নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি সিরাজুল আলম খান- একটি রাজনৈতিক জীবনালেখ্য

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১


বইটি হাতে পেতে সময় লাগলো। ইচ্ছে ছিল কিন্তু প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্স বইটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিলে হাতের কাছে পাচ্ছিলাম না। প্রকাশের সাথে সাথে হঠাৎই ঝড় উঠে। তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমুসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা তীব্র প্রতিবাদ করে। বাংলাদেশপ্রতিদিন পত্রিকাটি ধারাবাহিকভাবে ছাপাতে গিয়েও সেই প্রতিবাদে থেমে যেতে বাধ্য হয়। তারা প্রতিবাদকারীদের বক্তব্যই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে থাকে। লেখাগুলো নিয়মিতই পড়েছিলাম। সেই চাপে মাওলা ব্রাদার্স বইটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশে রাজনীতি নিয়ে লেখা অনেকগুলো বইই বিতর্কিত হয়েছে। একে খন্দকারের ১৯৭১ ভিতরে বাইরে বইটি প্রকাশ করেছিল প্রথমা। বিতর্কের মুখে লেখক সংবাদ সম্মেলন করে বইটিতে ভুল থাকার কথা স্বীকার করে বঙ্গবন্ধু ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রর্থাণাও করেছিলেন। তবুও তিনি বিপদমুক্ত হতে পারেননি। প্রকাশনী সংস্থা বিতর্কের মুখে বইটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। বইটিতে লেখা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের শেষে বলেছিলেন, জয় পাকিস্তান! (বইটি হাতের কাছে নেই পাকিস্তান জিন্দাবাদও হতে পারে)। সিরাজুল আলম খান তার বইটিতে জানিয়েছেন- বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা বলেই বক্তব্য শেষ করেন। একই বছর প্রকাশিত শারমিন আহমদ এর ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ বইটি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। বইটিতে তাঁর পিতা ও পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েই লিখেছিলেন। তবুও স্বাধীনতার ঘোষণা, বঙ্গবন্ধুর সরকার থেকে তাজউদ্দীনকে বের করা দেয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয় এবং লেখক চাপে পড়েন। মতিউর রহমান রেন্টুর ‘আমার ফাঁসি চাই’ ছিল বহুল সমালোচিত বই। লেখক তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। তার স্ত্রীও ওই বাসায় থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বইটি ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে বিএনপির সময় বইমেলায় একটি স্টলও বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল যেখানে সবসময় কয়েকজন পুলিশ প্রহরায় থাকতো। তিনি সুদীর্ঘকাল আওয়ামীলীগের সুবিধা নিয়ে কেনই এমন তীব্র বিদ্বেষমূলক বই লিখলেন তা বোধগম্য হওয়া কঠিনই। বই তিনটি পড়ার সুযোগ হয়েছে। রাজনীতি নিয়ে অনেকগুলো বই পড়েছি।

