নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাংস খাওয়া নিয়ে কত কাণ্ড ঘটে

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১


শূকর গোরু দুইটি পশু
খাইতে বলেছেন যিশু
শুনে কেন মুসলমান হিন্দু পিছেতে হটায়
পাপ পুণ্যের কথা আমি কারে বা শুধাই।
এক দেশে যা পাপ গন্য অন্য দেশে পুণ্য তাই।

ধর্মের দোহাই দিয়ে কেউ গোরু খায় না, কেউ শূকর খায় না, কেউ কচ্ছপ খায় না, কেউ উট খায় না ... ... কিন্তু বিজ্ঞান দেখে শরীরের জন্য কোনটা কতটা ক্ষতিকর আর কতটা উপকারী।
আজকাল আবার ইস্কন জেগে উঠেছে, তারা নাকি সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী। ভাগ্যিস তারা সয়াবীজ, পনির, ডাল খেয়ে আমিষের অভাব কিছুটা পূরণ করে বলে বেঁচে যায়। এরপরেও বিপুল ঘাটতি থেকে যায় অবশ্যই। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ এমনিতেই পৃথিবীর সবচেয়ে কম মাংস খাওয়া মানুষ। পুষ্টির অভাবেই এখানকার মানুষ খর্বকায়. ক্ষীণকায়। জাপানের মানুষ আগে খর্বকায় ছিল এখন উপযুক্ত পুষ্টিমানের খাবার খেয়ে তারা দীর্ঘদেহী হয়ে উঠছে। এটা চীনাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। চীনারাতো কুকুর, সাপ, কীটপতঙ্গ পর্যন্ত খেয়ে পুষ্টির অভাব পূরণ করেছে। কদিন আগে একজন একজন পরিচিত শিক্ষক বললেন, নিরামিশ খেলে শরীরে সৌম্যভাব আসে তাই তিনি আমিষ খান না। আমি জানি ওনি মাদকাসক্ত। ওনার মধ্যে সৌম্যভাব নয়, পুষ্টিহীনভাবটাই স্পষ্ট ছিল। কিছু মানুষ গোরু না খাওয়ার মধ্যেও বিজ্ঞান নিয়ে এসেছে, শূকর না খাওয়ার মধ্যেও বিজ্ঞান নিয়ে এসছে, মাংস না খাওয়ার মধ্যেও বিজ্ঞান নিয়ে এসেছে। এক বন্ধু কিছুদিন আগে বলেছিল, মাংস খেলে শরীরে পোকা হয়! আমি বলেছিলাম, আপনি ইস্কন করেন? সে অস্বীকার করেছিল বটে। পরে জানলাম, ইসকনের সাথে সংযোগ আছে। তবে এসব অবৈজ্ঞানিক কথা দিয়ে মানুষকে আরো বিভ্রান্ত করে প্রতারক ভণ্ডরা। যে প্রাণীর মাংস খেয়ে এক ধর্মের লোক দিব্যি সুস্থ সবল রয়েছে, তা খেয়ে অন্য ধর্মের মানুষের কোন ক্ষতি হবে না। বিভিন্ন কুসংস্কারের কারণেই বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বিভিন্ন প্রাণী ভক্ষণ করে না। এসবে বিজ্ঞানভিত্তিটা দেখতে চাই।

