![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
এক প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময় এক সহকর্মী নারীর বিয়ে ঠিকঠাক। মেয়েটি ভাল বেতন পায়, মাস্টার্স করা, দেখতেও সুন্দরী-দীর্ঘাঙ্গী। হাতে আংটি পড়ানোও শেষ। দিন তারিখ দিতে এসে ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে বললেন, ‘আগেই বলে রাখি- ‘বিয়ের পরে কিন্তু মেয়ে কোন টাকা আপনাদের দিতে পারবে না, সব টাকাই দিতে হবে ছেলের হাতে’। মেয়েটি বেঁকে বসলো! বিয়েও ভেঙ্গে গেল। দেশে ছেলেদের মধ্যে স্ত্রীর চাকরির টাকা তার নিজের অধিকার মনে করার একটা প্রবণতা রয়েছে। ছেলের মতো মেয়েকেও যে পিতা-মাতা লালন-পালন করেছেন, শিক্ষিত করতে অর্থ ব্যয় করেছেন সে হিসাবটা করতে চায় না তারা। মেয়েরও যে নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনের জন্য ব্যয় করাটা কর্তব্য সেটা মেনে নিতে পারেন না। এমন ভাবাদর্শের কারণে পিতা-মাতার মধ্যেও একটা ধারণা জন্মে যে, মেয়েকে পড়া-শোনা করালে বা তার পেছনে ব্যয় করতে সে পরিবারের জন্য কিছু করতে পারবে না।
এক্ষেত্রে শাশুড়ীগণ একধাপ এগিয়ে থাকেন। তিনি নারী হলেও পুত্রবধূর আয়টায় যে পুত্রবধূর পিতা-মাতা বা ভাই-বোনেরও অধিকার রয়েছে সেটা মেনে নিতে আরো কম পারেন। তিনি পুত্রবধূকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তার পিতার বাড়ির সাথে সম্পর্ক কম রাখতে আরো বড় ভূমিকা রাখেন। সাম্প্রতিক এক উচ্চ পদে চাকরি করা নারীর কাছ থেকে জানলাম, পিতার বাড়ীর সাথে সম্পর্ক না রাখা এবং শাশুড়ীর পদানত থাকার জন্য তিনি পুত্রবধূকে পানির সাথে মিসিয়ে পীরের পড়া ওষুধ খাইয়েছেন। একদিন খাওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন। আমার কাছে জানতে চান এটাতে বিষাক্ত কিছু আছে কিনা তা কোথায় পরীক্ষা করবো? পরীক্ষার জায়গাতো সাইন্সল্যাবরেটরী। পরীক্ষা করতে বেশ টাকাও লাগে। তাছাড়া পানিতে কি মেশানো তাতো বলে পরীক্ষা করাতে হবে। শিসা থাকতে পারে, পারদ থাকতে পারে অথবা কেবলই রঙিন কাগজে মোড়ানো তাবিজ ভেজানোর কারণেও পানির রঙ বদলাতে পারে। শেষ পর্যন্ত ওনি পরীক্ষা না করিয়ে বাড়িতে খাওয়াই বন্ধ করে দেন। যদিও আমি বলেছিলাম, পীর/হুজুর/ফকিরের পানি পড়া খেলে লাভ/ক্ষতি নাই। শুধু মুখের জীবাণু পানির সাথে মিশে ক্ষতি করতে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারী তার আয়ের টাকা পিতা-মাতাকে দিতে চায়, কাছে এনে সেবাযত্ন করতে চায় কিন্তু স্বামী ও তার পরিবারের কারণে পারে না। নারীর পিতা-মাতাও মনে করে এতে মেয়ে সংসারে অশান্তি আসতে পারে তাই তারাও মেয়ের কাছে এসে স্থায়ীভাবে থাকতে চায় না। অথচ শহরে বসবাস করার সময় সাধারণত ছেলেরাই তার পিতা-মাতাকে বাড়িতে এনে রাখে, সেবাযত্ন করে। পুত্রবধূকেও শ্বশুর-শাশুড়ীর সেবাযত্ন করতে হয়। কিন্তু নিজ মায়ের সেবাযত্ন করতে পারেন না। আবার যখন নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন ঠিকই নিজের মাকেই আনতে হয়, তখন আর শাশুড়ী আসে না পুত্রবধূর সেবার জন্য।
নারী সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য এমন হাজারটা ত্যাগ স্বীকার করে। অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেলেই তারা ডিভোর্সের পথে হাঁটে। পুরুষ সাধারণত ডিভোর্সের পথে না হেঁটে নির্যাতনের পথেই হাঁটে। তাদের গায়ে শক্তি বেশি ও সংসারে মেয়েটি একটা থাকলেও স্বামীর পরিবারের অনেকেই থাকে। ফলে অত্যাচার হয় এক তরফা। তাই ডিভোর্স দিয়েই মুক্তি পেতে চায়। ফলে দেখা যায় শহরগুলোতে বেশি ডিভোর্স দিচ্ছে নারীরাই। অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য এটা খারাপ পথ নয় অন্তত যারা নিজেরা আয় করেন তাদের জন্য।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১২
মুজিব রহমান বলেছেন: সমাজেই আছি, সংসার করছি। যেসব বিষয় ভুল মনে হয় তা নিয়ে লিখি।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৪
করুণাধারা বলেছেন: আপাতত লাইক জানিয়ে গেলাম, আপনার সত্য কথনের সাহসিকতার জন্য।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি কেমন আছেন আগে বলুন? ভালো আছেন তো? মন ভালো আছে তো?