সিরাজুল আলম খানকে নিয়ে আমার আগ্রহ দীর্ঘদিনের। খুবই প্রত্যাশা ছিল তিনি একটি বই লিখবেন এবং সেখানে তার কর্মকাণ্ডগুলোর সত্য বর্ণনা উঠে আসবে। বইটি সামান্যই প্রত্যাশা পূরণ করেছে। বইটি সুলিখিত নয়। ধারাবাহিকভাবে উঠে আসেনি বক্তব্য। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে অনেকটাই বাইপাস করেছেন। শামসুদ্দিন পেয়ারার নাম প্রচ্ছদে যেভাবে আছে তাতে তাকেই লেখক মনে হয়। তবে বস'ত তিনি অনুলেখক বা সম্পাদক। বইতে নিউক্লিয়াস ও বিএলএফ নিয়ে যতটা লিখেছেন তার বিপরীতে তার দেখা ওই সময়ের রাজনীতির আরো অনেক বিষয়ই উঠে আসেনি। এ কারণেই বইটিতে আত্মপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। নিউক্লিয়াসকে তিনি যতটা গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্য কেউই নিউক্লিয়াসকে সেভাবে গুরুত্ব দেন নি। বইটি পড়ে মনে হবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল রূপকারই তিনি এবং নিউক্লিয়াস/বিএলএফ। তবুও বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিনই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিরাজুল আলম খানকে রহস্যপুরুষ হিসেবে রেখে দিলেও তার গুরুত্ব ও ভূমিকার কথা কেউ বলেনি। আসলে দেশে ক্ষমতায় না থাকলে তার কথা বলার নজিরও নেই। এবার তিনি নিজেই নিজের কথা বলেছেন। অনেক অজানা তথ্যও উঠে এসেছে। যেমন আমার জাতীয় পতাকা নিয়ে অনেক তথ্যই অজানা ছিল। জানতাম শিব নারায়ণ দাস ডিজাইন করেন। কে শিব নারায়ণ দাস? এখন অনেক তথ্যই বাইরে আসলো। জয়বাংলা বাহিনী কর্তক বঙ্গবন্ধুকে ব্যাটালিয়ন ফ্লাগ প্রদান করবে। কাজী আরেফ আহমেদকে পতাকা তৈরি দায়িত্ব দেয়া হয়। মার্শাল মনি ও আসম আবদুর রব প্রস্তাব করলেন পতাকার জমিন হবে বটলগ্রীণ। শাহজাহান শিকদার বলরেন, লাল রঙের কিছু একটা থাকা দরকার। নকশা করেন কাজী আরেফ। নকশার অনুমোদন দেন সিরাজুল আলম খান। কাজী আরেফ প্রস্তাব করেন লাল সূর্যের মধ্যে মানচিত্র দেয়ার যাতে ইউনাইটেড স্টেটস অব বেঙ্গল নিয়ে সরকারি প্রচার বন্ধ করা যায়। পতাকা সেলাই করেছিল অবাঙালি দর্জি আব্দুল খালেক ও তার সহযোগী মোহাম্মদ নাসিরউল্লাহ। কুমিল্লার নিউক্লিাস সদস্য শিব নারায়ণ দাসকে আনা হয় বৃত্তের মধ্যে মানচিত্র আঁকতে। তিনি জানান, তিনি মানচিত্র আঁকতে পারেন না- রঙ করতে পারবেন। ট্রেসিং পেপার থেকে দেশলাইর কাঠি দিয়ে লাল বৃত্তের মাঝে তিনি আঁকলেন মানচিত্র। পতাকাটার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তৈরির দাবি অন্য কেউ অন্যকোনভাবেতো করেননি।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সিরাজুল আলম খান ছিলেন মধুর কেন্টিনের আড্ডাবাজ, পড়ালেখাও মধুর কেন্টিনে, উনি মধুর কেন্টিনের গ্রেজুয়েট, উনার জীবনটাই ভুয়া।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: পাঠ্যবই হয়তো কম পড়েছেন। তবে ওনি যত বই পড়েছেন তার ভগ্নশতাংশও পড়েনা অন্য ছাত্রনেতারা। বিপুল সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ বই পড়ার তথ্যই দিয়েছেন। যা তাকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বইতে নিশ্চয় অনেক গার্বেজ আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৭

