![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধকার নির্জন রাতে সিগারেট টানতে টানতে একাকী হেটে বেড়াতে ভাল লাগে। ভাল লাগে নির্ঘুম রাতে সমুদ্রের পাড়ে বসে একা একা কাদতে। মাঝে মাঝে নির্ঘুম রাতগুলো ভীষন কাদায়,বেচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে যায় তবুও বেচে আছি,বেচে থাকার প্রয়োজনে। স্বপ্নময় চোখে বারবার স্বপ্ন দেখি,স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায় ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো নিয়েই আমার বেচে থাকা বেচে থাকা কারও ফিরে আসার অপেক্ষায়........................
ওইদিন এক ভাইকে দেখলাম ব্লগ লিখেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে।আবার উনি শেষে বলেছেন কেউ যদি বলে যে,''ভুল কি বলেছেন''তবে লাথি দিয়ে ব্লক করা হবে।বুঝতে পারলাম ওখানে ব্লগার ভাই একাই সত্যে অবগাহন করে আছে আর উনার কাছে এটাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা!বাকি সবাই ভুল!
তবে যারা রাজনীতি করে তারা লাথি খাইতেও জানে আবার দিতেও জানে।কিন্তু আমি রাজনীতি করিনা।তাই কারো লাথি খাইতেও ইচ্ছা নেই,কাউকে লাথি দিতেও ইচ্ছে নেই।তাই ওখানে মন্তব্য করিনি।
তবে কেন জানি মাঝে মাঝে অপ্রিয় সত্য বলতে ইচ্ছে হয়।তাই আজকের এই ব্লগটা লেখতে হল।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী যুদ্ধ করে যেমন বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন,তেমনি বর্তমান কর্মকান্ডে উনি প্রশ্নবিদ্ধ।জামায়াতের দিগন্ত টেলিভিশনে টক শোতে উনি অংশগ্রহন করেছেন।জামায়াতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।শহীদ বুদ্দীজীবিদের নিয়েও মন্তব্য করেছেন।আর অনেক আগেই শাহবাগ থেকে উনাকে রাজাকার উপাধি দেয়া হল!
অনেকে মনে করেন উনি ক্ষমতার লোভে এগুলো করতেছেন।কেউ কেউ মনে করেন টাকার লোভে।হতে পারে তার কোন একটি,বা দুটোই অথবা কোনটাই না।
কিন্তু কথা হল কাদের সিদ্দিকী যদি জামায়াতের পক্ষে কথা বলার কারনে রাজাকার হতে হয়,তবে একই কারনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটুকু স্বাধীনতার পক্ষে?
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছিল ক্ষমতার লোভে।
আবার প্রধানমন্ত্রীর মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে নুরু রাজাকারের পরিবারে।তাহলে কাদের সিদ্দিকীর মত একই দোষে কি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দোষী নন?
আবার ওই ভাই হুমায়ুন আযাদের একটা বাক্য দিয়েছেন যে,''মুক্তিযোদ্ধা চিরদিন মুক্তিযুদ্ধা নাও থাকতে পারে,কিন্তু রাজাকার চিরদিনই রাজাকার''
ঠিক একই ক্ষেত্রে,নুরু রাজাকার কি চিরদিন রাজাকার নয়?নাকি বিশেষ কোন দলের ছোয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়?
কথিত স্বাধীনতার পক্ষের দল ক্ষমতায় থাকতে,একজন রাজাকারের ছেলে কিভাবে মন্ত্রী হয়?
এমন অনেক মন্ত্রী এমপি আছেন যারা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছিল,তাদের অনুমতি নিয়েই রাজাকার,আল বদর,আল শামস বাহিনী গঠন করা হয়েছিল।তাদের নির্দেশেই মুক্তিযোদ্ধাদের উপর গুলি চালিয়েছিল,অথচ আজ তাদের মন্ত্রী বানানো হয়েছে।এক্ষেত্রে আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে কতটুকু গন্য?
এভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল রাজাকারের আশ্রয়দাতা।প্রত্যেকেই এক্ষেত্রে সমভাবে দোষী।তাহলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী একাই কেন দোষি হবেন?কেন শুধু উনাকে নব্য রাজাকার বলা হয়?
তবে একটা জিনিস খুব বুঝতে পেরেছি যে,যারাই আওয়ামীলীগের সমালোচনা করবে,তারাই রাজাকার।আর যারা তাদের সবকিছু মেনে নিবে তারাই মুক্তিযুদ্ধা!
