![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে 'না ভোটের' বিধান করা হয়েছিল। তবে সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নির্বাচনি আইন সংশোধন করে ‘না' ভোটের বিধান বাতিল করা হয়৷
সংশোধিত আদেশের ৩১(৫)(খখ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, 'যদি নির্বাচক (ভোটার) প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কোনো প্রার্থীকেই ভোট দিতে না চান, তবে তিনি 'উপরের কোনো প্রার্থীকেই না' লিখিত স্থানে নির্ধারিত ছাপটি দিবেন।'নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয় তাতে জানা যায়, সব কয়টি আসনেই না ভোট পড়েছিল। তবে সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নির্বাচনি আইন সংশোধন করে ‘না' ভোটের বিধান বাতিল করা হয়৷
'অনেক সময় দেখা গেছে, কোনো কোনো আসনে কোনো প্রার্থীকেই অনেক ভোটারের পছন্দ হয় না। ফলে তারা ভোটকেন্দ্রে যান না এবং ভোটাধিকারও প্রয়োগ করেন না। কোনো ভোটারের যদি কোনো প্রার্থীকেই পছন্দ না হয়, তা হলে ব্যালট পেপারে না ভোট প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তার পছন্দের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন।' নির্বাচন কমিশন ভোটাধিকার প্রয়োগের দুটি দিক উল্লেখ করেছিল_ ১. পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া এবং ২. না ভোট প্রদান করা। ৫০ শতাংশের বেশি না ভোট কোনো আসনে পড়লে সেই আসনে পুনর্নির্বাচন করার বিধানও রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (সংশোধিত) ২০০৯ জাতীয় সংসদে উত্থাপনের সময় না ভোটের বিধান বাতিল করা হয়।
‘না ভোট’ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। রাজনৈতিক দলগুলো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী মনোনয়নে বাধ্য হবে। ‘ওপরের কাউকে নয়’ এমন ধরনের ভোট ভোটারের অধিকারকে সমুন্নত করবে।
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনে না ভোটের বিধান থাকা জরুরি। এর মাধ্যমে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে।
©somewhere in net ltd.