নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেল বাণিজ্য এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিপন্ন দশা

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

করোনার বিপর্যয়ের মধ্যেই বিশ্বরাজনীতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গেছে। সেটা হল আমেরিকার তীব্র নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে ৪৫.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের গ্যাসোলিন ও অন্যান্য পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ পাঁচটি সুপার ট্যাংকারে করে সুদূর ভেনেজুয়েলার উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছে ইরান। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুসারে দুইটা ট্যাংকার ইতোমধ্যেই ভেনেজুয়েলার ইআই পালিটো বন্দরে পৌঁছে গেছে। ঘটনাটা বিশ্বরাজনীতিতে নানাদিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ইরান ও ভেনেজুয়েলা উভয় দেশের উপর আমেরিকার কঠোর তেল নিষেধাজ্ঞা কার্যকর আছে। অর্থাৎ বিশ্বের অন্য কোন দেশ এই দুটি দেশের কাছে তেলজাত পণ্য যেমন রপ্তানি করতে পারবে না তেমনি এদের থেকে আমদানিও করতে পারবে না। এই অবস্থায় আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা যেখানে বিশ্বের প্রায় সব দেশই অনুসরণ করতেছে সেখানে আমেরিকার উঠান দিয়ে আমেরিকার নাকের ডগায় ইরান সুদূর ভেনেজুয়েলায় তেল পাঠাচ্ছে এটা আমেরিকার জন্য রীতিমত চ্যালেঞ্জ।

আমেরিকা প্রথমে হুমকি দিয়েছে এবং ক্যারিবিয়ান সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে বলে খবর প্রকাশ হওয়ার পর ইরান ও ভেনেজুয়েলা উভয় দেশের পক্ষ থেকে পাল্টা হুমকি এবং ইরানের পক্ষ থেকে পারস্য উপসাগরে আমেরিকাকে একই পরিণতি বরণ করতে হবে বলে হুশিয়ারি দেওয়ার পর লেজ গুটিয়ে নেয় আমেরিকা। উল্লেখ্য গত বছর আমেরিকার অনুরোধে জিব্রালটার প্রণালীতে ইরানের সিরিয়াগামী একটা তেলবাহী জাহাজ আটক করেছিল ব্রিটেন। এর জবাবে টিট ফর ট্যাট হিসাবে ব্রিটেনের একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করেছিল ইরান।

পাঁচ পাঁচটা সুপার ট্যাংকারে করে ইরানের তেল জাত পণ্য ভেনেজুয়েলায় পাঠানো এই জন্য বিশ্ব রাজনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পতনের যে শুরু হয়েছে তার সুস্পষ্ট নানা প্রমাণের মধ্যে এটা হল আর একটি ঘটনা।

আমেরিকা তার প্রতিদ্বন্ধী দেশগুলোর সরকার উৎখাত এবং অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা একটা সফট উইপোন হিসাবে ব্যবহার করে। ইরান ও ভেনেজুয়েলার মধ্যেকার তেল বাণিজ্যের মাধ্যমে সেই নিষেধাজ্ঞার অস্ত্রকে ভোতা করে দেওয়া হল। এরপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো উৎসাহিত হবে। অন্তত মার্কিন বিরোধী দেশগুলো উপলব্ধি করবে নিজেদের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চালু রাখতে এবং এক দেশের বিপদে আর একদেশের এগিয়ে আসাতে আর কোন ভয় নেই। এতে দেশে দেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ধ্বসে পড়বে।

আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ইরান ও ভেনেজুয়েলার এই তেল বাণিজ্যর মাধ্যমে। আমেরিকা শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে ভেনেজুয়েলার তেল শোধনাগারগুলো সংস্কার, উন্নয়ন ও তেল রপ্তানির বিনিময়ে ইরান ভেনেজুয়েলা থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসছে। এভাবে ডলারের বিপরীতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে পুনরায় স্বর্ণ চালু শুরু হলে তা হবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পতনের জন্য শেষ পেরেকের উপর হাতুড়ির শেষ বাড়ি। ঠিক এই জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বয়ং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বারবার ইরান ও ভেনেজুয়েলার বিনিময় মাধ্যম হিসাবে স্বর্ণের কথা বলে উদ্বেগ জানাচ্ছেন।

এই তেল বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফলাফল হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করে ইরানকে বশে আনার যে চেষ্টা এবং ভেনেজুয়েলায় সরকার উৎখাতের যে পরিকল্পনা করেছে তা এখন গুড়ে বালি। ইরান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নত হয়ে নানাভাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করতে সক্ষম হলেও তেল অবরোধের কারণে ভেনেজুয়েলা পড়েছিল চরম বিপদে। আমেরিকা চেয়েছিল জনগণকে উস্কে দিয়ে জুয়ান গুয়াইডোকে জনপ্রিয় করে ভেনেজুয়েলাকে অস্থিতিশীল করে মাদুরো সরকারের পতন ঘটানো।নিষেধাজ্ঞার কারণে রিফাইনারিগুলো সংস্কারের অভাবে অকার্যকর হয়েছিল।মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইরান সবদিক দিয়ে ভেনেজুয়েলার প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে আমেরিকার পরিকল্পনা নিশ্চিৎ ভেস্তে গেল।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আমেরিকা এখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত। এই ফাকে ইরান সুযোগ নিয়েছে। এর জন্য তাদের প্রাশ্চিত্য করতে হবে।

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এত সহজভাবে ভাবলে হবে? করোনাতে ইরানও বিপর্যস্ত। ইরানের জাহাজ আটক আমেরিকা তখনই করত যদি পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর সামর্থ্য ইরানের না থাকত। ইরান পারস্য উপসসগর এবং হরমুজ প্রণালীতে যে কোন সময় আমেরিকার ট্যাংকার বা জাহাজ আটক করার সামর্থ্য রাখে। আপনার হয়তো জানা নাই ২০১৬ সালে ইরান পারস্য উপসাগর থেকে আমেরিকার যুদ্ধজাহাজসমেত ডজনেরও বেশি নেভি সদস্যদের গ্রেফতার করেছিল। আর কয়েক মাস আগে ব্রিটেন জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের জাহাজ আটক করেছিল এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পারস্য উপসাগরে ইরান ব্রিটেনের জাহাজ আটক করেছিল। এরফলে ব্রিটেন ইরানের তেলবাহী জাহাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আমেরিকা এই ধরণের পরিস্থিতিতে পড়তে চায়নি।

২| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজিব নূর মনে হয় ঠিকই বলেছেন।

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ঠিক বলেননি। উপরেই ব্যাখ্যা দিয়েছি। পারস্য উপসাগরে এবং হরমুজ প্রণালীতে ইরানের পাল্টা আঘাত হানার সামর্থ্য না থাকলে আমেরিকা ঠিকই ইরানের তেল ট্যাংকার আটক করত।

৩| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

একটি ভাল মুল্যায়ন । তবে এর প্রেক্ষিতে আমিরিকা কি পদক্ষেপ তাই ভাবনার বিষয় ।
যুগে যুগে বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদীদের বিবিধ ধরনের উত্থান পতন হয়েছে ।
কোন সাম্রাজ্যই চিরস্থায়ী হয়না,ইতিহাস সে কথাই বলে ।

ঈদ শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমেরিকা কি পদক্ষেপ নেয় তা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। তবে শুধু এটা একটা লক্ষণ নয় আরো অন্যান্য লক্ষণ দেখে মনে হয় সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পতনের শুরু হয়েছে।

৪| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাসিল৪ প্রমানিত শক্তিশালী মনিটারি সিস্টেম

তার বিরুদ্ধে স্বর্ন নিয়ে সম্পদ জমানো মানে হলো নিজের পায়ে কুড়ালের বদলে করাত মারা। আর ইরানীরা জ্ঞানে বিজ্ঞানে অনুন্নত হয়েতো শুধু মাত্র তাদের মিথ্যা বর্বর সম্রাজ্যবাদী চেতনা এবং মিথ্যা মাজহাবের আদর্শ ছড়াতে গিয়ে। সেক্ষেত্রে ইরানের সামনে ডোবা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।

স্বর্ন নিয়ে যদি লেনদেন শুরু করে তাহলে বলতে হয় দারিদ্রতা সেখানে কত প্রকট

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার জানা নাই ডলারের আগে স্বর্ণই ছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা। কাগজের নোট ডলার ইচ্ছামত আমেরিকা ছাপায় এবং আমাদেরকে তা ধরিয়ে দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেছে। স্বর্ণের দাম সবসময় ছিল এবং থাকবে। আপনার আরো জানা নাই বিশ্বের সব ব্যাংকগুলো তাদের ভোল্টে স্বর্ণসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস রাখে। মালয়শিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ওআইসিতে একবার আহবান জানিয়েছিলেন মুসলিম বিশ্ব যেন কাগজের মুদ্রা ডলার বাদ দিয়ে স্বর্ণকে লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে। মন্তব্য করার আগে একটু পড়াশুনা করেন। কেমন?
আমার এই ব্লগ কোন ধর্মীয় ব্লগ। তাই মাজহাবগত বিষয় আপনার নিজ মাথায় রাখেন যেখানে সেখানে বমি করার দরকার নাই। গন্ধ ছড়ায় তো!

৫| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমেরিকা এখন অনেক দুর্বল। মাথামোটা ট্রাম্পের কারণে আমেরিকা একটু একটু করে ডুবছে।

২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি একজন খাঁটি বাংগালী, যেই বিষয়ে ১ পয়সার জ্ঞান নেই, সেটা নিয়ে ২য় মহাভারত লিখে ফেলেছেন; সম্ভব হলে, ইহার সাথে নতুন রামায়ন যোগ করেদেন, হাজার বছরের জ্ঞানী বাংগালী হয়ে যাবেন।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জ্বি, আমি খাটি বাঙালী হতে পারলে গর্ববোধ করব, কিন্তু যে বঙ্গতে জন্মে, বাঙালীর ঘরে জন্মে বাঙালীর প্রতি যার বিদ্বেষ আছে কবি আব্দুল হাকিমের ভাষায় বলা যেতেই পারে সে কাহার জন্ম নির্ণেয় ণ জানি।

আমি কি বিষয়ে লিখব বা না লিখব তা নিয়ে আপনি আমাকে জ্ঞান দেওয়ার কে বা এই নিয়ে কথা বলার কে? অনধিকার চর্চা কি সবসময় ও সবজায়গায় করেন? আগে সভ্য হতে শিখেন তারপর মন্তব্য করেন।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অন্তর্জালের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে শিক্ষিত ও অর্ধ শিক্ষিত সবাই কমেন্ট করতে পারে। যার প্রাইমেরি লেভ্বলের জ্ঞান নাই সে এসে বিজ্ঞের মত কমেন্ট করে তুমি কিছু জানো? এরকম পণ্ডিত্মুর্খ অনেক দেখেছি এবং এখনও দেখতেছি।

৭| ২৫ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার পোষ্টা প্রকাশিত হওয়ার পর, আমেরিকার পতন ঘটেছে, কালিফোরনিয়া রাজ্য দখল করেছে মেক্সিকো, নিউইয়র্ক নিয়ে গেছে কানাডা, ইরান হাওয়াই দখল করেছে, বাকী রাজ্যগুলো ইয়েমেনের সাথে যোগ দিয়েছে।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার পাছা কেন জ্বলতেছে সেটা ভাল করে বুঝি। মেরিকার পতনের কথা বলি নাই। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পতনের কথা বলেছি। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কী এবং কিভাবে বিশ্ব শাসন, শোষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতেছে সে বিষয়ে জানা না থাকলে চুপ থাকেন। নব্য উপনিবেশবাদ কী এবং নব্য উপনিনেশবাদ থেকে কিভাবে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বেরিয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে যখন জ্ঞান নাই চুপ থাকেন। ব্লগ এড়িয়ে যান। মুর্খতারও তো একটা সীমা উচিৎ নাকি?

