![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
ভয় মনের অবচেতন স্তরের একটি বিশেষ মানসিক অবস্থা। অলৌকিকতায় বিশ্বাসী মানুষকে সহজেই ভয় দেখিয়ে কাবু করে ফেলা হয়। মানুষের ভয়ের শেষ নেই। অন্ধকারকে ভয় পায়, জন্তু-জানোয়ারকে ভয় পায়, নির্জনতাকে ভয় পায়, একাকীত্বকে ভয় পায়, রক্ত-ক্ষতকে ভয় পায়। পরিত্যক্ত বাড়ি, ঘণ জঙ্গল বা পুরাতন বৃক্ষের ভয়, অতিপ্রাকৃত আত্মার ভয়, ভুত-প্রেত-দৈত্য-দানোর ভয়, মানুষকেও ভয় পায় মানুষ। সন্ত্রাসী-দস্যু, ছিনতাই কারী, চোর-ডাকাত ছাড়াও পুলিশ, বড় কর্তা বা প্রভাবশালী মানুষকেও মানুষ ভয় পায়। কিছু লোক থাকে যারা কাজ করারও ভয় পায় অর্থাৎ দায়িত্ব নিতে ভয় পায়। আমি পাই শীত ও ধুলার ভয়, আমার ছেলেটি পায় রাস্তায় বমি করার ভয় ও কুকুরের ভয়, স্ত্রী পায় জোঁক-বিছাকে ও বদ্ধ ঘরকে ভয়, কন্যার রয়েছে উচ্চতা ভীতি। হুমায়ূন আহমেদের কোন একটি নাটকে মানুষকে দুইভাগে ভাগ করেছিলেন, হয় মাকড়সাকে ভয় পায়, নইলে তেলাপোকাকে ভয় পায়। অধিকাংশ সময়ই নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্যই শরীর একটা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ফলে এটাকে শারীরিক পক্রিয়াও বলতে পারি। অর্থাৎ শরীর চায় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে।ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ভয়ের অনুভূতি মানুষকে বাঁচিয়েও দেয়।
অধিকাংশ মানুষ পায় পরকালের ভয়। পাপী-তাপী অনেক মানুষই এই ভয়ে খুবই কাতর হয়ে পড়ে। অনেক অপরাধীই মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে।এই ভয় থেকে তারা মুক্তি চায়। মুক্তির উপায় বাতলে দেয়ার জন্যই বহু মানুষ ব্যবসা ফেঁদে বসে আছেন। পৃথিবীতে ৪৩০০টি ধর্মের ভিতরে লক্ষ রকমের দাওয়াই নিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। তারা পথ বাতলে দেন কিভাবে কৃত পাপ/অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভুত-প্রেত থেকে রক্ষার রমরমা ব্যবসা এখন লাটে উঠেছে। মানুষ বৈদ্যুতিক আলো পেয়ে দেখেছে, হায় ওগুলোতো বাতাসে দুলতে থাকা মরা কলাপাতা মানে ফাতরা! বান মারা, টোনা করার ভয়টাও কমেছে। তবে এখনো এজন্য কিছু তাবিজ কবজের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসায় উন্নতি করতে না পারার ভয়, বিদেশে যেতে না পারার ভয় বা পরীক্ষায় ভাল ফল করতে না পারার ভয় থেকে বাঁচতে এখনো অনেক মানুষ পাথর বসানো বা অষ্ট ধাতুর আংটি পরিধান করে। পিকে ছবিতে একটি ভয়ের ব্যবসার প্রমাণ দেখেছিলাম। পরীক্ষার সময় কলেজ গেইটের কাছে একটি পাথরে পানের লাল রঙ লাগিয়ে বসিয়ে দিয়েছিল পিকে। সামনে ছড়িয়ে দিয়েছিল কিছু টাকা পয়সা। ভীত পরীক্ষার্থীরা লাইন ধরে টাকা দিতে থাকে। পুরো পিকে সিনেমা জুড়েই ভয়ের ব্যবসা দেখানো হয়েছে। সিনেমাটি ব্যবসা সফল হলেও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে গত এক দশকে ভয়ের ব্যবসা মারাত্মকভাবেই বেড়ে গেছে।
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯
মুজিব রহমান বলেছেন: হিন্দিটা ভাল বুঝি না বলে দেখাও হয় না। বাংলা অনুবাদ করার ব্যবস্থা করা দরকার।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রাষ্ট্রের নিজেরই একটি ধর্ম আছে, কয়েক দিন পর দেখবেন গরু,ছাগল ,ভেড়া সবাই ধর্ম পালন করছে।
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০
মুজিব রহমান বলেছেন: এখন কারা পালন করছে?
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে সত্য কথা বলি- পরকাল আমি ভয় পাই না। বরং আমি ইজে ইচ্ছা করেই দোজকে যাবো। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১
মুজিব রহমান বলেছেন: ওখানে বহু বিজ্ঞানী, চিন্তাবিদ, নায়ক/নায়িকা, গায়ক/গায়িকা, লেখক পাবেন। বেহেস্তে কাদের পাবেন?
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮
নতুন বলেছেন: এই জিনিসটাই বেশির ভাগ মানুষ বোঝে না তাই তারা বাটপারের কথায় বিশ্বাস করে ।
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫
মুজিব রহমান বলেছেন: অন্ধবিশ্বাস তাদের চেতনার দরোজা-জানালা বন্ধ করে রাখে। দেখবে কিভাবে বলুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮
লর্ড ভ্যারিস বলেছেন: মালায়লাম trance মুভিতে ভয়ের রমরমা ব্যাবসার একটা প্লট তৈরী করা হইছিলো। ধর্মীয় ভয় দেখিয়ে টাকা হাতানোর ফন্দি। পুরো মুভিটা ওই ধর্মের ভয় দেখানোর ব্যাপারে।