নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

সত্যের পথে আরিফ

সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)

সত্যের পথে আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চরমোনাই ত্বরীক্বা তাদের মনগড়া তৈরী করা নয়। এটা নবীর ত্বরীক্বা। যা কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

আহলে হক যারা আছে, তারা সবাই চরমোনাইকে তথা- তাদের সিলসিলাকে পূর্ণ হক বলেন। আর, লা-মাযহাবীদের মতে (নামধারী আহলে হাদীস) চরমোনাই, ক্বওমী, দেওবন্দী, আব্দুল কাদের জিলানী র., হযরত শাহ জালাল র.,সহ সকল পীর, মাযহাব ও তাবলীগ খারাপ এবং বাতিল। তারা যদি এতই জানে? তাহলে, গত বছরের বাহাসে না এসে পালাল কেন? তারা মাযহাব মানেনা, কোরআন হাদীস দিয়ে চলে। ভালো কথা! মাযহাব কি কোরআন হাদিসের বাইরে? নবীর জমানায় যা ছিলনা, তা সব যদি কুফরী আক্বীদা হয়, তাহলে তারা টিভিতে যে লেকচার দেয়, ফেসবুক ব্যবহার করে, তা কি নবীর জমানা বা কোরআন হাদিসে আছে? এবার দেখা যায়, তাদের ফতোয়ায় তারাই কাফের হয়ে বসে আছ। এখন, ফেসবুক ইত্যাদি হালাল করতে হলে, নিশ্চয়ই মাযহাব ও ইজমা কিয়াস অবশ্যক। পীর-মুরিদী, বায়াত-খেলাফত কোরআন হাদিস দিয়েই প্রমাণিত। যদি কেউ বলতে চায় যে, পীর শব্দ কোরআন হাদিসের কোথাও নেই, তাহলে আমি বলব, নামাজ শব্দও কোরআন হাদিসের কোথাও নেই। আমার এই কথার উত্তরে তারা কি বলবে? নামাজ পড়া, নামাজকে স্বীকার করা কুফরী আক্বীদা? আসল কথা হল, মূলত এরা বাংলা ভাই, শায়খ রহমানের মতই কোন অসত উদ্যেশ্য নিয়ে, ইহুদী খৃষ্টানদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করছে। জেএমবির ফর্মূলা সফল না হওয়ায়, এরা নতুন ফর্মূলায় অবতীর্ণ হয়েছে। আসুন! আমরা এদের অপ-প্রচারে কান না দিয়ে, সামনের দিকে এগিয়ে যাই। সফলতা আমাদের আসবেই ইনশাআল্লাহ।