সম্প্রতি ইসকনপন্থীদের কাছ থেকে শুনছি গ্রীন হাউজ এফেক্টের জন্য মূলত দায়ি নাকি ক্যাটেল ফার্মগুলো। সেখান থেকে উৎপাদিত কার্বন গ্যাসের কারণেই নাকি ফুটো হয়ে যাচ্ছে ওজন স্তর। ফলে পশুপাখি উৎপাদন বন্ধ করে মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিলেই ওজন স্তরের ফুটো বন্ধ হবে। অথচ আমরা জেনে আসছি জীবাশ্ম জালানীর কথা। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় মানুষ সৃষ্ট গ্রীনহাউজ গ্যাসের ঘনত্বের বৃদ্ধি। জীবাশ্ম জ্বালানীর দহন, বন উজাড়, সিমেন্ট উৎপাদন ইত্যাদি দ্বারা কার্বন ডাই-অক্সাইডের উৎপাদন। শিল্প, পরিবহন, এয়ার কন্ডিশন করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, রান্নার জ্বালানী ইত্যাদিতে জীবাশ্ম জ্বালানী যেমন- প্রেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, লুব্রিক্যান্ট, কয়লা, গ্যাস ইত্যাদির ব্যবহার। বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বনডাই অক্সাইড বৃদ্ধির ৬৫% আসে জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে আর ৩৫% আসে বৃক্ষনিধন, বন উজাড়ের কারণে। ১৭৫০ সালের শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বায়ুমণ্ডলে গ্রীনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মাত্রা এখন আরো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে গোরু-ছাগলের বর্জ্যের ভূমিকা কি? সামান্য আছে। এতে বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাস বৃদ্ধি পায়। গ্রীনহাউজ গ্যাসের ৯৯% এর বেশি কার্বনডাইঅক্সাইড! যেখানে বায়ুমণ্ডলে ৪১৭ পিপিএম আছে কার্বনডাইঅক্সাইড আর মিথেন আছে মাত্র ১.৮ পিপিএম! মিথেন গ্যাস বৃদ্ধির কারণ যাবতীয় কৃষিকাজ, পশুপালন, বর্জ্য/পচনশীল বস্তু মাটিচাপা দেয়া ইত্যাদি। অথচ এই গ্রীনহাউজ এফেক্টের অজুহাত তুলে মাংস খাওয়া বন্ধের পক্ষে তারা প্রচারণা চালাচ্ছে। এমনকি গোরুর নিশ্বাসের কারণে সৃষ্ট কার্বনডাইঅক্সাইডেও নাকি ওজন স্তুর ফুটো হয়ে যাচ্ছে! গোরুর জন্য যে ঘাস লাগানো হয় তাতেও যে অক্সিজেন তৈরি হয় সেটাও অন্তত বলতে পারে। যাবো কোথায়? ইউটিউবে ভুয়া প্রচারণার সীমা নাই।

গোরুর মাংসের বিরুদ্ধে প্রচারণাও অনেক। গোরুর মাংসে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টি পুষ্টি উপাদন রয়েছে যথা- প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি টুয়েলভ, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, আয়রন ও রিবোফ্লাভিন। প্রোটিন পেশি গঠন করে, জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের শক্তি বাড়ায, আয়রণ শরীরের পেশিতে অক্সিজেন প্রবাহে সহায়তা করে, ভিটামিন বি টুয়েলভ খাদ্য থেকে শক্তি যোগান দেয় ইত্যাদি। উচ্চ প্রোটিন থাকায় ডাক্তারগণ কম খেতে বলে। দৈনিক ৮৫ গ্রামের বেশি গোরুর মাংস না খাওয়ার কথা বলা হয়। হিন্দুরা যেমন গোরুর মাংসের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রচার করে আবার মুসলিমরাও একইভাবে শূকরের মাংসের বিরুদ্ধে প্রচার করে। মুসলিম ও ইহুদীরা শূকরের মাংস খায় না। বাকিরা কমবেশি খায়। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় ৮০% মানুষ শূকরের মাংস খায়। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলো অনবরত শূকর সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য প্রচার করে। lifehealthdoctor.com এ বলা হয়েছে শূকরের মাংস উচ্চ গুণমানের প্রোটিনের সেরা খাদ্য উৎসগুলোর মধ্যে একটি।স্যাচুরেটেড ফ্যাট শুকরের মাংসের তুলনায় গরুর মাংসে বেশি থাকে। ফার্মে পালিত গরু-শূকরের মাংসে কৃমি থাকে না, তাই ওগুলো খাওয়া নিরাপদ। কচ্ছপ বিপন্ন প্রাণি বলে খাওয়ার পক্ষে বলতে পারি না তবে বিজ্ঞান এর মধ্যে ক্ষতিকর কিছু পায়নি। বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন প্রাণির মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। ধর্মের অনুসারীরা সাধারণত তা মেনে খাওয়া থেকে বিরত থাকে। অনেকের রুচি হয় না। দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এমন নিষিদ্ধের কারণে মানুষও ভূগেছে পুষ্টিহীনতায়।

বি.দ্র.: প্রথম পাঁচটি লাইন লালনের গান থেকে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন কিছু নয়, ব্যাখ্যা ম্যাখ্যাও ইনটারেষ্টিং নয়।