৮| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " কিন্তু যে বঙ্গতে জন্মে, বাঙালীর ঘরে জন্মে বাঙালীর প্রতি যার বিদ্বেষ আছে কবি আব্দুল হাকিমের ভাষায় বলা যেতেই পারে সে কাহার জন্ম নির্ণেয় ণ জানি "

-সামুতে প্রতিদিন সকালবেলা ২/৩ জন কবি আব্দুল হাকিমের জন্ম হয়, বিকেলে ২/১ জন বিদায় নেন।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমি কতদিন থেকে ব্লগিং করি মন্তব্য করার আগে যদি দেখে আসতেন। আমি কারো প্রতি দায়বদ্ধ নই। কি বিঢয়ে লিখব না লিখব কখনও এই নিয়ে ছাগলামী করতে আসবেন না। কাঠাল পাতা হাতে ধরে দিয়ে বিদায় করে দেব।

৯| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার জ্ঞানে আমি জ্ঞানান্বিত।

আসলেই জানি না স্বর্ন ব্যাবস্থা চালু করার ফলে স্থানীয় বাজারের সাপ্লাই চেইন ভালো থাকার পরও আন্তার্জাতিক বাজারের ইনফ্লেশন বা খনির উত্পাদনে তারতম্যের কারনে সেদেশের অর্থনীতি ডাউন খায়। আমি এটাও জানতাম না যে অতিরিক্ত স্বর্নমজুদ এক্সট্রা সিকিউরিটি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধ বিগ্রহ সবকিছুই বিনস্ট করে। আমি এটাও জানতাম না যে ক্রেডিট সিস্টেমের সাময়িক দুর্যোগে তড়িৎ ব্যাবস্থা নেয়া যায় বলে বাসিল সবার কাছে জনপ্রিয় যেখানে স্বর্নের বিপরীতে ক্রেডিট নিলে মাঝে মাঝে পরিশোধের সময় যেকোনো দুর্ঘটনা দুটো দেশের জন্যই মারাত্মক।

আপনাদের অর্থনীতিবিদ আছে বলেই জঙ্গি দেশগুলো আজ অর্থনীতিতে এতটাই দন্ডায়মান যে নিজের আমজনতা এত এত উত্পাদন করেও ইনফ্লেচুয়েশনের কারন দেশীয় বাজারে অর্থনীতি ও জাতীয় অর্থনৈতিক ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারে না।

আধুনিক অর্থনীতির এমন ধর্ষন দেখে আসলেই ভুলে গেছি মানবতা এখানে দর্শন নয়, জঙ্গিবাদ ও অজ্ঞতা এদের কাছে জীবন।

আপনার মতো জ্ঞানী মানুষ পেয়ে ব্লগের বোলগানী ধন্য

দেশের ইউনি গুলোতে কেন যে মনিটারী সিস্টেম পড়ায় বুঝি না। জঙ্গিদের নিয়োগ দিলেই তো পারে

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: রানের স্বর্ণের মজুদ অতিরিক্ত হয়েছে এই তথ্য কোথায় পেলেন? আমার পোস্টে লিখেছি? বিশ্বের সব ব্যাংকগুলো ভোল্টে কেন স্বর্ণ রাখে সে বিষয়ে জেনেছেন কিছু? স্বর্ণ কেন আগে আন্তর্জাতিক লেনদেনের প্রধান মাধ্যম ছিল? এখনও কেন অনেক দেশ স্বর্ণকে বিনিময় মাধ্যম হিসাবে পুনরায় চালু করার কথা বলতেছেন? আমেরিকা যে পরিমাণ কাগজের ডলার ছাপায় তার বিপরীতে মূল্যমান কই? আমেরিকা ডলারের মাধ্যমে সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে জিম্মি করে রেখেছে।


এই ব্লগে ভেনেজুয়েলা ইরানকে তেলের বিনিময়ে স্বর্ণ দিচ্ছে দাবি করেছে আমেরিকা। সেই তথ্যই তুলে ধরেছি। এভাবে আমেরিকার ডলারের প্রভাব হ্রাস পেলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পতন হবে।

কিন্তু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পতনের কথা শুনে আপনার এত জ্বলল কেন? আর ইরানের তেল ভেনেজুয়েলায় পৌঁছেছে এতে আপনার ফাটে কেন? আপনার কমেন্টে একটা বিষয় পরিষ্কার আপনি এখনও মানুষ হতে পারেননি। ওহাবি মুসলমানই রয়ে গেলেন।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: মহাজ্ঞানী সাহেব, আমি আপাদ মস্তক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মানুষ। বর্তমানে প্রতিটা মানুষের তাই হওয়া উচিৎ। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের যে পক্ষ নেয়, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পতনের কথা শুনলে যার পাছা জ্বলে তার মুখে মানবতার বুলি মানায় না। আপনার মানবতার বুলি আপনার ডাস্টবিনে রাখেন।

১০| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি মন্তব্যে লিখেছি, "-সামুতে প্রতিদিন সকালবেলা ২/৩ জন কবি আব্দুল হাকিমের জন্ম হয়, বিকেলে ২/১ জন বিদায় নেন। "

-স্যরি, দেখা যাচ্ছে, আমি কবি আব্দুল হাকিম সাহবের বিপক্ষে চলে গেছি; ব্লগে মহাভারত পড়লে মাথা কতক্ষণ ঠিক থাকে

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: শুনেন, মন্তব্য করবেন ভদ্র ভাষায় করবেন। আমি আপনাকে চিনিনা, আপনিও আমাকে চিনেন না। আমার ব্লগের ভুল ধরিয়ে দিলে আমি অবশ্যই সাধুবাদ জানাব। আর যদি ভদ্রতা চেপে রাখতে না পারেন ব্লগ এড়িয়ে যান। আপনাকে আমি জোর করে ডেকে আনিনি যে আসেন আসেন দয়া করে কমেন্ট করেন!

