নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত ও বাংলাদেশ টিকা আবিষ্কার করেছে!

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

একটি মানসম্মত ও কার্যকরী টিকার জন্য বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহে চেয়ে আছে বিজ্ঞানীদের দিকে। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে তারা টিকা আবিষ্কার করেছে এবং শিঘ্রই তা বাজারে আসবে।ভারততো ঘোষণা দিয়েছে আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনই তারা টিকা দেয়া শুরু করবে। বাংলাদেশও বেছে নিতে পারে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন। কেন ১৫ আগস্ট? ভারতে এখন করোনা শনাক্তে বিশ্বে তৃতীয় মৃত্যুও প্রায় ২০ হাজার। ভারতে রয়েছে পরীক্ষার বাইরে কোটি কোটি মানুষ। করোনা উপসর্গে মৃত্যুও অনেক। মোদীকে সীমাহীন ব্যর্থতার গ্লানী থেকে বাঁচতে হলে এখন আবারো জাতীয়তাবাদ ব্যবহার করতেই হবে। মিছামিছি হলেও জয় শ্রীরাম বলে সবার আগে টিকা বাজারে আনতে হবে।অথচ তারা কোন ধাপই সম্পন্ন করেনি।

টিকা বাজারে আনার আগে অনেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। সবার আগে আসে গিনিপিগ, ইঁদুর, বানর ইত্যাদি প্রাণির উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করা। সেখানে সফল হলেই আসে মানুষের উপর প্রয়োগের প্রথম ধাপ। টিকার মূল কাজ এন্টিবডি তৈরি করা। সেটা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য অল্প সংখ্যক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে পরীক্ষা করতেই হবে।যদি এন্টিবডি তৈরি না হয় তবে বুঝতে হবে টিকা সফল হয়নি। এটার কোন ক্ষতিকর প্রভাব আছে কি না তাও বুঝতে হবে। এজন্য অন্তত তিন মাস সময় লাগে অর্থাৎ মোদীর ১৫ আগস্ট পার হয়ে যাবে প্রথম ধাপ পার হওয়ার আগেই।

দ্বিতীয় ধাপে এন্টিজেনকে নিষ্ক্রিয় করার সক্ষমতা যাচাই করার জন্য এক্সপ্যান্ডেড ট্রায়ল করতে হয়। প্রতিষেধক কতটা নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিতে সক্ষম কিনা তা দেখতে অন্তত ১শ মানুষের উপর টিকা প্রয়োগ করতে হবে। যদি সক্ষম হয় তবুও এই প্রক্রিয়ায় অন্তত ৩ মাস লাগবে। আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হচ্ছে কি না। পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা। যদি টিকায় সমস্যা থাকে তবে তা আপগ্রেড করে কিন্তু আবারও শুরু করতে হবে। তৃতীয় ধাপে কার্যক্ষমতা যাচাই করা হয়। এজন্য অন্তত ১ হাজার মানুষের উপর প্রয়োগ করতে হয়। এ কাজটিও করতে অন্তত তিন মাস লাগবে। প্রতিক্ষেত্রেই সমস্যা আসতে পারে। সময় বহুগুণ লেগে যেতে পারে। এই তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে পারলেই অনুমোদন দেয়া হয়। পৃথিবীতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য মাত্র ৩টি কোম্পানীর টিকা ৩টি ধাপই অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।

