নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্লাসের পানিতে ডিমটি কি ভাসবে?

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৫


যদি সাধারণ পানি হয় তবে আর্কিমিডিসের সূত্রানুযায়ী- ডিমটি যতটুকু পানি অপসারণ করবে তার ওজন ডিমের চেয়ে কম তাই ডিমটি ডুবে যাবে। আমরা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রোজেক্টে দেখি তারা ডিমকে ভাসিয়ে রাখে বা আধা ডুবা অবস্থায় রাখে। কিভাবে সম্ভব হয়?

খুবই সহজ। তারা পানির ঘণত্ব বাড়িয়ে দেয়। এজন্য তারা পানির সাথে অতিরিক্ত লবন গলিয়ে পানির ঘনত্ব বাড়িয়ে নেন। যদি ডিমের ঘনত্ব আর লবন-মেশানো পানির ঘনত্ব সমান হয়ে যায় তবে ডিমটি আধা ডুবা অবস্থায় থাকবে। আর লবন-মিশানো পানির ঘনত্ব যদি বেশি হয় তবে ডিমটি ভাসতে থাকবে।

আমরা আরব অঞ্চলের ডেথ সীর কথা জানি। সেখানে সাতার না জানলেও কেউ ডুবে মরবে না। হ্রদে ভেসে ভেসে পত্রিকাও পড়া যায়। তার কারণ ওখানকার পানি অতিলবণাক্ত। ওখানকার পানিতে লবণাক্তরা ৩০%! এক লিটার পানির সাধারণ ওজন ১ কেজি হলেও ডেথ সীর পানির ওজন ১.২৪ কেজি।গ্লাসে এই হৃদের পানি থাকলে ডিমটি ভাসবে। পৃথিবীতে ভারী পানি রয়েছে যাকে ডিওটোরিয়াম অক্সাইড বলে। সমুদ্রের সাধারণ পানির মধ্যে মাত্র ০.০৫% মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। এই পানির ওজন সাধারণ পানির চেয়ে ১০% বেশি বলে এখানেও ডিমটি ভাসবে।

কলকাতার বিজ্ঞান জাদুঘর দেখতে গিয়ে একটি রসায়নের শো দেখেছিলাম। সেখানে একজন কিভাবে যাদুকরগণ ফু দিয়ে পানির রঙ বদলে দেন, ঝাকি দিয়ে হলুদ রঙকে বেগুণি করে দেন, আবার আরেক ঝাঁকিতে গোলাপী পানি বানিয়ে দেন তা ব্যাখ্যাসহ বুঝিয়ে দেন। বাস্তবিক ওনার গ্লাসে পানি ছিল না- অন্য কোন তরল উপাদান ছিল।যাদুকরগণ পানিতেও বিভিন্ন যাদু দেখাতে পারেন ঘনত্ব বাড়িয়ে দিয়ে।

বি.দ্র.: ডিমটি পচা হলে ভিতরে উৎপন্ন গ্যাসীয় পদার্থ বেরিয়ে গেলে তা সাধারণ পানি থেকেও হালকা হয়ে যাবে এবং তা সাধারণ পানিতে ভাসবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ডিম তো লবনের কারণে ছাড়াও ভাসতে পারে। সদ্য পাড়া ডিম থেকে মোটামুটি সপ্তাহ খানেক বয়সের ডিম পানির নিচে পড়ে থাকবে। এক সপ্তাহ বা এর কিছু বেশী দিন বয়স হলে ডিম খাড়া হওয়া শুরু করবে। ২-৩ সপ্তাহ হলে ডিম পুরাই খাড়া হয়ে যাবে। এরপর ডিম আস্তে আস্তে ওঠা শুরু করবে। অনেক পুরাতন হয়ে গেলে ডিম পানির উপরে কিছু অংশ ভাসবে।



এভাবেই মানুষ ডিমের ভালো-খারাপ অবস্থা বুঝতে পারে, ডিম না ভেঙ্গেই।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: পচা ডিমও পানিতে ভাসে ভিতরের উৎপন্ন গ্যাস বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ওজন কমে যাওয়ায়। পুরাতন ডিম থেকেও উৎপন্ন গ্যাসীয় পদার্থ বেরিয়ে যাওয়ায় এমনটা ঘটতে থাকে।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৯

আহলান বলেছেন: পচা ডিম পানিতে ভাসে ..এভাবে ছোট বেলায় ডিম কিনতে দেখেছি!