বাইআত

শাইখের বাইআত গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক কিছু উদ্ধৃতি ::: যে ইমামের বাইআত থেকে হাত গুটিয়ে নিল, সে দলীলশূণ্য
হাতে কিয়ামতে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে। বায়আতের আনুগত্য ছাড়া যে মৃত্যুবরণ করে, সে জাহিলিয়াতের যুগের মৃত্যুবরণ করে। (মুসলিম, আস সহীহ, কিতাবুল
ইমরা, ২/১২৮) ক. বাইআত গ্রহণ করা জরুরী,
কিয়ামাতে ইমামের সাথে হাশর
হবে:
হূদ ৯৮, বনী ইস্রাঈল ৭১, ফাত্হ ১০,
১৮, মুমতাহিনাহ্ ১২. খ. ওয়ালীআল্লাহ বা আল্লাহর
প্রিয়জনের ওয়াসিলা তথা মাধ্যম
কার্যকর ও প্রয়োজনীয় :
বনী ইসরাঈল ৫৭, বাক্বারাহ ৮৯,
১৪৪, ৩৭, ৬১, আ’রাফ ১৩৪, তাওবাহ
১০৩, মা-ইদাহ ৩৫, আল ই ইমরান ৩৮, ১৬৪, ক্বাহাফ ২১. গ. মু’মিনদের জন্য আল্লাহর প্রিয়
বান্দার করা সুপারিশ আল্লাহ কবুল
করেন:
তাওবাহ ১০৩, বাক্বারাহ ২৫৫,
নাবা ৩৮, সাবা ২৩, নিসা ৬৪,
তোয়াহা ১০৯. ঘ. ইমামগণের অনুসরণ বা তাক্বলীদ
জরুরী:
লুক্বমান ১৫, হাজ্জ্ব ৭৮, নিসা ১১৫,
৮৩, তাওবাহ ১২২, ১১৯ আম্বিয়া ৭. ঙ. বুযুর্গদেরনৈকট্যে দোয়া কবুল
হয়:
আল ই ইমরান ৩৮, বাক্বারাহ ৫৮,
নিসা ৬৪. চ. আল্লাহর ওলীগণ সমস্যার
সমাধান দেন ও দান করেন:
ইয়ূসুফ ২৪, ৯৬, আল ই ইমরান ৪৯,
বাক্বারাহ ৬০, ২৪৮, মারইয়া্ম ১৯,
ফাতহ ২৫, যারিয়াত ৩৫, আনফাল ৩৩. ছ. আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ দূর
থেকে শোনেন, দেখেন ও সাহায্য
করেন:
আল ই ইমরান ৮১, ৪৯, আম্বিয়া ১০৭,
সাবা ২৮, বাক্বারাহ ৮৯, নামল ১৯,
ইউসূফ ৯৪, নামল ৪৯, আরাফ ২৭, সাজদাহ ১১, হাজ্জ্ব ২৭, আনআম ৭৬,
ইঊসূফ ২৪.
কুরআন থেকে কিছু আয়াত সরাসরি:
১. হে মু’মিনগণ, আল্লাহকে ভয় কর
এবং তাঁর দিকে ওয়াসীলা (মাধ্যম)
অণ্বেষণ কর (মাইদাহ ৩৫)।
২. আল্লাহ যাকে আল্লাহ
যাকে হিদাআত করেন সে হিদাআত পায়, আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন
সে ওয়ালী পায় না (কাহাফ ১৭)।
৩. যারা আপনার কাছে বাইআত গ্রহণ
করেছে তারা তো আল্লাহরই
কাছে বাইআত গ্রহণ করেছে। তাদের
হাতের উপর ইয়াদুল্লাহ(আল্লাহর হাত- সরাসরি অনুবাদ) রয়েছে।
সুতরাং কউ যদি বাইআত ভঙ্গ করে,
তার নিজের ক্ষতির জন্যই করে, আর
কউ যদি বাইআত পূর্ণ করে,
যে বাইআত মূলত সে আল্লাহর
সাথে করেছিলো- আল্লাহ তার পূর্ণ প্রতিদান নিশ্চই দিবেন ( ৪৮:১০)।
৪. নিশ্চই আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন
ইমানদারদেরপ্রতি যখন তারা এ
গাছের নিচে আপনার বাইআত গ্রহণ
করেছিল। সুতরাং আল্লাহ জানেন
যা তাদের অন্তরে রয়েছে, তারপর তাদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ
করেছেন। শুনিয়েছেন
আসতে থাকা বিজয়ের কথা(ফাতহ,
১৮)।
৫. হে নবী দ.! যখন আপনার
সামনে মুসলিম নারীরা হাযির হয় আপনার কাছে বাইআত গ্রহণের জন্য
এই কথায় যে আল্লাহর
সাথে কাউকে শরীক সাব্যস্ত
করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার
করবে না, আপন সন্তান
হত্যা করবে না, অপবাদ দিবে না যা তারা নিজের ভিতরেই
বানায়, কোন সৎকাজে আপনার আদেশ
অমান্য করবে না, তখন তাদের কাছ
থেকে বাইআত গ্রহণ করুন
এবং আল্লাহর কাছে তাদের জন্য
শুপারিশ করুন, নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু (মুমতাহিনাহ ১২)।৬. আল্লাহর অনুগত হও, রাসূল দ.’র
অনুগত হও, তোমার নির্দেশদাতার
অনুগত হও। (কুরআনের আয়াত। এখন,
আল্লাহ ও রাসূল তো পেলাম, আমাদের
