নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যার অধ্যায়টি অন্য কাউকে দিয়ে লেখান!

১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৩


শিক্ষার মতোই আমাদের পাঠ্যবইগুলো শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয় তা বিজ্ঞানবিমুখও। এটা অনেকসময় পরিকল্পিতভাবেই করা হয়ে থাকে। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ানো হয় বিবর্তনবাদ। এগুলো যারা লিখেছেন তারা কেউই যে বিবর্তনবাদ বুঝেন না তা বই পড়লেই স্পষ্ট হয়। গাজী আজমল ও গাজী আসমতের জীববিজ্ঞান বইটি খুবই জনপ্রিয়। গাজী আজমল স্যার আমার শিক্ষক ছিলেন। আমাদের প্রাণিবিজ্ঞান তিনিই পড়াতেন। তবে বিবর্তনবাদ পড়ানোর দুইদিন আসলেন মিজান স্যার। তিনি আবার হুজুর মানুষ। এসেই বললেন, বিবর্তনবাদ একটি ভুয়া মতবাদ। যদি বানর থেকে মানুষ হতো তবে পৃথিবীতে কোন বানর থাকতো না। তোমাদেরও বিশ্বাস করার কিছু নেই। পড়াতে হয় তাই পড়াচ্ছি। নটরডেমের মতো কলেজে এমন মতাদর্শ অভাবনীয়। সাম্প্রতিক অনেকের কাছে শুনলাম গাজী আজমল স্যারও নাকি হুজুর হয়েছেন। মানে হল তিনিও বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করেন না। তাহলে তিনি কেন লিখবেন বিবর্তনবাদের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়? আমার একটা কষ্ট ছিল একজন ভুল স্যার আমাদের বিবর্তনবাদ পড়িয়েছেন। এখন মনে হচ্ছে তাতে ভিন্নতা হতো না।

তাঁর বইটিতে তিনি বিবর্তনের সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে- ‘মন্থর গতিসম্পন্ন ও প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মাধ্যমে সরলদেহী জীব থেকে জটিল জীবের আবির্ভাবকে বিবর্তন বলে।’ এই সংজ্ঞা দিয়ে তিনি কি বুঝালেন? শিক্ষার্থীরা শুরুতেই বিভ্রান্তিতে পড়বে এবং এ সংজ্ঞা থেকে তারা সহজে কিছু বুঝতে সক্ষম হবে না। প্রকৃতপক্ষে বিবর্তনের সংজ্ঞা থেকে শিক্ষার্থীরা শিখবে- জীব স্থির নয়, তাদের পরিবর্তন ঘটে আসছে, তাদের কাউকেই পৃথকভাবে সৃষ্টি করা হয়নি। তারা সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। প্রকৃতিতে পুরাতন প্রজাতি থেকে নতুন নতুন প্রজাতির উদ্বব ঘটে এবং তা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটে থাকে। কেন তিনি জটিলভাবে সংজ্ঞাটি দিলেন?

এরপরই তিনি বিবর্তনের মতবাদসমূহ নিয়ে আসলেন। তিনি বললেন কীভাবে বিবর্তন ঘটে তা ব্যাখ্যা করার জন্য একাধিক মতবাদ প্রচলিত হয়েছে। জৈব বিবর্তনের প্রধান দুটি মতবাদ হিসেবে তিনি ল্যামার্কবাদ ও ডারউইনবাদের কথা বলেছেন। এছড়া নব্য ডারউইনবাদের কথা আলোচনা করেছেন। এটুকু পড়লেই শিক্ষার্থীরা বুঝে যাবে ল্যামার্কবাদও বিবর্তনবাদ এবং এ মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তারা যথারীতি ভুল বুঝেছে তা লেখকদ্বয়ের হয়তো লক্ষ্য এটাই ছিল। তিনি বইতে যা লিখেছেন তা অনেক ক্ষেত্রেই সত্য নয়। যেমন- ১) বিবর্তন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। ২) কিন্তু ঠিক কীভাবে বিবর্তন হচ্ছে, এ ব্যাপারে কেউ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। ৩) বিবর্তন সহজে অনুধাবন ও অবলোকন করা যায় না। ৪) কয়েকজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক তাঁদের লেখায় বিবর্তন সম্বন্ধে কিছু কাল্পনিক ধারণা রেখে গেছেন। ৫) আধুনিক বিজ্ঞানীরা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে …। এমন অনেক আপত্তিকর ও ভিত্তিহীন বাক্য তিনি ব্যবহার করেছেন তা পড়লেই শিক্ষার্থীরা অনুধাবন করতে বাধ্য হবেন যে, বিবর্তন ভুয়া মতবাদ। মনে হবে বিবর্তন নিয়ে বহুজন যে যার মতো করে বলেছেন। ল্যামার্ক এক রকম বলেছেন, ডারউইন আরেক রকম, ডে ভ্রিস ভিন্ন রকম এবং ভাইজম্যান উল্টো বলেছেন!