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। পচা ডিমও পানিতে ভাসে ভিতরের উৎপন্ন গ্যাস বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ওজন কমে যায়।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জাদু বলে অলৌকিক কিছু নেই।সকল জাদু আসলে কৌশল।তার পরও ধার্মিক গন বুঝতে চায় না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: জন্মের পর থেকেই পরিবার ও সমাজ থেকে পাওয়া ভাবাদর্শ সে কাটিয়ে উঠতে পারে না। কাটিয়ে ‍উঠার জন্য স্কুল হতে পারতো সঠিক স্থান কিন্তু ওখানে গিয়েই তারা আরো ভুল ধারণা লাভ করে। ফলে সাধারণত মানুষ ওেই ভুল বিশ্বাস কাটিয়ে উঠতে পারে না।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাঁচা ডিম আর সেদ্ধ ডিম বোঝার একটা সহজ উপায় আছে। ডিমটাকে একটা আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে লাটিমের মত ঘুরতে দিতে হবে। এরপর ঘুরন্ত ডিমটাকে এক আঙ্গুল দিয়ে উপর থেকে চাপ দিয়ে থামাতে হবে। থামার সাথে সাথে আঙ্গুল তুলে ফেলতে হবে। আঙ্গুল তুলে ফেলার পর যদি ডিমটা পুনরায় হালকাভাবে ঘোরে তাহলে বুঝতে হবে যে ডিমটা কাঁচা ডিম। সেদ্ধ ডিমের ক্ষেত্রে আঙ্গুল তোলার পর ডিমটা স্থির থাকবে।
এর কারণটা আপনাকে বলতে হবে। কারণ আপনি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র। ডিম অবশ্যই একটা পদার্থ।
মানুষের দেহ (মাথা ছাড়া) এমনিতেই পানিতে ভাসে। আর্কিমিডিসের সূত্রের কারণে। আমাদের মাথা আর্কিমিডিসের সূত্রে ভাসে না বরং ডুবে যায়। এই মাথাকে ভাসিয়ে রাখার কৌশল হোল সাতার।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। কাঁচা ডিমের ভিতরে থাকে তরল পদার্থ। ভিতরের অংশটাও বােইরের সাথে ঘুরতে থাকে। আপনি যখন ডিম থামিয়ে দেন তখনও ভিতরের তরল ঘুরতে থাকে। চলন্ত বাস থেকে নামার মতো। ভিতরের ঘুর্ণনের কারণেই পরে বাইরেও কিছুটা ঘুরে।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ হিসাব।
বিজ্ঞানের হিসাব সহজ। সুন্দর।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: সত্যটা জানা যায়, সত্যর মধ্যে থাকা যায়। খুবই আনন্দের। অন্যরা যা বুঝতে পারে না কেন হয়? বিজ্ঞানের ছাত্ররা তা নিয়ে অধ্যয়ন করে। মজা আছে।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর অনুভূতিশীল লেখা ।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪

মুজিব রহমান বলেছেন: পদার্থবিদ্যার ছাত্র হিসেবে বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে ভাল লাগে।

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আলোর চেয়ে দ্রুতগামী কিছু পাওয়া গেছে কি?

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায়নি এখনো। তবে ট্যাকিয়ন নামে একটি কনার গতিবেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি বলে অনুকল্পিত হয় স্থান কালের বিকৃত অঞ্চেলে যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ঐক্যমতে পৌঁছেনি। তাই বলা যায় স্বাভাবিকভাবে এখনো আইনস্টাইনের সূত্র এখনো সঠিক। আলোই সবচেয়ে দ্রুতগামি।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আলোর কনার কি ভর আছে?

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা রোদ পোহাতাম না, বলতাম ফোটন নিচ্ছি। সরাসরি বললে বলতে হয় ভর নেই। তবে একটি ফোটনের তরঙ্গ ভেক্টর শূন্য নাও হতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়ে আপনি যেভাবে প্রশ্ন করছেন তার জবাব দেয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। আমি পদার্থবিদ্যার ছাত্র ছিলাম বটে তবে শিক্ষকতা করি না এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাকরিও করি না।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি শুধু জানার জন্য প্রশ্ন করেছি। আপনি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন তাই আপনি এটা ভালো বুঝবেন। সে কারণে প্রশ্ন করা। প্রশ্নের উত্তর আপনার জানতেই হবে এমন না। আমার এগুলির প্রতি আগ্রহ আছে। কিন্তু যেহেতু অন্য লাইনের লোক তাই যারা জানে তাদের সাহায্য নেই। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেক সময়, শ্রম ও জায়গা লাগে সেটা আমি জানি।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি যাতে আমাকে নিয়ে হতাশ না হন সে জন্যই বলা। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.