![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এসময় কী ভেবে বৈঠাটা উঠিয়ে নিল বুড়ো । তারপর পাটাতনের নিচ থেকে ছোট এক গাছি রশি বের করলো। রশির এক মাথায় একটি ধাতব তারের সাথে একটি মাঝারি আকারের বড়শিও লাগানো আছে। বড়শিতে সারডিন পোনা গেঁথে টোপ বানালো সে। তারপর নৌকার পাশ দিয়ে সেটা এটা নামিয়ে দিল পানিতে । তারপর রশির অন্য মাথাটি বেঁধে ফেলল নৌকার একটি করার সাথে। তারপর এরকম আরো একটি বড়শি বানিয়ে সেটা নৌকার অন্য দিক দিয়ে পানিতে নামিয়ে দিল। এটার একটা মাথা বাঁধলো দাঁড়ের কাছটায়। তারপর আবার বৈঠা নামিয়ে ধীরে ধীরে দাঁড় বাইতে শুরু করল । দাঁড় বাইতে বাইতে বুড়ো পাখিটিকে দেখছিল। লম্বা পাখাবিশিষ্ট কালো রঙের পাখিটি এখন পানির অনেক কাছাকাছি উড়ছে।
বুড়ো দেখল পাখিটি আবারও গোত্তা খেয়ে পরল পানিতে । এসময় পাখিটি বিচিত্র ভঙ্গিতে ডানা ঝাপ্টাচ্ছিল। পানির উপর উরুক্কু মাছগুলো দেখে কেমন যেন বন্য হয়ে উঠছিল পাখিটি। কিন্তু শিকার ধরতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছিল।
একটি বড় ডলফিন পানিতে দাগ কেটে শিকারের পেছনে ছুটছিল। বুড়ো সেদিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। ডলফিনগুলো এভাবেই মাছ শিকার করে খায়। উরুক্কু মাছের ঠিক নিচে পানিতে সমান তালে চলতে থাকে ডলফিনগুলো। যখনই মাছটি পানিতে পরে তখনই তা ডলফিনের খাবারে পরিণত হয়।
'বিরাট একদল ডলফিন ! অনেকটা জায়গা নিয়ে ছড়িয়ে আছে । উরুক্কু মাছগুলোর বাঁচার সম্ভাবনা কম । তবে পাখিটিও সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ পাখিটির চেয়ে মাছগুলো আকারে বড়। তাছাড়া মাছগুলো অনেক দ্রুত বেগে চলছে' - মনে মনে ভাবছে বুড়ো।
এদিকে উরুক্কু মাছগুলো বার বার সবেগে উড়ে যাচ্ছিল । আর তাদের উড়ার সাথে সাথে পাখিটিও তার ব্যার্থ গোত্তা মারা অব্যাহত রাখছিল । বুড়ো এসব দেখছিল আর ভাবছিল, ডলফিনের দলটি মনে হয় দূরেই সরে যাবে। কারণ তারা অনেক দ্রুত চলছে এবং ইতোমধ্যে অনেকটা দূর্রত্ব তৈরী হয়েছে। তবে আমি দলছুট একটা পেয়েও যেতে পারি । কিংবা হতে পারে এদের আশেপাশেই আছ আমার কাঙ্ক্ষিত বড় মাছটি। কোথাও না কোথাও আমার বড় মাছটি আমি পাবই। অনেক প্রত্যয়ী হয়ে উঠে বুড়ো।
মেঘগুলো যেন উপকূলের উপর দিয়ে পর্বতমালার মতো আকাশে উঠে গেছে। দূরে আকাশ আর মাটির সঙ্গমে তৈরী হয়েছ একটি দীর্ঘ সবুজ রেখা যার ঠিক পেছনেই আছে ধূসর- নীলাভ পাহাড় । ঘন নীল জল এখন অনেকটা রক্ত বর্ণ ধারন করেছে।
এসময় বুড়ো পানির গভীরে দেখতে চেষ্টা করল। কিন্তু অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। গভীর অন্ধকার পানির উপরিভাগে সামুদ্রিক ফেনার উপর সূর্যের আলো পরে তৈরী হয়েছে এক ধরণের লালচে আভা। বুড়ো তার বড়শিগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলো সেগুলো পানির গভীরে তলিয়ে রয়েছে । অতল অন্ধকারে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। তবে সামুদ্রিক ফেনাগুলো দেখে খুশি হল সে। কারণ এগুলোর কাছাকাছি অনেক মাছ থাকে।
চলবে ......................
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
হামিদ আহসান বলেছেন: হুমম, সত্যিই বড় ধীর গতির গল্প। ধন্যবাদ আপনাকে ................
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
ফা হিম বলেছেন: বড় ধীর গতির গল্প। ইংরেজিটা পড়েছিলাম। অনুবাদটাও সময় করে পড়ব।