নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হামিদের ব্লগ

হামিদ আহসান

ভবের এই খেলাঘরে খেলে সব পুতুল খেলা জানি না এমন খেলা ভাঙে কখন কে জানে ...

হামিদ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে - ১৪

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

বাংলা রূপান্তর © হামিদ



তবে কচ্ছপের ব্যাপারে তার কোনো আলাদা অনুভুতি নেই । যদিও সে কয়েক বছর কচ্ছপ শিকারের কাজ করেছে। তবে কেমন একধরণের বেদনা বোধ আছ । এমনকি নৌকার সমান বড় বড় কচ্ছপগুলোর ব্যাপারেও তার এই বেদনাবোধ কাজ করে । কারণটা কী তা সে জানে না। হতে পারে এজন্য যে মানুষ কচ্ছপের সাথে অনেক নির্দয় আচরণ করে । জবাই করার পরও কচ্ছপের হৃদস্পন্দন সহজে থামে না ।কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্পন্দন চলতে থাকে । প্রাণটা সহজে বের হয় না। বুড়োর মনে হয় তার নিজের হৃদপিন্ডটিও কচ্ছপের মতো। এমনকি হাত পাগুলোও ।



শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য বুড়ো ডিমের সাদা অংশটা খায় । সারা মে মাস ধরে সে এরকম ডিম খেয়ে থাকে যাতে করে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে বড় বড় মাছ কাবু করার মতো যথেষ্ট শক্তি তার শরীরে থাকে। তাছাড়া এসময় প্রতিদিন এক কাপ করে হাঙরের কলিজার তেলও খায় সে। ঘাটের কাছটায় যেখানে জেলেরা মালপত্র রাখে সেখানেই ড্রাম ভর্তি করে রাখা থাকে এই তেল । তবে এর স্বাদটা সবার ভাল লাগে না। তাই সবাই এটা খায় না। তার কাছেও এই জিনিসটা খুব মজাদার তা না। তবে সে বিষয়টা অন্য ভাবে দেখে । তাকে তো জীবেন অনেক অপ্রিয় কাজই করেত হয় । যেমন অতো ভোরে ঘুম থেকে উঠতে কার ভালো লাগে । তারপরও দিনের পর দিন সে কাজটাই করে যাচ্ছে । তাই এই তেলের স্বাদ ভালো না হলেও যদি শরীরে জন্য উপকারী হয় তবে খেতে সমস্যা কী ? মজাদার না হলেও এই তেল ঠান্ডা এবং সর্দির জন্য মহৌষধ হিসেবে কাজ করে । তাছাড়া চোখের জন্যও খুব উপকারী ।



পাখিটি দৃষ্টির আড়ালে চলে গিয়েছিল । কিন্তু এখন আবার দেখা যাচ্ছে পাখিটিকে। আগের মতোই চক্কর দিচ্ছে । 'ও নিশ্চয়ই মাছ পেয়েছ ! ' চিৎকার করে উঠল বুড়ো ।



না, কোনো উড়ুক্কু মাছ সেখানে ছিল না। কিংবা টোপের মাছের কোনো আভাসও না । তবে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বুড়ো দেখল একটা টুনা মাছ বাতাসে ভেসে উঠেই আবার মাথা নিচের দিকে দিয়ে পানিতো ঝাঁপ দিল । সুর্যের আলোয় রূপালী টোনা মাছটি চকচক করে উঠল । প্রথমটি পানিতে ঝাঁপ দেয়ার সাথে সাথেই লাফিয়ে উঠল আরেকটা টুনা মাছ । তারপর আরেকটা । তারা যেন মনের আনন্দে টোপের চারপাশে পানি ছিটিয়ে লাফ ঝাঁপ শুরু করল আর নাক দিয়ে টোপটি ঠেলতে লাগল । 'এগুলো যদি খুব বেশি দ্রুত না চলে তবে আমি তাদের নিকট পৌঁছে যেতে পারব' - ভাবে বুড়ো ।



মাছের ঝাঁকটি সাদা ফেনা তুলছে পানিতে। টুনাগুলোর ঝাপাঝাপিতে আতঙ্কগ্রস্ত কিছু টোপের মাছ ভেসে উঠছে পানিতে । আর পাখিটা বার বার ঝাঁপিয়ে পড়ছে মাছগুলোর উপর ।



'পাখিটা বেশ উপকার করছে '- ভাবছিল বুড়ো । ঠিক তখনই পায়ের নিচে চেপে রাখা পেছনের বড়শির রশিতে টান পড়ল । বৈঠা রেখে রশি হাতে নিল সে । রশিটা হাতে নিয়েই বুঝতে পারল যে, মাছটা রশি ছেড়ার জন্য প্রানান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে । রশি টেনে মাছটাকে পানির উপর নিয়ে এলো বুড়ো । রোদের ঝলকে চকচক করে উঠলো মাছটির সোনালী পেট আর নীল পিঠ । নৌকার পিছন দিকটায় জায়গা হল মাছটার। ভারী আর বুলেটের মতো সূঁচালো আকৃতির মাছটা । নির্বোধের মত দৃষ্টি মেলে চকিতে দেখল । তারপর লেজটা একবার আছড়ে ফেলে নিস্তেজ হয়ে গেল মাছটা । বুড়ো মাছটির জন্য মায়া অনুভব করল। যেন তারাতারি দম বের হয়ে যায় তার জন্য মাথায় আঘাত করল এবং একটা লাথিও মারল । পাটাতনের উপর মাছটা কথনও তির তির করে কাঁপছে।



.............................চলবে ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

শাহেদ সাইদ বলেছেন: ভালো হচ্ছে

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাঈদ ভাই .......................

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

কোবিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ হামিদ ভাই
বুড়োকে এখানে পেয়ে ভালো লাগলো।
আলোতে সকালে পোস্ট দিয়ে এখনো
অপেক্ষায় আছি!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

হামিদ আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ .................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.