১১| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে আমারি অজ্ঞতা। নইলে আমি এটাও জানি যে বাসিল ৪ শুধু ডলার নির্ভর নয়। এখানে ইউরো থাকে, পাউন্ড ইয়েন অন্যান্য কারেন্সি থাকে। এটার কারন স্ট্যাবল ইকোনমি আর তাদের গানিতিক ভাবে মুক্তবাজারের অর্থনীতি ও ইনভেস্টমেন্ট সহ বাৎসরিক লেনদেনের হার।

কিন্তু আমি কি এত কিছু জানি! আমি হলাম অজ্ঞ একজন মানুষ। কোথাকার কোন জঙ্গিরা সোনা নিয়ে টানাটানি এখনো করে এত সমস্যা থাকা সত্বে এবং তা নিয়ে আমেরিকার সম্রাজ্য ভরাডুবি সেই স্বপ্নদোষে বিভোর।

অনেক কিছু শিখলাম ভাই। খালি মনে পড়ে ইরানের মানুষ জন্য যখন তৃষ্ঞার্ত কাকের মতো মরতেছিলো দুর্ভিক্ষে তখন নেতানিয়াহু পর্যন্ত সাহায্যের হাত বাড়ায়। অথচ জঙ্গি সরকার ইরানিদের মৃত্যু পছন্দ করে। সামান্য ভয় দেখানোর জন্য আমেরিকাকে রকেট ছুঁড়তে গিয়ে প্রবল প্রতাপশালী ইরান নিজেদের বিমান ফাটিয়ে নিজেদের দেশে জন্ম নেয়া নাগরিক মেরে ফেলে অথচ জঙ্গি থোমেনী ভুল স্বীকার করলেও ক্ষমতা ছাড়েনি।

হায়রে আমার তুড়ানী ইরান

আমার অজ্ঞতা সীমাহীন ব্রো। দেশের জঙ্গিগুলো যে আজ কত জ্ঞানী, তারা যে কত বর্বরতম শিক্ষিত সেটা যে কেন বুঝি না ... সবই আমার দোষ। হে মহান হুবালের বাচ্চা ঘারানিক(সুত্র আর্মস্ট্রং, আরব মিথোলজি), আমায় ক্ষমা করুন

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে পরিষ্কার করলেন আপনি কোন চিড়িয়া।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে পরিষ্কার আপনি একজন ওহাবি মুসলমান। প্রথম মন্তব্যেই সেটা পরিষ্কার হয়েছে। দুনিয়ার সকল জঙ্গীরাই ওহাবি ইসলাম থেকে। আমি একজন সেক্যুলার মানুষ। সাম্যবাদে বিশ্বাসী। ধর্ম, বর্ণ ও দেশভেদে কোন বিভেদ আমার নাই। যারা এসব বিভেদ করে তারা এখনও মানুষ হতে পারে নাই। অমানুষের বাচ্চার মত অমানুষ রয়ে গেলেন। মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন আগে। তারপর এরকম পোস্টে মন্তব্য করেন।

১২| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি ওহাবী!???

হলি কাউ কাউ

ব্লগের একটা
টিকটিকিও জানে আমি কি!!!

হলি কাউ!!

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: উদাসী স্বপ্নকে আমি জঙ্গী ভেবে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু তার ব্লগে যেয়ে দেখলাম সে আসলেই একজন জঙ্গী। আইএস সহিভাবে জেহাদ করছে কি করে নাই সেটা নিয়ে উদাসী স্বপ্নের ঘুম হয় না। আরে আইএস তো জঙ্গী। ১০০% সহিহ জঙ্গী। আইএস আবার জঙ্গী বা জঙ্গী নয় এই ব্লগ? আইএস তো হা হা হা সেই মহাজ্ঞান নিয়ে এখানে কমেন্ট!!!

১৩| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইরান ৫ ট্যাংকার তেল ভেনেজুয়েলায় পাঠালে "আমেরিকার পতন শুরু" এগুলো জ্ঞানী মানুষের কথা নয়; বিশ্ব সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক নয়।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভাল করে পড়েন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পতন অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পতনের যে শুরু হয়েছে তা বোঝার উপায় হিসাবে তার অনেকগুলো প্রমাণের আর একটি ঘটনা হল ভেনেজুয়েলায় তেল পাঠানো। ভিতর এবং বাহির উভয় দিক থেকে দুর্বল হয়েছে বলে ইরান তেল পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। পতনের শুরু মানে এই নয় আজ বা কালই পতন হবে। এটা একটা প্রক্রিয়া। ব্লগ ভাল করে না পড়ে মন্তব্য করলে বোঝার ভুল হতেই পারে।


আমি কখনই দাবি করিনি আমি জ্ঞানী মানুষ। আমি আজীবনই শিক্ষার্থী। শিখতেছি শিখব এটা চলমান। কিন্তু আমি কাউকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি না। কারো লেখা ভাল না লাগলে এড়িয়ে যাই। সবার লেখা পড়ার সময়ও নাই। আমি ব্লগে সাধারণত কম আসি, লিখিও কম। মাঝখানে তো ব্লগে একদমই লিখিনি। ব্যস্ততা। যতটুকু সময় পাই আমি আমার মত করে লিখব। বা লিখব না। কারো ভাল লাগুক আর নাই লাগুক আমার কিছু যায় আসে না। ভদ্র ভাষায় কমেন্ট করলে ভদ্র ভাষায় উত্তর দেই। ধন্যবাদ।

১৪| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি একজন গর্বিত ইসলামোফোব। আমার ঐ পোস্টে আমি দেখাইছি ইসলাম মানেই জঙ্গিবাদ। এবং ইসলামে জঙ্গিবাদ আছে সেটা আমাদের আলেম ওলামারা কিভাবে এড়ায় এবং কিভাবে সহী মুসলমান মানেই জঙ্গি এটা দেখিয়েছি।

এ নিয়ে ব্লগে আমের হৈ চৈ।

আমার নাম উচ্চারন না করে মৌলবাদীর প্রায় প্রতিদিনই আমাকে ব্যান করার আবেদন করে পোস্ট করে।
ব্লগের মডুও সময় পেলে খড়গহস্ত মারে।

বেস্ট অব লাক।

আর আপনার ফারুক ওয়াসিফ সিন্ড্রমের সাথে আমি পরিচিত।

আপনাদের গঠনমূলক আলোচনা হওয়া উচিত বিকেন্দ্রিকরন। যেটা বাসেল ৪ করছে। আপনাদের এই ডলারের প্রতি নির্ভরতা ড্যুড এটা গত দশকেই করে ফেলেছে আর তাই ডলার বা মার্কিন অর্থের তারতম্যে কারো কোনো সমস্যা হয় না যেটা কিনা ২০০০ এর আগে হতো।

এসব নিয়ে লিখবেন যখন ভালো করেই লেখেন।

ইরান যে টাকা ছাপিয়ে যে কুকাম করলো সেটার ফলেও যে ক্ষতিটা হইছে গত দশকে সেটাই কিন্তু অর্থনীতির ভালো একটা পাঠ্য

আর ভেনিজুয়েলার লোকজন কয়দিন আগে ড্রেনের পানি খাইছে সরকার বিরোধী আন্দোলনের শাস্তি হিসেবে সেটা নিয়েও একটু কথা বলুন।

নিজের তত্ব দাঁড় কারনের কসাইদের পক্ষ নেয়া কি হাস্যকর নয়??