আমাদের এতো মতবাদতো শেখার দরকার ছিল না। বিবর্তনের ইতিহাস শেখার চেয়ে দরকার প্রকৃত বিবর্তন কি, কিভাবে ঘটে ও তার প্রমাণ কি কি সেটা পড়ানো। ল্যামার্কের মতবাদ ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরে তা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এখন কেন ল্যামার্কের সূত্রসমূহ পড়তে হবে? যদি কারো অধিক জানার আগ্রহ থাকে তবে তারা বিবর্তন নিয়ে বিস্তর পড়ে নিবে। সেই আগ্রহটা তৈরি করাই হতে পারতো- এই বইয়ের মূল লক্ষ্য। এজন্য বিবর্তন কি ও কিভাবে ঘটে তার সাথে বিশদভাবে পড়াতে হবে বিবর্তনের ৯ ধরনের প্রমাণ। এক ধরনের প্রমাণের ভিতরে থাকা আরো বিভিন্ন ধরন। প্রতিটির জন্যই অনেকগুলো উদাহরণ ও ছবি থাকবে। এক ধরনের প্রমাণের সাথে আরেক ধরনের প্রমাণের সম্পর্ক রয়েছে তারও বর্ণনা থাকবে যেমন- জীবাশ্মগত প্রমাণের সাথে জিনতত্ত্বীয় প্রমাণের সম্পর্ক রয়েছে। বিবর্তনবাদ যে একটি বহুভাবে প্রমাণিত মতবাদ সে কথাটাই বলা প্রয়োজন ছিল। বাস্তবিক অধ্যায়টি তিনি নির্মোহ থেকে লিখতে পারেন নি। শিঘ্রই আশা করবো এমন বিভ্রান্তিমূলক অধ্যায় পরিবর্তন করিয়ে প্রকৃত ও সহজবোধ্যভাবে অধ্যায়টি পরিমার্জন করবেন। অন্যথায় স্যারের উচিৎ বিজ্ঞানের বই না লেখা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

গাজী আজমল স্যার আমাদের দোহারের লোক ।
তবে তিনি একাই নন পুরো বাংলাদেশই এখন বিজ্ঞানমনস্ক লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ।
আমরা ক্রমশ আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে দিব।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: আমি জানলাম পরে যে ওনি মৌলবাদী হয়ে উঠেছেন। তবে ওনার লেখা দেখে আমার সন্দেহ হয়েছে অবশ্যই ষড়যন্ত্র আছে।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের বিজ্ঞান চর্চা হয় না বললেই চলে।
এইদেশে গবেষণার নামে যা হয় সেটাও হচ্ছে এক ধরনের নকলবাজি।
আর পিএইচডি দুই একটা তা হয় সেগুলোও একশভাগ জালিয়াতি।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: আমার এক বিজ্ঞানের স্যার পিএইচডি করে এসেছেন পরিবার পরিকল্পনার উপর। নামের আগে ড. লাগাচ্ছেন।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন বর্তমানের পাঠ্যবই গুলো নারাচারা করি না। কি অবস্থা কে জানে!!

