নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানে একটি খুন , অভিযুক্ত মহিলার ফাঁসি ও ঘটনার ইতিকথা !

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

ইরানি এক মহিলা রিহানিহ জাবারী (২৬) এর ফাঁসির রায় কার্যকর নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া তোলপাড়! আপনারা যারা প্রতিদিন আন্তর্জাতিক নিউজ পড়ে থাকেন তারা নিশ্চয় ইরানি ঐ মহিলার ফাঁসির নিউজটাও পড়েছেন। আমি এটা নিয়ে লিখতাম না, দুটি কারণে লিখতেছি। ১. পশ্চিমা মিডিয়া্য় এই ফাঁসির রায় নিয়ে তোলপাড় ২. আমাদের সোসাল মিডিয়াতেও এই ফাঁসির রায় নিয়ে কম আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে না বিশেষ করে শিয়া ইরান বিরোধী মুসলিম সমাজের মধ্যে । তাই পশ্চিমা মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত নিউজ অনুসারে আমি পুরো ঘটনার স্বল্প বিস্তার বর্ণনা করতেছি। তবে তার আগে বলে নেই-ব্যক্তিগতভাবে আমি যে কোনো ধরণের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী সে যেই হোক। আমার ব্যক্তিগত কামনা পৃথিবীর প্রতিটি দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত হোক।এটা আমার নৈতিক অবস্থান। আপনাদের অবস্থান আমার বিপরীতমুখী হতে পারে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই ।



ইরানের বিচার ব্যবস্থা প্রকৃত অর্থে স্বাধীন কারণ ইরানের নির্বাহী বিভাগের কোনো ক্ষমতা নেই বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করার। ইরানের নির্বাহী বিভাগের প্রধান হলে প্রেসিডেন্ট। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হলেন একজন আয়াতুল্লাহ যিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা সাইয়েদ আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী কর্তৃক নিয়োগকৃত। যাইহোক, ইরানি সংবিধান অনুসারে হত্যা , দেশ ও বিপ্লবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকদের এবং মাদক চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের হত্যার শাস্তির বিধান আছে। তবে খুন বা হত্যার ক্ষেত্রে যদি নিহতের পরিবার খুনীকে ক্ষমা না করে বা রক্তপণ বিনিময়ে ক্ষমা না করে তাহলে ইরানের কোনো ব্যক্তিরও ক্ষমতা নেই খুনীকে বাঁচানোর, প্রেসিডেন্ট ও সর্বোচ্চ নেতারও নেই!এ প্রসঙ্গে ছোট্ট পরিসরে একটি ঘটনার উল্লেখ করি। গত বছর ইরানের একটি গ্রামের দুই তরুণ বন্ধুর মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে একজন আর একজনকে খুন করে ! যাইহোক, মামালা দীর্ঘদিন চলার পর আদালত খুনি যুবকের ফাঁসির রায় দেয়। রায় কার্যকরের দিন ভিকটিমের পরিবার সেখানে উপস্থিত। খুনি যুবকের গলায় ফাঁসি রশিটি পড়িয়ে দিবেন নিহত যুবকের মা ! কিন্তু বিষ্ময়ের ব্যাপার, সেই মা তার ছেলের খুনির গলায় ফাঁসির রশিয়ে না পড়িয়ে সবাইকে অবাক করে ছেলেটিকে ক্ষমা করে দেন! তৎকালীন সময় তা আলোড়ন তুলে সারা বিশ্বে। এরকম আরো কয়েকটি ঘটনা আমার জানা আছে যা এখানে স্বল্প পরিসরে বলা সম্ভব নয়।