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আমি আপাদ মস্তক জঙ্গী বিরোধী এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। এরপর অন্য কোন এরকম সাম্রাজ্যবাদী হলে তারও বিরোধীতা করব।
দুঃখ হয় আইএস যখন প্রথম খেলাফত ঘোষণা করে এদেশের মডারেট মুসলমানদের বড় অংশ আইএস সমর্থক ছিল। আইএস পতনের কারণে এরা এখন মুখ লুকাতে দাবি করে আইএস জঙ্গী! আবার আফগানিস্তানে যখন তালেবানরা ক্ষমতায় এসেছিল তখন এরাই বলেছিল আমরা হলাম তালেবান বাংলা হবে আফগান!!! এদেশের কেন সারা বিশ্বের ভেক ধরা মুসলমানদের ভাল করে চিনি।


ইরানের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন আছে, নীতি নিয়ে প্রশ্ন আছে। একই প্রশ্ন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রেও আছে। কোন দেশের শাসন ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ সেটা নিয়ে লিখলে সেগুলো আলাদা টপিক যদিও প্রত্যেক দেশের জনগণের অধিকার আছে তাদের নিজ নিজ শাসন ব্যবস্থা কেমন হবে তা নির্ধারণ করার। কিন্তু সবগুলো বিষয় একসাথে গুলিয়ে ফেললে কিছুই হয় না। উত্তর কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কিউবা, ইরান এসব দেশের মার্কিন ও ইউরোপিয় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতার জন্য আলাদা পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা আছে। বিশ্বের সব মুসলমান প্রধান দেশ আমেরিকার সেবাদাস। ইসলামি প্রজাতন্ত হওয়ার পরেও ইরান এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এইজন্য বিদেশনীতির ক্ষেত্রে বামপন্থী দেশগুলোর সাথে ইরানের গভীর সম্পর্ক এবং একই সরলরেখায় অবস্থান করতেছে। যাদের যেটুকু ভাল তাদের সেটুকু সমর্থনযোগ্য।


ইরানের যে মুদ্রাস্ফিতি এইজন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দায়ী। তবে সরকারের মিস ম্যানেজমেন্ট যে দায়ী নয় তা নয়। ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি হওয়ার পর ইরান মুদ্রা স্ফিতি সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু আবার অবরোধের পর একই অবস্থা হয়েছে।

ভেনেজুয়েলার জনগণ সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছে। এই পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু সেখানে নির্লজ্জের মত মার্কিন হস্তক্ষেপ কেন? ভেনেজুয়েলায় সরকার উৎখাতের জন্য আমেরিকা মার্সেনারী পাঠায় কেন? ভেনেজুয়েলার উপর মার্কিন অবরোধ কেন?



১৫| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " ভাল করে পড়েন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পতন অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পতনের যে শুরু হয়েছে তা বোঝার উপায় হিসাবে তার অনেকগুলো প্রমাণের আর একটি ঘটনা হল ভেনেজুয়েলায় তেল পাঠানো। "

-আপনাকে বুঝানো অসম্ভব ব্যাপার,; মনে হয়, আপনি প্রশ্নফাঁস সময়ের গ্রেজুয়েট?

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অর্যবেক্ষণ, মন্তব্য, বিশ্লেষণ যার যার যেমন দৃষ্টিভঙ্গী। আমি যা চিন্তা করি এবং ভাবি একই চিন্তা বা ভাবনা আপনাকেও করতে হবে এমন নয়। বা কেউ চিন্তা করলে ভাবলেই তার মন্তব্য বা বিশ্লেষণ সঠিক হবে এমন নয়।

১৬| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি বযলেছেন, " কারো লেখা ভাল না লাগলে এড়িয়ে যাই। "

-এই ধরণের মানুষযকে বলা হয় "সাক্ষী গোপাল", এরা সমাজের জন্য মোটামুটি অপ্রয়োজনীয়।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আসমান থেকে আপনি খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ সবকিছুই পেয়ে যান তাই আপনার হাতে অঢেল সময়। কাজেই সবার ব্লগ, ফেসবুকের পোস্ট পড়েন, মন্তব্য করেন। অথবা এই জন্য কোন আলাদা স্যালারি পান। কিন্তু আপনার মত তো সবাই নয়। অন্তত আমি নই। কাজ করে খেটে খুটে খেতে হয়। তাই অত সময় হয় না। সময় যখন হয় সামনে যদি পোস্ট আসে ঢু মেরে দেখি যদি ভাল লাগে পুরোটা পড়ি আর না হলে এড়িয়ে যাই। যদি কিছু বলার থাকে অবশ্যই বলি কিন্তু সেটা মার্জিত ভাষায়। কে কি লিখবে একান্তই তার ব্যাপার।

১৭| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভেনেজুয়ালা নিয়ে আমেরিকা পরিকল্পনা আপতত ভেস্তে গেলেও । তবে ইরানকে ছেড়ে দিবে না । আমেরিকা সবসময়ের জন্য আমেরিকা ।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভেনেজুয়েলার চেয়ে ইরানের উপর অবরোধ আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতেছে আমেরিকা। ইরান এমনকি সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন। সময় বলে দিবে কি হবে। ধন্যবাদ ভাই।