মুজিব রহমান বলেছেন: অতিরঞ্জিত থাকতে পারে। এমনটা মনে হয়েছিল তোফায়েল আমুর কলাম পড়ে। আবার আসম আবদুর রবের লেখা পড়ে মনে হয়েছিল সবই সত্য।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে আরো কিছু জানবো বলে আশা করেছিলাম। শামসুদ্দিন পেয়ারার বইটার মতই, আপনার এ পোস্টও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলো না।
কেনই বা তাকে রহস্যপুরুষ বলা হয় আর কী কীই বা তার রহস্য, সেটা সঠিকভাবে জানা হলো না। যেমন জানা হলো না বই প্রত্যাহারের মূল কারণগুলো কী কী ছিল, এবং প্রতিবাদকারীদের প্রতিবাদগুলোই বা কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছিল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সংক্ষিপ্তভাবে লেখার চেষ্টা করেছি কারণ এ বই নিয়ে দেশের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ লিখেছেন।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি রাজনীতির কেহ নন, কোন রহস্য পুরুষ নন, ছাত্রলীগের ভদ্র পান্ডা ও আড্ডাবাজ ছিলেন; পড়ালেখা কম থাকায়, কোন কইছুই সঠিভাবে ভাবতে পারেননি, বলতেও পারেন না। বাংলাদেশের পার্লামেন্ট কি রকম হতে পারে, ইত্যাদি নিয়ে ছোট ছোট পুস্তিকা লিখতেন মাঝে মাঝে, সবগুলোই ছিলো গার্বেজ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: ওনি দাবি করেছেন যে তিনি বিপুল পরিমান পড়েছেন। তাকে যারা চিনেন বা কাছে গিয়েছেন এমনদের কাছ থেকেও এমনটাই শুনেছি। তাঁর জ্ঞানের পরিধি ব্যাপক।
তিনি দুই কক্ষ পার্লামেন্ট, উপজেলা পরিষদ ইত্যাদি বিষয়ে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছিলেন। উপজেলা পরিষদ হয়েছে দু্‌ই কক্ষ পার্লামেন্ট করার বিষয়ে বাংলাদেশে চিন্তা ভাবনা রয়েছে। জাসদ গঠিত হয়েছে তার কারণে আবার তিনি জাসদের কেউ নন। তিনি সক্রিয়ভাবে শুধু ছাত্রলীগই করেছেন, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে রহস্য পুরুষ হিসেবে অভিধা এমনিতেই দেয়া হয়নি।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



যুদ্ধের কথা লিখেননি; কারণ, যুদ্ধের উপর ভাগ বসানোর জন্য, শেখ মনিসহ ইন্দিরা গান্ধিকে ভুল বুঝায়ে, ছাত্রলীগের ছেলেগুলোকে যুদ্ধ থেকে প্রত্যাহার করে "বিএলএফ" গঠন করেছিলো ইডিয়টগুলো; তারপর বিএলএফ, খালি ট্রেনিং নিয়েছে, ২৫ হাজারের মতো ছেলেকে যুদ্ধ করতে দেয়নি; যুদ্ধের পর বাংলাদেশে এসেছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বিএলএফ গঠিত হয়েছে যুদ্ধের আগেই। নিউক্লিয়াস গঠিত হয় যুদ্ধ শুরুর ৮/৯ বছর আগে। বিএলএফ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই সবার আগে দেশে প্রবেশ করে যুদ্ধের জন্য।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: গতবছর পি ডি এফ ডাউনলোড করে একটু একটু করে পড়ি । বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার পিছনে এই মহা নায়কের অবদান সবচে বেশি । আমার সহপাঠী ইয়াং আন্ডার এজড মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চুকে খুলনা থেকে ৭৩ সালে ঢাকা নিয়ে এলো । বাচ্চু খুব পড়াশুনা করত খান সাবের বাসায় । ৭৫ সালে সমর সেনকে অপহরন করতে গিয়ে বাচ্চু পুলিশের গুলিতে মারা যায় ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার লেখা চাই , এও জানি তিনি লিখবেন না ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: বঙ্গবন্ধু তাদের কথা আর শুনেননি ও গুরুত্ব দেননি। তিনি স্বাধীনতার পরে নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে একটা জোয়ার তৈরি করে সেনাঅভ্যুত্থানের একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমরা বিরোধী দল গঠনের চেষ্টাও বলতে পারি। তবে দেশকে গঠন করতে না পারার দায়ভার তাদের দেয়া যায় না।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: উনার আরেক নাম দরবেশ বাবা। উনি দূরে থেকে কলকাঠি নাড়তেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪১