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

মুজিব রহমান বলেছেন: হয়তো কারো কাছে নতুন, কারো কাছে ইন্টারেস্টিং।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বাংলা একাডেমির সংশোধিত শব্দ গরু হয়েছে গোরু। এ নিয়ে আমাকে এক সময় অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। যাক, বাদ দেই সেসব কথা। গোরু শব্দটা আমার কাছে আরোপিত মনে হয় সব সময়।
ধর্মে যে যাই বলুক, পুষ্টির চাহিদায়, বিশেষ করে আমিষের জন্য মাংসের বিকল্প নেই। ডাল, পনির, সয়াবিন এসব দিয়ে তো আর পূর্ন চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।
বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা ভাবনা। সাধুবাদ জানাই।

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। বাংলা একাডেমিকে গ্রহণ করতে চাই। গরুর চেয়ে গোরু উচ্চারণের সাথে বেশি মিলে।
বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়ানোর জন্যই বিজ্ঞান নিয়ে পোস্টগুলো দেই। আমরা চেষ্টা করলে হয়তো সমাজ বদলাবে।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। বাংলা একাডেমিকে গ্রহণ করতে চাই। গরুর চেয়ে গোরু উচ্চারণের সাথে বেশি মিলে।
বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়ানোর জন্যই বিজ্ঞান নিয়ে পোস্টগুলো দেই। আমরা চেষ্টা করলে হয়তো সমাজ বদলাবে।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: যেটা খেতে মজা, আমার ভালো লাগে সেটা আমি খাবোই। ধর্মের দোহাই দিয়ে আমাকে আটকে রাখা যাবে না। হে হে---

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: যারা দেশের বাইরে থাকেন তারাতো দেখি খায়ই।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি নিরামিষাশী হতে চেষ্টা করে সফল হইনি । আমি মাংসাশী । মাংস এবং মাছ দুটোই খাই । ব্যালান্স করতে সবজি এবং অন্যান্য ডাল জাতিয় জিনিষ খাই । স্বাস্থ্যগত কারনে চর্বি একদম বাদ । যারা নিরামিষাশী তাদের আমার পন্থা চাপিয়ে দিই না আবার তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিই তাদের পছন্দে । আমরা শিশুকাল হতে যা খেয়ে অভ্যস্ত তাই নিত্য দরকার হয় শারিরিক চাহিদায় । পরিবর্তন করলেই সমস্যা দেখা দেয় । মুল বিষয় আপনি নুন্যতম পুষ্টি গ্রহন করছেন কিনা , শর্করা , প্রোটিন , খনিজ সব মিলিয়ে ।

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমাদের শরীর কয়েক লক্ষ বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে আজকের অবস্থায় এসেছে। শরীরে আমিষ, শর্করা, ভিটামিন ইত্যাদি দরকারই। বাদ দিলে শরীর আর সুস্থ্য থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি রেডমিট খাওয়া বাদ দিয়েছিলার।পরে ডাক্তার বলাতে মাঝে মাঝে খাই।স্বাস্থসম্মত সুষম খাদ্য খাওয়াই ভাল।
হালাল হারাম ধর্মীয় বিষয়।পৃথক দেখানোর জন্যই বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন রকমের খাদ্য।

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩০

মুজিব রহমান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
ধন্যবাদ। বাস্তবিক নিজেদের আলাদা প্রমাণের জন্যই এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

একটি মুরগী আল্লাহর নাম নিয়ে জবেহ করা হলো।
আর আরেকটি মুরগী কারো নাম না নিয়েই জবেহ করা হলো।

এর পর মাংসগুলো যদি কোন ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় তাহলে কি বিশেষ কোন তফাৎ পাওয়া যাবে?

