![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেয়ার মত কোন পরিচয় নেই। হোক তারপর নাহয়।
মৃত্যু খুব ভয়ংকর একটি শব্দ, সবাই
এড়িয়ে যেতে চাই এটিকে, কিন্তু
পারে কি? মানুষ সব সময় পৃথিবীর
যাবতীয় ঠুনকো কার্যকলাপেই
নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই, কখনো
এটা মাথায় থাকেনা যে মরতে
হবে আমাদের একদিন, ছেড়ে যেতে
হবে সব আয়োজন, ছিন্ন হবে সবকিছুই
যখন আমরা শুধুই একটা লাশ হব। আমরা
মানুষগুলো কি অদ্ভুত! ক্ষুদ্র এ
জীবনটাকে কত নিয়মের শৃঙ্খলে
আবদ্ব করে রেখেছি! লেখাপড়ার
নিয়ম, তারপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত
করার নিয়ম, সংসার ধর্ম পালন করার
নিয়ম, মাঝে মধ্যে কিছু আবেগ
অনুভূতিকে শিহরন দেয়ার নিয়ম, কত
নিয়ম!! এই নিয়মের ভীড়ে সবচেয়ে
কঠিন নিয়মটি কত সহজেই আড়াল
থাকে... হুম, পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার
নিয়ম। হ্যা এটাই সবচেয়ে কঠিন
নিয়ম যা না চাইলেও পালন করা
লাগবে, বা পালন হয়ে যাবে একসময়।
মৃত্যুর পর আমাদের কি কেউ মনে
রাখে? আমার তো মনে হয় না। হয়তো
কয়েকদিন কান্নাকাটি, কয়েক মাস
স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানো, তারপর সব
আবার স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে
আমি কবরস্থানের পাশে গিয়ে
দাড়াই, ভাবি মাটির নিচে শুয়ে
থাকা মানুষগুলো এই পৃথিবীতে কত
উচ্ছ্বল ছিলো, কতটা হাসি কান্নায়
মুখরিত ছিলো তাদের জীবনটা,
কতগুলো অপূর্ণ স্বপ্ন রেখে গিয়েছে
তারা এই পৃথিবীর ভিতর, কতগুলো
অদ্ভুত নিয়ম পালন করেছে তারা
যার কোনো মুল্যই নেই এখন তাদের
কাছে। আচ্ছা যাদেরকে নিয়ে
নিয়মের আয়োজন ছিলো তারা কি
মনে রেখেছে মৃত মানুষ গুলোকে?
হয়তো বা....; আমি ভাবতে থাকি,
আমিও যখন এই কবরের ভিতর শুয়ে
থাকবো, আমার আত্মাটা যখন সেই
মহা পরাক্রমশালীর শাস্তি বা সুখ
ভোগ করবে তখনো তো এই পৃথিবীর
সবকিছুই চলবে চিরায়িত নিয়মের
গন্ডিতে। কল্পনা করি আমি...
কোনো পথিক হয়তো শিশ দিতে
দিতে হেটে যাবে আমার কবরের
পাশ দিয়ে, রিকশায় করে যাওয়া
কিছু উচ্ছ্বল কপোত কপোতীর প্রেম
ঝড়ানো বাতাসগুলো হয়তো ছুঁয়ে
যাবে আমার এপিটাফখানা, নিয়ম
মানা ব্যস্ত মানুষগুলোর পদশব্দে
কাঁপতে থাকবে আমার কবরের
পাশে রাস্তাটি। ভাবতে অবাক
লাগে, আমি যখন থাকবো না তখনো
সবকিছু সহজ নিয়মেই চলতে থাকবে!
আচ্ছা আমি যখন শুয়ে থাকবো কবরে
তখন কি কেউ মনে রাখবে আমায়?
