![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেয়ার মত কোন পরিচয় নেই। হোক তারপর নাহয়।
ছুটির দিন, সুন্দর বিকেল, আপনি আপনার আবাসিক সোসাইটির ভিতরে হালকা ফুরফুরে মেজাজে হাটছেন আর বিকেলটা উপভোগ করছেন। সোসাইটির এখানে সেখানে পরমযত্নে বেড়ে উঠা কিছু বাচ্চা খেলাধূলা করছে, বয়স কতই বা হবে... এই ৪-৫ বছর, অভিবাবক দের তীক্ষ নজরও আছে তাদের দিকে। আপনিও আনমনে হাঁটতে হাঁটতে বাচ্চাদের পাশে গেলেন, কি কিউট, কি সুন্দর বাচ্চাগুলো! আপনি তাদেরকে কোলে তুলে আদর করলেন, খুনসুটিতে মেতে উঠলেন, তাদের সাথে নিজেও একটা বাচ্চা হয়ে গেলেন। তারাও আপনার সাড়া তে আপ্লুত! আপনি কত ভালো মানুষ! বাচ্চাদের আদর স্নেহ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আপনি এই দায়িত্ব খুব ভালোভাবেই পালন করছেন। আপনি ভালো মানুষ তাই আপনার ভিতরে এখনো মায়ামমতা বিদ্যমান। বাহ! নিজেকে নিয়ে এখন গর্ব করতে ইচ্ছে হচ্ছে তাই না!! খাড়ান...এত খুশি হইয়েন না! প্রতিদিন সোসাইটির বাইরে যে বস্তি আছে, সেখানকার অনাদর অবহেলায় বেড়ে উঠা কিছু বাচ্চা রোজ ধূলিময় রাস্তায় নোংরা শরীরে খেলা করে, যা আপনার চোখ এড়ায় না। মাঝে মাঝে প্রচন্ড ঘৃণাভরে তাদের ধমকাতেও আপনি কখনো ভুল করেননা! এভাবে কেন যে এদের মা-বাবা এদের ছেড়ে রাস্তায় ছেড়ে দেয়, যত্তসব ফালতু! এসব ভাবতে ভাবতে আপনি আপনার রাজে রওনা দেন। এভাবে আপনি প্রতিনিয়ত আপনার গুরুদায়িত্ব পালন করে চলছেন। একদিনে সোসাইটির বাচ্চাগুলোকে কোমলতার দৃষ্টিতে অন্যদিকে বস্তির বাচ্চাগুলোকে অবহেলার চোখে তাকিয়ে আপনি নিজে মানুষ হয়ে উঠছেন?! মনে রাখবেন, নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা এসব বাচ্চাদের অভিভাবকরা দু-বেলা অন্নের যোগান দিতেই হিমশিম খায়। রঙরঙা হরলিক্সের বিজ্ঞাপন গুলো দেখে তাদের বুকের ভিতরে যে হাহাকার করে উঠে তা আপনি কখনই উপলব্ধি করতে পারবেন না। সী-ওয়ার্ল্ড, ফ্যান্টাসী কিংডমে গিয়ে তাদেরও ফ্যান্টাসীতে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু সবার ভাগ্যে কি সব জোটে! আপনারা কত সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, সমাজ পরিবর্তনের কথা বলেন, সম অধিকারের কথা বলেন, বলেন কত ন্যায়নীতির কথা। অথচ নিষ্পাপ বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক করতে পারলেন না। যদি পারেন কখনো একটা বস্তির বাচ্চাকে কোলে তুলে নিয়ে দেখবেন। দেখবেন কতটা খুশি হয় তারা, চকচকে পোশাকধারী মানুষদের দেখলে আর ভয়ে সংকুচিত হবে না ওরা, এগিয়ে আসবে পরমশ্রদ্ধাভরে। পৃথিবীটা সব শিশুদের কাছে সমান হোক। হয়তো কৃত্রিম পাওয়া না পাওয়ার ভেদাভেদ থাকবে তাদের মাঝে, কিন্তু অকৃত্রিম ভালোবাসাটুকু সবার তরে সমান যেন হয়। আমি চাই ওরা আমাদের মতো দু-পেয়ে গুলোকে মানুষ রূপে দেখে বড় হোক, যাতে তারা একদিন পৃথিবীর সব অপবিত্র আত্মাদের স্থান দখল করে নিতে পারে। আসুন... ভাইয়েরা তোমার, বোনেরা আমার, এইসব হাঙ্কি-পাঙ্কি বাদ দিয়া, মানুষে বিশ্বাসী হই। পোশাক-আভিজাত্য, সুন্দর চামড়ার ভেদাভেদ ভুলে শুধু মানুষকে মূল্য দিতে শিখি। দেখবেন পৃথিবী আপনাতেই বদলে যাবে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: পাঠে মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
যোগী বলেছেন:
আপনি একটা বাসে উঠার পর দেখলেন একটা সিটে একজন ভিক্ষুক বসে আছে, অন্য একটা সিটে একজন স্যুট পরা মানুষ বসে আছে। সত্যি করে বলেন আপনি কার পাশে বসতে আগ্রহী হবেন?
