নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্রের জন্য আমরা আন্দোলন করিনি?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫


আমাদের আন্দোলনগুলো গণতন্ত্রের জন্য ছিল না বলেই আমাদের অধিকারগুলো সুসংহত হয়নি। সুষ্ঠুধারার গণতন্ত্র ও অধিকার আমরা কি করে দাবি করতে পারি? সম্ভবত আমরা সেটা জোরালোভাবে চাইনি, তাই পাইনি। আমরা বড়জোর ব্যাক্তির বিরুদ্ধে, রা্ষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। বৃটিশ হটাও, পাকিস্তান হটাও, আইয়ুব খান হটাও, এরশাদ হটাও, খালেদা হটাও আন্দোলন করেছি। এসব আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য গণতন্ত্র ছিল না। ফলে এক জনের পরিবর্তে আরেকজন ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু গণতান্ত্রিক আচরণ আর আসেনি।

১৭৭০ এর দশকে ফকির ও সন্ন্যাসীদের নেতৃত্বে পরিচালিত ফকির-সন্ন্যাসী আন্দোলন ছিল তাদের জীবন বাঁচানোর আন্দোলন। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের বিভিন্ন কারণ ছিল কিন্তু সেখানে গণতন্ত্রের কোন বিষয় ছিল না। সর্বোচ্চ বলতে পারি এগুলো ছিল বৃটিশবিরোধী আন্দোলন। স্বদেশী আন্দোলন এর (১৯০৫-১৯১১) ক্ষেত্রে মুসলমান কৃষকদের সম্পৃক্ততা ছিল নেতিবাচক। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে কলকাতার এলিট শ্রেণির আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করা। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়। এরপর বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা হতে থাকে।দেশ জুড়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন চলে।হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা হয়। দুটি দলের হাতেই ভারত পাকিস্তানকে দেয়া হয়। ভারত ভাগের সময়ে অনেকগুলো ঐতিহাসিক কিন্তু আঞ্চলিক আন্দোলন দেখি। তেভাগা আন্দোলন (১৯৪৬-১৯৪৭) মুখ্যত সীমাবদ্ধ ছিল উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলার উপজাতি, রাজবংশী, সাঁওতাল এবং গারোদের মধ্যে। নানকার বিদ্রোহ সিলেট অঞ্চলের একটি কৃষক-আন্দোলন, যা ১৯৪৯ সালে সংগঠিত হয়। ভূমিদাসদের নানকার বলা হতো। ১৯৪৯ সালে ইলা মিত্রের নেতৃত্বে সমগ্র নাচোলে তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। নাচোলের কৃষকরা বিশেষ করে সাঁওতালরা ছিল এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি। টঙ্ক আন্দোলন ১৯৫০ সালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের এক ধরনের খাজনা বাতিলের আন্দোলন ছিল। এরপর বাংলার গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন যা মূলত বাংলা ভাষা রক্ষার আন্দোলন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা না দেয়ার প্রেক্ষিতে আন্দোলন রূপ নেয় স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং বাংলাদেশের জন্ম হয়।

এরপরে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন হয় এরশাদকে সরানোর জন্য। এরশাদের কাছে সুষ্ঠু ভোটের চেয়ে তাকে হঠানোই ছিল মূল লক্ষ্য। এরশাদকে হঠানো গেলেও ১৯৯৬ সালেই গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে দুর্বল করা হয়েছে। আমরা মিথ্যার ফুলঝুড়িই শুনেছি, যা দেখেছি তা বলতে পারিনি, যা হচ্ছে তা স্বীকার করতে পারিনি। মিথ্যার পক্ষেই রয়েছে সিংহভাগ মানুষ। কখনো এ দলে কখনো ওই দলে। বাকিরাও একই রকম। তারা কেউই প্রকৃত পক্ষে গণতন্ত্র চায়নি, ক্ষমতা চেয়েছে। শুধু জনগণই নয়- আমাদের মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, পেশাজীবী কেউই দলাদলি ও দালালির বাইরে যেতে পারেনি। তারাও গণতন্ত্র নয়, চায় তাদের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসুক যাতে লুটেপুটে খেতে পারে।

