নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খলিফা নির্বাচনে উমরের শুরা কমিটি ও সেদিন যা ঘটেছিল !

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

আবু লুলাহ কর্তৃক আহত হবার পর খলিফা উমর বুঝতে পারলেন যে তিনি আর বাঁচবেন না।তখন তিনি খেলাফত বিষয়ক একটি পরামর্শ কমিটি গঠন করলেন। তবে তিনি বারবার জনগণকে এই বলে হুশিয়ার করেছিলেন যে, আবু বকরকে একজনের একক সিদ্ধান্তে খলিফা করা হয়েছিল যা সঠিক পদ্ধতি ছিল না। আল্লাহ আমাদের সেই ভুল থেকে বাঁচিয়েছেন! এরকম যেন দ্বিতীয়বার করা না হয়। যদি কেউ করে তবে দু’জনকেই যেন হত্যা করা হয়। তার মানে দাড়ালো খলিফা ওমরের এই বক্তব্য অনুসারেই প্রথম খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি সঠিক ছিল না।

অন্যদিকে খলিফা উমরের আহত হওয়ার কথা শুনে মা আয়েশা উমরকে বানী পাঠালেন,

”ইসলামী উম্মাহকে নেতাবিহীন অবস্থায় রেখে যাবেন না । একজন খলিফা মনোনয়ন করুণ।অন্যথায় আমি অমঙ্গল ও সমস্যার আশংকা করছি।”


প্রশ্ন হলো ইসলামী উম্মাহকে নেতাবিহীন অবস্থায় রেখে গেলে যেখানে মা আয়েশা অমঙ্গল ও সমস্যার আশংকা করেণ সেখানে রাসুল (সা) তার নিজের তিল তিল করে গড়া ইসলামী উম্মাহকে কিভাবে নেতাবিহীন অবস্থায় রেখে যান ? মা আয়েশা কি রাসুল (সা) এরচেয়ে বেশি জ্ঞানী ছিলেন ?

যাইহোক, কমিটিতে তিনি আলী ইবনে আবু তালিব, উসমান ইবনে আফফান, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, জুবায়ের ইবনে আওয়ান, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস ও তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহকে সদস্য মনোনীতি করলেন।তিনি পরামর্শক কমিটিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করালেন যেন তার মৃত্যুর তিনদিন পর তাদের মধ্য হতে একজনকে খলিফা হিসাবে নিয়োগ করেণ এবং এ তিনদিন সুহাইব খলিফার কাজ চালিয়ে যাবে। আলীর যোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা সত্বেও উমর পরামর্শক কমিটি গঠন করেছিলেন।তার উদ্দেশ্য ছিল খেলাফত যেন তার ইচ্ছার অনুকুলে যেতে পারে ( অর্থাৎ আলীকে বঞ্চিত করা) ও সেভাবেই তিনি পরামর্শ কমিটি মনোনয়ন ও কার্যপ্রণারী নির্ধারণ করেছেন। একজন সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরও একথা বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, কমিটি গঠন ও কার্যপ্রণালী নির্ধারণের মধ্যেই উসমানের জয়ের সকল উপাদান নিহিত ছিল। কমিটির সদস্যগণের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় আব্দুর রহমান ইবনে আউফ উসমানের ভগ্নিপতি, সাদ ইবনে ওয়াক্কাস আব্দুর রহমানের আত্মীয় ও জ্ঞাতি এবং সে সর্বদা আলীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করত। তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ ওসমানের প্রতি অনুরক্ত ছিল এবং সেও আলীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করত কারণ সে তায়েমী গোত্রের। আবু বকরের খেলাফত দখলের ফলে তায়েমী ও হাশেমীয় গোত্রের মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল না।এমতাবস্থায় জুবায়ের আলীল পক্ষে ভোট দিলেও উসমানের জয়ের জন্য তার একটি ভোট কোনো বাধা হয়ে দাড়ায় না। কেউ কেউ লিখেছেন, পরামর্শক কমিটির বৈঠকের দিন তালহা মদিনায় উপস্থিত ছিলেন না। তার অনুপস্থিতে তাকে যদি আলীর পক্ষেও ধরা হয় তবুও উসমানের জয় অনিবার্য ! কারণ উমর তার বিচক্ষণতা দিয়ে কমিটির যে কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করে দিয়েছে তাতে উসমানের জয় সুনিশ্চিত। কার্যপ্রণালীটি নিম্নরুপঃ

যদি দুজন সদস্য একজন প্রার্থীর পক্ষে যায় এবং অপর দুজন সদস্য অন্য এক প্রাথীর পক্ষে যায় তবে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর মধ্যস্থতা করবে।আব্দুল্লাহ যে পক্ষকে নির্দেশ দিকে সে পক্ষ থেকে খলিফা নিয়োগ করা হবে।আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের রায় যদি তারা মেনে না নেয় আব্দুর রহমান ইবনে আউফ যার পক্ষে থাকবে আব্দুল্লাহ সে পক্ষকে সমর্থন করবে এবং অপরপক্ষ এ রায় অমান্য করলে তাদের মাথা কেটে হত্যা করতে হবে। ( তারাবি ১ম খন্ড, পৃঃ ২৭৭৯-২৭৭৮০, অছীর ৩য় খন্ড, পৃঃ৬৭)

এখানে আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের রায়ে অসম্মতির কোনো অর্থ হয় না কারণ অসম্মতি জানালেও আব্দুর রহমান ইবনে আউফ যে পক্ষে থাকবে সে পক্ষকে সমর্থন করার জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে উমরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর সে পক্ষ থেকেই খলিফা নিয়োগ করা হবে। তাই আব্দুর রহমানের আদেশের অপেক্ষায় পঞ্চাশটি রক্ত পিপাসু লোক তরবারি নিয়ে প্রস্তুত ছিল বিরোধী পক্ষকে হত্যা করার জন্য।