তাহলে ভারত আর মাত্র ৩৯ দিনের মধ্যে কিভাবে ৫টি ধাপ (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও অনুমোদনসহ) অতিক্রম করবে? তবুও তারা করবে অসম্ভব ও অবিশ্বাস্যভাবে। মোদীভক্ত অন্ধ মৌলবাদীগোষ্ঠী ঢাক বাজাচ্ছে, নৃত্য করছে। এর আগেও ভারত দাবী করেছিল তারা এইডস এর টিকা আবিষ্কার করেছে। একজন চিকিৎসক নিজের শরীরেই তা প্রয়োগ করে দেখিয়েছিল। কিন্তু হায় তার কোন কার্যকারীতা ছিল না। বাংলাদেশেও একজন কৃষিবিজ্ঞানী হঠাৎ করে জানান দিল তিনি করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ইথানল বাষ্প সেবন করলেই করোনা থাকবে না। ইথানথ বাষ্প মাদকসেবীরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রহণ করে আসছে। সেনিটাইজারে ডুবালে করোনা মারা যায়, সাবানে করোনাভাইরাস গলে যায়। তাই বলে কি ফুসফুস সাবান দিয়ে ধোয়া যাবে, বা সেনিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে? এটা করতে গেলে আরো আগেই মরতে হবে। ওই কৃষিবিজ্ঞানীকে গ্রেফতারও করা হয়নি। ভারত বায়োটেক সম্ভবত মোদীর নির্দেশনা মোতাবেকই ঘোষণা দিবে কোন কোন ধাপ তারা অতিক্রম করেছে। শর্টকার্ট পদ্ধতিতে বিজ্ঞান চর্চা করে রাজনীতি করা যায়, মানুষ বাঁচানো যায় না।

এসব অবৈজ্ঞানিক পথে হেঁটে অপবিজ্ঞান দিয়ে ধাপ্পাবাজি করে হয়তো নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে। ভারত দাবী করে তারাই পৃথিবীর প্রথম শল্য চিকিৎসা করেছে (মহাকাব্যে গণেশের মাথা লাগানো) ও ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে (রামায়ন মহাকাব্যে রাবনের অগ্নিসেল, ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ)। এসব হাস্যকর বয়ানে তারা লজ্জিত হয় না। মূর্খ সমর্থকরাই লাফালাফি করে।আমাদের রুপকথার গল্পেও রাজপুত্রের চোখ থেকে সূঁচ বের করার কথা রয়েছে। আমরা কি চক্ষু অপারেশনে পৃথিবীতে প্রথম দাবি করে বসবো! ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড করোনা টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে। স্কয়ার, বেক্সিমকো, একমি, অপসোনিন, ইনসেপটা, এসিআই, ওরিয়ন, রেনাটা, এসকায়েফ ইত্যাদি জানা কোম্পানীর মতো নাম নয় গ্লোব বায়োটেক। এমনকি বাংলাদেশের শীর্ষ ২০টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকাতেও এর নাম নেই। একটি টিকা বা প্রতিষেধক সফলভাবে বের করে আনা বেশ জটিল কাজ। সাধারণত এর জন্য অনেক সময় ও অর্থ দরকার হয়। বৈশ্বিক ভ্যাকসিন বাজার চলতি বছরে ছয় হাজার কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের একটি অখ্যাত কোম্পানী টিকা বাজারে আনতে পারার সক্ষমতা রাখে কি?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



সময়ের দরকার, সফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সময় সাপেক্ষ

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: কিভাবে রাজনৈতিক চাপে ফেলে ১৫ আগস্ট ভারত টিকা দেয়া শুরু করবে বুঝে আসে না। বাংলাদেশের অপেক্ষাকৃত দুর্বল একটি কোম্পানীই বা কিভাবে টিকা বাজারে আনবে?

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মেডিক্যাল সাইন্স এর যে কোন উদ্ভবনা খুব সময় নিয়ে করতে হয় ।
বার বার ট্রাইয়াল করতে হয় এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করতে হয়।
বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে সময় লাগে অনেক অনেক।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

মুজিব রহমান বলেছেন: তাইতো জেনে আসছি। হঠাৎই শুনলাম ভারত ১৫ আগস্টে টিকা দেয়া শুরু করবে!

