নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পলিথিন কি আগুনে পুড়ে?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২


মিজানুর রহমান আযহারী সাহেবের একটি ওয়াজের অংশ বিশেষ দেখলাম। তিনি বলছেন, ‘পানি-নিরোধী কোন কিছু আগুনে পুড়ে না’। তিনি ভুল বলতেই পারেন এবং তা সংশোধনও করতে পারেন। এ ধরনের ভুলকে আমরা ‘শ্লিপ অব টাঙ’ বলে থাকি। ওনারও হয়তো তাই হয়েছে। তবে সংকটটা হয়- শ্রোতারা যখন প্রশ্নহীন হয়ে পড়েন। তারা সকলেই সম্মতিজ্ঞাপন করছিলেন যেনো পানি-নিরোধী পলিথিন আগুনে পুড়বে না। তারাও বিষয়টি জানেন যে পলিথিন আগুনে পুড়ে। তবে অন্ধ বিশ্বাসে অনুগত থাকার কারণে তারা প্রশ্ন না করেই বিশ্বাস করেন। তারা বিশ্বাস করতে থাকেন যে আগুনে পলিথিন পুড়বে না। মিথগুলো কিভাবে তৈরি হয়? মিথ শব্দটি মিথ্যা থেকে উৎপত্তি হয়নি, যদিও মিথ্যার সাথেই মিথের বেশ মিল। রূপকথা বা পৌরণিক গল্প যা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত কিন্তু সত্য নয় বা প্রমাণিত নয় এমনকি বিজ্ঞানভিত্তিকও নয়। ‘মিথ’ এসেছে গ্রীক শব্দ মাইথোস থেকে যার অর্থ লোককথা বা সত্য ঘটনা। যদি অন্ধ বিশ্বাসীদের কাছে কেউ দাবি করে- তিনি মোমবাতি হাতে নিয়ে পানিতে ডুব দেয়ার পর পুরো পানির নিচটা আলোকিত হয়ে উঠেন আর দেখতে পান .. ..। অন্ধ অনুগতরা প্রশ্ন করবে না যে, পানির নিচে মোমবাতি জ্বলবে না অক্সিজেনের অভাবে। তারা বিশ্বাস করবে এবং মুখে মুখে ছড়িয়ে দিবে। মানুষ এসব অলৌকিক ঘটনা শুনে নিজ লাভের আশায় ছুটে আসবে এবং প্রতারিত হতে থাকবে। এটা এক সময় মিথে পরিণত হবে।

পানি নিয়ে মানুষ অজ্ঞতায় ছিল সুদীর্ঘকাল। ধারণা করা হতো সমুদ্রের কোন সীমাপরিসীমা নেই। পানি সম্পর্কে ধারণা ছিল- পানি অফুরন্ত এর কোন শেষ নেই। কোন কোন ধর্ম ধারণা করতো সমুদ্রের পরেই আছে নরক। মৃত্যুর পরে সমুদ্রের ঐপারেই পাঠানো হবে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের পরেই মনে হতে থাকলো- পৃথিবী বাস্তবিকই গোলাকার হতে পারে। নইলে, তিনি পশ্চিমে গিয়ে কিভাবে ভারতে গেলেন? যদিও তিনি ভারতে নয় গিয়েছিলেন আমেরিকার কাছাকাছি। ধর্মগ্রন্থগুলোতেও পানিকে বিভিন্নভাবে আনা হয়েছে। হিন্দু ধর্ম মতে সৃষ্টির আদিতে বিষ্ণু প্রলয় সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় যোগনিদ্রা দশায় শায়িত ছিলেন। এই সময় তাঁর নাভি থেকে ব্রহ্মার সৃষ্টি হয়। ব্যাবিলোনিয়ান পুরোহিতরা বলতেন- দেবতা মার্দুক পানি থেকেই জগৎ সৃষ্টি করেছেন। গ্রীক দার্শনিক থেলিস বলতেন, পানি থেকেই সবকিছুর জন্ম, পানিই পরম সত্ত্বা। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে- আসমানসমূহ, জমীন, মানুষ ইত্যাদি তৈরির আগে আল্লাহর আরশ ছিল পানির উপর। আল্লাহ সেখানেই বিরাজমান ছিলেন।