জনগণ সক্রিয় ও সম্পৃক্ত না থাকলে গণতন্ত্র সুসংহত হতে পারে না। আবার জনগণকে সম্পৃক্ত রাখতে না পারলে রাষ্ট্রের অগ্রগতিও জনমুখি হতে পারে না। গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে উঠা সহজ নয়। ব্যাক্তি বদল কোন লাভই নিয়ে আসবে না যদি না জনসম্পৃক্ততার জন্য সুষ্ঠু গণতন্ত্র না আসে, সুষ্ঠু ভোট না আসে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তান থেকে বের হওয়ার মুলে "গণতন্ত্র" ছিলো না; আজও মানুষ দলের বিপক্ষে কথা বলছে, কেহ গণতন্ত্র চাচ্ছে না; কারণ কি?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৯

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের নাগরিকগণ বেজায় অসচেতন। তারা গণতন্ত্রের সুবিধা এখনো বুঝতে শিখেনি। ধর্মান্ধতা, দলান্ধতা আর অজ্ঞতা নিয়েতো গণতন্ত্রের সুবিধা উপলব্ধি হয় না। আবার সমাজের অগ্রসর মানুষদের দায়িত্ব থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবাদর্শ গড়ে তুলতে। আমাদের শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীরা সেটা না করে সামান্য দালালি করে কিছু সুবিধা নিতে ব্যস্ত।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের নাগরিকগণ বেজায় অসচেতন। তারা গণতন্ত্রের সুবিধা এখনো বুঝতে শিখেনি। ধর্মান্ধতা, দলান্ধতা আর অজ্ঞতা নিয়েতো গণতন্ত্রের সুবিধা উপলব্ধি হয় না। আবার সমাজের অগ্রসর মানুষদের দায়িত্ব থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবাদর্শ গড়ে তুলতে। আমাদের শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীরা সেটা না করে সামান্য দালালি করে কিছু সুবিধা নিতে ব্যস্ত।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আন্দোলন করে হাজার হাজার মানুষ। লাভবান হয় অল্প কিছু মানুষ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের আন্দোলনের ফসল আমরা ঘরে তুলতে পারিনি। নুর হোসেন আত্মদান ব্যর্থ হয়ে যায় আমরা সবসময় সোচ্চার থাকতে পারি না বলেই।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন যে দিনের ভোট রাতে হয় মরা মানুষও ভোট এটার জন্য কি আন্দোলন দরকার আছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা আমাদের জন্য আন্দোলন করতে পারিনি। দলান্ধ ও ধর্মান্ধ মানসিকতা থেকে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন ছাড়া কেউ আপনার জন্য একচুল জায়গাও ছাড়বে না।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কি ধরনের গনতন্ত্র প্রেফার বা সাজেসট করেন ।


সেনা সংশ্লিষ্ট পারিবারিক গ্রুপগুলো এখন ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে বা কি পয়েন্টে । তারা ক্রমে সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে আর বাকি আম পাব্লিক এখন ব্লাডি সিভিলিয়ান । এই ধরনের পরিস্থিতিতে আপনি কোন কিছুই আশা করতে পারেন না শাট আপ হয়ে বসে থাকা ছাড়া । আমি চাই ফ্রেশ প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেমে চলে যাওয়া । সেখানে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ন্যুনতম পি এইচ ডি দের দেখতে পাবেন । এছাড়া এই সুচিন্তিত সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি নেই ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: কোন সিস্টেমই সমস্যা নয়। শাসনে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকলে অর্থাৎ সুষ্ঠু ভোট হলে সমস্যা থাকে না।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবাই গণতন্ত্র চায়, কিন্তু কোন দলই গণতান্ত্রিক প্রতিঠান হিসেবে গড়ে তুলেনি।

পরিপুর্ন গণতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। এটা একদিনে হয়না,
বাংলাদেশে অনেক দল উপ দল। বহু ত্রূটি সত্তেও আওয়ামীলীগই দেশের একমাত্র গণতান্ত্রিক দল। যাকে একটি পুর্নাংগ রাজনৈতিক দল বলা যায়।

