আহ! আমাদের যদি এখন একজন বাদশাহ ফয়সাল থাকত!- তাঁর কিছু ঈমানদীপ্ত উক্তি...

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

বর্তমান মুসলিম বিশ্বে শহীদ বাদশাহ্ ফয়সালের মত এমন কোন শাসক ব্যক্তিত্ব নেই, যিনি পশ্চিমাদের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন এবং নিজের অধিকারকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর ও দৃঢ়চিত্ত হবেন। যা আছে সব দালাল, তাঁবেদার, গোলাম, কাপুরুষ, ভণ্ড ও প্রতারক। নিচে বাদশাহ্ ফয়সালের কিছু ঈমানদীপ্ত উক্তি তুলে ধরা হল-

পশ্চিমাদের সাথে পেট্রোলের চুক্তি ছিন্ন করার সময় তিনি বলেছিলেন : "আমরা ও আমাদের পূর্বসূরীগণ খেজুর আর দুধের উপরই জীবন কাটিয়েছে, আর আমরাও সেদিকে ফিরে যাচ্ছি।"

১৯৭৩ সনে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার (Henry Kissinger) বাদশাহকে তার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে অনুরোধ করতে গিয়ে বলেন-
"জ্বালানী ফুরিয়ে যাওয়াতে আমার বিমানটি এয়ারপোর্টে বন্ধ হয়ে আছে, অনুগ্রহ করে যদি জ্বালানী সরবরাহের অনুমতি দিতেন, আমি তার ন্যায্য মূল্য পরিশোধ করে দিতাম।"

বাদশাহ্ উত্তরে তাকে লক্ষ্য করে বললেন-
"আমি শেষ বয়সে পৌঁছে গিয়েছি। আমার একটি প্রত্যাশা হল মৃত্যুর পূর্বে মসজিদে আকসাতে দু'রাকাত নামায পড়ার, তুমি কি এ প্রত্যাশা পূরণে আমাকে সহযোগিতা করবে?"

জাজিরাতুল আরবের খনিজ সম্পদের ব্যাপারে আরবদের উদ্দেশ্য করে তিনি একদা বলেছিলেন- "হে আরবগণ! তোমরা মনে করোনা, মাটির তলায় লুকিয়ে থাকা এ সম্পদ কেবল তোমাদের, এ সম্পদের ওপর পুরো মুসলিম বিশ্বেরও হক রয়েছে, সুতরাং তোমরা সম্পদের সদ্ব্যবহার করবে এবং মুসলিম বিশ্বের হিস্যা বুঝিয়ে দেবে।"

কিন্তু আফসোস! আজ পশ্চিমারা আরবদের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে, আর বাকী সম্পদ দিয়ে আরব শাসকগণ ও আরবের জনগণ ভোগ-বিলাস ও দেদার ফূর্তিবাজিতে নিমগ্ন রয়ে দিন পার করছে।

মাঝে মাঝে তারা আমাদের জন্য যা পাঠায় তা হল- দুম্বার গোস্ত এবং খোরমা। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে কিছু দান খয়রাত করে, সাইক্লোন শেল্টার করে দেয়, মসজিদ-মাদ্রাসায় কিছু দান-দখিনা দেয়, এই যা! এইটা দিয়ে কাজের কাজ কি হয় আমরা বুঝিনা!

(উক্তি সংগৃহীত)

২ টি +০/-০