নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিথি সরকার এতো শক্তিশালী?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪


টিনএজ ছাত্রী তিথি সরকারের বিরুদ্ধে সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র। তাকে খুঁজে বের করে জেলে পুরে দিয়েছে। তার সহপাঠী, শিক্ষক এবং তার বিশ্ববিদ্যালয় তার বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি, সিআইডি ঠিকই খুঁজে বের করে ফেলেছে নরসিংদি থেকে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে- ধর্মীয় উস্কানীমূলক পোস্ট দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো। ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তার সহপাঠীরা তার বিরুদ্ধে তারই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করে।তার বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।

একসময় তিথি সরকার বুঝতে পারে যে সে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছে। আমার ধারণা- বিপদ বুঝতে পেরেই তিনি ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে থানায় জিডি বা মামলা করেন। আত্মগোপনে গেলে, নিখোঁজ এর সংবাদ প্রচার করে তার পরিবার। আমার মনে হয়েছে, তার পরিবার জানতোই যে, তিথি সরকার কোথায় আছে। আমার অনুমান ভুলও হতে পারে। তাকে চিনে এমন মানুষদের কাছে শুনেছি, তিথি সরকার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছে এবং ওই আইডিটি তার নিজেরই ছিল। তিনি ফেসবুকে যা লিখেছিল তা সত্যও ছিল না। ভুল ও বিকৃত তথ্যই তিনি উপস্থাপন করেছিলেন। নিশ্চিত হয়েছি, মেয়েটির বয়স উনিশ। সে ছাত্র অধিকার পরিষদে সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন সংগঠন করতো।

ভারতীয় অনেকেকেই দেখি ফেসবুকে, ইসলামকে কটাক্ষ করে অগুণিত পোস্ট দিয়ে থাকে। এগুলোর বিরুদ্ধে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিবাদও হয় না। ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগে মানুষ ধর্মপ্রবর্তকদের নিয়ে কটাক্ষ করে পোস্ট দেয় অহরহই। এমনকি প্রবাসে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশিও নিয়মিতই এরচেয়ে ভয়ঙ্কর কথা বলে ফেসবুক ও ইউটিউবে পোস্ট দেন। তাদের বিরুদ্ধে বলার সামর্থ্য কারো নেই। আমরা ওসবের খোঁজও রাখি না। ১৪শত বছরের একটি প্রাচীন ও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন প্রমাণও পাওয়া যায়নি। নদী দিয়ে কেউ হাড়িভণ্ড গেয়ে গেলে তাতে নদীর কিছুই ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে উগ্রপন্থীদের হাতে ব্লগার-লেখক খুন হয়েছেন হয়তো ১৫/২০ জন। হলিআর্টিজানসহ বিভিন্ন সমাবেশ ও বিচ্ছিন্নভাবে হয়তো আরো শ দুয়েক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এতে কি ইসলামের উপকার হয়েছে? নাকি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভাবমূর্তির?

মাত্র উনিশ বছরের একটি মেয়ে তিথি সরকার। তার বিবেচনা বোধই কতটুকু। এই বয়েসে অনেক মেয়েই উড়তে থাকে, বুঝে উঠতে পারে না কি থেকে কি করবে। অনেকেই ভেসে যায়, পথ হারায়। বহু মেধাবীই এভাবে ঝরে যায়। হয়তো কেউ বলবেন, গ্রেফতার করায় মেয়েটির নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। তাকে তো জীবনভর জেলে রাখবে না! পরেও আক্রান্ত হতে পারে। একটি উনিশ বছরের মেয়ে কি বলল, সেটাই সত্য হয়ে উঠবে না, যদি তা মিথ্যা হয়। সে তো ১৪ শত বছরের পুরাতন একটি বৃহৎ ধর্মের কোন ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখে না। আমাদের অনুভূতিগুলো কি খুবই দুর্বল? এতোই ভঙ্গুর?

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: যতটা সহজ সরল মেয়েটিকে দেখাতে চাচ্ছেন , আদতে সে তা নয়। উনিশ বছরের একটি মেয়ে নাবালক নয়, সাবালক। ধর্মকে আক্রমন করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়াটা কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। আবার এরপরে সে কিডন্যপিং এর ঘটনা সাজিয়েছে। এটাও একটা বড় ধরনের অপরাধ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনিও বুঝেছিলেন তিনি কিডন্যাপড হননি, আত্ম গোপনে আছেন।
মানুষের বাক স্বাধীনতা থাকুক সীমাহীন। কেউ যদি ভুল বকে তবে সে নিজেই মানুষ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মহা নবী সম্পর্কে সত্য লিখলেইতো বিপদ হওয়ার কথা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২০

মুজিব রহমান বলেছেন: ওনি সত্যের সাথে কিছু ভুল তথ্যও দিয়েছিলেন।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১১