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৩

মুজিব রহমান বলেছেন: সাধারণভাবে নাড়াচাড়ার কথাও না আমাদের। বিবর্তন নিয়ে কি লেখা আছে তা জানার আগ্রহ থেকেই বইটি পড়তে গিয়ে বিস্মিত হয়েছি।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৭৫ এর পর থেকে ধিরে ধিরে আমাদের আমলাতন্ত্রে জামাত শিবির রোপিত 'সালাফি-ওহাবি' তন্ত্র অনেকটাই গভীরে প্রবেশ করেছে।
দুইযুগ পর স্বাধীনতা পক্ষ ক্ষমতায় এসে কাউকেই বাদ দেয়া সম্ভব হয় নি।
উচ্চপর্যায়ে এইসব কর্তারাই সরকারকে ভয় দেখিয়ে কথিত হেফাজতের উছিলা দিয়ে ধিরে ধিরে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করছে।
হেফাজত কখনো পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তনের জোড়ালো দাবি করেনি, এমনকি হালকা দাবি করতেও শুনিনি।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: অন্ধকারের শক্তিকে খুশি রেখে দেশকে আলোর পথে নেয়া যাবে না।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:০১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে মৌলবাদীরা ঢুকে গেছে।এখান থেকে বেরিয়ে আসা এক অসম্ভব ব্যাপার।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের প্রচুর কথা বলতে হবে সাহস করে। প্রমাণ করতে হবে দেশে এখন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ জেগে উঠেছে।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৫৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবর্তনবাদ নিয়ে বিপ্লবী হওয়া একজন কলেজ শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নয়।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: সত্যটা সহজে বললে ওনার কিছুই হতো না। ওনি মৌলবাদী বলেই এমনটা করেছেন।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৪২

এমেরিকা বলেছেন: জীববিজ্ঞান বইয়ের লেখক এমন অযৌক্তিক উদ্ভট কথা কেমন করে বলেন? বিবর্তনবাদের কোথাও তো বলা নেই যে মানুষ বানর থেকে বিবর্তিত হয়েছে! বরং বলা আছে, মানুষ এবং বানরসহ সমস্ত প্রাইমেটের উৎপত্তি একই স্পেশিস থেকে হয়েছে। হুজুর হয়ে গেলেই যে মাথার নাট বল্টু ঢিলা হয়ে যেতে হবে - এর কোন যুক্তি নেই।

বিবর্তনবাদ একটি তত্ত্ব বা থিউরি। এর স্বপক্ষে অনেক প্রমাণ আছে, বিপক্ষেও অনেক যুক্তি আছে। বিতর্ক হলে তা হতে হবে তথ্য ও যুক্তির নিরীখে। বিবর্তনবাদ যদি কোন মাওলানাও পড়ান, শ্রেণীকক্ষে তিনি কোনভাবেই নিজস্ব মতামত দিতে পারেন না। আপনাদের উচিত ছিল মিজান স্যার সম্পর্কে প্রিন্সিপালের কাছে কমপ্লেন করা।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৬

মুজিব রহমান বলেছেন: নাট-বল্টু যে ঠিক নেই সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। ওনি বিবর্তনবাদ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন ওনার প্রজ্ঞার অভাবেই।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: দেশের এই অবস্থা দেখে এখন মনে চায় দেশ ছেড়ে পরবাসী হই !

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: অনেকেই দেশ ছেড়েছেন।
এতে তারা হয়তো নিরাপদ হয়েছেন, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন। তবে দেশে থেকে কথা না বললে, দেশের পরিবর্তন আসবে না।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২০

স্থিতধী বলেছেন: এলিমেন্টারি লেভেলে যেকোন বিষয়ের একটা সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থাকাতো স্বাভাবিক এবং উচিৎও। প্রাথমিক পর্যায়ে বিবর্তন বিষয়ক মতবাদগুলো ও এর বিকাশ সংক্রান্ত বিষয় বস্তু থাকাটা দোষের কিছু মনে হচ্ছেনা । তবে অবশ্যই এটা ঠিক যে এ সম্পর্কে একদম সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার বা তথ্যগুলো কি বলছে সেটা সম্পর্কেও একটি আলোচনা অতি অবশ্যই থাকা উচিৎ যেটা সময়ের সাথে সাথে পাঠ্যবইয়ে পরিমার্জিত হবে। আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশ শ্লোগানের যুগে আমার মতে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকেই এ সকল বিষয়ের জার্নালগুলোর এক্সেস স্কুল – কলেজগুলোর কম্পিঊটার ল্যাবে থাকা উচিৎ যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আপডেট হতে পারে। এই চর্চাটা তাদেরকে পরবর্তীতে যৌক্তিক চিন্তা ও গবেষণার কাজেও সাহায্য করতো। কিন্তু আমাদের ক্ষমতাধর নীতি নির্ধারকরা সেটা হতে দিতে চান কিনা সেটাই হচ্ছে আসল প্রশ্ন।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ওনি বিবর্তনবাদের দুটি ভাগ দেখিয়েছেন একটি ল্যামার্কবাদ। অথচ ল্যামার্কের মতবাদ ভুল প্রমাণিত হয়ে বাতিল হয়েছে। ওনার লেখা পড়লে নিশ্চিতভাবেই শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হবে ও বিবর্তনবাদকে বিতর্কিত মনে করবে।

