নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়ার আকাশে রাশিয়ার বিমানে তুরস্কের হামলার নেপথ্যে

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

সিরিয়া যুদ্ধ শুরুকালীন সব আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিবর্গ একে অপরের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন না করে প্রক্সিযুদ্ধ চালিয়ে গেলেও সিরিয়া যুদ্ধ ক্রমান্বয়ে গভীর থেকে গভীর সংকটে নিপতিত হচ্ছে। প্রক্সিযুদ্ধের খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে একে একে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তিবর্গ।ইরান দৃশ্যত সিরিয়া যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহন না করলেও দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কিছু সেনা কর্মকর্তার সরব উপস্থিতি আছে সিরিয়ার মাটিতে।আইসিস বিরোধী যুদ্ধে তাদের ডজনখানেক সেনাকর্মকর্তা ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হিজবুল্লাহকে সিরিয়ার মাটিতে পাঠিয়ে ও বাশার আল আসাদ সরকারকে সামরিকসহ সবধরণের উপদেশ, পরামর্শ অব্যহত রেখেছে দেশটি তেমনি যুক্তরাস্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট আইসিস দমনের নামে আইসিসের সাথে টম এন্ড জেরি খেলে পর্দার আড়ালে স্পষ্টত আইসিসকে শক্তিশালীকরণের মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। সেই খেলা রাশিয়া দীর্ঘদিন উপভোগ করে এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হল। তা দেখে পশ্চিমা ও মার্কিনপদলেহী আরবদের আক্কেল গুড়ুম! তাই কাল বিলম্ব না করে যুক্তরাস্ট্রও ঘোষণা দেয় তারাও আপাতত ৫০ জন চৌকস সেনাকর্মকতা সিরিয়ার মাটিতে পাঠিয়ে সরাসরি উপস্থিতি জানান দিবে। সেই সেনাকর্মকর্তাদের মূল কাজ হবে আসাদ বিরোধী জঙ্গী বাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া।

অন্যদিকে পশ্চিমাদের আশ্রয়ে লালিত পালিত হয়ে পাখা গজিয়েছে এরদোগানের তুরস্কের। নিজের জন্ম দেওয়া সন্তান আইসিসের রাশিয়ার পুতিনের হাতে করুণ মৃত্যুদৃশ্য সহ্য করতে না পেরে সন্তানদের রক্ষার্থে নিজেই সরাসরি সিরিয়ার মাটিতে উপস্থিত হলেন এরদোগানের তুরস্ক । রাশিয়ার সুখোই-২৪ জঙ্গী বিমান ভূপাতিত করলেন সিরিয়ার মাটিতে। হতভম্ব পরাশক্তি রাশিয়া ! সিরিয়াতে রাশিয়ার বিমান হামলার কারনে সিরিয়ার সেনাবাহিনী যখন আইসিস ও আল নুসরার হাত থেকে মুক্ত করছে একের পর এক শহর তখনই তুরস্ক এই কাজ করল ! পুতিন বললেন রাশিয়ার পিঠে ছুরি মেরেছে তুরস্ক ! বিনা জবাবে রাশিয়া ছাড় দিবে না তুরস্ককে! ঘটনা কী ?তুরস্ক এই সাহস পেল কোথা থেকে ? পিঁপড়ার পাখা গজায় নাকি মরিবার ত্বরে । উত্তর জানা যাবে পুতিনের প্রতিক্রিয়া থেকেই-
পুতিন বলেছেন, তুরস্কের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান থেকে ছোঁড়া আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রুশ সুখোই-২৪ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেছেন,“আমি বুঝি প্রত্যেকটি দেশের আঞ্চলিক স্বার্থ থাকে এবং আমরা সবসময় তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে আসছি। কিন্তু আজকে যে অপরাধ করা হয়েছে তা আমরা কোনোভাবেই সহ্য করব না।”

পুতিন আরো বলেছেন, সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন তুরস্কে তেল পাচার করত এবং বিষয়টি রাশিয়ার অনেক আগে থেকেই জানা ছিল। এই তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে আইএস তাদের অর্থের যোগান নিশ্চিত করত। গত কয়েকদিন সন্ত্রাসীদের প্রায় এক হাজার তেল ট্যাংকার ধ্বংস করা হয়েছে। এটা তুরস্কের স্বার্থের জন্য বড় ধরনের আঘাত।