রাকু হাসান বলেছেন:

হ্যাঁ এইসব তিথিরা হাজারবার ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করলেও ক্ষতি হবে না। তবে তা যদি কারও অনুভূতিতে আঘাত করে তাহলে অবশ্যই ভাবার বিষয়।সে নিশ্চয় অসভ্য। আর সীমাহীন বা স্বাধীনতা বলতে কি বুঝিয়েছেন?
এটা আসলেই সম্ভব!
আপনার নাম দেখে বলায় যায়,আপনি একজন মুসলিম। আমার ধারণা আপনি একজন প্রগতিশীল মুসলিম।না মিললেও তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম।এখন আপনাকে নাস্তিক প্রমাণের জন্য মিথ্যা,অযৌক্তিক, বানোয়াট গুজব প্রচার করলাম।যার আসলে অথেনটিক ভিত্তি নেই।তখন আপনার অনুভূতি কি হবে? যদি আমার বাক স্বাধীনতা কে মেনে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন তাহলে বলব এমন উদার মনের মানুষ খুব কমই আছে।

এখানে যেহেতু ব্লগিং করছেন ব্লগের নীতিমালা জানেন।কিছু নীতিমালা ভাঙ্গলে ব্যান নিশ্চিত। এসবের কেন দরকার? মডুকে অনুরোধ এসব তুলে দেন।সীমাহীন বাক স্বাধীনতা কায়েম হোক ব্লগে।
এত দূরে যাওয়ার দরকার নেই।দেশের আইনে সে অপরাধ করছে,সরকারি আইনে বিচার হোক। আপনি কি নিশ্চিত এর পেছনে গভীর কোন কিছু নাই? তাদের কি সুযোগ দেওয়া উচিত না! কপিত হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যখন অর্থহীনভাবে রাস্তায় চলে আসলো হঠাৎ।আর এই সময়ের এ-ই তিথি কাহিনী! ওরা কি চাচ্ছে? কি করতে চায় সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়নো প্রয়োজন বলে মনে করি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
স্থানীয়ভাবে আমি বিভিন্ন সংগঠন করি। অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে কথা বলি। আর তাতে কিছু দুষ্টুলোক আমার বিরুদ্ধে অহরহই মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোস্ট দেয়। লোকজন জানে যে, আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিলে আমি কিছু বলি না। এমনকি আমার এক মৌলবাদী আত্মীয় শুধু আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি আইডি খুলে অনবরত মিথ্যা প্রচারণা চালাতেন। লোকজনই তাদের তিরষ্কার করতো। ফলে এখন তেমন একটা দেখি না।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েটাকে ক্ষমা করে দেওয়া হোক।
যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরাতে বলেছে তাদের গ্রেফতার করা দরকার।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ওটাও মত প্রকাশ। কেই বললেই বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য সরানো হবে না। তবে দাবি করা অপরাধও নয়। এটাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০২

অনল চৌধুরী বলেছেন: নিজের ধর্মে বর্ণভেদসহ অসংখ্য জঘন্য প্রথা থাকার পরও সেগুলির বিরুদ্ধে না লিখে অন্য ধর্মকে আঘাত করা উদ্দেশ্যমূলক।
ধর্ম ছাড়াও পৃথিবীতে লেখার মতো হাজার বিষয় আছে।
এই মেয়ে, প্রিয়া সাহা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এদের আইন অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: উপরের দিকে তাকিয়ে হাঁটলে উষ্টা খাবেনই। প্রিয়া সাহা অনেক আগের বিষয়। এ মেয়ের না তিথি সরকার।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: এই মেয়ে, প্রিয়া সাহা - লেখার মাঝখানে একটা কমা আছে। ভালো করে দেখেন। দুইজনের কথাই বলেছি।
ভারতে দিনের বেলা মুসলমান পিটিয়ে মারে আর মসজিদে আগুন দেয়।
এসব অপকর্ম ঢাকার জন্য এইসব র' এর গুপ্তচররা বাংলাদেশে হিন্দু অত্যাচারের বানোয়াট-মিথ্যা গল্প ফাদছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: তাহলে মাঝখানে ‘ও’ ব্যবহার করতে হতো। যাই হোক এরা ‘র’ এর এজেন্ট েএর কোন প্রমাণ আছে আপনার কাছে না নিছকই অনুমান।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ৩০ বছর পর যদি লেখা শিখতে হয়, তাহলে দু:খজনক।
কে কিভাবে লিখবে, সেটা তার নিজস্ব পদ্ধতি।
এরা ‘র’ এর এজেন্ট এর কোন প্রমাণ আছে আপনার কাছে না নিছকই অনুমান-এদের কাজই প্রমাণ । সেটা না হলে ভারতের তুলনায় এদশের সংখ্যালঘুরা যে স্বর্গে আছে সেটা বলতো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখিত! আপনার ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতাকে আঘাত করতে চাইনি। এদেশ থেকে সংখ্যালঘু কমে একতৃতীয়াংশ হয়েছে কি এমনিতেই? ভারত থেকে কেন সংখ্যালঘুরা কমেনি? সেদিকে তাকালেও মনে হবে- এদেশে সংখ্যালঘুরা স্বর্গে নেই, নরকেই ছিল।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫২