এখন আসি মূল ঘটনায়। রিহানিহ জাবারি ছিলেন একজন গৃহসজ্জাকারক। ২০০৭ সালে সাবেক এক সরকারী কর্মকর্তা মোর্তেজা আব্দুল আলী সারাবান্দির সাথে এক ক্যাফেতে সাক্ষাৎ করেণ রিহানিহ জাবারী। সেখানে তারা দুজন একটি ব্যাবসায়িক চুক্তি নিয়ে কথা বলেন এবং চুক্তি করার জন্য সারাবান্দি রিহানিহ জাবারিকে তার অফিসে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই মোতাবেক জাবারি সারাবন্দির অফিসে উপস্থিত হন। ঘটনা এখানেই শুরু। জাবারীর দাবি অনুসারে সারাবন্দি জাবারীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে জাবারী তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তাকে ছুরিকাহত করে বিছানায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান! রক্তক্ষরণ অবস্থায় সারাবান্দি মারা যান। কিন্তু কথা হল জাবারী সারাবান্দির পিঠে ছুরিকাহত করেণ! যদি সারাবান্দি জাবারীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হত আর জাবারী আত্মরক্ষার জন্য ছুরিকাহত করত তাহলে নিশ্চয় তা পিঠের দিকে ছুরিকাহত করত না ! যাইহোক তারপর সারাবন্দির পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করেণ। ২০০৭ সালেই জাবারী গ্রেফতার হন এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সারাবান্দির পরিবার দাবি করেণ, ঘটনাটা পূর্ব পরিকল্পিত এবং তদন্তে জানা যায়-জাবারী ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করার দুই দিন আগে একটি দোকান থেকে ছুরিটি কিনেন !



মামলা দীর্ঘদিন চলার পর ২০০৯ সালে ইরানের নিম্ন আদালত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে রিহানিহ জাবারীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।তখন থেকেই জাবারীর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও এর প্রতিবাদ জানায়। অ্যামেনিস্টি ইন্টারন্যাশনাল জাবারীর পক্ষে বক্তব্য দেয় এভাবে-রিহানিহ জাবারী সারাবান্দিকে ছুরিকাহত করেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি সারাবান্দিকে হত্যা করেণনি, হত্যা করেছে অন্য কেউ।According to Amnesty International, Jabbari had admitted stabbing Sarbandi, but had claimed that someone else in the house had killed him. কিন্তু জাবারী ঐ বাড়ির তৃতীয় ব্যক্তিকে চিনতে ব্যর্থ হন। এরপর জাবারী উচ্চ আদালতে আপিল করেণ। মানবাধিকার সংস্থাগুলোসহ বিশ্ব মিডিয়ার প্রচারণার ফলে ইরানের উচ্চ আদালত তার ফাঁসির রায় স্থগিত করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত ও মামলার শুনানি শেষ উচ্চ আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইরান সরকার থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় শীঘ্রই রিহানিহ জাবারীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।০১ অক্টোবর ২০১৪ রায় কার্যকর সাময়িকভাবে স্থগিত করে ইরানি আদালত জাবারীকে নিহতের পরিবার থেকে ক্ষমা অথবা রক্তপনের বিনিময়ে ক্ষমা গ্রহন করার সুযোগ দেয় কিন্তু নিহতের পরিবার জাবারীকে ক্ষমা করতে সম্মত হননি। জানা গেছে, নিহতের পরিবার জানিয়েছে মূলত ধর্ষণের অভিযোগ করাতে তারা সমাজের কাছে হেয় হয়ে গেছেন এজন্য তারা ক্ষমা করতে রাজি হননি।অবশেষে ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ভোর রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রিহানিহ জাবারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়! মৃত্যুর পুর্বে রিহানিহ জাবারী তার মাকে একটি চিঠি লিখে যান ও তার মরদেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তিনি দান করে যান।



রিহানিহ জাবারীর ফাঁসির রায়ের পক্ষে ইরানি প্রসিকিউটর মিডিয়াতে যা বলেছেন-



১. জাবারীকে সন্দেহবশত গ্রেফতার করা হয়েছে কারণ তদন্তে দেখা গেছে নিহতের শেষ ফোন কলটি জাবারীর ছিল।