কর্মজীবি নারীরা তাঁদের বাবা মাকেই টাকা দেন। এমনকি সন্তান হওয়ার পরও সন্তানের খরচ বাঁচিয়ে টাকা মা বাবা ভাই বোন ভাই বোনের ছেলে মেয়ে তাদের পর্যন্ত খরচ টানেন - মনে হতে পারে স্বামীর উপর রাগ করেই এসব করছেন এমনকি নিজের সন্তানদের ১২ টা বাজিয়ে হলেও বোনের সন্তানদের টানেন। - আমার কথা ১% বিশ্বাস করারও দরকার নেই। ঢাকা সিএমএম কোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত তৃতীয় তলা ৩০৯, ৩১০, ৩১১, ৩১২, ৩১৩, ৩১৫ যে কোনো রুমে মামলা চলাকালীন সময়ে প্রবেশ করুন। আপনি নিজে জেনে যাবেন। সেখানে নারী পক্ষের মামলা চলছে মামলা জয়ী হবেনও নারী! মামলা বোঝার জন্য আশা করি বৃটিশ লইয়ার ধার দেনা করে আনার প্রয়োজন হবে না।
মামলার জয় পরাজয় সাক্ষী প্রমাণে - বাস্তবতা আর সত্যবাদিতায় নয়।
আর কতোদিন প্রবাসে থাকবেন - দেশে আসুন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমি িএই সমাজেরই মানুষ। চাক্ষুস দেখছি প্রতিনিয়ত।
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি পুরোটা পোস্ট ভুল দিয়েছেন। আপনি ১৯৭৫ এ দাড়িয়ে ১৯৭৫ এর গল্প ২০২১ এ বলছেন!
একজন কর্মজীবী নারী - হোক গার্মেন্ট কর্মী অথবা কোনো কর্পোরেট হাউজের এক্সিকিউটিভ। তার চলাফেরায় কোথাও স্বামীর কাছে নত থাকবে এটি আপনি কোন জগতে দেখেছেন আমি জানিনা, বাংলাদেশে খুব দুর্লভ। আর শশুরবাড়ি বা শশুর শাশুড়ির টাকা চাইবেন? শাশুড়ির মাথা কয়টা?
আমার মন্তব্য এখানেই শেষ। আপনার পুরো পোস্ট ভুলে সয়লাব। আমি বিস্তারিত লিখে একটি পোস্ট দিচ্ছি, আপনাকে পড়ার জন্য দাওয়াত রইলো, - আপনাকে মন্তব্য করতে হবে এটি জরুরী না।
বাই দ্য ওয়ে দেশে আসুন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৩
মুজিব রহমান বলেছেন: আমি বাস্তব ধারণা নিয়েই লিখেছি। যে দুটি উদাহরণ দিয়েছে তা একেবারেই সাম্প্রতিক। আমার এক আত্মিয়ারও বিয়ে ভেঙ্গে গেল এমন এক কারণেই।
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রচ্ছদের ছবি কি তুরস্কের মেয়েদের না কি ইথিওপিয়ার?