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনার সাথে সবসময়ই আমার সুসম্পর্ক বিদ্যমান।
তর্কের খাতিরে না, সত্যের খাতিরে বলেন, বাংলাদেশ আর ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন পরিস্থিতি কি একরকম?
ঢাকা শহরের রাস্তায় কেউ কোনোদিন কোনো হিন্দুকে সাম্প্রদায়িক কারণে পিটিয়ে মেরেছে, যেটা এবছরও প্রকাশ্য দিনের আলোতে দিল্লিতে ঘটেছে ?
ঢাকা বা দেশের কোথাও কোনোদিন হিন্দুদের মন্দিরে আগুন দেয়া হয়েছে?
এদেশে কি কেউ কোনোদিন হিন্দুদের তাদের ইচ্ছামতো প্রাণী খেতে বাধা দিয়েছে?
ভারতের প্রশাসনে মুসলমানদের সংখ্য কতো আর বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কতো - একটু খোজ নিয়ে দেখবেন?
১৯৭১ এর পর সাম্প্রদায়িক কারণে বাংলাদেশ থেকে কোনো হিন্দু ভারতে গেছে, এমন কাউকে কেউ দেখাতে পারবে?
যদি কেউ যায় তাহলে সেটা নিজেদের অতিরিক্ত সুবিধা লাভেরর জন্যই গেছে।
রাজগড়িয়া পরিবার কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়েছে

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন কমে আসায় তাদের দেশত্যাগের হারও কমে এসেছে। স্বাধীনতার পরে বহু হিন্দুই নিপীড়নের মুখে দেশ ছেড়েছে। নিদারাবাদ হত্যাকাণ্ডর কথা ভাবেন- পুরো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল তাজুল গং। আপনি নির্যাতনটা দেখতে চাননি, অনুসন্ধান করেননি। কেন হিন্দুরা দেশ ছাড়ে তা জানতে হলে তাদের সাথে ঘণিষ্ঠতা থাকতে হয়। পিকে হালদার বা রাজগড়িয়াদের দিয়েই সব বিচার করা যায় না।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০২

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯৮৯ সালে তাজুল চক্র নিদারাবাদ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আমার বাড়ির কাছেই কাকরাইল মসজিদে এস আশ্রয় নিয়েছিলো। সেটা ছিলো সম্পত্তি দখলের জন্য। সাম্প্রদায়িক কারণে না, যেমনটা ছিলো না ২০১২ সালে শিবির মনে করে বিশ্বজিৎকে ঢাকার রাস্তায় নির্মমভাবে হত্যা।
আর এগুলিকে যদি হিন্দু নির্যাতন বলা হয়, তাহলে ভারতের গুজরাট, উত্তর প্রদেশ আর কাশ্মীরে প্রতিদিন যা হচ্ছে, সেগুলিকে কি বলবেন?
অনেক হিন্দু আমাদের বন্ধু প্রতিবেশী । তাদের আমরা কিোদিনও অন্য ধর্মের বলে মনে করিনা।
যদিও এক হিন্দু সন্ত্রাাসী দিনে-দুপুররে এক মুসলমান সন্ত্রাসীর ক্ষমতার দাপটে আমাদের বাড়ির জায়গা দখল করে নিয়েছিলো মাত্র ২০০৫ সালে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: গুজরাট, দিল্লী ও কাশ্মিরে ভারতের বিজেপি সরকার একেবারেই সাম্প্রদায়িক কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিশেষ করে গোধরাকাণ্ডটি ছিল রাজনৈতিক। বিজেপি ক্ষমতায় যেতেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল। যদি তারা হিন্দু না হতো তবে নিদারাবাদ হত্যাকাণ্ডটি ঘটতো না। সারাদেশে প্রতি বছরই অসংখ্য মন্দির ভাঙ্গা হয়। এই হার ভারতে অনেক কম। মূর্তি ভেঙ্গে ফেলার ঘটনাও অহরহই ঘটছে। এগুলোও মানুষকে অসহায় করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর যত হামলা হয়েছে তার অধিকাংশই সাম্প্রদায়িক কারণেই হয়েছে। ফেসবুক হ্যাক করে অথবা সারাই করার সময় সংখ্যালঘুদের মোবাইল থেকে ইসলাম ধর্ম বিরোধী পোস্ট দিয়ে তাদের হত্যা করা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়াও সাম্প্রদায়িকতাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.