অবস্থাদৃষ্টে আলী তার আগেই চাচা আব্বাসকে বলেছিলেন, উসমান খলিফা হতে যাচ্ছে কারণ উমর সে পথ পরিস্কার করে দিয়ে গেছে।

যাইহোক, উমরের মৃত্যুর পর আয়েশার ঘরে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভা চলাকালে আবু তালহা আল আনসারীর নেতৃত্বে পঞ্চাশজন লোক উন্মুক্ত তরবারী নিয়ে দাড়িয়ে ছিল।তালহা সভার কার্য শুরু করলেন ও উপস্থিত সকলকে সাক্ষী রেখে উসমানের পক্ষে ভোট প্রদান করলেন। এতে জুবায়েরের আত্ম সম্মানে আঘাত লাগে কারণ তার মা ছিল আব্দুল মুত্তালিবের কন্যা ও আলীর ফুফু। তাই তিনি আলীর পক্ষে ভোট প্রদান করলেন। সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস তার ভোট আব্দুর রহমানের পক্ষে প্রদান করল। এতে তিনজনই প্রত্যেকে এক ভোট করে পেয়ে সমান হল।সুচতুর আব্দুর রহমান একটি ফাঁদ পেতে বলল, আলী ও উসমান তাদের দুজন থেকে একজনকে খলিফা মনোনীতি করার ভাড় যদি আমার উপর অর্পণ করে তাহলে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করব অথবা তাদের দু’জনের যে কোনো একজন প্রাথীতা প্রত্যাহার করে খলিফা মনোনয়ন অর্জন করতে পারে। আব্দুর রহমানের এ ফাদ আলীকে সবদিক দিয়ে জড়িয়ে ধরল। কারণ এ প্রস্তাবে হয় তাকে নিজের অধিকার ছেড়ে দিয়ে খলিফা মনোনয়ন করতে হবে, না হলে আব্দুর রহমান ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে যা করবে তাই মেনে নিতে হবে। কিন্তু নিজের অধিকার ছেড়ে দিয়ে উসমান অথবা আব্দুর রহমানকে খলিফা মনোনীতি করা আলীর পক্ষে সম্ভব ছিল না।প্রথম হতে বঞ্চিত হয়েও তিনি কখনও তার অধিকার ছেড়ে দেননি।কাজেই তিনি এবারও নিজের অধিকার আকড়ে ধরলেন।

সুতরাং আব্দুর রহমান নিজ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে খলিফা নিয়োগর দায়িত্ব অর্জন করল এবং আলীকে বললেন, “আপনি যদি কোরান, সুন্নাহ ও পুর্ববর্তী দুই খলিফার রীতি নীতি ও কর্মকান্ড মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন তাহলে আমি আপনার বায়াত নেব।”

প্রত্যুত্তরে আলী বললেন, আমি কোরান ও সুন্নাহর আলোকে আমার বিবেচনা অনুযায়ী কাজ করব।তিনি তিনবার জিজ্ঞাসিত হলেন ও তিনবারই একই উত্তর দিলেন। এরপর আব্দুর রহমান উসমানকে বললেন, আপনি কি শর্তগুলো মেনে চলতে পারবেন ? উসমান খুশিচিত্তে তা মেনে নিলেন এবং আব্দুর রহমান তার বায়াত গ্রহন করল। আলীর দাবি ও অধিকার পদদলিত হলে তিনি বললন,

এটা প্রথম দিন নয় যে তোমরা আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেছো।আমাকে শুধু ধৈর্য ধারণই করতে হবে।তোমরা যা কিছু বল আল্লাহ তার বিরুদ্ধে সাহায্যকারী। আল্লাহর কসম তুমি এ আশা ব্যতিত উসমানকে খলিফা বানাওনি যে সে তোমাকে খেলাফত ফিরিয়ে দিবে। এরপর আলী দুজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ”আল্লাহ তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করুণ।” পরবর্তীতে তাই হয়েছিল। দুজনের দুজনের শত্রুতে পরিণত হয়েছিল। মৃত্যু পর্যন্ত কেউ কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলেননি।

যাহোক, স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, শুরা বলতে প্রথমত ছয়জন, তারপর তিনজন ও অতঃপর একজনকে বুঝিয়েছে কি ? পূর্বের দুই খলিফার কর্মকান্ড মেনে চলার শর্ত কি খলিফা উমর আরোপ করেছিলেন ? নাকি আলী ও খেলাফতের মধ্যে পর্দা টানতে আব্দুর রহমান এ চাল চালিয়েছিলেন ? তাহলে আরো প্রশ্ন জাগে, প্রথম দুই খলিফা কি কোরান ও সুন্নাহ অনুসারে শাসনকার্য পরিচালনা করেণনি ? যদি করতেন তাহলে আলী আব্দুর রহমানের শর্ত মানলেন না কেন ? কারণ আলী তো বারবার বলেছেন, তিনি কোরান ও সুন্নাহ অনুসারে শাসনকার্য পরিচালনা করবেন ! তাছাড়া কোরান ও সুন্নাহর সাথে দুই খলিফাকে অনুসরণের যৌক্তিকতা কী যদি দুই খলিফা কোরান ও সুন্নাহ অনুসারেই শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকেন ?

চিন্তাশীল মানুষজন চিন্তা করবেন। বিবেক দিয়ে ভাবুন। যারা চিন্তা করতে জানে না বিবেককে কাজে লাগায় না তার চিরজীবন অন্ধকারেই দেখবেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন: প্রশ্ন হলো ইসলামী উম্মাহকে নেতাবিহীন অবস্থায় রেখে গেলে যেখানে মা আয়েশা অমঙ্গল ও সমস্যার আশংকা করেণ সেখানে রাসুল (সা) তার নিজের তিল তিল করে গড়া ইসলামী উম্মাহকে কিভাবে নেতাবিহীন অবস্থায় রেখে যান ? মা আয়েশা কি রাসুল (সা) এরচেয়ে বেশি জ্ঞানী ছিলেন ?

