নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন হিন্দু-মুসলিমরা আগাচ্ছে না?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০

মুসলিমদের উন্নয়ন ছাড়া ইসলামেরও উন্নয়ন সম্ভব নয়- এ সহজ কথাটা হেফাজতসহ ইসলামি দলগুলো এবং মৌলবাদি মুসলিমরা বুঝে না৷ ইহুদিদের উন্নতি দেখে অনেকে হায়-আফসোস করে৷ বাস্তবিক ইহুদি ধর্মের উন্নতি হয়নি, হয়েছে ইহুদি জাতির৷ কারণ শিক্ষা-গবেষণায় তারা এগিয়ে৷ পৃথিবির এক শতাংশের অনেক কম ইহুদির বিপরীতে হিন্দু-মুসলিম মিলে ৩৩% হয়েও নস্যি হয়ে আছে৷ দক্ষিণ এশিয়ায় হিন্দু মুসলিমরা ফ্যাসাদ করে আরো ধর্মান্ধতায় নিমজ্জিত হয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে দূরে থাকে৷ দুদলই ভেবে নিয়েছে ধর্মান্ধতাই তাদের উদ্ধার করবে, জ্ঞান-বিজ্ঞান অনুশীলন করা লাগবে না৷ বেদ-কোরআনসহ তাদের ধর্মগ্রন্থেও জ্ঞান চর্চার কথা বলেছে কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ীরা দেখেছে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করলে তাদের ধর্মবিরোধী উপার্জনের কথা মানুষ জেনে যাবে এবং তারা ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে৷
হাজারো সমস্যার মধ্যে হেফাজতকে ভাস্কর্য ভাঙ্গার ইস্যুতে আসতে হয়, নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে আসতে হয়, পাঠ্য বই থেকে মানসম্মত লেখা সরানোর আন্দোলন করতে হয় ওই কারণেই৷ মুসলিমদের পিছিয়ে রাখতে না পারলে ধর্ম ব্যবসা ব্যহত হবে৷ তাঁরা কর্মহীন থেকেও আদিকালের হিন্দু ব্রাহ্মণদের মতো অগাধ ক্ষমতা ভোগ করতে পারবে না৷ দেশে দর্শন/বিজ্ঞানের উপর জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দিয়েও মেধাবি-জ্ঞানীরা ৫ হাজার টাকা পায় না আর ওয়াজ করতে এসে হাসি-তামাশা করে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়৷ সেই ক্ষমতাশালী ব্রাহ্মণ্যবাদি আচরণের কথাই মনে করিয়ে দেয়৷
ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজত ইসলামের পরাজয় বা পতন আশার জায়গা তৈরি করেছে৷ মনে হয়েছে তারা ক্ষমতাসীন বা বিরোধী দলের খুঁটি নয়, ঘুঁটি হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ইসলামি আন্দোলনের গত নির্বাচনে অংশ নেয়া, হেফাজতের মতিঝিলে অবস্থান নেয়া, হাটহাজারি মাদ্রাসার সরকারি আনুকূল্য গ্রহণ ইত্যাদি বহু বিষয় সামনে আনা যায়৷ তারা নিজস্ব ক্ষমতা দেখাতে এগিয়েছিল ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে৷ এটা আবার বাস্তবায়নের জন্য প্রজ্ঞাহীনভাবেই বেছে নিয়েছিল ডিসেম্বর মাসকে৷ অনিবার্য পরাজয়ই বরণ করতে হয়েছিল৷
হিন্দু ও মুসলমানরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আঁকড়ে ধরে অজ্ঞানতাকে, ধর্মান্ধতাকে৷ যদি আধুনিকতার জন্য, জ্ঞান চর্চার জন্য, বিজ্ঞান্যের জন্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিল্পকলার জন্য প্রযোগীতা করতো তবেই দুই ধর্মের লোকই এগিয়ে যেতে পারতো সভ্য ও সহনশীল হতে পারতো৷ কিন্তু সেটা করতে দিবে না ধর্মগুরুরা, তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে৷

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



হিন্দুরা অনেক এগিয়ে গেছে।
অশিক্ষিত ও গরীব হিন্দুদেরকে ভারতীয় মুসলামনদের সাথে লাগিয়ে রেখেছে ভারতীয় দুষ্ট রাজনীতিবিদরা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় বক্তব্য কতটুকু তথ্যনির্ভর?
তবুও মুসলিমদের নিজেদেরই বুঝতে হবে, বের করতে হবে এগিয়ে যাওয়ার পথ।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: খুঁটি নয় ঘুটি ব্যাপারটা খুবই গ্রহণযোগ্য এবং লজিক ।

দেখুন জানুয়ারিতে কি ইস্যু নতুন মাথা চাড়া দেয় ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: একবার হারলে বারবারই হারতে হবে রাজনীতির খেলায়।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: হিন্দু বা মুসলমানরা আগে তাদের নিজেদের 'মানুষ' ভাবা শিখতে হবে। ধর্ম দিয়ে তারা যতদিন নিজেদের বিচার করবে -ততদিন তাদের ভালো কিছু হবে না।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
এজন্যই তাদের ভাল কিছু হয়নি।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

ঊণকৌটী বলেছেন: হিন্দু হিন্দু মুসলিম মুসলিম কথাটা আগে ভুলতে হবে, প্রশ্নটা হচ্ছে শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু এগিয়েছে,মানব জাতি হিসেবে আমরা উন্নয়ন এর পথে কতটুকু এগিয়েছে,সেইটার মূল্যায়ন করতে হবে, সংশোধন করতে হলে করতে হবে,সেইটা না করতে পারলে ইতিহাস এর পাতায় নাম লেখাতে হবে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: মানুষ হয়ে উঠলে েএমনিতেই গুরুত্ব কমে আসবে। তখন মানুষ মানুষ বলা যাবে।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৫

ঊণকৌটী বলেছেন: চাঁদগাজী দাদার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলছি, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান বা যে কোন ধর্মের অনুসারী অশিক্ষিত মানুষদের পরিচালনা করা অনেক সহজ

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাংলাদেশে যত মাদ্রাসা আছে পৃথীবির আর কোন দেশে এতো মাদ্রাসা নেই,উপরন্ত তাড়া পড়ছে পৃথীবির সর্ব শ্রেষ্ঠ বইটি।তার পরও তারা যদি জ্ঞান বিজ্ঞান্ শ্রেষ্ঠ না হয় তবে বুঝতে হবে এখানে কোন গোলমাল আছে।পাঠ্য বইয়ে পরিবর্তন আনতে হবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: হুমায়ুন আজাদ বলতেন, এক বইর পাঠক ভয়ঙ্কর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.