নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরান ও পাঁচ+১ বিশ্ব শক্তির পরমানু চুক্তি বিশ্ব রাজনীতি এবং বিশ্ব শান্তির জন্য অন্যতম একটি মাইলফলক!

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৫

ইরানের সাথে পাঁচ+১ বিশ্ব শক্তির কমপ্রেহেনসিভ পরমানু চুক্তি হয়েছে গতকাল। ইরানি সরকার, ইরানি জনগণসহ সারা বিশ্বে জনগণ এবং বিভিন্ন রাস্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণও এই চুক্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই চুক্তি সম্পর্কে একটি মন্তব্যই যথেষ্ট যে সারা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য চুক্তিটি সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইরান গত ১৩ বছর ধরে পরমানু ক্ষেত্রে যে অধিকার দাবি করে এসেছিল চুক্তিতে ইরানের সেইসব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। নিজ ভূমিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার, পরমানু প্রযুক্তির উন্নয়ন ও গবেষণার অধিকার, শুধু তাই নয় পরমানু বিজনিজ এরও অধিকার পেয়েছে ইরান অর্থাৎ রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্সসহ পরাশক্তিরা অন্যরাস্ট্রের সাথে যেমন পরমানু চুক্তি করে সেই সম্পুর্ণ অধিকার পেয়েছে ইরান। কোনো পরমানু স্থাপনা বন্ধ করতে হয়নি ইরানকে।ইরান আরো পেয়েছে জাতিসংঘে পরমানু শক্তিধর রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি ! হ্যাঁ, ইরান যেহেতু দাবি করে আসছে পরমানু কর্মসুচির উদ্দেশ্যই শান্তিপূর্ণ সেহেতু ইরানের পরমানু কার্যক্রম মাত্র ১০ বছরের জন্য জাতিসংঘের পরমানু তদারকি প্রতিষ্ঠান আএইএ’র কঠোর তত্বাবধানে পরিচালিত হবে যদিও ইরান এনপিটির সদস্য হওয়ায় আগে থেকেই ইরানের পরমানু কার্যক্রম তদারকি করে আসছে আইএইএ এবং এই ১০ বছর ইরান শান্তিপূর্ন কাজে বাদে সামরিক ও পরমানু অস্ত্র উৎপাদনে তার কর্মসুচি পরিচালিত করতে পারবে না তবে এরপর ইরান পূর্ণ স্বাধীন মাত্রায় তার পরমানু কর্মসুচি চালাতে পারবে-এর অর্থ এই নয় যে ইরান ১০ বছর পর পরমানু অস্ত্র বানাবে তবে তখন বিশ্বপরিস্থিতি দেখে ইরান ইচ্ছে করলেই তা বানাতে পারবে । বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে আরোপিত জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাস্ট্রের সকল ধরণের অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে ( মনে রাখুন সাসপেন্ড নয়)। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যে রেড লাইন বেধে দিয়েছিলেন চুক্তিতে সকল রেড লাইন মেনে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমারা দাবি করছিল ইরানের ফোরদো পরমানু স্থাপনা বন্ধ করতে হবে। চুক্তিতে সে দাবিও তাদের অর্জিত হয়নি। পশ্চিমারা দাবি করেছিল ইরানের সামরিক ক্ষেত্রগুলোতেও পরিদর্শনের সুযোগ দিতে হবে পশ্চিমাদের সে দাবিও অর্জিত হয়নি । পশ্চিমারা দাবি করেছিল ইরানের সামরিক সক্ষমতা বিশেষ করে ইরানের মিসাইল সক্ষমতা আলোচনায় আন্তর্ভুক্ত করতে হবে সে দাবিও ইরান বরাবরই নাকচ করেছে। এমনকি পরমানু বিজ্ঞানীদের সাক্ষাতের নামে জিজ্ঞাসার অনুমতিও দেয়নি ইরান-যা পশ্চিমাদের অন্যতম একটি দাবি ছিল !