নির্দেশদাতা কে?)
বুখারি শরীফ থেকে বাইআতের কিছু
হাদীস:
প্রথম খন্ড পৃ ৭, ৭৫, দ্বিতীয় খন্ডপৃ
১৩৬৯, ১০৭০ ১. পীর ও মুর্শিদ যে আল্লাহর
দেয়া ক্ষমতাবলে সুপারিশ
করে গুনাহমাফ করাতে পারবেন:
আল্লাহর প্রিয়বান্দা অনেক।
তাদের সাথে আত্মীয়তার ও
ভালবাসার সম্পর্ক স্থাপন করো। কারণ, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ সকল
কামিল মুসলমানকে শাফাআতের
অধিকার দান করবেন। (কানযুল
উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল
ওয়া আফ’আল প্রথম অধ্যায়, হাদীস) ২. আগেকার খিলাফত ছিল এরকম,
ধর্মের জন্য প্রথম
যে চারজনকে নির্বাচিত করা হয়,
ধর্মের সম্মানার্থে তাদের
রাষ্ট্রক্ষমতা দেয়া হয় (অর্থাৎ,
মূলে খলিফা মানে রূহানী খলিফা তথা মুর্শিদ, তারপর আসছে রাষ্ট্রনায়কের
সম্মান, তাও তিনি সবার মুর্শিদ
বলে):
সাইয়্যিদুনা আলি রা.
সাইয়্যিদুনা সিদ্দিকে আকবর রা.
বিষয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ দ. তাঁকেআমাদের ধর্মের জন্যি পছন্দ
করেছেন, আমরা কেন তাঁকে দুনিয়ার
জন্যও পছন্দ করব না? (ইবনে সা’দ.
আত তাবকাতুল কুবরা, দারু সাদির,
বৈরুত থেকে প্রকাশিত
হাদিসগ্রন্থ।) ৩. শাইখ (পীর) নিজ
গোত্রে তেমনি যেমন নবী নিজ
উম্মতের মধ্যে।(সাখাভী, হাদীস
৬০৯)
৪. শাইখ (পীর) নিজ
পরিবারে তেমনি যেমন নবী নিজ উম্মতের মধ্যে। (সুয়ূতী ৪৯৬৯)
৫. আল্লাহ চাননি তালহা রা. আমার
(আলী রা.) বাইআত
কাঁধে না নিয়ে জান্নাতে যান। (আল
মুস্তাদরাকে হাকীম ৫৬০১)
এবার এই লেখার সবশেষ দলীল,
বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের
কিতাবুল ফিতানের হাদীস, যখন ফিতনা হবে, তখন তোমরা জঙ্গল
এ যাও ও
লতাপাতা খেয়ে মারা যাও।
ইয়া রাসূলআল্লাহ দ. , ফিতনার
যুগে আমরা কি তাহলে লোকালয়ে থাকতে পারব
না? পারবে, যদি আল্লাহর প্রকৃত
প্রতিনিধি (ওয়ালীউল্লাহ,
সিলসিলাপ্রাপ্ত)’র দেখা পাও।
তখন তাঁর কথা যদি তোমার এত
ভারি মনে হয় যে পিঠ
ভেঙে যাচ্ছে, মেনে নিতে পারছ না, তাও শুধু তার কথাকেই অনুসরণ
করো। তাহলেই তোমরা ঈমান
রাখতে পারবে। নাহলে পরিবেশতোমার ঈমান নষ্ট করে দিবে। আলহামদুলিল্লাহ। ইসলাহের জন্য পীর-মুরিদীর প্রমাণ আছে কি না?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ের উপর সাহাবা কেরাম (রা.)দের বাইয়াত করেছেন। যেমন কখনো ইসলামের নীতিমালা মেনে চলার জন্য, কখনো সুন্নতের উপর চলার জন্য। আর সহীহ্‌ বোখারি শরিফের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, হযরত জারীর (রা.)কে মুরিদ করার সময় সকল মু'মিনের সাথে ভাল ব্যবহার করার শর্ত করেছেলেন। আর কিছু আনসারদেরকে মুরিদ করার সময় বলেছিলেন, আল্লাহ পাকের আদেশ-নিষেধ মানার ব্যাপারে বিদ্রুপকারীর বিদ্রুপের পরওয়া করবে না এবং তাদের দিকে কর্ণপাতও করবে না, সর্বদা সৎ পথে চলবে ও সত্য কথা বলবে। তাই তারা তৎকালীন রাজা বাদশাহ্‌দের অবিচারের প্রতিবাদ স্পষ্টভাবে করতেন। আর আনসার মহিলাদেরকে মুরিদ করার সময় মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না না করা এবং অন্যান্য গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার অংঙ্গীকার নিয়েছিলেন। এধরনের পীর-মুরিদী ঈমান গ্রহণ করার পর আত্মশুদ্ধি, ইসলাহে নফস, মানবিক উৎকর্ষতা, উওমগুণে গুণান্বিত হওয়া এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার জন্যই হয়ে থাকে।