১৮| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: উত্তর কোরিয়া,ইরান,ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া,রামিয়া,চীর,ইরান,কিউবা,ভেনিজুয়েলা,বলিভিয়া এমেনকি ভিয়েতনাম,কম্বোডিয়া লাওস সহ সন্ত্রাসী এ্যামেরিকার গণহত্যা,লুটপাট ও অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটা দেশের উচিত এই সুযোগে এ্যামেরিকার উপর হামলা করে এই পাপিষ্ঠ রাষ্ট্রকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া।
তেলক্ষেত্র জাতীয়করণ করায় এরা ১৯৫৩ সালে অভুত্থ্যানের মাধ্যমে ইরানের প্রধানমন্ত্রাী ডা: মোসাদ্দেককে উৎখাত করেছিলো। ২০০৭ সালেও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুগে শ্যাভেজকে আর পরে মাদুরোকেও একইভাবে উৎখাতের চেষ্টা করেছিলো। বলিভিয়ার সাবেক রাষ্টপতি ইভো মোরালেসকেও এই সন্ত্রাসীদের কাছে মূল্যবান খনিজ লিথিয়াম লুটপাট বাধা দেয়ায় এই সন্ত্রাসীদের কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
অন্যান্য দেশে এই সন্ত্রাসীরা কি করেছে,সেটাও সবাই জানে।
তবে প্রকৃতির নিয়ম যদি ভুল না হয়,তাহলে এই করোনাতেই এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ধ্বংস হবে।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পতনের অপেক্ষায় আছে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৯| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন মহামারীর কারনে কিছুটা দুর্বল কিন্ত,
............................................................................................................................
বিশ্ব রাজনীতির মোড়লীপনা ছাড়বে না, তার এই আচরনে ইউরোপিও ইউনিয়ন ভিন্ন রাস্তায় হাঁটে
তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর শক্তি কমে নাই, তবে মহামারীর ধুম্রজালে , অর্থ বানিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে
চীন, রাশিয়ার কূটচালে ধরাশায়ী হলে অবাক হবোনা ।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি কমে নাই। অর্থনীতিসহ নানাদিক দিয়ে আমেরিকা দুর্বল হয়ে পড়ছে। তেলের দাম কমে গেছে, কর‍্যনায় বিপর্যস্ত এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো অনেকেই অর্থনীতি, সামরিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ।

২০| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৩

শের শায়রী বলেছেন: শুধু ভেনেজুয়েলা বলেন কেন? সেই ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞার মাঝে ভারত ইরান থেকে তেল নিয়েছিল। তুরস্কও নিয়েছিল। তবে বর্তমানে যে তেল নিয়ে তেলেসমতি কারবার চলছে, মানে দাম কমে এক সময় মাইনাস এ নেমেছিল (থিওরিটিক্যালি) তার পেছনেও কিন্তু ওই আমেরিকার খেলা ছিল। ওপেক ভার্সাস রাশিয়ার তেলের দাম নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যে কিন্তু আমেরিকা এক ধরনের প্রচ্ছন্ন সুবিধাই পেয়েছে আমি বলব। মধ্যে দিয়ে মাথা মোটা আরব গুলো অবস্থা খারাপ হবে। যত দিন এগুলোর মাথায় হাত বুলানোর দরকার ছিল মার্কিনীরদের ততদিন হাত বুলিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করছে।

আর আগামী বিশ বছরের মধ্যে এমনিই বিশ্বে তেলের চাহিদা কমে যাবে অল্টারনেট এনার্জি উৎপাদন সহজলভ্য হয়ে গেলে। এবং যাবেও। তেল বানিজ্য দিয়ে মনে হয় না, আমেরিকার এখন খুব একটা ক্ষতি হবে। ক্ষতি যা হওয়ার তা হল ওপেকের। তবে আমেরিকার যদি পতন হয় তবে সেটা হবে, মাথা মোটা গবেট ট্রাম্পের জন্য। যদি সামনের নির্বাচনে ভালো কোন ক্যান্ডিকেট না জিতে ট্রাম্প আবারো জেতে তবে সেটা হবে কনফার্ম আমেরিকার পতন। ৯০ তে রাশিয়ায় যা ঘটছে তার প্রতিশোধ হয়ত পুতিন নিয়ে নেবে ট্রাম্পের বিজয়ের মাধ্যমে।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ২০১৮ সালে ভারত ও তুরস্ক ইরান থেকে তেল কিনেছিল কিন্তু মার্কিনিরা সময়সীমা বেঁধে ছাড় দিয়েছিল তাই। ছাড়ের সময়সীমা পার হওয়ার পর তারা আর ইরান থেকে তেল কিনেনি। এখানে বিষয়টা হল ইরান ও ভেনেজুয়েলা উভয়ের উপর মার্কিন তেল নিষেধাজ্ঞা আছে। আর ইরান ভেনেজুয়েলায় তেল পাঠাচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগর হয়ে ভেনেজুয়েলায় যা হল আমেরিকার উঠান এবং নাকের ডগা।

ইরান ভেনেজুয়েলায় তেল পাঠায়নি। গ্যাসোলিন পাঠিয়েছে।

তেলের দাম কমাতে আমেরিকার তেলেসমাতি নেই। বরং আমেরিকার ক্ষতি। কারণ আমেরিকা এখন তেল আমদানিকারক নয় তেল উৎপাদনকারী দেশ। হ্যাঁ, তেলের দাম কম থাকলে শোচনীয় অবস্থা হবে আরবদের। এতে মার্কিনিদের অস্ত্র বিক্রিও ভাটা পড়বে। কারণ আমেরিকার প্রধান অস্ত্র গ্রাহক আরবরাই। আমার মনে হয় করোনাকাল যত দীর্ঘায়িত হবে তত লাভ হবে চীনের।

তেলের চাহিদা একসময় থাকবে না। ঠিক আছে, কিন্তু সময় সাপেক্ষ ব্যপার। এখন তেলের চাহিদা কম দেশে দেশে লকডাউনের কারণে।

সন্দেহ নাই ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসলে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার চূড়ান্ত পতন অনিবার্য।

ধন্যবাদ।

২১| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি মোদ্দা কথায় যেটা কম্যুনিজমের দ্রুত প্রসার এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলো যখন অব্যাহত কোন্দল শুরু হয়েছিলো তখন আমেরিকার ভয় ছিলো যে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাবে এ দেশগুলো চললে তার নিজের নিরাপত্তার হুমকি হবে। যদি আমি পার্টিকুলারলি ভেনেজুয়েলার কথাই ধরি এখানে আমেরিকা চেস্টা করলেও ক্ষমতায় বরাবরই ডিক্টেটরগুলোই ছিলো। এসব কসাই যার মধ্যে পিনোচেটের নাম না বললেই নয় সে শুয়োরকে হারানোর জন্য গুয়েতামালা ফোর্স আর তাদের বিদ্রোহী বাহিনীকে সার্বিক সহায়তা দেয় সিআইএ। কিন্তু তারপরও পিনোচেট ভালোই রাজত্ব করে।