এটা কিন্তু মানুষের খুব বেশি দোষ না। একজন মানুষ কিন্তু সব সময় সুন্দর, পরিষ্কার বাজে গন্ধহীন পরিবেশ সব সময় পছন্দ করে। আর তা নাহলে মানুষ কখনোই নিজে কে আপগ্রেড করত না।
আপনার এই লেখা সস্তা বাহবা পাওয়ার জন্য খুব ভালো। আপনার বহু আগেও যুগে যুগে মানুষ এমন কথা লিখেছে ঠিক একই উদ্দেশ্যে কিন্তু বাস্তবতা কখনোই পরিবর্তন হইনি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: যোগী বলেছেন:
আপনি একটা বাসে উঠার পর
দেখলেন একটা সিটে একজন
ভিক্ষুক বসে আছে, অন্য একটা
সিটে একজন স্যুট পরা মানুষ বসে
আছে। সত্যি করে বলেন আপনি
কার পাশে বসতে আগ্রহী হবেন?
সবাইকে একি কাতারে ফেলা কি ঠিক? বাহ্বা পাওয়ার জন্য নয়, সত্যি কথা বলতে কি আমি স্যুট ওয়ালা মানুষের পাশে না বসে নোংরা মানুষের পাশেই বসবো। আস্তে আস্তে সব কিছুই বদলাচ্ছে, হয়তো আপনার আশেপাশে এখনো বদলায়নি। একটি লেখা যেমনই হোক না কেন, সেটা তার চিন্তারই প্রতিফলন ঘটায়। অনর্থক বাহবার প্রয়োজন নেই সেখানে।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৯
মুসাফির নামা বলেছেন: ভালো বলেছেন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫১
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বস্তির সব বাচ্ছাগুলো স্কুলে যাচ্ছে কিনা সেটার খবর নিন, সম্ভব হলে।
০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৯
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: যকটুকু পারি খবর নেয়ার চেষ্টা করি। সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
৫| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
পোস্টে+++++++++++++
০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৬| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০
নীলপরি বলেছেন: খুবই ভালো একটা বিষয় । ধন্যবাদ লেখার জন্য ।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৭
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, নীলপরি।
৭| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪২
কালনী নদী বলেছেন: সহমত ভাইয়া!
০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পৃথিবীটা সব শিশুদের কাছে সমান হোক। হয়তো কৃত্রিম পাওয়া না পাওয়ার ভেদাভেদ থাকবে তাদের মাঝে, কিন্তু অকৃত্রিম ভালোবাসাটুকু সবার তরে সমান যেন হয়। আমি চাই ওরা আমাদের মতো দু-পেয়ে গুলোকে মানুষ রূপে দেখে বড় হোক, যাতে তারা একদিন পৃথিবীর সব অপবিত্র আত্মাদের স্থান দখল করে নিতে পারে। আসুন... ভাইয়েরা তোমার, বোনেরা আমার, এইসব হাঙ্কি-পাঙ্কি বাদ দিয়া, মানুষে বিশ্বাসী হই। পোশাক-আভিজাত্য, সুন্দর চামড়ার ভেদাভেদ ভুলে শুধু মানুষকে মূল্য দিতে শিখি। দেখবেন পৃথিবী আপনাতেই বদলে যাবে।
সুন্দর বলেছেন। ++++++++++++++