পুতিন বলেছেন, বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা ঘটার পর তুরস্ক রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ না করে তারা ন্যাটো জোটের সঙ্গে যোগাযোগ করছে; যেন আমরাই তুর্কি বিমান ভূপাতিত করেছি। এর অর্থ কী এই দাঁড়ায় যে, আইএস’র জন্য ন্যাটো জোট কাজ করুক? পুতিন পরিষ্কার করে বলেছেন,“বিষয়টি আমরা বিশ্লেষণ করে দেখছি এবং বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় রাশিয়া ও তুরস্কের সম্পর্ক করুণ পরিণতি বরণ করবে।

পুতিনের কথায় স্পষ্ট যে তুরস্ক আইসিসের প্রধান সহযোগী ও আইসিস ইরাক এবং সিরিয়ার তেল খনি থেকে তেল উত্তোলন করে ন্যুনতম মূল্যে তুরস্ককে সাপ্লাই দেয়। সেই তেল তুরস্ক হয়ে ইউরোপে বিক্রি হয় যা তুরস্কের জন্য একটি মহালাভজনক ব্যবসা, কিন্তু রাশিয়ার সিরিয়াতে আইসিসের উপর আক্রমেন তুরস্কের সেই লাভজনক ব্যবসা এখন ক্রমাবনতিশীল। হয়তো অচিরেই তুরস্কের সেই লাভজনক কারবারের বাকিটুকুও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তুরস্কের দিশেহারা হওয়াটাই স্বাভাবিক।


সিরিয়ার যুদ্ধে একপক্ষে আছে প্রকট ইরান, রাশিয়া ও প্রচ্ছন্ন চীন ও অন্যদিকে আছে যুক্তরাস্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা রাস্ট্রগুলি, আরব ও তুর্কি। কেউ কাউকে সূচাগ্র মেদিনীও ছাড় দিতে চাচ্ছে না কারন সিরিয়ার যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই থাকবে এই দুই পক্ষের যে পক্ষ জয়ী হবে-হয় ইরান, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে অথবা পশ্চিমা, সৌদি ও তুর্কির নিয়ন্ত্রণে। তাই সিরিয়াতে রাশিয়ার সামরিক সরব উপস্থিতিতে আইএসআইএল কার্ড শেষ হওয়াতে বেকায়দায় পড়া পশ্চিমারা শেষ কার্ড হিসাবে তুরস্ককে ব্যবহার করতে চাইছে। পশ্চিমাদের দুরভিসন্ধি হল সিরিয়াতে রাশিয়ার বিকল্প হিসাবে তুরস্ককে দাড় করানো কারন তুরস্ক সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য।এতে ন্যাটোও জড়িত হতে পারে ঠিক এই কারনেই রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার পরপরই তুরস্ক রাশিয়ার সাথে নয় ন্যাটোর কাছে বিষয়টা উত্থাপন করেছে। ন্যাটো ও যুক্তরাস্ট্রেউভয় তুরস্ককে সমর্থন জানিয়েছে। ওবামা বলেছেন, তুরস্কের অধিকার আছে রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার। ঠিক একই যুক্তিতে বলা যায় সিরিয়ার আসাদ সরকারেরও অধিকার আছে সিরিয়ার মাটিতে আমেরিকার বিমান ভূপাতিত করার । এটা স্পষ্টভাবে বলা যায় তুরস্ককে ব্যবহার করে পশ্চিমাদের নতুন কোনো পরিকল্পনা। সিরিয়ায় রাশিয়ার হামলা শুরুর পরপরই যুক্তরাস্ট্রসহ পশ্চিমা নেতারা রাশিয়াকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছিল ! তবে রাশিয়ার সাথে তুরস্কের যুদ্ধ যদি বেঁধেও যায় তাতে ষোল আনা লাভ হবে পশ্চিমাদের আর তুরস্কের ঘরে যাবে ঘোড়ার ডিম এবং বোনাস হিসাবে সাদ্দামের ইরাকের ভাগ্য আর সিরিয়া হবে বিরানভূমি।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

হোসেন মালিক বলেছেন: তুরস্কের যুদ্ধে জড়ানো উচিত হবে না। সামান্য তেলে সামান্যই লাভ, যুদ্ধে অপূরণীয় ক্ষতি

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৯

ভাদাধর বলেছেন: তুরস্ক হইল কুকুরের লেজ। মানুষ আর যাই মনে করুক কুকুরই লেজ নাড়ায় বিপরীতটা নয়। তুরস্ক তার প্রভুর নির্দেশ অনুযায়ি কাজ করছে। এরদোগানের ভুলে যাওয়া উচিত হবেনা মহাপরাক্রমশালী সৌদি গোয়েন্দা প্রধান বান্দার বিন সুলতান পুতিনকে হুমকি দেয়ার পরবর্তিতে দুই বছর হাসপাতালে কাটানোর পর নির্বাসনে গিয়েছেন। সমস্যা হল মানুষ ইতিহাস থেকে কখনোই শিক্ষা নেয় না।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪১

অ্যামাটার বলেছেন: তুরস্ককে একটা শিক্ষা দেয়া উচিত এখনই।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

কোলড বলেছেন: Absolutely rubbish analysis and shows you know little about geopolitics. The area where the SU-24 was bombing had no ISIS. Russia was bombing Turkmen village, ethnic kin of Turk. Turkey had been warning Russia for last 2 months about flying too close and bombing Turkmen. Putin pushed the envelope and saw the consequence. Turkey did the right thing in defending its border and ethnic turks.