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২১
মুজিব রহমান বলেছেন: একুশে টিভির নিউজে এই ছবিটি ব্যবহার করেছে তুরস্কের বিবাহবিচ্ছেদের সংবাদে।
৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: অন্য রকম একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৫
মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের সমাজে বহু রকম সমস্যা রয়েছে। এর যেনো শেষ নেই। সব দিকেই পশ্চাৎপদতা, সব দিকেই ধর্মান্ধতা-মৌলবাদ, সব দিকেই বিজ্ঞানবিরোধীতা। আমরা লড়াই না করলে বদলাবে না।
৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ছেলের টাকায় যদি ছেলের বাপ মার অধিকার থাকে তবে মেয়ের টাকায়ও মেয়ের বাপ মার অধিকার আছে।বিষটা দেখতে হবে মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে।কোন ধর্মিয় দৃষ্টি কোন থেকে না।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২২
মুজিব রহমান বলেছেন: তাই ভাবার সময় এসেছে।
৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৬
সোহানী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো এমন একটি প্রয়োজনীয় বিষয় সামনে এনেছেন। লিখার প্রতিটি অংশে সহমত। চারপাশের কিছু মানুষরুপী ইতরশ্রেনীর জন্য লিখাটা অবশ্যপাঠ্য।
আমাদের সমাজ এখনো এতোটা আধুনিক হয়নি যে ছেলে-মেয়েকে এক কাতারে ফেলবে। মেয়ে মানেই দাস শ্রেণী, তার আয় রোজগারের অধিকার শুধুমাত্র স্বামীর। কিন্তু একটি বারের জন্য ও তারা কি বুঝে না এ মেয়েটিকে ঠিক একইভাবে তার বাবা মা মানুষ করেছে। তার উপর অধিকার অনেক বেশীই আছে। অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু সময়ের অভাই। তাই এতটুকুই বললাম।
আর আপনার লিখার প্রতিটি বিষয়ই সচেতনতামূলক যা আমার ভালো লাগে।
অনেক ভালো থাকেন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৬
মুজিব রহমান বলেছেন: দেশে অসংখ্য মানুষকে লড়াই করতে নামতে হবে। আমরা সমাজ বদলাবোই। লিখতে হবে অনেক কে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৪
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাবো। সমাজ বদলাবেই।
৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার বোন সোহানী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো এমন একটি প্রয়োজনীয় বিষয় সামনে এনেছেন। লিখার প্রতিটি অংশে সহমত। চারপাশের কিছু মানুষরুপী ইতরশ্রেনীর জন্য লিখাটা অবশ্যপাঠ্য। - অবশ্যই এই সমাজে ইতরশ্রেণীর সংখ্যা বাড়ছে মাত্রতিরক্তভাবে! নইলে এই সমাজে একদল লোক কিভাবে পরনারী আসক্ত হতে পারে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে সেই ইতর লোকদের একদল ইতর নারী সহযোগিতা করে যাচ্ছে ইতরামি করার জন্য। ইতর পুরুষ আর ইতর নারীর কারণে নষ্ট হচ্ছে সমাজের ভারসাম্য। যেভাবে বেড়েছে ইতর পুরুষ তাদের পাশাপশি বেড়েছে ইতর নারী। নয়তো এতো এতো পরকীয়া আর সংসার ভাঙ্গার সমস্যা তো হবার কথা না। একজন পুরুষ ঘর সংসারের বাইরে আরেক নারীর সাথে সম্পর্ক করেছেন এর অর্থ এই দাড়ায় এই ইতর পুরুষের সাথে একজন নারীও ইতর হয়েছেন।