(আল কওলুল জামিল ১৫ পৃ.) হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মোহাদ্দেস দেহলভী (রহ.) ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহঃ) এর ফতোয়া , তাসাওউফ্‌কে বেদাআ’ত বলা সীমা লঙ্ঘন ।
মাজমু উল্‌ ফাতাওয়া । ১১/১৮
فَطَائِفَةٌ ذَمَّتْ " الصُّوفِيَّةَ وَالتَّصَوُّفَ " .
وَقَالُوا : إنَّهُمْ مُبْتَدِعُونَ خَارِجُونَ عَنْ السُّنَّةِ
وَنُقِلَ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْ الْأَئِمَّةِ فِي ذَلِكَ مِنْ الْكَلَامِ مَاهُوَ مَعْرُوفٌ وَتَبِعَهُمْ عَلَى ذَلِكَ طَوَائِفُ مِنْ أَهْلِ الْفِقْهِ وَالْكَلَامِ . وَطَائِفَةٌ غَلَتْ فِيهِمْ وَادَّعَوْا أَنَّهُمْ أَفْضَلُ الْخَلْقِ وَأَكْمَلُهُمْ بَعْدَ الْأَنْبِيَاءِ وَكِلَا طَرَفَيْ هَذِهِ الْأُمُورِ ذَمِيمٌ . وَ " الصَّوَابُ " أَنَّهُمْ مُجْتَهِدُونَ فِي طَاعَةِ اللَّهِ كَمَا اجْتَهَدَ غَيْرُهُمْ مِنْ أَهْلِ طَاعَةِ اللَّهِ فَفِيهِمْ السَّابِقُ الْمُقَرَّبُ بِحَسَبِ اجْتِهَادِهِ وَفِيهِمْ الْمُقْتَصِدُ الَّذِي هُوَ مِنْ أَهْلِ الْيَمِينِ وَفِي كُلٍّ مِنْ الصِّنْفَيْنِ مَنْ قَدْ يَجْتَهِدُ فَيُخْطِئُ وَفِيهِمْ مَنْ يُذْنِبُ فَيَتُوبُ أَوْ لَا يَتُوبُ . وَمِنْ الْمُنْتَسِبِينَ إلَيْهِمْ مَنْ هُوَ ظَالِمٌ لِنَفْسِهِ عَاصٍ لِرَبِّهِ
مجموع الفتاوى ج/11ص18.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেও বিভিন্ন সাহাবা কেরাম (রা.)ও মুরিদ করতেন। তার প্রমাণ নিম্নে বর্ণিত হাদীসটির প্রতি লক্ষ্য করুন, যাতে খলিফা ও প্রতিনিধি হিসেবে সাহাবা কেরাম (রা.)ও পীর-মুরিদীর মাধ্যমে ঈমানী সত্যতা যাচাই করতেন। আর সাহাবা কেরাম (রা.)এর পীর-মুরিদীর মাধ্যমে সে যুগের মানুষরাও নিজেদের ঈমান ও ইসলাম গ্রহণ করার বিষয়টি প্রমাণ করতেন। যেমন,