হয়ত এই লেখার কারনে আমাকেও রাজাকার বলতে পারে,যদিও আমি জন্মের পর থেকেই রাজাকারকে ঘৃনা করি।
তবে সবশেষে একটি অপ্রিয় সত্য কথা বলে যাই,শুধু জামায়াতে ইসলাম মানেই যেমন ইসলাম নয়,বিএনপি মানেই গনতন্ত্র নয়,তেমনি আওয়ামীলীগ মানেই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নয়।
খাটি বাংলায় বলতে গেলে,সবাই ক্ষমতার লোভে ভেক ধরে আছে।
আমরা সাধারন জনগন পড়ে আছি মাইন্কার চিপায়।এখান থেকে উদ্ধার হতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে।দলের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে।
আমার এখানে যে কেউ ভদ্র ও যুক্তিমুলক মন্তব্য করতে পারেন।আমার ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করে নিব।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
ভোরের সূর্য বলেছেন: ১০০% সহমত।খুব সত্য একটা কথা বলেছেন।ব্যপারটা এমন যে তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বললেই আমি বিএনপি কে সাপোর্ট করি বা আওয়ামীলিগের বিরুদ্ধে কথা বলেলেই সে রাজাকার জামাত।আসলেই আমরা এই দুই দলের মাঝে পড়ে সাধারণ জনগন চিরে চ্যাপটা হচ্ছি।গরম কড়াই থেকে গরম সসপ্যানে পরছি।ব্যপারটা একই।
একটু অন্য প্রসঙ্গে বলি।আমার দাবি যদি বিএনপির সাথে মিলে যায় তার মানে কিন্তু আমি বিএনপি না।৫টা সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি জয়লাভ করেছে মানে কিন্তু সবাই বিএনপি কে চায় এমন না বরং বলা যেতে পারে সাধারণ মানুষ আওয়ামীলিগ কে না বলেছে।
কিছুদিন থেকেই ইউনুস কে নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। আমরা বলাবলি করছি উনি বিএনপির লোক।ইদানিং ডঃ ইউনুসের বিষয়ে বিভিন্ন লেখা পড়ে একটা চু্টকি মনে পড়ে গেলো।বাইরের কোন এক দেশের জেলখানা।সেখানে বিভিন্ন দেশের কয়েদির সাথে বাংলাদেশের কয়েদিরাও আছে।একদিন এক বড় কর্মকর্তা জেলখানা পরিদর্শনে আসলেন।এক সময় ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশী কয়েদিরা যেখানে থাকে সেখানে এসে দেখলেন যে,সব দেশের কয়েদিদের রুমের সামনে প্রহরী আছে কিন্তু বাংলাদেশের কয়েদিদের রুমের সামনে কোন প্রহরী নাই,তখন সেই বড় কর্তা জেলার কে এর কারন জানতে চাইলেন।জেলার উত্তর দিলেন যে স্যার এরা পালাতে পারবেনা।বড় কর্তা বল্লেন কেন? জেলার বল্লেন এরা কেউ একজন যদি দেয়াল টপকিয়ে পালাতে যায় তাহলে বাকি বাংলাদেশী কয়েদিরা তাকে টেনে নামিয়ে ফেলবে।
আজকে যদি আওয়ামিলীগের কেউ ওনার সাথে দেখা করেন তাহলে আমরা বলব যে ওনার সাথে লীগের আতাত হয়ে গেছে।উনি নিজে যেচে কোথাও যান নি।সবাই ওনার কাছে গেছেন।আওয়ামিলীগের কেউ গেলেও উনি দেখা করবেন।আমরা দেশের সাধারণ জনগণ যা চাই সেটা বিএনপির কথার সাথে মিলে যাওয়া মানে বিএনপি হয়ে যাওয়া নয়।৫টা সিটিতে বিএনপি জয়লাভ করেছে তার মানে এই না যে সবাই বিএনপি কে চায়।আমরা কেউ হয়তো ভাল না কিনতু ইউনুসের সাথে তুলানা করলে দুই নেত্রির সাথে আকাশ পাতাল তফাৎ।
আমরা সম্মানি মানুষকে সম্মান দিতে জানিনা।নোবল প্রাইজ মুখের কথা না।নোবেল প্রাইজ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করুন বিতর্কিত নোবল প্রাইজও কিন্তু উন্নত বিশ্ব থেকে পায়,সেখানে ইউনুস তৃতীয় বিশ্বের লোক হয়েও পেয়ছেন।কিছুনা কিছু গুনাগুন তো অবশ্যই তার আছে। না হলে তো সব দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীরা টাকা আর ক্ষমতার জোরেই নোবেল প্রাইজ কিনতে পারতো। আর যদি এটাই মনে হয় যে উন্নত বিশ্বের তাবেদারি করেই উনি নোবল প্রাইজ পেয়েছেন তাহলে তো আরো ভাল কথা।আমরা এটাকেই কাজে লাগাই।ওনার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলো থেকে সাহায্য সহযোগীতা সুবিধা বের করে নিয়ে আসি আমাদের দেশের জন্য।চাই কি পদ্মা সেতুর জন্যও অনুরোধ করতে পারি ওনার মাধ্যমে।আসলে আমরা কারো ভাল দেখতে বা সহ্য করতে পারিনা।
আমি দুঃখিত একটু বাইরের কথা লিখে ফেললাম। ক্ষমাপ্রার্থী।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আাহা..