ধূলোজমা এপিটাফটি কি কেউ
সযত্নে মুছে দিবে? কেন দিবে, কেন
মনে রাখবে আমায়! আমি তো
বিখ্যাত কেউ নই। খুব কষ্ট হয়, যখন ভাবি
আমি আসলে একজন নিয়মের সন্তান,
যার দমটুকু ফুরোলেই সব শেষ, কিছুই
অবশিষ্ট থাকবে না। খুব ইচ্ছে হয় মৃত্যুর
পরও বেঁচে থাকতে, খুউঊব......। একটা
কাজ করেছি আমি, কাউকেই বলিনি
এমনকি আম্মাকেও না, তবে বলবো।
আমি আমার চোখগুলো মরোনোত্ত্বর
ডোনেট করেছি, খুব ভালো লাগছে
আমার। জানি এটা আমার ধর্মে
সাপোর্ট করে না। তাও আমি অন্য
কারো অনুভূতি দিয়ে পৃথিবীটাকে
দেখতে চাই, বাঁচতে চাই...। হা, হা,
হা...কি সব ফালতু ইমোশন নিয়ে
লিখছি! আরে এখানে তুমি সেলফি
বেলফি দিয়ে ভরিয়ে দাও,
রোমান্সের শিহরনে টাইমলাইন
পরিপূর্ণ করে ফেলো, চেকইন দাও
নামি দামী প্লেসের, এসব কি
লিখছো মিরান!! না, আমার লিখতে
হবে, মনের সকল দুঃখবোধ নিংড়ে
ফেলতে হবে, বলার মতো কেউ নেই
আমার। আমি আমার মনের কথা ব্যক্ত
করি আমার কাছেই! মস্তিষ্কের সব
কথা ঝেড়ে ফেলতে হয়। তা নাহলে
এটা কষ্ট দেয়। আমি কষ্ট থেকে মুক্তি
পেতেই লিখি, আমি আমার সুখের
জন্যই লিখি, ডিয়ার ডাইরি এটা
আমার। মানুষ মাত্রই স্বার্থের উর্দ্বে
নয়, আমিও। হে প্রভু আমি কখনই মহাপুরুষ
হতে পারবো না,পারবো না
তাদের অনুসরনও করতে। আমি আমার
আমিত্বটাকে কখনোই বিসর্জন
দিতে পারবো না, কারন তুমি তো
এই আমিটাকেই আমিরূপেই সৃষ্টি
করেছো.... আমাকে ক্ষমা করো হে
প্রভু আর রহমান, ক্ষমা করো।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, কল্লোল ভাই।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: মৃত্যু খুব ভয়ংকর একটি শব্দ, সবাই
এড়িয়ে যেতে চাই এটিকে, কিন্তু
পারে কি? মানুষ সব সময় পৃথিবীর
যাবতীয় ঠুনকো কার্যকলাপেই
নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই, কখনো
এটা মাথায় থাকেনা যে মরতে
হবে আমাদের একদিন, ছেড়ে যেতে
হবে সব আয়োজন, ছিন্ন হবে সবকিছুই
যখন আমরা শুধুই একটা লাশ হব। আমরা
মানুষগুলো কি অদ্ভুত! ক্ষুদ্র এ
জীবনটাকে কত নিয়মের শৃঙ্খলে
আবদ্ব করে রেখেছি! লেখাপড়ার
নিয়ম, তারপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত
করার নিয়ম, সংসার ধর্ম পালন করার
নিয়ম, মাঝে মধ্যে কিছু আবেগ
অনুভূতিকে শিহরন দেয়ার নিয়ম, কত
নিয়ম!! এই নিয়মের ভীড়ে সবচেয়ে
কঠিন নিয়মটি কত সহজেই আড়াল
থাকে... হুম, পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার
নিয়ম। হ্যা এটাই সবচেয়ে কঠিন
নিয়ম যা না চাইলেও পালন করা
লাগবে, বা পালন হয়ে যাবে একসময়।
মৃত্যুর পর আমাদের কি কেউ মনে
রাখে? আমার তো মনে হয় না। হয়তো
কয়েকদিন কান্নাকাটি, কয়েক মাস
স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানো, তারপর সব
আবার স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে
আমি কবরস্থানের পাশে গিয়ে
দাড়াই, ভাবি মাটির নিচে শুয়ে
থাকা মানুষগুলো এই পৃথিবীতে কত
উচ্ছ্বল ছিলো, কতটা হাসি কান্নায়
মুখরিত ছিলো তাদের জীবনটা,
কতগুলো অপূর্ণ স্বপ্ন রেখে গিয়েছে
তারা এই পৃথিবীর ভিতর, কতগুলো
অদ্ভুত নিয়ম পালন করেছে তারা
যার কোনো মুল্যই নেই এখন তাদের
কাছে। আচ্ছা যাদেরকে নিয়ে
নিয়মের আয়োজন ছিলো তারা কি
মনে রেখেছে মৃত মানুষ গুলোকে?
