থনা করি। এই জগত এবং বস্তুসকল মাধ্যম ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এমন কিছুই জানিনা যা নিয়ে আমি অহংকার করতে পারি।

প্রশান্তি আসুক বিশ্বপ্রাণ জুড়ে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জেনো ভাই, আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। আপনি আমাকে দেখেছেন ব্লগে, দেখেছেন ফেসবুকে আমি ভিন্নমতকে সবসময় শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এমনকি স্লাং ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজ না করলে আমি কাউকে কখনই ব্লক করিনি । কিন্তু সমস্যা হল যখন কোনো ব্যক্তি আবো তাবোল বকে, লাগামহীন মন্তব্য করে কোনো যুক্তি ছাড়াই, কি মন্তব্য করেছে সে নিজেই জানে না তখন আর কি প্রয়োজন পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করার ? সমস্যা হল কিছু মানুষ আছে যারা জানে না যে সে জানে না তাদের সাথে পারা মুশকিল !!! আমি উপরের কমেন্টগুলো যে রেফারেন্স দিয়েছি তার বিপরীতে একটিও রেফারেনস দিতে পারেনি ! ইসলামে যা ঘটেছে ও ঘটবে তা সবই হতে হবে কোরান ও হাদিস ভিত্তিক ! সো কোরান হাদিস থেকে কোনো রেফারেন্স না দিয়ে কেউ যদি বলে আলহামদুলিল্লহা আমাকে একটি রেফারেন্সও দেওয়া লাগেনি !!! তাকে কি বলব বলেন ? গর্দভ বললেও খুব কম বলা হবে !!!


ভাল থাকবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা । প্রশান্তি আসুক বিশ্বপ্রাণ জুড়ে।

৩৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

ইমরান আশফাক বলেছেন: বিকৃত তথ্য সম্বলিত পোস্ট, প্রচুর ঐতিহাসিক ভুল (কিংবা ইচ্ছাকৃত) আছে এখানে এবং ব্যাখ্যাগুলিও সম্পূর্ন মনগড়া ও বানোয়াট।

৩৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

জামিনদার বলেছেন: ওসমান নিহত হওয়ার পর সাধারণ মদিনাবাসী আলীকে খলিফা নির্বাচিত করল ও নির্বাচিত খলিফা আলী দুর্নীতিপরায়ন উমাইয়া গভর্ণরদের বরখাস্ত করলেন, কিন্তু সব গভর্ণর মেনে নিলেও মুয়াবিয়া খলিফা আলীর নির্দেশ মানলেন না

আহা এতএত কাহীনি নিয়ে এত জট পাকাইলেন অথচ এ অধ্যায়ে রাসুলের একজন বিশিষ্ট সাহাবীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর এত সরল বর্ণনা দিলেন যে মনে হয় ওসমান গাছ থেকে লাফদিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে নিহত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.