একটি মেয়ে কোনো একটি পরিবারের সদস্য তারপর সে কারো স্ত্রী কারো মা। তার মা বাবা ছেড়ে নিশ্চয় সে তার স্বামীকে আয় রোজগার দিতে পারেন না - বেকার বেকা্রউল্লা হলে ভিন্ন বিষয়। বাংলাদেশে বহু নারী বেকার স্বামীর ঘাণী টানছেন। সত্যি সত্যি জানিনা এই দেশে কর্মজীবি নারী কতোজান আছেন যারা শশুরবাড়ী দ্বারা এভাবে নির্যাতিত? একজন কর্মজীবি নারীর টাকা স্বামী শশুর শাশুড়ি এভাবে লুটে নেবেন আর তা থানা কোর্ট কাচারিতে যাবে না - বাংলাদেশের কর্মজীবি নারীরা এতোটা নির্বোধ তো হবার কথা না। আমাদের দেশের সাধারণ নারী আর কর্মজীবি নারীর শক্তি মনোবল আসমান জমিন ফারাক। একজন কর্মজীবি নারীর টাকা আত্মসাৎ করার জন্য শশুরবাড়ির লোকদের ঘাড়ের উপর এক্সট্রা তিনটি করে মাথা থাকতে হবে। এটি থানা কোর্ট পত্রিকা না হয়ে যাবেই না। শশুরবাড়ির লোক তুলোধুনা হবে নির্ঘাত।
জনাব মুজিব রহমান, আপনার পুরো লেখাটি আপনার নিজস্ব স্টাইলে মনগড়া কিছু ব্যক্তিগত বোঝাপড়া নিয়ে লিখেছেন তা বুঝাই যাচ্ছে । লেখাটির কথাগুলো ভুল ও বিরক্তিকর অন্তত সভ্য ও মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য। প্রথমেই বলেছেন, মাস্টার্স পাশ করা পাত্রী-দেখতে-গিয়ে বরের পিতার আবদার, কনের বেতনের সমস্ত টাকাপয়সা ছেলের হাতে দিতে হবে। আপনি কি বর্তমান সমাজে বাস করছেন? সমাজের একেক স্তরের বিধি নিষেধ এবং যার যার পারিবারিক সামাজিক অবস্থান ভিন্ন রকম। - এটি কোন সামজে এমন হতে পারে? - কেমন পরিবার! কেমন সমাজ! জানতে ইচ্ছে করছে।
১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৩
আমি নই বলেছেন: এক চোখে দেখলে হবে? অন্য চোখটাও একটু খুলে দেখেন, তখন দেখতে পাবেন কর্মজীবি নাড়ীদের একটা বড় অংশই স্বামীসহ তার পুরো পরিবারকে চাপে রাখে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৯
মুজিব রহমান বলেছেন: কর্মজীবী নারীকেতো ডাবল খাটতে হয়।
আমিতো দেখি তারা অফিস করে আবার সংসার সামলায়। অনেকে রান্না করে বা রান্নায় সহায়তা করে। সন্তান সামলায়। সে তুলনায় ছেলেরা অফিস থেকে গিয়ে আর সংসারের কাজে লেগে পড়ে না। আমি অনেক নারীর সাথেই চাকরি করেছি।
১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৩
এমেরিকা বলেছেন: কারো টাকায়ই কারো অধিকার নেই। একটা মেয়ে যদি কামাই করে, তবে সেই টাকার সবচেয়ে বড় হকদার হচ্ছে সেই গভার্নেস যে কিনা মায়ের স্নেহ মমতা দিয়ে মেয়েটির সন্তানকে বড় করে, সেই কাজের বুয়া, যে তার ঘরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে, সেই রাঁধুনি, যে তাকে রান্না করে দেয়।
কোন বাবা মা-ই মেয়ের কামাই খাবার জন্য তাকে লালন পালন করেনা। মেয়ে যাতে চাকরি করে আত্মবিশ্বাসী হয়, স্বামীর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে, সর্বোপরি একজন বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে - সেটা নিশ্চিত করার জন্যই মেয়ের পেছনে খরচ করে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩০
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: প্রিয় মুজিব ভাই,
আপনার লিখার বিষয় যথেষ্ট আলোচনার দাবীদার।
পুরুষদের ক্ষেত্রে যেমন বিষয়টি সত্যি, তেমনি সত্যি নারীদের ক্ষেত্রও।
পৃথিবীর সব পুরুষ যেমন খারাপ না, তেমনি সব নারীও খারাপ না।
আমার অনেক পরিচিত বন্ধু (ছেলে) আছে যারা বউয়ের জন্য ভাইবোন- বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ রাখেনা; রাখলেও তা গোপোনে, কারন- বউ জানলে সংসারে অশন্তি। (ব্লগের সদস্যরা আওয়াজ দিয়েন, যদি এমন ঘটনা জানা থাকে)
কর্মজীবি নারী হলে তো আর কথাই নাই। তাদের বক্তব্য আরও ১ কাঠি সরস, শুনবেন?