ব্যাখ্যা করুন , প্লিজ।

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ইসলামি ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। ওরা ওদের সুদ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উদাহরণটি দিয়েছিলেন। অন্য ব্যাংক সুদ বলে বলেই তারা হারাম আর ইসলামি ব্যাংক লাভ বলে বলেই হালাল। এসব হাস্যকর এবং মানুষ ঠকানো ছাড়া আর কি?
বাস্তবিক মাংসের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। পুণ্যি আর গুনাহের ব্যাপার দাবি করা হয়। একেক ধর্মের একেক বিধান েএকেক স্রষ্টা পাঠিয়েছে।

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫১

এমেরিকা বলেছেন: শুকরের মাংসে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের পরিমাণ অত্যধিক বেশি থাকে, সবসময় কাঁদায় গড়াগড়ি খাবার জন্য এদের শরীরে প্রচুর ক্ষতিকর জীবাণু বসবাস করে যা সিদ্ধ করলেও পুরোপুরি ধ্বংস হয়না। ইসলাম ধর্মে শুকর হারাম কারণ কুরআনে সরাসরি নিষেধ করা আছে। তাই শুকরের মাংসে দুনিয়ার সমস্ত পুষ্টি উপাদান থাকলেও ন্যুনতম ঈমান আছে, এমন কোন ব্যক্তি শুকর ছুঁয়েও দেখবেনা। ইহুদী ধর্মে শুকর নিষিদ্ধ মূলত তাদের অগ্রহণযোগ্য যৌন জীবন যাপনের জন্য। তাঁদের বিশ্বাস শুকরের মাংস খেলে সেরকম যৌন বিকৃতি মানুষের মধ্যেও দেখা দেবে।

তবে ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে আপনার ধারণা পুরোপুরি ভুল। কনভেনশনাল সুদী ব্যাংকের সাথে ইসলামী ব্যাংকের অবশ্যই কিছু না কিছু পার্থক্য আছে, তা না হলে যে বিশাল গ্রাহক শ্রেণী ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর সেবা গ্রহণ করে, তাদেরকে বেশিদিন ধোঁকা দেয়া সম্ভব হতনা। মুদারাবা, মুশারাকা, দায়ী, শিরকাতুল মুল্ক - এই টার্মগুলোর সাথে পরিচয় হলে ইসলামী ব্যাঙ্কিং সম্পর্কে ভুল ধারণা ভাঙবে আশা করি।

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। এখনতো শুকর খামারেই পালন করা হয়। কোথায় পাবে কাদা আর ময়লার ভাগাড়।

ইসলামী ব্যাংকের দর্শন নিয়ে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও বলতেন কথার মারপ্যাচ ছাড়া পার্থক্য নেই।

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৯

জিকোব্লগ বলেছেন: আপনি কি শূকরের মাংস খান ?

১২ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে আসলেন?

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এমেরিকা বলেছেন: শুকরের মাংসে দুনিয়ার সমস্ত পুষ্টি উপাদান থাকলেও ন্যুনতম ঈমান আছে, এমন কোন ব্যক্তি শুকর ছুঁয়েও দেখবেনা।

নূন্যতম ঈমান আছে এমন কোনো ব্যক্তি কি ঘুষ খেতে বা পরের হক মারতে পারবে ?

আপনাকে প্রশ্নটি করার কারণ হচ্ছে, এই প্রশ্নটি অনেককে করে আমি সদুত্তর পাইনি। এই প্রশ্নটি করলে অনেকেই এটি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আর বলাৎকার করার ক্ষেত্রেতো ঈমানকে দূরে রেখে ওরা শুধু দণ্ডের কথাই ভাবে। বিস্ময়কর নষ্ট মানসিকতা।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৪

এমেরিকা বলেছেন: @স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, নূন্যতম ঈমান আছে এমন কোনো ব্যক্তি ঘুষ খেতে বা পরের হক মারতে পারবেনা। ঘুষ সম্পর্কে কুরআনে কিছু বলা না থাকলেও হাদীসে দাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই পরিষ্কার জাহান্নামী বলা আছে। যার মধ্যে জাহান্নামের ভয় আছে, সে কিভাবে ঘুষ খেতে পারে? আপনি খুলাফায়ে রাশেদার ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই দেখতে পারবেন, ইনাম, পুরষ্কার বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা কি কঠোর নো টলারেন্স এটিচিউড দেখিয়েছেন! তারপরেও অনেক কাজ আছে, ঘুষ না দিলে যা হবেই না। সরকারী অফিসে ঘুষ না দিলে কাজই হয়না, কোথাও অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যায়না, উপরন্তু হয়রানির শিকার হতে হয়। এরকম ক্ষেত্রে যেখানে ঘুষ দেয়া ছাড়া কোন উপায়ই নেই, সেখানে ঘুষ দিয়ে আবার সাথে সাথে তওবা করতে হয়। আল্লাহ্‌ তো পরিস্থিতি বুঝেন, তিনি মাফ করে দিতেই পারেন।