আমাদের প্রধান বিরোধী দল গণতান্ত্রিক নয়।
এই দল অনান্য গণতান্ত্রিক দলের মত স্বাভাবিক ভাবে তৈরি হয় নি।
হত্যাকান্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দলছুট চোরচোট্টা ভাগিয়ে এনে একটি দল গঠন, এরপর পাকিস্তান থেকে জামাতিদের ডেকে এনে ব্যাবসা বানিজ্জ দিয়ে প্রতিষ্টিত করা, এরপর সীমিত ঘরোয়া রাজনীতির পারমিশন দিয়ে ত্কথাকথিত বহুদলীয় গণনন্ত্র।
এদের রাজনীতি এখনো হত্যা নির্ভর। এরা আবার কোনভাবে একবার ক্ষমতা পেলে ১৫ই আগষ্টের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা করবে।

আওয়ামী বিরোধিরা "মুজিব হত্যা সমর্থন, আলবদর সমর্থন" বাদ দিয়ে যতবার একটি সুসম উদার রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করেছে, ততবার জামাতি অর্থে বিক্রি হয়েছে। ৩% দলকে ২৫% অংশ দিয়ে দিয়েছে।
২০১৮তে মান্না বদরুদোজা ড.কামাল ভাল ভাবেই মানসিক শক্তি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল, অনেক শক্ত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু একদম শেষ দিকে অজ্ঞাত কারনে রাতের আধারে বদ্রুদ্দোজার দলকে নাটকিয় ভাবে মায়নাস করে দেয়া হল। কিছুদিন পর জামাতকে ডেকে ২৫ সিট দিয়ে দেয়া হল। যেখানে মান্নার দল, জোট নেতা ড.কামালের দলও তো এত সিট পায়নি।
ভেস্তে গেল সুষ্ঠ ধারার রাজনীতি।
আওয়ামী বিরোধিরা এত বিপুল সমর্থক থাকার পরও কোন সুষ্ট রাজনৈতিক একটি গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম স্থায়ী করতে পারলো না, সেটা একটা দুর্ভাগ্য।



১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনার দলান্ধ মানসিকতার প্রকাশই করলেন। এটার কথাই বলেছি যে, এদেশের অধিকাংশ মানুষ দলান্ধ। তারা দলের জন্য দেশকে বিকিয়ে দিতে পারেন। আপনাদের ভয়ানক মানসিকতার ফলেই আজ নির্বাচন ব্যবস্থা সংকটে পড়েছে। মনপ্রকাশ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রাজনীতি হল অর্থনীতির বহিরাবরন।অর্থনীতি যেমন হবে মানুষের চিন্তা ,চেতনা,রাজনীতি,সংস্কৃতি তেমন হবে।অর্খনীতি যখন সামন্তবাদী তখন পৃথীবিতে কি কোন রাষ্ট্র ছিল।রাষ্ট্র হল পুঁজিবাদী অর্থনীতির শৃষ্টি।৭১ এর অগে পূর্ব বাংলাও কোন রাষ্ট্র ছিল না।এটা ছিল পাকিস্তানের উপনিবেশ।মুজিব ভাসানী বুঝতে পারলেও আমাদের বামপন্থী নেতারা বুঝতে পারে নাই।তাই তারা অন্ধকারের কানা গলিতে হারিয়ে গেছেন।এখন তাদের হারিকেন নিয়ে খুঁজতে হয়।
সিপাহি বিদ্রোহের সময় গনতন্ত্র আসে কোথাথেকে,তখন তো রাষ্ট্রই নাই,তার আবার গনতন্ত্র কি? গনতন্ত্র হয় রাষ্ট্রে, উপনিবেশে হয় না।উপনিবেশে হয় স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ।
গনতন্ত্রের পূর্বশর্ত গনতান্ত্রীক দল।গনতান্ত্রীক দলই নাই,গনতন্ত্র হবে কোথাথেকে।আগে দলগুলোকে গনতান্ত্রীক হতে হবে,নয়তো আন্দোলন ব্যর্থতা,আবার আন্দোলন আবার ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকবে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: মোগল সাম্রাজ্যও রাষ্ট্রই। সেখানে রাষ্ট্রের সবগুলো বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান ছিল। কিউবা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে চলে বলে রাষ্ট্র হবে না কেন?