স্বরণ রাখা দরকার ২০০৩ সালে ইরানিরা ইউ৩ গ্রুপের সাথে আলোচনায় গবেষণার জন্য মাত্র কয়েকটা সেন্ট্রিফিউজ রাখতে চেয়েছিল পশ্চিমারা সেও অনুমতিও ইরানকে দেয়নি ! তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি পশ্চিমাদের দাবি অনুসারে ইরানের সকল পারমানবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু কট্টোরপন্থী প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ ক্ষমতায় আসার পর পট পরিবর্তন হয়। তিনি পশ্চিমাদের সামরিক হুমকি ও তাদের দাবি উপেক্ষা করে পরমানু কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেণ এবং পরমানু ক্ষেত্রে একের পর এক বিভিন্ন সাফল্য ঘোষণা করেণ। বিনিময়ে পশ্চিমারা ইরানের উপর আরোপ করে একের পর এক কঠোর অবরোধ। ইরানের সাথে আলোচনার জন্য গঠিত হয় পাঁচ+১ পাওয়ার গ্রুপ । ইরানের উপর অরোপিত অবরোধের মাত্রা কেমন ছিল -শুধু এইটুকুই বলা যথেষ্ট হবে যে ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইরানকে প্রাচীন বিনিময় প্রথা অনুসরণ করতে হয়েছে তা আবার সবক্ষেত্রেও সম্ভব হয়নি বা হয়না । এরফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইরানের ১০,০০০ কোটি ডলার( দশ হাজার কোটি ডলার) আটকা পড়েছিল। এখন চুক্তির ফলে ইরান তার এই সমুদয় অর্থ বিদেশী ব্যাংক থেকে নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারবে ও বিশ্বের যে কোনো রাস্ট্রের সাথে কোনো বাধা ছাড়াই স্বাধীনভাবে বিজনিজ করতে পারবে !

মূলত চুক্তিটা ইরানের জন্য যতটা না জরুরী তার চেয়ে পশ্চিমাদের জন্য অনেক বেশি জরুরী ছিল। আর এই কারণেই চুক্তিটা হয়েছে। ইরানের উপর সকল ধরণের অবরোধ আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘ ! অবরোধের এমন কোনো দিক নেই যে ইরানের উপর অবরোধ আরোপ করা হয়নি। আমার ধারণা ইরানের উপর যে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে তা ইরান বাদে অন্য কোনো দেশের উপর অরোপ করা হলে সেই দেশটা দেউলিয়া ও তাঁর অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য তা তেল সমৃদ্ধ দেশ হলেও। ( আমাদের সামনেই এর অন্যতম উদাহরণ সাদ্দামের ইরাক)।কিন্তু ইরান অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পশ্চিমাদের সে আশা পুরণ হয়নি । শুধু পুরণ হয়নি তা নয় ইরান উল্টোভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যপক সাফল্য ও উন্নয়ন করে পশ্চিমাদের তাক লাগিয়ে দেয় ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অকার্যকর করে নিষেধাজ্ঞা ! বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি হারের দিক দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে প্রথম অবস্থানে আছে ইরান ! অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানকে দুর্বল করে ইরাকের মত আক্রমন করতে চেয়েছিল পশ্চিমারা কিন্তু ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতেই সকল মারণাস্ত্র তৈরি করা শুরু করে-ট্যাংক, ড্রোন, মিসাইল, ব্যালাস্টিক মিসাইল, বিভিন্ন ধরণের এয়ার ও মিসাইল ডিফেন্স সিষ্টেম, সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়ার, হেলিকপ্টার, জঙ্গীবিমান, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাডারসহ সবধরণের মারণাস্ত্র ইরান নিজেই তৈরি করে ! ইরানের গ্যাসোলিন আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমারা কিন্তু ইরান নিজেই গ্যাসোলিন উৎপাদন করে রপ্তানিরও ঘোষণা দেয়। তেল শিল্প উন্নয়নের উপর অবরোধ আরোপ করেছে পশ্চিমারা কিন্তু তেল শিল্প উন্নয়নের প্রায় সকল ধরণের প্রযুক্তি ইরান নিজেই আবিষ্কার করেছে ! কৃষ্টি, চিকিৎসা, শিল্প,পরমানু, মহাকাশ গবেষণা, সামরিক, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনলজিসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সকল শাখায় ইরান ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অবরোধের মধ্যেও নিজস্ব প্রযুক্তির স্যাটেলাইট উৎক্ষেণ ও মহাকাশে বানর প্রেরণ অন্যতম সফলতা ইরানের ! এসব বিভিন্ন কারণেই ইরানের উপর আরোপিত অবরোধ আশানুরুপ মাত্রায় কাজ করেনি। এছাড়াও কোনো দেশ আক্রমন বা ধ্বংস করতে সরকার ও জনগণ পরষ্পরকে পরষ্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হয় যেমনটা ছিল সাদ্দামের সাথে ইরাকি জনগণের ও গাদ্দাফির সাথে লিবিয়ার জনগণের কিন্তু ইরানের ক্ষেত্রে পশ্চিমারা ১৯৭৯ সালের পর থেকে শত চেষ্টা করেও তা পারেনি। কারণ জনগণকে সাথে নিয়ে নিজস্ব ধারার গণতান্ত্রিক সিষ্টেম চালু করেছে ইরান! প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত, পার্লামেন্টের এমপিও নির্বাচিত এমনকি ইরানি সরকারের সকল স্তরের কর্মকর্তাগণও নির্বাচিত । এমতাবস্থায় সকল ধরণের অবরোধ আরোপ করে পশ্চিমারা তাদের সকল সফট উইপনই নিঃশেষ করেছে। বাকি তাকে হার্ড উইপন অর্থাৎ ইরান আক্রমন ! ইরানের সামরিক সক্ষমতা, সামরিক অফিসারদের ঐক্য, ইরানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং বিশ্ব পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণেই ইরানের উপর সামরিক আগ্রাসন চালানো পশ্চিমাদের জন্য সম্ভব নয়। এই অবস্থায় ইরানের সাথে চুক্তি না করা অর্থ হল ইরানকে তার পরমানু কর্মসুচি নিয়ে স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া যা মেনে নেওয়াও পশ্চিমাদের জন্য আপাতভাবে সম্ভব নয় । আর অন্যদিকে ইরানের জন্য জরুরী হয়ে পড়ছে তার উপর আরোপিত সকল ধরণের অবরোধ প্রত্যাহার। পশ্চিমারা ২০১৩ সাল থেকেই ইরানের সাথে পরমানু চুক্তি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। যুক্তরাস্ট্র ২০১৩ সালের দিকে গোপনে আহমাদিনেজাদ সরকারের সাথেও চুক্তি নিয়ে যোগাযোগ করেছিল যদিও আহমাদিনেজাদের কট্টরপন্থী নীতি ও পশ্চিমা বিরোধী বক্তব্যের কারণে আহমাদিনেজাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল পশ্চিমারা কিন্তু উদারপন্থী হাসান রোহানি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় পশ্চিমাদের সামনে সে সুযোগ চলে আসে !


