নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I don\'t have time yet to reveal myself, time will be right, who am I?!

জ্ঞান ছাড়া মহাজ্ঞানী শ্যামল

পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নই, সময় হলে আকাশে চাঁদ সবাই দেখবে।

জ্ঞান ছাড়া মহাজ্ঞানী শ্যামল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্নীতির মহাসাগর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

৩ ডিসেম্বর ২০১৭ সন্ধ্যা ৭টায়, আমার কাজিনকে পেট ব্যথা জনিত কারনে ভরতি করাই। দুইদিন বারান্দায় থাকার পর এক আনসারের মাধ্যমে ১২ শত টাকা দিয়ে সিট পাই। পরেরদিন ডাঃ দেখালে ব্লাডের ৪ টি পরীক্ষা এবং ইউরিনের ২ টি পরীক্ষা সহ মোট আটটি টেস্ট পরীক্ষা করার জন্য "পপুলার ডায়াগনস্টিক" ধানমুন্ডির এক ব্যক্তির ফোন নং দেয়। তার সাথে যোগাযোগ অঅরলে ৫ মিনিটের মধ্যে চলে আসে এবং আমি দেখতে পাই প্রত্যেক ওয়াডে রোগীদের একটা ডেস্ক তাদের মিনি অফিসের ডকুমেন্ট রেখে দিয়েছে। আমি রাসেল নামে সেই ভদ্র লোকের সাথে কথা বলে টেস্ট খরচ জেনে নিলাম,সেই সাথে আমি হসপিটালে টেস্ট ইউনিটে গিয়ে খুজ নিলাম, তাদের ঐখানে খরচ জেনে নিলাম। দুইজনের দুই তথ্য অনুযায়ী ৫ হাজার ৭০০ টাকা পার্থক্য। যা সরকারী খরচের চেয়ে বেশি বেসরকারিতে। আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে টেস্ট করতে চাইলে কৃতপক্ষ না ডা: এর পরামর্শ ছাড়া পরীক্ষা করেননা বলে জানান
এছাড়া তাদের মেশিনে সমস্যা আছে বলেও জানান। ঐদিন সব পরীক্ষা করতে দিলাম পরেরদিন রিপোর্ট নিয়ে ডাইলাসিস মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার খানকে দেখালে তিনি সেই একই পরীক্ষা তার রেফারেন্সে সাইন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার জন্য তার ব্যক্তিগত সহকারী আল হাবীবের সাথে যোগাযোগ করতে বলে যা প্রায় আগের টেস্টের সমপরিমান টাকা খরচ হয়। এখানেই শেষ নয়,রোগীর জ্বর মাপার জন্য তাদের নিকট একটা থার্মোমিটার পর্যন্ত পাওয়া যায়না, বাহির থেকে ক্রয় করতে হয়। সেবিকারা রোগীদের শরীরে যখন ইঞ্জেকশন পোস্ট করে তখন মনে হয়ে তারা কোন গরুকে ইঞ্জেকশন দিচ্ছে। রোগীর খাবার নিতে গেলে সেখানে বলে প্রতি বেকা ২০ টাকা দিলে একজনের খাবার বেশি দিবে, বাহির থেকে কিনতে হবেনা। আমার কাজিনের কিডনি সমস্যার জন্য ডায়ালাইসিস করতে দেয়, তার জন্য ভোর ৫ টা থেকে সিরিয়াল ধরে ৮ টার দিকে ডায়ালাইসিস করার সিরিয়াল নং পাওয়া যায় বিকাল ৫ টার পরে অথচ রোগীর ৩৫ জনের বেশি নয়। মেশিন সংখ্যা ৩২ টি আমি নিজে হিসাব করেছি। তারপরেও ৩৫ জনের মধ্যে ৫/৬ জন সিরিয়াল পেয়েও মেশিন পায়না। ডা: এর পরামর্শ অনুযায়ী দিনে চার ঘন্টার বেশি ডায়ালাইসিস করানো যায়না। কোন কোন রুগীকে ২ ঘন্টার ডায়ালাইসিস করার নির্দেশ দেওয়া হয় কিন্তু সেবিকারা ডা: দেওয়া নির্দেশ অমান্য করে উল্লেখিত সময়ের চেয়ে অর্ধেক সময় ডায়ালাইসিস করে। আমি একদিন এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমার সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত আচারন করে সেই সাথে আমার রোগীকে চার ঘন্টার বদলে দুই ঘন্টা দিয়েছিল পরে আমি কথা বলায় আরোও এক কমিয়ে চারের জায়গায় ১ ঘন্টায় নিয়ে এসেছিল। আমি অবাক হয়ে দেখেছি আর নিজের মাথার চুল ছিঁড়েছি সেইদিন। একদিনের চিকিৎসা খরচের জায়গায় দুইদিন লাগে, যার কারনে খরচ অনেক বেড়ে যায়। তারা সারাদিন প্রাইভেট চিকিৎসা করে,বিকাল ৫টা থেকে সরকারী চিকিৎসা করে যা আইন, নীতি এবং নৈতিকতার পরিপন্থী। হসপিটালে স্টিকারে লিখা আছে কোন দালালের সন্ধান পেলে প্রশাসনকে কল করুন লিখার সাথে ফোন নং দিয়েছে অথচ প্রকাশ্যে দালালরা দাপটে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ডাঃ গন এমন কসাই হয়েছে যে তারা রোগী সুস্থ না হতেই ছূটি দিয়ে দেয়, যত দ্রুত নতুন রোগী ভরতি করতে পারবে ততো বেশি আয় হবে। রোগী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করার জন্য ট্রলি,হুইল চিয়ার দিয়ে সরকারী আয়া থাকলেও প্রেত্যকবার আয়াকে টাকা দিতে হয় ২০০। এই যদি হয় সরকারী প্রতিসঠানের অবস্থা তবে গরীব আর মধ্যবিত্তরা যাবে কোথায়? তারা চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে, এটাই সত্য। এমন অবস্থা থেকে কবে কিভাবে মুক্তি পাবো???

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.