![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নই, সময় হলে আকাশে চাঁদ সবাই দেখবে।
মুসলিম ব্রাদারহুড ( ইখওয়ানুল মুসলিমুন) এর জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত তার দলীয় স্ট্রেটেজির ইতিহাস। চরম স্বৈরশাসনের সময় ইখওয়ান কিভাবে তার স্ট্রেটেজিে আপডেট বা রিভিউ করেছে, কার্যকর করেছে, একটি রাজনৈতিক দল হবার পরও ইখওয়ান কিভাবে একটি সমাজের ভেতর থেকে সামাজিক শক্তি হিসেবে গড়ে উঠেছে........... লেখাটি পড়লে জানতে পারবেন। ৬০ এর দশক থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মিসরের রাজনীতির যে চিত্র আজকের বাংলাদেশ সেই মিসরের ৬০ এর দশকের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বললে মোটেই বাড়িয়ে বলা হবে না।।।
১৯২৮ থেকে আজ পর্যন্ত ইখওয়ান বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে এসেছে। এই সব পর্যায়ে আমরা তাকে বিভিন্ন রূপে দেখতে পাই।
প্রথম পর্যায়ঃ ১৯২৮-১৯৩৪, এই পর্যায়কে আমরা প্রতিষ্ঠার পর্যায় হিসেবে অভিহিত করি। এই সময় আমরা আন্দোলনকে তার প্রতিষ্ঠাতার একক প্রচেষ্টার দল হিসেবে দেখতে পাই। বিশ শতকে তিনি দাওয়াত দানের এক অভিনবত্ব নিয়ে এসেছিলেন। নামকরা কফি হাউসে, রাস্তা ঘাটে মাঠে ময়দানে, মিশরের প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে শহরে নগরে তিনি চষে বেড়ায়েছেন। তার দাওয়াত দানের ভাষাও ছিলো অভিনব। সামগ্রিক ইসলামের কাছে আবার ফিরে আসার সুস্পষ্ট আহ্বান ছিলো তার প্রতিটা বক্তব্যে।
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ ১৯৩৪-৪২, এটাকে আমরা জন সম্পৃক্তির পর্যায় বলি। এই সময়ে প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আলবান্না কায়রোতে চলে আসেন। সারা পৃথিবীর একটা অস্থির সময় ছিলো এটা। ফিলাস্তীনে আলকাসসাম ব্রিগেড ১৯৩৬ থেকে কাজ শুরু করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে। খিলাফাত উসমানীয়া ভেঙে যাবার দরুন মুসলিম বিশ্ব চরম ভাবে অভিভাবকহীন অবস্থায় তড়পাতে থাকে। এই অবস্থার মধ্যদিয়ে ১৯৩৮ সালে বাদশাহ ফারুক মিশরের রাজত্ব গ্রহন করেন।
তৃতীয় পর্যায়ঃ ১৯৪২-১৯৪৯। রাজনৈতিক প্রভাব ও নির্যাতনের সূচনাঃ ১৯৪২ সাল থেকে ইখওয়ান গোটা মিশর ছেয়ে যায়। ১৯৪২ সালে মিশরে বৃটিশ ঔপনিবেশের আয়ত্বাধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে হাসানুল বান্না প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। কিন্তু বৃটেইনের চাপে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও মিশরের নবোত্থিত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ইখওয়ান স্বীকৃতি পায়। এমনকি ১৯৪৬ সালে সিদক্বী পাশার সরকারে অংশীদারত্বের জন্য ইখওয়ান দর কষাকষির পর্যায়ে পৌঁছে। অপ্রতিরোধ্য ইখওয়ানের এই শক্তির ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে মিশরের রাজনৈতিক সংস্থা সমূহ; ফলে ১৯৪৮ এর ৮ই নভেম্বরে প্রধান মন্ত্রী নাক্বরাশী ইখওয়ানকে বাজেয়াপ্ত করে দেয়, এবং এর ই ৩ মাস পরে ১২ ফেব্রুয়ার সরকারের লোক দিয়েই ইমাম হাসান আলবান্নাকে হত্যা করা হয়। এর ই দশ মাস পরে নাক্বরাশীও নিহত হয়, যার দোষ চাপানো হয় ইখওয়ানের উপর।
