নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হামিদের ব্লগ

হামিদ আহসান

ভবের এই খেলাঘরে খেলে সব পুতুল খেলা জানি না এমন খেলা ভাঙে কখন কে জানে ...

হামিদ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে - ১৩

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

বাংলা রূপান্তর © হামিদ



এই মুহূর্তে সূর্যটা আকাশে অনেক উপরে অবস্থান করছে। সূর্যের তীক্ষ্ণ আলোকরশ্মি সমুদ্রের পানিতে পড়ে কেমন এক অদ্ভূত আলক আভা তৈরী হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠে । অন্যদিকে আকাশের মেঘমালার ধরন দেখে মনে হচ্ছে আজ আবহাওয়া ভালই থাকবে।



সেই পাখিটা ইতোমধ্যে দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছে। বেশকিছু শ্যাওলা জাতীয় জলজ উদ্ভিদ আশপাশের পানিতে ভাসছে। বুড়োর নৌকা থেকে গজ খানিক পিছনে ভেসে চলছে একটি জেলি মাছ। থলথলে বহুরঙা রক্তাভ শরীর জেলিটির । মনে হচ্ছে মহানন্দে আছে জেলিটি । হঠাৎ হঠাৎ ডানে বামে দিক পরিবর্তন করে চলছে। জেলিটি দেখে চিৎকার করে গাল দিল বুড়ো, 'বেশ্যা মাগি কোথাকার।'



পানিতে উঁকি দিয়ে বুড়ো দেখল অনেক ছোট ছোট মাছ জেলি মাছটির নিচ দিয়ে এবং আশপাশ দিয়ে জেলিটির ছড়িয়ে দেওয়া বিষাক্ত আঠালো পদার্থের পাশ দিয়েই বুদ বুদ তৈরী করে সাঁতরে চলে যাচ্ছে। জেলি মাছের বিষ ওদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। ওদের কাছে সে বিষ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে। কিন্তু মানুষের সে ক্ষমতা নেই। জেলি মাছের ঐ আঁশ যদি বড়শির রশিতে লেগে যায় তবে বিপদ আছে । কারণ ঐ আঁশ লাগানো রশি যদি তার হাতে লাগে তবে হাতে দগদগে ঘা হয়ে যাবে । এই ধরণের ঘায়ে খুব যন্ত্রনা হয় । তাই জেলি মাছ দেখলে বুড়ো এরকম রেগে গিয়ে গালাগাল করতে থাকে।



বুদবুদগুলো অবশ্য খুব সুন্দর লাগে। রামধনুর মতো নানা রঙ ধারণ করে এগুলো । এগুলো সত্যিই বড় বিভ্রম সৃষ্ট করে । কচ্ছপেরা ওদের দেখলেই সামনের দিক থেকে আক্রমণ করে। তারপর চোখ বন্ধ করে আঁশ সহ গিলে খায় । এদৃশ্যটি বুড়ো খুবই পছন্দ করে ।



ঝরের পরে সৈকতের বালুচরে হাঁটার সময় কচ্ছপের উপর পা পড়লে তারা যে শব্দ করে তাও বুড়োর অনেক পছন্দের । সবুজ কচ্ছপ বুড়ো খুব পছন্দ করে । এরা যেমন সুন্দর তেমনি এদর গতি । বাজারে তাদের দামও বেশি । হাগ জাতীয় কচ্ছপগুলোও বুড়োর খুব পছন্দের । নির্বোধ হলুদ ধরনের এসব কচ্ছপের রতিক্রিয়া দেখতে ভালো লাগে বুড়োর । তবে সবচেয়ে ভাল লাগে কচ্ছপগুলো যখন মহানন্দে চোখ বন্ধ করে জেলি মাছগুলোকে গিলে খায় তখনকার দৃশ্য ।



........................চলবে ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

জসীম অসীম বলেছেন: লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম। ভালো থাকবেন। আরও লেখা আমাদের উপহার দেবেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জসীম ভাই .....................

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

জসীম অসীম বলেছেন: এমন লেখা আমি লিখতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম। সত্যি ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

হামিদ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ জসীম ভাই .................

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

ডি মুন বলেছেন: অনুবাদের কাজ এগিয়ে চলুক - এমনটাই প্রত্যাশা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডি মুন। ভাল থাকবেন ..................

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনুবাদ ভাল লেগেছে ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই। ভাল থাকবেন ........................

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চলুক...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

হামিদ আহসান বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই .............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.