![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নই, সময় হলে আকাশে চাঁদ সবাই দেখবে।
আমরা 'আলিম না। তথাকথিত জেনারেল লাইনের পড়াশোনা করা মানুষ।
খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুল-কলেজে পড়েছি। মাদ্রাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
আমরা ছোট থেকে এমন কাউকে দেখিনি যাকে দেখে ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও মানতে আগ্রহ পেয়েছি।
অধিকাংশ মাসজিদের হুজুর, ইমাম আর মুয়াযযিনদের দেখে শ্রদ্ধা জাগেনি। অনেক কিছু খারাপ দেখেছি। কিছু অবর্ণনীয়। আল্লাহ তাদের পাপগুলো মাফ করুন।
আমরা যখন ব্লগে, ফেবুতে লেখালেখি শুরু করলাম সেটা বিখ্যাত হওয়ার বাসনায় নয়।
আমার লেখালেখির সূত্রপাত ছিল আমার মায়ের অনুরোধে। যাদের কাছে ইসলাম শিখেছি তাদের অনুরোধে।
আমরা ইসলাম নিয়ে লিখি কারণ আমরা চেয়েছি যে ব্যাপারগুলো আমাদের ইসলামের দিকে ডেকে এনেছে সেটা অন্যরা জানুক।
এটা শুধুমাত্র বাপদাদা থেকে পাওয়া একটা নাম না - এটা মানুষ বুঝুক।
যারা 'আলিম তারা সুন্দর করে ইসলাম নিয়ে বললে, লিখলে আমাদের মতো অযোগ্যদের এ কাজটা করা লাগত না।
কিন্তু আমরা তা পাই না।
আমরা ভালো মানের লেখা পাই না। এমন লেখা যা শেখাবে, ভাবাবে। বরং পাই এমন লেখা যে একটা পৃষ্ঠাও পড়ে শেষ করতে ইচ্ছে করে না।
কিন্তু আমরা যখন লিখি তখন তিরষ্কার পাই। প্রশ্ন শুনি, 'এরা কে?'
খোঁচা খাই - 'ইসলামিক হুমায়ুন আহমেদ হইসে।'
অথচ কুরআনের একটা বড় মুযিজা সাহিত্য মান। ভাষার গভীরতা। আবেগ আর যুক্তির মিশেল।
যে খিদমত আপনাদের করার কথা ছিল সেটা আপনারা করছেন না। যারা করছেন তাদের হেয় প্রতিপন্ন করছেন। এতে আপনারা নিজেরাই নিজেদের ছোট করছেন। অন্যকে ছোট করে কেউ বড় হতে পারেনি।
এক ডাক্তার জাকির নায়েককে নীচে নামাতে গিয়ে যে কত হুজুর কত নীচে নেমেছে একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাই জানেন।
আমরা বাস্তব জীবনের আপনাদের কাজে খুশি না। আমরা বাচ্চাকে আল্লাহর ঘরে নিয়ে আপনাদের তিরষ্কার শুনি।
স্ত্রী রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে, নামায কাজা হয় তাও আল্লাহর ঘর আল্লাহর বান্দীদের জন্য খোলা হবে না - এই বয়ান আমরা পাই।
তথাকথিত আলিমরা কুরআন অর্থসহ পড়তে নিরুৎসাহিত করতে।
আল্লাহ বলেন তাদাব্বুর করতে, আর তারা ধমকে বললে, কক্ষনো না।
আমরা এদের ওপর শ্রদ্ধা হারাই।
ইসলাম প্রচারের একক কর্তৃত্ব কারোর নয়। আল্লাহর দ্বীন কারো মুখাপেক্ষি না। ইমাম মানে নেতা। যে ইমাম নামের চাকর হবে তাকে মানুষ মানবে না, হুকুম করবে এটাই স্বাভাবিক।
৫০০ টাকা দিলে মৃত ঘুষখোরের জন্য দু'আ করা যায়।
ঘুষখোরের ছেলে-ভাই খুশি থাকে। কিন্তু যে সত্যি আল্লাহর দাসত্ব করে সে জানে দু'আ বিক্রির জিনিস নয়। সে বুঝে যায় এই হুজুর টাকার গোলাম, আল্লাহর না।
সে দেখে হুজুররা শাসকের রক্তমাখা হাতে আঁতাত করে প্রতিদিন।
আর ধমক দেয় তাকে যে পরকালের মুক্তির জন্য কুরআন-হাদিস পড়ছে, শিখছে, জানার চেষ্টা করছে, জানানোর চেষ্টা করছে।
এইবার সে মাপতে থাকে। সব হুজুরকে সে খারাপ ধরে নেয়।
সে জানাজার দু'আ মুখস্থ করে। বাবা-মায়ের জানাজা পড়াবে বলে। টাকার বিনিময় ছাড়া। হাদিয়া ছাড়া। উমরি কাযার ক্ষতিপূরণ ছাড়া।
সে সিদ্ধান্ত নেয় তার হুজুরের দরকার নেই।
এমন মানুষ অনেক। দিনে দিনে এরা বাড়ছে।
শুধুমাত্র পোশাকের কারণে যে সম্মানটুকু আগে হুজুররা পেত সেটা এখন অনেক কম।
বিশ্বাস করেন না?
৫ই মের কথা মনে নেই? এখনো বুঝবেন না?
আর কত ছোট হবেন?
আর কত ছোটলোক হবেন?
ভাইয়েরা, আমি বিশ্বাস করি সবাই একরকম নয়। কিন্তু আপনি যে আলাদা এটা আপনাকে প্রমাণ করতে হবে। জ্ঞান দিয়ে, বিনয় দিয়ে মানুষের মন জয় করুন।
কারো কোনো ভুল দেখলে সেটা তাকে সুন্দর করে গোপনে জানান। তার সম্মান বজায় রাখুন।
সংশোধন হলে ভালো, আলহামদুলিল্লাহ। না হলে তার দায়ভার তার।
আপনি যত কাদা ছুড়বেন তার কয়েকগুণ কাদা আপনাদের গায়ে এসে লাগবে।
যারা ইসলাম ভালোবাসে তাদের কাছে নিন। পাশে নিন। শক্তি বাড়বে। সম্মান পাবেন।
আর মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দূরে ঠেললে আপনার লস। দুনিয়াতেও লস, আখিরাতেও লস।
আল্লাহ যেন আমাদের এমন কিছু আলিম মিলিয়ে দেন যারা আল্লাহকে ভয় করে। যাদের আখলাক অনুসরণীয়। যারা মুসলিমদের প্রতি সদয়, মানুষের প্রতি সহানূভুতিশীল। যাদের দেখলে ইসলামের প্রকৃত রূপটা বোঝা যায়।
আল্লাহ যেন এমন মানুষদের আমাদের ইমাম করে পাঠান।
©somewhere in net ltd.