চতূর্থ পর্যায়ঃ ১৯৪৯-১৯৫৪, মিশরের পট পরিবর্তন, এবং ইখওয়ানের উপর তার প্রভাবঃ ১৯৫৪ এর পর থেকে ইখওয়ান সেনাবাহিনীর সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদেরই আস্থাভাজন জামাল আব্দুল নাসেরের মাধ্যমে ১৯৫৪ এর ২৩ শে জুলাইয়ে মেজর জেনারেল মুহাম্মাদ নাজীবকে দিয়ে বাদশাহ ফারুকের বিরুদ্ধে এক সফল সেনা ক্যু করতে সক্ষম হয়। তবে বিভিন্ন আন্দোলন ও পালটা আন্দোলনের কারণে মুহাম্মাদ নাজীবকে সরানো হলে জামাল আব্দুল নাসেরের হাতে ক্ষমতা আসে। যেহেতু জামাল আব্দুল নাসের ইখওয়ানের শক্তি সম্পর্কে জানতেন, তাই এদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। এবং মুনশিয়ায় তাকে কথিত হত্যা প্রচেষ্টার সাথে ইখওয়ান জড়িত বলে প্রচার করা হতে থাকে। ফলে ইখওয়ান নিধন কার্যক্রম শুরু হয়।
পঞ্চম পর্যায়ঃ (১৯৫৪-১৯৬৬) প্রথম নির্যাতন। এই পর্যায়টা শুরু হয় ইখওয়ানের ছয়জন কেন্দ্রীয় নেতার ফাঁসির মাধ্যমে। এরা হলেন বিশ্ব বিখ্যাত আইনজ্ঞ আব্দুল কাদির আওদাহ, মুহাম্মাদ ফারগলী, ইউসুফ তালআত, হিনদাওয়ী দুওয়াইর, ইব্রাহীম আলতায়্যিব, এবং মাহমূদ আব্দুল লতীফ। এই সময় মিশরের কারাগার সমূহ, বিশেষ করে সুলায়মান তুররাহ, ও সিজনুল হারবী ইখওয়ান কর্মীদের দিয়ে এক দিকে যেমন ভর্তি করা হয়, অন্য দিকে তেমন ভাবে তাদের উপর চালানোর ইতিহাসের জঘন্যতম অত্যাচার। এরই সাথে যুক্ত হয় ১৯৬৫-১৯৬৬ আরো মারাত্মক অত্যাচারারের অমানিশা। তারই ধারাবাহিকতায় শহীদ করা হয় বিশ্বের খ্যাতিমান ইসলামি স্কলার সাইয়েদ কুতুবকে। এই সময়টা ছিলো জামাল আব্দুল নাসের নামক এক ফিরাউনের আরব জাতীয়তাবাদিতার জোয়ারের সময়। তার জনপ্রিয়তা, খ্যাতি, আরবদের বিশ্ব নেতৃত্বের অযথা স্বপ্ন ও আফ্র-আরব জোটের বিশ্বজয়ের ঔদ্ধত্যের কাছে জীবন ও রক্ত, সমাজ ও সংসার, ক্যারিয়ার ও সম্পদ কুরবানী করতে হয় ইখওয়ানকে।
৬ষ্ঠ পর্যায়ঃ ১৯৬৬-১৯৭৭, নাসেরীয়দের শীথিলতা ও ইখওয়ানের নতূন ভাবে আত্ম প্রকাশ্ঃ জামাল আব্দুল নাসের ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ সালে ইন্তেকাল করেন। তার অন্তর্ধানে ক্ষমতায় আসেন আনওয়ার আসসাদাত। তিনি এসে ইখওয়ানীদের ব্যাপারে ভিন্ন ধারায় চললেন। তিনি ইখওয়ানীদের কে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সমাজ উন্নয়নের কাজে লেগে যেতে বলেন। জ্ঞানের অনুশীলন, জনকল্যান মূলক কাজে আত্মনিয়োগ, ও দাওয়াতী কাজে ব্যাপৃত হলে তাদের কিছু বলা হবে না বলে সরকারী নীতিমালা ঘোষণা করেন আনওয়ার। এতে করে ইখওয়ান পুরোমাত্রায় নব তর রূপ নিয়ে মিশর তথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মিডীয়া, প্রকাশনা, হাসপাতাল, চ্যারিটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অর্থ প্রকল্প ইত্যাদি হেন কাজ নেই যেখানে ইখওয়ান সামনের কাতারে ছিলোনা।
সপ্তম পর্যায়ঃ ১৯৭৩- ১৯৮১, বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা ও দেশ সেবার পর্যায় ছিলো এটা। ইখওয়ানের এই পর্যায়টা ছিলো একদিকে আনন্দের আরেক দিকে বেদনার। আনন্দের ছিলো কারণ, ইখওয়ানকে এখন থেকে সবাই যায়গা দেয়া শুরু করে। যারা আরব দেশগুলোতে যেতে চেয়েছে তাদের সম্মানের সাথে সেখানে বড় বড় পদে যাবার সুযোগ দিয়েছে সরকার। যারা দেশের ভেতর কাজ করতে চেয়েছে, তারাও পেয়েছে সরকারী ও সাধারণদের আনুকুল্য। এই আনুকুল্য পেতে যেয়ে সরকারের ঘনিষ্ঠও হতে হয়েছে ইখওয়ানকে।
