![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম মহাকালের মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছি,চারপাশের জগতটাকে দেখছি,ছোট মাথায় মাঝে মাঝে কিছু ভাবি এবং লিখি
সক্রেটিসকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছিল,সে নাকি তৎকালীন গ্রীক সমাজের জন্য হুমকি ছিল!(অথচ এই সক্রেটিসের হাত ধরেই গ্রীক জ্ঞানের ভান্ডার বা আধুনিক সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়েছিল,সে প্লেটোর মত ছাত্রের জন্ম দিয়েছিল);গ্যালিলিও সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন করল,কিন্তু তা বাইবেলের সাথে মেলে না বলে ইতালীয় চার্চ আর সমাজপতিরা তাকে আমৃত্যু একঘরে করে রেখেছিল(যদিও তার মৃত্যুর প্রায় ৪০০ বছর পরে গত শতাব্দীর শেষের দিকে ভ্যাটিকান চার্চ এজন্য ক্ষমা চেয়েছে), অক্সিজেনের আবিষ্কর্তা ফরাসি রসায়নবিদ ল্যাভয়সিয়েকে ফ্রেঞ্চ রেভুল্যুশনের সময়ে গিলোটিনে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
এ হল স্বল্প কিছু উদাহরন,সভ্যতার শুরু থেকেই যারা প্রচলিত কাঠামোর বাইরে গিয়ে জ্ঞানবিজ্ঞান আর প্রগতির পথে সাধনা করেছে,আমাদের সমাজব্যবস্থা চেয়েছে হয় তাদেরকে মেরে ফেলতে নাহয় হেনস্থা করতে।এ ধারা এখনো সমানতালে অব্যহত আছে,মানব সাইকোলজি যেমনি কোন পরিবর্তন সহজে মেনে নিতে পারে না,তেমনি আমাদের প্রচলিত সমাজব্যবস্থা মেনে নিতে পারেনা নির্দিষ্ট ধ্যান-ধারনার বাইরে গিয়ে যারা চিন্তা করে তাদের।
অথচ কি হাস্যকর ব্যাপার,আমরা যার যার বর্তমান সময়ে এসব চিন্তানায়ক/বৈজ্ঞানিক দের কে সমাজের কীট আর আবর্জনা হিসেবে চিহ্নিত করি কিন্তু পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে ঠিকই শ্রদ্ধার চোখে দেখি তবে চিনতে কয়েক শতাব্দী দেরি করে ফেলি! পরিতাপের বিষয়,এদেরকে মানব সভ্যতার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা সমাজ আর ধর্ম দ্রোহী আখ্যা দিয়ে শেষমেশ এইসব বেয়াদপ,অধার্মিক,ধৃষ্টদের মাথা থেকে বের হওয়া চিন্তার ফসল এই আধুনিক সভ্যতা আর বিজ্ঞানের মধ্যেই আমরা বসবাস করি!!?
কি বিচিত্র আমাদের এই পৃথিবী!আমরা চাই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বৈজ্ঞানিক/সামগ্রিক অগ্রগতি কিন্তু কেউ এধরনের চিন্তা করলে আর আমাদের তা পছন্দ না হলে আমরা চাই তাদেরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে এ দুনিয়াকে কলুষমুক্ত করতে!!কিন্তু আমরা ঠিকই তাদের চিন্তার ফসল পরিবর্তিত আধুনিক দুনিয়াতে আরাম আয়েশের জন্য সর্বদা প্রস্তুত!!!
সবার মত প্রকাশের অধিকার আছে,কাউকে মেরে ফেলবেন না প্লিজ।
©somewhere in net ltd.