![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।
ইরান কর্তৃক ইউক্রেনের যাত্রীবাহি বিমান ভূপাতিত নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে ইরান এটা বড় ধরণের ভুল করেছে। ইরান তা স্বীকারও করেছে ক্ষমা চেয়েছে এবং ক্ষতি পূরণও দিবে বলেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকগণের অনেকেই বলেছেন এই ধরণের পরিস্থিতিতে এরকম ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় এবং আমেরিকাও এর দায় এড়াতে পারে না। কথা সত্য আমেরিকাও এর দায় এড়াতে পারে না।
ইরানের এরোস্পেস বিভাগের প্রধান জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ বলেছেন, আমরা বিমান বন্দর থেকে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছিলাম। যে বিমানটিতে মিসাইল আঘাত করেছে সেই বিমানটি একটি সেনসিটিভ সাইটের কাছাকাছি এসেছিল এবং আমাদের অপারেটরের হাতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ছিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের কাছে তথ্য ছিল মার্কিন ঘাটিতে হামলা করার পর আমেরিকা জঙ্গী বিমান দিয়ে বা মিসাইল আক্রমণ করে প্রতিশোধ নিতে পারে। আমাদের রাডার বিমানটিকে ক্রুজ মিসাইল হিসাবে ডিটেক্ট করেছে।ঘটনাটা শোনার পর আমার মনে হয়েছিল এর চেয়ে আমার মৃত্যু হলে ভাল হত। তিনি আরও বলেছেন, আমরা সকল দায় দায়িত্ব নিচ্ছি। আমাদের সরকার শাস্তি মূলক যা ব্যবস্থা নিবে আমরা মেনে নেব।
আজকে ইউক্রেনের যাত্রীবাহি বিমান ইরানের দ্বারা যে দুর্ঘটনার শিকার প্রায় একই রকম দুর্ঘটনা ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স দ্বারা শিকার হয়েছিল সাইবেরিয়ার এক যাত্রীবাহি বিমান। ঘটনাটি ঘটে ৪ অক্টোবর ২০০১। বিমানটি তেল আবিব থেকে রাশিয়া যাচ্ছিল। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর ছোড়া দুইটি মিসাইলের আঘাতে বিমানিটি ধ্বংস হয় এবং ৬৬ জন যাত্রীসহ ১২ জন ক্রুর সকলেই নিহত হয়। ইউক্রেন অবশ্য পরে দাবি করে তাদের বিমান বাহিনীর অনুশীলনের সময় ভুল করে মিসাইল বিমানটিতে আঘাত করে। ইউক্রেন ক্ষতিপূরণ দিলেও ঘটনার জন্য কোন দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চায়নি।
আমেরিকা আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতির কোন ধার ধারে না। আমেরিকা নিজেকে এই বিশ্বের অঘোষিত ঈশ্বর মনে করে। তার কথাই যেন আইন। না হলে দেশে দেশে যুদ্ধ, সরকার উৎখাত, ক্যু, পাল্টা ক্যু, হত্যা, গণহত্যা, আততায়ীর মত হত্যা, সম্পদ লুন্ঠন বছরের পর বছর যুগের পর যুগ ধরে করে কিভাবে? বিশ্বে এমন কোন অপকর্ম নাই যা আমেরিকা করেনি। দুঃখের বিষয় যে আমেরিকা তার অন্যায় অপকর্মের জন্য কখনও দুঃখ প্রকাশ যেমন করেনি তেমনি অনুতপ্তও হয়নি।
আমেরিকা নামের এই তথাকথিত ঈশ্বর ১৯৮৮ সালের ৪ জুলাই পারস্য উপসাগরে ইরানের যাত্রীবাহি একটি বিমান মিসাইল ছুড়ে ধ্বংস করে এবং ২৯০ জন যাত্রীর সকলেই নিহত হয়। আমেরিকা পরবর্তীতে ভুল স্বীকার করলেও এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেনি। উল্টো সেই নেভি সদস্যদের পুরস্কৃত করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, যাই ঘটুক যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করব না। We don't care!
প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮৩ সালের ১ সেপ্টেম্বরে। আলাস্কা অভুমুখি কোরিয়ার একটি যাত্রীবাহি বিমান সোভিয়ত ইউনিয়নের শাখালিন আইল্যান্ডে এয়ার টু এয়ার মিসাইল ছুড়ে বিমানটিকে ধ্বংস করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। বিমানের ২৬৯ জন যাত্রীর সকলেই নিহত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই ঘটনা অস্বীকার করে। নানা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকার করতে বাধ্য হলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন দাবি করে বিমানটিকে তারা আমেরিকার গোয়েন্দা বিমান মনে করেই মিসাইল ছুড়ে। অবশ্য ঐ সময় আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলছিল। তাই সোভিয়েত ইউনিয়নের এরকম মনে করা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। কিন্তু ভুল তো ভুলই। এখন যেমন ইরানের সাথে আমেরিকার ঠাণ্ডা যুদ্ধ এবং ছায়া যুদ্ধ চলছে। ইরানের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ধরণের ভুল হল। কিন্তু ভুল তো ভুলই।
এই জন্য বলে-রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২
শের শায়রী বলেছেন: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখড়ের প্রান যায়।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৩
নীল আকাশ বলেছেন: রাজা রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়! শিরোনাম দারুন হয়েছে। লেখাও ঝকঝকে লেগেছে পড়তে।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা অনেক উজাইছে।