২. পুলিশ রিহানিহ জাবারীর বাড়িতে রক্তমাখা স্কার্ফ ও ছুরির প্রকৃত খাপ পেয়েছে যা খুন করার ছুরির সাথে মিলে গেছে।

৩. জাবারী স্বীকার করেছেন যে তিনি ঘটনার দুই দিন পূর্বে ছুরিটি কিনেছিলেন।

৪. জাবারী ঘটনার তিন দিন আগে তার বন্ধুকে মেসেজ করেণ যে, আমি আজ রাত্রিতে তাকে হত্যা করব।

৫.জাবারী দাবি করেণ যে তিনি সারাবান্দিকে ছুরিকাহত করেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি তাকে হত্যা করেণনি তবে তিনি ছুরিকাহত করে পালিয়ে আসার সময় শেইখী নামে এক ব্যক্তিকে দেখেছেন কিন্তু সেই শেইখিকে তিনি চিহ্নিত করতে পারেণনি।

৬. জাবারীর দাবি যে তিনি ছুরিকাহত করে আসার পর তৃতীয় ব্যক্তি সারাবান্দিকে খুন করেছে। তার দাবির পক্ষে যথাপোযুক্ত তদন্ত চালানো হয়েছে কিন্তু তার দাবির পক্ষে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালত কোনো প্রমান পাননি।তারপরেও প্রোসিকিউটর অফিস চেষ্টা করেছে দুই পরিবারকে একত্রে বসে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের কিন্তু নিহতের পরিবার কোনোমতেই ক্ষমা করতে রাজি হয়নি।



! ( লেখকের নাম ছাড়া লেখা প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ! কপি করার আগে একবার ভাবুন, এই লেখাটি আপনার নিজস্ব সম্পত্তি নয়!)



মিজানুর রহমান মিলন।

২৯.১০.২০১৪।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন:

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আসলে পশ্চিমা মিডিয়া হল মেইন স্ট্রিম মিডিয়া। তারা যা বলে আমরা তাই গলধকরণ করি আর করতেও বাধ্য। তবে তাদের নিউজ থেকেই সত্য উপলব্ধিও করাও যায় যেমন এই লেখাটা পুরোপুরি পশ্চিমা মিডিয়া থেকে নেওয়া । ইরানি মিডিয়াতে বলা হয়েছে ঐ মহিলার সাথে নিহত ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্ক ছিল..সম্পর্কের টানাপোড়নে মহিলা ঐ ব্যক্তিকে খুন করে..

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

নতুন বলেছেন: কয়জন মহিলা পকেটে ছুরি রাখে? দুই দিন আগে তিনি ছুরি কিনেছিলেন....

এটা পরিকল্পিত হত্যা....

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ঘটনার সমস্ত আলামত তো তাই বলে যে এটা পরিকল্পিত হত্যা। ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: দুনিয়াতে এতো কিছু'র মাঝে এই একটি মামলা নিয়ে এতো হৈ-চৈ কেন ? এখানে ইন্টারেষ্টেড কোয়ার্টার আর কে বা কারা ?

মুসলিম প্রধান দেশগুলির মধ্যে ইরানই একমাত্র ব্যতিক্রম যে ইসলামিক রাস্ট্র হওয়ার পরেও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। সৌদি আরবে সৌদি সরকারের সমালোচনা করার কারণে সে দেশের প্রখ্যাত এক শিয়া আলেম শেখ আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি আদালত। এমনকি সেই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়া তেমন গুরুত্ব সহকারে নিউজ প্রচার করেনি ! আমার পর্যালোচনা হল-আমি যদিও ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী তবে এই ঘটনাটি যেভাবে পশ্চিমা মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করেছে তাতে তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। নি:সন্দেহে তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। এই ইস্যুতে ইরানকে বেকায়দায় ফেলানোর একটা কৌশলমাত্র বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে যেখানে ইরানের পরমানু কর্মুসুচি নিয়ে আলোচনা চলছে।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

আবিদ হোসেন বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদীদের খুব
লেগেছে !

