নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি যখন নবী হয়ে উঠেন

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

কাহ্‌লিল জিবরান যদি কোন জাতির নবী হতেন আর তার কাব্যগ্রন্থ ‘দি প্রফেট’ হতো ধর্মগ্রন্থ তাহলে অন্তত ওই জাতি একটি শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ পড়ার সুযোগ পেতো। নবী না হয়ে তিনি কবি হওয়ায়, সবারই সুযোগ রয়েছে কোন ধর্মের ভিতর না ঢুকেই, কাব্যগ্রন্থটি পড়ার যা তাকে সন্ধান দিবে অমৃতেরও নির্যাসের।

কাহ্‌লিল জিবরানের জন্ম লেবাননে ১৮৮৩ সালে এক খ্রিস্টান পরিবারে। এরপর তিনি তাঁর পরিবারের সাথে আমেরিকায় চলে যান। নিউইয়র্কে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে। আমি ভাববাদী মানুষ নই বলেই মনে করি। তবে যখন ‘দি প্রফেট’ এর মতো ভিন্নধর্মী কাব্যগ্রন্থ আমাকে আলোড়িত করে তখন মনে হয়, আংশিক ভাববাদ হয়তো আমার ভিতরেও লুকিয়ে রয়েছে। বাস্তবিক আমি বুঝে-শুনে-জেনেই ভাববাদ থেকে দূরে থাকি। ঠিক একই রকম আমার প্রিয় দুটি উপন্যাস হেরমেন হেস এর ‘সিদ্ধার্থ’ ও আলবেয়ার কাম্যুর ‘দি আউট সাইডার’ এর বেলাতেও এমনটা মনে হয়। কাব্যগ্রন্থের প্রফেট বা নবী আমাদের ভালোবাসা, বিবাহ, সন্তান, দান, খাদ্য-পানীয়, কর্ম, সুখ-দুঃখ, গৃহ, পোশাক, ক্রয়-বিক্রয়, অপরাধ-শাস্তি, আইন, স্বাধীনতা, যুক্তি-আবেগ, বেদনা, আত্মদর্শন, শিক্ষাদান, বন্ধুত্ব, কথা বলা, সময়, ভাল-মন্দ, প্রার্থনা, ভোগ-সুখ, সৌন্দর্য, ধর্ম এবং মৃত্যু নিয়ে বাণী দিয়েছেন। প্রতিটি বাণীই মানুষকে ভিন্নভাবে ভাবতে প্ররোচিত করবে। ভাবতেই হবে, এতোদিন ধরে আসা, মানুষের চিন্তার জগতের ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। এই কাব্যগ্রন্থে নবী যে কাকে বলা হয়েছে তা নিশ্চিত না হলেও জিবরানের ঘনিষ্টজনেরা তাঁকে উদ্বৃত করে বলেছেন, বইটি লেখার সময় বাহাই ধর্মের প্রবর্তক আবদুল বাহাউল্লাহ বাহাকে তিনি স্মরণে রেখেছিলেন। নবী যে-ই হোন তিনি যে একজন সত্যদ্রষ্টা এবং তাঁর কাছে এক ত্রিকালদর্শী নারী অনুরোধ জানায়, তাদের কিছু বলে যাওয়ার জন্য এবং তাঁর সত্য থেকে তাদের কিছু দিয়ে যাওয়ার জন্য। যা তারা তাদের সন্তানদের দেবে, তারা তাদের সন্তানদের দেবে- এভাবে তা হবে অবিনশ্বর।