এরপর পানি অনেক দূর গড়ায়। প্রাকৃতিক সম্পদের লোভে আমেরিকার অনেক ইনভেস্ট থাকে সেখানে। হুগো শাভেজ আরেক ডিক্টেটর ছিলো যে কিনা কম্যুনিজমের অনেক নির্যাতন চালায় এমন আমেরিকা বিরোধী মনোভাব পুজি করে সেখানে অনেক দিন টিকে থাকে যেটা তার জন্য হুমকি। মাদুরো কিন্তু প্রথম প্রথম আমেরিকার সাথে ভালো সখযতা রাখলেও যখন গনতান্ত্রিত পন্থা ফেলে এরশাদের মতো পন্থায় হাটে এবং চরম পথ অবলম্বন। করে তখন আমেরিকা প্রায় সরাসরি হস্তক্ষপ করে।

এখন কথা হলো ভেনিজুয়েলার শান্তি নিয়া আমেরিকার কেন টেনশন।

এটার জন্য আমি মওদুদ আহমেদের লেখা জিয়াকে নিয়ে তার শেষ বইটার একটা উক্তি দিবো। মুজিব হত্যার কারনে ভারতের সাথে বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানীতে তখন জিয়ার এত সাহস ছিলো না ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার। সে নানা কূটনৈতিক তত্পরতা চালায় এবং তখন ভারতীয় কূটনীতিকদের সরাসরিই বলেন,”ভারত নিজের জন্যই বাংলাদেশের উন্নয়নের শরীক হওয়া উচিত।” ভারত এটা পরে ঠিকই বুঝেছিলো এবং ভারত নিজের স্বার্থই প্রতিবেশীদের হাতে রেখেছিলাম। একটা পরাশক্তি হতে হলে প্রতিবেশীদের নিজের স্বার্থই শোষন এবং সেখানকার স্বার্থ সংশ্লিস্ট কার্য উদ্ধারে পুতুল সরকার গড়ে তোলা জরুরী।

আমরা যখন খালেদাকে ভোট দিলাম তখন নিজের রাতেই কুড়াল মারলাম যে একটা ডাকাত দলকে ক্ষমতার বসিয়েছি। আমরা পারিনি হাসিনা খালেদার বৃত্ত থেকে বেরোতে। স্বভাবতই এখানে চীন-ভারত-রাশিয়া-পাকিস্তান পন্থিরা বেশ শক্তিশালী প্রভাব রাখে কিন্তু সবাই নিজের স্বার্থ দেখে এমন দলকে ব্যাকআপ দিছে যে কিনা এসব যেকোনো একটা পরাশক্তির পদলেহন করবে। এখানে ভারত ও হাসিনা জিতেছে।

এখন এদেরকে হঠাৎই হলে আপনার ভালো অপশন দরকার সেটা আমাদের নেই।

কিন্তু ভেনিজুয়েলার আছে এবং লাতিন অন্যান্য দেশের সাথে তাদের ভাষা ঐতিহ্যগত মিলের কারনে তারা যে কঠিন ব্যাকআপ পায় সেটা দিয়ে তারা অনৈতিক স্বৈরচার নামানোর সামর্থ রাখে।

আমি বলবো না যে আমেরিকা ঠিক। তার অবশ্যই ভুল আছে এবং একটা দেশকে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে না ঠেলে সেখানে অন্যভাবেও কাজ করা যায় যেটা নরওয়েজিয়ানরা করে। যদিও বলবো না নরওয়েজিয়ান একর্ড সর্বদা কাজ করে বাট দিস ইজ দ্যা বেস্ট থিং উই হ্যাভ গট।

এখন আপনি আমেরিকান হলে আপনার জন্য এটা ঠিক আবার আপনি যদি ভেনিজুয়েলার আমজনতা বা বিদ্রোহী বাহিনীও হতেন তাহলেও আপনি আমেরিকায়ে সাপোর্ট দিতেন কারন মাদুরো যে কতবড় জানোয়ার, পিনোসে, হুগো শ্যাভেজ কত বড় কসাই ছিলো সেটা একমাত্র ভেনিজুয়েলান ছাড়া কেউ বুঝে না। তবে এটা ঠিক তাদের বেশ কয়েকজন ভালো প্রেসিডেন্ট ছিলো কিন্তু তাদের মনিটারি পলিসিতে এমনই গলদ ছিলো যে মাদুরোর মতো জানোয়ার ঘাড়ে চেপে বসে আছে।

আমেরিকা এখানে কিছুই না সে শুধু নিজের স্বার্থের জন্য এই আন্দোলনকে সাপোর্ট দিচ্ছে এবং আমেরিকাকে এখন জনগন মন্দের ভালো মনে করে।

এটা সিম্পল হিসাব।

ভারত যেমন কখনোই চাইবে না বাংলাদেশে যুদ্ধে লাগুক তাহলে এটা হবে তার জন্য সব চে বড় ক্ষতিকর। তেমনি আমেরিকাও চায় না তার পাশে আরেকটা কিউবা বা ক্যাস্ত্রো জন্ম নিক
তবে ট্রাম্প এসে আমেরিকার সবকিছু পাল্টে দিয়েছে এবং এটা সত্য নেক্সট বার এই জোচ্চর আসলে আমেরিকা ডুববে কিন্তু মুসলমান এশিয়ানদের জন্যও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে না

কারন আমেরিকার এই শুন্য স্থান রাশিয়া বা চীন পূর্ন করলে হয়তো আমরা জানে মরবে। আমেরিকা আছে বলেই আমরা জানে বেঁচে আছি। এসব রাশিয়া চিনের রাজনীতি ও বর্বরতা কুতসিত। আর যদি মিডলঈস্টের জানোয়ারদের হাতে যায় তাহলে ধরে রাখুন আমরা যারা নামাজ ঠিক মতো পড়তে পারি না বা কোরান মুখস্থ নাই আমাদের বৌ কন্যা শেখেদের যৌনদাসী হবে আর আমরা হবো তাদের কেনা গোলাম। নবী মোহাম্মদের নব্যুয়তের পর এটাই তার জীবিকা ছিলো। ধিম্মিদের জীবন যে কুকুরসম সেটা ইতিহাসের প্রতিটা পাতায় লেখা