وكتب النجاشى إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بسم الله الرحمٰن الرحيم إلى محمد رسول الله صلى الله من النجاشى الأصحم بن أبجر্তু سلام عليك يانبى الله من الله ورحمة الله وبركاته : لاإلٰه إلاَّ هو الذيى هدانى إلى الإسلام ্তু فقد بلغنى كتابك يارسول الله ! فيما ذكرت من أمر عيسى ্তু فورب السماء والأرض أن عيسى ما يزيد على ما ذكرت وقد عرفنا ما بعثتَ به إلينا وقد قرينا ابن عمك وأصحابه فأشهد أنك رسول الله صادقا مصدقا ্তু وقد بايعتك وبايعت ابن عمك واسلمت على يديه لله رب العالمين (دلائل النبوة للبيهقى ج২ ص ২৮৮ رقم الحديث ৬০৩)

অর্থ : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হযরত নাজ্জাশী (রা.) পত্র লিখলেন, 'বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহিম' এ পত্রটি নাজ্জাশী আসহাম বিন আবহার এর পক্ষ থেকে মোহাম্মদ রাসূলুল্লাহ এর নিকট। হে নবী! আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে আপনার প্রতি রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। 'লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া' আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহা ও মাবুদ নেই। আল্লাহ পাকই আমাকে ইসলামের দিকে হেদায়েত দান করেছেন। হে আল্লাহর রাসূল! আপনার পক্ষ থেকে আমার নিকট পত্রটি পৌঁছেছে। তাতে আপনি হযরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন, আসমান ও জমিনের রবের কসম করে বলছি, তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতেন না। আপনার প্রেরিত পত্রের মর্ম বুঝতে আমি সক্ষম হয়েছি। আপনার চাচাতো ভাই ও তার সাথীদেরকে যথা সম্ভব আপ্যায়ন করেছি। সুতরাং আমি এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহ পাকের সত্য রাসূল, আপনার চাচাতো ভাইয়ের হাতের মাধ্যমে আপনার কাছে মুরিদ হয়ে রাব্বুল আলামিনের সন্ত্মুষ্টি পাওয়ার জন্য ঈমান গ্রহণ করেছি।

(দালায়েলুন-নবুওয়্যাহ ২খ. ২৮৮ পৃ. হাদীস নং ৬০৩). রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আল্লাহ পাক বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলী-মুর্শিদের সাথে শত্রুতা রাখে আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আর ফরজ ইবাদত দ্বারা বান্দা আমার প্রিয় হয়ে থাকে। তবে যারা ফরজ ইবাদতের সাথে সাথে নফলেরও অভ্যস্ত্ম হয় তারা আমার বেশি নৈকট্য হাসিল করেতে থাকে, এমনকি তাদেরকে আমি ভালবাসি। যাকে ভালবাসি আমি তার কান হয়ে যাই যা দ্বারা সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দ্বারা সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দ্বারা সে ধরে, তার পা হয়ে যাই যা দ্বারা সে চলে, সে কিছু চাইলে তা দান করি, ভয়ভীতি থেকে আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দান করি।

(বোখারি শরিফ ২ খ. ৯৬৩ পৃ.)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাইলের একের পর এক নবী আসতেন, কিন্ত্মু আমার পর আর কোন নবী আসবেন না। তবে প্রতি যুগে আমার অনেক প্রতিনিধি ও খলিফা আগমন করবেন। এ কথা শুনে সাহাবা কেরাম (রা.) বললেন, তখন আমরা কি করব? উত্তরে তিনি বললেন, আমার খলিফাগণের কাছে মুরিদ হতে থাকবে ও তাদের কাছে মুরিদ হওয়ার হকও আদায় করতে থাকবে এবং তাদের প্রাপ্য হকও দিতে থাকবে। কেননা তাদের অধীনস্তদের সম্পর্কে কেয়ামতের দিন তাদেরকেই জবাবদিহী করতে হবে।

(মুসলিম শরিফ ইমারাত অধ্যায় ২খ. ৬২১পৃ.)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পরে পড়বো।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪০

হানিফঢাকা বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন “হে মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও”। (৪৯:৬)

আপনি অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। আপনি বলেছেন “পীর-মুরিদী, বায়াত-খেলাফত কোরআন হাদিস দিয়েই প্রমাণিত।“ আমার কথা হচ্ছে, এই পীর-মুরিদ, বায়াত নিয়ে কোরআন কি বলে? আপনি সত্য বলেছেন নাকি আল্লাহর নামে মিথ্যা কথা বলেছেন সেইটা আমরা দেখব। যেহেতু আপনি কোরআনের রেফারেন্স দিয়েছেন, সেহেতু আমরা আপনার রেফারেন্স গুলি একটু চেক করে দেখব যে আপনি এই সব রেফারেন্স দিয়ে যা বুঝাতে চাইছেন, আসলে এই রেফারেন্স আপনার কথা গুলিকে সত্যায়িত করে কি না।

