নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হামিদের ব্লগ

হামিদ আহসান

ভবের এই খেলাঘরে খেলে সব পুতুল খেলা জানি না এমন খেলা ভাঙে কখন কে জানে ...

হামিদ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী আশায় বাঁধি খেলাঘর.................৩

২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

২১.০৫.২০১৪





"বস" এর আশির্বাদের জন্য দুই জনেরই সেই কী প্রাণান্তকর চেষ্টা। চোখে লাগে ব্যাপরটা। যেন কার আগে কে "বস" এর সন্তুষ্টি অর্জন করবে। এটা কি তাদের জন্য উপযুক্ত আচরণ ছিল? এর সাথে কি একটি স্বাধীন দেশের গণমানুষের আত্ম-সম্মান বোধের ব্যাপার জড়িত নয়? কেমন যেন একটু বেশি লজ্জাজনক হয়ে গেল না!



কেউ আপোষহীন অথচ কাঙ্ক্ষিত "সেই বস্তুটা"র জন্য কতো কিছুর সাথেই না আপোষ করে চলেছেন। দেশে অতপর এখন বিদেশের অন্ধত্ববাদের সাথেও আপোষ করতে প্রস্তুত। কেউ ধর্নিমরপেক্ষতা আর গণমানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন! অথচ জনগণরে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়াই "সেই বস্তুটা" পেয়ে গিয়ে খুশিতে আটখান! হায় রে গণতন্ত্র!



জনতা বিমুখ রাজনীতি করলে তার ফলাফল এছাড়া আর কী হবে! স্বীকার করি বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ভারতের গুরুত্বের কথা। কিন্তু আমরা যদি গণতন্ত্রকে লালন করতাম আর দুর্ণীতিকে প্রশ্রয় না দিতাম তাহলে ৪৩ বছর যথেষ্ট সময় ছিল যে সময়ে আমরা একটি সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছতে পারতাম। বিশ্বে তেমন উদাহারণ আছে ভুরি ভুরি। তাহলে আমাদের হাল এতটা লজ্জাজনক হত না। আমরা কাউকে অভিনন্দিত করতাম সসম্মানে মাথা উঁচু করে। নতজানু হয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে নয়!



=========================



চোখের কোণাটি কি ভিজে গেল?

না, তা কী করে হয়!

আমার চোখের কোণা তো ভেজার কথা না!

আমি তো ঐ বোকাদের কেউ না!

আমি কেন কাঁদব!

আমি ধুরন্ধর চতুরদের একজন,

যারা কেবল কাঁদাতে জানে,

কাঁদতে শিখে না।



তবে কি মাঝে মাঝে আমাদের মত

ধুরন্ধর-বাটপারদেরও কান্না পায়!

নৃশংসতা যখন সীমা ছাড়ায়

আমাদেরও কি-

চোখের কোণাটা ভিজে যায়!



==================

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.