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২০

কানিজ রিনা বলেছেন: মানুষের হাতেও বিবর্তন হয় হাহাহা আমাদের একটা কুল বড়ই গাছ ছিল, সেই গাছটা কেটে ফেলে দেয়া হয়েছিল, তার গোড়া থেকে এখন যে গাছ বেড় হয়েছে তাতে টক বড়ই ধরেছে। বুঝলাম টক বড়ই গাছে কলম করে কুল বরই মিষ্টি বড়ই করা হয়েছে।
আসলে কি জানেন? বিবর্তনবাদ অনেক ধীর গতির কারণে মানুষ চোখে না দেখে বিশ্বাস করে না। যেমন বিশ্বাস করে না সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ্ আছেন। বিবর্তন হয়েছে ঠিকই আমি বিশ্বাস করি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে খুব ধীর গতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
আমি বিশ্বাস করি বিগব্যাং বিস্ফোরণ ঘটে নাই সেটা আস্তে আস্তে শূন্য থেকে প্রসারিত হয়েছে এবং হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার
মহাশক্তির মহাপরিকল্পনায় সুপরিকল্পীত প্রক্রিয়ার সুনিয়ন্ত্রণ
পদ্ধতিতে। আপনারা যারা না দেখে আল্লাহ্ বা সৃষ্টি কর্তাকে বিশ্বাস করেন না, তাহলে এমন ধীর গতির কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তন হয়েছে মানুষ না দেখে বিশ্বাস করবে কিভাবে। বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদকে স্বীকৃতি দেন নাই। ধন্যবাদ।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: যুক্তি ও প্রমাণ দেখেই বিবর্তনবাদ বুঝতে পারছি যে এটি ঘটেছে। পৃথিবী ঘুরছে এটাও দেখি না কিন্তু কিন্তু যুক্তি ও প্রমাণ আমাদের নিশ্চিত করছে।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২০

স্থিতধী বলেছেন: বিবর্তনবাদের দুটি ভাগ দেখিয়েছেন একটি ল্যামার্কবাদ। অথচ ল্যামার্কের মতবাদ ভুল প্রমাণিত হয়ে বাতিল হয়েছে।

সিগমুন্ড ফ্রয়েড এরো অনেক ধারণা, তত্ব ও পদ্ধতি এখন মনোবিজ্ঞানে অচল ও বাতিল ঘোষিত হয়েছে । তাই বলে মনোবিজ্ঞান পড়াতে গেলে ফ্রয়েড এর নামটিকে বাদ দিয়ে কোথাও পড়ানো হয়না । ল্যামার্কের মতবাদ যদি বিবর্তন তত্বের প্রাথমিক পর্যায়ে অবদান রেখে থাকে তবে তা পাঠ্য বইয়ে থাকতেই পারে। আপনার মূল বক্তব্যটা হয়তো এটা হওয়ার কথা যে বিবর্তন বিষয়ে যে সাম্প্রতিক তথ্য, প্রমাণ, আবিষ্কার গুলো হয়েছে সেসব পাঠ্য বইয়ে না থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট হচ্ছেনা। ৯নং মন্তব্যে তাই বললাম, সেসব পাঠ্য বইতে অবশ্যই থাকা উচিৎ।

১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: স্বল্প পরিসরে আপনি অদরকারিকে গুরুত্ব কেন দিবেন। বিস্তারিত পড়ানোর সময় এটা অবশ্যই আলোচিত হতে পারে। েএখানে ল্যামার্কবাদ এতো গুরুত্বদিয়ে আলোচনা করা সন্দেহজনক ও অপ্রয়োজনীয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.