দেহেন দি. কল্লেন কি!!!!
ন্যাংটারে আর বইলা কি ন্যাংটাবোধ জাগাইতে পারবেন???
তারা চেতনা চেতনা ধুয়া, ব্যবসা, ধান্ধা নিয়াই এতধূর আসছে!
আমরা আমজনতা আবার ঝালমুড়ি বেশি পছন্দ করি কিনা...
তাই সেই ঝালমুড়ি ো্য়ালার মতো গলার জোড়ে আর হাতের ঝনঝনিতে তারা পুরা জাতিরে ভালই কাইত করতে পারছে...
কিন্তু কথা হইল.. কত ক্ষন? ঝালমুড়িতো আর ভাতে বিকল্প না! তাই না...
এখন জাতি বুভুক্ষু!
সত্য আর সঠিক জাতীয়তাবাদি, দেশপ্রেমিক রাজণীতির জন্য!!!
++
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
নিশীর পথিক বলেছেন: ভাই আপনাদের ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্যে
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
স্বাধীকার বলেছেন:
যারা কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বলেন, তারা যে জারজ নয়-তার সত্যায়িত সার্টিফিকেট এর স্ক্যান কপি নিয়ে ব্লগে আসা উচিত হবে তাদের।
কাদের সিদ্দিকী রাজাকার হলে বঙ্গবন্ধু রাজাকারের কমান্ডার-একথা স্বয়ং কাদের সিদ্দিকী বলেছেন। আজকের স্বাধীনদেশে বসে ্াল ফালানোর মতো বহু সাইবার যোদ্ধা পাওয়া যায়, যাদের চৌদ্দপুরুষের কেউ মুক্তিযুদ্ধের ধারে কাছে ছিলেন না, ছিলেন হয়তো ভারতের শরনার্থী শিবিরে-নয়তো রাজাকারদের সাথে আপোসরফার মাধমে দেশের কোনো চিপায়। তারা এতটাই হীনমন্যতায় এখন ভোগেন যে, তারা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা-এসব বলে বুঝাতে চান যে তারা মুক্তিযুদ্ধের ডিলার, খুবই বাংলাদেশপন্থী।
কাদের সিদ্দিকী সময়ের প্রয়োজনে যে অবদান রেখেছেন, আজকে আমাদের প্রজন্ম সময়ের প্রয়োজনে কোন ্াল ফালাচ্ছে, দেশের কোনখাতে তারা অবদান রাখছে। কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্ত করার গোপন বাসনা কারা রাখেন-যারা ৭১এ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হেরেছেন তারা।
যে শুয়োরেরা কাদের সিদ্দিকীর মত প্রকাশ ও সত্য প্রকাশের কারণে তাকে রাজাকার উপাধিত করে, তাদের পূর্বপুরুষ ৭১সালে কাদের সিদ্দিকীদের হাতে চরমভাবে হেরে গিয়েছিলো। তারা আজকে আমাদের বিভেদের সুযোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, কাদের সিদ্দিকীদের গালাগালি করছে-এদের বিষয়ে সব সময় সাবধান থাকবেন।
আগামী দিন গুলোতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বহু নির্মম সত্য বেরিয়ে আসবে, যা আম্লীগদলদানা নিন্মমানের বাকশালী মানসিকতার ইতর ব্লগারদের পক্ষে সহ্য করার মতো হবেনা । জাস্ট ওয়েট করুন। লিখতে থাকুন।