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের আন্দোলন গুলো হয়, কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
গণতন্ত্র সুসংহত কিভাবে হয় তা আমরা জানি না। ব্যক্তির পরিবর্তন আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

১৯৯০ সালের এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এর ফলাফলটা আমার কাছে আদ্ভুত লাগে।
বলা হয় তিনি গণঅভ্যত্থানে ক্ষমতা ছেড়েছেন।
সেই তিনিই আবার নির্বাচন করলেন।
তাকে তো নির্বাচন করতে দেয়া ঠিক হয়নি।

নির্বাচনে তিনি ৩৫ টি সিট পান।
যেটা অনেক বড় সাফল্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: তিনি যত বড় অপরাধ করেছিলেন তার সে তুলনায় শাস্তি হয়নি।

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সাম্রাজ্য আর রাষ্ট্রের পার্থক্য আগে জানুন। মোটাদাগে,সাম্রাজ্যের কোন সংবিধান নাই,কোন সিমা নাই,জোরে যতটুকু দখল করতে পারে ততটুকুই তার রাজ্য।তার একজন রাজা থাকে,না মরা পর্যন্ত বা তাকে পরাজিত না করা পর্যন্ত তিনিই রাজা।
রাষ্ট্রের একটা সংবিধান থাকে,নির্দিষ্ট ভূখন্ড থাকে একটা সরকার থাকে নির্দিষ্ট জনসংখ্যা থাকে।
কিউবা রাষ্ট্র হবে না কে আপনাকে বলেছে?
জানিনা আপনি বাম পন্থী না ডান পন্থী ।লেখা দেখে মনে হয় ডান পন্থী।
বাম পন্থী হলে মৌলিক বিষয়গুলো আর একটু পড়তে হবে।তবেই আলোচনা করতে পারবেন।
গনতন্ত্রী বা ডান পন্থী হলে চালিয়ে যান।

১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পড়তে হবে,লেখা দেখে মনে হয় বাম পন্থী ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ একবার ডানপন্থী আর একবার বামপন্থী বলায়। সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আপনার রয়েছে।
ইসরাইল কি রাষ্ট্র? তার সীমানা প্রতিনিয়তই বাড়িয়ে নিচ্ছে। আমরা প্রথম রাষ্ট্রকে দেখি গ্রীক ও রোমান সাম্রাজ্যেই।
রাষ্ট্র একটি সংগঠন যা কোন একটি ভৌগোলিক এলাকা ও এলাকার জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার সার্বভৌম ক্ষমতা রাখে। সংজ্ঞা দিয়েই সব বুঝে নিবেন? ধরেন সব বৈশিষ্ট্য নিয়েই একটি রাষ্ট্র গঠিত হল কিন্তু কেউ তাকে স্বীকৃতি দিল না। কি হবে? যুক্তরাজ্যের লিখিত সংবিধান নেই বলে কি সেটা রাষ্ট্র নয়?

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

আমিন রবিন বলেছেন: গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র হল, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। অথচ আমাদের সরকারের নামটা খেয়াল করুন, 'গণ প্রজাতন্ত্রী' বাংলাদেশ সরকার! অর্থাৎ আমরা হলাম গিয়ে 'প্রজা'। আর সরকার হল 'রাজা' বা 'এলিট সোসাইটি'।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনি স্বাধীনতা ভোগ করেন কি না?
আপনার অধিকারগুলো ভোগ করেন কি না?
আপনার ভোটাধিকার আছে কি না?
বাকস্বাধীনতা আছে কি না?
যে নামেই থাকুক তাতে কি যায় আসে। আমার যা দরকার রাষ্ট্র তা দেয় কি না সেটাই বড় কথা।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শিক্ষিত মানুষ ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৯

মুজিব রহমান বলেছেন: কথা বলেই মানুষকে সচেতন করাতে হবে।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

স্থিতধী বলেছেন: ১২ নং কমেন্টে আমিন রবিনের কথায় একটা চিন্তার খোরাক আছে বৈকি। ভাষার প্রকাশে চিন্তাধারা বা সংস্কৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। রাষ্ট্র ধারণায়, পিপল'স রিপাবলিক এর অনুবাদে রিপাবলিক 'প্রজাদের তন্ত্র ' হিসেবে আসার তো কথা ছিলোনা, কারণ রাষ্ট্রে অধিকার দাবী করা নাগরিক থাকে, কেবল সামন্ত প্রভু কে কর ও আনুগত্য দিয়ে যাওয়া প্রজা নয়। এর অনুবাদে তাই প্রজা তন্ত্র এসে পরাটা অনুবাদক এবং শাসকদের সামন্তবাদী চিন্তা লালনের পরিষ্কার বহিঃপ্রকাশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.