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সহমত ।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: "ঘটানাটি হচ্ছে দু'জনের অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয় এবং এই খুনের ঘটনা ঘটে। সে ক্ষেত্রে পুরুষ লোকটি যে ভালো মানুষ ছিলেন তা বলা সুযোগ নেই। টানাপড়েনের একটি পর্যায়ে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যার কারণে রেইহানা লোকটিকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। খুনের দুই দিন আগে রেইহানা নতুন ছুরি কিনেছিলেন এবং তার এক বান্ধবীকে এসএমএস করেছিলেন যে, খুনের ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছে। এখানে একটি কথা মনে রাখা দরকার তাহলো- এই মহিলার সঙ্গে ইরানের আদালতের এমন কোনো ঘটনা ঘটে নি যে তাকে ফাঁসি দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়ে দেবে। অথবা এই মহিলা ইরানের জন্য কোনো হুমকি ছিলেন সে কারণে তার ফাঁসি কার্যকর করা হলো।" http://goo.gl/sCxcsc

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: দুনিয়াতে এতো কিছু'র মাঝে এই একটি মামলা নিয়ে এতো হৈ-চৈ কেন ? এখানে ইন্টারেষ্টেড কোয়ার্টার আর কে বা কারা ?

মুসলিম প্রধান দেশগুলির মধ্যে ইরানই একমাত্র ব্যতিক্রম যে ইসলামিক রাস্ট্র হওয়ার পরেও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। সৌদি আরবে সৌদি সরকারের সমালোচনা করার কারণে সে দেশের প্রখ্যাত এক শিয়া আলেম শেখ আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি আদালত। এমনকি সেই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়া তেমন গুরুত্ব সহকারে নিউজ প্রচার করেনি ! আমার পর্যালোচনা হল-আমি যদিও ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী তবে এই ঘটনাটি যেভাবে পশ্চিমা মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করেছে তাতে তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। নি:সন্দেহে তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। এই ইস্যুতে ইরানকে বেকায়দায় ফেলানোর একটা কৌশলমাত্র বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে যেখানে ইরানের পরমানু কর্মুসুচি নিয়ে আলোচনা চলছে।

++++

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:১৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার এবং দারুন একটি রহস্য উদঘাটন করেছেন।
হত্যা রহস্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০২

তূর্য হাসান বলেছেন: এই ঘটনার বিস্তারিত জানার আগ্রহ ছিল। ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তবে ব্যবসায়িক কথা বলতে গেলে একজন মহিলা সাথে একটা ছুরি রাখবেন কেন?- এই প্রশ্নটাই মাথায় ঘুরছে।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

রামন বলেছেন:
ইরানের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক কাজীর বিচার বলা যেতে পারে। অতীতেও বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাবে অনেক অভিযুক্ত লঘু অপরাধ করে গুরুদন্ড পেয়েছে।
ধন্যবাদ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এই বিচার প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছদিক তুলে ধরার অনুরোধ রইলো। লঘু অপরাধ করে গুরু দণ্ড পেয়েছে এই লঘু আর গুরুর ক্রাইটেরিয়া কি ? আমি পোস্টেই উল্লেখ করেছি কি কি কারণে ইরানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একজন ব্যক্তিকে হত্যাকে আপনি কিভাবে লঘু অপরাধ বলেছেন ? হ্যাঁ, বলতে পারেণ আপনি যদি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী হয়ে থাকলে তবুও মৃত্যুদণ্ড বাদে সর্বোচ্চ শাস্তির বিকল্প নেই ।