এতটুকু পড়ার পরে আর বাকিটুকু পড়ার রুচি হয় নাই । কুটতর্কে যাইয়া হুদাই সময় নষ্ট করার মানে হয় না । আরজ আলি মাতুব্বরও কিন্তু বহুত জানেআলা তর্কবিদ আছিল ,,,,,,,,,, খুব খেয়াল কইরা কিন্তু


গ্রো আপ

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ওহাবিদের মাথার ভিতরে যে কোনো মগজ নেই ভিতরটা একদম ফাপা তা জানি অনেক থেকেই। ইসলাম নিয়ে কাউকে জ্ঞান নয় ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করুণ। জানি, পড়াশুনা করেও আপনার লাভ নেই কারণ কিছু বোঝার মত ঘিলু আপনার মাথায় নেই। আর কাউকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজের মুখটা আয়নায় দেখে আসবেন। ছাগল কোথাকার !

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

মদন বলেছেন: একজন লেখার সমালোচনা করলো আর ওমনি তাকে ছাগল বলে দিলেন? :-/

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: লেখার কোন সমালোচনাটা সে করেছে ? দেখান দেখি ? পোস্টের সমালোচনা করলে আমি তাকে সাদরে গ্রহন করতাম। তার যুক্তি মনোযোগ সহকারে পড়তাম । কিন্তু সে পোস্টের কোনো সমালোচনাই করেনি !

মদন সাহেব, আপনি শুধু নামে মদন না কামেও মদন ! তার প্রমান দিলেন আপনার কমেন্টে । আপনি ঐ ছাগলের কমেন্ট থেকে আমার পোস্টের সমালোচনামূলক একটি বাক্য তুলে দেখান । আমি আমার কমেন্ট প্রত্যাহার করব । কথা দিলাম।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ফেৎনা সৃষ্টিকারী নিকৃষ্ট, ঘৃণ্য পোস্ট... কোন সদুদ্দেশ্য এখানে নাই. আর গালাগাল, ট্যাগিংও পারেন ভাল দেখছি. আল্লাহ আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন, হেদায়েত দিন.

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ফেৎনার একি দেখলেন ! ফেৎনা তো শুরু হয়েছে বনু সকিফায় !

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

মেমননীয় বলেছেন: ১. মা আয়েশা কি রাসুল (সা) এরচেয়ে বেশি জ্ঞানী ছিলেন।

২. অর্থাৎ আলীকে বঞ্চিত করা

৩. সুচতুর আব্দুর রহমান একটি ফাঁদ পেতে বলল,

৪. এরপর আলী দুজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ”আল্লাহ তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করুণ।”
পরবর্তীতে তাই হয়েছিল। দুজনের দুজনের শত্রুতে পরিণত হয়েছিল।
মৃত্যু পর্যন্ত কেউ কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলেননি।

ভাল ভাল অস্ত্র ইসলাম বিরোধীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

সাহাবারা ছিলেন সোনার মানুষ।
তারা ছিলেন লোভ-লালসা ও সমালোচনার উর্ধে।
আপনি সুন্দরভাবে তাদের সমালোচনা করেছেন।
আপনি নিশ্চই তাদের চেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী।

ধন্যবাদ!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এই জন্য তো একজন আর একজনকে হত্যা করেছেন। উস্ট্রের যুদ্ধে উভয়পক্ষে হাজার হাজার সাহাবা নিহত ! সিফফিনের যুদ্ধে উভয় পক্ষের ৪৫ হাজার সাহাবা নিহত ! কারবালায় ইমাম হুসেইনকে কারা শহীদ করেছিল !!

এরা সবাই সোনার মানুষ !! তাই তো সোনার মানুষেরাই যুদ্ধ করবে , একে অপরকে হত্যা করবে তাই না ভাই ?

আমার লেখার কোনো ভুল থাকলে প্রমানসহ তুলে ধরুণ। তুলে ধরতে না পারলে অন্ধ বিশ্বাস থেকে লেখার সমালোচনা করবেন না !

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধৈর্য্য সহকারে পোস্টটি পড়লাম। এবার বলেন, এইসব তথ্য আপনে কই পাইছেন? আমি তো আগে জানতাম না।

যাই হোক, কোরআন ও সুন্নাহ্ সন্মন্ধে আমাদের একদম বকলম মনে করে পোস্টটি দিয়েছেন মনে হচ্ছে, নচেৎ আপনার সমালোচনার ধরনটা একটু অন্যরকম হতো।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ। তাহলে বলেন কোন তথ্যটা ভুল ? রাসুল (সা) এর ইন্তেকালের পর কি হয়েছিল ও কি ঘটেছিল তা স্টাডি করুণ জানতে পারবেন। আমিও আগে জানতাম না ! ইসলাম সম্পর্কে জানতে যেয়ে এসব জানছি।উপরে কিছু রেফারেন্স দিয়েছি। বাকি কথাগুলোরও রেফারেন্স দিতে পারব। ঠিক ধরেছেন-আপনি বকলম কিনা জানি না তবে বেশিরভাগ মুসলমানই তাদের ধর্ম সম্পর্কে সচেতন নয় ! জানার আগ্রহ থাকলে আপনিও জানবেন। এই কথাগুলি আপনাকে কেউ বলবে না । নিজের চেষ্টায় জানতে হবে। জানার আগ্রহ থাকলে যোগাযোগ করুণ। আমার ফেসবুক লিংক।

ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে সাথে একটা মেসেজ দিবেন।

https://www.facebook.com/mizanur.r.milon

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: স্টাডি করি বিধায় জানি আপনি সম্পূর্ন বিভ্রান্তীমুলক তথ্য পরিবেশন করছেন। আপনাদের মত লোকের আবির্ভাব সন্মন্ধে আমাদের নবীজি আগেই থেকেই সতর্ক করে দিয়েছেন।

আর কোন তথ্যটি ভুল জানতে চেয়েছেন, তাই না? আপনার পরিবেশিত পোস্টের আগাগোড়াই ভুল ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত এবং এটি আপনি নিজেও জানেন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: তাই নাকি !! বলে দিলাম আপনার পোস্ট পুরোটই ভুল ! আর ভুল প্রমানিত হয়ে গেল ??? ব্লগে যে ফেসবুকের চেয়েও উচ্চ প্রজাতির ছাগল আছে জানা ছিল না ! সেটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

দাম বলেছেন: আপনে কোন প্রজাতীর শিয়া?

