নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাভো রাজশাহীর তরুণ-তরুণী!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬


কলকাতায় ডিরোজিও যখন আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতা ও দর্শনে তার ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করেন তখন তরুণদের মধ্যে একটি আলোড়ন তৈরি হয়। ডিরোজিওর চাকরি চলে গেলে এবং তার মৃত্যু হলেও কলকাতায় তাদের কর্মকাণ্ড থেমে যায় নি। এরই প্রেক্ষাপটে হিন্দু ধর্মীয় সংস্কারের কাজ করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সমাজ পরিবর্তনে কাজ করেন অক্ষয় কুমার দত্ত ও মাইকেল মধুসূদন দত্তসহ অনেকে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যখন শাস্ত্র দিয়ে শাস্ত্রের সংস্কার ও দেশাচারকে ঘায়েল করছেন তখন ইয়াং জেনারেশন আরো এক ধাপ এগিয়ে মৌলবাদীদের রুখে দেয়ার জন্য ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। তারা প্রকাশ্যে গোমাংস ভক্ষণের মতো ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে থাকেন। ভারতে বিধবাবিবাহ আইন চালু হয়, বহুবিবাহ ও বালবিবাহের বিরুদ্ধেও মতাদর্শ গড়ে উঠে। তার আগেই বন্ধ হয়েছিল সহমরণ। অর্থাৎ একটা জাগরণ শুরু হয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও একটা জাগরণ দেখছি। ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিরুদ্ধে সারাদেশেই একটা প্রতিরোধ গড়ে উঠে। উগ্রপন্থীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। কদিন আগে রাজশাহীতে অপাবলিক প্লেসে ধুমপান করায় এক তরুণীকে নারী বলে হেনস্ত করে কতিপয় মৌলবাদী।আজ দেখলাম তারই প্রতিবাদে ১০/১২ জন তরুণ তরুণী ওই স্থানে মিলিত হয়ে আড্ডা দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। তারা বলেছেন ধুমপানকে উৎসাহিত করতে নয়, ওই তরুণীকে হেনস্তা করার প্রতিবাদেই তারা জড়ো হয়েছেন। আমি নিজেও ধুমপান করি না তবে বুঝি পাবলিক প্লেস নয় এমন স্থানে ধুমপান যেহেতু অপরাধ নয় তাই কেউ ধুমপান করলে কেউ বাধাও দিতে পারে না। অথচ মেয়েটি শুধু নারী বলেই অনুভূতিপ্রবণ কতিপয় প্রতিক্রিয়াশীল মেয়েটিকে হেনস্তা করেছে। খুবই বীরপুরুষ ভাব নিয়েই হেনস্তা করেছে। এর একটি প্রতিবাদ দেখতে মন চাচ্ছিল। আজ সেটা দেখে মুগ্ধ হলাম। এই ছোট প্রতিবাদই ভূমিকা রাখবে বখাটেদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪

আমি সাজিদ বলেছেন: এরা কি নারী পুরুষ সবার সিগারেট খাওয়াকে এপ্রিশিয়েট করার জন্য এখানে জড় হয়েছে? ব্রাভোর কিছু তো দেখলাম না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: না তারা শুধু নারীকে হেনস্তা করার প্রতিবাদেই জড়ো হয়েছিল।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: সিগারেট ট্রেন্ডের যদি জাগরণ শুরু হয় তাহলে তো ক্ষতি। আপনার মতো বিজ্ঞ লোক কেমন করে এই জিনিসটাকে অজ্ঞানে এপ্রিশিয়েট করছেন? সিগারেট একজন নারীর জন্য যেমন ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায় তেমন ভাবে ওই নারীর গর্ভে আসা সন্তানের জন্যও ক্ষতি কারন হয়ে দাঁড়ায়। আপনার কাছ থেকে এমন সস্তা কথা আশা করি নাই।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

মুজিব রহমান বলেছেন: একজন নারীকে অসম্মান করার প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানিয়েছি। সিগারেট খাওয়া ক্ষতিকর তবে অ-পাবলিক প্লেসে খাওয়াটা অধিকার এবং আইনসম্মত।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: যারা বসে আছেন তাদের মুখে মাস্ক নেই। এটা চোখে লাগছে। ধূমপানের জন্য কাউকে হেনস্থা করার ভিডিওটা দেখিনি। ইচ্ছাও নাই দেখার। তবে অনুমান করতে পারছি দৃশ্যটা। উপদেশের বাণীও সুন্দর ভাষায় বলা যায় এবং সেটাই হওয়া উচিত আমরা তা ভুলে যাই।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: মাস্ক থাকা দরকার। তবে ওদের মধ্যে যারা সিগারেট পান করে তারা টেনেছে প্রতিবাদ করতেই। এখানে প্রতিবাদটাই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ মাস্ক পরের বিষয়।

