নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় যাবেন?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

একটি ইঁদুরের জীবনের সাথে মানুষের মিল দেখুন৷ জন্ম, খাদ্যগ্রহণ, পরিপাক, বেড়ে উঠা, সেক্স, সন্তান জন্ম, জীবন সংগ্রাম আর মৃত্যু একই রকম কেন? ইঁদুরটি মৃত্যুর পরে কোথায় যাবে? জীবন চলে কোষের সম্মিলিত শক্তিতে৷ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কোষের কাজ বন্ধ মানেই মৃত্যু৷ সেটা মানুষেরও৷ বিজ্ঞান বলছে প্রাণি দেহে আলাদা আত্মার দরকার নেই৷ আত্মা প্রেতাত্মার প্রমাণ করা বিজ্ঞানের কাজ নয়৷ থাকলে সেটা কিভাবে কাজ করে, আসে-যায় তা প্রমাণ করতো বিজ্ঞান৷ ইঁদুরও প্রকৃতির সাথেই মিশে যাবে৷ তার শরীরে রয়েছে কোটি কোটি কোষ৷ পৃথিবীতে থাকা বিভিন্ন অনু-পরমাণু দিয়েই কোষগুলো গঠিত৷ জৈবঅণুগুলো সাধারণত গ্রহণ করে কোন না কোন প্রাণি৷ শরীরে প্রায় তিন চতুর্থাংশই পানি থাকে৷ পানিটুকু বের করে নিলেও মানুষ মারা যাবে, ইঁদুরও মারা যাবে৷ যদি কোন প্রাণি বা জীবাণু আক্রমণ নাও করে তবুও তাপে পানি বের হয়ে শুকিয়ে যাবে শরীর৷ দীর্ঘদিনে অন্য উপাদানগুলোও মাটির সাথে মিশে যাবে৷ তবে জীবাণু আক্রমণ করবেই৷ এজন্যই শরীরে পঁচন ধরে বলে মনে হয়৷ বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মে জন্মান্তর ঘটে৷ মানে হল মৃত্যুর পরে আত্মা অন্য কোন দেহে (গর্ভকালীন) প্রবেশ করে প্রাণ সঞ্চার করে৷ অথচ বিজ্ঞান জানে কিভাবে শুক্রাণু ডিম্বাণুতে প্রবেশ করলে জাইগোট গঠিত হয়, গর্ভে কিভাবে সন্তান খাদ্য গ্রহণ করে, কিভাবে ভূমিষ্ঠ হয়৷ মৃত্যু কি তাও বিজ্ঞান জানে৷ বিজ্ঞান জানে আত্মা লাগে না জীবনের জন্য৷ পুনজন্মের দরকার পরে না৷ যা নাই বা হয় না, তা প্রমাণ করা লাগে না৷ এটা বিজ্ঞান করতে যাবে না৷

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিভিন্ন প্রধান ধর্মে বলা আছে - মানুষ মাটি দিয়ে তৈরি করে পরে প্রাণ দেয়া হয়েছে। মর্তের জীবজন্তুদের থেকে সম্পুর্ন আলাদা, শ্রেষ্ঠ। সব ফেরেস্তাকে বলা হয় এই মানবকে সেজদা করতে
মানুষকে স্বর্গেই রাখা ছিল, কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় ঈশ্বর ক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন।

কিন্তু পরে জানা গেল মানুষ বিবর্তনে পৃথিবীর অন্যান্ন জীবজন্তু প্রানীদের মত একটি প্রানী মাত্র।
হার্ট লাং রক্ত জীবন চক্র সব খালি চোখে একই ধরনের।
টিকা টেষ্ট করা হয় প্রথমে ইদুরের উপর, ঔসধ ভেহিকেল শুকরের তেল, গরুর দেহে তৈরি মানব ইনসুলিন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
একটি ইঁদুরের সাথে মানুষের বিস্ময়কর মিল এটাই প্রমাণ করে তারা একইভাবে উদ্ভব হয়েছে।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই জন্যই ইঁদুরের উপর ভ্যাকসিন পরীক্ষা কারা হয়।ইঁদুরের উপর কাজ করলে মানুষের উপর কাজ করবে।সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