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১১

আশমএরশাদ বলেছেন: এখানে যে বিষয়টি উঠে আসেনি সেটা হলো রেহানীর প্রভোক্ড হওয়া। উপরের তথ্য গুলাকে সত্য ধরা হলেও এটা স্পষ্ট যে রেহানী ঐ ব্যক্তির প্রতি এতটাই আক্রোশের যে খুন করার মত ঘটনা ঘটাতে হলো?
নিশ্চয় লোকটিও রেহানীর জীবনের জন্য হুমকী স্বরূপ ছিল?
রেহানী ছুরিটা আগে থেকে কিনে নেয়াকে এবং এসএমএস যদি সত্য ধরি তাহলে মোটিভটা কি ছিল?
নিশ্চয় ঘটনা এমন যে রেহানী প্রভোক্ট হতে হতে একটা পরিকল্পনা নিয়েছিল যে সে যদি আজকেও তার গায়ে হাত দেয় তাহলে সে চুরি চালাবে- সে ক্ষেত্রে কি আমরা প্রভোক্ট হওয়ার বিষয়টি নিয়ে রেহানীর পক্ষে কথা বলতে পারি না?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: চমৎকার যুক্তি দিয়েছেন B-) B-) কিন্তু এই যুক্তিতে প্রতিটি মেয়ে প্রতিটা চেলেকে খুন করতে পারবে। আর খুন করার পর বলবে সে আমাকে রেপ করতে চেয়েছিল বা আমাকে প্রোভোক্ট করেছিল ! তাই নয় কি ? বিচারক ও আদালতের কাছে আবেগ নয় তথ্য প্রমানই হল আসল। আবেগ দিয়ে কখনও বিচার করা যায় না !

আমি বলতে পারছি না লোকটি ভাল ছিল বা খারাপ ছিল তবে লোকটি বেঁচে থাকলে হয়তো লোকটিরও বিচার হত বা করা যেত কিন্তু যেহেতু লোকটি নিজেই খুনের শিকার সেহেতু খুনীর শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিৎ ও হয়েছেও তাই । এটাই নিয়ম।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১

রামন বলেছেন:
লেখক @
শুরুতে বলি ইরানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া বা না দেয়ার বিষয়ে আমি কেউ নই, এই সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক সে দেশের জনগণ। আমার বলার বিষয় হলো কোনো দেশের প্রজা খুনী হলে যত না বিপদজ্বনক তার চেয়ে ভয়ানক যদি রাষ্ট্র হত্যাকারী হয়। অতীতে ইরান সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করে অনেক সরকার বিরোধী লোক রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় জড়িয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই সকল মামলাগুলোর পরিচালনার ক্ষেত্রে ত্রুটি পূর্ণতার ও স্বচ্ছতা অভাব ছিল বলে আন্তর্জাতিক মহল ধারণা করে। তাছাড়া আপনার উল্লেখিত কারণ ছাড়াও ধর্মীয় কারনে সেখানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কয়েক বছর আগে এক ব্যক্তি নিজেকে খোদা বলে দাবি করায় তাকে ফাসির দড়িতে প্রাণ দিতে হয়। লোকটি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল কিনা বা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের যথাযথ সুযোগ না দিয়েই তার প্রাণদন্ড কার্যকর করাহয়। এখানে আলোচ্য মেয়েটি যে ব্যক্তিকে খুন করার অপরাধে অভিযুক্ত হয় সে ছিল ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা। ইরানে সরকারের লোকদের ক্ষতি করে পার পাবার কোনো সুযোগ নাই। তাছাড়া সেখানের ইসলামিক আইন অনুযায়ী হত্যার বদলে হত্যাই ধার্য্য করা হয়। মেয়েটি আত্মরক্ষার্থে বা সম্ভ্রমহানীর অপমানে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে খুন করতে বাধ্য হয়েছিল কিনা এসব বিষয়গুলো আদালতের নিকট গৌন বিষয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তৃতীয় কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বা স্বাক্ষী ছাড়া কোনো মামলায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এটা কেবল কাজির বিচারে সম্ভব।
আশাকরি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি, ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

আজমান আন্দালিব বলেছেন:
ঘটনা বিস্তারিত জানার আগ্রহ ছিল। ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

আহলান বলেছেন: মহিলাটি কেনো খুন এর মতো মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিলো তা কিন্তু বের হয়নি। ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.