নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গভীর শ্রদ্ধাঃ আতিকুল্লাহ খান মাসুদ

২২ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৩


মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পপতি ও দৈনিক জনকল্ঠের সম্পাদক
জন্মঃ ২৯ আগস্ট ১৯৫১, মেদিনীমণ্ডল, লৌহজং, মৃত্যু ২২ মার্চ ২০২১ (শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভোরে মৃত্যুবরণ করেন)
পিতা: দরিব উদ্দিন খান, মাতা: জসিমুন্নেছা
স্ত্রী: শামিমা এ খান

তিনি ঐতিহ্যবাহী সভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান। তাঁর দাদা আজিম খান ও সুজাত আলী খান ছিলেন জমিদার। তাঁর এক দাদা সিরাজুল ইসলাম খান মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের ৪০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তার চাচাতো চাচা মোশারফ হোসেন খান ছিলেন ডেপুটি এটর্নী জেনারেল ও ইউনিয়নের ২৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর আরেক চাচাতো চাচা এয়ারভাইস মার্শাল কে.এম. আমিনুল ইসলাম বিমানবাহিনীর প্রধান ও এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর বড় ভাই সেক্টর কমান্ডার এম. হামিদুল্লাহ খান বিএনপির মনোনয়নে মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের এমপি ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে এসএসসি ও ১৯৭০ সালে আইএসসি পাস করেন। কলেজে অধ্যয়নের সময় তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছয় দফা আন্দোলন, ছাত্রসমাজের ১১ দফা আন্দোলনও উনসত্তরের গণঅভ্যত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে গিয়ে বিহারের চাকুলিয়া ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

দেশে ফিরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তাঁর বাড়ি লৌহজং হলেও তিনি শ্রীনগর উপজেলার কমাণ্ডারের দায়িত্ব পালন করেন যুদ্ধকালীন সময়ে। তিনি শেখরনগর এলাকায় পাকিস্তানি সৈন্য বোঝাই একটি লঞ্চ ডুবিয়ে দিয়েছিলেন রকেট লাঞ্চার ছুড়ে। গোয়ালীমান্দ্রার ঐতিহাসিক যুদ্ধে তিনি বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের দুটি লঞ্চ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন তারা। বহু সৈন্য হতাহত হয় ও আত্মসমর্পন করে। এরপর কামারখোলার যুদ্ধ, সৈয়দপুরের যুদ্ধ ও নবাবগঞ্জের গালিমপুরের যুদ্ধেও তিনি অসামান্য ভূমিকা রাখেন।

স্বাধীনতার পরে তিনি ১৯৭২ সালে বিএসসি পাস করে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। ১৯৮১ সালে তিনি গ্লোব ইনসেকটিসাইড লিমিটেড, ১৯৮৬ সালৈ গ্লোব ইএমকে এন্ড ম্যাট ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লি., ১৯৮৮ সালে গ্লোব অ্যারোসল ইন্ডাস্টিজ লি. ও ১৯৯০ সালে গ্লোব মেটাল কমপ্লেক্স লি. প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর গ্লোব কনস্ট্রাকশন নামের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে। তিনি ১৯৯৩ সালে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা প্রকাশ করে এর সম্পদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পত্রিকাটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশিত হতে থাকে। পত্রিকাটি দেশের সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে মতাদর্শ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখে। ১৯৯৪ সালে একটি লেখার কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করে। এরপর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হলে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় গ্রেফতার করে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তিনি মুক্তি লাভ করেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জনকণ্ঠ পরিবারের একজন সামান্য সদস্য ছিলাম ।

তাঁর মহাপ্রয়াণে বেদনা অনুভব করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.