এই খানে কি তাজকিয়া করতেছেন?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: তাজকিয়া তো আপনি করতেছেন ! আপনার নাম কি দাম ? নিশ্চয় নয়-তাহলে নিজের নাম গোপন করে কাল্পনিক নামে পরিচয় দেওয়াকে কি বলে ?

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২০

হেজাজের কাফেলা বলেছেন: তুই আস্তা একটা রাম ছাগল।আর মুসলমানদেরকেও 'ছাগল' মনে করে তোর বাপের বানানো ইতিহাদ শুনাচ্ছস!?
মুসলমানরা তোর মত ছাগল নয়।
হযরত আবু বাকার,ওমর,উসমান, আলী (রাজিঃ) সোনালী ইতিহাস প্রত্যেক মুসলমানের কেছে স্পষ্ট আছে,যা তোর কাছে নাই।
সুতরাং এখানে ইতিহাসের তালিম না দিয়ে কাঁঠাল পাতা চাবা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: চমৎকার ! এই না হলে মুসলমান ? আমার বাবা ইতিহাস জানতেন ঠিক তবে তিনি তো ইতিহাস বানাননি। এবার আপনাদের বোখারী গং থেকে সহিহ হাদিস ও ইতিহাসের আলোকে আমার পোস্টের রেফারেন্স দিচ্ছি।

মা ফাতেমা (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উপর চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং আমৃত্যু তার সাথে আর কথা বলেনি। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৯১৬; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৪৪৪৪]

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ফাতেমা আমার দেহেরই একটি একটি টুকরা। যে তাকে অসন্তুষ্ট করল, সে যেন আমাকে অসন্তুষ্ট করল। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৪৪১; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৬১৫০.৬১৫১

তাহলে আবু বকর (রাঃ) কি রাসূল (সাঃ) কেও অসন্তুষ্ট করলেন না?
হযরত আবু বকর (রাঃ) খলিফা হওয়ার পর বায়াত সংগ্রহের অভিযান শুরু করেন, এর প্রথম লক্ষ্য ছিল হযরত আলী (রাঃ)। কারন, হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূল (রাঃ) কর্তৃক নিযুক্ত বৈধ উত্তরাধিকারী বিধায় তার পক্ষ হতেই অবৈধ খলিফার বিপদের আশংকা করেছিলেন সবচেয়ে বেশী। তাই আবু বকর (রাঃ) এর নির্দেশে হযরত ওমর (রাঃ) একদল সৈন্যসহ হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর বাসগৃহ অবরোধ করতে পাঠালেন। হযরত ওমর (রাঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর গৃহ অবরোধ করে স্বদম্ভে বললেন, “ঘরে যারা আছে তারা এসে যদি আবু বকর (রাঃ) এর বায়াত না নেও তবে ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে।” তখন লোকেরা বলছিল, আরে এখানে তো মা ফাতেমা (রাঃ) আছেন। হযরত ওমর (রাঃ) আবারও স্বদম্ভে বলেছিলেন, থাকুক। এরপর মাওলা আলী (রাঃ) এর হুকুমে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজায় এসে দাড়ালেন যাতে তাকে দেখে অন্ততঃ এরা সমীহ করে। কিন্তু কার্য তার বিপরীত দেখে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজা বন্ধ করে দেন। হযরত ওমর (রাঃ) দরজায় সজোরে আঘাত করেন, ফলে দরজা ভেঙ্গে গিয়ে মা ফাতেমা (রাঃ) এর উপর পড়ে। ফলে দরজার আঘাতে মা ফাতেমা (রাঃ) এর পাজরের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং তদ্দরুন তার গর্ভপাত হয় এবং গর্ভের সন্তানটি মারা যায়, তার নাম রাখা হয়েছিল মুহসীন। মা ফাতেমা (রঃ) আবু বকর ও ওমর (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “খোদার কসম, প্রত্যেক নামাজে আমি তোমাদের দুইজনের জন্য বদদোয়া করতে থাকব।”

[ইবনে কুতাইবার “আল ইমামাহ ওয়াসসিয়াসাহ”; তাবারীর “তারিখ”; ইবনে আব্দি রাব্বিহ মালিকীর “আকদুল ফরিদ”; ইবনে আবিল হাদীদের “শারহে নাহজুল বালাগাহ”; মাসউদীর “মরুজুয যাহাব”]

আবু বকর যে পদ্ধতিতে ওমরকে খলিফা নিযুক্ত করেছিলেন তাকে বলা যায় স্বেচ্ছাতন্ত্র। তিনি ইন্তেকালের পূর্বে ওসমানকে ডেকে এনে (ওমরের নাম) খেলাফত নামা লিখিয়েছিলেন।
[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৭ম খন্ড ৪২ পৃষ্ঠা]