মুজিব রহমান বলেছেন: ওনি দাদা ভাই। দরবেশ দেশে একজনই- তিনি সালমান এফ রহমান।

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার অনেক নাম ডাক কিন্তু দেশের কি উপকারে আসছে সেটা জানাবেন

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: দেশের স্বাধীনতায় তার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। উপজেলা পরিষদও মানুষের কাজে এসেছে।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯৯৯ সালে বিএনপি আসেনি। এসেছিলো ২০০১ এর জুনের পরে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০৮

ডাব্বা বলেছেন: রাজনীতির রহস্য পুরুষ-এই নামটাই ভদ্রলোকের সবচেয়ে বড় অ্যাচিভম্যান্ট।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ভালই বলেছেন। এই বইটি তার ভূমিকাকে প্রকাশ করেছে। যদি তার সব দাবি কষ্টিপাথরে যাচাই করলে টিকবে কি না তা নিশ্চিত নয়।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রহস্য মানব কে রহস্যের মাঝেই থাকতে দিন।রহস্য ফাঁস করে দিলে আর থাকেটা কি?

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: রহস্য ছিল বলেই কৌতুহল বেশি ছিল। এবার কিছুটা কৌতুহল নিবৃত করতে পারলাম।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এক নম্বর মন্তব্যের সাথে সহমত না করে উপায় নেই।
আমাদের দেশের নেতা তথা ছাত্রনেতারা বেশিরভাগই মধুর ক্যান্টিন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ওনার বিপুল পড়াশোনা ছিল।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


লেখক বলেছেন: ওনার বিপুল পড়াশোনা ছিল।

উনার শিক্ষা জীবন নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট দিলে ভালো হবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথা বলিনি। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের পড়াশোনার কথাই বলেছি।

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " বিএলএফ গঠিত হয়েছে যুদ্ধের আগেই। নিউক্লিয়াস গঠিত হয় যুদ্ধ শুরুর ৮/৯ বছর আগে। বিএলএফ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই সবার আগে দেশে প্রবেশ করে যুদ্ধের জন্য। "

-যা জানেন না, সেটা নিয়ে লিলিপুটিয়ানগিরি করে নিজকে পিগমী বানাচ্ছেন; বিএলেফ গঠন হয়েছে যুদ্ধের মাঝখানে। নিউক্লিয়াস নয়, উহাকে বালছাল বললে সঠিক হবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: গালিগালাজ সর্বস্ব হয়ে যাচ্ছেন!
বিএলএফ বা মুজিব বাহিনী গঠিত হয় ২৫ মার্চের অনেক আগেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সক্রিয়তা প্রকাশ পায়। সিরাজুল আলম খান তার বইতেও লিখেছেন বিএলএফ ছিল নিউক্লিয়াস এর রাজনৈতিক উইং যা ২৫ মার্চের অনেক আগেই গঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের মাঝখানে গঠিত হয় এমন কোন ইতিহাস কি দেখাতে পারবেন? ছাত্রনেতারা বিএলএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে যুদ্ধের ময়দানে পাঠায়। তারা সংগঠিত ছিল বলেই তাদের রিক্রুট করে প্রশিক্ষণ প্রদান সহজ হয়েছিল। এতো বড় গালিভারীয় গালি দেয়ার আগে আরেকটু খোঁজ অন্তত নিবেন। নিজেকে হাস্যকর বানানোর কিছু নেই। আমি একটি বই নিয়ে কথা বলেছি, সেই বইর তথ্যই প্রকাশ করেছি। ধন্যবাদ।

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



করার মাঝে করেছিলো গণবাহিনী, উহার জন্য বিচার হলে, এখনো ফাঁসী হতে পারে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

মুজিব রহমান বলেছেন: জাসদ এবং সিরাজুল আলম খান সব সময়ই গণবাহিনীর কথা অস্বীকার করে আসছেন। রাজনৈতিক কূটচালে ভূট্টোরও ফাঁসি হয়েছিল। আমাদের মতো দেশে বিরোধী মতের নেতাদের ফাঁসি দিতে পারার চেয়ে সহজ আর কি আছে?

