![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক.
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়ার। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত। এজন্য তার শাস্তি হয়েছে। দুনিয়াজোড়াই এমন শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। ভুরি ভুরি নজির আমাদের সামনে আছে। সাকিবের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে সাকিবের ক্ষেত্রে একটা জিনিস বেশি হয়েছে। তিনি স্পষ্টতই কিছু "অপরিশোধিত মস্তিস্কের" অপরিপক্ক আবেগের গান্ধা আক্রোশেও জর্জরিত হয়েছেন। এটা ঠিক না। শাস্তিদাতার কোনো আক্রোশ থাকতে নেই। তিনি শাস্তি দিবেন শাস্তিপ্রাপ্তসহ দেশ-সমাজের সবার মঙ্গলের কথা চিন্তা করে। কোনো ধরনের অনুরাগ বা বিরাগ এর বশবর্তী না হয়ে। বোর্ডে যারা কলকাঠি নাড়েন তাদের কর্মকান্ডে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধার উদ্রেক হয় না। কী করব, এটা আমার সীমাবদ্ধতা।
শৃঙ্খলা-বিধান যেখানে আছে সেখানে তা ভঙ্গের ঘটনাও ঘটে থাকে। আর সেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যখন পর্যাপ্ত শাস্তির ব্যবস্থাও আছে তখন এটা নিয়ে জাতির এমন আবেগপ্রবন হওয়ার হেতু বুঝি না।
এই ছবিটা কিন্তু অনেক কথা বলে।
দুই.
'প্রয়োজনে আমি বাংলাদেশ দল থেকে অবসর নিয়ে হলেও টি-টোয়েন্টি খেলব।'
সেই অধিকার আর দশজন খেলোয়ারের মত অবশ্যই তারও আছে। তিনি নিশ্চয় ক্রীতদাস নয়! এক সময় আফ্রিকার্ কাল মানুষদের ধরে ধরে নিয়ে পৃথিবীর নানা জায়গায় ক্রীতদাস বানানো হত। তাদের কোনো স্বাধীনতা থাকত না। আমরা যে যেই পেশাতেই থাকি না কেন নিশ্চয়ই আত্মসম্মান আর স্বাধীনতা নিয়েই বাঁচতে চাইব। কারণ আমরা ক্রীতদাস না। আমাদের পিছনে যে টাকাটা ব্যায় করা হয় তা আমার শারীরিক কিংবা মানসিক পারিশ্রমের ফল । সবাই তা নেয়।
দল থেকে টাকা পয়সা সব খেলোয়ারকেই দেয়া হয়। কিন্তু বিদেশিরা তো আর আর কাউকে টাকা দিয়ে কেনে না। কেবল তাকেই কেনে। দেশে আসে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। নিজেদের টাকায় সেতু বানাতে হলে কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা খু্বই দরকার ..........
একটা গল্প মনে পড়ল । একবার ব্যাংকের আমাদের শাখার ক্লায়েন্ট এক বিরাট শিল্পপতির মেয়ের বিয়েতে আমাদেরকে দাওয়াত দিল। গেলাম এবং দেখলাম শিল্পপতি সাহেব তার মেয়ের জামাইকে একটা দামি গাড়ি উপহার দিয়েছে। এটা দেখে আমার সদ্য বিবাহিত এক কলিগ মুর্ছা যায় অবস্থা । বলে, বস! আমি কী ঠকাটা ঠকে গেলাম! আমি বলতে গিয়েও তাকে বললাম না, তোমার সেই মুরোদ নেইরে গাঁধা। যাদের আছে তারা পায়।'
©somewhere in net ltd.