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার এরকম আক্রমনাত্মক শ্লেষ যুক্ত পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ করছি।
কথায় বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস।বিশ্বের এই মুহূর্তে সুপার পাওয়ার আমেরিকার এক নম্বর বন্ধু ভারত।এহেনো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি কোন সাধারণ মানুষ নন, স্বর্গ থেকে প্রেরিত দেবতা বা অবতার।খুব শীঘ্রই উনার নামে ভারতবর্ষের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে মন্দির তৈরি হবে।এদিক থেকে দেখলে উনি জীবন্ত কিংবদন্তী দেবতা হতে চলেছেন। বেদ পুরাণের​ প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু মোদীজি এবং তার কৃত্য যে কোন কর্মের সমালোচনা করা মানেই নিঃসন্দেহে জাতীয়তাবাদ বিরোধী বা দেশদ্রোহিতার শামিল।মোদী ভক্তরা এসব কোনো কিছুকে প্রশ্রয় দেবেন না।

যদিও একশ্রেণীর বিরোধীরা মোদীজির সমালোচনা করে অহেতুক কালিমা লেপনের চেষ্টা করছেন।ফুসফুসে,ডায়াবেটিক সহ একাধিক রোগে দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হয়তো প‍্যানিক করে মারা যাচ্ছেন অথচ বিরুদ্ধবাদীরা প্রচার করছেন দেশ করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ। ভারত এই মুহূর্তে কুড়ি হাজারের গণ্ডি টপকিয়ে রাশিয়াকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করতে চলেছেন।আচ্ছা কোন লোক মরবে না? কেউ কখনো দাবি করতে পারে যে সে অমরত্তের অধিকারী?তাই বলে খামোখা মোদিজীর নামে এইভাবে দোষারোপ করা মানে স্বয়ং ভগবানের কোপানলে পরা।

উনি যদিও স্বর্গের ছুঁৎমার্গ ছেড়ে‌ মানবিক দৃষ্টিতে কাঁসার ঘণ্টা বাজিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে, কোনদিন বাসা অন্ধকার রেখে, হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি কর ভারতবর্ষকে করোন মুক্ত দেশে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।সফলতা একদম তীরে এসে গেছে।সঙ্গে দেশবাসীর​ ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন।প্রতিবেশী হয়েও বিশ্বাস করে সুফল নেবেন না, সে ব্যর্থতার দায় আপনার।কিন্তু ওনার ঐশ্বরিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ​খাটো করাটা ভারি অন্যায়। মোদিজী চাঁদে লোক পাঠিয়েছেন।করোনার ঝক্কি না থাকলে মোদিজি মঙ্গল গ্রহেও লোক পাঠাতেন।আগামীদিনে ওনার লক্ষ্য ছিল নাকি সূর্যের বুকেও ভারতের তেরঙা পতাকা ওড়াবেন।
শুভকামনা জানবেন।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: চরম কটাক্ষ! ধন্যবাদ।

সূর্যের বুকে তেরঙা ওড়ানোর জন্য মোদীকেই যেনো পাঠানো হয়। তাহলেই একজন উগ্র ধর্মান্ধর হাত থেকে মানুষ মুক্তি পায়।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশের বিজ্ঞানীদের এত অবজ্ঞা করা দেশ প্রেমের পরিচয় দেয় না। দেশের একজন বিজ্ঞানী চেষ্টা করছেন। তাকে অন্তত উৎসাহ দেন। পারবে কি পারবে না সেটা পরে দেখা যাবে। আপনি তো ব্যঙ্গ করছেন মনে হচ্ছে। আমাদের এত হীনমন্যতার জন্যই আমরা ভালো করতে পারি না।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: দেশ প্রেম! আছে নাকি কারো? টাকা থাকলে আপনিও কি কানাডার বেগমপল্লীতে বাড়ি করতেন না? প্রত্যেক দেশপ্রেমিকই তাই করেছেন। সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিকদের সন্তানরা কেউই দেশে নেই। কজন দেশ প্রেমিক এই করোনাকালেও দেশ ছেড়েছে।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত , বাংলাদেশ না যে দেশেই টিকা আবিস্কার করুক সমস্যা নাই। আমরা চাই প্রতিশেধোক। ব্যস।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধরুন পরীক্ষা না করেই বাজারে কেউ টিকা নিয়ে আসলো। সেই টিকার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলো। তাহলে কি সমস্যা তৈরি হবে না। কোটি কোটি মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে যাবে। প্রতিষেধক যেন নিজেই খুনি না হয়ে দাঁড়ায় সেটাও বড় বিষয়। আবার কেউ কেউ ভুয়া দাবী করে তাদের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে নিতে পারে- মানুষের পকেট কাটার জন্য। সেটাও সমস্যা।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কিছু মন্তব্য পড়ে হাঁসতেই আছি =p~
২০১৬ সালে মহামান্য হাইকোর্ট ভেজাল ঔষধ তৈরীর দায়ে গ্লোব ফার্মাসহ ২০টি কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে যে কয়টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করার আবেদন জানায় তার মাঝে গ্লোব ফার্মা একটি।