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ইসলাম একটি সাম্রাজ্যবাদী ধর্ম কোন সন্দেহ নাই। ইসলামের ৮০% বিস্তার হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী নীতির কারণে। নবী মোহাম্মদ নিজেই ২৭ টা যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। বশ্যতা স্বীকার করে ইসলাম গ্রহণ কর অথবা জিজিয়া দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে বসবাস কর। এটা যদি সাম্রাজ্যবাদী না হয় পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদ বলে কিছুই নাই।তবে ইসলামের এই দিকের বাইরেও সুফিবাদ আছে মাদানী নয় মক্কা ইসলামকে প্রমোট করে। আর সেই সুফিরাই আমাদের দেশে ইসলাম প্রচার করেছে। এখন ওহাবী ইসলামের রমরমা প্রচার ও প্রসারের কারণে বাঙালী মুসলমানদের ইসলাম হারাতে বসেছে। এসব অন্য দিক। এই ব্লগের আলোকে আমার দৃষ্টি সাম্রাজ্যবাদের দিকে।


মার্কিন সাম্রাজ্যবাদও পৃথিবীর জন্য ভয়ংকর। দেশে দেশে হত্যা, গণহত্যা, ক্যু, হামলা, গুপ্ত হত্যা, সম্পদ লুটে নেওয়া কি বাদ রেখেছে মার্কিনিরা? কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করেছে আমেরিকা। আমেরিকার ইতিহাস যুদ্ধের ইতিহাস। যেসব দেশের সরকার নিজেদের অনুগত ও সেবাদাস নয় সেসব দেশে গণতন্ত্র রপ্তানির জন্য উঠে পড়ে লাগে আমেরিকা। আর অনুগত হলেই সেখানে গণতন্ত্রের প্রয়োজন নাই! এই দ্বিমুখী নীতি কোন সুস্থ মানুষ সমর্থন করতে পারে? যুক্তি যদি দেখান আমেরিকা তার স্বার্থের জন্য এসব করে অন্যান্য দেশও এমন করে তাই বলে সমর্থন করতে হবে? তাহলে তো পৃথিবীতে ন্যায় আর অন্যায় এবং অবিচার ও নীপিড়ন বলে কিছুই থাকল না এই পৃথিবীতে!

চীন, রাশিয়া বিশ্বে তত প্রভাবশালী ও শক্তিশালী নয় যতটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অপকর্ম, হত্যা, গণহত্যায় ও মানুষের অধিকার হরণের দিক দিয়ে চীন ও রাশিয়া আমেরিকার কাছে শিশু যদিও চীন ও রাশিয়া উভয় ধোয়া তুলসি পাতা নয়। তারপরেও চীন ও রাশিয়ার জুজুর ভয় দেখিয়ে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাকে সমর্থনের কোন যুক্তি নেই। চীন ও রাশিয়া যখন আমেরিকার অবস্থায় পৌঁছাবে এবং আমেরিকার মত আচরণ করবে তখন সেই সাম্রাজ্যবাদেরও সমালোচনা করব।

হুগো শ্যাভেজ ভেনেজুয়েলার একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। ল্যাটিন আমেরিকায় বলিভারিয়ান বিপ্লবের নতুন নায়ক তিনি। তিনি ভেনেজিয়েলার গরীব মানুষের জন্য যা করেছেন তা ইতোপূর্বে ভেনেজুয়েলার কোন শাসক করেনি। এইজন্য জনগণ তাকে বারবার ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমেরিকা ক্যু করে তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ রাস্তায় নেমে এসে সে ক্যু ব্যর্থ করে দেয়। মাদুরো শ্যাভেজের মত জিনপ্রিয় নয় এবং ক্যারিশম্যাটিকও নয়। তবে মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য আমেরিকা যা করছে তা কখনই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।






২৩| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কোন প্রেডিকশন করা কঠিন। আপনি ভাল লিখেছেন!

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২৪| ২৬ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জেনে ভাল লাগল, বর্তমান বিশ্বে মার্কিনিদের জুলুমের একটা ইতি হওয়া দরকার!

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অবশ্যই ইতি হবে। ধন্যবাদ।

২৫| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০

খাঁজা বাবা বলেছেন: ইরানের ৫ ট্যাংকার তেলে আমেরিকার কোন ক্ষতিই হবে না
তবে এটা একটা মেসেজ। আমেরিকা তাল হারাচ্ছে, হয়ত যোগ্য নেতৃত্ব এলে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে।

আর ইরানের হাতে ক্ষেপনাস্ত্র না থাকলে এতদিনে ইরানে আমেরিকান ঘাটি থাকত।

সব কমেন্টে রিপ্লাই না দিলেই বা কি ;)

২৬| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

মেটালক্সাইড বলেছেন: শের শায়রী ভাই যথার্থ মন্তব্য করেছেন এবং লেখাটির সাথে সামঞ্জস্য।
ঘটনাটি আসলেই মাইলস্টোন। মধ্যপ্রাচ্য আমেরিকার তেল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় একটা চপেটাঘাত। বারাক ওবামা যদি বুঝতে পারত একটা গর্দভ তার পরে প্রেসিডেন্ট হবে তাহলে ভুলেও ২০১৫ সালে ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তিতে সই করত না।
রইল ডলার অল্টারনেটিভ ও তেলের বিপরীত অল্টারনেট এনার্জি। ডলারের বিপরীত মুদ্রাব্যবস্থার কথা ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকবছর আগে একট ইকো সামিটে জোর স্বরে বলেছিলেন। তার টার্গেট ছিল ইইউ জোন ও এশিয়ার ইকো জোন। স্বর্ণ যদি ডলারের বিপরীত মুদ্রব্যবস্থা হয় তাহলে আইএমএফ রাতারাতি ব্যানিশ হয়ে যেতে বাধ্য, যেটা এককথায় অসাধ্য।
তেলের বিপরীত অল্টারনেট এনার্জি এখন বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে?
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ডাউনটাইম বারাক ওবামার সময়ে ধীর গতিতে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে গর্দভ ট্রাম্পের কারণে ইহার গতি দ্রুত হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.