নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত ভাগ নিয়ে আমরা কতো কিছুই বলতে পারি। কে দায়ী?

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৭


১) আরে জিন্নাহই দায়ী। সেতো অখণ্ড ভারত থাকলে জাতির পিতা হতে পারে না, প্রেসিডেন্ট হতে পারে না সর্বোচ্চ মন্ত্রী হতে পারতো। সে জন্যই নিজে নাস্তিক হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম লীগের নেতা হয়ে ভারতকে ভাগ করেছিল।

২) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীই দায়ী। সে ভেবেছিল যদি পুরো বাংলাসহ পাকিস্তান এক রাষ্ট্র হয় তখন পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে ডাবল ভোট থাকবে পূর্ব পাকিস্তানে তখন সে নিজেই হতে পারবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এজন্যই মার্চ করে ট্রেন নিয়ে আন্দোলনে চলে গিয়েছিলেন অখণ্ড ভারত ঠেকাতে।

৩) দায়ীতো বল্লভ ভাই প্যাটেল। সেইতো বলেছিল, আর যাই হোক মুসলিম লীগের সাথে রাজনীতি করা যাবে না, একসাথে বসা যাবে না। মুসলিমরা থাকলেই দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগেই থাকবে। ওরা ভারতে না থাকলেই শান্তিপূর্ণ ভারত থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনও সহজ হবে। তাই তিনিই কঠোরভাবে চেয়েছিলেন দেশ ভাগ হোক।

৪) আসল নাটেরগুরোতো মহাত্মা গান্ধী আর নেহেরু। নেহেরুকে তো মাউন্ট বেটেনের বউই পটিয়ে ফেললো। নোয়াখালী দাঙ্গা দমনে ব্যর্থ হয়ে গান্ধীও বুঝে গেলেন একসাথে হবে না।এই দুই শীর্ষ নেতা যদি অখণ্ড ভারত চাইতো তবে কি ইংরেজদের ক্ষমতা ছিল ভারত ভাগের। করমচাঁদ গান্ধীর কথার বাইরে কি ইংরেজরা যেতো।

৫) ভারত ভাগ করেছে আসলো ইংরেজরা। তারাইতো ডিভাইড এন্ড রুল নীতি দিয়ে জনগণের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ তৈরি করে শাসন করতো। তাতেই মানুষের মধ্যে দাঙ্গার পর দাঙ্গা চলছিল। ইংরেজরাই বুঝে গিয়েছিল এই দাঙ্গা থামানো যাবে না ভারত ভাগ না করে।

এভাবে অনেককেই দায়ী করতে পারবো। বাস্তবিক ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণেই ভারত ভাগ হয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ভারত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিল। তাই অসহিষ্ণু নেতারা দূরদর্শী হতে পারলেন না। ভাগ করার সময় তারাও বিবেচনায় নেয়নি যে, তিন ভাগের দুইভাগ মুসলমান না হয় দুদিকে গেল কিন্তু তিন ভাগের একভাগ মুসলমান যে ভারতেই রয়ে গেল তাদের কি হবে? পাকিস্তানের হিন্দুদের কি হবে? হয়তো নেতারা তাদের বিসর্জনই দিয়েছিলেন! কংগ্রেস প্রধান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন, যারা ভারত ভাগ করলো একদিন তারা এজন্য লজ্জিত হবে। তার কথাটা সত্য হয়নি বলেই আজ মনে হচ্ছে। ভারত ভাগের নায়ক জিন্নাহ আর প্যাটেল পাকিস্তান আর ভারতে আজ খুবই নন্দিত। কে লজ্জা পাবে? শুধু ভারতের মুসলিমসহ সংখ্যালঘুরা, পাকিস্তান-বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুরা আজ চোখের পানি ফেলে। তবুও কেউ লজ্জা পায় না। যারা ধর্ম নিয়ে খেলছে, মানুষকে হত্যা করছে, ভয় দেখাচ্ছে তাদের নেতারাই আজ পরম পূজনীয় বলে মনে হচ্ছে আর খুন হয়ে যাওয়ারা যেনো ভিলেন- সে হুমায়ুন আজাদ হোক, অভিজিৎ রায় হোক, মঠের পুরোহিত হোক, সমকামী হোক, মুক্তমনা হোক, গোমাংশ খাওয়া লোক হোক। ধর্মবিরোধী আখ্যা দিয়ে খুন করতে পারলে- খুনিরা লজ্জিত হয় না, উল্লাস করে।
১) আরে জিন্নাহই দায়ী। সেতো অখণ্ড ভারত থাকলে জাতির পিতা হতে পারে না, প্রেসিডেন্ট হতে পারে না সর্বোচ্চ মন্ত্রী হতে পারতো। সে জন্যই নিজে নাস্তিক হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম লীগের নেতা হয়ে ভারতকে ভাগ করেছিল।

২) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীই দায়ী। সে ভেবেছিল যদি পুরো বাংলাসহ পাকিস্তান এক রাষ্ট্র হয় তখন পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে ডাবল ভোট থাকবে পূর্ব পাকিস্তানে তখন সে নিজেই হতে পারবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এজন্যই মার্চ করে ট্রেন নিয়ে আন্দোলনে চলে গিয়েছিলেন অখণ্ড ভারত ঠেকাতে।

৩) দায়ীতো বল্লভ ভাই প্যাটেল। সেইতো বলেছিল, আর যাই হোক মুসলিম লীগের সাথে রাজনীতি করা যাবে না, একসাথে বসা যাবে না। মুসলিমরা থাকলেই দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগেই থাকবে। ওরা ভারতে না থাকলেই শান্তিপূর্ণ ভারত থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনও সহজ হবে। তাই তিনিই কঠোরভাবে চেয়েছিলেন দেশ ভাগ হোক।

৪) আসল নাটেরগুরোতো মাহাত্মাগান্ধী আর নেহেরু। নেহেরুকে তো মাউন্ট বেটেনের বউই পটিয়ে ফেললো। নোয়াখালী দাঙ্গা দমনে ব্যর্থ হয়ে গান্ধীও বুঝে গেলেন একসাথে হবে না।এই দুই শীর্ষ নেতা যদি অখণ্ড ভারত চাইতো তবে কি ইংরেজদের ক্ষমতা ছিল ভারত ভাগের। করমচাঁদ গান্ধীর কথার বাইরে কি ইংরেজরা যেতো।

৫) ভারত ভাগ করেছে আসলো ইংরেজরা। তারাইতো ডিভাইড এন্ড রুল নীতি দিয়ে জনগণের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ তৈরি করে শাসন করতো। তাতেই মানুষের মধ্যে দাঙ্গার পর দাঙ্গা চলছিল। ইংরেজরাই বুঝে গিয়েছিল এই দাঙ্গা থামানো যাবে না ভারত ভাগ না করে।