এই কারণে ইখওয়ানকে মারাত্মক বিভক্তির সম্মুখীন হতে হয়। এদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে সালাফি ও আলজামায়াত আল ইসলামিয়্যার যে সব কর্মীরা জেলে মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হয়, তারা ইখওয়ানকে “খাওয়ানাহ” বা খিয়ানতকারী বলে ডাকা শুরু করে। এরা একদিকে যেমন ইখওয়ানিদের বিপরীতে দাঁড়ায়, অপর দিকে সরকারের বিপরীতেও তারা সংঘবদ্ধ হয়।
জামাল আব্দুল নাসেরের কারাগারে বসে সাইয়েদ কুতুবের লেখনীতে “জাহিলিয়্যাত দর্শন” উচ্চকিত হয়। এই জাহিলিয়্যাত দর্শনটা ছিলো বেশ জটিল। এর ছিলো দু’টো দিক। এক হলো দার্শনিক দিক। যাতে তিনি দেখাতে চেয়েছেন আমাদের নবীর (সা) যুগ ও সাহাবীদের যুগকে আমরা পূর্ণ ইসলামী যুগ বলি, তখনকার পরিবার গুলোকে ইসলামি পরিবার বলি, সে সমাজকে ইসলামি সমাজ বলি, তখনকার রাস্ট্রকে পূর্ণ ইসলামি খেলাফত বা রাস্ট্র বলি। কারণ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্রে ইসলাম মেনে চলা হতো। তাহলে এখন কোন ব্যক্তি মুসলিম হয়েও ইসলাম তার ব্যক্তি জীবনে না মেনে চলে, পরিবারে না মানে, মুসলিম সমাজ হয়েও ইসলামের আলোকে সমাজ জীবন মেনে না চলে অন্য ব্যবস্থার আদলে সমাজ চালায়। মুসলিম রাস্ট্রপ্রধান হয়েও যে ইসলাম অনুযায়ি রাস্ট্র না চালায়, সে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্র জাহেলি হিসেবে বিবেচিত হবে। এই দর্শনের প্রায়োগিক দিক হলো, মুসলিম হয়েও যারা জাহেলী হিসেবে জীবন চালায় তাদের বিপরীতে দাঁড়াতে হবে। শক্তিও প্রয়োগ করতে হবে।
যদিও এই প্রায়োগিক দিকটা সাইয়েদ কুতুব স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। অর্থাৎ তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের অস্ত্র হাতে নিতে বলেননি। কিন্তু তার সাহিত্য পাঠকেরা কেও কেও ভূল বুঝে ফেলে। ফলে কিছু পাঠকের মাধ্যমে “জামায়াতুল হিজরাহ ওয়াল তাকফীর” আসলো, “তানযীমুল ফান্নিয়্যাহ আলআস্কারিয়্যাহ” আসলো, সালাফিয়্যাহ জিহাদিয়্যাহ ইত্যাকার মারাত্মক সন্ত্রাসী গ্রুপ মিশরে বিস্তার লাভ শুরু করলো।
এরা এই দর্শন কে কাজে লাগিয়ে ইখওয়ানকে মারাত্মক বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করে। এমনকি ১৯৮১ ৬ই অক্টোবর আলজামাআত আল ইসলামিয়্যার নেতাদের সম্মিলিত প্রয়াসে যখন আনওয়ার আসসাদাতকে হত্যা করা হয়, তখনও তার এই হত্যাকান্ডের দায়ভার ইখওয়ানের উপর চাপানো হয়। তখন আমাদের মনে আছে সংবাদ মাধ্যমে একটা ধুম্রজাল আকারের বক্তব্য শুনতাম, “যে আনওয়ার ইখাওয়ানকে পুনুর্বাসন করলেন, তিনি ই ইখওয়ানেরই গুপ্তহত্যার শিকার হলেন”। অথচ আজ অত্যন্ত পরিস্কার ইখওয়ান কোন ভাবেই সেই হত্যা কান্ডে জড়িত ছিলোনা। কারণ হত্যাকারীরা ও হত্যকান্ডের ষড়যন্ত্রকারীরা অকুণ্ঠভাবেই এখন তা স্বীকার করে, ইখওয়ান নয়, তারাই আনওয়ারের হত্যা করে ছিলেন।
অষ্টম পর্যায়ঃ ১৯৮১-২০০৫, নিরবতার পর্যায়, ও সমাজ বিনির্মানে এগিয়ে যাওয়ার পর্যায়। যদিও সরকারের সাথে ইখওয়ানের বাসর ঘর ভেঙে পড়ে আনওয়ার আসসাদাতের নিহত হয়ে যাওয়ার পরে। তথাপিও ইখওয়ান তার মর্যাদা নিয়ে আবার দাঁড়াতে পারে তিনটি মৌলিক কাজের মাধ্যমে।