আবু বকর এবং ওমর একই প্ল্যান-প্রোগ্রাম মোতাবেকই কাজ করে খেলাফতের কার্য পরিচালনা করেছেন এবং ওসমান যাতে পরবর্তী খলিফা হতে পারে তার সুব্যবস্থা এবং হযরত আলী (রাঃ) কে যাতে বঞ্চিত বা হত্যা করা যায় তার প্ল্যান মোতাবেকই ছয় সদস্য বিশিষ্ট এক বোর্ড গঠন করে খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ওমর তার পুত্র আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও সুহাইবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, “যদি মানুষ মতভেদ করে তোমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষালম্বন করো, কিন্তু যদি তিনজন একদিকে এবং তিনজন অপর দিকে থাকে তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যেদিকে থাকে তোমরা সেদিকে থেকো।”

[তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭২৫ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৫১৪]

“যদি দু’জন সদস্য একজন প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় এবং অপর দু’জন সদস্য অন্য প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় তবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর তার মধ্যস্থতা করবে। আবদুল্লাহ যে পক্ষকে নির্দেশ দিবে সে পক্ষ খলিফা নিয়োগ করবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর এর রায় যদি তারা মেনে না নেয়, তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যার পক্ষে থাকবে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর সে পক্ষে সমর্থন করবে। অপর পক্ষে এ রায় অমান্য করলে তাদের মাথা কেটে হত্যা করতে হবে। [তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭৭৯ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৬৭]

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আবু লুলুআহ কর্তৃক আহত হবার পর ওমর যখন বুঝতে পারলেন যে, তিনি আর বাঁচবেন না, তখন তিনি খেলাফত বিষয়ে একটি পরামর্শ কমিটি গঠন করলেন। এ কমিটিতে তিনি আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ), উসমান ইবনে আফফান, আবদুর রহমান ইবনে আউফ, যোবায়ের ইবনে আওয়ান, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস ও তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহকে সদস্য মনোনীত করলেন। [বোখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৪২৮]

...........সুতরাং আবদুর রহমান ইবনে আওফ নিজেই তার স্বীয় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে মনোনয়নের ক্ষমতা গ্রহন করলেন এবং হযরত আলী (রাঃ) কে বললেনঃ “আপনি যদি কোরান সুন্নাহ ও পূর্ববর্তী দু’খলিফার রীতিনীতি ও কর্মকাণ্ড মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন তাহলে আমি আপনার হাতে বায়াত নেব।” প্রতুত্তরে হযরত আলী (রাঃ) বলেছেনঃ “আমি কোরান ও সুন্নাহর আলোকে আমার বিচার বিবেচনা অনুযায়ী কাজ করব।” তিনি তিনবার জিজ্ঞাসিত হলেন এবং তিনবার একই উত্তর দিয়েছিলেন। এরপর আবদুর রহমান ইবনে আওফ ওসমান এর দিকে ফিরে বললেনঃ আপনি কি শর্তগুলো মেনে চলতে পারবেন? ওসমান তা সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিলেন এবং আবদুর রহমান ইবনে আওফ তার বায়াত গ্রহন করেন।” [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৭ম খন্ড ২৬২-২৬৬ পৃষ্ঠা]

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এই পোস্টে যতজন মন্তব্য করেছেন, তা সবই আক্রমণাত্মক। লেখক মিজানুর রহমান লিমন উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাহাবীদেরকে বিতর্কিত করেছেন বলেই সবাই খুব বিরক্ত হয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল এই যে, সাহাবীরা যেহেতু মানুষ, তাই তারাও ভুল-ত্রুটির উধে নন। রাসুল (সঃ) নিজে পর্যন্ত তার মুনাজাতে ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সাহাবায়ে কেরামদেরকে যথাযথ সম্মান করা ঈমানী দায়িত্ব, কিন্তু তাদের সমালোচনাও গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত, তবে এ নিয়ে বেহুদা তর্ক করার মত জ্ঞান বা মানসিকতা আমাদের এখনো আসেনি বলে সাহাবাদের নিয়ে যেকোন বিতর্ক সাবধানে এড়িয়ে চলা উচিত।

তবে পোস্টদাতাকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, সাহাবায়ে কেরামগণ কখনোই ক্ষমতার লোভ করতেন না। দিগবিজয়ী বীর খালিদ বিন ওয়ালিদকে যখন এক আদেশে ওমর (রা) পদচ্যুত করেন, উনি কোন প্রতিবাদ না করে এক কথায় তা মেনে নিয়েছেন। অপরিপক্ক কিশোর ওসামা বিন জায়েদ (রা) এর নেতৃত্বে বড় বড় সাহাবীরা পর্যন্ত যুদ্ধ করেছেন। কাজেই নাস্তিকদের হাতে কোন ভোঁতা অস্ত্র তুলে দেয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।

মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ যখন কোরআন হাদীসে মোটামুটি লেভেলের দক্ষ হয়ে উঠবে, তখন এসব প্রশ্ন তুলুন, ইনশাল্লাহ আমিও এই তর্কে যোগ দেব।



০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ভাই নীল আকাশ,

সাহাবায়ে কেরামদেরকে যথাযথ সম্মান করা ঈমানী দায়িত্ব।

পূর্ন সহমত কিন্তু তার আগে কোরান ও হাদিসের দৃষ্টিতে সাহাবার সংজ্ঞা জানতে হবে। সাহাবা কাকে বলে ও কাদের বলে তাই নয় কি ?