১৯৭৯ সাল ইরানের ইমাম খোমেনির নেতৃত্বে এক বিপ্লবে যুক্তরাস্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম সেবাদাস ও মিত্র প্রবল পরাক্রমশারী রেজা শাহ পাহলভির পতনের মাধ্যমেই ইরান ও পশ্চিমাদের বিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল। বর্তমান ইরানের অন্যতম একটি চরিত্র হল দেশটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র হওয়ার পরেও মার্কিন ও ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অন্যতম খেলোয়াড় যা মুসলিম বিশ্বে বিরল ! আর এই কারণেই বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্রগুলোর সাথে ইরানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ।রেজা শাহ পাহলভির পতন যুক্তরাস্ট্র কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি ।এর ফলাফল তৎকালীন ইরানি ছাত্ররা মার্কিন দুতাবাস দখল করে যুক্তরাস্ট্রকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছিল! যুক্তরাস্ট্র কমান্ডো্ বিমান পাঠিয়েও কুল কিনারা পায়নি ! যুক্তরাস্ট্র এর প্রতিশো্ধ হিসাবে সৌদি আরব ও অন্যান্য রাজতান্ত্রিক, স্বৈরশাসক আরবদের সহায়তায় ইরাকের সাদ্দামকে লেলিয়ে দিয়েছিল ইরান আক্রমনে ।এর ফলাপল সবার জানা আছে। কথা হল যে দেশ রাস্ট্রীয়ভাবে প্রকাশ্যে যুক্তরাস্ট্রের ধ্বংস কামনা করে সেই দেশের সাথে বিশ্বের একমাত্র সুপার পাওয়ার যুক্তরাস্ট্র কোনো সম্মানজনক সমঝোতায় বা চুক্তিতে উপনীত হবে -এটা ছিল কল্পনারও অতীত ! কিন্তু বর্তমানে বিষ্ময়করভাবে হলেও সেটাই ঘটেছে!!! সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েও সাম্রাজ্যবাদীদের কোনো সম্মানজনক চুক্তি করতে বাধ্য করা যায়-ইরানের সফলতা এখানেই ! চুক্তি হওয়ার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির মন্তব্য পড়লেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে-
তবুও, এর অর্থ এই নয় যে এই অহংকারী এরোগেন্স শক্তির সাথে আমাদের লড়াই-সংগ্রাম সব এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে, বরং, তাঁদের আঞ্চলিক গোয়েন্দাগিরি ও এ অঞ্চলে তাঁদের বিভক্তিমূলক রুলিং টেকনিক এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই-সংগ্রাম সবেমাত্র শুরু হলো। (কারণ,) শয়তান কখনো ঘুমায়না''