"বউয়ের যা আয় তাতে স্বামি, সন্তান বা তার নিজ পরিবারের কোনো অধিকার নাই, কারন - স্ত্রীর ভরন-পোষনের দ্বায়িত্ব - স্বামীর। স্ত্রী- তার উপার্জন নিজের ইচ্ছামতো খরচ করবে- এমন কি পরিবারের চরম প্রয়োজনে সে কোনো খরচই করবেনা- যদি তার ইচ্ছা না হয়; কারন- সংসার চালানোর দ্বায়িত্ব স্বামীর"
তাই বলে পৃথিবীর সব নারীরা ই যে এমন- তা যেমন সত্য নয়, তেমনি এটাও সত্য নয়- সব পুরুষই খারাপ।
পৃথিবীর সব নারী বা পুরুষদের জেনারেলাইজড করার আগে একটু চিন্তা করা উচিত।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৫
মুজিব রহমান বলেছেন: আমি সমাজের মানুষের ভাবাদর্শটাই তুলে ধরেছি।
১৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪
আড়ালি বলেছেন: আপনার এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য হল, আপনি মেয়েদের ডিভোর্স এর দিকে সাপোর্ট দিচ্ছেন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৩
মুজিব রহমান বলেছেন: অশান্তির চেয়ে ডিভোর্স খারাপ নয়। সেবসময় ঝগড়ার চেয়ে নতুন চেষ্টা মন্দ নয়।
১৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনি বোধহয় বেশ চাপে পড়ে গেছেন এ লেখাটি লিখে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যতটা অসহায় পরিস্থিতির কথা লিখেছেন বর্তমানে পরিস্থিতি এর থেকে ভিন্ন। আমাদের সমাজের অর্থনৈতিক, সামাজিক, কোন কোন ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে অনেকগুলো স্তর তৈরি হয়ে গেছে। ফলে আমাদের যে কোন সামাজিক সমস্যা নিয়ে সরলীকরণ বক্তব্য দিতে গেলে এরকম জটিলতা তৈরি হতে বাধ্য। তাছাড়া আপনার মূল বক্তব্যের সাথে একমত।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৩৯
মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা ভাবি যতটা সমাজ এগিয়েছে, বাস্তবে তা হয়নি। মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থায় এগিয়েছে, চিকিৎসাক্ষেত্রে এগিয়েছে, অবকাঠামো ক্ষেত্রে এগিয়েছে- তবে তাদের হাজার বছরের তৈরি ভাবাদর্শ থেকে সে তুলনায় এগিয়ে যায় নি। লেখাটি মনগড়া নয়।
১৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: সত্যিকথার স্বাদ বড় তিতা- আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো কারণ কেউ একথা মানতে রাজি না। অথচ আমার দেখা অধিকাংশ চাকুরীজীবি মহিলা তাদের উপার্জন সংসারে ব্যয় করতে বাধ্য হন, কারণ তাদের চাকরি করতে দিয়ে স্বামীরা তাদের সেবাযত্ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন!!! সময়াভাবে আমি এমন কিছু মহিলার দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে পারলাম না।
পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪১
মুজিব রহমান বলেছেন: আমার সাথে অনেক নারীই চাকরি করেছে। তারা সংসার সামলিয়ে দৌড়ে অফিসে ঢুকে আর শেষ হওয়ার সাথে সাথে দৌড় দেয়। আমরা হাসতে পারি কিন্তু কারণটা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই। আপনার অভিজ্ঞতা সঠিক।
১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৮
রামিসা রোজা বলেছেন:
আমাদের বাসার খালা ( যিনি ঘরের কাজের সাহায্যকারী)
উনি ওনার অটোচালক পেশায় নিয়োজিত ছেলের জন্য
পাত্রী খুঁজছেন গার্মেন্টসের চাকরিরত নারী । কারণ ছেলের
বিয়ের পর খরচ বেড়ে যাবে তাই ? তাই কি আর করা,
গার্মেন্টসে চাকরি করলে বউ তো ভালোই বেতন পাবে ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫১
মুজিব রহমান বলেছেন: ওই মেয়ের পিতা-মাতাকে কোনরূপ সহযোগিতা করতে দিবে ? স্বামীরা বউয়ের বেতনের টাকার হিসাব রাখতে চায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই, আপনি কি বাংলাদেশের বাইরে থাকনে নাকি পৃথিবীর বাইরে থাকেন? এতোটা পুরুষ বিদ্বেষ নিয়ে কিভাবে বেঁচে আছেন সন্দেহ হচ্ছে? নাকি মারা গেছেন - লেখালেখি করছেন আপনার ভুত! - মজা করেছি
- আপনার পোস্ট পুরোটা ভুল। সমাজ সংসারের বাইরে আছেন (হয়তোবা) তাই আপনার এমন ধারণা হয়ে আছে।