সাহাবায়ে কেরামগণ কখনোই ক্ষমতার লোভ করতেন না।

প্রকৃত সাহাবাদের ক্ষেত্রে এ কথা ঠিক আছে কিন্তু যদি ঢালাওভাবে সব সাহাবাদের ক্ষেত্রে একথা বলেন তাহলে আদৌ একথা সঠিক নয়। আপনি প্রথম চার খলিফার শাসনামল পড়ে দেখেন তাহলে সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন। আবু বকরের কিভাবে সকিফায়ে বনু সায়েদায় খলিফা সিলেক্টেড হলেন, তারপর আলির বায়াতের জন্য মা ফাতেমার গৃহ অবরোধ ও উমর দ্বারা মা ফাতেমার গৃহে অগ্নি সংযোগ ও প্রথম খলিফা আবু বকর কর্তৃক মা ফাতেমাকে রাসুল কর্তৃক উপহার দেওয়া ফাদাকের বাগান কেড়ে নেওয়াসহ প্রথম খলিফা আবু বকরের সময়কালে সংঘঠিত কিছু যুদ্ধ যেমন ইয়ামামার যুদ্ধসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধগুলির ব্যাখ্যা কোরান ও সুন্নাহ মোতাবেক দিতে পারবেন না , আবু বকর ও উমর কর্তৃক রাসুলের হাদিস পুড়ানোর ব্যাখ্যাও দিতে পারবেন না ।তেমনি প্রথম খলিফা কর্তৃক উমরের নিযুক্তির ও দ্বিতীয় খলিফা উমর কর্তৃক ছয় সদস্যের কমিটি গঠন নিয়ে এই পোস্টেই আলোচনা করেছি।
তেমনি তৃতীয় খলিফা উসমানের শাসনমাল যদি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন তিনি কতটুকু কোরান ও সুন্নাহ মোতাবেক শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেছিলেন ! তৃতীয় খলিফার আমলে রাসুলের অন্যতম সাহাবা আবু যর গিফারীকে মদিনা থেকে নির্মমভাবে বহিষ্কার, নির্বাসন ও পরবর্তীতে আবু যর গিফারীর মর্মান্তিক ও করুণ মৃত্যু, যে মারওয়ান ইবনে হাকামকে রাসুল (সা) মদিনা থেকে বহিষ্কার করেছিলেন এবং প্রথম দুই খলিফা পর্যন্ত সেই আদেশ বলবৎ ছিল কিন্তু তৃতীয় খলিফা উসমান সেই মারওয়ানকে মদিনায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন ও শুধু তাই নয় তাকে রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ দ্বারা পুরুস্কৃত করেণ ! এছাড়া রাসুলের অন্যতম প্রিয় সাহাবা আম্মার বিন ইয়াসির ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের প্রতি নির্মম ব্যবহার ও অত্যাচারকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন ? তেমনি খলিফা উসমানের স্বজন প্রীতিও উল্লেখযোগ্যমাত্রায় সমালোচিত বিষয় ! এরপর মুয়াবিয়া ও আলির মধ্যকার সংঘঠিত সিফফিনের যুদ্ধ, আলি বনাম মা আয়েশার মধ্যকার উস্ট্রের যুদ্ধে এসব যুদ্ধের কারণে দুপক্ষ থেকে হাজার হাজার সাহাবা একে অপরকে হত্যা করেছেন ! নিশ্চয় একসঙ্গে বিবদমান দুই পক্ষ একই সাথে সঠিক পথে থাকতে পারে না । কোনো একপক্ষ অবশ্যই ভুল পথে ছিলেন যারা পথভ্রস্ট হয়েছিলেন ! তাই আমরা বলতে পারি না রাসুলের সাহাবাদের ক্ষমতার লোভ ছিল না !

যাইহোক স্বল্প পরিসরে এত বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। নিজে জানার চেষ্টা করুণ। তাহলে জানতে পারবেন।

নাস্তিকদের হাতে কোন ভোঁতা অস্ত্র তুলে দেয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।


এই কথাটার অর্থ বুঝলাম না । নাস্তিকদের কি খুব বোকা মনে করেণ নাকি ? তারা আপনার মত চোখ কান বন্ধ রেখে নাস্তিক হয়েছে ? খোঁজ নিয়ে দেখেন তারা আপনার চেয়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি জ্ঞান রাখেন !

ধন্যবাদ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: লেখক মিজানুর রহমান লিমন উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাহাবীদেরকে বিতর্কিত করেছেন বলেই সবাই খুব বিরক্ত হয়েছেন।

উদ্দেশ্যমূলকবাবে মোটেই নয় । আমার পোস্ট ও কমেন্ট পড়ুন আমি রেফারেন্স সহকারে তথ্য দিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্লগারই আমার পোস্টের ও কমেন্টের বিপরীতে পাল্টা ডকুমেন্ট হাজির করেনি !!! আমার কোনো তথ্য ভুল হলে দয়া করে ধরিয়ে দিন। অন্ধকারে ঝোপঝাড়ে কুপিয়ে লাভ কি ?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: দিগবিজয়ী বীর খালিদ বিন ওয়ালিদকে যখন এক আদেশে ওমর (রা) পদচ্যুত করেন, উনি কোন প্রতিবাদ না করে এক কথায় তা মেনে নিয়েছেন। অপরিপক্ক কিশোর ওসামা বিন জায়েদ (রা) এর নেতৃত্বে বড় বড় সাহাবীরা পর্যন্ত যুদ্ধ করেছেন।

সেসময় পদচ্যুত হওয়া ছাড়া খালিদ বিন ওয়ালিদের আর কোনো উপায় ছিল না। খালিদ বিন ওয়ালিদের চরিত্র সম্পর্কে নিচু কিছু তথ্য দিচ্ছিঃ

মুতাম্মিম ও তাঁর ভাই মালিক মুসলিম ছিলেন আর তারা রসূল সাঃ এর সাহাবা ছিলেন। এর মধ্যে মালিক বিন নুয়াইরাকে খালিদ বিন ওয়ালিদ হত্যা করে। তারা আবু বকরকে জাকাত দিতে অস্বীকার করে। এই জন্য আবু বকর, খালিদের নেতৃত্বে একদল সৈ্ন্য পাঠায়। তারা সেখানে ওদেরকে গ্রেফতার করে এবং মাথা উড়িয়ে দেয়। এবং সেই রাতেই মালিকের সুন্দরী স্ত্রীকে খালিদ রেপ করে।

