![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম মহাকালের মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছি,চারপাশের জগতটাকে দেখছি,ছোট মাথায় মাঝে মাঝে কিছু ভাবি এবং লিখি
বিবর্তনবাদ হল জীবজগতের ক্রমান্বয়িক শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রাচীন এককোষী জীব থেকে আজকের এই বিশাল জীবসম্ভারে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া।এটি কোন গালগল্প নয়,বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত সত্য।প্রজাতি থেকে প্রজাতির কোটি বছরের পরিক্রমায় রেপ্লিকেশন(বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে অনুরূপ বংশধর সৃষ্টি),মিউটেশন(প্রাকৃতিক প্রয়োজনে ডি এন এ কোডের পরিবর্তন) এবং ভ্যারিয়েশন(নতুন প্রজাতি সৃষ্টি) এর মাধ্যমে অব্যহত এ বিবর্তন।ডারউইন এর ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত “অরিজিন অফ স্পিসিস” এ সর্বপ্রথম এ ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়।তিনি গ্যালাপাগ্যাস দ্বীপপুঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মূলত তার এই ঐতিহাসিক গবেষণা চালিয়েছিলেন।
কিন্তু,এ বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের হাজারো অনীহা।ধর্মের সাথে মিলে না বলে প্রায় সবাইকে দেখি এর বিপক্ষে অবস্থান নিতে।অথচ এটা পরিষ্কারভাবে প্রমানিত সত্য নানাভাবে,সেটা আমরা প্রাচীন প্রাণীদের ফসিলের কথাই বলি আর আর আধুনিক “জেনেটিক্সের” কথাই বলি।আমাদের ডি এন এ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আমাদের কাছাকাছি বানর জাতীয় প্রাণিদের সাথে ৯৮% মিল রয়েছে(এখানে একটি বিষয়,আমাদের উৎপত্তি বানর থেকে নয় বরং আমাদের ও বানর জাতীয় প্রাণীর পূর্বপুরুষ একই)।সাইটোলজি থেকে প্রমাণিত যে সকল প্রাণীর কোষের গাঠনিক উপাদান অ্যামাইনো এসিডের ৪ টি বেস মূলত একই,এগুলো নানাভাবে বিন্যস্ত হয়ে একেক প্রাণীর ডি এন এ কোড একেক রকম।
ডারউইন থেকে শুরু করে বিবর্তনবাদে বিশ্বাসীরা নানাভাবে সমাজের ও ধর্মের রক্তচক্ষুর শিকার,আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এ ব্যাপারটি ভাসাভাসা ভাবে উপস্থাপিত;ব্যাপারটা যেন এমন পড়া দরকার পড় কিন্তু বিশ্বাস করার দরকার নেই!আরে,বৈজ্ঞানিকভাবে একটা প্রমাণিত সত্যকে নিয়ে কেন এত লুকোচুরি!!
বারে বারেই মনে পড়ে “চোখ থাকিতে অন্ধ” প্রবাদ বাক্যটিকে।
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৯
Lingkon বলেছেন: ভাই খুব তো বড় বড় লেকচার মারেন দুখানা বই পইপইড়া। আপনার থেকে একজন বড় এথিস্ট ডঃ জাকির নায়েককে প্রশ্ন করেছিল দ্যা এভুলোশ্ন অব হিউমান নিয়া। উত্তরটা আমি না দেই আপনি তার থেকে বরং ইউটিউবে গিয়া সার্চ দেন পাইয়া যাবেন। মানুষ্কে এস্ট্রে করার জায়গা পান না আপনারা? নইলে তার সংগে ডিবেট করেন। দেখি কত বড় হেদম নিয়া চলেন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
মহাকালের প্রেতাত্মা বলেছেন: জানব তো বই পড়েই,নইলে কিভাবে জানব?জাকির নায়েকের লেকচার শুনেছি,কিন্তু তার সমস্ত বক্তব্যই যে সহি এমন তো নয়।ডিবেট তো চাইলেই করা যায়,কিন্তু অর্থহীন ডিবেটের চেয়ে জরুরি নিজের চিন্তাশীলতাকে জাগ্রত করা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
নতুন বলেছেন: বিশ্বাসের প্রধান শিক্ষাই হলো চোক বন্ধকরে মেনে নেও। তাই যারা বিশ্বাসী তারা যুক্তি/প্রমানে যাবেনা। তারা শুধুই মেনে নেবে ধম`কে।
এখানে অনেক মানুষই আছে যে যারা বিবর্তনবাদ পুরাপুরি ভুল/বাতিল বলে প্রচার করছে।