ইরানের সাথে পাঁচ+১ বিশ্ব শক্তির পরমানু চুক্তি বিশ্ব রাজনীতি ও বিশ্ব শান্তির জন্য অন্যতম একটি মাইলফলক ! বিশ্ব কুটনীতির অন্যতম একটি সাফল্য। বিশ্বের নানা সংকটে এ চুক্তি অন্যতম একটি উদাহরণ হিসাবে থাকবে। রোল মডেল হয়ে থাকবে উন্নয়নশীল ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির জন্য। যদি ব্যতিক্রম কিছু না ঘটে তাহলে নিঃসন্দেহে এবারে শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কার পেতে যাচ্ছেন মার্কিন ফরেইন সেক্রেটারী জন কেরি ও ইরানের পররাস্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ !

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি বলছেন, ইরান কোন ছাড় দেয়নি; তা'হলে চুক্তি কি নিয়ে হলো?

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অবশ্যই আর সেটা হল ১০ বছরের জন্য ইরানের পরমানু কর্মসুচি সীমিত থাকবে অর্থাৎ যা দাবি করে আসছে শান্তিপূর্ণ সেই শান্তিপূর্ণ কাজেই ইরানকে তার পরমানু কর্মসুচি পরিচালিত করতে হবে অর্থাৎ সামরিক ও উইপন গ্রেডে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না অর্থাৎ মাত্রাগত ছাড় তবে আরো ছাড় আছে তা হল ইরানের সেই সমৃদ্ধকরণ ইউরেনিয়ামের পরিমানও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হবে অর্থাৎ প্রয়োজেনর বেশি সমৃদ্ধ করা যাবে না এবং এই ১০ বছরের জন্য অবশ্যই আইএইএ এর কঠোর তত্বাবধানে পরিচালিত হবে। ভাল হয় আপনি যদি চুক্তি ইনডিটেইলস পড়েন।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


" ভাল হয় আপনি যদি চুক্তি ইনডিটেইলস পড়েন। "

-তা'হলে আপনার পোস্ট পড়ার কি দরকার ছিল?

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হা হা আনাড়ির মত মন্তব্য করলেন ! যাইহোক, আমার পোস্ট পড়েও যখন প্রশ্ন করলেন তখন তো বলতেই হয় ভাল হয় যদি চুক্তিটা পড়েন। ইরানের সবচেয়ে বড় ছাড় হল ইরান ১০ বছর পরমানু কার্যক্রম সীমিতকরণ মেনে নিয়েছে যা ইরানের অধিকার ছিল। আর যেখানে পশ্চিমারা ইরানকে মাত্র তিনটি সেন্ট্রিফিউজও রাখতে দেয়নি, যেখানে পশ্চিমারা ইরানকে নিজ ভূমিতে পরমানু সমৃদ্ধকরণও মেনে নেয়নি সেখানে ইরানের নিজের ভূমিতে তার পরমানু কর্মসুচি পুরোদমে চালাবে-এটা ইরানের জন্য বড় বিজয় হলেও সবপক্ষই জয়ী হয়েছে। পরাজিত হয়েছে শুধু ইসরায়েল ও সৌদি।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৩

সজিব্90 বলেছেন: তাহলে এখন সৌদি আরবের কি হবে,middle east এ শিয়া সুন্নি বিরোধ আরো তুংগে উঠবে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ইরান যত শক্তিশালী হবে মুসলিম সমাজে শিয়া প্রভাব তত বাড়বে। এরফলে শিয়া-সুন্নী ঐক্য ত্বরান্বিত হবে। আরব ও ইরান ভূ-রাজনৈতিকগত কারণেই বিরোধ চলে আসছে। ইরান যদিও বরাবরই আরবদের চেয়ে সকল ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল ও আছে তারপরেও আরবরা ইরানের বিপরীতমুখি অবস্থানে অভ্যস্ত ছিল। এই চুক্তির ফলে ধীরে ধীরে তাদের সে অবস্থানের পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.