মুতাম্মিম ও তাঁর ভাই মালিক মুসলিম ছিলঃ

تقدم نسبه في ترجمة أخية مالك ذكره الطبري وقال أسلم هو وأخوه مالك

"সে( মুতাম্মিন) ও তাঁর ভাই ইসলাম গ্রহণ করে"-- ইবনে হাজার আস্কালানি তাঁর ইসাবা ফি মারেফাতে সাহাবাতে।

মালিক বিন নুয়াইরা নবী সাঃ এর বিস্সত সাহাবি ছিলেনঃ

مالك بن نويرة بن جمرة بن شداد بن عبيد بن ثعلبة بن يربوع التميمي اليربوعي يكنى أبا حنظلة ويلقب الجفول قال المرزباني كان شاعرا شريفا فارسا معدودا في فرسان بني يربوع في الجاهلية وأشرافهم وكان من أرداف الملوك وكان النبي صلى الله عليه وآله وسلم استعمله على صدقات قومه

"মালিক বিন নুয়াইরা বিন জামরা.........তার কুনিয়া ছিল আবা হানযালা যেফুল নামে ও তাঁকে ডাকা হত। আল মারজেবানি বলেছেন যে সম্মানী ছিল, কবি ছিল, যোদ্ধা ছিল.........জাহিলিয়াত এর যুগেও সে তাঁর গোত্রে সম্মানীয় লোক ছিল, রাজাদের প্রতিনিধি ছিল, রসূল সাঃ তাকে তাঁর কওমের থেকে সাদকা আদায়ের জন্য নিয়োগ করেন"।----ইবনে হাজার আস্কালানি তাঁর ইসাবা ফি মারেফাতে সাহাবাতে।

ইমাম ইবনে হিব্বান তাঁর শিকাত ( বিস্সতগন) বইয়ে উল্লেখ করেছেনঃ

وكان ولاة رسول الله صلى الله عليه و سلم على الصدقات حتى توفى عدى بن حاتم على قومه ومالك بن نويرة على بنى الحنظلة وقيس بن عاصم على بنى منقر والزبرقان بن بدر ...............والمهاجر بن أبى أمية على صنعاء وزياد بن لبيد على حضرمو

"রসূল সাঃ তাঁর জিবনের শেষ দিন পর্যন্ত যাদেরকে সাদকা আদায়ের জন্য নিয়োগ করেছিলেন তাঁর হলেন উবাই বিন হাতিম তাঁর গোত্রের জন্য মালিক বিন নুয়াইরা বনী হানযালার জন্য...............।

" আবু কাতাদা বলেছেন, রিদ্দার দিনে আমরা আল আবায়াত এর দিকে গেলাম এবং স্নধার সময় সেখানে পৌছালাম এবং আমাদের অস্ত্র উন্মচিত করলাম, সুতারং তারা জিজ্ঞেস করল তোমরা কারা? আমরা বললাম 'আমারা আল্লাহের বান্দা', তারা বলল ' আমরাও আল্লহের বান্দা'। অতপর খালিদ তাঁদের কে গ্রেফতার করল এবং সকালে তাঁদের মাথা উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল। আমি তাকে বললাম 'হে খালিদ আল্লহকে ভয় করো এটা জাইয নয়'। খালিদ বলল " সরে যাও এটা তোমার তোমার ব্যাপার নয়'। আবু কতাদা শফথ করে বলল খালিদের অধিনে কোন যুদ্ধে যাবে না। কাতাদা বলল ' বেদুইন রা গণিমতের লোভে তাঁকে ( খালিদকে) উৎসা্হ দিয়েছিল ওদেরকে হত্যা করতে মালিক বিন নুয়াইরা এর ব্যাপারে'।

-মুসান্নফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস নং ১৮৭৭২।

সাহাবী মালিক বিন নুয়াইরা কে হত্যা করা হল অন্যাই ভাবে আর তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হল। কিন্তু আবু বকর কি করলেন?

এখন ইতিহাস জানে মালিকের ঘটোনা নিয়ে উমার ও আবু বকরের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। উমারের মতে খালিদকে রজম করা হোক কিন্তু আবু বকর খালিদকে ডেকে পাঠিয়ে শুধু মাত্র কিছু বকাঝকা দেন আর 'দিয়াত'- রক্তপনের অর্থ দিয়ে পাঠিয়ে দেন। আবার যখন উমার ক্ষমতা দখল করে তখন খালিদ বিন ওয়ালিদকে সেনাপতির পদথেকে পদচ্যুত করেন এমনকি সেনা বাহিনি থেকেও বার করে দেন।

ইবনে কাসিরঃ

فلما دخل المسجد قام إليه عمر بن الخطاب فانتزع الاسهم من عمامة خالد فحطمها، وقال: أرياء قتلت امرأ مسلما ثم نزوت على امرأته، والله لارجمنك بالجنادل.وخالد لا يكلمه، ولا يظن إلا أن رأى الصديق فيه كرأي عمر، حتى دخل على أبي بكر فاعتذر إليه فعذره وتجاوز عنه ما كان منه في ذلك وودى مالك بن نويرة، فخرج من عنده وعمر جالس في المسجد، فقال خالد: هلم إلي يا ابن أم شملة فلم يرد عليه وعرف أن الصديق قد رضي عنه

"...আবু বকর খলেদকে ডেকে পাঠায়, খালেদ মদিনাতে পৌছায়...মসজিদে যখন প্রবেশ করে উমার খালিদের কাছে এসে খালিদের পাগড়ি থেকে তীর ছিনিয়ে নেয় আর সেটাকে ভেংয়ে ফেলে বলল ' তুমি একজন মুস্লিমকে হত্যা করেছ ও তার বউকে নিয়েছ, কসম আমি তোকে রজম করব'। খালিদ একথা ভেবে চুপ থাকল যে আবু বকর ও হয়ত একই মত দেবে, খালিদ আবু বকরের কাছে গেল আর ক্ষমা চাইল , আবু বকর খালিদের কাজটা হালকা ভাবে দেখে ক্ষমা করে দিলেন এবং মালিকের জন্য রক্তপন দিয়ে দেয়। খালিদ যখন বার হচ্ছিল দেখল উমার মসজিদে বোসে আছে, খালিদ বলল ' এখন এসো ( মানে রজম করতে) ও উম্মে শাম্লার ছেলে!' উমার একথা সুনে চুপ হয়ে গেল কারণ তিনি বুজতে পেরেছিলেন যে আবু বকর খালিদএর উপর রাযি আছেন'।