ডারউইন যখন বিবর্তন বাদে বললেন, পানিতেই প্রথমে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে। তখন বিশ্বাসীদের মধ্যে দু ধরনের মতামত দেখলাম। এক শ্রেণি ডারউইন মতবাদকে বাতিল করে তা মানতে অস্বীকার করলো- বিবর্তনবাদকে কোনরূপ ভুল প্রমাণ করা ছাড়াই। আরেক শ্রেণি দাবি করলো- আরে আমাদের ধর্মেইতো প্রথম বলেছে পানি থেকেই জগতের উৎপত্তি তাই বিবর্তনবাদতো আমাদের ধর্মগ্রন্থ থেকেই নেয়া হয়েছে। তারা জানে অশিক্ষিত অসচেতন মানুষ কখনোই প্রশ্ন তুলবে না, প্রতিবাদ করবে না। তাদের অন্ধ বিশ্বাসকে প্রশংসায় ভাসাতে হবে এবং ইহকালের যাবতীয় যন্ত্রণাকে পরীক্ষা আখ্যা দিয়ে পরকালের অফুরন্ত সুখের লোভ দেখাতে হবে। তাহলেই তারা খুশি থাকবে। তারা জানে মানুষ ততক্ষণ পর্যন্তই খুশি থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অজ্ঞ থাকবে। যখনই তারা জ্ঞানার্জন করবে, সচেতন হবে, বিজ্ঞানমনস্ক হবে তখনই প্রশ্ন তুলবে। বলবে, ‘হুজুর পলিথিন তো আগুনে পুড়ে যায়!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: উনি কাতার থেকে কায়রো যাও্যার পথে হিমালয় দেখেছেন ইহাও বলেন এতেও আমজনতা আহা আহা সোবাহানা আল্লাহ বলে।

লিংক

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা কথা বলি না বলেই এসব অসম্ভব, অবাস্তব গল্প ফেদে বসেন।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

অধীতি বলেছেন: করোনার ভেতর এদের কৌতুক দেখেই শান্তিতে ছিলাম।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: কৌতুক ছিল ঠিক তবে ওরাও করোনা ছড়াতে ভূমিকা রেখেছে।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিশ্বাস করতে প্রমান লাগে না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৭

মুজিব রহমান বলেছেন: হিঃ হিঃ
অন্ধ বিশ্বাসতো এজন্যই বলে।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ওয়াজ করে তারা বিজ্ঞান জানেন না। এবং যারা ওয়াজ শুনেন তারা মূর্খ। এই জন্য তাদের যা খুশি বলা যায়। এবং তারা বিশ্বাস করেন। এই সুযোগ টা ওয়াজিরা কাজে লাগিয়েছেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: একেবারেই সঠিক বলেছেন। সহমত।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভাল লিখেছেন, পছন্দ হয়েছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

এমেরিকা বলেছেন: আপনি এই ওয়াজের কোন ফুটেজ দিতে পারবেন? তাহলে বুঝতাম উনি আসলে কি বলতে চেয়েছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হুজুরদের ওয়াজ দুই পাশ কেটে মাঝখানেরটুকু প্রচার করা হয়। তা দেখে অনেকে আপনার মত মতামত দিয়ে ফেলে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ইউটিউবে ভরপুর এই ওয়াজে।

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: সাধারণত দেখি ওয়াজের স্থানে কেবল হুজুরের সামনেই মাইক্রোফোন থাকে। শ্রোতাদের সামনেও একটা থাকা উচিত। জাকির নায়েকের মতো যারা দাওয়াতের কাজ করেন তাদের অনুষ্ঠানে থাকে দেখেছি। আমাদের দেশে হুজুররা লিখিত প্রশ্ন নেন। এর চেয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্ব ভালো। তাহলে এধরণের 'স্লিপ অব টাঙ' ধরিয়ে দেয়ার সুযোগ থাকে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: কাজী ইব্রাহিম সাহেব ব্যাপক ভুয়া তথ্য দেন। যদি মাইক থাকে তবে যদি কেউ তার ভুল ধরাতে থাকেন তবে তার সর্বনাশ হয়ে যাবে। যকির নায়েক সাহেবও সিলেকটেড ও পছন্দসই মানুষের সামনে মাইক নেয়ার ব্যবস্থা করেন। এখানে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকা না থাকার মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.