![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম মহাকালের মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছি,চারপাশের জগতটাকে দেখছি,ছোট মাথায় মাঝে মাঝে কিছু ভাবি এবং লিখি
সংখ্যাগরিষ্ঠের আস্ফালন পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন কিছু না,অপেক্ষাকৃত সবল সম্প্রদায়ের প্রবণতা থাকে সংখ্যালঘুদের উপর প্রভাব বিস্তার করার।আমাদের দক্ষিণ এশিয়াতে এ প্রবণতা একটু বেশিই,যার সুযোগে ব্রিটিশরা বিভাজন করে গেছে এ অঞ্চলকে।
বৈষম্যের ধরণ হয় বিভিন্ন মাপকাঠিতে,যেমন-ধর্ম,বর্ণ,অর্থনৈতিক,জাতিগত ইত্যাদি।নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করা মানুষের সহজাত মানসিকতা;আর এখান থেকেই শুরু অন্য ধর্ম-মতালম্বীদের দমন করার চিন্তাভাবনা,আমাদের দেশে যার শিকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা।’৫০ এর দশকে তৎকালীন ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের অধীন এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতকরা জনসংখ্যা ছিল ২২% আর এখনকার স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে এ হার ৮.৫%!এথেকে বোঝা যায় বদলেছে রাষ্ট্র,কিন্তু বদলায়নি মানসিকতা,যার সাম্প্রতিক প্রমাণ দুর্গাপূজার মণ্ডপে ভাংচুরের ঘটনা।কিছু আছে যারা ব্যক্তিগত কারনে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছেন,তবে বেশির ভাগ সংখ্যালঘুর দেশত্যাগের পিছনে রয়েছে অস্তিত্ব সংকটের আশংকা।
সংখ্যালঘুর উপর সংখ্যাগরিষ্ঠের আক্রোশ শেষ হলে শুরু হয় আরেক মিশন,তা হল নিজ সম্প্রদায়েরই ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর আক্রমণ।পাকিস্তান,আফগানিস্তান এভাবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে আর কয়েকদিন আগে দেখা গেল বাংলাদেশে শিয়া মুসলিমদের উপর বোমা হামলা,যেটা এদেশে গত ৪০০বছরের শিয়াদের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা।এছাড়া,কাদিয়ানীদের উপর হামলা তো অনেকদিন ধরেই চলছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের এ আত্নঘাতী অহমিকার অবসান না হলে আঘাত আসতেই থাকবে সংখ্যালঘুদের উপরে,তারপর একসময় এই আঘাত গিয়ে পড়বে নিজেদের উপরেও উদারপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ/ভিন্ন-মতাবলম্বী সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার কারনে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মুখস্ত বুলিগুলো শুধু মুখে মুখেই চর্চা হয়,ভিতরে ভিতরে প্রায় সবাই কমবেশি সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ও নিজস্ব গন্ডিতে আবদ্ধ।শারদীয় দুর্গাপূজা নামেই সার্বজনীন,হামলার আশংকায় পূজামণ্ডপ গুলো পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখতে হয়।পরিশেষে চাওয়া একটাই,বাংলাদেশ যেন পরিণত না হয় বাংলাস্তানে।
©somewhere in net ltd.