বেহুতি আল হাম্বালি তার কাসফ আল কেনাতে লিখেছেনঃ

ولا يكفر مانع الزكاة

"কেউ জাকাত না দিতে চাইলে কাফের হয়ে যায় না"।

" মুরতাদের জন্য দিয়াত ( রক্তপন) নেই"।

সাহাবী মুতাম্মাম ( মালিকের ভাই) এই হত্যাকে কেন্দ্র করে কবিতা লিখেছেন।

মুউজাম আল কাবীর, তাবারানি এই বর্ণনা করেছেনঃ

"...মুতাম্মম, খালিদের ঐ কাজকে লক্ষ্য করে বলল ( কবিতা) " তুমি আল্লাহের নামে শফথ করেছিলে তবুও তুমি তাঁকে হত্যা করলে? আবস্যি ও ( মালিক) যদি তোমাকে শফথ দিত তবে কক্ষনোই ধোঁকা দিত না"

হাইসামি বলেছেন এর সব বর্ণনা কারী সিকাহ ( বিশ্বস্ত)।

ইমাম মুত্তাকি তার হাদিস বই কাঞ্জুল আম্মালেঃ

" ...খালিদ যে সংবাদ পেয়েছিল তাতে দাবি করল মালিক বিন নুইয়ারা মুরতাদ হয়ে গিয়েছে, মালিক অস্বীকার করল বলল আমি মুসলিম আমি কিছু পরিবর্তন করেনি। আবু কাতাদা ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমার সাক্ষ্য দিল ( যে মালিক মুসলিম), কিন্তু খালিদ যারারকে মালিকের মাথা উড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। এরপর খালিদ তার (মালিকের) স্ত্রীকে নেয়, উমার, আবু বকরকে বলল যে ' সে (খালিদ) যেনা করেছে ওকে পাথর মারাতে হবে' আবু বকর বলল ' আমি পাথর মারব না, সে ইজতেহাদ করেছে আর ভুল করেছে', উমার বলল 'তবে ওকে পদচ্যুত করো'। আবু বকর বলল আমি ঐ তরবারি খাপে ঢুকাতে পারি না, যেটা আল্লাহ আমার বিরোধিদের জন্য বার করেছেন"।

১) মালিক বিন নুওাইরা মুসলিম ছিল সাহাবী ছিল মৃত্যু পর্যন্ত।

২) খালিদ শফথ দেয়, কিন্তু ধোঁকা দিয়ে মালিক কে বন্দি করে।

৩) মালিকের মাথা উড়িয়ে দেয় আর তার সুন্দরী স্ত্রীকে হস্তগত করে।

৪) আবু কাদাতা ও ইবনে উমার যুদ্ধ থেকে চলে আসে মাদিনাতে।

৫) উমার খালিদকে পাথর মেরে হত্যা করবে বলে ফতোয়া দেয়।

৬) আবু বকর খালিদ কে একটু বকাঝকা দিয়ে রক্তপণ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়।



এটা শরিয়াতের নিয়ম যে মুরতাদের কোন রক্তপণ হয় না। আবু বকরের রক্তপণ দেওয়া আবারও প্রমান করে যে মালিক ও তার সাথি রা মুরতাদ ছিল না।

রাসুল (সা) যখন মৃত্যুশয্যায় তখন ১৭ বছরের যুবক ওসামাকে সেনাপতি করে আবু বকর, উমরসহ নেতৃস্থানীয় সাহাবাদের যুদ্ধে প্রেরণ করেণ কিন্তু আবু বকর, উমরসহ কতিপয় সাহাবা রাসুলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেণ ! এমনকি তারা যুদ্ধে গমন না করে রাসুলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কিন্তু রাসুল অসুস্থ অবস্থায় আলি ও আর একজন সাহাবার কাধে ভর দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে সাহাবাদের সামনে এসে ওসামার প্রশংসা করেণ ও সাহাবাদের ভৎর্সনা করেণ ! এমনকি ওসামার নেতৃত্বে যারা যুদ্ধে যাবে না তাদেরকে অভিশাপ দেন তিনি ! এরপরেও অগত্যা তারা ওসামার নেতৃত্বে যুদ্ধে রওয়ানা দেন কিন্তু মদিনার উপকণ্ঠে তারা তাবু গেড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন রাসুলের মৃত্যু সংবাদের। ইতোমধ্যে রাসুল (সা) ইন্তেকাল করেণ ! তারা এই সংবাদ পেয়ে মদিনায় ফিরে আসে ! মদিনায় ফিরে এসে রাসুল (সা) এর লাশ মোবারক রেখেই আবু বকর, উমর ও আবু উবায়দা সকিফায়ে বনু সায়েদায় গমন করেণ ! সেখানে কিছু আনসার সদস্যের সাথে একটানা তিন দিন ঝগড়া বিবাদ করে উমরের প্রস্তাবে খলিফা হন আবু বকর। তারা খেলাফতের নেশায় এমনই মত্ত হয়ে যায় যে রাসুল (সা) এর দাফন কার্যেও তারা শরিক হতে পারেনি। যখন তারা বনু সকিফা থেকে ফিরে তখন দেখে আলিসহ অন্যান্য সাহাবারা রাসুল (সা) এর দাফন কাফন শেষ করে ফেলেছেন !

১০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

গ্রিন জোন বলেছেন: ছাগল পাগল কোত্থেকে যে আসে..........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.