২০১৭ সালে গ্লোব ফার্মার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে মর্মে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। খবরে এটাও জানানো হয়েছে যে গ্লোবের তৈরী সরকারি ঔষধ হিসাবে সরবরাহকৃত ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে সারাদেশে বেশকিছু শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!
কোম্পানীর সামর্থ্যটাও দেখতে হবে। যাদের বাজারে প্রতিযোগিতা করে টিকতে পারারই সামর্থ্য নেই তারা কিভাবে এতো বড় কাজে সাফল্য পাবে? প্রশ্ন উঠবেই উদ্দেশ্য নিয়ে।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের ১ কোটির বেশী মানুষ বিদেশে থাকে যার মধ্যে অনেকেই স্থায়ীভাবে হিজরত করেছেন। অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেয়া মানে দেশ প্রেম নাই এই ধারনাটা আমি মানতে পারলাম না। যারা চলে যাচ্ছে তাদেরকে আপনি স্বার্থপর বলতে পারবেন না। মানুষ তার জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যেতে পারে। দেশে থাকা মানে দেশ প্রেম আর দেশ ছাড়া মানে দেশকে ভাল না বাসা এটা মানতে পারলাম না। দেশে থেকেও দেশের ক্ষতি করছে অনেকে আবার বিদেশে থেকেও দেশের জন্য কাজ করছে অনেকে। ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৭১ বিদেশে ছিলেন। দেশের প্রয়োজনে উনি দেশে এসেছিলেন দেশকে ভালবেসেই। এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে। জীবন জীবিকার দায়িত্ব তো রাষ্ট্র নেয় না। কাজেই দেশ ত্যাগ করলে দেশের প্রতি ভালোবাসা নাই এটা বলা ঠিক না। প্রিয়জনের ভাল খবরে যদি মনে আনন্দ হয় বোঝা যায় ভালোবাসা আছে। একইভাবে দেশের কোনও ভালো খবরে মনে আনন্দ হলে বোঝা যায় দেশকে ভালোবাসি।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভিন্ন বিষয়ে।
প্রবাসীদের সম্পর্কে আমার সম্পূর্ণ শ্রদ্ধ রয়েছে। যারা টাকা পাচার করে তাদের সম্পর্কে শ্রদ্ধা নেই। যারা উচ্চতর গবেষণা করার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন স্থায়ীভাবে তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা রয়েছে।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেখা যাক কি হয় । তবে উনি বিদেশে আরামের জীবন বাদ দিয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: সেটার প্রমাণ কি?
এতোবড় একটা কর্মযজ্ঞ এমন একটি দুর্বল কোম্পানী কিভাবে সম্পন্ন করবে? হাজার হাজার পরীক্ষা করাতে হবে, কোটি কোটি টাকা ব্যয় হবে তা কিভাবে সামলাবে? ওনারা এখনো কোন পর্যায়েই পরীক্ষা শুরু করে নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.