![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের আবুল মামা কখনো স্কুলের বারান্দায়ও যাননি। কিন্তু আমাদের কাছে তিনি বিরাট বুদ্ধিজীবি। এমনি এমনি না । তার বুদ্ধির জোরেই তিনি বুদ্ধিজীবি। হয়তো নামের একটা আসর আছে। আবুল নামের বরকতেই হয়তো তিনি আজ বুদ্ধিজীবি। যাই হোক নতুন বাজেট নিয়ে তার কী প্রতিক্রিয়া তা জানতে তার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। নিচে তার চুম্বক অংশ তুলে ধরলাম।
আমিঃ বাংলাদেশের বিশাল বাজেট নিয়ে আপনার ভাবনা কি ?
আবুল মামাঃ বাজেট তো হয় পাবলিকের ট্যাক্সের টাকায়। আন্দাজেই আয়তন বাড়াইছে। এখন সেই টাকা তোলার জন্য নানা ভাবে ট্যাক্স বাড়াইবে, তেলের দাম বাড়াইবে, বিদ্যুতের দাম বাড়াইবে। তারপর মচ্ছব....................
আমিঃ মচ্ছব জিনিসটা ঠিক বুঝলাম না মামা। একটু যদি ক্লিয়ার করতেন...
আ মাঃ মচ্ছপ জিনিসটা আসলে আমাদের দেশে নাই। এটা আসলে মগের মুল্লুকে হয়। ধর্ পোলাপাইনে খাটাখাটনি করে একজনকে এমপি বানাল। তিনি মন্ত্রী হলেন। এখন পোলাপাইনে বলে নেতা আমাগো লাইগা কী করলেন। নেতা বলে তোরা দেশের জন্য কাজ করছস এখন দেশেরটা খাবি। যা প্রকল্প বানাইয়া নিয়া আয়। পোলাপাইনে ৫ কোটি টাকার প্রকল্প বানাইয়া নিয়া যায়। নেতা কয় ৫ কোটি টাকার তোরা কী খাবি আর আমি কী খামু। ছুঁড়ে ফেল দেয় প্রকল্প- যা ঠিক কইরা নিয়া আয়। পোলাপাইনে ৫ এর সাথে শূন্য দিয়া একই প্রকল্প ৫০ কোটি কইরা দেয়। পোলাপাইনেও খায় মন্ত্রীও খায়।
তাছাড়া পুকুর চুরির গল্প জানস? ঐটাও মচ্ছবের মধ্যে পড়ে । কোনো এলাকায় একটা পুকুর কাটা হবে। এর জন্য বরাদ্ধ করা হল পাঁচ লাখ টাকা। টাকা উঠানো হল । কর্তৃপক্ষের ধারনা কাজ চলছে। আসলে কিন্তু কোনো কাজই হয় নি। এক সময় কর্তৃপক্ষ জানালো যে, পুকুরটি কেমন কাটা হয়েছে তা দেখতে ইন্সপেক্টর যাবে। এর মধ্যে দেখা গেল এলাকাবাসী আবেদন করেছে পুকুরটি ভরাট করে ফেলার জন্য। কারণ, পঁচা পানিতে মশা উৎপণ্ণ হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে। সুতরাং পুকুরটি বোজাতে আরও এক লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হল। এক সময় ইন্সপেক্টর সাহেব এলেন। এসে দেখলেন পুকুর বোজানোর কাজ অনেক নিখুঁতভাবে করা হয়েছে। দেখে উপায় নেই এখানে একসময় পুকুর ছিল। সুতরাং ইন্সপেক্টরের রিপোর্ট গেল কাজ অনেক পাকা হয়েছে। আসলে এটা ছিল ডাবল বেনিফিট পাকা চুরি।
আধুনিক পুকুরচুরির গল্কোপ আবার একটু ভিন্নোন টাইপের। এক জনপ্রতিনিধি তার এলাকায় একটি পুকুর কাটার প্রকল্প নিয়ে দেশের ক্ষমতাবানদের একজনের নিকট গেলেন তদবির করার জন্য। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়ছে এক কোটি টাকা। দেখে ক্ষমতাবান ব্যক্তি বলেন, কী প্রকল্প নিয়ে আসলেন? এক কোটি টাকায় পুকুর হয় নাকি। যান, পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরী করে নিয়ে আসেন। সুতরাং, জনপ্রতিনিধি প্রকল্পের ব্যয় দেখালেন পাঁচ কোটি টাকা। চার কোটি নিলেন ঐ ক্ষমতাবান আর জনপ্রতিনিধি নিলেন এক কোটি। প্রকল্প এলাকায় কোনো পুকুর কাটা হল না। কোনো ইন্সপেকশনও হলো না। কাজির গরু কাগজে থাকলেও বাস্তবে ঐ এলাকায় কোনো পুকুর নেই।
এসবই কিন্তু মগের মুল্লুকে হয়। আমাদের দেশে না..........................
আমিঃ তাইলে আপনে যে কইলেন বাজেট নিয়া মচ্ছব হবে। আমি তো আমেদের দেশের কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম।
আ মাঃ আমার ভাল্লাগে না রে এখন ভাগ। খালি বেশি বেশি কথা ........
১৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
হামিদ আহসান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ .........................
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
রোদেলা বলেছেন: আপনার লেখার ধরনে ভিন্নতা আছে,ভালো লাগলো।