![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নই, সময় হলে আকাশে চাঁদ সবাই দেখবে।
দিবস পালনের মধ্যে কোন ফায়দা নাই। আবার সেই দিবস যদি হয় বিধর্মীদের সেটা পালন ইসলামের শরিয়া সমর্থন করেনা। উল্লেখ্য যে, গ্রীসের অধীবাসীরা মা’কে বৃদ্ধা আশ্রমে বা অন্য কোথায় রেখে ছেলেমেয়েরা যার যার কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে জীবন যাপন করত। সপ্তাহে একদিন মা’কে দেখতে যেতে সেই দিনটি রবিবার। কথিত আছে যে, একটি গোষ্ঠীর মতে মা দিবসের সূত্রপাত প্রাচীন গ্রীসের মাতৃ আরাধনার প্রথা থেকে যেখানে গ্রিক দেবতাদের মধ্যে এক বিশিষ্ট দেবী সিবেল-এর উদ্দেশ্যে পালন করা হত একটি উৎসব। এশিয়া মাইনরে মহাবিষ্ণুব -এর সময়ে এবং তারপর রোমে আইডিস অফ মার্চ (১৫ই মার্চ) থেকে ১৮ই মার্চের মধ্যে এই উৎসবটি পালিত হত।
প্রাচীন রোমানদের ম্যাত্রোনালিয়া নামে দেবী জুনোর প্রতি উৎসর্গিত আরো একটি ছুটির দিন ছিল, যদিও সেদিন মায়েদের উপহার দেওয়া হত। মাদারিং সানডের মতো ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে দীর্ঘকাল
জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত "মাদার্স ডে প্রক্লামেশন" বা "মা দিবসের ঘোষণাপত্র" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের গোড়ার দিকের প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে অন্যতম।
১৯০৫ সালে যুক্টরাষ্টের আনা জারভিস মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃ-দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।
এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
আমরাতো মা’কে অনেক ভালবাসি, অনেকেই মায়ের কাছে থাকি, আর যারা মা’র দৃষ্টির বাহিরে থাকি তারা প্রতিনিয়ত মায়ের সাথে ফোনে কথা বলি, কোন যে কোন বিষয় মা’র সাথে শেয়ার করি। যখন একটু অবসর পাই তখন মা’কে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছুটে যাই মায়ের কাছে। আমাদের দেশে এখনো পারিবারিক বন্ধন সুন্দরভাবে টিকে আছে। এই দিবস তাদের জন্য যারা মা’কে কোন আশ্রয় স্থলে রেখে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর দিব্যি সময় কাটিয়ে দেয়, সারা বছর মা’কে মনে করেনা বা মা’র কথা মনে হয়না তারা এই একদিন মা দিবস পালন করে মানুষকে জানান দিতে চায় যে, আমিও মা’কে ভালবাসি। দরকার নেই এমন একদিনের চুলকানি ভালবাসার। আমরা অনেক ভাল আছি। আর হ্যাঁ কষ্ট পেয়েছেন যারা আমার লিখা পড়ে তাদের জন্য আমার কিছু বলার নেই।
আসুন আমরা এমন দিবসকে না বলি, বর্জন করি, এটা পশ্চিমা সংস্কৃতি। আমাদের সংস্কৃতি এতো নোংরা না।
©somewhere in net ltd.