![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
গ্রামিন ফোন কাষ্টমার কেয়ারে সুন্দরী একটা মেয়ে চাকুরী করে। ধনীর দুলালী। নিজস্ব গাড়ী নিয়ে অফিসে আসে।
প্রায় সময় লক্ষ করি অফিসটির আশে পাশে কিছু যুবক ঘুরঘুর করে। অফিসের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া কিছু মানুষের অফিসের দিকে (মেয়েটির দিকে) একবার না তাঁকালে যেন পেটের ভাতই হযম হয়না। আমি লক্ষ করলাম মেয়েটি বিরক্ত হয়না বরং বিষয়টি ইনযয় করে।
একদিন এক কাজে অফিসে গেলাম। মেয়েটিকে একা পেয়ে প্রশ্ন করলাম।
–আচ্ছা আপু! শুনলাম আপনাদের তো অনেক টাকা চাকরি করেন কেন?
–ওমা পড়ালেখা করেছি চাকরি করবনা! নিজের যোগ্যতা নিয়ে কি ঘরে বসে থাকব নাকি!
— আচ্ছা আপনি যে এতগুলি টাকা পান এই টাকা দিয়ে কি করেন।ভাইয়াকে(আপুর স্বামী) দেন অথবা পরিবারের কাজে লাগান?
–আশ্চর্য!ওর কি টাকার অভাব আছে নাকি! আর আমার টাকা ওকে দিব কেন?আমি এই টাকা নিজে খরচ করি।শপিং করি,বন্ধুদের নিয়ে খরচ করি!
এবার আপনাকে আরেকটা ঘটনা বলি।ঐদিন এক ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে বলল
–দোস্ত একটা চাকরি- বাকরি দেনা?পাস করে বসে আছি প্রায় ছয় মাস ধরে।বুঝিসই তো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। পরিবার তো আমার কাছে অনেক কিছু আশা করে। খুব খারাপ লাগে এত ভাল রেজাল্ট করেও কোন চাকরি পাচ্ছিনা!পরিবারকেও সাপোর্ট দিতে পারছি না!
–মন খারাপ করিস না। আমি চেষ্টা করব।
— একটু দেখিস। খুব উপকার হবে।
কিছু বুঝলেন?
একবার চিন্তা করে দেখুন তো ঐ আপু চাকরি করছে শখে আর আরেকজন ছেলে হন্য হয়ে চাকরি খুঁজছে তার পরিবারের ভরন পোষণের জন্য!ঐ আপুটি যদি চাকরি না করত তাহলে ঐ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেটার জন্য একটা চাকরির সুযোগ উন্মোচিত হত।
বেশিরভাগ অফিসগুলীতেই সচ্ছল মেয়েরা শখের বশে চাকরি করে। তাছাড়া চাকুরীর ক্ষেত্রে মেয়েদের সাধারনত অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এক শ্রেণীর মানুষ তাদের চোখের ক্ষুধা মিটানোর জন্য এমনটি করে থাকে। যে নারীরা এক সময় ছিল ঘরের শোভা আজ তাঁদের বানানো হচ্ছে অফিসের শোভা। নারীকে পন্য করার এটা কি নতুন আরেক জাল নয়???
অথচ তার চাইতে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন একটা ছেলে যার দিকে একটা পরিবার তাকিয়ে আছে তারা হন্য হয়ে ঘুরে বেড়ায় চাকরির জন্য!
আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করলাম! বাংলাদেশের আপনার আশেপাশের পরিচিত সবগুলি অফিসে সমীক্ষা করে দেখুন সচ্ছল পরিবারের চাকরিজীবী মেয়েদের চাকরি করে উপার্জিত টাকা তারা কোন খাতে ব্যায় করছে।আমি নিশ্চিত আপনার জরিপে আপনি দেখবেন তাদের প্রায় সবারই উপার্জিত অর্থ তারা শপিং অথবা বেহুদা কাজে খরচ করছে।
ঐদিন এক ভাই লিখেছিল যোগ্যতা থাকার পরেও যদি মেয়েরা চাকরি না করে তাহলে সেটা নাকি আমানতের খেয়ানত!!
ঐ লিখাটা পড়ে আমি।হেসেছিলাম!
কষ্টের হাঁসি!.......
আরে ভাই!যেদেশে কর্মক্ষম জনশক্তিকে সরকার চাকরি দিতে ব্যার্থ সেখানে শখের বসে চাকরি করে চাকরির বাজারের বারটা বাজানোর কি দরকার?আমার মনে হয় ঐ ভাই বিদেশ থাকেন।ভাইরে বাংলাদেশ আর বিদেশ তো এক না।
যেখানে আমাদের অধিকাংশ পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে সচ্ছল পরিবারের মেয়েদের চাকরীতে উৎসাহিত করার কোন যৌক্তিক কারন খুঁজে পাইনি!দেশটা তো ইউরোপ আমেরিকা হয়ে যায়নি! ইউরোপ আমেরিকায় আপনাদের এসব থিওরি মানাবে বাংলাদেশে নয়!
©somewhere in net ltd.