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: সৌদিতে বাংলাদেশের গৃহকর্মী লাঞ্চিত হয়, এটা নিয়েও প্রতিবাদমূলক পোস্ট লিখুন প্লিজ। যারা বসে আছেন এরা মাস্ক ছাড়া বসে আছেন যা দৃষ্টিকটু। প্রতিবাদের ভাষাটাও অস্বাস্থ্যকর ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: এ নিয়ে কম লিখিনি। ধন্যবাদ- আরো লিখবো।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ব্যক্তিগতভাবে আপনার লেখা আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু এখানে একটি বিষয় বলতে বাধ্য হচ্ছি। ধুমপানরত মেয়েটিকে যে লোক শাসিয়েছে সে হচ্ছে মূর্খ গর্দভ আর এখানে আজ যারা তরুণ-তরুণী ধুমপান করে প্রতিবাদ করেছে তারা হচ্ছে পড়ালেখা জানা গর্দভ (শিক্ষিত বলা যাচ্ছে না) - তাদের বিড়ি কোম্পানী থেকে দুই প্যাকেট করে বিড়ি উপহার দেওয়া হোক। সাথে বিড়ির ছবিওয়ালা একটি করে তাবিজ গলায় ও বাহুতে পরিধানের জন্য।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
এখানে বিড়িটাকে প্রাধান্য দেয়ার সুযোগ নেই। যখন একটি মেয়েকে হেনস্তা করা হল তখন প্রতিবাদ করাটাকেই বড় করে দেখেছি।

৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

আমি নই বলেছেন: কেউ একজন পাবলিক প্লেসে বিড়ি খাইলো, আর একজন মেয়ে বলে তাকে বিড়ি খাইতে নিষেধ করলো। অপরাধতো দুইজনেই করেছে, এখানে প্রতিবাদের কি হইলো??

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

মুজিব রহমান বলেছেন: মেয়েটি পাবলিক প্লেসে সিগারেট খায়নি। নিরিবিলি এক স্থানে খেয়েছে।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আজ রাগের মাথায় যারা এই কাজ করেছে সেটা ভালো করেনি। এভাবে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব না।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০১

মুজিব রহমান বলেছেন: প্রতিবাদটা মোটেই রাগের মাথায় করা নয়। এটা দরকার ছিল। মেয়ে বলে এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না। মেয়েদের মানুষ হিসেবেই দেখতে হবে- এ প্রতিবাদ সেটার কথাই বলছে।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অন্ধ পুরুষতন্ত্র মোল্লাতন্ত্রের একটি অংশ।

প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
প্রতিবাদেই প্রতিরোধ!
দেশের ভাস্কর্যগুলো রক্ষা পেল প্রতিবাদেই।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সারাদেশ ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ করে নি। হাতে গোনা কিছু লোক আর কিছু সরকারী লোকজন রাস্তায় নামিয়ে পত্রিকায় দেখিয়ে সেটাকে "সারাদেশ" বলার অবকাশ নেই। আর রাজশাহীর এই মেয়ের আগেও ওখানে অনেক মেয়েই এসে বেড়িয়ে গেছে, তাদের বেলায় এমনটা ঘটেনি কেন সেটা ভাববার অবকাশ রয়েছে, সুতরাং তাদের/তার ভাষ্য যে "ধুমপানকে উৎসাহিত করতে নয়...ঐ তরুনীকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন" এই কথাটাও পুরোপুরি সত্য নয়। ছবিতে লোকগুলো যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেটাকে কারো ব্যক্তিগত বাড়ির আঙিনা বলে মনে হচ্ছে না। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে লাভ নেই। ঢাকায় আমি অনেক মেয়েকেই ধুমাপন করতে দেখেছি, কখনো কোন সমস্যা দেখিনি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনি প্রতিবাদ মিছিল কটি দেখেছেন? আমি পুরাতন ঢাকায় দীর্ঘ একটি মিছিল দেখেছি যেখানে ছাত্র লীগ ও যুবলীগের মিছিল ছিল কিন্তু বহু সংখ্যক সাধারণ মানুষও সামীল হয়েছিল। বিশাল মিছিল।

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তাদের ক্ষমা করা ঠিক হয় নাই।ভিডিও করে সেটা ছড়িয়েছে,কিছু আপত্তিকর কথাও বলেছে।মামলা করাই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: মামলার চেয়েও এই ছোট প্রতিবাদ বেশি কার্যকরী হয়েছে বলেই আমার মনে হয়। এটা সারাদেশ দেখলো। ওখানে শাস্তি পেত একজনই।

১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা অবশ্যই অপরাধ।
সেটা দেখবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোক। সাধারণ কোন মানুষ কিছু বললে সেটা ঠিক হবে না।
বছর খানেক আগে ঢাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা গাড়ীর চালকদের লাইসেন্স চেক করেছিল। সেটাও ঠিক ছিল না।
সব কাজের জন্যই রাষ্ট্রে নির্দিষ্ট সংস্থা ও জনবল আছেন।

যার কাজ তারই করা সাজে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

মুজিব রহমান বলেছেন: মেয়েটি যেখানে ধুমপান করেছিল সেটা পাবলিক প্লেস ছিল না।
রাষ্ট্র যখন ঠিকঠাক চলে না তখন প্রতিবাদ করােই নাগরিক দায়িত্ব।

১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩

স্থিতধী বলেছেন: ডিরোজিওকে নিয়ে লেখা কোন ভালোমানের বই এর সন্ধান দিতে পারবেন কি? স্কুল পাঠ্যে প্রথম ওনার বিষয়ে পড়েই তাকে নিয়ে আরো জানতে আগ্রহী ছিলাম।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ওনাকে নিয়ে কোন বই পড়ার সুযোগ হয়নি। তবে বাংলার জাগরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন বইতেই ওনাকে পড়েছি হয়তো আপনার মতোই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.