হয়তো বা....; আমি ভাবতে থাকি,
আমিও যখন এই কবরের ভিতর শুয়ে
থাকবো, আমার আত্মাটা যখন সেই
মহা পরাক্রমশালীর শাস্তি বা সুখ
ভোগ করবে তখনো তো এই পৃথিবীর
সবকিছুই চলবে চিরায়িত নিয়মের
গন্ডিতে। কল্পনা করি আমি...
কোনো পথিক হয়তো শিশ দিতে
দিতে হেটে যাবে আমার কবরের
পাশ দিয়ে, রিকশায় করে যাওয়া
কিছু উচ্ছ্বল কপোত কপোতীর প্রেম
ঝড়ানো বাতাসগুলো হয়তো ছুঁয়ে
যাবে আমার এপিটাফখানা, নিয়ম
মানা ব্যস্ত মানুষগুলোর পদশব্দে
কাঁপতে থাকবে আমার কবরের
পাশে রাস্তাটি। ভাবতে অবাক
লাগে, আমি যখন থাকবো না তখনো
সবকিছু সহজ নিয়মেই চলতে থাকবে!
আচ্ছা আমি যখন শুয়ে থাকবো কবরে
তখন কি কেউ মনে রাখবে আমায়?
ধূলোজমা এপিটাফটি কি কেউ
সযত্নে মুছে দিবে? কেন দিবে, কেন
মনে রাখবে আমায়! আমি তো
বিখ্যাত কেউ নই। খুব কষ্ট হয়, যখন ভাবি
আমি আসলে একজন নিয়মের সন্তান,
যার দমটুকু ফুরোলেই সব শেষ, কিছুই
অবশিষ্ট থাকবে না। খুব ইচ্ছে হয় মৃত্যুর
পরও বেঁচে থাকতে, খুউঊব......। একটা
কাজ করেছি আমি, কাউকেই বলিনি
এমনকি আম্মাকেও না, তবে বলবো।
আমি আমার চোখগুলো মরোনোত্ত্বর
ডোনেট করেছি, খুব ভালো লাগছে
আমার। জানি এটা আমার ধর্মে
সাপোর্ট করে না। তাও আমি অন্য
কারো অনুভূতি দিয়ে পৃথিবীটাকে
দেখতে চাই, বাঁচতে চাই...। হা, হা,
হা...কি সব ফালতু ইমোশন নিয়ে
লিখছি! আরে এখানে তুমি সেলফি
বেলফি দিয়ে ভরিয়ে দাও,
রোমান্সের শিহরনে টাইমলাইন
পরিপূর্ণ করে ফেলো, চেকইন দাও
নামি দামী প্লেসের, এসব কি
লিখছো মিরান!! না, আমার লিখতে
হবে, মনের সকল দুঃখবোধ নিংড়ে
ফেলতে হবে, বলার মতো কেউ নেই
আমার। আমি আমার মনের কথা ব্যক্ত
করি আমার কাছেই! মস্তিষ্কের সব
কথা ঝেড়ে ফেলতে হয়। তা নাহলে
এটা কষ্ট দেয়। আমি কষ্ট থেকে মুক্তি
পেতেই লিখি, আমি আমার সুখের
জন্যই লিখি, ডিয়ার ডাইরি এটা
আমার। মানুষ মাত্রই স্বার্থের উর্দ্বে
নয়, আমিও। হে প্রভু আমি কখনই মহাপুরুষ
হতে পারবো না,পারবো না
তাদের অনুসরনও করতে। আমি আমার
আমিত্বটাকে কখনোই বিসর্জন
দিতে পারবো না, কারন তুমি তো
এই আমিটাকেই আমিরূপেই সৃষ্টি
করেছো.... আমাকে ক্ষমা করো হে
প্রভু আর রহমান, ক্ষমা করো।
সমস্ত কবিতা জোড়েই ভাললাগা
+++++++++
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাল লাগলো । ধন্যবাদ
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: পাঠে খুশি হলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভালা রেখেগেলাম
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ..
৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০০
চুঙ্গিওলা বলেছেন: এইটা কবিতা??
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: বলেছেন: নাতো! এটা কবিতা
হতে যাবে কেন!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৫
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার আত্মউপলদ্ধি।
ধন্যবাদ ভাই শুভ কামনা জানবেন।