প্রফেট প্রকাশের প্রায় শত বছর (১৯২৩ সালে ইউইয়র্কে প্রকাশিত হয়) অতিক্রান্ত হতে চললো, এখনো তা অবিনশ্বর। আরো বহু বছর মানুষ এই কাব্যগ্রন্থটি পড়ে মুগ্ধ হবে, তা বলতে পারি। তাঁর উম্মতদের জন্য নবী কি বাণী দিলেন তার নমুনা দেখি-
তিনি ভালবাসা সম্পর্কে বলেছেন, ‘ভালবাসা যখন তোমাকে ইশারা করে, তখন তার সঙ্গে চলার পথ কঠিন এবং বন্ধুর হলেও তুমি তাকে অনুসরণ করো। তার ডানা যখন তোমাকে জড়িয়ে ধরে তখন তার ডানায় লুকানো তরবারি তোমাকে আঘাত করলেও তুমি আলিঙ্গনে আত্মসমর্পণ কর। সে যখন কথা বলে, তখন তার কণ্ঠস্বরে তোমার স্বপ্ন যদি উত্তরের বাতাসে তছনছ বাগানের মতো ভেঙ্গে যায়, তবু তুমি তাকে বিশ্বাস করো। কারণ ভালবাসা তোমাকে যেমন রাজমুকুটে ভূষিত করে, তেমনি সে তোমাকে ক্রুশবিদ্ধ করে। সে যেমন তোমার বৃদ্ধি ঘটায় তেমনি সে তোমাকে ছেঁটেও দেয়। সে যেমন তোমার শিখরে উঠে তোমার অঙ্গের সংবেদনশীল এবং সূর্যালোকে শিহরিত শাখা-প্রশাখায় সোহাগ-পরশ বুলায়, তেমনি সে তোমার শিকড়ের গভীরে নেমে ঝাঁকুনি দিয়ে তাদের মাটির বাঁধন আলগা করে দেয়। সে তোমাকে শস্যের আঁটির মতো তার কাছে টেনে আনে। সে তোমাকে মাড়াই করে তোমার আবরণ খসিয়ে ফেলে। সে তোমাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে তোমার আবরণ থেকে তোমাকে মুক্ত করে’। কাব্যগ্রন্থটি জুড়েই অনবদ্যসব উপমা, যেন উপমার ফুলঝুড়ি। এতোদিনকার বহু ভাবনাই বদলে যাবে বহুদিকেই।
বিবাহ নিয়ে তিনি ভাবার মতো মত দিয়েছেন। তিনি দম্পতিদের জন্য বলেছেন, ‘একত্রে থেকেও তোমাদের মাঝে দূরত্ব বজায় থাক এবং তোমাদের মাঝে স্বর্গের বাতাস নেচে নেচে বয়ে যাক। তোমরা একে অপরকে ভালোবাসো কিন্তু ভালোবাসার বন্ধন গড়ে তোল না, বরং তোমাদের ভালোবাসা হোক দুটি হৃদয়ের বেলাভূমির মাঝে এক উচ্ছ্বসিত সমুদ্র। তোমরা একে অপরের পেয়ালা ভরে দাও, কিন্তু পেয়ালা থেকে পান করো না। তোমরা একে অপরকে নিজ খাদ্যের ভাগ দাও কিন্তু একই খাদ্য খেও না। তোমরা একত্রে গান গাও, নৃত্য কর এবং আনন্দে মেতে ওঠো, কিন্তু তোমরা প্রত্যেকে থেকো স্বতন্ত্র। কারণ বীণার প্রতিটি তার যদিও স্বতন্ত্র তবু একই সুরে তারা শিহরিত হয়’। তিনি বলেছেন আরো অনেক। প্রতিটি পংক্তিই ভাবতে বাধ্য করবে। এতোকাল পড়ে আসা কবিতার সাথে এই কবিতার কোন মিলই নেই। এগুলো যেনো কবিতা নয়, ঐশি বাণী। উপমাগুলো এতোটাই জুতসই যে, কোন খুঁত খুজে পাওয়া যায় না। কোন আরোপিত উপমা নেই, কোন বাহুল্য নেই, এক পরিপূর্ণ বার্তা।

কাব্যগ্রন্থটিতে একজন নবীর বয়ানে, বাণীগুলো বলা হয়েছে। নবী এগুলো বলেছেন আবার তাঁর অনুসারীদের জিজ্ঞাসার জবাবে। এগুলো জীবনের ধারাবাহিকতাও। যেমন ভালবাসা এর পরে আসে বিবাহ আবার বিবাহের পরে বলেছেন সন্তানের কথা। তিনি বলেছেন, ‘তোমার সন্তানেরা তোমার সন্তান নয়। তারা জীবনের জন্য জীবনের আকুল প্রত্যাশার পুত্র-কন্যা। তারা তোমাদের মাধ্যমে আসে, কিন্তু তোমাদের ভিতর জন্ম নেয় না এবং তারা যদিও তোমাদের সঙ্গে থাকে তারা তোমাদের সম্পদ নয়। তোমরা তোমাদের ভালোবাসা তাদের দিতে পারো, কিন্তু তোমাদের ভাবনা দিও না। তোমরা তাদের মতো হওয়ার চেষ্টা করতে পারো, কিন্তু তাদেরকে তোমাদের মতো করার চেষ্টা করো না। কারণ জীবন পশ্চাতপানে চলে না, ফেলে আসা দিনের জন্য দাঁড়িয়েও থাকে না। যে ধনুক থেকে জীবন্ত তীরের মতো তোমাদের সন্তানদের সামনের দিকে ছুঁড়ে মারা হয়, তোমরা সেই ধনুক। তার তীরগুলোকে দ্রুতবেগে বহুদূরে নিক্ষেপ করার জন্য ধনুর্ধর অসীমে লক্ষ্যস্থির করে তার প্রচন্ড শক্তি দিয়ে তোমাদের নত করে। তোমরা সেই ধনুর্ধরের হাতে আনন্দে আনত হও, কারণ সে যেমন পছন্দ করে দূরগামী তীর, তেমনি পছন্দ করে একটি সুস্থির ধনুক’। সন্তানদের সম্পর্কে পিতা-মাতার প্রচলিত ধারণা ও আচরণ পাল্টাতে এই মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বলা হয়, সেক্সপীয়র পৃথিবীর সবচেয়ে পঠিত লেখক এরপর চীনা ভাষার একজন কবি লাউজি‘র বই সবচেয়ে বেশি পঠিত হয়েছে এবং পৃথিবীর তৃতীয় পঠিত লেখক হলেন কাহ্‌লিল জিবরান। কাহ্‌লিল জিবরান এতো বেশি পঠিত হওয়ার প্রধান কারণই ‘দি প্রফেট’ কাব্যগ্রন্থ।