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " বিএলএফ গঠিত হয়েছে যুদ্ধের আগেই। নিউক্লিয়াস গঠিত হয় যুদ্ধ শুরুর ৮/৯ বছর আগে। বিএলএফ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই সবার আগে দেশে প্রবেশ করে যুদ্ধের জন্য। "

-মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১ পয়সার ধারণাও হয়তো নেই আপনার।

১৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: ওনার বিপুল পড়াশোনা ছিল।

-পড়ালেখার থেকে তাস খেলায় ভালো ছিলো।

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ওনি দাদা ভাই। দরবেশ দেশে একজনই- তিনি সালমান এফ রহমান।

উনি এরশাদের কাছের লোক ছিলেন?

১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: জাসদ এবং সিরাজুল আলম খান সব সময়ই গণবাহিনীর কথা অস্বীকার করে আসছেন। রাজনৈতিক কূটচালে ভূট্টোরও ফাঁসি হয়েছিল। আমাদের মতো দেশে বিরোধী মতের নেতাদের ফাঁসি দিতে পারার চেয়ে সহজ আর কি আছে?

-আপনি গণ বাহিনীর হতয়াকান্ড দেখেননি? আপনার চোখ, কান ও ভাবনাশক্তি ঠিক আছে তো?

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

মুজিব রহমান বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর আমলে কি গণবাহিনী নিষিদ্ধ ছিল? তারা কত হাজার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল? সর্বহারা পার্টি, রক্ষিবাহিনী ইত্যাদির বিরুদ্ধে কি আরো কম অভিযোগ ছিল? সেই জাসদই আজ মহাজোটভূক্ত। বিএলএফ থেকে সরে আসায় ধন্যবাদ।

২০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "বঙ্গবন্ধুর আমলে কি গণবাহিনী নিষিদ্ধ ছিল? তারা কত হাজার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল? সর্বহারা পার্টি, রক্ষিবাহিনী ইত্যাদির বিরুদ্ধে কি আরো কম অভিযোগ ছিল? সেই জাসদই আজ মহাজোটভূক্ত। বিএলএফ থেকে সরে আসায় ধন্যবাদ। "

-আপনার লজিক এনালাইটিক্যাল নয়; চোর চুরি করছে বলে,একজন সঠিক নাগরিক চুরি করতে যাবে না; আপনারা লজিক, দর্শন, রাজনীতি বুঝেন না; ভাবনাশক্তি শ্রমিক মৌমাছির মতো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আমার ভাবনা-শক্তি নিয়ে অতি চিন্তিত! হয়তো ভাবছেন এতো নিম্ন মানের লেখা কিভাবে লিখি! এটাই বুঝি- যদি আমার লেখা ও যুক্তি অর্থহীন হতো তবে আপনি এতোটা লেগে থাকতেন না। বাংলাদেশে চিন্তাশীল পত্রিকা হিসেবে নতুন দিগন্তের নাম শীর্ষে। সে পত্রিকার চলতি সংখ্যাতেও আমার লেখা রয়েছে ৭/৮ পৃষ্ঠার। খুব খারাপ হলে ওরা ছাপতো না। আপনি অসম্মান করার চেষ্টা সবসময়ই করছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
শ্রমিক মৌমাছিরই ভাবনা থাকে, শ্রমও থাকে। চাক তৈরি করা, মধু সংগ্রহ করা ও অন্যদের আহার যোগান দেয়া খারাপ কি? শ্রমিক হতে পারাকেও খারাপ মনে করি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.