১. কিয়ামাতে ইমামের সাথে হাশর হবেঃ
ক। আপনি বলেছেন “বাইআত গ্রহণ করা জরুরী,কিয়ামাতে ইমামের সাথে হাশর হবে:” আপনি এই বিষয়ে কোরআন থেকে রেফারেন্স দিয়েছেন। দেখি আপনার রেফারেন্স কি বলেঃ

“কেয়ামতের দিন সে তার জাতির লোকদের আগে আগে থাকবে এবং তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে পৌঁছে দিবে। আর সেটা অতীব নিকৃষ্ট স্থান, সেখানে তারা পৌঁছেছে।“ ( সূরা হুদ (১১):৯৮)

এই আয়াতটি ফেরাঊন সম্পর্কে বলা হয়েছে। যদি আপনার কথা সত্য হয় যে, এই আয়াতটি দ্বারা ইমামের সাথে হাশর হবে বুঝানো হয়েছে, তবে আপনার কথা অনুযায়ী সে আপনাকে জাহান্নামের আগুনে পৌছে দেবে। এখানে আমার কি বলার আছে?

খ। “স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক দলকে তাদের নেতাসহ আহবান করব, অতঃপর যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম হবে না”। (১৭:৭১)

এই আয়াতের অর্থ দ্বারা আপনি বুঝাতে চেয়েছেন যে “ইমামের সাথে হাশর হবে”-। এখানে আরবী শব্দ بِإِمَامِهِمْ এবং এর মূল শব্দ (root word) হচ্ছে আলিফ, মীম, মীম। এইবার একটু কষ্ট করে অভিধান খুলে দেখেন এর অর্থ কি। কোরআনের পরিপ্রেক্ষিতে এর অর্থ “দলীল সহ”। সুতরাং সঠিক অনুবাদ হবেঃ

“স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক দলকে তাদের দলীল সহ আহবান করব, অতঃপর যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম হবে না”। (১৭:৭১)”


In English “[Mention, O Muhammad], the Day We will call forth every people with their record [of deeds]. Then whoever is given his record in his right hand - those will read their records, and injustice will not be done to them, [even] as much as a thread [inside the date seed].


এই ইচ্ছাকৃত ভুল আনুবাদ করে নিজের মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করা অনেক পুরানো চাল। যুগে যুগে মানুষকে এইভাবেই বোকা বানানো হয়েছে। আপনি অথবা আপনার পীর এর সঠিক অনুবাদ জানেন না, তাহলে এর অর্থ দাড়ায় আপনার পীর আরবী কোরআনের অর্থ নিজে পড়ে বুঝতে পারেন না। উনি ইচ্ছাকৃত ভুল আনুবাদ অনুসরণ করে এসেছেন। অথবা, উনি আরবী অর্থ জানেন, কিন্তু নিজের স্বার্থের জন্য সঠিক অর্থটি আপনাকে বলেননি।

২। ওয়াসিলা তথা মাধ্যমঃ
আপনি বলেছেনঃ ওয়ালীআল্লাহ বা আল্লাহর প্রিয়জনের ওয়াসিলা তথা মাধ্যম কার্যকর ও প্রয়োজনীয় : আপনি এই ব্যাপারে কোরআনের রেফারেন্স দিয়েছেনঃ

কঃ আপনি কোরআনের ১৭:৫৭ রেফারেন্স দিয়েছেন। আমারা ১৭:৫৬-৫৭ আয়াত দেখব আল্লাহ কি বলেছেনঃ

“বলুনঃ আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে তোমরা উপাস্য মনে কর, তাদেরকে আহবান কর। অথচ ওরা তো তোমাদের কষ্ট দুর করার ক্ষমতা রাখে না এবং তা পরিবর্তনও করতে পারে না। যাদেরকে তারা আহবান করে, তারা নিজেরাই তো তাদের পালনকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য মধ্যস্থ তালাশ করে যে, তাদের মধ্যে কে নৈকট্যশীল। তারা তাঁর রহমতের আশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার শাস্তি ভয়াবহ”। (১৭:৫৬-৫৭)

এখানে মুশরিকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে। এত পরিষ্কার ভাষা, তারপরেও কিভাবে বলেন এই আয়াত দ্বারা ওয়াসিলা তথা মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। আপনি কি বুঝতে পারছেন না আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন, এইখানে তার ঠিক বিপরীত কথা বালা হয়েছে?