এক ধনবান ব্যক্তি নবীর কাছে দান করা বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, ‘তুমি যখন তোমার ধন-সম্পদ থেকে দান কর, তোমার সে দান এক ক্ষুদ্র দান। তুমি যখন আত্মত্যাগ কর তখনই তুমি আসলে দান কর। কারণ তুমি আগামীকালের প্রয়োজনের ভয়ে যা কিছু পাহারা দিয়ে রাখ, তাই তোমার ধন-সম্পদ’। এভাবেই জিবরান মানুষের ভেতরের চেতনাকে বদলে দেন প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে। প্রত্যেক মানুষেরই প্রয়োজন নিজেকে শাণিত করার জন্য জিবরানের ‘দি প্রফেট’ কাব্যগ্রন্থটি পড়া এবং নিজের সাথে বোঝাপড়া করা। কাব্যগ্রন্থটি বিষয়ে কবি নিজেই বলেছেন, ‘আমার ধারণা সেই লেবানন পর্বতে সর্বপ্রথম ‘দি প্রফেট’ এর কল্পনা আমার মাথায় আসার পর থেকে তা আমাকে আর ছেড়ে যায়নি। মনে হয় এ যেন আমারই এক অংশ’। এ ভাবনা শুধু জিবরানের একার নয়, প্রত্যেক পাঠকেরই ভাবনা হয়ে উঠে। প্রকাশককে দেয়ার আগে তিনি কাব্যগ্রন্থটির পান্ডুলিপি চার বছর নিজের কাছে রাখেন যাতে তিনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারেন যে, এর প্রতিটি শব্দ যেন তার সর্বোত্তম যা দেয়ার আছে ঠিক তাই হয়। আমেরিকানরা অনেকেই এটিকে ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা দিয়েই পাঠ করে।
শুধু ‘দি প্রফেট’ কাব্যগ্রন্থটিই নয় তাঁর রচিত ‘বালি এবং ফেনা’ কাব্যগ্রন্থটিও বহুল পঠিত। এই কাব্যগ্রন্থ দুটিরই বাংলাদেশে একাধিক অনুবাদ রয়েছে এবং পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ সবভাষাতেই অনুদিত হয়েছে। বাংলাদেশে খোঁজ করলেই বই দুটি অহরহই পাওয়া যাবে। জিবরান শুধু কবি নন যদিও ‘দি প্রফেট’ এর কারণে তাঁর কবিখ্যাতিই প্রধান। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পাকার এবং একই সাথে উঁচুমাপের একজন চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর। ‘দি প্রফেট’ কাব্যগ্রন্থটি জুড়ে তাঁর নিজের আঁকা অনেক ড্রয়িং রয়েছে।

জিবরান কি ‘দি প্রফেট’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে মানুষের মনের অসুখ ও চিন্তার বৈকল্য সারিয়ে তুলতে চেয়েছেন? তিনি কি মানুষের মৌলিক অনেকগুলো সংকটের সমাধান দিয়েছেন? উত্তর কিন্তু ইতিবাচকই। দি প্রফেট মানুষকে নতুন কিছু উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে যাতে মানুষ নিজেই নিজের সন্ধান পাবে। ‘দি প্রফেট’ কাব্যগ্রন্থটিকে একটি ঠিকানা বা লক্ষ্যস্থল বলতে পারি। তিনি সেই ঠিকানা এঁকেছেন কাব্যে, আমাদের মনে হবে তিনি একজন চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর বলেই তাঁর নিবিষ্ট দৃষ্টির প্রতিফলন এভাবে ঘটাতে পেরেছেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিষয়টা আসলেই তেমন।
কবিরা নবী হতে পারেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: কবিদের ক্ষমতা এক্ষেত্রে কম নয়।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা খুব সুন্দর- কবি যখন নবী হয়ে উঠেন