পরের হক নষ্ট করার ব্যাপারে পরকালে আল্লাহ্‌র বিচার এইরকম - যার হক নষ্ট করা হল, তাকে অভিযুক্তের পুণ্য দিয়ে দেয়া হবে। এভাবে সমস্ত পুণ্য ফুরিয়ে গেলে তার পাপের বোঝা অভিযুক্তের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। কি সুন্দর ন্যায়বিচার। কাজেই পরকালে বিশ্বাস রাখে এরকম কোন ব্যক্তির পক্ষে কি অন্যের হক মারা কোনভাবেই সম্ভব?

কাজেই, ঘুষ খাওয়া বা হক নষ্ট করা একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব, যার ন্যুনতম কোন ঈমানও নেই। সে নামাজ পড়তে পড়তে যদি কপালে ফোস্কা ফেলে দেয় - তারপরেও। সবসময় যদি টাখনুর উপর জুব্বা পরে ঘুরে বেড়ায় - তারপরেও।

@স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, আপনি কি সদুত্তর পেয়েছেন? আমি কিন্তু কোন কৌশলে আপনার প্রশ্ন এড়িয়ে যাইনি।

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @এমেরিকা:
ধন্যবাদ একটি বিষয়ে অপকটে সত্য স্বীকার করার জন্য যে, ঘুষ খাওয়া বা হক নষ্ট করা একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব, যার ন্যুনতম কোন ঈমানও নেই।

কিন্তু আমরা ঘুষ ও দুর্নীতিতে এটি অভস্ত্য হয়ে গেছি যে, বাহ্যিকভাবে অতি ধার্মিক হলেও ঘুষ ও দুর্নীতির প্রশ্নে আমরা ঠনঠন।

ঘুষ ও সততা সম্পর্কে কুরআনে একটু ঘুরিয়ে বলা আছে, কুরআনে অনেক কিছুই এমনভাবে বলা আছে যার অন্তর্নিহিত অর্থ অনুধাবন করতে হয়।

সূরা Al-Baqarah (2:188)

وَلاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُواْ بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُواْ فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
And do not eat up your property among yourselves for vanities, nor use it as bait for the judges, with intent that ye may eat up wrongfully and knowingly a little of (other) people's property.


সূরা Al-Baqarah (2:177)
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّواْ وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَـكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْمَلآئِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّآئِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُواْ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاء والضَّرَّاء وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَـئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
It is not righteousness that ye turn your faces Towards east or West; but it is righteousness- to believe in Allah and the Last Day, and the Angels, and the Book, and the Messengers; to spend of your substance, out of love for Him, for your kin, for orphans, for the needy, for the wayfarer, for those who ask, and for the ransom of slaves; to be steadfast in prayer, and practice regular charity; to fulfil the contracts which ye have made; and to be firm and patient, in pain (or suffering) and adversity, and throughout all periods of panic. Such are the people of truth, the Allah.fearing.

১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

এমেরিকা বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, আমি কুরআন হাদীসের রেফারেন্স দেইনি এই কারণে যে এ সম্পর্কে সবাইই কমবেশি জানে। তারপরেও আপনি কষ্ট করে কুরানের দুটি চমৎকার আয়াত তুলে দিলেন বলে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তবে সেইসাথে আশ্চর্য হচ্ছি এই ভেবে যে এত সহজ সদুত্তর অন্য সবাই এড়িয়ে গেল কেন? সততার শক্তি নেই বলে, নাকি নিজে সৎ নয় - সেকথা স্বীকার করার সাহস নেই বলে! আমি আলহামদুলিল্লাহ (বয়েস ৩৩) এখন পর্যন্ত কোথাও কোন কাজেই কাউকে ঘুষ দেইনি (তবে পেনাল্টি দিয়েছি, সেটা আশা করি অন্যায় নয়), আল্লাহ্‌র রহমতে বেশ সচ্ছল আছি। জেনেশুনে অন্তত কারো কোন হক মারিনি। তবে এটা ঠিক যে সবাই আমার মত সৌভাগ্যবান নন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.