এভাবে অনেককেই দায়ী করতে পারবো। বাস্তবিক ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণেই ভারত ভাগ হয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ভারত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিল। তাই অসহিষ্ণু নেতারা দূরদর্শী হতে পারলেন না। ভাগ করার সময় তারাও বিবেচনায় নেয়নি যে, তিন ভাগের দুইভাগ মুসলমান না হয় দুদিকে গেল কিন্তু তিন ভাগের একভাগ মুসলমান যে ভারতেই রয়ে গেল তাদের কি হবে? পাকিস্তানের হিন্দুদের কি হবে? হয়তো নেতারা তাদের বিসর্জনই দিয়েছিলেন! কংগ্রেস প্রধান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন, যারা ভারত ভাগ করলো একদিন তারা এজন্য লজ্জিত হবে। তার কথাটা সত্য হয়নি বলেই আজ মনে হচ্ছে। ভারত ভাগের নায়ক জিন্নাহ আর প্যাটেল পাকিস্তান আর ভারতে আজ খুবই নন্দিত। কে লজ্জা পাবে? শুধু ভারতের মুসলিমসহ সংখ্যালঘুরা, পাকিস্তান-বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুরা আজ চোখের পানি ফেলে। তবুও কেউ লজ্জা পায় না। যারা ধর্ম নিয়ে খেলছে, মানুষকে হত্যা করছে, ভয় দেখাচ্ছে তাদের নেতারাই আজ পরম পূজনীয় বলে মনে হচ্ছে আর খুন হয়ে যাওয়ারা যেনো ভিলেন- সে হুমায়ুন আজাদ হোক, অভিজিৎ রায় হোক, মঠের পুরোহিত হোক, সমকামী হোক, মুক্তমনা হোক, গোমাংশ খাওয়া লোক হোক। ধর্মবিরোধী আখ্যা দিয়ে খুন করতে পারলে- খুনিরা লজ্জিত হয় না, উল্লাস করে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেদরকারী কমেন্ট কবরো? না, থাক!

২| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মূলত ধর্মগুলোই দায়ী।এরা না থাকলে অন্যরাও এই কাজটিই করতো।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩২

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: ধর্মের উপর ভিত্তি করে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চিন্তাই তো ভুল ছিলো। ভারতবর্ষে অঞ্চলে অঞ্চলে মানুষের ভাষা-ধর্ম-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের পার্থক্য অনেক। সেই আলাদা আলাদা "জাতি" কে ধর্মের পরিচয়ে "বড়" করে কাদের সুবিধা বেশি হইসে? কারা ফায়দা টতে পারসে, এসব নিয়ে প্রশ্ন করা দরকার। কারন দেশভাগ করে তিনটি আলাদা রাষ্ট্র হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গরীব দুঃখী মানুষের অবস্থা কতটুকুই বা পরিবর্তন হয়েছে।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: কেবল কতিপয় ধর্মব্যবসায়ীই লাভবান হয়েছে। এখনো সেই জিকির তুলেই তারা পয়সা কামিয়ে নিচ্ছে। পীর-বাবারা অনেকেই আজ বহু কোটি টাকার মালিক। তারাই বিদ্বেষটা জিইয়ে রাখতে মূল ভূমিকা রাখছে। আছে রাজনীতি, জাতীয়তাবাদ। সব কিছু মিলিয়েই আমাদের শক্ত শিকল।

৪| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: হিন্দু্ মুসলমানরা যদি দাঙ্গা হাঙ্গামা না করতো তাহলে দেশভাগ হতো না।
অর্থ্যাত দেশ ভাগের মূলে আছে ধর্ম।

০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: এ ছাড়া আর কিছুই না।

৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দায়ী বলছেন কেন। ভারত ভাগ কি একটা অপরাধ ছিল? এর চেয়ে ভালো কোনও সমাধান কি ছিল?

০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: উস্কানি বন্ধ করাই ছিল সেরা সমাধান। ধর্মান্ধতা যে রক্তপাত ঘটিয়েছে তা ছিল ভয়াবহ বিপর্যয়কর। দাঙ্গা না হলে হয়তো দেশ ভাগই হতো না।

৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সমস্যা না থাকলে সমাধান নেই। সমস্যা হলো ধর্মীয় দ্বন্দ্ব।

০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ধর্মই মানুষের মধ্যে বিভেদ, হানাহানি তৈরি করেছে।

৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভারত পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ভারত বিভাগ ঠিক ততোটা প্রয়োজনীয় না হলেও বাংলার জন্য ভারত ভাগ অত্যাবশ্যকীয় ছিল। তবে পাকিস্তানের সাথে না গিয়ে আলাদা স্বাধীন হলে এবং আরো কিছুটা ভূমি নিতে পারলে ভাল হত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.