খঃ [/sb]“যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব এসে পৌঁছাল, যা সে বিষয়ের সত্যায়ন করে, যা তাদের কাছে রয়েছে এবং তারা পূর্বে করত। অবশেষে যখন তাদের কাছে পৌঁছল যাকে তারা চিনে রেখেছিল, তখন তারা তা অস্বীকার করে বসল। অতএব, অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত।(২:৮৯)

এখানে নবুওয়াত সম্পর্কে বলা হয়েছে। আপনার প্রস্ংগের সাথে সম্পূর্ণ অ-প্রাসঙ্গিক।

এই সাথে ২:১৪৪, ৩৭,৬১ সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আপনার টপিকসের সাথে কোন মিল নেই। ইচ্ছামত ১০-১২ টা অপ্রাসঙ্গিককোরআনের রেফারেন্স দিয়ে কি বোঝাতে চাইছেন? আপনি যা বলেছেন, এইসব কোরআনে আছে? অথবা মনে করেছেন কেউ চেক করবেনা?

ওয়াসিলা তথা মাধ্যম সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনে যা বলেছেন তার রেফারেন্স দিলাম, নিজ দায়িত্বে দেখে নিবেন। ২:৪৮,১২৩,২৫৪, ১৯:৮৭, ২০:১০৯, ২১:২৮, ৩৪:২৩, ৩৬:২৩, ৩৯:৪৪, ৪৩:৮৬, ৫৩:২৬, ৭৪:৪৮)

৩. ইমামগণের অনুসরণ বা তাক্বলীদ জরুরী:
দয়া করে কোরআনের সঠিক রেফারেন্স দেন। আপনি যে সব রেফারেন্স কোরআন থেকে দিয়েছেন সেগুলি আপনার বিষয়ের সাথে আপ্রাসঙ্গিক। আপনি যদি কোরআনের ৪:৫৯ রেফারেন্স দিতেন তাহলেও মনে করতাম- ভুল বা সঠিক হোক, আপনি কিছু একটা বলার চেষ্টা করেছেন।
আপনি যদি পারেন আমাকে দেখান কোরআনের কোথায় ইমামগণের অনুসরণ বা তাক্বলীদ জরুরী এই কথা বলা আছে। আমি দেখতে চাই। যদি দেখাতে না পারেন, তবে ধরে নিব আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে কোরআন সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন।
৪। অন্যান্যঃ
বায়াতের সম্পর্কে আপনার ধারনা ভুল। বায়াত বুঝানোর আগে নিজে আগে খিলাফত সম্পর্কে একটু ভাল্ভাবে জেনে নিন। খিলাফত কি? উহা খায় না মাথায় দেয়। পাব্লিক খিলাফত খিলাফত বইলা চিল্লাইয়া গলা ফাটাইয়া ফালাইতেছে, কিন্তু যদি ভাল্ভাবে জিজ্ঞেস করি উহা কি জিনিস, তখন আর কিছু বলতে পারে না। দরকার হইলে আপ্নে খিলাফত নিয়া এই ব্লগে একটা পোস্ট দেন।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: হয়তো আপনার আয়াতগুলু বুজতে মনেহয় ভুল হইছে। আমারো হতেপারে। তবে আল্লাহর কাছে চাইতে উছিলা লাগেনা। বান্দার জন্য তার সলাত ই যথেষ্ট তার আল্লাহর সাথে যোগাযোগের জন্য। এখানে পীর(আরবীতে শায়েখ/মোর্শেদ।বাংলায় ওস্তাদ,মুরুব্বি,পথ প্রদর্শক) শুধুমাত্র কোরয়ান ও সুন্নাহর আলোকে নিজে চলবে এবং মানুষকে সে অনুয়ায়ী পথ দেখাবে। আর বাই্য়াত দু ধরণের। ১। জিহাদ, ২। গুনাহের থেকে। তা প্রমানিত। আর "প্রত্যেক তে তার ঈমামের/নেতার সাথে ডাকা হবে" নেতা যেদিকে তার অনুসারী সে দিকে। আল্লাহ বুজার তাওফিক দিন.আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.