১- হুসনি মুবারাক ক্ষমতায় এলে আমেরিকার ‘ইসরাঈল রক্ষা নীতি’ ব্যাপক রূপ লাভ করে। মিশরের ক্ষণভংগুর রাজনৈতিক অবস্থার কারণে, ও সেনাবাহিনীর অসন্তোষের ভয়ে মুবারাক আমেরিকা অক্ষের বাইরে যেতে পারছিলেননা। ‘জোট নিরপেক্ষদের’ একজন হয়েও মিশরের এই পদক্ষেপকে ইসলাম পন্থীরা ইসরাঈল বিরোধিতায় জনগণের খুব কাছে চলে আসতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন পেশার ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনে ইখওয়ান এক চেটিয়া বিজয় লাভ সবাইকে এই পর্যায়ে তাক লাগিয়ে দেয়। বিগত কয়েক বছরে জনকল্যানমূলক কাজের ফসল ইখওয়ান এই পর্যায় থেকে কাটতে শুরু করে।
২। রাশিয়ার পশ্চাদপদতা, ও আমেরিকা ও যায়োনিস্টদের উত্থানের বিপরীতে ইসলাম পন্থীদের ঐকমত্য ও এক ধরণের কথা তাদের অনেক কাছাকাছি এনে দেয়। ফলে ইসলামের মোর্চা সমূহ অন্যন্য সকল শক্তিকে ছড়িয়ে উপরে উঠে যায়।
৩। বিভিন্ন জনকল্যানমূলক কাজে ইখওয়ান ব্যাপক অংশগ্রহন করায় বিপুল কর্ম সংস্থান ও বিপুল কর্মীবাহিনী তৈরী করে। এরা ই হুসনি মুবারকের শেষের দিককার অব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগিয়ে গণবিপ্লব ঘটানোর মত পর্যায়ে চলে যায়।
নবম পর্যায়ঃ ২০০৫-২০১১, রাজনৈতিক পুনুরুত্থান ও গণবিপ্লবের পুরোধা। এই পর্যায়ে ইখওয়ান দেশে বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরই প্রমান আমরা ২০০৫ এর পার্লামেন্ট নির্বাচনে দেখতে পাই। এতে ইখওয়ান প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৮৮ টি আসন পায়। এর পরের ধাপে তাকে না পরাজিত করলে ঐ বছরেই ইখওয়ান ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হতো। যাহোক, ব্যাপক কারচুপি ও ভোট জালিয়াতি তথা ফলাফল ডাকাতি করা সত্বেও ইখওয়ানের এই ৮৮ আসন বিজয় ছিলো মিশরের ইতিহাসে একটা মাইল ফলক। সবার নযর পড়ে যায় তাদের উপর, এবং বুঝায় যায় ইখওয়ান এই নতুন রাজনৈতিক কৌশলে কথা বড় সফলতা লাভ করতে পেরেছে। যেহেতু ইতিমধ্যে ইখওয়ানের আন্তর্জাতিক উইং খুবই শক্তিশালী হয়, কাজেই আলজেরিয়া, মরক্কো, ইয়ামেন, জর্ডান, কুয়েত, কাতার এবং তিউনিসিয়ায় দ্রুত শক্তি অর্জন করে ফেলে। ফলে ২০১১ এই আরব বসন্তের একচেটিয়া বেনিফেশিয়ারী তারাই হয়েছে দেখতে পেয়েও সেক্যুলার অক্ষ কিছুই করতে পারতেছিলোনা।
দশম পর্যায়ঃ ২০১১-২০১২ ক্ষমতার শীর্ষ দখল ও মারাত্মক পতন। এই পর্যায়ে আমরা আরব বসন্তকে দেখতে পাই। যে গণবিপ্লব মূলত সর্বসাধারণের ছিলো, তা ইখওয়ান অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নিজদের বিজয়ের পক্ষের নিয়ামক হিসেবে গ্রহন করে। পরে তারা ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছতে সক্ষম হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনে তারা বিজয় পায়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডঃ মুরসী ক্ষমতা আরোহন করে। পরে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরা্নো হয়। এখন আবার তাদেরকে ইতিহাসের নিষ্টুরতম নির্যাতনে শেষ করার চেষ্টা চলছে। অবশ্য বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে ইখওয়ান সমর্থকরা দেশ চালাচ্ছে।
লিখেছেন, Dr. M. Abdus Salam Azadi
©somewhere in net ltd.