Before vomitting on the blog, it helps to read some foreign affairs mamazgine or book.

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার কমেন্ট দেখে কবি জীবনানান্দ দাশের এক কবিতার এই লাইনগুলি মনে পড়ে গেল-

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই- প্রীতি নেই
করুনার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

কোন অ্যানালাইসিসটা আপনার জন্য সঠিক হত ? যদি আপনার মন মত হত তাই না ? আমার সাথে আপনাকে একমত হতে হবে বা আমি আপনার সাথে একমত হব বা আপনার পশ্চাৎপদ চিন্তাভাবনার সাথে আমার ভাবনা চিন্তা মিলে যাবে এটা ভাবলেন কি করে ? আপনার মত তো দোপায়া জন্তু আমি না যে কারো ব্লগে যেয়ে বলব রাবিশ অ্যানালাইসিস। প্রত্যেকের অধিকার আছে মত প্রকাশ করার কিন্তু আমার ব্লগে এসে রাবিশ বলার অধিকার আপনার নেই। কারো ব্লগে এসে রাবিশ কথাটা বলার আগে নিজের চরকায় তেল দেন আগে। আপনার ব্লগ সাইট ভিজিট করে আসলাম। জীবনে তো একটি ব্লগও লিখেননি আর যে একটামাত্র লিখেছেন সেটা তো পুরাই কপি পেস্ট !!! তাও আবার আমাদের একজন বীরশ্রেষ্ঠকে বিশ্বাস ঘাতকরুপে প্রমানের অপচেষ্টা ! যার ব্লগে কাক পক্ষীও হাগু করতে যায় না, কপি পেস্টই যার প্রধান অবলম্বন সেই কিনা অন্যের ব্লগে এসে জিওপলিটিক্স সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করে !! হাসুম না কাঁদুম ? ঐ ছেঁড়া মার্কা জ্ঞান দিয়ে প্রতিদিন সকাল সন্ধা পানি খাবেন । কেমন ? খুঁচড়া পয়সার শব্দ বেশি ।

রাশিয়া তুরস্কের গ্রামে বোম্বিং করেছিল !!! তুরস্ক বিমানটিকে ভূপাতিত করেছে সিরিয়ার মাটিতেই। রাশিয়ার প্রকাশিত ভিডিও থেকে দেখা যায় বিমানটি তুরস্কের বর্ডার থেকে ১০০ মাইল দূরে ছিল বিমানটি। তারপরেও তুরস্কের কথা অনুসারে রাশিয়ার বিমান তুরস্কের আকাশ সীমায় ১৭ সেকেন্ড ছিল। এই ১৭ সেকেন্ডে ১০ টা ওয়ার্নিং কিভাবে সম্ভব ? অন্যদিকে জীবিত পাইলট বলেছেন তুরস্ক তাদের কোনো ওয়ার্নিং দেয়নি ! তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনিই নির্দেশ দিয়েছেন বিমানটি ভূপাতিত করতে । তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে থাকলে বিমান তুরস্কের আকাশসীমায় প্রবেশের মুহুর্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার প্রসেডিং শেষ করতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা ! তাই তো রাশিয়ার পররাস্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাটি পুর্বপরিকল্পিত । আর এটাই সত্য।

যাইহোক, বিমান সিরিয়ার মাটিতেই ভূপাতিত হয়েছে। তুরস্কের মাটিতে নয়। আর বিমান কেন ভুপাতিত করল ও এরপটভূমি সম্পর্কেই আমার লেখা। আপনার কমেন্ট ইরেলিভেন্ট।

কারো ব্লগে এসে বমি না করে দুর্গন্ধ না ছড়িয়ে নিজের ব্লগ সাইটে যা ইচ্ছে বমি করুন।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২১

হতভাগা রাজু বলেছেন: পুতিনের রাশিয়া কুর্দি যোদ্ধাদের সমর্থন দিলেই তুরস্কের লেজ সোজা হয়ে যাবে ।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২

কোলড বলেছেন: Lack of comprehension is astounding!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.