মুজিব রহমান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
বিবর্তনের জন্যই এটা সম্ভব হয়।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা অনেক মিল।
এজন্য করোনার টিকা আগে ইঁদুর কেই দেওয়া হয়েছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেক প্রাণির উপরই আগে পরীক্ষা করা হয়। এজন্য ইঁদুরের চাষও করা হয়। বাংলাদেশেও ইঁদুর চাষি রয়েছেন।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৩

এমেরিকা বলেছেন: ভাইজান, আমার বোধবুদ্ধি একটু কম তো, তাই বোকার মত কিছু প্রশ্ন করি। ইচ্ছে হইলে উত্তর দিয়েন।

১। বিজ্ঞান বলছে, প্রাণী দেহে আত্মার দরকার নেই। এই বিষয়ে বিজ্ঞানের কোন থিওরি আছে কি? বা নামকরা কোন বিজ্ঞানীর বিশ্লেষণ?

২। মানুষ আর ইঁদুর যদি গঠনপ্রকৃতির দিক থেকে একই হয়, তাহলে মানুষ বিশ্বের চেহারা পালটে ফেলল আর ইঁদুর সেই গর্তেই রয়ে গেল কিসের কারণে? ইঁদুরের কেন আলাদা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা হলনা?

৩। বিজ্ঞান অনুযায়ী মৃত্যু কি? দেহে অক্সিজেনের শূন্যতা, শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাকি প্রতিটি জীবকোষের আলাদা আলাদাভাবে পচে যাওয়া?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মুজিব রহমান বলেছেন: প্রশ্নের ধরন দেখেই তা বুঝতে পারছি।

এসব নিয়ে লক্ষ লক্ষ পৃষ্ঠার উত্তর দেয়া রয়েছে। বিভিন্নজন অসংখ্যবার বলেছেন। আমি বলার পরেও আপনি অন্য জনের কাছে এই একই প্রশ্ন করবেন। জানার আগ্রহ বাস্তবিক থাকলে একটু সার্চ দিয়ে জেনে নিন।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

সাসুম বলেছেন: এসব কি লিখেন? এখনই মহা বিজ্ঞানী প্যারাটক্সিকাল মজিদ এর ছাত্ররা এসে বিরোধীতা করতে নেমে যাবে।

আত্মা বলে কিছু নেই। এটা থাকা সম্ভব না। মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে আসা একটা স্পিসিস মাত্র। আর কিছুনা।

কোষ এর যেদিন মরন হবে সেদিন মানুষের ও মরন হবে। সিম্পল হিসাব।

বিজ্ঞান প্রমান্ করে দেখাইছে অলরেডি হাজার ভাবে আত্মা বলে কিছু নাই। থাকলে এদ্দিনে সেটা রেও বের করে ফেলত। মরার পরে মিশে যাবে মাটির সাথে। কাহিনী শেষ।

ধর্মে অনেক কিছুই বলে। কারন ভয় দেখাইয়া চুপ করিয়ে রাখার জন্য ধর্মের চেয়ে বড় অস্ত্র নাই।

পুরা দুনিয়া ধর্ম কে বিজ্ঞান থেকে আলাদা করে রেখেছে। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞানে। শুধু এই বংগ ভূমে আমরা পিছাচ্ছি।

দুনিয়ার সবার চোখ হাজার বছর সামনে, ইন্টারস্টেলার স্পেস পাড়ি দিয়ে অন্য কোন এক গ্যালাক্সি তে, আমাদের চোখ গরুর মূতে, দেবীর অর্ঘ্যে, জন্মান্তরে অথবা হাজার বছর আগের বেদুঈন এর খুপড়ি ঘরে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ব্লগেও বেশির ভাগ মানুষ এসব জানে না বলেই লিখি। আমিতো গবেষকদের জন্য লিখি না। সাধারণ মানুষ যদি পড়ে এবং নিজের মধ্যে ভাবনা তৈরি করতে পারে তবে তিনি বদলাবেন।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০০

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: মিল থাকলেই সব এক হয় না...

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: কি হয় না?
মিল গুলো বিবেচনা করবেন না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.