আপনার পোষ্ট আমার ভালো লাগে। কারন আপনি একজন আধুনিক মানুষ। আপনার মধ্যে কোনো প্রকার কুসংস্কার নেই।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। কুসংস্কার থেকে দূরে চলে এসেছি অনেকটা। আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

মাস্টারদা বলেছেন: (মার্জনা করিবেন) না পড়িয়াই মন্তব্য করিতেছি বলিয়া। (গ্রন্থখানি পড়িবার কাল স্থির করিয়া উঠিতে পারি নাই। তাই আপনার বাক‍্যের শব্দালঙ্কারে পাছে মূল আর্কষণের ছন্দ প্রকাশিত হইয়া যায়।) আমার "অবশ‍্য পাঠ‍্য" তালিকার অন‍্যতম গ্রন্থ এটি।
না পড়িয়াই এত কথা পাড়িবার হেতু হইল:
ইত‍্যবসরে জনাব সত‍্যেন সেনের "অভিশপ্ত নগরী" পড়িয়াছি। বাইবেলের ঘটনা উপজীব্য করিয়া লিখিয়াছেন সুখপাঠ‍্য উপন‍্যাস খানা। পড়িবার আহ্বান জানাইব..না পড়িয়া থাকিলে চাকিয়া দেখিতে পারেন।

উহার পরবর্তী ক্রম "পাপের সন্তান"এর পাঠ চলিতেছে। উহা সমাপ্ত করিয়া পরবর্তীকালে "দ‍্য প্রফেট" পড়িব, ইহাই আকাঙ্ক্ষা করিতেছি যদি ফেইট (fate) সদয় দৃষ্টিপাত করে।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২১

স্থিতধী বলেছেন: আমার প্রিয় একজন দার্শনিক কাহলিল জিবরান। বিশেষত তাঁর ভালোবাসা আর সন্তান পালন বিষয়ক উদ্ধৃতিগুলো সকল শিক্ষিত মানুষের অবশ্যপাঠ্য।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
অশিক্ষিত মানুষেরও জানা দরকার। মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবে সময়ের পার্থক্যটা। সন্তান সম্পর্কে ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিবে।

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৯

রাশিয়া বলেছেন: নবী তিনিই হবেন, আল্লাহ্‌ যাকে সিলেক্ট করবেন। তিনি কোন বই নিজে লিখবেন না, আল্লাহর লেখা বই তিনি পড়বেন। তিনি বরং তার কাজকর্ম এবং আচার আচরণ দ্বারা মানুষের কাছে অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয় হয়ে থাকবেন।

যেমন ধরুন রবীন্দ্রনাথ। তার গল্পগুচ্ছ এবং গীতবিতানকে যদি ধর্মগ্রন্থ ধরেন, অনেক মূল্যবান ধারণা আর জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। কিন্তু ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নিছক এক অত্যাচারী প্রজাপীড়ক জমিদার এবং দখলদার ইংরেজদের ক্রীড়নক। তার ৮০ বছরের জীবনে এমন কিছু নেই, যা অন্যের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। অথচ ঈসা (আ) এর জীবন দেখুন। মাত্র ৩৩ বছরের জীবনে তিনি কত কিছু করে গেছেন!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: সম্রাট কন্সন্টানটাইন খৃস্ট ধর্মকে পুনর্জিবিত না করলে কি হতো? যিশুর নাম কি জানতেন?
কাহলিল জীবরান যে বইটি লিখেছেন তার নাম দ্য প্রফেট। কি করবো বলুন।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষন। অনেক ভালো লেগেছে। প্রিয়তে রাখলাম।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: ভালবাসা।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষণ | একজন মানুষের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অনেক মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কবি বা তার প্রফেট |

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: বাস্তবিক এমন লেখা পড়ে ভাবনায় পড়তে হয়, কিভাবে এমন গভীর ভাবে লিখতে পারেন?

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সম্রাট কন্সন্টানটাইন খৃস্ট ধর্মকে পুনর্জিবিত না করলে কি হতো? যিশুর নাম কি জানতেন?
কাহলিল জীবরান যে বইটি লিখেছেন তার নাম দ্য প্রফেট। কি করবো বলুন।

বুদ্ধিদ্বীপ্ত দারুণ উত্তর। ভালো লাগলো।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.